Category: সংস্কৃতি

  • আজ লক্ষীপূজা

    আজ লক্ষীপূজা

    এ পূজা কোজাগরী লক্ষীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরী শব্দটি এসেছে কো জাগর্তী’ থেকে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস কোজাগরী পূর্ণিমার দিন দেবী নিশীথ রাতে প্রতিটি মানুষের গৃহে বলে থাকেন- কে আছো জেগে?

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। লক্ষী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। বাঙালি বিশ্বাসে লক্ষীদেবী দ্বিভুজা ও তার বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার।

    তবে বাংলার বাইরে লক্ষীর চুর্ভুজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রাতটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে লক্ষীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন।

    আজ সারা দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে সকালে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হবে লক্ষীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে।

    রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষীবাজার, রাধামাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষীপূজার বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

  • আমজাদ, আমন, আয়ানের সরোদে দুই প্রজন্মের বিজয়া নিবেদন

    আমজাদ, আমন, আয়ানের সরোদে দুই প্রজন্মের বিজয়া নিবেদন

    স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

    সুরের আলাপে ভরে যাচ্ছে নয়াদিল্লির সাধনা এনক্লেভ। শিষ্যদের পাশে বসিয়ে আলোকবৃত্তে টেনে আনছেন ওস্তাদ আমজাদ আলি খান। পুত্র আমন আর আয়ানকে রাগ ‘নারায়ণী’-র তালিম দিচ্ছেন ওস্তাদজি। চলছে লকডাউন। বঙ্গাশ পরিবার গৃহবন্দি।

    কথা বলতে গিয়ে আমন আলি বঙ্গাশ লকডাউনে এই বিশেষ তালিমের কথাই বলছিলেন। তাঁর কাছে লকডাউন হল শিক্ষার এবং সংযমের কাল। আমনের কথায়, “গত ১০ বছরে আব্বার কাছ থেকে যা শিখতে পারিনি, এই লকডাউনে তা শিখলাম। হুসেনি কানাড়া, দেব গান্ধার, জয়ন্ত মল্লার যে কী আগে জানতাম না। আব্বা হাতে ধরে শেখালেন।”

    লকডাউনে পরিবারে সঙ্গীতচর্চার এক অন্য অভিজ্ঞান মেলে ধরলেন আমজাদ। বললেন, “ আয়ানের যমজ ছেলে আবির আলি আর জোহান আলি আমার জন্মদিনে প্রথম ভিডিয়ো করে তিলোককামোদ পাঠিয়েছে। লকডাউন আমায় সেরা জন্মদিন উপহার দিল।”

    যা কিছু নতুন, যা কিছু প্রথম, তার সমস্তই যন্ত্রে বাজিয়ে তোলে এই পরিবার। আমনের জন্মের খুশিতে বাবা আমজাদ সরোদ বাজিয়েছিলেন। আয়ানের জন্মের সময়েও সেই রেওয়াজের ব্যাতিক্রম হয়নি। সেই ধারাই সুর হয়ে এসেছে আয়ানের যমজ সন্তানের মধ্যে। বঙ্গাশ ঘরানার প্রবীণ উত্তারধিকারী বললেন, “এই লকডাউনে আমার দুই নাতির স্কুল বন্ধ। মা নিমা শর্মার সঙ্গে ওরা আমাদের বাড়িতে চলে আসত। কখনও আমন ওদের শেখাচ্ছে, কখনও আমি, কখনও ওর বাবা। তিন গুরুর কাছে ওরা তালিম নিয়েছে।”

    সুরে কথা বলে এই পরিবার। সকালের চায়ের টেবিলে তাঁদের ‘আব্বা’ হয়তো সুরে গুনগুনিয়ে উঠলেন আর ছেলে বা নাতিদের জবাব এল স্বরের মাধ্যমে। পারিবারিক সেই ছন্দ ফিরিয়ে দিয়েছে করোনাকালের লকডাউন।

    আমন বাবা-মায়ের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকলেও আয়ান পরিবার নিয়ে কাছেই অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। লকডাউনে দুই বাড়ির মেলবন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে। “আমি, আব্বা, আমন একসঙ্গে শুধু রেওয়াজে বসেছি, তা নয়। জীবনের অনেক বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার সময় পেয়েছি”, বলছিলেন আয়ান।

