সংবাদদাতা : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বৃক্ষ রোপন কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলজ, বণজ ও ভেষজ গাছের রোপন করেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথি এমপি রবি বলেন, “পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নেই। গাছ আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষা করে এবং মানুষকে অক্সিজেন দেয়। যেকারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বৃক্ষ রোপনের মধ্য দিয়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে।” এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ কুদরত -ই- খুদা, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক অজয় কুমার সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. আহমেদ আল-মারুফ, প্রধান সহকারি মোত্তাজুল ইসলাম, হেলথ এডুকেটর শেখ মুরাদ হোসেন, এমপি রেডিওলজি আব্দুল হালিম, এমপি ল্যাব সুব্রত কুমার প্রমুখ।
Category: সাতক্ষীরা সদর
-

সামেক হাসপাতাল চত্বরে বৃক্ষ রোপন করে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে-এমপি রবি
-

সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ’র বিদায় সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ’র অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এমপি রবি ভবনের ৪র্থতলায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মকসুমুল হাকিম’র সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আলতাফ হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্য ইন্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম, মো. আব্দুর রহমান বাবু প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বাপ্পী, সহকারী অধ্যাপক তরুণ কান্তি সানা, আব্দুল আজিজ, হারিরা খানম, মনিরুজ্জামান, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক পবিত্র কুমার মন্ডল, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক শিমুল হোসেন, বিএম শাখার সহকারী অধ্যাপক ইউনুস আলী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আশরাফুন্নাহার মনি, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান শাওন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অফিস সহকারী মছরুর রহমান প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক, গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরার সিটি কলেজের অফিস সহকারী হারুনার রশিদ। -

শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকে
রক্ষার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মিথ্যা মামলাসহ অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে মো: শাহিদুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী। ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম বাঁশদহে প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ স্মৃতি কলেজ। প্রতিষ্টার পর থেকে সুনাম আর সম্মানের সাথে পায়ে পায়ে এগুতে থাকে এ শিক্ষা নিকেতনটি। কিন্তু ২৮/০৬/২০১৫ থেকে বর্তমান কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির থেকে ক্রমশ প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরোধীতা করায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিথ্যা মামলাসহ অত্যাচার নির্যাতনে দিশেহারা। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিটই হয়নি, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মতো। কলেজ উন্নয়নে তার কোনও দৃষ্টি না থাকলেও বৈধ/অবৈধ ভাবে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে তার জুড়ি মেলা ভার। কলেজের চৌহদ্দি বাড়ানোর কথা বলে জমি ক্রয়ের নামে বার বার নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিকট থেকে প্রায় ০২ কোটি টাকা নিয়েও অদ্যাবধি তা পূরণ হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের সেই অনুদানের কথা লিখিত আকারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। সরকারের শিক্ষা বিভাগের কাছ থেকে বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মাণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। কলেজে তাঁর অনিয়মিত যাতায়াতের কারণে প্রশাসনিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দিন দিন কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে রেজুলেশন জালিয়াতি করে(একই রেজুলেশন চারবার পরিবর্তন) অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত অবৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হলেও স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে সকল কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থলোলুপ শিক্ষাদস্যু এই অধ্যক্ষ কতটা অর্থ পিশাচ-যার প্রমাণ দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে যাদের সাথে চাকরি করেছেন, যারা ২৫ বছর অধ্যাপনা জীবনে একটিবার প্রমোশন পেয়েছেন, এমন ১৪ জন প্রভাষকের কাছ থেকে ঘুষ নিতেও কুন্ঠিত হননি। অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কার্যক্রম শেষে তার নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় বিগত ২১/০৩/২০১৭ তারিখে তাকে অবৈধ ঘোষণা করে পত্র জারি হয় এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত সমস্ত টাকা ফেরৎ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে গভনির্ং বডির সভাপতি অধ্যক্ষের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় সেই আদেশ বাস্তবায়িত করেননি বরং তিনি (অধ্যক্ষ) গায়ের জোরে, অবৈধভাবে কলেজের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে কলেজের সাবেক গভর্নিং বডির সভাপতি তার আপন ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন (মোবাইল নম্বর-০১৭১৬-৫৮২৪৯০) এর কাছে আবেদন করি কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। পরবর্তীতে বর্তমান সভাপতি গোলাম মোরশেদ (মোবাইল নম্বর-০১৭১৫-১২২৯৯৬) এর স্মরণাপন্ন হই, তিনি পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পরে এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নিবেন বললেও অদ্যাবধি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাঁর এই অপকর্মকে ধামাচাপা দিতে তিনি অত্যন্ত সুচতুর ভাবে তাঁর দুজন সহকর্মীকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। কারণ সেই দুইজন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে সর্বদা স্বোচ্চার। তার বিপক্ষে অবস্থানকারীকে এক এক করে ‘‘দেখে নেবেন’’ বলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছেন। ওই শিক্ষাদস্যুর হাত থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এসময় অত্র কলেজেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরায় খাদ্য শস্য লাইসেন্স গ্রহণ সপ্তাহ ২০২২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : “খাদ্য শস্য লাইসেন্স নিব আইন মেনে ব্যবসা করব” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী খাদ্য শস্য লাইসেন্স গ্রহণ সপ্তাহ ২০২২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে খাদ্য বিভাগ সাতক্ষীরার আয়োজনে সুলতানপুর বড় বাজারে খাদ্য গুদামের সামনে সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য শস্য লাইসেন্স সপ্তাহের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আজহার আলী, সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ইনচার্জ এ.এস.এম মনজুরুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা রাইচ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো. আব্দুল গফ্ফার, সদর উপজেলা রাইচ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু, সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. হুমায়ুন বাসিদ, সদর উপজেলা রাইচ মিল মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। খাদ্য শস্য আমদানীকারক, পাইকারী ব্যবসায়ী ও আড়তদার, খুচরা ব্যবসায়ী, চালকল (অটোমেটিক রাইচ মিল, মেজর রাইচ মিল, হাস্কিং রাইচ মিল) মালিকগণ ও ময়দাকল (মেজর ও কম্প্যাক্ট ময়দাকল, রোলার ময়দাকল, আটাচাক্কি) মালিকগণ যারা সর্বনিম্ন ১ মেঃটন খাধ্য শস্য/খাদ্য সামগ্রী (এককভাবে কিংবা মিলিতভাবে) অথ্যাঃ ১ হাজার কেজি ধান/চাল/গম/গমজাত দ্রব্য মজুত বা ক্রয় বিক্রয় করেন তাদের খাদ্য শস্য লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। ১৫ জুলাই হতে ২১ জুলাই ২০২২ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী খাদ্য শস্য লাইসেন্স গ্রহণ সপ্তাহ ২০২২ লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঝ্চালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এইচ.এম কামরুজ্জামান।
ক্যাপশন : সাতক্ষীরায় খাদ্য শস্য লাইসেন্স গ্রহণ সপ্তাহ ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা। -

অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের বিচারের দাবীতে সাতক্ষীরায় শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন
নিজম্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের শহীদ স্মৃতি কলেজের শিক্ষাদস্যু ও দুূর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের বিচারের দাবী ও ২ জন নিরীহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে ওই কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। আজ রোববার সকাল ১১ টায় শহীদ স্মৃতি কলেজের চত্ত্বরে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ দীপক কুমার মল্লিক।
সহকারী অধ্যাপক তপন কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন ওই কলেজের সহ-অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতির এবং নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের সকল শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে সমুদয় টাকা কলেজ ফান্ডে জমাদানের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তিনি শিক্ষকদের ন্যায় সঙ্গত দাবি না মেনে ধারাবাহিকভাবে সুকৌশলে নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ কলেজের দুইজন ল্যাবসহকারি নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার একটি টাকাও তিনি কলেজে দেননি। এদিকে গত ২১ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে দুইজন সন্ত্রাসী অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানকে গুলি করেন। তবে তিনি তাদেরকে চিনতে পারেননি। অথচ গত ২৯জুন আমাদের সহকর্মী সহ-অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহিম ও সহ-অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে সন্দেহ হয় মর্মে থানায় একটি মামলা করেছেন। যেটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নিজের দূর্ণীতি ঢাকতে অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান আমাদের সহকর্মী আব্দুর রহিম ও মনিরুজ্জামানকে হয়রানি করতে থানায় ওই মামলা করেছেন। অধ্যক্ষকে যারা গুলি করেছেন আমরা তাদেও শাস্তি চায়। তাদের শনাক্ত করতে আমরা প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তবে কোন নিরীহ মানুষ অধ্যক্ষের রোষানলে পড়ে হয়রানি হোক আমরা সেটি কখনও মেনে নেবনা। আমরা অত্র কলেজের অধ্যক্ষের এহেন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডের ধিক্কার, নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে আব্দুর রহিম ও মনিরুজ্জামানের নাম জড়িয়ে যে মামলা করেছেন সেটি প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। -

