Category: শ্যামনগর

  • শ্যামনগরে ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন

    শ্যামনগরে ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর উপজেলা সদরের ইমারত নির্মান শ্রমিকদের আয়োজনে ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে শ্যামনগর উপজেলা ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শ্যামনগর কাঁচা বাজার চত্ত্বরে এসএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৫৭ জন শ্রমিকের উপস্থিতিতে এমএ হাসান ও মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় দীর্ঘ সময় আলোচনার পর সকলের মতামতের ভিত্তিতে ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহবায়ক শেখ ফারুক হোসেন। যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোঃ রবিউল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কমিটির উপদেষ্টাগণ হলেন- স.ম আব্দুস সাত্তার, এসএম সাইফুল ইসলাম, শেখ আব্দুস সালাম, এ্যাড.ফয়াদ হাবিব টিটন, মনিরুজ্জামান মুকুল ও নুরুজ্জামান টুটুল। পরবর্তীতে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

  • শ্যামনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস পালিত

    শ্যামনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস পালিত


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ “স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি এর যৌথ আয়োজনে দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস- ২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড মহড়া, র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, বিভিন্ন দপ্তরের নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবন্দের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা চত্ত্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভায় হাজির হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উজ জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্র্তা তুষার মজুমদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জিএম আকবর কবীর, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সঞ্জীব মন্ডল, সিপিপি’র উপজেলা সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান মুকুল প্রমুখ। উল্লেখ্য অনুষ্ঠান শেষে সিলিন্ডারের গ্যাসে অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে তাৎক্ষনিক করনীয় বিষয় প্রদর্শন করেন অগ্নি নির্বাপক কর্তৃপক্ষ।

  • শ্যামনগর উপজেলা সমবায় সমিতিরবার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগর উপজেলা সমবায় সমিতির
    বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ “সমবায় শক্তি, সমবায়ই মুক্তি, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায় উন্নয়ন”- এ শ্লোগানে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা এর আয়োজনে শ্যামনগর উপজেলা সমবায় সমিতি লিঃ এর ৪০তম বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা অডিটরিয়ামে বার্ষিক সাধারন সভায় শ্যামনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও ইউসিসিএর সদস্য কেএম আশরাফ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উজ জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, সাবেক অধ্যক্ষ ওসমান গণি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জিএম আকবর কবীর, সাতক্ষীরা জেলা উপ-পরিদর্শক আবু আফজাল মোঃ সালেহ্, জেলা সমবায় কর্মকর্তা এফএম সেলিম আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকবৃন্দ, সমবায় সমিতির সকল কর্মচারী ও উপজেলা ব্যাপী সকল সমবায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য পর্বের পর সফল সমবায়ীদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়।

  • শ্যামনগরে নিজ অস্ত্রের গুলিতে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা

    শ্যামনগরে নিজ অস্ত্রের গুলিতে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা

    শ্যামনগরে কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে নিজের ব্যবহৃত অস্ত্রের গুলিতে ল্যান্স নায়েক মোঃ পারভেজ আলম (৩০) নামে এক বিজিবি (৮৯৩৯২) সদস্য আত্মহত্যা করেছেন।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ১৭ ব্যটালিয়ন নীলডুমুর বিজিবি ক্যাম্পে ম্যাগাজিন গার্ডে ডিউটিরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার আমকি গ্রামে মৃত হেলাল উদ্দীনের পুত্র। সহকর্মীরা গুরতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুল হুদা মৃত ঘোষণা করেন। তবে, অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ডাক্তার নিশ্চিত করেন।

    শ্যামনগর থানার ওসি নূরুল ইসলাম বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সুরতহাল রিপোর্টে জানাগেছে।

