সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গত ২৪ নভেম্বর’১৮ তারিখে স্বদেশ, সাতক্ষীরার জেলা কার্যালয়ে সুনাম- সাতক্ষীরা জেলা কমিটির একটিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনাম কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ সোমনাথ ব্যানার্জী। সভাটি সঞ্চালনা করেন সুনাম কমিটির সাধারণসম্পাদক এ্যাডঃ নাজমুন নাহার ঝুমুর। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শারী সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী বিশ্নুপদ দাস, গবেষক জগদীশ দাশ। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সুনাম কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকবার কর্মী শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, কাউন্সিলর অনিমা দাশ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ- সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি আঞ্জুয়ারা বেগম, সুনাম কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষ মনোজ। অন্যান্যদেও মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অপর্ণা দাশ, জ্যোৎ¯œা দত্ত, সাংবাদিক আব্দুল আলিম, মন্টু দাশ প্রমুখ। সভায় বক্তারা সাতক্ষীরার বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক ঘটনার পর্যালোচনা করেন এবং আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘ ুসম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতকরতে সকল কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড় ামানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনাপর্যবেক্ষন করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয, যার আহবায়ক এ্যাডঃ সোমনাথ ব্যানার্জী, সদস্য যথাক্রমে শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল। এছাড়া আসন্ন ১০ ডিসেম্বও মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।
Category: সদর /পৌরসভা
-

নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের প্রতিবাদ : সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সিভিল সার্জনের বাসভনের সামনে ভবণ নির্মাণের নামে পুকুর ভরাট
সংবাদ সম্মেলন : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সিভিল সার্জনের বাসভনের সামনের পুকুরটি ভরাট করে নতুন ভবন নির্মানের পরিকল্পনা করেছে সাতক্ষীর সিভিল সার্জন। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ‘পৌরসভার ভিতরে জনস্বার্থে ব্যবহৃত বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর ভরাট করা যাবে না’ মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা থাকলেও সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তারা পুকুরটি ভরাট করার জন্য ইতিমধ্যে মাটি ফেলে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে গিয়ে পুকুর ভরাট না করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানালেও তারা অনুরোধ উপেক্ষা করে পুকুরটিতে মাটি ফেলতে থাকে।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ অবিলম্বে পুকুরের মাটি অপসারণ করে পুকুরটিকে জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য বর্তমান অবস্থা জিয়ে রাখার জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, স্বপন কুমার শীল, ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, আনোয়ার জাহিদ তপন, কল্যাণ ব্যানার্জী, হাফিজুর রহমান মাসুম, নিত্যনন্দ সরকার, রওনক বাসার প্রমুখ। বক্তারা জনস্বার্থে ব্যবহৃত ওই পুকুরটি ভরাট বন্ধ করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তারা। -
মানসিক প্রতিবন্ধী রাজু চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে আহত
গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটপাড়া স্কুল মাঠে স্থানীয় গ্রামবাসীদের আয়োজনে ঐতিয্যবাহী গাদন খেলা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবন্ধী রাজুকে বাড়ীতে সবসময় বেধে রাখা হয়। কিন্তু সেদিন গাদন খেলা দেখার জন্য ভিশন জালাতন করতে থাকে বাড়ীতে । পরবতীতে সে তার পিতার সাথে খেলা দেখতে যায়। খেলা চলাকালিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে খেলার বিরতী চলাকালিন সময়ে মোঃ আরিজুল ইসলামের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী রাজু (২২) খুশিতে হৈচৈ করতে থাকলে এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী আরশাদ আলী, তার ছেলে-সোহাগ, হজরত আলীর ছেলে মিলন, মাজেদ মেম্বারের ছেলে মিঠু তাকে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। মানসিক প্রতিবন্ধী রাজুকে মারাত্মক আহত অবস্থায় পরদিন শনিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে মানসিক হাসপাতালের বয়স্ক পুরুষ ০৩ নং ওয়ার্ডের ২৪৯ রুমে ২৫ নং বেডে ডাঃ নিলুফার আক্তার জাহান ও ডাঃ শাকী রায়সুল মাহমুদের চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
প্রতিবন্ধী রাজুর চাচা মোঃ আনিছুর রহমান জানান বিগত প্রায় ২ বছর আগে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের সময় মোটরসাইকেলে সাদা পোশাকের দুজন পুলিশকে উপরোক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ী দেখিয়ে দেওয়ার অপরাধে তারা রাজুকে ভিশন মারপিট করে আহত করে। তখন রাজুর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করার চিন্তাভাবনা বা উদ্যোগ নিলে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা ভূল শিকার করে গন্ডগোল মিমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু আরশাদ আলীসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মনে মনে রাগ পুষে রেখেছিল এই মারের কারনই তার প্রমান। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় তাদেরও অধিকার রয়েছে সুন্দর জীবনযাপন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহন করার। একজন প্রতিবন্ধী সে সমাজে সকলের সহানুভূতি নিয়ে বেচে থাকতে চায়। তার দরকার আদর-যন্ত ও সেবা। কিন্তু এলাকায় সে প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অবহেলিত মানসিক প্রতিবন্ধী রাজুকে মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে উপরোক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল এবং পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের কাছে দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার। -