স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন অংশগ্রহণে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতা কর্মীর সাতক্ষীরা ত্যাগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের দূয়ার খুলে যাবে। স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ২৫ জুন সকাল ১০টায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নেতৃত্বে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে এমপি রবির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদরের ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির সার্বিক সহযোগিতায় অংশ নিতে পারায় দলীয় নেতা কর্মীরা সাতক্ষীরার গণমানুষের প্রাণপ্রিয় জনদরদী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির প্রতি ধন্যবাদ ও গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। -

এমপি রবির পক্ষ থেকে পূজা মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৫ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সফল করতে, বন্যা থেকে মুক্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি-শান্তি কামনা ও সামগ্রিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে নারিকেলতলা এলাকায় সাতক্ষীরা সদর সার্বজনীন পূজা মন্দিরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আয়োজনে এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ বিশেষ প্রার্থনা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি গৌর দত্তের সভাপতিত্বে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, অধ্যাপক ভূধর সরকার, ও সার্বজনীন পূজা কমিটির সহ-সভাপতি শঙ্কর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক কিরন্ময় সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু প্রমুখ। এসময় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু ধর্মালম্বীরা উপস্থিত ছিলেন। -

এমপি রবির পক্ষ থেকে পূজা মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৫ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সফল করতে, বন্যা থেকে মুক্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি-শান্তি কামনা ও সামগ্রিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে নারিকেলতলা এলাকায় সাতক্ষীরা সদর সার্বজনীন পূজা মন্দিরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আয়োজনে এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ বিশেষ প্রার্থনা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি গৌর দত্তের সভাপতিত্বে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, অধ্যাপক ভূধর সরকার, ও সার্বজনীন পূজা কমিটির সহ-সভাপতি শঙ্কর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক কিরন্ময় সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু প্রমুখ। এসময় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু ধর্মালম্বীরা উপস্থিত ছিলেন। -

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থর মাঝে ঢেউটিন ও গৃহ-নির্মাণ অর্থ বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার/প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিনামূল্যে ঢেউটিন ও গৃহ-নির্মাণ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ১২টায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢেউটিন ও গৃহ-নির্মাণ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা এস.এম মারুফ তানভীর হোসাইন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সফিউল আজম, জেলা মহিলা অধিদপ্তর’র জেলা প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, মো. শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ১শ’ ৪৫টি পরিবার ও ৫টি প্রতিষ্ঠানের মাাঝে বিনামূল্যে ২০০ বান ঢেউটিন এবং গৃহ-নির্মাণ বাবদ ৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হবে। এসময় সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু’র সভাপতিত্বে মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম মারুফ তানভীর হোসাইন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সফিউল আজম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. মফিজুর রহমান, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন, ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, আলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আব্দুর রঊফ, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আবুল কালাম, বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. মোস্তফা কামাল, ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের ও লাবসা ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম মিস্টি প্রমুখ। এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। -