    এবিষয়ে ১৭, নীলডুমুর বিজিবি কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেঃ কর্ণেল কামরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • পেরিফেরিভুক্ত ই সম্পত্তি অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ড করিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    পেরিফেরিভুক্ত ই সম্পত্তি অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ড করিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নকিপুর বাজারের সরকারি পেরিফেরিভুক্ত ইজারা দেওয়া সম্পত্তি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে ইউনিয়ন ভূমিসহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মাহমুদপুর গ্রামের মৃত. ডা: আতাউর রহমানের পুত্র ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ৯৪নং চন্ডিপুর মৌজার এস,এ- ১নং খতিয়ানের ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪নং দাগের ১০শতক জমি। নকিপুর বাজারের দোকান শ্রেণির সরকারী পেরিফেরি ভুক্ত সম্পত্তি আমরা ৭টি নামে গত ২০০২ সন হতে চান্দিনা লাইসেন্স’র মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভুমি) শ্যামনগর অফিস হতে ইজারা নিয়ে দোকান পাট করে ভোগ দখলে আছি। সে মোতাবেক সরকারী করাদি পরিশোধ করে আসছি। গত ২০১৫ সালে শ্যামনগর সেটেলমেন্ট অফিসে উক্ত সম্পত্তি সম্পন্ন বে-আইনি ভাবে কাগজপত্র ও দখল ছাড়া রেকর্ড করার জন্য জনৈক বাসন্তি রাণী গায়েন দিং বাদী হয়ে ৫৯৮৭৪/১৫নং আপীল কেস দায়ের করলে কেসটি শুনানীতে বাদী পক্ষে যে কাগজপত্র, নামপত্তন ও দলিলপত্র উপস্থাপন তার বন্দোবস্ত, দাগ ও দখল পজেশন ৬৭৫ সাবেক দাগের অন্য হালদাগে থাকায় নামপত্তন সঠিক নয় এবং তার ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪ নং দাগে কোন দখল নাই বলে তৎকালীন দায়িত্বে থাকা শ্যামনগর সদর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিক জানান। ৮২/৯৬ নং ডিগ্রি মোতাবেক ১/১৪নং সে নামপত্তন উপস্থাপন করে তা সঠিক নয় বলে উল্লেখ করার পর আপীল অফিসার বাদী পক্ষের দাবী না মঞ্জুর করে। উক্ত আপীল কেসের রায়ের ৪ বছর পর ৫৯৮৭৪/১৫নং আপীল কেসের বাদী ৪২(ক) ধারা মোতাবেক পুনঃ বিচারের আবেদন করলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস হতে ২৪/১২/২০২০ তারিখে তদন্তপূর্বক মতামত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক শ্যামনগর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মাহাতাব উদ্দিন সরেজমিনে দখল করার জন্য অত্র অফিসের সার্ভেয়ার রঞ্জিত চন্দ্র সূত্রধর ০৪/০২/২০২১ সালে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি ৯৪নং চন্ডিপুর মৌজার সাবেক ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪নং দাগে ২০শতক জমির মধ্যে ১০শতক জমি ২৭নং বাদঘাটা মৌজাভুক্ত এবং বাকী ১০শতক জমি ৯৪নং চন্ডিপুর মৌজা ভুক্ত। উক্ত ১০ শতক জমির মধ্যে অত্র আপীল কেসের বাদী পক্ষ বাসন্তী রাণী দিং ০.০০৭৫ একর জমি ভোগ দখল করেন এবং সাবেক ১২৯ দাগের হাল ৮৭১ দাগের ০.০২৫০ একর একুনে ২ দাগে মিলে ০.৩২৫ একর জমি পাকা ঘর বাড়ী করে ভোগ দখল করেন এবং বিরোধীয় সাবেক ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪নং দাগে বাকী ০.০৯২৫ একর জমি তৃতীয় পক্ষ তথা আমরা দীর্ঘ ৩৫-৪০ বৎসর যাবৎ দোকান ঘর করিয়া ভোগ দখলে আছেন এই মর্মে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার তদন্তপূর্বক মতামত দাখিল করলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার পুনঃ বিচার আবেদন স্থগিত রাখেন। তিনি বদলীর পর বর্তমান জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার উক্ত আপীল কেসের উপর মহাপরিচালক ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৪ জুলাই‘২২ তারিখের নির্দেশ মোতাবেক প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫ এর ৪২(ক) বিধিতে ৬৭৪/২২নং মিস মামলা দায়ের করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর‘২২ তারিখে শুনানী গ্রহণ করেন। বাদী পক্ষ ২জন থাকলেও পরে বে-আইনিভাবে মলয় কুমার গাইনকে মোঃ আকবার হোসেন বাদী ভুক্ত করেন এবং ১নং বাদী বাসন্তি রাণী গাইন ৮২/৯৬ দেওয়ানী মামলার সরকার থেকে ডিক্রি মুলে ০৬শতক জমির মালিক হন কোন নামপত্তন করেনি। ২নং বাদী সুমিতা রাণী বৈদ্য ২২/৯০-৯১নং কেসে এবং ২০৮৭, ২৮/০৪/৯১নং দলিলের বন্দোবস্ত মুলে ৩৪০/৯১-৯২ মিস কেসের মাধ্যমে নিজ নামে নাম পত্তন করে ৬৭৫ দাগের ০৪ শতক জমি দাবী করেন। যে দানপত্র দলিল উপস্থাপন করিয়াছেন তা সঠিক নয়, জাল দলিল। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভূমিসহকারী কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মাদ আলীকে ম্যানেজ করে সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে সরকারী সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড নিয়েছেন এবং মলয় কুমার গায়েন কোন জমির মালিক না হয়েও জাল, জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরী করে নিজ নামে ৭৬৩নং ডিপি খতিয়ানে ০৮ শতক জমি রেকর্ড নিয়েছেন। আর এই সকল বিষয়ে শ্যামনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ আলী আর্থিকভাবে লাভের জন্য, লোভের বশঃবর্তী হয়ে ডি,সি,আরকৃত সম্পত্তি অন্য ব্যক্তির নামে রেকর্ড দিতে সহযোগিতা করেন। কিন্তু আদৌ উক্ত সম্পত্তি ময়ল কুমারের দখলে ছিলো না। বর্তমানেও নেই। তিনি সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ড বাতিল পূর্বক ডিসিআর গ্রহনকারীদের অনুকুলে ফিরিয়ে দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • সুপেয় পানির দাবিতে শ্যামনগরে ওয়াটার মার্চ ও মানববনবধন

