Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা সদর Archives - Page 9 of 19 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা সদর

  • কঠোরতায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত

    কঠোরতায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত


    মশাল ডেস্ক: জেলায় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গতকাল শনিবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে।
    চলমান লকডাউন সফল করতে তৎপর জেলা প্রশাসন। লকডাউন চলাকালে সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের টহল ছিল লক্ষ্যনীয়। এ ছাড়া যশোর ও খুলনা থেকে জেলায় প্রবেশের মুখে বেশ কয়েকটি চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে শহরের খুলনা রোড মোড়, নিউমার্কেট মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা পুলিশকে চেকপোস্ট স্থাপন করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান অব্যাহত ছিল। ঔষধের দোকান ব্যাতীত সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যারয়ের মিডিয়া সেল থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল ১০ টি মোবাইল কোর্টে ৬৫ টি মামলার মাধ্যমে ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
    এদিকে, লকডাউন চলাকালে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকছে। তবে বন্দরের সব বাজারঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ ও ভারতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
    তবে কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তি বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা হয় নি। অনেককে বিক্ষিপ্তভাবে দোকান খুরতে দেখা গেছে। তবে কলারোয়া থানা পুলিশ ও সীমান্তে নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা লকডাউন সফল করতে তৎপর ছিলো। কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে চলমান যানবাহন ও দোকানে অভিযান চালিয়ে অনেকেই জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
    এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনে দেবহাটায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনিক কড়াকড়িতে নির্ধারিত সময়ের পর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক গুলোতেও পুলিশের চেকপোস্টের কারনে ভেস্তে যায় অপ্রয়োজনীয় যানবাহন ও মানুষের চলাচল। পাশাপাশি লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে অভিযানও পরিচালনা করেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তার। সকাল থেকে উপজেলার টাউনশ্রীপুর, কোমরপুর, পারুলিয়া, কুলিয়া, গাজীরহাট, সখিপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। এসময় লকডাউনে আরোপিত বিধি-নিষেধ অম্যান্য ও মাস্ক না পরার অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নয়টি মামলায় ৪ হাজার ৯শ টাকা জারমানা করেন তিনি।
    আশাশুনিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা বুধহাটা ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে মাস্ক ব্যবহার না করা ও কঠোর লকডাউন চলাকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে সর্বমোট ৩৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
    উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক বৈঠকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    লকডাউনের এক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স ও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সব সময় খোলা থাকবে। একইসঙ্গে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বন্দরের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনার সড়ক যোগাযোগে পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে। এ সময় সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।
    জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ২৪৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

  • শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৭ জনের জামিন

    শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৭ জনের জামিন

    ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

    মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তারসহ ১৮ আসামি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। 

    জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম। 

    বাকি ১১ আসামির জামিনের আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    কলারোয়ায় পৌঁছাতেই সড়কে একটি বাস আড় করে দিয়ে তার পথরোধ করা হয়। এ সময় জটলার সৃষ্টি হলে সেই সুযোগে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ইটপাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে সহিংসতার সৃষ্টি করে। এতে তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী অনেকে আহত হন।

    মামলা তদন্ত শেষে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। 

    আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা হয়েছে। এরপর মামলার আসামি রাকিবের আবেদনে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। 

    একই সঙ্গে রাকিবের ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পরে রাকিবকে জামিন দেয়া হয়।

    রাকিবের আবেদন ছিল, যখন ঘটনার কথা বলা হয় তখন, অর্থাৎ ২০০২ সালে তার বয়স ছিল ১০ বছর। সুতরাং তার বিচার হতে হলে শিশু আইনে হবে। বড়দের সঙ্গে দায়রা জজ আদালতে করা যাবে না।

    গত বছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিনমাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

    এরপর বিচার শেষে সাতক্ষিরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সব আসামিকে সাজা দিয়ে রায় দেন। রায়ে হাবিবুল ইসলামকে কয়েকটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

  • ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি

    ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি

    ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি

    মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বেড়েছে। এতে করে বেড়েছে নির্মাণ খাতের পণ্যটি থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এ বন্দর দিয়ে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৭ টন পাথর আমদানি হয়েছে, যা থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছে ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

    ভোমরা শুল্কস্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ১৭ লাখ ৭০ হাজার ২১০ টন পাথর আমদানি হয়েছিল। সে সময় এটি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১০৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের পাথর আমদানিতে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। একইভাবে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ২৩ হাজার ৫০৭ টন।

    বন্দরসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, করোনার মধ্যেও বন্দর দিয়ে নির্মাণ খাতের পণ্যটির আমদানি বেড়েছে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২০০ ট্রাক পাথর আমদানি করা হয়ে থাকে। আমদানি হওয়া এসব পাথর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

    বন্দরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের অন্যসব বন্দরের তুলনায় ভোমরা বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করা সবচেয়ে সহজ। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ভালো, তেমনি পরিবহন খরচেও অনেক সাশ্রয় হয়। যানজট থাকে না। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারক এখন ভোমরা বন্দর দিয়ে পাথর আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন।

    ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম পাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোহিত ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটি আমদানীকৃত পাথর দেশের বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, ভারতের ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে নির্মাণকাজে ব্যবহূত পাথর আমদানি করেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক পাথর আমদানি করে। বর্তমানে আমদানির পরিমাণ আরো বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

    ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, এ বন্দর দিয়ে ৭৩ প্রকার পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আমদানি করা হয় পাথর। প্রতিদিন ১৮০-২০০ ট্রাক পাথর আমদানি হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে।

    এ বিষয়ে ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বণিক বার্তাকে বলেন, এ বন্দর দিয়ে যে পণ্য আমদানি হয়ে থাকে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আসে পাথর। গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে পাথরের আমদানি বেড়েছে।

  • উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে

    উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে

    জহুরুল কবীর:

    উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। এশিয়ার বৃহত্তম সবুজ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এই জেলায় অবস্থিত। এই উপকূলের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগর। শক্ষিাঙ্গণরে মহা পুরুষ খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ এই শহরের গর্ব। তাছাড়া শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যপক ডাঃ এম আর খান, ডাঃ রুহুল হক (সাবেক মন্ত্রী) (অর্থপেডিক্স), শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ শ্যামাপদ পাল, ডাঃ আজিজার রহমান; বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানি ড. এম মতিয়ার রহমান; বিশ্ব বিখ্যাত বাঘ শিকারী পচাব্দী গাজী; প্রথম মুসলিম মহিলা কবি আজিজুননেছা খাতুন; বাঙালি লেখক/কবি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী; বিশিষ্ট সাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর; সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আব্দুল মোতালেব; বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অমর মিত্র (৩০ আগস্ট, ১৯৫১) ও আবুল কাশেম মিঠুন, পরীমনি; প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমীন; চিত্রনায়ক আমিন খান ও রানী সরকার; নাট্যশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, আফজাল হোসেন, ফাল্গুনী হামিদ ও মৌসুমী হামিদ; বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী (একুশে পদকপ্রাপ্ত) সৈয়দ জাহাঙ্গীর; আব্দুল জলিল (ঈশিকা); ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার; নারী ফুটবলার সাবিনা; রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীন (সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদ-১৯৭০ ); এম মনসুর আলী (সাবেক মন্ত্রী), সৈয়দ কামাল বখত সাকি, সৈয়দ দীদার বখত; পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়; সাবেক সেনা প্রধান ভারতের শঙ্কর রায় চৌধুরী প্রমুখ জ্ঞানী-গুণিজন এই জেলার অহঙ্কার। ভোমরা স্থল বন্দর, চিংড়ি ও কাকড়া শিল্প এই জেলার বৃহৎ রাজস্ব আয়ের উৎস।
    কপোতাক্ষ, ইছামতি (আদি যমুনা), কালিন্দী, কাকশিয়ালী, বেতনা(বেত্রাবতী), খোলপেটুয়া, গলঘেসিয়া, মরিচ্চাপ এই জেলার প্রধান প্রবহমান নদ-নদী সমুহ। এছাড়া প্রাণসায়র খাল জেলা শহরের প্রধান জল প্রবাহ।


