Category: শ্যামনগর

  • শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন  

    শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন  

    শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জে বে-সরকারি সংস্থা খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) ১১ জুন মঙ্গলবার সকাল এগারটায়  আড়পাঙ্গাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্কুল দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটি এবং ২১ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়য়ে একটি সেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়।

    খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি), ডিজাস্টার রেজিলয়েন্ট  এডুকেশন এন্ড কমিউনিটিজ প্রকল্পের এর সহযোগিতায় এবং দাতা সংস্থা গ্লোবাল মিনিস্ট্রিজ এর অর্থায়নে সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন আড়পাঙ্গাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি অসিম কুমার জোয়ারদার, উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র জোয়ারদার এবং অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এস এম মনোয়ার হোসেন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন ম্যানেজার(স্টেপ এন্ড বিল্ডিইন প্রকল্প) মোঃ রোবায়েদ করিম, ফিল্ড সুপারভাইজার এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার আবুল হাশেম মিয়া, ও অন্যান্য মাঠ সংগঠক প্রমূখ।

    সভাপতি বলেন, “সিসিডিবি কোন নতুন নাম নয়, দীর্ঘদিন যাবত এই অঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকিপুর্ণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই স্কুল ভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যে কমিটি গঠন করা হল তা ভবিষ্যতে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি এই উদ্যোগের সাথে আছি এবং শুভকামনা জানাচ্ছি”

    ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা তাদের নিজ দায়িক্ত সতস্ফুর্তভাবে গ্রহন করেন এবং তা পালন করবে বলে অঙ্গিকার করেন।

  • শ্যামনগরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালি

    শ্যামনগরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালি

    শ্যামনগরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়| বুধবার (৫ জুন) সকালে পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ইকোম্যান প্রকল্পের আওতায় এই সাইকেল র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালির উদ্বােধন করেন ইয়ুথনেটের সেন্টাল টিমের সদস্য এসএম শাহিন আলম।
    র‌্যালিতে অংশ নেন ইয়ুথনেটের সাতক্ষীরা জেলা কো-অর্ডিনেটর ইমাম হোসেন, ইকোম্যান প্রকল্পের সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক সুমাইয়া কামাল, রুনা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক মুস্তাফিজুর রহমান, রিদয় হোসেন, বাবু প্রমুখ।
    র‌্যালিটি শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে ফিরে আসে।
    পরে দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার অ আ ক খ স্কুলে সুন্দরী, বাইন, গরান, কদবেল, পাতি লেবু, পেয়ারাসহ নানান প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়।
    এসময় সেন্ট্রাল টিমের এস এম শাহিন আলম বলেন, উপকূলীয় জনপদের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দিতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের পরিবেশ দরদী হতে হবে।
  • শ্যামনগর বিএনএফ এর সহযোগিতা: চার মুন্ডা পরিবারকে গাভী প্রদান

    শ্যামনগর বিএনএফ এর সহযোগিতা: চার মুন্ডা পরিবারকে গাভী প্রদান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : গত ৩ জুন সোমবার শ্যামনগর উপজেলা কালিঞ্চি গ্রামে আদিবাসী মুন্ডাদের মধ্যে উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রগতি’র পক্ষ থেকে মুন্ডাদের মধ্যে গাভী বিতরন করা হয়। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গাভি বিতরন করেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আরিফুজ্জামান । এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক দেশ টিভির শহীদুল্লাহ কায়সার সুমন, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, প্রগতির প্রধান নির্বাহী আশেক-ই-এলাহী ,শ্যামনগর এনজিও সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আল ইমরান, সারস এর পরিচালক হরিপদ মুন্ডা, প্রগতির সমন্বয় কারী শেখ রফিকুল ইসলাম,কর্মী মাসুম বিল্লাহ বেলাল প্রমুখ।
    ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সমন্বিত পরিবার উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় চার দরিদ্র মুন্ডা পরিবারকে এ গাভী প্রদান করা হয়। গাভী প্রাপ্ত পরিবার গুলোর পক্ষে গাভী গ্রহন করেন কবিতা মুন্ডা, দিপালী মুন্ডা, ববিতা মুন্ডা ও নিরিবালা মুন্ডা।

  • ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতচিহ্নের উপর দাঁড়িয়ে বাঁচার আকুতি উপকূলবাসীর