আগরদাঁড়ী ইউপিতে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন
বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদে কেক কেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে এ কেক কেটে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শুভ জন্মদিন পালন হয়।
কেক কাটার অনুষ্ঠানে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন, সচিব জনাব মোঃ আলকাজ আলীসহ সকল ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ ও গ্রামপুলিশগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন বলেন, আজ ১৭ মার্চ স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, একটি ঐতিহাসিক ও অর্থবহ দিন। জাতির পিতাসহ সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ পালিত হবে। জাতির পিতার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। জাতির পিতার শুভ জন্মদিনে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার। -
সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ব্র্যাকের র্যালী ও আলোচনা সভা
“টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
মঙ্গল বার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শেষ হয়।
এসময় র্যালিতে অংগ্রহন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ুন কবির, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম শফিউল আযম, ব্র্যাকের. মো: কামরুল ইসলাম, এ এস কে আশরাফুল মাশরু, মো: হুমায়ুন কবির জাহিদা খাতুন।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে র্যালী পরবর্তী সমাবেশে তিন জন সফল ও সাহসী নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচক বৃন্দ ব্র্যাকের সফল ও সাহসী নারীদের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নানামুখী কাজের মাধ্যমে বর্তমানে নারীরা সমাজে ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। কর্মক্ষেত্র সহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীরা এই সাহসী ভূমিকাকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে নারীর জয়যাত্রাকে অব্যাহত রাখা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
আলোচক বৃন্দ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
-

সাতক্ষীরার একসময়ের দাপুটে ফুটবলার সিরাজুল হক আর নেই
সাতক্ষীরার একসময়ের দাপুটে ফুটবল খেলোয়ার এ কে এম সিরাজুল হক আর নেই। করোনা আক্রান্ত হয়ে বুধবার গভীর রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এ কে এম সিরাজুল হক সাতক্ষীরায় একজন কৃতি ফুটবলার ছিলেন। একজন ফটবলার হিসেবে জেলাব্যাপী তার পরিচিতি ছিলো। -
ঝাউডাঙ্গায় মাছের ঘের দখল করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গার হাজিপুর গ্রামের মাছের ঘের দখল করার অভিযোগে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, হাজিপুর গ্রামের এ্যাডঃ আবুল ওহাব এর পুত্র স ম এনামুল হাসান দিপু ( ৪৭) জানান হাজিপুর মৌজার জেল নং ৭০ খতিয়ান নং ডি এস ২৬৯ ডি পি ৫৫৮-৮৪১ সাবেক দাগ ৩৬৪ হাল দাগ ৫৮২ মোট জমির পরিমান ১ একর ১৮ শতক তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমার মা আনোয়ারা বেগম, রৌফন আরা বেগম, মনোয়ারা বেগম, রওশানারা বেগম এর পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত জমি হাজিপুর গ্রামের মৃত. আকবর সরদারএর পুত্র ইফতিয়ার রহমানের কাছে আনুমানিক ২০ বছর চুক্তি মাধ্যমে হারি দিয়ে আসছি, কিন্তু গত ৫ জুন সকাল ৯ টার সময় জানতে পারি হাজিপুর গ্রামের হাসনাবানু পারুল (৭০) স্বামী মাহাবুবর রহমান, শফিকুল আলম বাবলু(৪৫) পিতা মাহাবুবর রহমান, মিত ু(৪৭) স্বামী আব্দুল মজিদ, কোমরউদ্দীনের পুত্র আঃ মজিদ সহ আমাদের পৈতৃক ঘোর দখল ও ঘোরের ব্যাবহারিত ঘর ভেঙ্গে দেয়। তারা পানির মেশিন লুট করে নিয়ে যায়, এ বিষয়ে আমি সাতক্ষীরা সদর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
পক্ষান্তরে হাজিপুর গ্রামের মৃতঃ আকবর সরদারএর পুত্র ইখতিয়ার রহমান জানান, আমি আনুমানিক ২০১১ সাল থেকে এই জমি হারি নিয়ে মাছ চাষ করি প্রতি ৩ বছর অন্তর নতুন চুক্তি হয়, সে ক্ষেত্রে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমার মিয়াদ আছে, তিনি আরো বলেন ৫ জুন সকালে আমি জানতে পারি আমার মস্য ঘোরের ঘর ও পানির মেশিন লুটপাট করছে খবর পেয়ে, আমার পুত্র ইসসাইলও আমার স্ত্রী ঘটনা স্থানে গেলে শফিকুলের ক্যাডার বাহিনী সহ ৫০-৬০ জন তারা আমাদের উপর খারাপ ব্যাবহার করতে থাকে, আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকে, তারা আমার চোখের সামনে ঘরটি ভেঙ্গে দেয় এবং মেশিন তারা নিয়ে যায়। আমরা কোন প্রতিবাদ না করে জমির মালিক মেম্বর ও এলাকার লোকজনদের জানাই কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে ঝাউডাঙ্গ হাজিপুর ৩ নং ওর্য়াডের মেম্বার বিমল চন্দ্র ঘোষ জানান বাদী ও বিবাদীর সাথে আলোচনা কওে কোন সমাধানে না আসতে পেরে আইনী পদক্ষেপের পরামর্শ দেই। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই অহিদুরজ্জান জানান দু পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে, দুই পক্ষকে তাদের জমির দাখিলা সহ প্রয়োয়জনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে, কাগজপত্র জাচাই বাইজ করে আইনুগত ব্যাবস্ত গ্রহন করা হবে। -

উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ এমপি রবি’র
- জহুরুল কবীর:
উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য রাজস্ব থেকে জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবেলায় সক্ষম বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজ। গতকাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন। ‘বাজেট ২০২১-২২: উপকূলীয় সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশান নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সেমিনারে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র এমপি (খুলনা-৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, (সাতক্ষীরা-২), জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি (ভোলা-৩), নাহিম রাজ্জাক এমপি (শরীয়তপুর -৩), আশেক উল্লাহ রফিক এমপি (কক্সবাজার -২), শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (গাইবান্ধা -২), জাফর আলম এমপি (কক্সবাজার -২)। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. আইনুন নিশাত, সিপিআরডির মোঃ শামসুদ্দোহা এবং ক্লিন-খুলনার হাসান মেহেদী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।
এছাড়া প্রগতি পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের বার্তাসম্পাদক জহুরুল কবীর প্রমুখ।
সৈয়দ আমিনুল হক উল্লেখ করেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকার জীবিকার কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকির থাকা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপরেও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বাজেট বরাদ্দ গতানুতিক এবং সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত। তিনি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন: (১) বাঁধ নির্মাণের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, (২) তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকারকে বাজেটসহ দায়িত্ব দিতে হবে এবং (৩) উপকূলীয় সুরক্ষা, বিশেষত প্রাকৃতিক সুরক্ষা, উপকূলীয় মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকায়নের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যে একটি জাতীয় ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রয়োজন, যা সরকারকে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দের দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বেড়িবাঁধ উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি আমরা এই বিষয়ে একটি রোডম্যাপের জন্য কাজ করছি। এটি সত্য ডে, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যতীত উন্নত বাংলাদেশের কল্পনা করা অসম্ভব, তাই উপকূলের সমস্যাকে কোনও অঞ্চলের আলাদা কোনও সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে এটিকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
ডাঃ আইনুন নিশাত বলেন, বাজেট বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে, বাঁধ বিষয়ক পরিকল্পনায় এই পরিস্থিতি অনুপস্থিত। ‘ডেল্টা প্ল্যান’ এর আওতাধীন প্রকল্পগুলি পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের দুর্যোগ পূর্বাভাসকে বিবেচনা না করেই গ্রহণ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে সেটা জাতীয় অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ফেরত দিতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে আমরা জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিতে পারছি না। এ কারণেই কক্সবাজার জেলার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সময়োপযোগী এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করতে পানি ব্যবস্থাপনার ও পরিকল্পনার জন্য ব্যাপক আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটিই সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
আমরা এই বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জোরদার করতে উপকূলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি ‘ককাস’ গঠন করতে পারি। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন যে, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৌশল এবং পদ্ধতিকেসরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটা করা সম্ভভ হলে এটি অগ্রাধিকার পাবে। এর জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প আয় তৈরিতে সক্ষম শিক্ষা বিস্তারকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।
দুর্যোগের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে বাঁধগুলোর একটি মূল্যায়ন হতে হবে, এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনা করেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং সরকার- সকালের অংশ্রগহণের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
জিয়াউল হক মুক্তা -
সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩
সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় চা খাওয়াকে কেন্দ্র তর্ক-বিতর্কের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত নারী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাচানি এলাকার জাঙ্গালের ব্রিজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলীপুর পাচানি গ্রামের সাহেব আলী প্রতিবেশি রাজু আহমেদকে চা পান করতে বলেন। এরই মধ্যে আরেকজন এসে চা পান করেন। তার বিল দিতে অস্বীকার করেন সাহেব আলী। তার চায়ের টাকা রাজু আহমেদ পরিশোধ করেন। এসময় সাহেব আলী রাজু আহমেদকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এর জের ধরে উভয়ের মধ্যে তর্কা-তর্কি ও মৃদু সংঘর্ষ হয়। পরের দিন সাহেব আলী আরিফুল,হাবিবুর রহমান,শাহিন আলমসহ ৮/১০ দুর্বৃত্ত রাজু আহমেদের বাড়িতে লাটি-সোটা নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। তারা পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় রাজু আহমেদের মা তানজিলা বেগমকে। পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রাজু আহমেদ ও তার ভাই আলতাফ আহমেদকে। হামলার শিকার রাজু আহমেদ জানান,তার মা তানজিলা খাতুন বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। এছাড়া দুর্বৃত্তদের লাটির আঘাতে তার ভাই আলতাফ হোসেনের হাত ভেঙে গেছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