    জলবদ্ধতা, লোনা পানি, আন্তর্জাতিক সীমানা এই জেলার প্রধান সমস্যার উৎস। জেলার দক্ষিণ উপকূলীয় উপজেলার প্রায় অধিকাংশ ইউনিয়ন মিষ্টি পানির অভাবে বছরের বার মাস খাওয়ার পানি সঙ্কটে ভোগে। জেলার নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত পানির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরে লোনা পানি উঠানোয় বসতি এলাকাও লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানির প্রচ- অভাবী এই উপকূল।


    নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় নদীর তলদেশ উচুঁ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর পানি উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বসতি এলাকা অপেক্ষা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলো ওভারফ্লো হয়ে পানি বসতি এলাকায় প্রবেশ করায় বছারের প্রায় ১২মাস উপকূলের অধিকাংশ ইউনিয়ন পানির নিচে থাকে। ফলে পয়নিষ্কাশনের মারাত্মক অসুবিধায় ভোগে এলাকার মানুষ। গৃহপালিত পশুর জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি পানির নিচে থাকায় এলাকায় কৃষি উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়েছে খুলনা সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। হাতে গোনা কিছু মানুষ জলে এবং জঙ্গলে কাজ করলেও তাতে পরিবারে স্বচ্ছতা ফেরে না। অভাবের তাড়ণায় পিতামাতা শিশু কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজে পাঠাতে বাদ্য হচ্ছে। গত বছর শ্যামনগরের কয়েকটি পরিবারের একাধিক শিশু ঢাকা গাজীপুর ইট ভাটায় দাদন খাটতে যেয়ে প্রাণ হারায়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ হারে হ্রাস পাচ্ছে শিক্ষার হার। কর্মহীনতা যার প্রধান কারণ। সাতক্ষীরা উপকূলের নিন্ম শ্রেনীর বড় একটা গোষ্টি সুন্দরবন নির্ভর হয়ে হরে পড়েছে। কাঠ ও গোলপাতা কাটা, মধু আহরণ, পশু শিকার, মাছ ধরা ইত্যাদি এদের প্রধান পেশা হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন। জঙ্গলের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ায় জনপদে চলে আসছে বাঘ, হরিণসহ বনজ প্রাণী। যার জন্য বনজীবীরা বাঘের মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
    সাতক্ষীরা এমন একটা জেলা যেখানে সরকারি বে-সরকারি কোন কলকারকাখা নেই। আশির দশকে তৎকালিন বস্ত্রমন্ত্রী এম মুনছুর আলী একটি টেক্সটাই মিল (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তি সরকারের বাটপারেরা লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে এর (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) বিশাল জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। জেলার সামন্য একটা জনগোষ্টি ভোমরা স্থল বন্দরের সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
    শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য এই জেলায় কোন কর্মসংস্থান না থাকায় বৃহত্তর চাকরী প্রার্থি রাজধানি মুখি হয়ে ওঠে।
    সাতক্ষীরা ভারত সীমান্ত ঘেসা হওয়ায় উৎপাদন মুখি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মূল্য সংকটে পড়ে। রাজধানি ঢাকা থেকে কাচামাল এনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে যে খরচ পড়ে দেখা গেছে পাশের রাষ্ট্র ভারতে তার দাম অনেক কম। আবার চায়না পণ্যের মূল্য আরো কম হওয়ায় ঢাকার মার্কেটেও স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য বেঁচা যায় না।
    এরকম নানান সমস্যা ও জটিলাতার জেলা উপকূলীয় সাতক্ষীরা।
    শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা থেকে সাতক্ষীরা বঞ্চিত। বিভিন্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সারা বছর আন্দোলন করলেও অদ্যবধি কোন জাতীয় বাজেটে দক্ষিণ উপকূলের জন্য বিশেষ কোন প্রকল্প গ্রহণ বা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।