     ‘মিথ্যা আশ্বাস আর নয়; এবার টেকসই বাঁধ চাই, আর চাইনা ভাসতে;এবার দিন বাঁচতে, উপকূলের কান্না; শুনতে কি পান না’- এমন বিভিন্ন স্লোগান তুলে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের সহস্রাধিক তরুণ ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
    ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী পয়েন্টে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
    উপকূলবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটিতে স্থানীয় বাসিন্দা মাওঃ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- আবু তাহের, মোক্তার হোসেন, তরিকুল, স.ম ওসমান গনি সোহাগ,মাসুম বিল্লাহ, নিসাত, রায়হান প্রমূখ।
    এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিয়েল নয় প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তা ব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। শোনান নানা ধরনের মেগা প্রকল্পের গল্প। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের এই অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই।
    তাঁরা বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা বারবার নয়, একবারই মরতে চাই।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ কারণে সামান্য ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে উপকূলের মানুষ। তারা ঝড়কে ভয় পায় না, উপকূলের মানুষ ভয় পায় বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়াকে।
    উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে ২০০৯ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আইলায় এইএলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, কয়েক বছর সাগরের লোনাপানিতে বন্দী থাকতে হয় হাজার হাজার পরিবারকে। এ সময় টিকতে না পেরে শত শত মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে অন্য এলাকায় চলে গেছে।
    বক্তারা আরোও বলেন, আইলার সময়ই উপকূলীয় এলাকার ভঙ্গুর বাঁধ টেকসই করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী গাবুরায় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকায় এক যুগেও তা আর হয়নি। এ কারণে সামান্য জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে এই এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
    মানববন্ধনটিতে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, উপকূলের মানুষকে জিম্মি করে বাঁধ ভাঙার আশায় থাকেন এক শ্রেণির অসাধু জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদারেরা। বাঁধ মেরামতের নামে তাঁরা লাখ লাখ টাকা লোপাট করেন। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
  • ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রভাব: সাতক্ষীরার ১৪৬৮ টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত, ৮০৬ হেক্টর জমির ফসল ও মাছের ক্ষতি, প্রায় ২লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল তান্ডব থেকে এবারও উপকূল রক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে সাতক্ষীরাকে বাঁচালো সুন্দরবন। বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্ক কাটেনি উপকূলীয় জনপদের মানুষের মধ্যে। তবে, রেমালের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ উপচে উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। জেলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এক হাজার ৪৬৮ টি কাঁচা ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১১৯২টি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। এছাড়া জেলায় ৬০৬ হেক্টর জমির ফসলের ও ২০০ হেক্টর জমির মাছের ক্ষতি হয়েছে।

    ঝড়ে কম বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় দুইলাখ ২১ হাজার ১৭৬ জন মানুষ। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে জেলে পল্লীর শতাধিক পরিবার। একই সাথে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলাতে অসংখ্য গাছপালার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
    এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নদ-নদীগুলোতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতাধীন ৬৮০ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ রয়েছে। যা ষাটের দশকে নির্মিত। এর মধ্যে উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০টি পয়েন্টে ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে উক্ত দুই উপজেলায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাধ অতিঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ঝুকিপূর্ণ বেঁড়িবাধের কয়েকটি পয়েন্টের উপচে পড়া পানিতে ভেসে গেছে ২০০ হেক্টর জমির মৎস্য ঘের ও ৬০৬ হেক্টর ফসলি জমি। এছাড়া কয়েক’শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ঝুকিপূর্ণ বেঁড়িবাঁধ গুলোতে জিও ব্যাগ ও বালি দিয়ে উপচে পড়া পানির প্রবাহ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ঘুর্ণিঝড় আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, ২৬ ও ২৭ মে তাদের কাছে সামান্য শুকনো খাবার পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
    জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন কক্ষের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরার ৪৩ টি ইউনিয়নে কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১১৯২টি ঘরবাড়ি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। এছাড়া ৬০৬ হেক্টর ফসলি জমির ও ২০০ হেক্টর জমির মাছের ক্ষতি হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব টানা দুই দিন ধরে চলেছে। বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের জানমালসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকে ক্ষয় ক্ষতির একটি সম্ভাব্য তালিকা দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ক্ষতির তালিকা নিরুপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

  • কৈখালীতে সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশীপের উদ্যোগে ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠিত

     সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল ১০ টা হতে সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশীপের উদ্যোগে এস,কে,চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক তত্বাবধানে  ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলার উপকূলীয় কৈখালী ইউনিয়নের দারিদ্র্য পরিবারের খেটে খাওয়া দিনমজুরদের ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
    সাধরণ মানুষের মাঝে এ যেন এক ঈদ আনন্দ,
    ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পে রোগী দেখেন,এস,কে,চক্ষু হাসপাতালের
    ডাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, উ,স,ক মেডিকেল অফিসার,
    এস,কে,চক্ষু হাসপাতাল কেন্দ্রের ম্যানেজার আবুবক্কার সিদ্দিক স্বাধীন,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একে,এম আরিফ বিল্লাহ, সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোঃ আলফাত হোসেন,উপদেষ্টা,সাংবাদিক জি,এম,আমিনুর রহমান,উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য,গাজী আবুল হোসেন, সভাপতি মোঃ সোহেল রানা,সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর হায়দার, সহ-সভাপতি মোঃ সাব্বির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ নাহিদ,সিনয়র সহ-সভাপতি,আবুবক্কার হোসেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মফিজ,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, প্রচার সম্পাদক আজাদ মিয়া রসুল,সহ আল- আমিন মেহেদী হাসান, মেকাইল হোসেন,আমিনুর রহমান প্রমুখ।
  • শ্যামনগরে হটাৎ টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক টিনশেড কাঁচা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। রবিবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কিছু গাছ উপড়ে যায়।  তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
    কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। সাথে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এসময় মূহুর্তেই এলাকার ৫০ টি পূর্ণ ও ৫০ টি আংশিক টিনশেড কাঁচা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  আব্দুল্লাহ আল রিফাত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীমুল ইসলামকে জানানো হয়।  সোমবার সকালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাংসদ এসএম আতাউল হক দোলন তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
    শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
  • শ্যামনগরে নারী শ্রমিক দলের জোট গঠন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে নারী শ্রমিক দলের জোট গঠন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    ১২ জুলাই ২০২৩ সকাল ১০ টায় লিডার্স প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে নারী চিংড়ি শ্রমিক দলের জোট গঠন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। লিডার্স এর বাস্তবায়নাধীন বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের স্থানীয় সহযোগিতায় অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন, এস. এম আতাউল হক দোলন , উপাজেলা চেয়ারম্যান, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ, তিনি তার বক্তব্যে বলেন “চিংড়ি ঘেরে নারী শ্রমিকরা নায্য ও পুরুষের ন্যায় সম মুজুরী পায়না, কিন্তু পুরুষের সমান তারা কাজ করেন। আমরা পুরুষের সমান সম মুজুরীর দাবীর সাথে এক মত, এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ আপনাদের পাশে সব সময় থাকবে।” বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শেফালি বিবি, নির্বাহী পরিচালক বনজীবী নারী উন্নয়ন সংগঠন, রেখা রানী মৃধা, সভাপতি , শাপলা নারী চিংড়ী শ্রমিক দল। কর্মশালায় প্রশিক্ষণে সহায়তা করেন অধ্যক্ষ আশেক -ই- এলাহী, (অবসর) আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়, কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন আলীম আল-রাজী প্রোগ্রাম ম্যানেজার, লিডার্স, দেবব্রত কুমার গায়েন, প্রোগাম অফিসার, লিডার্স।

  • সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পে নারী সদস্যদের এ্যাডভোকেসি ও লবি বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পে নারী সদস্যদের এ্যাডভোকেসি ও লবি বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগর প্রতিনিধি : সিসিডিবি একটি উন্নয়ন ও সেবামুলক বেসরকারী সংস্থা। সংস্থাটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে সেবামুলক কাজ করে চলেছে। সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।
    সেই লক্ষ্যে ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ সকাল ১০:০০ টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের নারী সদস্যদের নিয়ে এ্যাডভোকেসি ও লবি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উপস্তিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারিদা খাতুন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন পিসি আর সি বি প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী সুজন বিশ^াস ও এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রাণী, প্রকল্পের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ ও এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যরা ।
    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনগেজ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারিদা খাতুন। তিনি এ্যাডভোকেসি ও লবি, প্রশিক্ষণের সুফল ও প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে আলোচনা করেন। তিনি নারীরা কিভাবে এ্যাডভোকেসি ও লবি করে নিজেদের ও সমাজের উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
    উক্ত প্রশিক্ষণে এ্যাডভোকেসি কি, সহিংসতার কারন ও প্রতিরোধে করনীয়, নারীর ক্ষমতায়নে এ্যাডভোকেসি পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং নারীর অধিকার, নারী নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