    তবে অন্য সকলের মতো লকডাউন থামিয়েও দিয়েছে এই পরিবারকে। খান প়ঞ্চাশেক ৫০ কনসার্ট বাতিল করতে হয়েছে। আয়ানের কথায়, “আমার তো মনেই পড়ে না টানা দু’ঘন্টা আমার দুই ছেলেকে লকডাউনের আগে কোনওদিন তালিম দিতে পেরেছি! সারাক্ষণ তো অনুষ্ঠানের জন্য ট্রাভেল করে চলেছি। ছুটে চলেছি। এখন আমার ৮ বছরের ছেলেরা যখন জুম ক্লাস করে, তখন আমিই ওদের সাহায্য করতে পারছি! জীবনের এই সময়টা কখনও ভুলব না।”

    পরিবারের সঙ্গে থাকতে থাকতে, ভাইয়ের সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে আমন নিজস্ব পরিবারের কথাও ভাবতে শুরু করেছেন। বলছিলেন, “এই লকডাউনে পরিবার কী, সেটা বুঝেছি। ইচ্ছে করছে নিজের পরিবার হোক। সন্তান থাকুক। খুব শিগগিরি হয়তো আপনারা সুখবর পাবেন।”

    গুরু না বাবা কাকে কাছ থেকে দেখলেন?

    ছোটবেলায় ওস্তাদ আমজাদ আলি খান নয়, আয়ান তাঁর ‘আব্বা’-কেই পেয়েছেন। বড় হয়ে যিনি আবার অনেক বেশি ‘গুরু’ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, আমনের কাছে তাঁর বাবা কখনও ‘গুরু’। কখনও ‘আব্বা’। বলছিলেন, “একদিন সন্ধ্যাবেলা কথা হচ্ছিল। আব্বা বুঝিয়ে দিলেন, এখন এত লোক সঙ্গীতের মধ্যে আছে। কেউ তবলা বাজাচ্ছে। কেউ গাইছে। কে কার চেয়ে ভাল, সেটা বড় কথা নয়। সঙ্গীতের কোনও শেষ হয় না। তাই রেওয়াজে প্রতিযোগিতা নয়। সহযোগী হয়ে ওঠা উচিত।”

    লকডাউনে গৃহবন্দি আমজাদ যেন ফিরে দেখছেন একুশ শতককে। দেশে-দেশে নিরাপত্তার আশঙ্কা, ধর্মান্ধতা বিষণ্ণ করেছে তাঁকে। বলছিলেন, “মানুষ হিংস্র জন্তুর চেয়েও এখন ভয়ঙ্কর। সহনশীলতা আর স্থিতি যাদের মধ্যে থাকবে, তারাই লকডাউন-পরবর্তী পৃথিবীতে নিজেদের জায়গা করে নেবে বলে আমার বিশ্বাস।”

    পাশাপাশি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও গতে-বাঁধা একঘেয়েমি না-পসন্দ চিরনবীন এই শিল্পীর। তাঁর কথায়, ‘‘পরম্পরা আর মৌলিকতায় বিরোধ নেই। উপস্থাপনার ব্যাকরণ ছাপিয়ে সঙ্গীত রচনার অভিনবত্বই আসল জিনিয়াসের স্বাক্ষর।” এই লকডাউনেও তিনি তৈরি করেছেন গিটারিস্ট শ্যারন ইসবিনের সঙ্গে শান্তির সঙ্গীত। তিনি বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তি প্রয়োজন। কিন্তু এই একুশ শতকেও রাজনীতি ধর্মনির্ভর এবং রাজনীতিকরা ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। শ্যারনের সঙ্গে সাত সুর নিয়েই কাজ করেছেন তিনি। সেই সাত সুর, যা ভাষা এবং ধর্মকে ছাপিয়ে মানুষের জন্য থেরাপির কাজ করে।