    এমতাবস্থায় সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান দাবীসমুহ উপকুলীয় নদ-নদীসমুহে প্রবাহ বাড়াতে নদী খননসহ আন্তনদী সংযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বরাদ্ধ দিতে হবে। মাওয়া থেকে সুন্দরবন (লিঙ্ক মোংলা, ভোমরা ও বেনাপোল বন্দর) মহাসড়কের আওতায় হাইওয়ে সড়ক ও রেল লাইন নির্মান করতে হবে। পদ্মার এপারে খুলনায় আন্তর্জাতিক আমদানি নির্ভর মার্কেট তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য খুলনা থেকে দেশব্যাপী সরবরাহ করতে হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল আমদানী এখান দিয়ে করতে হবে। জেলার সাত উপজেলায় সাতটি পৃথক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সাতটি ২০ লাখ শ্রমিক নির্ভর ইকোনোমিক জোন তৈরি করতে হবে। ভারতের বিভিন কোম্পানীর ম্যানুফ্যক্সারিং কারখানা উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাতে স্থাপন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা প্রধান স্থপনা সুন্দরবনের শক্তি বৃদ্ধিতে বনের ঘনত্ব বাড়াতে হবে। বিশাল বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা সুন্দরবনের পরিধি দিনকিদিন সাগরে ভেঙে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরে সুন্দরবনের ভাঙন রোধে বিশেষ বাধ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এশিয়ার বৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরকে পর্যাটন নগর ঘোষণা করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এমএলএসএস পদে প্রশাসনিক স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

  • ইয়াবা সহ একজন আটক

    ইয়াবা সহ একজন আটক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গতকাল দুপুরে¡ র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা (সিপিসি-১) এর একটি আভিযানে কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রাম থেকে মোঃ আল-মামুন বিশ্বাস(২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়। সে বড়ালী গ্রামের মোঃ রফিকুল বিশ্বাসের ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে ৭৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    এব্যাপারে কলারোয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

  • সফিয়ার রহমানের মৃত্যুতে ক্রীড়া সংস্থার শোক

    সফিয়ার রহমানের মৃত্যুতে ক্রীড়া সংস্থার শোক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আশাশুনির দরগাহপুর গ্রামের প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ সফিয়ার রহমান(৮০) বার্ধক্যজনিত কারনে ২১মে,২০২১ শুক্রবার দিবাগত রাত্র ১২-৩০মিনিটে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি……রাজিউন)।
    তাঁর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মোঃ বদরুল ইসলাম খান সহ সকল কর্মকর্তা, সদস্য ও খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

  • জেলা নাগরিক কমিটির সভায় পৃথক উপকূলীয় বোর্ড গঠনের দাবী

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ মানুষকে সময়মত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া এবং জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি। শনিবার বেলা ১১টায় সংগঠনের এক সভায় এ আহবান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম।
    সভায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষণা, এলাকার উন্নয়নে পৃথক উপকূলীয় বোর্ড গঠন ও আগামী জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানানো হয়। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নাভারণ-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন ও সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আগামী বাজেটেই বিশেষ বরাদ্দ রাখার আহবান জানানো হয়।
    সভায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তার নি:শর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।
    সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীন শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, বাসদ নেতা এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল ও নিত্যানন্দ সরকার, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হারুণ অর রশিদ, জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলী নুর খান বাবলু, স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, উত্তরণের এড. মুনির উদ্দিন, সুশীলনের জিএম মনিরুজ্জামান, নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, আসাদুজ্জামান লাভলু, মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ সরদার, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
    আবুল হোসেনের রোগমুক্তি কামনা:
    জেলা নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির জেলা সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে তার আশু রোগমুক্তি কামনা করেছেন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

  • ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন

    ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন

    সংবাদদাতা : আল-আসকা মসজিদে হামলা ও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি।
    শনিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল সরণীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মহিবুল্লাহ মোড়ল।
    জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য স্বপন কুমার শীলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, জেলা কমিটির সদস্য মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, হিরন্ময় মন্ডল, কলারোয়া উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, তালা উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ সাতক্ষীরা সদরসহ তালা ও কলারোয়ার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    বক্তারা বলেন, ইসরাঈল দীর্ঘ ১০০ বছর ধরে নৃশংস হত্যা, নির্যাতন ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাঈলী বর্বরতায় নারী শিশুসহ বহু নিরাপরাধ মানুষের প্রাণ গেছে। সম্প্রতি বিমান হামলা চালিয়ে ২৬৫ জন মানুষ হত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৬৫ জন শিশু ছিলো। এছাড়া আল আকসা মসজিদে নামাজরত মুসুল্লীদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। যুগ যুগ ধরে চলমান ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার প্রতি সমর্থন জানান।

  • অ্যাড. শাহ আলম মুক্তি পেলেন

    অ্যাড. শাহ আলম মুক্তি পেলেন



    জহুরুল কবীর: অবশেষে মুক্তি পেলেন অ্যাড. শাহ আলম। আজ বিকাল সাড়ে 3টায় তাকে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া বিবাদী পক্ষে রিমান্ড আবেদনও খারিজ করেদিয়েছেন।
    বুধবার সাতক্ষীরা চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভার্চ্যুয়াল আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির জামিন শুনানিতে রিমান্ড আবেদন খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করেন।
    জামিন শুনানিতে এড. শাহ আলমের পক্ষে অংশ নেন সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড এইস খান পান্না, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবুল হোসেন, এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী প্রমুখ।

  • অ্যাড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর

    অ্যাড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর

    জহুরুল কবীর:  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া বিবাদী পক্ষে রিমান্ড আবেদনও খারিজ করেদিয়েছেন।
    বুধবার সাতক্ষীরা চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভার্চ্যুয়াল আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির জামিন শুনানিতে রিমান্ড আবেদন খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করেন।
    জামিন শুনানিতে এড. শাহ আলমের পক্ষে অংশ নেন সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড এইস খান পান্না, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবুল হোসেন, এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী প্রমুখ।

    ——-বিস্তারিত আসছে।

  • থমথমে আদালত এলাকা

    থমথমে আদালত এলাকা

    • পাল্টাপাল্টি হাফ ডজন মামলা
    • জেলা বারের সাবেক সভাপতি কারাগারে
    • নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যহত