    সুপেয় পানির দাবিতে শ্যামনগরে ওয়াটার মার্চ ও মানববনবধন

    বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সুপেয় পানির সর্বজনীন, ন্যায্য ও টেকসই প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে সরকারি বরাদ্দ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ করা, এলাকাভিত্তিক বড় বড় পুকুর, খাল, জলাশয় খনন করে তাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা, খাসজমিতে মিঠা পানির আধার তৈরি করার দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের যুব, নারী, পুরুষ, পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২২ উপলক্ষল্যে আজ মঙ্গলবার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে ‘পানি অধিকার মানবাধিকার, উপকূলীয় সকল মানুষের পানি অধিকার নিশ্চিত কর’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান, লিডার্স, একশনএইড বাংলাদেশ, উপজেলা যুব ফোরাম এবং সিডো আয়োজিত উপকূলজুড়ে পানি অধিকার প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা এই দাবি জানান।  

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, সম্পাদক জাহিদ সুমন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন জলবাযু সহনশীল ফোরামের সভাপতি ও ত্রিপাণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনঞ্জয় কুমার মিস্ত্রী, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন, সাংবাদিক মোঃ বেলাল হোসেন, সাংবাদিক মোঃ আবু সাঈদ, এ্যাকশন এইড শ্যামনগর উপজেলার ম্যানেজার মোসলেম উদ্দীন লস্কর, পিপীলিকা ইয়থটিমের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে হুমায়রা, লিডার্স এর মোঃ শওকত হোসেন, পরিতোষ কুমার বৈদ্য প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরামের সভাপতি মোঃ মোমিনুর রহমান।

    বক্তারা জানান, পানির অধিকার মানবাধিকারের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলাদেশে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পানি অধিকার সুরক্ষা করা না গেলে অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকারও তাতে ক্ষুন্ন হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সংকট নতুন নয়। সুপেয় পানির সংকট উপকূলীয় ঝুঁকিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। বিশেষ করে সমুদ্র তীরবর্তী অবস্থান, সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত এবং অপরিকল্পিত ব্যবহারসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে হুমকির সম্মুখীন উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পানি অধিকার। একদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে পানির উৎসগুলোর লবণাক্ততা, অন্যদিকে ভূ-নিম্মস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অনেক গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না।

    বক্তারা আরো বলেন, সুপেয় পানির সংকটের কারণে উপকূলের মানুষ অন্যান্য নানা সমস্যায় পড়ছেন। খাবার পানি, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। নারীদের ক্ষেত্রে খিঁচুনি, জরায়ুর সমস্যাসহ গর্ভবতী নারীদের বিবিধ ঝুঁকি বাড়ছে। দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে অতিরিক্ত শ্রমঘন্টা ব্যয় হচ্ছে, আবার নিপীড়নের শিকারও হচ্ছেন অনেকেই। পানি কিনে খেতে গিয়ে পরিবারগুলোতে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে। এবছর শীত শুরুর সাথে সাথে পানির সংকট আরো ঘনীভুত হচ্ছে। তাই উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরিভাবে কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানি সংকটকে জরুরি বিবেচনায় নিতে জন্য নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ তথা সুপেয় পানি অধিকার নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের উপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।

  • শ্যামনগর উপজেলায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ  

    শ্যামনগর উপজেলায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ  

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা বুড়িগলীনি কলবাড়ীয়া নেকজামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের আয়োজনে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যকরী কমিটির সদস্য শেখ হারন উর রশিদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন নগদ অর্থ বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িগলীনি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো নজরুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ইউনিটের যুব প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন, উপযুব প্রধান মীর মনোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা ইউনিটের কর্মকর্তা ও যুব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগলনি ইউনিয়নের ৭১টি পরিবারের মাঝে ৪ হাজার ৫শত টাকা করে মোট তিনি লক্ষ্য ১৯ হাজার ৫শ টাকা বিতরণ করা হয়েছ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের উপপরিচালক এ এস এম আকতার হোসেন।

  • আজ ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর মুক্ত দিবস

    আজ ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর মুক্ত দিবস

    অনলাইন ডেস্ক: ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর শ্যামনগরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম যুদ্ধে মুক্ত অঞ্চল হওয়ার গৌরবান্বিত হয় শ্যামনগরবাসি।

    বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলার সর্বশেষ সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগরে ১৯৭১ সালের ১৯ আগস্ট পাক বাহিনীর অর্তকিত আক্রমনে প্রাণ হারায় ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে সুবেদার ইলিয়াস, আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ। এ দিনে আরো কয়েক জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। আকষ্মিক এ আক্রমণের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি। গেরিলা যুদ্ধের কেীশল হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারা লে: মাহফুজ বেগের নেতৃত্বে শ্যামনগর সদর থেকে ক্যাম্প পিছিয়ে নেয়। আর এ দিন থেকে পাক বাহিনী স্থায়ীভাবে ঘাটি গাড়ে শ্যামনগরে। এ সময় থেকে টানা ৩ মাস পাকবাহিনী শ্যামনগর দখলে রাখে এবং এ সময়ে তাদের হাতে প্রাণ হারায় কয়েক জন নিরীহ বাঙালি।