  • শ্যামনগরে নারীদের এসেট বেজ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এর উপর প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগরে নারীদের এসেট বেজ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এর উপর প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগর প্রতিনিধি : বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিসিডিবি একটি উন্নয়নমূলক ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠিান। মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে সেবামুলক কাজ করে চলেছে। সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। সেই উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখে ২২ জুন সকাল দশটায় দিনব্যাপী সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের নারী সদস্যদের নিয়ে উক্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নিপা চক্রবর্তী, সভাপতিত্ব করেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার জনাব নিলীমা রাণী। আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রকল্পের কর্মীবৃন্দ ও এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যবৃন্দ প্রমূখ ।এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার এসেট বেজ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য, প্রশিক্ষণের সুফল ও প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন নারীরা কিভাবে কমিউনিটির সম্পদ কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নয়ন করা যায় তা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানতে পারবেন। প্রধান অতিথি বলেন, “স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক এমন একটি প্রশিক্ষণে নারীদের অংশগ্রহণ করার জন্য তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নারীদের তুলে এনে এমন একটি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।”

  • শ্যামমনগরে সিসিডিবি এর এনগেজ প্রকল্পে নারীদের মাঝে সবজিবীজ বিতরন

    শ্যামমনগরে সিসিডিবি এর এনগেজ প্রকল্পে নারীদের মাঝে সবজিবীজ বিতরন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন সিসিডিবি দরিদ্র মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। সিসিডিবি এর এনগেজ প্রকল্প শ্যামনগর উপজেলায় নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। নারীদের বাড়িতে সবজি চাষ বৃদ্ধি করতে এবং নারীদের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এই সবজিবীজ বিতরন করা হয়।

    ২১ জুন বুধবার সকাল দশটায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে নারী সদস্যদের মাঝে সবজিবীজ বিতরন করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বীজ বিতরন করেন সিসিডিবি এর প্রধান কার্যালয়ের আইটি কাম এডমিন অফিসার পৌল হাজরা, পিসিআরপি প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী সুজন বিশ্বাস, স্টেপ এন্ড বিল্ড ইন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার এস. এম মনোয়ার হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রানী সহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ ও এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যবৃন্দ প্রমূখ।

    এনগেজ প্রকল্পের ৪৫ জন নারী সদস্যদের মধ্যে সাত প্রকার সবজি বীজ (হাইব্রিড ঢেঁড়স-৫০ গ্রাম, বরবটি-৫০ গ্রাম, হাইব্রিড ঝিঙা-১০ গ্রাম, হাইব্রিড লাউ-১০ গ্রাম, হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া-৫ গ্রাম, করলা-১০ গ্রাম, শশা-১০ গ্রাম) বিতরন করা হয়।

  • শ্যামনগরে ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর আয়োজনে “ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড” এর আর্থিক সহযোগিতায় ২ দিন ব্যাপী কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে ১৮ ও ১৯ জুন ২০২৩ তারিখ আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে ৫টি ইউনিয়নের (গাবুরা, দক্ষিণ বেদকাশী, মুন্সিগঞ্জ, কাশিমাড়ী, ঈশ্বরীপুর) ৩০ জন কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য অংশগ্রহন করেন। দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা, সভাপত্বি করেন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, উপসহকারী কৃষি অফিসার জামাল হোসেন এবং নলেজ এ্যান্ড রিসার্স ম্যানেজার কৌশিক রায়। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার আলীম আল রাজী, মনিটরিং অফিসার মনিরুজ্জামান মনি ও লিডার্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

    প্রশিক্ষণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিযোজন ধারনা ও প্রযুক্তিসমুহ, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতকরণ, কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব, ইউনিয়নে উপকারভোগীদের সহিত লিডার্সের কৃষি বিষয়ক কার্যক্রম, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কাজ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কার্যাবলী, কমিটির সহায়তার ক্ষেত্রসমুহ চিহ্নিতকরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী ক্রমবিন্যাস, কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে লিংকেজ স্থাপন ও সমন্বয় সাধন, লবণসহনশীল ধান ও সবজির জাত সম্পর্কে ধারনা প্রদান ও চাষের গুরুত্ব, জৈব বালাইনাশক ও জৈব সারের গুরুত্ব, কৃষিতে সাধারন রোগ—বালাই সম্পর্কে ধারনা প্রদান, আগাছা দমনের প্রয়োজনীয়তা এবং জলবায়ু অভিযোজিত কৃষিকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়। প্রশিক্ষণে কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ আশা প্রকাশ করেন তারা অভিযোজিত কৃষিকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবেন। এলাকার সাধারণ কৃষকদের যে কোন প্রকার সহযোগীতা প্রদানে তারা বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে লিংকেজ স্থাপন ও সমন্বয় সাধন করার প্রত্বয় ব্যক্ত করেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন “জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, অতি বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা এবং সেচের জন্য পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ”। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীগণ আশা প্রকাশ করেন লিডার্সের এই ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