    জহুরুল কবীর: স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. এম শাহ আলমের মধ্যকার বিতন্ডার ঘটনাকে কেন্দ্রকরে জেলা আইনজীবীর সমিতির সিনিয়র আইনজীবীগণ পরষ্পর মুখোমুখি অবস্থানে। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হাফ ডজন মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় আসামী বারের সাবেক সভাপতি সেক্রেটারিসহ সিনিয়র আইনজীবীগণ। এক মামলায় কারাগারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম। বিষয়টি নিয়ে আদালত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চলছে পাল্টাপালটি কর্মসুচি। একদিকে গ্রেপ্তার অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারপূর্বক মুক্তির দাবী অন্যদিকে দুর্ণীতি মুক্ত বার গঠণের দাবীতে সোমবার আদালত প্রঙ্গণে পৃথক মানববন্ধর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার জনৈক আসামীর জামিন শুনানীর জন্য গত ২৬ এপ্রিল সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য ছিল। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম। দুপুর একটার দিকে যার যার চেম্বারে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন শুনানীকালে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ করেছেন ও তাদের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতকে অবহিত করেন এ্যাড. এম শাহ আলম। এ সময় ভিকটিম ও তার বাবা মামলার বাদি এ্যাড. এম শাহ আলমের চেম্বারে বসে আছেন জানালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ আপত্তি জানান। জামিনের আপত্তি জানিয়ে তিনি ভিকটিম ও বাদিকে স্বশরীরে দেখতে চান। বাদি ও ভিকটিম প্রকৃত কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদেরকে তার চেম্বারে আনতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এম শাহ আলম পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য করেন। বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু জেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আদালত ওই আসামীকে দু’ হাজার টাকার ব-ে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেন।
    এই ঘটনার জের ধরে ২৭ এপ্রিল বিকালে পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের অনুসারিগণ অ্যাড শাহ আলমের ল.চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুর করে। এব্যাপারে অ্যাড শাহ আলম সদর থানায় একটি এজাহা করেন। যেটি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরদিন পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে একই থানায় পৃথক মামলা করেন। অ্যাড শাহ আলম তার এজাহা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে অন্তরভুক্ত না করায় গতকাল সাতক্ষীরা আমলী প্রথম আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা করেন। উক্ত মামলায় ১০জন আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০জনকে আসামী করা হয়েছে।
    বিচারক মোঃ রেজোয়ানুজ্জামান আগামি ১৬ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, এ্যাড. এসএম হায়দার আলী, এ্যাড. এসএম সালাহ উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), এ্যাড. নিজামউদ্দিন, এ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. এবিএম সেলিম, এ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বাচ্চু, এ্যাড. নুরুল আমিন ও এ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকো।
    এরই মধ্যে গত ১৬ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলেশ। শিক্ষানবীশ আইনজীবী শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফজলুল হক গাজীর ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন লেখা ঝুলিয়ি ছবি তুলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও সম্মানহানি করার অভিযোগে উক্ত মামলা দায়ের করেন।
    উক্ত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ মামলার ব্যাপারে অ্যাড. ফেরদৌসি সুলতানা জানান, “২৭ এপ্রিল ল-চেম্বার ভাংচুর ঘটনায় মামলা করার পর থেকে অ্যাড. আব্দুল লতিফ গং নানা ভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে অ্যাড. আব্দুল লতিফ গং অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি ‘দ্রুত বিচার আইনে’ মামলা করেছেন যাহা তদন্তাধীন। এরই মধ্যে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা করে অ্যাড. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।”
    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার জানান, শিক্ষানবীশ লিয়াকত আলীর মামলায় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পরদিন সোমবার উভয়পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেল ও রিমান্ড শুনানী আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

  • সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    ‘আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা রাখি।’ মঙ্গলবার সাংবাদিক নির্যাতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী বলেন, সাংবাদিকতা মানে সন্ত্রাস নয়। কোন সাংবাদিক অস্ত্র নিয়ে তথ্য সংগ্রহে যায় না। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি আইন-কানুন রাষ্ট্রিয় নীতিমালা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। অধিকাংশ সময় ক্ষমতাশীল দূর্ণীতিবাজ আমলা আমাদের উপর আইনের খর্গ চাপিয়ে দেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামর তারই উদাহরণ।

    আশেক-ই-এলাহী


    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘কিন্তু, আইনের বাইরে একজন নাগরিক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে, একজন লেখক হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হিসেবে আমি বলতে চাই, স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে দেশের সব সাংবাদিককে এক হতে হবে। আমাদের এখন একটাই দাবী, চাই স্বাধীনতা ও নিরাপত্ত’।
    তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের ক্ষমতার অংশিদার নই, সুবিধা ভোগী নই। আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহযোগী। আমরা দুর্নীতির খবর তুলে না ধরলে সরকার কীভাবে জানবে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। কাজেই আমরা সরকারের উপকার করার চেষ্টা করছি এবং রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্বপালন করে যাচ্ছিলেন।’
    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চ মহলকে বলব, আমাদের একটা মন্ত্রনালয় আছে (তথ্য মন্ত্রনারয়) আমাদের কাজের ফাঁকে ভুর-ভ্রান্তি হতেও পারে। তার জন্য এভাবে শারিরিক, মানোষিক, সামাজিক ভাবে হেনেস্তা না করে মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে কারণ দর্শষানো পূর্বক বিভাগীয় শাস্তির বিধান করতে পারেণ।
    আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘আমি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিকতা করতে এসেছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার কায়েম করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা যদি নির্যাতনের শিকার হন, তবে তা সাংবাদিকতার জন্য ভালো না, দেশের জন্য ভালো না, সুশাসনের জন্য ভালো না, এটা প্রশাসনের জন্য ভালো না, এটা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেও না।’
    পরিশেষে বুকভরা আশা নিয়ে বলবো, নারী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বর্থে অবিলম্বেসাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন।