    শ্যামনগরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আবুল হোসেন জানান, টানা তিন মাসে পাক বাহিনী শ্যামনগর সদরে ৫/৬ বার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তৎমধ্যে শ্যামনগর পাক হানাদার ঘাটিতে এক দিনে চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এমবুশ করে এবং টানা ৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাক সেনা ৪জন নিহত হয়। এ সময়ের মধ্যে শ্যামনগরের কৈখালী, ভেটখালী, হরিনগর, রামজীবনপুর, গোপালপুর পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। জানা যায় কৈখালী ও হরিনগর এলাকায় নৌকমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা বাহিনী যৌথভাবে টানা তিন ঘন্টা ভয়াবহ যুদ্ধে অংশ নেয়।

    শ্যামনগর বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ও ১৮ নভেম্বর রাতের আঁধারে শ্যামনগর ত্যাগ করে। পর পরই মুক্তিযোদ্ধারা এসে শ্যামনগর দখল নেয়। এরপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    দিবসটি উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আলোচনাসভা, দোয়া অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।

    মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল বলেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এসএম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে ফজলুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আক্তার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল । আরও জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ লাঠি খেলা, বাদ্য-বাজনার আয়োজনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

  • সুন্দরবনে জেলের মৃত্যু

    সুন্দরবনে জেলের মৃত্যু

    সুন্দরবনের দুবলারচরে শুঁটকি শুকানোর সময় সাপের কামড়ে মনিরুল গাজী (২৪) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

    রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। মনিরুল সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের মৃত মনোয়ার গাজীর ছেলে।

    প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘দুবলারচর থেকে অন্য জেলেরা মোবাইল ফোনে জানিয়েছে মনিরুল গাজী সাপের কামড়ে মারা গেছে। তার মরদেহ নিয়ে দুবলারচর থেকে তারা বাড়িতে রওনা হয়েছে। শুনেছি শুঁটকি পল্লীতে মাছ বিছানোর সময় তাকে সাপে কামড় দেয়। সোমবার রাতে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাবে।’

    আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে থেকে বিষয়টি শুনেছি। মরদেহ পৌঁছানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে।

  • Untitled post 18643

    শ্যামনগরে জলবায়ু সম্মেলনের ঝড় চায়ের কাপে: কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের আহবান

    মশাল ডেস্ক : জলবায়ু সম্মেলনের ঝড় উঠলো চায়ের কাপে। স্থানীয় প্রবীণদের অংশগ্রহণে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের একটি চায়ের দোকান পরিণত হলো একটুরো শারম-আল-শেখে।

    মিশরের শারম-আল-শেখে এবারের ২৭তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৭) নিয়ে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে যে আগ্রহ, তা থেকে বাদ যায়নি চায়ের দোকানও।

    চায়ে চুমুক দিয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু সম্মেলনের কথা কম বেশি শুনেছি। কিন্তু আমাদের দাবি আমরা আপনাদের কোন ফান্ড চাই না, আপনারা কার্বন নিঃসরণ কমান। আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন। আমাদের বাঁচতে দিন। উপস্থিত সকলেই তার সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমান।

    বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সমন্বয়ক এসএম রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় চায়ের কাপে জলবায়ু সম্মেলন শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংস্থা বারসিকের কর্মকর্তা চম্পা রানী মল্লিক, রুবিনা পারভীন ও সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্যবৃন্দ।

    সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো। ধনী দেশগুলো যদি এখন থেকেই কার্বন নিঃসরণ হ্রাস না করে, তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো। ভবিষ্যতে এমন পরিবর্তন চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

  • শ্যামনগরের মুন্ডাপাড়ায়  নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