    ওস্তাদজি চিন্তিত দেশের অর্থনীতি নিয়ে। করোনা থাবা বসিয়েছে বিশ্বজুড়ে। কথা প্রসঙ্গে বললেন, লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন সিংহভাগ পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ না থাকায় হাতে নেই নগদ টাকা। অন্যদিকে, মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রিও থমকে আছে। অনলাইন ক্লাস আর কনসার্টকে আপাতত ইন্ডাস্ট্রি সচল রাখার পথ হিসেবে মনে করলেও বিনা পারিশ্রমিকে অনলাইন কনসার্টের ঘোর বিরোধী এই শিল্পী। একই সুর তাঁর দুই পুত্রের। আমন যেমন বললেন, “রোজ ফেসবুক লাইভ করে কী হবে বলুন তো? অনলাইন ক্লাস ঠিক আছে। কিন্তু একজন শিল্পী বিনা পারিশ্রমিকে গান গাওয়া শুরু করলে তিনি তো অন্য শিল্পীদের পরোক্ষ ভাবে ক্ষতি করছেন! সঙ্গীতকে এ ভাবে মূল্যহীন করার অধিকার কারও নেই।”

    সঙ্গীতজগৎ নিয়ে চিন্তা থাকলেও ‘কলকাতা’ শব্দেই উচ্ছ্বসিত বঙ্গাশ পরিবার। যেন তাঁদের স্পন্দনের সিংহভাগ রাখা আছে এই শহরেই। কলকাতায় (১২ বছরে ওস্তাদজি আর ১৩ বছর বয়সে আমন) সরোদ বাজিয়েই তাঁদের মঞ্চে হাতেখড়ি। মা শুভলক্ষ্মী ভরতনাট্যমের শিল্পী। অসমের মানুষ। আয়ান বলছিলেন, “অহমিয়া আর বাংলা ভাষা তো কাছাকাছি। তাই আমরা সকলেই বাংলা বুঝি। বলতেও পারি।” শুধু ভাষাই নয়, আয়ান জানাচ্ছেন, তাঁদের বাড়িতে প্রায়শই বাঙালি রান্না হয়। মায়ের হাতের কষা মাংসের নাকি কোনও জবাব নেই!

    কলামন্দির বা রবীন্দ্রসদনে বাজানো হচ্ছে না বহুদিন। যা নিয়ে বেশ মনখারাপ সপুত্র ওস্তাদজির। কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময় বাংলার মানুষের কথা ভেবেই তাঁরা ডিজিটাল উপহারের কথা ভেবেছেন। তাঁদের বিজয়ার নিবেদনে রাগ ‘দুর্গা’, রাগ ‘সরস্বতী’ এবং বাছাই রবীন্দ্রসঙ্গীত দশমীকে ভরিয়ে তুলবে।

    সোমবার, বিজয়া নিশিতে রাত ৮টায় শুধু আনন্দবাজার ডিজিটালের মঞ্চে বেজে উঠবে দুই প্রজন্মের সরোদে শারদ উপহার।

  • বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠিত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ৩ আগস্ট সকাল দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কবি পল্টু বাসারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মুক্তি মতিয়া খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাইফুল করিম সাবু ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।
    প্র্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বজুড়ে বাঙালির ঐক্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করাই বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের লক্ষ্য। বিশ্বে সকল বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, গান, আবৃত্তি, নাট্যচর্চাসহ সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসাই এর মূল কাজ।
    বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ভারতের সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান পরিচালক আশিস কুমার সরকার এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। বক্তারা বলেন পর্যায়ক্রমে সারাবিশ্বে, জেলা, উপজেলাতেও এর কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর এই প্রথম জেলা কমিটি হলো সাতক্ষীরাতে। এজন্য সাতক্ষীরার সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
    বিশেষ অতিথি ছাইফুল করিম সাবু বলেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমাদের সাতক্ষীরা। এ অঞ্চলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ অগ্রণি ভুমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন বলেন, সাতক্ষীরায় অনেক গুনী শিল্পী আছেন যাঁরা এই বিশ্বে মাথা উঁচু করেছেন আমাদেরএই সাতক্ষীরাকে। পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মঞ্জুরুল হক, কামরুল ইসলাম, চৈতালী মুখার্জী, আক্তারুজ্জামান কাজল, সেঁওতি, শামিমা পারভিন রতœা, জ্যামি হক, শামিম পারভেজ, নাহিদা পারভিন পান্না, জান্নাতুল প্রেমা, মাহবুব, বিশ্বজিত, আশিষ, লিটন, ঝিলিক, ঝরাসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগন। সবশেষে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা ঘোষনা করা হয়।
    পল্টু বাসারকে সভাপতি, শামিমা পারভিন রতœাকে সাধারণ সম্পাদক, শামিম পারভেজকে সাংগঠনিক সম্পাদক, জান্নাতুল প্রেমাকে অর্থ সম্পাদক ও নাহিদা পারভিন পান্নাকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখা কমিটি গঠন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কমিটির নব নির্বাচিত সহ সভাপতি কাজী মাসুদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক শামিমা পারভিন রতœা।

  • মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস আজ

    মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস আজ

    বাংলা ছায়াছবির মহানায়ক উত্তম কুমার। আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮০ সালের আজকের এ দিনে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে চির বিদায় নিয়েছিলেন এই মহানায়ক। এখনো বাংলা সিনেমার নায়কদের আইডল হয়ে আছেন তিনি। আজ তার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই মহানয়কের জন্ম ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আহিরিটোলা স্ট্রিটে। চলচ্চিত্র জীবনে অসংখ্য ছবিকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন উত্তম। সুচিত্রা সেনকে নিয়ে প্রেম-জুটি হিসেবে পর্দায় এঁকেছেন স্বর্গীয় জুটি। তাদের ৩০টা ছবির মধ্যে ২৯টাই হিট। পর্দার বাইরেও তাকে ঘিরে ছিলো নানা গুঞ্জণ। ৫৪ বছর বয়সী এ অভিনেতার মহাপ্রয়াণের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনো তাকে অতিক্রম করতে পারেননি কোন অভিনেতা। কলকাতার সাউথ সুবারবন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন উত্তম। ভর্তি হন গোয়েফা কলেজে। কলকাতার পোর্টে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। তবে তার অভিনয় পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু করে এই আজকের দিনটি পর্যন্ত মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে দর্শককে। দুই বাংলার কোটি কোটি ভক্ত তাকে খুব ভালবেসে হৃদয় আসনে স্থান দিয়েছেন। সযত্নে লালন করে চলেছেন যুগের পর যুগ ধরে। উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল ‘দৃষ্টিদান`। এর আগে উত্তম কুমার ‘মায়াডোর` ছবিতে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটি মুক্তিলাভ করেনি। ‘বসু পরিবার` ছবিতে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর ‘সাড়ে চুয়াত্তর` মুক্তি পেলে তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন৷ ‘সাড়ে চুয়াত্তর` ছবিতে তিনি প্রথম অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবথেকে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়। উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে অনেকগুলি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করেন। এগুলির মধ্যে প্রধান হল হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকা। ১৯৫৭ সালে অজয় কর নির্মিত `হারানো সুর` ছবিটি পুরো ভারতের দর্শকদের মনে নদীর ঢেউয়ের মতো দোলা দেয়৷ অর্জন করে রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অব মেরিট পুরস্কার। পাড়ার অভিনেতা থেকে অরিন্দমের নায়ক হওয়ার গল্প নিয়ে ছবিতে উত্তম অভিনয় করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে। তবে উত্তম কুমার নিজেকে সুঅভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেন `অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি` ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৬৭ সালে `অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি` ও `চিড়িয়াখানা` ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।

  • কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।

  • কামাল লোহানী আর নেই

    কামাল লোহানী আর নেই

    করোনায় আক্রান্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী আর নেই। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী এ কথা জানান।
    কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে গতকাল শুক্রবার জানান তাঁর মেয়ে ঊর্মি লোহানী। কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

    কামাল লোহানীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন সুলতানা কামাল (বামে)


    শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামাল লোহানী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।


    ঊর্মি লোহানী জানান, কামাল লোহানী অনেক দিন ধরেই ফুসফুস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। শুরুতে লকডাউনে চিকিৎসা করাতেও বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার সমস্যা ছিল। টেলিফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা বেশ গুরুতর হয়ে পড়লে গত ১৮ মে তাঁকে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে ২ জুন তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার ভর্তি করাতে হয়েছে।


    কর্মজীবনে কামাল লোহানী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু করেন। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
    উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও উপদেষ্টা কামাল লোহানী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুবার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে এবং ছায়ানটের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

  • ৪৭ বছরের সাধনার কোন মূল্য পাইনি শিল্পী ও সুরকার আজিজুর রহমান !

    ৪৭ বছরের সাধনার কোন মূল্য পাইনি শিল্পী ও সুরকার আজিজুর রহমান !

