Category: শ্যামনগর

  • শ্যামনগরের ৫ জয়িতার গল্প

    রাবেয়া খাতুন
    নির্যাতনের বিভিষীকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী, তিনি বলেন আমি রাবিয়া খাতুন, পিতা- রফিকুল ইসলাম, গ্রাম- চালিতাঘাটা। নির্যাতনের বিভিষীকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছি। আমার পিতা একজন অতি দরিদ্র দিন মজুর। আমরা ২ বোন ১ ভাই। সবার বড় আমি। আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার পিতা আমার লেখাপড়ার খরচ বহন করতে না পারায় ২০১৪ সালে বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মিঠু গাজীর সাথে আমার বিবাহ দেয়। বিবাহের পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে আমার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে বলে। আমি তখন বলি আমার পিতা একজন অতি দরিদ্র দিন মজুর। তিনি যৌতুকের টাকা দিতে পারবেন না। তখন থেকে শুরু হয় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন। এর মধ্যে আমার গর্ভে একটি সন্তান আসে। তখন আমার স্বামী ও শ্বশুর সহ বাড়ির লোকজন গভের সন্তান নষ্ট করতে বলে। আমি রাজি না হলে আমার স্বামী আমাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠাই। বাবার বাড়ি আসার কিছুদিন পরে আমার একটি ছেলে জন্মগ্রহণ করে। আমার ছেলের বয়স ৩ মাস হলে আমি স্বামীর বাড়ি ফিরে যাই। চিন্তা করি সন্তানের মায়ায় স্বামী ও শ্বশুর সহ বাড়ির লোকদের মন ভালো হতে পারে। আমার ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পর আমার উপর আবার নির্যাতন চালতে থাকে এবং আমার সন্তান ও আমাকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। একদিন রাতে আমার স্বামী আমাকে ঘুমের মধ্যে শ্বাস রোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে পরে লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আমার পিতা আমাকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি এবং সাতক্ষীরা কোর্টে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করি। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা কোটে বিচারাধীন। আমি আমার অতীতের সমস্ত গ্লানী ভুলে বর্তমানে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছি। একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে সেলাই প্রশিক্ষন গ্রহণ করি এবং তারা আমাকে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করে। বর্তমানে আমি বাবার বাড়িতে সেলাই মেশিনে কাজ করে নিজের ও সন্তানের খরচ বহন করছি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে আমার সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলব। তাই নিজেকে আমি একজন জয়িতা নারী মনে করি।
    সেলিনা সাঈদ
    আমি সেলিনা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামন্য অবদান রেখে সাফল্য অর্জনকারী নারী। আমি সেলিনা বেগম, পিতা- মরহুম শামসুর রহমান, মাতা- মোমেনা বেগম, গ্রাম- বড় ভেটখালী, ইউপি সদস্য মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড। সমাজ উন্নয়নে আমার কর্মকান্ড আমার জীবনটা জন্ম থেকেই অভিশপ্ত। শিশু কালে বুঝিনি অনাহারকৃষ্ট জীর্ন-শীর্ন শরীর নিয়ে কারণে নানা ভাবে শারীরিক, মানসিক ও অমানবিক নির্যাতন করে। দীর্ঘ ৬ বছর পর আমার পিত্রালয়ে ফিরে যায়। আমার তখন ১ ছেলে এবং আমি গর্ভবতী। শেষে জন্ম নিল ১ মেয়ে। মেয়েটা ১৯ দিন পর মারা গেল। তারপর আবার শুরু হলো মানসিক নির্যাতন। আজ বিয়ে করে কাল বিয়ে করে এভাবে ভয় দেখাতে লগলো। আমি উপয়ান্ত না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি লেখাপড়া শিখব। মানুষের কাছে আর মাথানত করবো না। আমি শক্তি অর্জন করবো। আমি আমার পিতাকে বললাম আবার আমি পড়শুনা করবো। আমার পিতা আমার কথা শুনে অবাক হলেন এবং সম্মতি দিলেন। তারপর থেকে আবার আমার শিক্ষাজীবন শুরু হলো। দেবহাটা টাউন শ্রীপুর হাইস্কুলে ভর্তি হলাম ১৯৮১ সালে ১০ জানুয়ারী। ১৯৮৩ সালে পরীক্ষা দিয়ে ১ বিষয় ফেল করি। তারপর আমি আবার কাশিমাড়ী হাইস্কুলে এসে ভর্তি হই ও পাশ করি। মেট্রিক পরীক্ষা যখন দিই আমার পেটে তখন আবার ও সন্তান এসেছে এবং মেট্রিক পরীক্ষার ২৬ দিন পর আমার ছোট ছেলের জন্ম হয়। মহসীন কলেজে ভর্তি হই। একই বছরে আবার পিটিআই পড়ি তখন আমার ছোট ছেলের বয়স মাত্র ৭ মাস। ওকে রেখে আমি পিটিআই হোস্টেলে যেয়ে উঠি। খুব কষ্ট করে পিটিআই পাশ হলো। সেই থেকে যশোর যেয়ে কোর্স করতে লাগলাম। যশোর যেয়ে টাইপিষ্ট ভর্তি হলাম। টাইপিষ্ট শিখে চাকুরি করতে লাগলাম। সেখান থেকে অন্যত্র চাকুরির চেষ্টা করতে লাগলাম। ১৯৮৯ সালে শেষ দিকে দরখাস্ত করলাম এবং এফডব্লিওএ- লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ন হয়ে চাকুরী জীবন শুরু হলো। ০১/০১/৯০ তারিখে আমি চাকুরিতে যোগ দিলাম তখন আমার বেতন ছিল মাত্র ১২৮০ টাকা। আমি খুব খুশি হলাম যে, আমার কারো দ্বারে হাত পাততে হবে না। আল্লাহর কাছে শোকর আদায় করলাম। আমার চাকুরির বেতনের টাকা যতই আসুক না কেন সেটা আমি আমার স্বামীর হতে তুলে দিব। কিন্তু আমার স্বামী ১৯৮৫ সাল থেকে অন্য মেয়ের দিকে নজর দিতে থাকলো ও আমার সঙ্গে বিবাদ কলহ করতে লাগলো। আমার স্বামী আমাকে অকথ্য নির্যাতন করতো। ব্লু-ফ্লিম দেখে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিত মানুষের কাছে। ২০০৯ সালে আমাকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করে। যেই থেকে আমি এ বিষয় জানতে পারলাম আমাকে আরও মানবিক নির্যাতন করতে থাকলো। অদ্যবধি আমাকে ছাড়িয়া ছোট বউয়ের সাথে থাকতে শুরু করলো। সেই থেকে আমার কোন ভরন পোষন সে করে না এবং আমাকে ঋণে জর্জরিত করে চলে গেল। সেই সব ঋণ আমাকে পরিশোধ করতে হলো। আমি খুব কষ্টের মধ্যে আছি। দিন কারো জন্য বেধে থাকে না। আমার এই পরিণতি দেখে আমার পিতা আমার ছোট বোনদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। আমার এক বোন ঢাকা ইংরেজী আল মানারাত স্কুলে শিক্ষাকতা করে। অংকে অনার্স, ইংরেজীতে অনার্স, এম এ। এক বোন সাতক্ষীরা প্রাইমারী স্কুলের হেড মাস্টার। ১ বোন দেবহাটা চেয়ারম্যানের বউ টাউন শ্রীপুর প্রাইমারি শিক্ষক। এই দুই বোন এমএ পাশ করেছে। পরিশেষে আমি চাই সে ভালো থাকুক আর আমি ভালো আছি। আগামীতে আমার জীবনে যতই ঝড় বাধা বিঘœ আসুক না কেন আমি ভয় পাই না। আমি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই।
    আসমা বেগম
    আমি আসমা বেগম, আমার পিতা তাবলীগ জামাত করতেন। মেয়েদের লেখাপড়া শিখাবার কোন ইচ্ছা ছিল না। মেয়েদের কোন রকম বাংলা শিখলেই হলো। বিধাতার লিখন না যায় খন্ডন। আমি নবম শ্রেণীতে পড়তে পড়তে আমার পড়া বন্ধ হয়ে গেল। ১৯৭৬ সালে ইং ২৩ এপ্রিল রোজ শুক্রবার মোঃ রাজাগুলা বাহারের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর যৌতুক না দেওয়ার
    শেফালী বেগম
    আমি শেফালী বিবি, স্বামী- ছবেদ আলী গাজী, গ্রাম- দাতিনাখালি। আমি আমার নিজ ভাগ্য উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারের হাল ধরে আর্থিকভাবে লাভবান হই। সুন্দরবন সংরক্ষন ও বনজীবিদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য এলাকার বন নির্ভর নারীদের নিয়ে বনজীবি নারী উন্নয়ন সংগঠন গড়ে তুলে কাঠ বর্হির্ভূত বনজ সম্পদ দ্বারা কেওড়ার চকলেট, শুকনা আচার, জেলী (টক, ঝাল,মিষ্টি), জেলী (টক, মিষ্টি) ও কেওয়ার নোড়া এবং সুন্দরবনের সংগৃহীত মধু পরিশুদ্ধ করে বোয়েম জাত, মোম দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মোমবাতি, শোপিচ, সীট তৈরি, আরি-জুরি ও বাটিক বুটিকের কাজ করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে অর্গানিকভাবে প্রস্তুতকৃত এসব পন্য আধুনিকতার ছোয়ায় বোয়েম/প্যাকেট জাত করে বিক্রয় করি। এসকল পন্য বিক্রয়ের লভ্যংশ বাঘ বিধবা ও বনজীবি নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যয় করেছি। আমি নিজের প্রচেষ্টায় অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করে এলাকায় একটি রোল মডেলে পরিণত করছি।