এলাকার জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা সমাধানে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ-আসাদুজ্জামান বাবু
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেছেন, ‘আমি মনোনয়ন পেলে জনগণের কল্যাণে আরও কাজ করতে পারবো। এলাকার জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা সমাধানে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বুধবার সাতক্ষীরা শহরে নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শেষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে গণসংযোগে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এ গণসংযোগে তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়নি এমন কোন খাত নেই। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার কোন বিকল্প নেই। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হবে।’
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রায় পাঁচ হাজার মোটরসাইকেল। কয়েক ঘন্টা পর শোভাযাত্রাটি আবারও সরকারি কলেজ মাঠে এসে সমাবেত হয়।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুস সেলিম, জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, ফিরোজ হোসেন, ফারাহ দীবা খান সাথী, কৃষক লীগ নেতা মনজুর হোসেন প্রমুখ।
-
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন
মশাল ডেস্ক: তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ বঞ্চিত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন পালন করেছে শিক্ষকরা।

মানববন্ধনরত শিক্ষকরা-দক্ষিণের মশাল সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আ.জা.ম, নাসির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন কুমার দাশ, শিক্ষক এম মুনছুর আলী, নজরুল ইসলাম, সাগরিকা দাশ, সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সকল শর্ত পূরণ করার পরও প্রায় ৪ হাজার ১৫৯ টি বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। অতিদ্রুত এসব বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হোক।
গত ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে এর যথাযথ বিচার করতে হবে। হামলার সথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এবং গ্রেফতারকৃত ৫ জন শিক্ষক নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
-
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এসময় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ৭ জন, শ্যামনগর থানার ৯ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -

বকচরা মাদ্রাসার ৯ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের বকচরা মাদ্রাসার নয়জন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি মাদ্রাসায় তারা গোপন মিটিং করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে তাদের আটক করা হয়।সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম জানান, জামায়াত সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকুরি করেন। তারা বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাদের আটক করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জামায়াতের দুই নেতার নাম জানা গেছে। এরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর পশ্চিম জামায়াতের সেক্রেটারি মওলানা শাহাদাত হোসেন ও আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মওলানা আবদুস সামাদ। আটককৃত অন্য শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার, হাফিজুর রহমান, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল হক, মোজাফফর হোসেন, আজম ফারুক ও আবদুল হামিদ। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।মাদ্রাসার সুপার মো. রমজান আলি জানান, তিনি গত ১ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউ জামায়াত করেন কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন। তিনি জানান আটকের সময় সবাই ক্লাসরুমে ক্লাস নিচ্ছিলেন। তবে এ ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন।পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম আরও জানান, যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
জেলার ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরাতে পৌছে তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব নাম্বার তদন্ত শুরু করছেন।
যাদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত হচ্ছে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তিন সদস্যের ওই তদন্ত টিমে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক গাজী মনিরুদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দীন এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এম ডি বাশিরুল আলম।
এই তদন্ত টিম প্রথম দিনে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায় তদন্ত করেন। ৩৯ জনের তালিকার মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায়। বাকীদের অন্যান্য ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার তারা ন্যাশনাল এবং সিটি ব্যাংকে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।
তাদের একাউন্টে কি ধরনের লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা কোথা থেকে একাউন্টে জমা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। খুঁজা হচ্ছে তাদের লেনদেনের প্রকৃত উৎস। তালিকাভূক্তদের বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডির টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৩৯ জনের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তাদের অনেকেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অতি অল্প দিনেই বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এদের অনেকেই বর্তমানে বৈধ ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকার হুন্ডি, চোরাচালানী, স্বর্ণ পাচার, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অবৈধ এসব টাকার উৎস খুঁজতে এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানাগেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকেরই রয়েছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্সের দোকান। যারা জুয়েলারী ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানী ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া রয়েছে ভোমরার একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী, কয়েক জন গরু ব্যবসায়ী, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য। এদের মধ্যে কেউ-কেউ রয়েছেন হুন্ডি, অস্ত্র, মাদক,স্বর্ণসহ বিভিন্ন চোরাচালানীর সাথে জড়িত।
যেসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা শহরের খান মার্কেটের অংকন জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গৌর দত্ত, অমিত জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী জয়দেব দত্ত, তালার কুমিরার আদিত্য মজুমদার, ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আশুতোষ দে, আলিপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, জনপ্রিয় জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সুমন কর্মকার ও বাবু কর্মকার, শ্যামনগরের নকীপুরের বিশ্বজিৎ মন্ডল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, শ্রী জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দীন বন্ধু মিত্র, ঝাউডাঙ্গার এম ভি জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মুকুন্দ ভারতী, ঝাউডাঙ্গার সাগর জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রবিন্দ্র নাথ দে, আশাশুনির নিউ দে জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দেব কুমার দে, কলারোয়ার সন্ধ্যা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হরেন্দ্র নাথ রায়, আধুনিক জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র দে, তালার দীপা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গনেশ চন্দ্র শীল, তালার নিউ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বাসুদেব দত্ত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম, পদ্মশাখরা এলাকার মো. লিয়াকত হোসেন, একই উপজেলার ঘোনার মো. হাবিবুর রহমান, কলারোয়ার বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজী, কলারোয়ার চন্দ্রনপুরের গরু ব্যবসায়ী নাসির, একই উপজেলার কাকডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী ইয়ার আলী মেম্বর, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শহরের রয়েল স্যানেটারীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম, ভোমরার এ.