অপসারিত হলো দুই আদালতের মধ্যকার প্রাচীর
সংবাদদাতা : জজ কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার কালেক্টরেট চত্বরের আংশিক প্রাচীর অপসারিত করে রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা সদরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আযমসহ আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ প্রাচীর অপসারন করা হয়।
সোমবার দুপুর ১২টায় কালেক্টরেট চত্বরের অংশ বিশেষ অপসারন করে করিডর নির্মাণের কাজ প্রশস্ত হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম জানান, জুডিশিয়াল কোর্টে বিচার শুরু হওয়ার পর কালেক্টরেট চত্বরের জজ কোর্ট থেকে জুডিশিয়াল কোর্টে আসার জন্য প্রধান সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হতো আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি, বিচারপ্রার্থী ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের। এতে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে কালেক্টরেট চত্বরের ডবল প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন করে যাতায়াতের জন্য সেখানে করিডোর নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়ায়। সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের প্রচেষ্টায় এটির সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।
কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পর জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তিনি কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রণালয়, গণপুর্ত মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রী পরিষদে পৌঁছায়। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৫ জুন তিনি হাতে পান। ওই চিঠিতে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রাচীর অপসারনের কাজ শুরু করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আরো বলেন, করিডোর স্থাপনের ফলে জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে। তাতে যাতায়াতে সুবিধা হবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। যাহা ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে। -

সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের লকডাউন পালিত
সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনরোধে বেশ কিছু বাধা নিষেধের মধ্যে গতকাল পালিত হয়েছে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন।
সাতক্ষীরার মানুষ সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন । তবে আন্তজেলা ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি রফতানি বানিজ্য।
গত শনিবার থেকে সাতদিনের জন্য শুরু হয়েছে এ লকডাউন। লকডাউন চলাকালে সাতক্ষীরার সাথে খুলনা ও যশোরের সংযোগস্থলে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একইভাবে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ভোমরা স্থল বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের বন্দরে খোলামেলা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে বৈধ অবৈধ যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে টহলে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি সদস্যরা শনিবার কুশখালি সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে পারাপারের সময় দুই নারীকে উদ্ধার ও একজন নারী পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জনের নমুনা পরিক্ষা করা হয়েছে । তাদের মধ্যে ৫০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।