    শ্যামনগরের মুন্ডাপাড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের মুন্ডাপাড়ায় অবস্থানরত পরিবারগুলোর জীবন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
    রোববার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিজস্ব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির এর কাছে সাতক্ষীরা মুন্ডা সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণ আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি, সাতক্ষীরা’র পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
    একই সাথে সাতক্ষীরাতে যাতে কোন ধরনের উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীরা বিশৃংখলা এবং সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য জরুরি প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করাসহ ৫ দফা দাবিতে জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ডা: সুশান্ত ঘোষ, কল্যাণ ব্যানাজি, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, এড.মুনির উদ্দীন প্রমুখ।
    এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্যই পাঠানো হবে। এছাড়া আমার দপ্তর থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
    দাবি সমুহ : সাতক্ষীরাতে যাতে কোন ধরনের উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীরা বিশৃংখলা এবং সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য জরুরি প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করা।
    ফতেপুর-চাকলার নাশকতা মামলা, ২০১৩-১৪ সালের নাশকতা মামলাসহ ঐ সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও মামালাসমূহ নিয়মিতভাবে পরিচালানা ও সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
    শ্যামনগরের ধুমঘাট এর আন্তাখালি গ্রামের চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ভুমি দস্যুদের আক্রমণে নিহত নরেন্দ্র মুন্ডার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা।
    আদিবাসীদের সম্পত্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ থাকলেও এক শ্রেণির ভূমিদস্যু কর্তৃক তঞ্চকতার মাধ্যমে বেআইনী পদ্ধতিতে রেকর্ডকৃত ও দখলকৃত সকল জমি মুন্ডাদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা ।
    আহমাদিয়া (কাদিয়ানী), শিয়া, বাহাই, ঋষি, বাগদী, ভগবানীয়াসহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আনুষ্ঠান পালনসহ সামগ্রিক নিরাপত্তা প্রদান ও ধর্মীয় সভা সমুহে উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও প্রশাসনিক তদারকি বৃদ্ধি করা।
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের মুন্ডাপাড়ায় অবস্থানরত পরিবারগুলোর জীবন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
    ১৯ আগস্ট’২২ শক্রবারের ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে যথাযত শাস্তি বিধান করা।
    সাতক্ষীরা জেলায় বসবাসরত আদিবাসীদের জমি কেন্দ্রিক সকল মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলাগুলোকে তদন্তসহ দ্রুত নিষ্পতির মাধ্যমে আদিবাসীদের ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করা।
    আদিবাসীদের যেসব জমি অবৈধ্য পন্থায় দলিল এর মাধ্যকে দখল করা হয়েছে সে সকল জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
    সরকারী খাস জমি বন্টনে আদিবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান এবং উপজেলার ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আদিবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
    ১৯৫০ (৯৭) সালের রাষ্ট্রীয় প্রজাসত্ব আইন যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদিবাসী মুন্ডাদের জমি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
    নরেন্দ্র নাথ মুন্ডা হত্যা মামলার আসামিদের রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরিহ মানুষকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরিহ মানুষকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড আব্দুল বারী, আকবর আলী, সোহরাব আলী ও আব্দুল গফ্ফার তরফদারসহ জড়িতদের গ্রেফতার এবং নিরীহ মানুষের এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী টেংরাখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর স্ত্রী সাকিরুন নেছা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, টেংরাখালী আরশাদ আমিনের মোড়ে গত ৮ জুলাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী ও বর্তমান ইউপি সদস্য আমার স্বামী আব্দুল হামিদ লাল্টু সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কাদের শেখ ও আমির হোসেন নামের দুই জন নিহত হয়। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারী বাদী হয়ে গত ৯ জুলাই শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭৩ জনকে এজহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো নিহত কাদের শেখ ও আব্দুল আজিজের মধ্যে ফ্যান মেরামতকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের উৎপত্তি। এ ঘটনাকে পুজি করে বারী তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে লাঠি, সোটা, ইট, পাটকেল নিয়ে টেংরাখালী আরশাদ আমিনের মোড়ে ওই দিন অবস্থান নেন। আমার স্বামী হামিদ লাল্টুসহ তার লোকজন পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বারী ও তার সমর্থিতরা অতর্কিত হামলা করায় আমার স্বামীসহ তার পক্ষের ৯/১০ গুরুত্বর জখম হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী জখমীদের উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ২৫/৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আমার প্রতিবেশি পঙ্গু সুবহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ সময় কাদের শেখ মাথায় সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হন। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে পদ্মা সেতু পার হওয়ার পরেই মারা গেছে বলে জানা যায়। মূলতঃ কাদের শেখ ইট ভাটার সরদার এবং বারীর ভাইও ভাটা সরদার এই দুজনের ভিতর ভাটায় লেবার নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এছাড়া কাদের শেখ জমি কিনবে বলে বারীর নিকট তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলো। এসব খবর নিহত কাদের শেখের মা, স্ত্রী, পুত্রদের দেওয়া যা সাংবাদীকদের কাছে ভিডিও চিত্র ও জবান বন্দী থেকে আমরা জানতে পেরেছি। অথচ কাদের শেখের পরিবারের লোকজন মামলার বাদী না হয়ে বারী নিজে বাদী হয়ে সকল অপরাধের দায় আব্দুল হামিদ লাল্টু ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা আলী আজগর বুলুর উপরে চাপিয়ে দিয়ে থানায় এজহার দাখিল করেন। অপরদিকে, নিহত আমির হোসেন একজন এজমা রোগী ছিলেন। মারামারিতে তার পায়ে ইট লাগলে তিনি ভয়ে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকার কারনে তার শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। এ সময় বারী ও তার লোকজন আমিরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তাকে একটি এজমার ইনজেকশন দিতে বলেন। এ সময় তাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। দুটিই মৃত্যুই রহস্য জনক। আর এ ঘটনার পর পরই বারী, রমজাননগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার ও সোহরাব হোসেন গোপন সভায় মিলিত হন। উক্ত সভায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আহতদের মধ্য থেকে ২/৩ জনকে মেরে ফেলার ছক তৈরী করা হয়। সে মোতাবেক এই দুটি হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এই ৪ জন একসাথে বার বার মিটিং করেছে যা এলাকার বহু মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে বারী মামলা করেছেন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। আর এ মামলার পর সিংহ ভাগ নিরীহ পুরুষ বাড়ী ছাড়া হওয়ার সুবাদে মহিলা ও শিশুদের উপর চরম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় এ দুটি হত্যাকান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটনের জোর দাবী জানান। একই সাথে তিনি এই হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড বারীসহ সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য গফ্ফার তরফদার ও সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবী জানান এবং বারীর দায়েরকৃত হয়রানী মামলা থেকে নিরাপরাধ মানুষদের মুক্তির জোর দাবী জানান।

  • শ্যামনগরে সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য পলিথিন পেপার বিতরণ

    শ্যামনগরে সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য পলিথিন পেপার বিতরণ