  • ঈদ আনন্দে মুখরিত মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি

    ঈদ আনন্দে মুখরিত মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি

    সংবাদদাতা: ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই ভিন্নতা। ঈদের সেই আনন্দ উপভোগ করতে সব বয়সের আনন্দ পিপাসু মানুষের পদভারে মুখরিত সাতক্ষীরা মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট । করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন বিকেল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ঢল নামে এই বিনোদন কেন্দ্রে । এছাড়াও শহরের বাইপাস এলাকার ছোট ছোট মিনি রেষ্টুরেন্ট ও কফি শপ গুলোতে ও মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
    এদের মধ্যে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা অধিকাংশরাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। প্রচ- ভিড় হলেও এইসব বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণের যেন কমতি নেই দশনার্থীদের।
    ভেদাভেদ ভুলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
    করোনা ভাইরাসের কারনে মাস্ক ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। তবে ভেতরে সামাজিক দূরত্ব না মেনে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেকেই
    পরিবার নিজে ঘুরতে আসা পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় মো. সরোবর হোসেন জানান, করোনার কারনে গত ২টা ঈদ আমি ঢাকায় পালন করেছি। এবার বাসায় আসলাম পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো বলো। পরিবার নিয়ে একটু বেড়াতে এসেছি নিরিবিলি জায়গায়তে এখানে এসে খুব ভালো লাগছে । এখানে এসে দেখলাম মাস্ক ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিছেনা।
    মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার মো. এমদাদুল হক জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে ১ বছরে বেশি সময় বন্ধ ছিলো ঈদ উপলক্ষে ২ দিন খোলা হয়েছে। আবার বন্ধ রাখা হবে। এখানে আগে প্রায় ৮০ জন ষ্টাফ ছিলো। এখন ২০ জনের মতন রয়েছে। টিকেট কাউন্টার থেকে মাস্ক ছাড়া কাউকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।

  • এ্যাড. শাহ আলমকে আটকের ঘটনায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. শাহ আলমকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে অ্যাড. শাহ আলমকে নি:শর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে অ্যাড. শাহ আলম কে মারপিট করা হলো, অফিস ভাংচুর করা হলো। সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে আটক করে শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার পায়তারা করা হচ্ছে।
    বিবৃতিদাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মহিবুল্লাহ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, কেন্দ্রীয় পার্টির সদস্য সাবীর হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, স্বপন কুমার শীল, অজিত কুমার রাজবংশী, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মাস্টার, নারী নেত্রী নাসরীন খান লিপি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মোড়ল, অধ্যক্ষ শীবপদ গাইন, প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল প্রমুখ।

  • এ্যাড. শাহ আলমের মুক্তি ও শাস্তির দাবিতে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন

    এ্যাড. শাহ আলমের মুক্তি ও শাস্তির দাবিতে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন


    সংবাদদাতা: জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রুত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সাধারণ আইনজীবী বৃন্দের আয়োজনে সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির শহীদ মিনার চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. ইউনুছ আলী। সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ওসমান গণি, সাবেক অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড, প্রবীর মুখাজী প্রমুখ।
    অবিলম্বে শাহ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রুত মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।
    এদিকে বেলা ১২টার দিকে শাহ আলমের শাস্তির দাবিতে আইনজীবী ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাতক্ষীরা সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্যজোট। এসময় জজকোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, এ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, এ্যাড.নুরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা শাহ আলমকে দুর্নীতিগ্রস্থ উল্লেখ করে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জেলা ছাত্রলীগের দোয়া

    শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জেলা ছাত্রলীগের দোয়া

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বাদ যোহর শহীদ আব্দুর রাজ্জাকপার্কস্থ জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজি আক্তার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খালিদ হাসান নয়ন, ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান শাওন, কাজি হাশিম উদ্দিন হিমেল, এস এম জুবায়ের, কাজি শাহেদ পারভেজ ইমন, মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, আবুল কালাম, কাজি সাদিক দিপ, জাহিদ হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফারিব আজমির, শেখ শিতল প্রমুখ। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

  • এড. শাহ আলমকে আটকের ঘটনায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা ও মুক্তির দাবি

    এড. শাহ আলমকে আটকের ঘটনায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা ও মুক্তির দাবি


    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির বার বার নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এড. শাহ আলমকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে এড. শাহ আলমকে নি:শর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে এড. শাহ আলম কে মারপিট করা হলো, অফিস ভাংচুর করা হলো। সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আটক করে শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার পায়তারা করা হচ্ছে।

    বিবৃতিদাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মহিবুল্লাহ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, কেন্দ্রীয় পার্টির সদস্য সাবীর হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, স্বপন কুমার শীল, অজিত কুমার রাজবংশী, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মাস্টার, নারী নেত্রী নাসরীন খান লিপি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মোড়ল, অধ্যক্ষ শীবপদ গাইন, প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • অ্যাড. এম শাহ আলম গ্রেফতার

    অ্যাড. এম শাহ আলম গ্রেফতার

    এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন লেখা ঝুলিয়ে ছবি তুলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও সম্মানহানি করার অভিযোগে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

    রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সবুজবাগের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাবার নাম জহুরল ইসলাম। মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফজলুল হক গাজীর ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী ২০১২ সালে সাতক্ষীরা ল’ কলেজ থেকে ল’ পাস করেন। ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) এর কাছ থেকে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।

    ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে শ্যামনগর সহকারি জজ আদালতে তার নিজেরই দঃ ২৯/১৯ মামলার সাক্ষী দেওয়ার জন্য তিনি দাঁড়িয়ছিলেন। এ সময় অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড, তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটো পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে ভীত সন্ত্রস্ত করে জাপটে ধরে তৎকালিন সভাপতি অ্যাড. এ শাহ আলমের তিনতলার ল’ চেম্বার নিয়ে যায়। এ সময় অ্যাড. এম শাহ আলম শিক্ষানবীশ আইনজীবী অ্যাড. লিয়াকত আলীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’  এমন একটি লেখা ঝুলিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে তা নিজ ফেইসবুক আইডিতে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চারজন আইনজীবী ওই লেখা শেয়ার করেন। কিল , চড় ও ঘুষি মেরে তাকে জখম করেন ওই আইনজীবীরা। পরবর্তীতে তাকে কোর্টে না আসার কথা বলে ও দেওয়ানী ২৯/১৯ মামলায় সাক্ষী দিতে পারবি না, এ কথা না মানলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে, খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত করা হয়। দেশ বিদেশের বন্দু ও স্বজনরা ফেইসবুক দেখে তাকে জানানোয় তার চরম সম্মানহানি হয়। এ ঘটনায় গত ১২ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাড. শাহ আলম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড, তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটোর নামে মামলা করেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী অ্যাড.লিয়াকত
    হোসেন।

    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার জানান, শিক্ষানবীশ লিয়াকত আলীর মামলায় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২৬ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর জামিন শুনানীকালে জামিনর বিরোধিতা করায় পিপি সম্পর্ক কৌটুক্তি করায় ২৮ এপ্রিল এ্যাড. এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয়।