    হামিদা রহমান
    আমি হামিদা রহমান, স্বামী – মোঃ ছাবিলুর রহমান সরদার, পিতা- মৃত পরান আলী গাজী, মাতা- মৃত বিবিজান, গ্রাম- জয়নগর। বিবাহের পর হতে নি¤œ আয়ের পরিবারের স্বামী সন্তান নিয়ে দিনাতিপাত করি। আমার স্বামী পর পর দুই মেয়াদে মেম্বর ছিলেন। আমার স্বপ্ন ছিল ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা। সেমতে তাদের পড়া লেখা করায়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে সুখ শান্তিতে বসবাস করছে। আজ আমি গর্বিত মা। আনন্দে বুকটা ভরে যায়। শতকাজের মাঝে যখন সন্তানদের মুখের হাসি দেখি তখন নিজেকে একজন গর্বিত মা হিসাবে মনে করি। আজ আমি একজন গর্বিত মা হিসাবে আল্লাহর নিকট শুকুরিয়া আদায় করি। দোয়া করি সব পিতামাতা যেন তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত করে সমাজের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।

  • আদি যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন

    আদি যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন

    ডেস্ক রিপোর্ট: আদি যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলন। সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জিএম শুকুর আলী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দিন, যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদ, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, বরুণ ঘোষ, এ্যাডভোকেট মুনসুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সুশান্ত বিশ্বাস বাবু লাল, সাংবাদিক ফারুক হোসেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, ভূমিহীন নেতা ছফুরা খাতুন, যমুনা কুলের হাসান, মিজান, ইউসুফ, জিএম আব্দুল কাদের, জিএম সোহরাব হোসেন ও আব্দুল জব্বার প্রমুখ -দক্ষিণের মশাল