  • শ্যামনগরে ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর আয়োজনে “ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড” এর আর্থিক সহযোগিতায় ২ দিন ব্যাপী কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে ১৮ ও ১৯ জুন ২০২৩ তারিখ আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে ৫টি ইউনিয়নের (গাবুরা, দক্ষিণ বেদকাশী, মুন্সিগঞ্জ, কাশিমাড়ী, ঈশ্বরীপুর) ৩০ জন কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য অংশগ্রহন করেন। দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা, সভাপত্বি করেন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, উপসহকারী কৃষি অফিসার জামাল হোসেন এবং নলেজ এ্যান্ড রিসার্স ম্যানেজার কৌশিক রায়। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার আলীম আল রাজী, মনিটরিং অফিসার মনিরুজ্জামান মনি ও লিডার্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

    প্রশিক্ষণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিযোজন ধারনা ও প্রযুক্তিসমুহ, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতকরণ, কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব, ইউনিয়নে উপকারভোগীদের সহিত লিডার্সের কৃষি বিষয়ক কার্যক্রম, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কাজ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কার্যাবলী, কমিটির সহায়তার ক্ষেত্রসমুহ চিহ্নিতকরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী ক্রমবিন্যাস, কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে লিংকেজ স্থাপন ও সমন্বয় সাধন, লবণসহনশীল ধান ও সবজির জাত সম্পর্কে ধারনা প্রদান ও চাষের গুরুত্ব, জৈব বালাইনাশক ও জৈব সারের গুরুত্ব, কৃষিতে সাধারন রোগ—বালাই সম্পর্কে ধারনা প্রদান, আগাছা দমনের প্রয়োজনীয়তা এবং জলবায়ু অভিযোজিত কৃষিকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়। প্রশিক্ষণে কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ আশা প্রকাশ করেন তারা অভিযোজিত কৃষিকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবেন। এলাকার সাধারণ কৃষকদের যে কোন প্রকার সহযোগীতা প্রদানে তারা বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে লিংকেজ স্থাপন ও সমন্বয় সাধন করার প্রত্বয় ব্যক্ত করেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন “জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, অতি বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা এবং সেচের জন্য পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ”। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীগণ আশা প্রকাশ করেন লিডার্সের এই ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। 

  • শ্যামনগরে লিডার্স এর ক্রিয়া (CREA) প্রকল্পের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে লিডার্স এর ক্রিয়া (CREA) প্রকল্পের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত

    অদ্য ১৫ জুন, ২০২৩ তারিখে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং সুইডেন এর আর্থিক সহায়তায় শ্যামনগর উপজেলায় দুইটি ইউনিয়ন গাবুরা ও বুড়িগোয়ালিনীতে “কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি -ক্রিয়া প্রকল্পের উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এস এম আতাউল হক দোলন এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আক্তার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান প্রভাষক সাইদ উজ জামান সাইদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ুব ডলি, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম, ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের প্যালেন চেয়ারম্যান জি এম আব্দুর রউফ, লিডার্স এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম। আর ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো: নাজমুল হুদা, সিপিপির সভাপতি মুকুল, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ।

    উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লিডার্স এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম এবং লিডার্স এর পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল। ক্রিয়া প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: আজাদুল ইসলাম প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন কৌশল উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন  উক্ত প্রকল্পের সময়সীমা মার্চ ২০২৩  হতে  জুন ২০২৬ পর্যন্ত, ৩ বছর ৪ মাস এবং প্রকল্পের লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব  মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি ও নারী নেতৃত্বের সক্ষমতা তৈরি।

    অনুষ্ঠানে সভাপতি জনাব এস এম আতাউল হক দোলন তাঁর বক্তব্যে বলেন,“ আমি লিডার্স এর ক্রিয়া প্রকল্পের সফলতা কামনা করছি এবং উপজেলা পরিষদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবে”। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন লিডাস এর এই ক্রিয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু পীড়িত উপকূলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের সাথে সাথে পিছিয়ে পড়া নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হবে।