    জহুরুল কবীর :

    মোঃ আজিজুর রহমান। প্রখ্যত শিল্পী ও সুরকার। পিতা আব্দুল ওয়াহেদ ওমাতা মোহর জান বিবি।পুত্র মোঃ আজমীর হোসেন রাজা ও শরীফ হোসেন রানা ও কন্যা মোছাঃ লাবণী ইয়াসমীন।
    শিল্পী ও সুরকার আজিজুর রহমান ১৯৫২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ভারতে  উত্তর চব্বিশ পরগনার গাইঘাটা থানার বিষ্ণুপুর নাগবাড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি, মামা নাট্যশিল্পী গাজী রহিম বক্স’র বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। ভারতের চব্বিশ পারগনা জেলার বিষ্ণুপুর নাগবাড়ি প্রাইমারি স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ও বিষ্ণুপুর খাঁঠুরিয়া হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা সোনাবাড়িয়া নিজ পিতৃনিবাসে চলে আসেন এবং কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সালে কলারোয় পাইলট স্কুল থেকে প্রাইভেট ভাবে মেট্রিকুলেশন ও খুলনা সুন্দরবন কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে আইএসসি পাশ করেন। মোঃ আজিজুর রহমান প্রাইমারি শিক্ষার পাশাপাশি মামা নাট্য শিল্পী রহিম বক্স গাজীর অনুপ্রেরণায় সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী উস্তাদ বিমলইন্দু বিশ্বাস কাছে হাতেখড়ি দেন। কিংবদন্তি সংগীত সাধক শ্যামল মিত্রের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করেন।পরবর্তিতে কাওয়ালী ঠুংরী সঙ্গীতের সম্রাজ্ঞী আমেনা বেগম ও উস্তাদ ঋষিকেশ ব্যানার্জি (বেহালা বাদক) এর নিকট দীর্ঘকাল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ নেন।শিল্পী ও সুরকার মোঃ আজিজুর রহমান ১৯৭৩ সালে সাতক্ষীরা সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “শিল্পীচক্র”-এর তরুণ সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং খুলনা বেতারে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে গান গাওয়া শুরু করেন। তিঁনি ১৯৭৩ সালের ২২শে জুন খুলনা বেতারে গীতিকার সায়েলা চৌধুরীর কথায় ও নিজের করা সুরে আধুনিক বাংলা গান “ তুমি আকাশের নীল – আমি শুধুই চেয়ে থাকি” পরিবেশন করেন।১৯৯১ সালে খুলনা বেতার থেকে এনওসি নিয়ে ঢাকা বাংলাদেশ বেতারে নিয়োমিত শিল্পী হিসেবে যোগ দেন।

    শিল্পী ও সুরকার আজিজুর রহমানের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেণ জনাব, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।