    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানি বা বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য পলিথিন পেপার বিতরণ করা হয়েছে। এসময় ২৫ টি পরিবারেদর ১২০ জন মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে তাদের মাঝে এই পলিথিন কাগজ বিতরণ করা হয়। 
    মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোলিনীর দূর্গাবাটিতে সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের উদ্যোগে ও বারসিক এর সহযোগিতায় এই পলিথিন পেপার গুলো বিতরণ করা হয়।
    শ্যামনগরের বুড়িগোলিনীর দূর্গাবাটিতে নদী ভাঙ্গনের ফলে লোকালয়ে নোনা পানি প্রবেশ করে এলাকার সকল সুপেয় পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে ২৫ টি পরিবারের ১২০ জন মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে তাদের মাঝে পলিথিন কাগজ গুলো বিতরণ করা হয়েছে।

  • সংবাদ সম্মেলন :শ্যামনগরে হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকির প্রতিবাদে এবং হত্যা মামলা গ্রহণের দাবিতে

    সংবাদ সম্মেলন :শ্যামনগরে হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকির প্রতিবাদে এবং হত্যা মামলা গ্রহণের দাবিতে


    নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের মারপিটে হত্যার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি প্রতিবাদে এবং হত্যা মামলা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভেটখালী গ্রামের অর্জুন কুমার মন্ডলের ছেলে শান্তি মন্ডল। তিনি বলেন আমাদের ভিটাবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার মৃত পরেশ কয়ালের পুত্র দেবেন্দ্র নাথ কয়াল গং এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখ সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তায় মাটি ফেলার সময় দেবেন্দ্র নাথ কয়াল, তার দুই পুত্র স্বপন কয়াল, তপন কয়াল, মৃত জগন্নাথ কয়ালের পুত্র তেজেন্দ্র নাথ কয়াল ও সুখদেব মন্ডলসহ কতিপয় ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর হামলা করে। এসময় অর্জুন মন্ডল, কাকা উপেন মন্ডল এবং বড় ভাই রবীন্দ্র নাথ মন্ডলকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এঘটনায় অর্জুন কুমার শ্যামনগর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করলে দেবেন্দ্র নাথ কয়াল এবং তার সহযোগীরা আমার পিতার কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে ছিড়ে ফেলে মারপিট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে আমার পিতার স্বাক্ষর নকল করে তড়িঘড়ি করে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে। ওই মামলার কপিতে আমার বড় ভাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আমার বড় ভাই সুস্থ ছিলেন। শুধুমাত্র আমার ভাইকে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গভীর চক্রান্ত করে দেবেন্দ্র নাথ কয়াল গং অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করিয়েছে। এছাড়া উল্টো আদালতে আমাকেসহ আমার কাকা এবং কাকাতো ভাইকে বিবাদী করে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। দেবেন্দ্র গংয়ের দায়েরকৃত মামলার আসামী আমার দুই কাকাতো ভাই ভবেশ মন্ডল সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র। সে কলেজ হোস্টেলে থাকে এবং রমেশ মন্ডল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা কলেজে থেকেও দেবেন্দ্র কয়ালের মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করায় প্রতিবেশী সুলতান গাজীর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে তারা। এছাড়া হত্যার ঘটনার ৪মাস অতিবাহিত হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট যাতে না আসে সেকারণে টাকা দিয়ে চাপিয়ে রেখেছিল বলে প্রচার দেয় দেবেন্দ্র কয়াল। তিনি আরো বলেন আমি বিষয়টি নিয়ে আদালতের শ্বরনাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে দেবেন্দ্র নাথ প্রচার দিচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হত্যা মামলা থেকে রেহায় পেয়েছি। তোর বড়ভাইয়ের মত তোকেও হত্যা করে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেবো। মামলা দায়ের করলে পরিবারসহ উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় আমার পিতা গত ৯ এপ্রিল ২২ তারিখে শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। যার নং- ৬২৭। হত্যা করা হলো আমার বড় ভাইকে আবার আমাদের আসামী করেই উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করল দেবেন্দ্র কয়াল গং। বর্তমানে তাদের হুমকিতে আমার পরিবারসহ দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি বড় ভাই হত্যাকারী দেবেন্দ্র কয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করেই উঠছে নোনা পানি, সাতক্ষীরা পাউবো নিরব ভূমিকায় 

    ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করেই উঠছে নোনা পানি, সাতক্ষীরা পাউবো নিরব ভূমিকায় 

    মোঃ আলফাত হোসেন কৈখালী প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের শৈলখালী,পরানপুর,কাটামারি,নিদয়া,নৌকাটি,  বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে ও পাইপ ঢুকিয়ে লবণ পানি উঠিয়ে নোনা পানি দিয়ে চলছে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ।

    সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বেড়িবাঁধের ১শ মিটার দূরে ঘের করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না স্থানীয়রা,এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ,প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা।

    বিশেষ করে কৈখালী ইউনিয়নে শৈলখালী,পরানপুরে তিতাকথা হলেও সত্যি এসব এলাকায় অবৈধ পাইপ শনাক্তের নির্দেশ হলেও কোনো রকম কার্যক্রম দেখা মেলেনি কালিগন্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাদের।