এস ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম, বাঁকালের ফিরোজ ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন, বাঁকালের কে হাসান ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী খালিদ কামাল, ভোমরার মামা-ভাগ্নে ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী আজহারুল ইসলাম, মেসার্স কাজী ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, মেসার্স সুলতান ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসরাইল গাজী, মেসার্স সাব্বির ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাহানুর ইসলাম শাহিন, মেসার্স নাজিম ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী গোলাম ফারুক বাবু (দেবহাটার পারুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ), মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আবু মুসা এবং মেসার্স রোহিত ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাম প্রসাদ প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, গত সপ্তাহে ৩৯ জনের এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়। এসব ব্যসায়ীদের ব্যাংক লেনদেন (ব্যাংক একাউন্ট ওপেন থেকে আজ পর্যন্ত ) অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে সূত্র জানায়।
এসব ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোন সময় বাংলাদেশের ব্যাংকের তদন্ত টিম সরেজমিন এসে তালিকাভূক্তদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম সাতক্ষীরা পৌছে গেছে। তদন্ত টিম সোমবার সকাল থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে তদন্তকারী ওই টিমের সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গত সপ্তাহে ৩৯ জন ব্যবসায়ীর এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানোর পর ব্যাংক গুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।
সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) ছবিউল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ইসলামী ব্যাংকে গিয়েছিলেন। তারা তাদের তালিকা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার যারা গ্রাহক রয়েছেন তাদের হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে হুন্ডির টাকা পাচারকারীদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর নাম দেয়া হয়েছিল। -
হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ২০ ঘন্টা পর মুক্তি!
নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৭ বছর আগে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়েও হাত ফসকে বেরিয়ে গেলো। পুলিশ বলেছে ‘তাকে ভুল করে ধরা হয়েছিল । তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি’ । এই দোহাই দিয়ে সদর থানা থেকে জামালউদ্দিন নামের ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয় আজ মঙ্গলবার ।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান ২০০১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে তার সহোদর ভাই মাহবুবার রহমানকে সন্ত্রাসীরা তলুইগাছার খড় বিলের ঘেরের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পানিতে চুবিয়ে রাখে। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন ( সেশন কেস ৭৪/২০০৪ ও জিআর কেস ৫৪৯/২০০১)। এ মামলার আসামি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পাচু গাজির ছেলে মো. জামালসহ ১১ জন ।
তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন , পাঁচজন জেল খেটে জামিনে রয়েছেন এবং চারজন পলাতক । জামালউদ্দিন পলাতকদের একজন। জামাল ঘটনার পর থেকে কখনও ভারতে , কখনও অন্য কোনো এলাকায় পালিয়ে থাকতো। সম্প্রতি সে তার দ্বিতীয় বাড়ি সদর উপজেলার তলুইগাছায় এলে পুলিশ খবর পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন প্রায় ২০ ঘন্টা থানা হাজতে আটক থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ এ ব্যাপারে অনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেন করেছেন বাঁশদহা ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ ও কুখ্যাত চোরাচালানি বিপুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানার এসআই জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘ জামালউদ্দিনকে আমরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ধরেছিলাম। পরে থানায় সার্চিং দিয়ে তার নামে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।
তবে মামলার বাদি অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান তিনি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পুলিশের কাছে দিয়েছেন। এমনকি একজনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর কপিও রয়েছে পুলিশের কাছে। তারপরও তাকে ছেড়ে দেওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি আদালতের বিচারকের দৃষ্টিতে আনবেন বলে জানান।গ্রামবাসী জানান জামালউদ্দিন কয়েকটি খুন , ডাকাতি, ছিনতাই চোরাচালান মামলার নাসামি। তার সন্ত্রাসী দাপটে আমরা টিকতে পারছি না। সে ছাড়া পেয়ে এখন আরও কি ঘটায় সেটাই দেখার বিষয়।
-

যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপন
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং মর্যাদায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথী জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রা, যাত্রাপালা ও আলোচনা সভা তার মধ্য অন্যতম।

রবিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ জেলা মন্দির প্রাঙ্গনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ শ্রীকৃষ্ণ বিশৃঙ্খল ও অবক্ষয়ীত মূল্যবোধের সময়ে পৃথিবীতে মানব প্রেমের অমিত বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সৃষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাই শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।’

আলোচনা সভায় বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ^নাথ ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎস্না আরা প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে পুরাতন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ফিতা কেটে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। শোভা যাত্রাটি শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাটিয়া সদর সার্বজনীন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন জন্মাষ্টমী পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে। -

প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি : গ্রেফতার-১
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গৃহবধূ ও তার স্বামী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সুচতুর ওই গৃহবধূ জাহানারা খাতুন পালিয়ে গেছে।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম মোড়ল (৪৫)। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের ইন্তাজ আলী মোড়লের ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার যুবক গাউসুল আযম সাকিলের সাথে পূর্ব পরিকল্পনা করে মোবাইলে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কেশবপুরের কাথন্ডা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী জাহানারা খাতুন।মোবাইলে প্রেমের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ গত রোববার কুরবানীর মাংশ খাওয়ার জন্য দাওয়াত করেন যুবক সাকিলকে। সাকিল যথারিতি সেখানে দাওয়াত খেতে যায়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী দু জন মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে তার (সাকিলের) মোবাইল থেকে ফোন করে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।বিষয়টি সাথে সাথেই সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন সাকিলের বাবা সিরাজুল ইসলাম । এরপর পুলিশ কৌশলে সাকিলেরর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর সাথে মোবাইলে কথা বলে দাবীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নাম্বার চান। পুলিশ প্রথমে নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। এরপর সাদা পোশাকে কেশবপুর পুলিশের সহায়তায় ওই বিকাশ নাম্বারটির খঁজে সেখানে ওৎ পেতে থাকেন। বিকাশ কাউন্টার থেকে টাকা নেয়ার সময় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী সিরাজুলকে আটক করেন। কিন্তু তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন পালিয়ে যায়।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় যুবক সাকিলের বাবা বাদি হয়ে আটক সিরাজুল ও তার স্ত্রী জাহানারার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। -
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জায়ামায়ত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ আটক-৫৪
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ ৫৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে আজ (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।জেলা পুলিশের বিশেষ এ অভিযান থেকে ৭০৫ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ বোতল ফেনসিডিল এবং ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে পাঁচটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানায় অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে উপজেলা যুবদলের সভপতিসহ ৬ জন, তালা থানা থেকে ৮ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকার মাদক ও নাশকতার সাথে জড়িত এমন ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিতি অনুসরণ করছে।’ -

টানা ৫ দিন পর ফের ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবারও শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে পণ্য বাহী ভারতীয় ট্রাক।
ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে গত ২১ আগষ্ট থেকে ২৫ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৫দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।’
ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারি কমিশনার সাগর সেন জানান, টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবারও যথারীতি শুরু হয়েছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, গত ৫ দিন আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
-

ভিজিএফের ১৩ বস্তা চালসহ সাতক্ষীরার রেজাউল মেম্বর আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ১৩ বস্তা ভিজিএফ কার্ডের চালসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাল্ল্যে গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃত ইউপি সদস্যের নাম রেজাউল ইসলাম (৫২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার পিতার নাম মৃত ইমান আলী।
প্রত্যক্ষদর্শী শাল্যে পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলাম, আলাল হোসেন, আরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন , রুস্তুম আলী, ইমমাইল হোসেন ও ফয়সাল আহম্মেদ সহ কয়েকজন জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্রদের মাঝে পরিবার পিছু ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২০ কেজি করে চাল বিতরনের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ি ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে চাল বিতরনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওনের বাবা ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুনের স্বামী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলাম ভিজিএফ কার্ডের চাল যথাযথভাবে বিতরন না করে আত্মসাৎ করেন। এর একাংশ তিনি স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। কিছু চাল বিক্রির জন্য নিজের কাছের লোকদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।
তারা আরো জানান, স্থানীয় সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছের লোক বলে পরিচিত রেজাউল ইসলামের বাড়িতে ভিজিএফ কার্ডের চাল মজুত রয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রেজাউল কয়েক বস্তা চাল পাশের কয়েকটি বাড়িতে সরিয়ে ফেলে নিজে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার মধ্যে আত্মগোপন করেন।
পুলিশ প্রথমে রেজাউলের স্ত্রী তাহমিনা ও ছেলে ফজলে রাব্বি শাওনের উপস্থিতিতে তাদের বাড়ির রান্না ঘরের ট্রাঙ্ক থেকে তিন বস্তা চাল, ইউপি সদস্য ও যমোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজের সাংবাদিক পরিচয়দানকারি রেজাউলের চাচা মাওলানা গোলাম কাদেরের বাড়ি থেকে এক বস্তা, মতিয়ার রহমানের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, খোদাবক্সের বাড়ি থেকে এক বস্তা, অঞ্জনা রানী সরকারের বাড়ি থেকে তিন বস্তা, সুনীল দাসের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, কানা বিশ্বনাথ দাসের বাড়ি থেকে এক বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবে সুনীল দাস আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে দু’ বস্তা ও কানা বিশ্বনাথ দাস ৯০০ টাকার বিনিময়ে এক বস্তা চাল ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানানোয় তিনি ওই টাকা সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানকে বুধবার সকালে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। চাল উদ্ধার হলেও পালিয়ে থাকা রেজাউল ইসলামকে ধরতে উপপরিদর্শক প্রদীপ সানার নেতৃত্বে পুলিশ বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালায়। রাত ৮টার দিকে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার ভিতর থেকে তাকে টিনে হিচড়ে বের করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী তাহমিন কে একাধিক জনপ্রতিনিধির কাছে জোরে জোরে মোবাইল করতে দেখা যায়। কিন্তু চুরির দায় ঘাড়ে পড়া কোন আওয়ামী লীগ নেতা নেত্রীর পক্ষে কোন জনপ্রতিনিধিকেই সাড়া দিতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে যে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সময় দেন তিনিই তার আহবানে সাড়া না দেওয়ায় হতাশ হন তাহমিনা। পুলিশ যখন স্বামী রেজাউলকে গাড়িতে তুলছিল তখন তাহমিনাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। লজ্জায় মুখ ঢাকছিলেন রেজাউল। কয়েক’শ মানুষের মাঝে এমন দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
তবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাসানো হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামসহ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৮৭ কেজি ১২০ গ্রাম চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ইউপি সদস্যকে। চালসহ ওই ইউপি সদস্যকে থানায় আনা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বা ইউপি সচীব আমিনুর রহমান বা চৌকিদার আফছার আলী বাদি হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন। তাকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। -