  • আদি যমুনার নদীর উপর বকুল ভাটা সংলগ্ন কালভার্টটি উচ্ছেদ করেছে পাউবো

    আদি যমুনার নদীর উপর বকুল ভাটা সংলগ্ন কালভার্টটি উচ্ছেদ করেছে পাউবো

    আদি যমুনার নদীর উপর বকুল ভাটা সংলগ্ন দীর্ঘদিন পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া দখলকৃত কালভার্টটি উচ্ছেদ করেছে পাউবো। ডাকবাংলা হতে চন্ডিপুর শশ্বান পর্যন্ত দূষিত পানি আজ বাহির করে দেওয়া হচ্ছে

  • আদি যমুনার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশংসায় ভাসছেন জহুরুল হায়দার বাবু

    আদি যমুনার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশংসায় ভাসছেন জহুরুল হায়দার বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রশংসায় ভাসছেন অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু,স্বপ্নদ্রষ্টা শ্যামনগর পৌরসভা ও বারবার নির্বাচিত শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শ্যামনগর উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবি ছিল আদি যমুনার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। সেটি সক্ষম হয়েছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন,শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিশেষ করে অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবুর সদিচ্ছার কারণে। কারণ তিনি জনগণের মাঝে বারবার একটি কথা বলেছেন। আমাদের শ্যামনগর আমরাই গড়ব। সুন্দর একটি শ্যামনগর গড়ার লক্ষ্যে,যা যা করতে হয় সবই আমরা করব।

    তারই প্রতিফলন আজকে শ্যামনগরের মানুষ দেখতে পেয়েছে। আর এই কারণে শ্যামনগর মানুষের মুখে একটাই আওয়াজ- এগিয়ে যাবে অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দারের হাত ধরে শ্যামনগর সদর ও শ্যামনগর পৌরসভা।এই অবৈধ উচ্ছেদ নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করে আসছেন শুরু থেকেই সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই সমস্ত মন্তব্যকারীদের মুখে ছাই দিয়ে,আজকে সেই শ্যামনগর বাশির প্রাণের দাবি নীলকমল খ্যাত ভবন টির উচ্ছেদ অভিযান চলছে অনেকেই বলেছিলেন এটি একেবারেই অসম্ভব সেই একেবারেই অসম্ভব জিনিসটা আজকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন যারা তাদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন শ্যামনগরের আপামর জনগণ, এবং সকলে মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন,,,অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবুর মতএমন জন-প্রতিনিধি শ্যামনগরের নেতৃত্ব দিলে একটি মডেল শ্যামনগর গড়া সুধু সময়ের ব্যাপার

  • শ্যামনগরে ঝন্টুর অবৈধ্য ভবন উচ্ছেদ : আদি যমুনা খননের বড় বাধা অপসারন

    শ্যামনগরে ঝন্টুর অবৈধ্য ভবন উচ্ছেদ : আদি যমুনা খননের বড় বাধা অপসারন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড গুড়িয়ে দিয়েছে ঝন্টুর তিন তলা অবৈধ্য ভবন । আদি যমুনা নদী ইছামতি ও মাদার সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিনাম দর্শি প্রকল্প গ্রহনের ফলে নদী তার ঐতিহ্য হারাতে বসে। হারানো নদী ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহীর নেতৃত্বে আদি যমুনা বাচাও আন্দোলন কমিটির আবার আলোচনায় আসে আদি যমুনা নদীর অস্থিত্ব। পানিউন্নয়ন বোর্ডও নদীটি খননের উদ্যোগ নেয়। ২০০৭ সালে তত্বাবোধায়ক সরকারের আমলে অবেধ্য উচ্ছেদ কার্যক্রমের আওতায় আদি যমুনার উপর অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু হলে শ্যামনগর সদরের অবৈধ্য এক ভবনকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ থেমে যায়। অবৈধ্য স্থাপনার কারনে যমুনার প্রবাহ হারিয়ে যাওয়ায় আসে পাশের গ্রাম ও নকিপুর বাজার বর্ষ মৌসুমে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। মানুষ নদী খননের জন্য দাবী জানাতে থাকে। সম্প্রতি পাউবো আদি যমুনার শ্যামনগর অংশের খননের জন্য অর্খ বরার্দ্দ ও ঠিকাদার নিয়োগ করে। কিন্তু খনন কার্যক্রম শুরু করতেই অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ কেন্দ্র করে থমকে যায়। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাষন ও শ্যামনগর সদর চেয়ারম্যানের আন্তরিকতা মানুষ আশায় বুক বাধে। চলতি মাসে শ্যামনগরের শ্মাশানের প¦ার্শ থেকে নূতন করে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ ও খনন শুরু হয়। এ শুরুর এক পর্যায়ে ঝন্টুর অবৈধ্য তিন তলা ভবন উচ্ছেদের দাবী উত্থাপিত জোরালো হয়।
    গতকাল ১০ জুন সকাল থেকে পানিউন্নয়ন বোর্ড যমুনা সংশ্লিষ্ঠ সকল মৌজা মেপে বিকালে ভবন ভাংগা কার্যক্রম শুরু করেন।
    উল্লেখ্য স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে অব্যহত গতিতে জনমত গড়ে তুলতে নিয়মিত শেখ আব্দুস সালাম, মারুফ হোসেন মিলন ও ইরমান হোসেন পোষ্ট দিতে থাতে। তাদের এ প্রচারনাই ঝনাটুর ভবন ভাংগে কতৃপক্ষকে অনেক সহযোগিতা করে।