    বড় কোনো দুর্যোগ এলেই এ বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না, এ অবস্থার মধ্যে জেলা ও উপজেলার কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় স্থানীয় গুটি কয়েক অসাধু মানুষেরা বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে লবণ পানির চিংড়ি ঘের করছেন। শ্যামনগর পাউবো কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান আমরা কয়েকটি জায়গায় অবৈধ পাইপ অপসারণের অভিযান পরিচালনা করতে থাকি এক পর্যায়ে নানামুখী বাঁধার সম্মুখে আমরা অভিযান বিরত রাখি,এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সুবিধা অনুযায়ী তার নির্ধারিত কোন এক দিন হতে আবার উপজেলা ভুমি কমিশনার সহ উপজেলা চেয়ারম্যান এর স্বমনয়ে অভিযান শুরু করব।এস ও মাসুদ রানার বক্তব্য অনুযায়ী 

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আাতাউল হক দোলন-র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো পাইপ অপসারণ বন্ধ করতে চাইনি এভাবে যত্রতত্র পাইপ বসানোর কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে সেক্ষেত্রে আমি বলছি পাইপ আর বাক্সকল সবার পাইপ অপসারণ করা যাবেনা যেমন কিছু পাইপ কলের অনুমোদন আছে সেগুলো রাখতে হবে এবং যে জায়গাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে সে জায়গায় পাইপগুলো অপসারণ করতে হবে এবং তিনি মিঠিংয়ে আছি বলে তিনি অফিসে এসে যোগাযোগ করে কথা বলতে বলেন বলে ফোন কেটে দেন।

    শুধু কৈখালী ইউনিয়ন নয় উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন সহ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন একইভাবে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করা হয়। এতে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বাঁধ। যে কারণে দুর্যোগ আসলেই বাঁধ ভেঙে নোনা পানি ঢোকে লোকালয়ে,এছাড়াও স্থানীয় বসবাসকারী অনেকেই প্রতিবেদককে জানান,নোনা পানি আমাদের জীবনের নানা জটিলতার স্বীকার হচ্ছি,একদিকে আমাদের বসতবাড়ির আনাছে কানাছে হচ্ছে না কোনো ফল গাছ,নোনা পানির লবণাক্ততায় ফলছে না কোনো ফসল,না আছে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি,গা গোসলের এমনকি নামায পড়ার জন্য ওযু করার মত মিষ্টি পানি পর্যন্ত নেই কোনো জায়গায়,স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষের হতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,এভাবে বেঁরিবাঁধ ছিদ্র করে পানি তোলার কারণে বেশিরভাগ জায়গায় বেঁরিবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্লাবিত হয়।

     দীর্ঘ ২৫-২৭ বছর ধরে স্থানীয় গুটি কয়েক প্রভাবশালী অসাধু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য লবণ পানি ঢুকিয়ে ঘের করে আসছে,এলাকাবাসীর দাবী নোনা পানি মুক্ত করে সোনার ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

    লবণ পানি ঢুকিয়ে ঘের করার বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, কৈখালী ইউনিয়নের বেঁরিবাঁধে কিছু জায়গা আছে যেসব বাঁধ উপচে পানি ঢোকে,সেসব বাঁধের এমন নাজেহাল অবস্থা একমাত্র অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করাই অন্যতম কারণ, তবে লবণ পানিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, মজবুত বেড়িবাঁধ ও বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠানো বন্ধ হলে অবশ্যই  কৈখালী ইউনিয়নে ফসল ফলানো যাবে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার পর চিংড়ি-কাঁকড়া ঘেরের অভিঘাত থেকে বাঁধ রক্ষায় ঘের করার দূরত্ব নির্ধারণ করে দিয়ে সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে আইলা, সিডর, ফণী, বুলবুল ও আম্পানের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এসব এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভৌত ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিসহ সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।

    চিঠিতে বলা হয়, বাঁধঘেঁষে বা বাঁধের অত্যন্ত কাছে ঘের তৈরি করে স্থানীয়রা কাঁকড়া-চিংড়ি চাষ করছে। ঘের মালিকরা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র পাইপ ঢুকিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নিজস্ব সুবিধা অনুসারে গেট তৈরি করে পানি ঘেরে প্রবেশ করিয়ে থাকে।

    ফলে বাঁধগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বড় ধরনের জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করে ও ঘেরের ক্ষতি হয়।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি জেলার কালিগন্জ উপজেলা ও শ্যামনগর উপজেলার পাউবো কর্মকর্তাদের বেখেয়ালি গাফিলতির কারণে আজ ও পর্যন্ত কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি,ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের নোনা পানির নানারকম অসুবিধার অভিযোগে এবিষয়ে সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবুল খায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এবিষয়ে আমি এবং আমার অফিসের মহল হতে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ  অবৈধ ভাবে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি,কিন্তু আপনি একটা ছবি বা ভিডিও আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন,আমি কালিগন্জ উপজেলার ও শ্যামনগর দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণদের এবং প্রয়োজনীয় লোকবল পাঠাইয়া অবৈধ পাইপে পানি উঠানো এবং বেঁরিবাঁধ ছিদ্র কারীদের  আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো বলে দ্রুত ফোন কেটে দেন।