বড়বাজার থেকে ৮’শ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যাবসায়ী আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার রাতে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার পদ্মা ফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আরিফুল ইসলাম চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালি থানার পশ্চিম বাঁশখালা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান জানান, চট্রগ্রাম থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান সাতক্ষীরা শহরে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল সুলতানপুর বড়বাজারের মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে পদ্মা ফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ী আরিফের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দেয়া হয়েছে।
-
মালয়েশিয়া থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন সাতক্ষীরার নির্মাণ শ্রমিক লুৎফর
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ১২ বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন সাতক্ষীরার নির্মাণ শ্রমিক লুৎফর রহমান। মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করে পরিবারের ভাগ্যের চাকাও ঘুরিয়েছেন তিনি। কিন্তু এতো কষ্টে ভ্যাগ্যের চাকা ঘুরিয়েও তিনি নিজেই সেই সুখ উপভোগ করতে পারলেন না। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে অবশেষে তিনি বাড়ি ফিরলেন পরিবারের জন্য এক রাশ দুর্ভাগ্য নিয়ে।শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার গড়েরকান্দায় বরফ আচ্ছাদিত কফিনে পৌছায় নির্মাণ শ্রমিক লুৎফর রহমানের মৃত দেহ। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার স্ত্রী, স্বজন, পরিবার-পরিজনসহ গ্রামবাসীারা। আজ মৃতদেহ দেখার পর সবাই স্তব্ধ। সবাই অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে।
গত ১১ আগস্ট মালয়েশিয়ার কর্মস্থলে ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন লুৎফর রহমান। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তিনি জীবন যুদ্ধে হেরে যান। এ ঘটনার পর তার সুখের সংসারে নেমে এসেছে দুঃসহ বেদনা।শনিবার বাদ আছর তার জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। -
চলে গেলেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী
মশাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। বাদ যোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
১৯৫০ সালের ৩০ মে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে জন্ম নেয়া বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মুন্সেফ হিসেবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সাব জজ, ডেপুটি সেক্রেটারি, হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার ছিলেন।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট নিয়োগ লাভ করেন তিনি। ২০১৭ সালের ২৯ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহন করেন।
বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীকে দাফন করা হবে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে।
-
সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) ঈদ সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে একটি সমাবেশের আয়োজন করে প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতি। সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, জাতীয় অন্ধ সংস্থার সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী সদস্য রেহেনা পারভীন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের প্রতি খুব আন্তরিক। প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসিক ৭শ টাকা করে সম্মানি ভাতা দিচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই অল্প টাকায় সংসার পরিচালনা করা অসম্ভব। এজন্য মাসিক সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হোক।’এ কর্মসূচির আওতায় পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির পক্ষে জেলায় মোট ৪শ জন প্রতিবন্ধীকে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সেমাই, চিনি ও সোয়াবিন তেল তথা ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