    মোঃ আজিজুর রহমান ১৯৭৩ সালে সাতক্ষীরার প্রখ্যাত গীতিকার সোনালী ব্যাংকের জিএম জনাব শেখ ফজলুর রহমানের লেখা গান “আমার নিজের জ্বালানো দীপের আগুনে একটু জ্বলতে দাও”-এ  প্রথম সুরারোপ করেন এবং প্রখ্যাত শিল্পী আব্দুল জব্বার বাংলাদেশ বেতারে পরিবেশন করেন।
    এপর্যন্ত তিনি অনেক গুণীজন খ্যাতিমান গীতিকারদের গানে সুরারোপ করেছেন। তারমধ্যে শেখ ফজলুর রহমান, অচিন্ত কুমার ভৌমিক, আব্দুর রশিদ,  সাইফুল ইসলাম সরদার, মোহাঃ রেজাউল করিম, অসিত কুমার মিত্র, আ.ব.ম. সালাউদ্দীন, বাসন্তী গমেজ, সিদ্দিক আবু বক্কর, ভারতের প্রখ্যাত গীতিকার হাবিবুর রহমান, মোকাম আলী খান, প্রাণকৃষ্ণ সরকার,  প্রমুখ বিখ্যাত গীতিকারের অসংখ্য গানে তিঁনি সুরারোপ করেছেন। 
    এছাড়া তাঁন সুরারোপিত গানে ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী হৈমন্তী শুকলা, সুবীরনন্দি, বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী বাসন্তী গমেজ, তৌহিদা আক্তার রাত্রি, আব্দুল জব্বার, সাবরিনা ইয়াসমিন, সঞ্জয় কুমার প্রমুখ শিল্পীগণ সুরকার আজিজুর রহমানের সুরারোপিত গান গেয়েছেন। 
    শিল্পী ও সুরকার মোঃ আজিজুর রহমান ২০১২ সালে “সর্বভারতীয়া সঙ্গীত একাডেমি এবং সঙ্গীত সংসদ এ্যওয়ার্ড”; ২০০৭ সালে ঢাকায় মাননীয় বিচারপতি হাবিবুর রহমান এর নিকট হতে “অনিন্দ সঙ্গীত সংসদ এ্যাওয়ার্ড” লাভ করেন। এছাড়া ২০১৫ সালে সাতক্ষীরা নজরুল একাডেমি ও ২০১৭ সালে শিল্পী ঐক্য জোট শিল্পী ও সুরকার মোঃ আজিজুর রহমানকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন।তবে, একাধিকবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আবেদন করা সত্বেও তিঁনি অদ্যাবধি কোন জাতীয় পর্যায়ের সন্মান পান নি।
    সম্প্রতি সুরকার মোঃ আজিজুর রহমান মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে গীতিকার প্রাণ কৃষ্ণ সরকার রচিত  “হাজার বছরের সেরা বাঙালি” নামে দশটি গানের একটি এ্যালবাম তৈরি করেন এবং জয়টিভিতে শিল্পী সাবরিনা ইয়াসমিন প্রমা ও পূজা রানী কর্মকারের পরিবেশন করেন।
    শিল্পী ও সুরকার মোঃ আজিজুর রহমান বাবার ইন্তেকালের পর সংসারের হাল ধরেন। ১৯৭৬ সালে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে লেখাকার হিসেবে যোগদান করেন পরে ১৯৯২ সালে পদন্নোতি পেয়ে ঢাকা ৭২ গ্রিন রোডের ডিজাইনার অফিসে নকশাকার হিসেবে যোগদান করেন। গত ২০১০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।  
    সঙ্গীতজ্ঞ আজিজুর রহমানের হাতে ৬৮ বছর বয়সে বহু গুণী শিল্পী তৈরি হয়েছেন। তার হাতে গড়া শিল্পীদের মধ্যে চৈতালি মুখুর্জি, বিশ্বনাথ দেবনাথ, সায়মা সুলতানা, তৈহিদা আক্তার রাত্রি, সাবরিনা ইয়ামিন প্রমা, অম্রিতা দত্ত, আমজাদ হোসেন, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ শিল্পীরা তার হাতে গড়া একেকটা নক্ষত্র। 
    শিল্পী আজিজুর রহমান এপর্যন্ত বহু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যাদের মধ্যে “ হাজার  ভীড়ের মাঝে- কথা সাইফুল ইসলাম সরদার; আমার নিজের জ্বালানো দীপের আগুনে- কথা শেখ ফজলুর রহমান; ওগো নদী জানি তীর ভেঙ্গে তুমি তীর ভেঙ্গে  সুখ পাও- কথা অচিন্ত কুমার  ভৌমিক; সবাই বোললো মুছে ফেলো সিথীর সিদুর- কথা মোকাম আলি খান উল্লেখযোগ্য। 
    সদা হাস্যোজ্বল সদালাপী নির্লোভ এই মানুষটি যেন সভ্যতার প্রতিক। কারো কৃতকর্মকে তিনি কখনো ছোট করে দেখেন না। বরং ভূওসি প্রসংশায় তাকে আরও উদ্বুদ্ধ করেন। কেউ কোন কবিতা গান লিখলে তিঁনি স্বপ্রনদিত হয়ে মনের মাধুর্য মিশিয়ে সুর করে থাকেন এবং নিজের কণ্ঠে শ্রোতাদের শোনাতে ভালবাসেন। মিত্রতা প্রেমি মানুষটির যেন শত্রু বলতে কেউ নেই।
    ২০০৭ সালে এক বিশেষ সংকটময় মূহুর্তে  শিল্পী ও সুরকার মোঃ আজিজুর রহমান সাংস্কৃতিক জগত থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার প্রাককালে হাই কোর্টের বিচারপতি ততকালীন জেলা ও দায়রাজজ জনাব আশিষ রঞ্জন দাসের অনুপ্রেরণা সহযোগিতা ও অনুরোধে সঙ্গীত চর্চা অব্যাহত রাখেন।