  • শ্যামনগরে বঙ্গবন্ধু টি টেন ইউনিয়ন কাপের উদ্বোধন

    শ্যামনগরে বঙ্গবন্ধু টি টেন ইউনিয়ন কাপের উদ্বোধন

    শ্যামনগর সংবাদদাতা: নকিপুর জমিদার বাড়ি মাঠে বঙ্গবন্ধু টি-টেন ইউনিয়ন কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তি আমরা বল মাদক ছেড়ে মাঠে চল’। সমাজ থেকে মাদক দূর করতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। মাদক নির্মুলে কাউকে ছাড় না দিতে প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানান। টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব এসএম সায়েদ বীন হায়দার রাজীব এর সার্বিক তত্বাবধানে এবং আহব্বায়ক জিএম আকবর কবিরের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমান, পিপি ও ৩নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. জহুরুল হায়দার বাবু, শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সাইদ উজ জামান সাইদ প্রমুখ। নকিপুর ক্রিকেট জায়ান্ট’স এর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু টি-টেন ইউনিয়ন কাপে ১২টি ইউনিয়ন থেকে মোট ১২ টি দল অংশ গ্রহন করবে। আগামীকাল ১০ই মার্চ শ্যামনগর এবং কাশিমাড়ি ইউনিয়নের উদ্বোধনী ম্যাচের মধ্য দিয়ে ব্যাট বলের লড়াই শুরু হবে। ১৪ মার্চ দিবা-রাত্রের ফাইনাল ম্যাচের মাধ্য দিয়ে এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে। টুর্নামেন্টের বিজয়ী দল ১ লক্ষ টাকা এবং রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার পাবে।

  • উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের

    উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ এমপি রবি’র

    • জহুরুল কবীর:

    উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য রাজস্ব থেকে জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবেলায় সক্ষম বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজ। গতকাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন। ‘বাজেট ২০২১-২২: উপকূলীয় সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশান নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।


    কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সেমিনারে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র এমপি (খুলনা-৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, (সাতক্ষীরা-২), জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি (ভোলা-৩), নাহিম রাজ্জাক এমপি (শরীয়তপুর -৩), আশেক উল্লাহ রফিক এমপি (কক্সবাজার -২), শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (গাইবান্ধা -২), জাফর আলম এমপি (কক্সবাজার -২)। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. আইনুন নিশাত, সিপিআরডির মোঃ শামসুদ্দোহা এবং ক্লিন-খুলনার হাসান মেহেদী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।


    এছাড়া প্রগতি পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের বার্তাসম্পাদক জহুরুল কবীর প্রমুখ।


    সৈয়দ আমিনুল হক উল্লেখ করেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকার জীবিকার কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকির থাকা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপরেও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বাজেট বরাদ্দ গতানুতিক এবং সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত। তিনি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন: (১) বাঁধ নির্মাণের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, (২) তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকারকে বাজেটসহ দায়িত্ব দিতে হবে এবং (৩) উপকূলীয় সুরক্ষা, বিশেষত প্রাকৃতিক সুরক্ষা, উপকূলীয় মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকায়নের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।


    সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যে একটি জাতীয় ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রয়োজন, যা সরকারকে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দের দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বেড়িবাঁধ উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি আমরা এই বিষয়ে একটি রোডম্যাপের জন্য কাজ করছি। এটি সত্য ডে, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যতীত উন্নত বাংলাদেশের কল্পনা করা অসম্ভব, তাই উপকূলের সমস্যাকে কোনও অঞ্চলের আলাদা কোনও সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে এটিকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।


    ডাঃ আইনুন নিশাত বলেন, বাজেট বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে, বাঁধ বিষয়ক পরিকল্পনায় এই পরিস্থিতি অনুপস্থিত। ‘ডেল্টা প্ল্যান’ এর আওতাধীন প্রকল্পগুলি পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের দুর্যোগ পূর্বাভাসকে বিবেচনা না করেই গ্রহণ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে সেটা জাতীয় অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ফেরত দিতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে আমরা জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিতে পারছি না। এ কারণেই কক্সবাজার জেলার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সময়োপযোগী এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করতে পানি ব্যবস্থাপনার ও পরিকল্পনার জন্য ব্যাপক আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটিই সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে।

    আমরা এই বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জোরদার করতে উপকূলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি ‘ককাস’ গঠন করতে পারি। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন যে, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৌশল এবং পদ্ধতিকেসরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটা করা সম্ভভ হলে এটি অগ্রাধিকার পাবে। এর জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন।


    রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প আয় তৈরিতে সক্ষম শিক্ষা বিস্তারকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।

    দুর্যোগের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে বাঁধগুলোর একটি মূল্যায়ন হতে হবে, এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনা করেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং সরকার- সকালের অংশ্রগহণের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।

    জিয়াউল হক মুক্তা
  • উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ্উপকুলের মানুষের নির্ঘুম রাত

    উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ্উপকুলের মানুষের নির্ঘুম রাত

    মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ছাপিয়ে আবারো বিস্তীর্ণ প্রতাপনগর অঞ্চল প্লাবিত হতে হয়েছে। জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছে উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা। ঘুর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী। উপকূলীর মানুষেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করছে।