  • শ্যামনগরে শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

    শ্যামনগরে শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

    নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
    নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। উপজেলা
    মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কতৃক প্রকাশ শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক
    পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৬৮
    সালে উপজেলার নকিপুর গ্রামের স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তি বর্গ তৎকালিন
    জমিদার হরিচরণ রায় চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত স্কুলের পরিত্যক্ত জায়গায় তথা ভবনে
    বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৮৫ সালের দিকে বিদ্যালয়টি উপজেলার বাদঘাটা
    গ্রামে অর্থাৎ বর্তমান প্রতিষ্ঠিত স্থানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়।
    বিদ্যালয়ে প্রথম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন
    তারাপদ মন্ডল। প্রতিষ্ঠানে বর্তমান ছাত্রীর সংখ্যা ৬৭০জন। বিদ্যালয়ে
    বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু রয়েছে। এছাড়া এসএসসি
    ভোকেশনাল কোর্স চালু আছে।

    বিদ্যালয়টি এসএসসি ও ভোকেশনাল পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারিত হয়।
    প্রতিষ্ঠানে ২১ জন শিক্ষক ও ৯ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের
    প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী সরকারি ভাবে শিক্ষা সফর ও
    প্রশিক্ষণের জন্য মালেশিয়া, থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন। ২০২২ সালে বিদ্যালয়ে
    এসএসসি ৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৩ জন পাশ করে। পাশের হার ১০০%।
    বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে প্রায় তিন হাজার বই রয়েছে। বিজ্ঞানাগার,
    মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমগ্র জাতীয় দিবসে
    অংশ গ্রহণ করেন এবং ভাল ফলাফল করেন যা প্রধান শিক্ষক জানান। বিদ্যালয়ে
    আইসিটি ল্যাব রয়েছে, সার্ভার, সুবিশাল মনিটর রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে শেখ
    রাসেল স্কুল অব ফিউচার প্রকল্প চালু রয়েছে। বিদ্যালয়ে গার্লস ইন স্কাউট
    দল, রেডক্রিসেন্ট দল সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবি দল রয়েছে। স্কাউট
    শিক্ষার্থীরা ঢাকা জাম্বুরীতে অংশ গ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
    ক্রীড়া , সাংস্কৃতিক, সাহিত্য, বিজ্ঞান সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশ
    গ্রহণ করে ভাল ফলাফল অর্জন করেন। নিয়মিত দেওয়াল পত্রিকা ও শেখ রাসেল
    দেওয়ালিকা প্রকাশ করা হয়। শ্রেণি কক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ,
    ফুলের বাগান, ফলজ ও বনজ বৃক্ষ,শহীদ মিনার সহ খেলার মাঠ রয়েছে। বিদ্যালয়ে
    সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে রয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত ওয়াশ রুম
    রয়েছে।

    বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন
    করছেন পিপি ও শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।
    সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের সহায়তায় বিদ্যালয়টি
    আধুনিকায়ন হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বিদ্যালয়টি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয়
    শিক্ষা সপ্তাহে বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক,
    শ্রেষ্ঠ গার্লস ইন স্কাউট শিক্ষক সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব
    অর্জন করেছে।