  • চলছে প্রাঙ্গণেমোর’র ‘দুই বাংলার নাট্যমেলা’

    চলছে প্রাঙ্গণেমোর’র ‘দুই বাংলার নাট্যমেলা’

    শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে নাটকের দল প্রাঙ্গণেমোর’র আয়োজনে ৯ দিনের নাট্য উৎসব। শুক্রবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ‘দুই বাংলার নাট্যমেলা-২০১৯’ শিরোনামের এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।

    এটি প্রাঙ্গণেমোর’র উৎসবের ১১তম আসর। এবারের উৎসবের স্লোগান ‘আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি’। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। আয়োজক নাট্যদলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নূনা আফরোজের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ, পশ্চিমবঙ্গের নাট্যকর্মী প্রকাশ ভট্টাচার্য, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ প্রমুখ।

    উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় গৌতম সরকার নির্দেশিত কলকাতার প্রাক্সিস নাট্যদলের নাটক ‘আর্ট’। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতায় নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর শেষ হবে নয় দিনের এই নাট্যোৎসব। ১৩ ডিসেম্বর প্রদান করা হবে ‘প্রাঙ্গণেমোর নাট্যযোদ্ধা সহযোদ্ধা সম্মাননা’। ব্যতিক্রমী এ সম্মাননায় ভূষিত হবেন নাট্যজন মামুনুর রশীদের স্ত্রী গওহর আরা চৌধুরী, মঞ্চসারথি আতাউর রহমানের স্ত্রী শাহিদা রহমান এবং ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকীর স্ত্রী কৃষ্টি হেফাজ। এছাড়াও ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ‘থিয়েটারের সংকট-দর্শক না ভালো নাটক’ শিরোনামে আয়োজন করা হয়েছে মুক্ত আলোচনার। এ বিষয়ে ধারণাপত্র পাঠ করবেন হাসান শাহরিয়ার এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বপন রায়, মলয় ভৌমিক, আহমেদ ইকবাল হায়দার, রতন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আলী হায়দার, রহমান রাজু। মুক্ত আলোচনায় সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন অনন্ত হিরা।

    উৎসবে শনিবার মঞ্চস্থ হয় কলকাতার দল নান্দীপটের নাটক ‘আবৃত্ত’। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রকাশ ভট্টাচার্য। রোববার (৯ ডিসেম্বর) প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চস্থ করে অনন্ত হিরা নির্দেশিত নাটক ‘হাছনজানের রাজা’। আজ সোমবার প্রাচ্যনাট মঞ্চায়ন করবে তৌফিকুল ইসলাম ইমনের নির্দেশনায় নতুন নাটক ‘পুলসিরাত’। ১০ ডিসেম্বর কলকাতার রসিকতা মঞ্চস্থ করবে অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য নির্দেশিত ‘জ্যান্ত হ্যামলেট’। ১১ ডিসেম্বর ফয়েজ জহিরের নির্দেশনায় বিবর্তন যশোর নিয়ে আসবে নাটক ‘কৈবর্তগাথা’। একইভাবে পরদিন আরণ্যক নাট্যদল মঞ্চস্থ করবে শাহ আলম দুলালের নির্দেশনায় আলোচিত নাটক ‘ময়ূরসিংহাসন’। ১৩ ডিসেম্বর লোক নাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী) মঞ্চায়ন করবে লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত সাম্প্রতিক প্রযোজনা ‘আমরা তিনজন’।

    উৎসবের সমাপনী দিনে দিল্লির দল গ্রিনরুম থিয়েটার প্রযোজিত ও অঞ্জন কাঞ্জিলাল নির্দেশিত নাটক ‘বিসমিল্লা’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রাঙ্গণেমোর আয়োজিত এবারের ‘দুই বাংলার নাট্যমেলা ২০১৯’।

  • মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় রাখতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরার সর্বকালের সবচেয়ে বড় কুইজ প্রতিযোগিতার পর্দা নামছে ৩ নভেম্বর

    মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় রাখতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরার সর্বকালের সবচেয়ে বড় কুইজ প্রতিযোগিতার পর্দা নামছে ৩ নভেম্বর

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঘোষিত মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরার সর্বকালের সবচেয়ে বড় কুইজ প্রতিযোগিতার পর্দা নামছে ৩ নভেম্বর।

    বঙ্গবন্ধুর জীবনী, তার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনসহ এদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরার প্রয়াসে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে চেনো’ শীর্ষক এই কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ডে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে ৪৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা অংশ নেবে।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের করণীয় এবং শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক বিশে^ নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সাধারণ জ্ঞান ভিত্তিক এই কুইজ প্রতিযোগিতার বিষয়- বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা ও সাহিত্য, গণিত ও মানসিক দক্ষতা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও আইসিটি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশ ও বিশ^ পরিচয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং এসডিজি।

    প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জেলার সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার (মোট নয়টি ইউনিট) তিনটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তীর্ণ হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ফাইনালে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ নির্ধারণ করা হবে।

    ৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম আফজাল হোসেনের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরার সর্বকালের সবচেয়ে বড় এই কুইজ প্রতিযোগিতায় জেলার ৩৩৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায় থেকে ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়েছে।

  • দুর্নীতিমুক্ত ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়নে সকলকে শামিল হওয়ার আহবান

    দুর্নীতিমুক্ত ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়নে সকলকে শামিল হওয়ার আহবান


    ডেক্স রিপোট: দুর্নীতিমুক্ত ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়নে সকলকে শামিল হওয়ার আহবানের মধ্যদিয়ে শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী নাট্য উৎসব ২০১৯।
    বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এই নাট্য উৎসবের সমাপনী দিনে শত শত দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘ডালিম কুমার’।

    পরে ভারত থেকে আগত সংগীত শিল্পী অরবিন্দু ঘোষ ও তার দলের সদস্য পরিবেশন করে সংগীত ও আবৃত্তি। যা নাট্য উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করে।
    সবশেষে সপ্তাহব্যাপী নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়।
    জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্যকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, ভারতের সংগীত শিল্পী অরবিন্দু মুখার্জী প্রমুখ।
    এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট নাট্যকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন পরে এই নাট্য উৎসব সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাবে। এ জন্য এর ধারাবাহিকতা রক্ষা জরুরী।
    সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা এবং দুর্নীতিমুক্ত ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়নে এই নাট্য উৎসব সবার মাঝে নতুন চেতনার জাগরণ ঘটাবে। যা সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে সহায়ক হবে।

  • সকলের সহযোগিতা চাইলেন চঞ্চল মাহমুদ

    সকলের সহযোগিতা চাইলেন চঞ্চল মাহমুদ

    • জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদের হাত ধরে স্টার-সুপারস্টার হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বর্তমানে এই মানুষটিই চরম বিপর্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন সাহায্যের আবেদনও।

    তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আজকে আমার মনটা ভীষণ খারাপ। আমার প্রিয় ফেসবুক বন্ধুরা আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে আপনাদের লিখছি। আমার স্ত্রী রায়না মাহমুদ মিতুর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়েছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আর এজন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আর আমারও এ পর্যন্ত ৩ বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। আমারও চিকিৎসা চলছে। এই ১২ বছরে আমাদের সবকিছুই শেষ। আমাদের ২ জনের চিকিৎসা চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না। অনেক টাকাই দরকার মিতুর ক্যানসার চিকিৎসার জন্য। কয়েকদিনের মধ্যে মিতুকে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

    তাই আমার প্রিয় বন্ধুরা আমাদেরকে আর্থিকভাবে যারা সাহায্য করতে চান, তারা দয়া করে যোগাযোগ করবেন এই নম্বরে : চঞ্চল মাহমুদ : ০১৭১১৫২২১২৬। অ্যাকাউন্ট নাম : চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি, ব্যাংকের নাম : ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ধানমন্ডি শাখা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর : ২০৫-১০০-৮৯৬২।

    এতদিন মানুষকে সাহায্য করেছি। আজকে আমি নিঃস্ব বন্ধুরা। আমরা দুজনই এতিম, ভাই-বোন কেউই নাই। এছাড়া আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই মহাবিপদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমার বয়স এখন ৬৪ বছর আর মিতুর বয়স ৫০ বছর। ৪৮ বছর ফটোগ্রাফি করেছি। কত স্টার, সুপার স্টার আর মেগা স্টার তৈরি করেছি। কিন্তু রয়ে গেছি অন্তরালে। চিকিৎসা খরচ বহন করতে করতে আজকে নিঃস্ব আমি। বন্ধুরা দয়া করে সাহায্য করুন।’