  • নুরনগরে ৪০দিনের কর্র্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ

    নুরনগর(শ্যামনগর) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নে ৪০দিনের কর্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক এই কর্মসূচির জন্য অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে ৩৩জন কে তালিকা ভুক্ত করা হয় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকা-ে তাদেরকে কাজ করানো হয় কিন্তু তালিকায় ৩৩ জনের নাম থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে মাত্র ২৬জন কে পাওয়া যায়। এছাড়া তালিকার আর বাকি লোক গুলোর খোঁজ খবর নিতে গেলে উক্ত কর্মসূচির দলপতি নুর মোহম্মাদ চকিদার বলেন, আমরা ২৬জন এই কর্মসূচির কাজ করছি আর লোক শুধু টাকা তোলার সময় আসে, সই করে টাকা নিয়ে যায়। সেই নাম না জানা ৭ জনের খোঁজ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে কিছু অনাকাঙ্খিত তথ্য। নুরনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দেবাশীষ ঘোষ ও ওর্য়াড আ”লীগ নেতা আবু হাসান গাজী ওরপে হাসান চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন পাগল, দিলিপ রক্ষিতের নামে অচ্যুত রক্ষিত, নিমাই মন্ডল, মুসলিমা, কামরুন্নাহার নামে কর্মসূচির তালিকা করে টাকা লুটপাট চলছে বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে নুরনগর ইউপি সচিব মোঃ আবু হেনার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করিনা, এবিষয় ওর্য়াডের ইউপি সদস্য বলতে পারবে। ১নং ওর্য়াড ইউপি সদস্য আব্দুল করিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যাইনি। এ বিষয় নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদের সাথে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি, বাড়ীতে এসে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।’

  • কাশিমাড়ীতে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু ও আহত-২

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীতে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে ও আহত হয়েছে দুই জন। কাশিমাড়ী গাংআটি গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোড়ল এর ছোট ছেলে মোঃ আমিনুর রহমান মোড়ল (১৬) বৃহস্পতিবার দুপুরে বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেন। বজ্রপাতে মৃত্যু আমিনুর এর ভাই আল আমিন জানান, আমিনুর রহমান খুব ভাল ছেলে ছিল। সে জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংআটি জামে মসজিদে যোহরের নামাজ পড়ার পরে মসজিদের বারান্দায় বসে ছিল আমিনুর রহমান (১৬) ও আক্তারুল ইসলাম (১৭) এমন সময় বৃষ্টির কারনে তারা মসজিদের বারান্দায় অবস্থান করে অনুমানিক ২টার দিকে বজ্রপাতের আঘাতে আমিনুর রহমানের মৃত্যু হয় ও আক্তারুল ইসলাম গুরত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
    অসুস্থ্য আক্তারুল শ্যামনগর সদর হাসপাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। মাদরাসার ছাত্র আমিনুর রহমান এর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়ানেমে এসেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে গাংআটি মসজিদের সংলগ্নে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বজ্রপাতের আঘাতে ঘোলা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল মাজেদ সরদারের ছেলে মো. আশরাফ হোসেন এর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, আশরাফ হোসেন (২৫) ঘোলায় একটি ঘেরে কাজ করতে ছিল এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলে সে বাড়িতে আসার জন্য রওনা হয়। দুপুর ১:৩৫ মিনিটের দিকে ঘেরের ভেড়িতে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু আশরাফ হোসেনের অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকাবাসি শোকাহত। বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু আশরাফ হোসেন রেখেগেছে মা, স্ত্রী ও তিন মাস বয়ষের একটি কন্যা সন্তান। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ বাদে ঘোলা ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অপরদিকে বজ্রপাতের আঘাতে গুরত্বর অসুস্থ্য হয়ে শ্যামনগর সদর হাসপাতে চিকিৎসাধীন রয়েছে জয়নগর গ্রামের আব্দুর রহিম এর ছেলে মিজানুর রহমান(১৭)।

  • মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত হয়েছে। জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।

    মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানগণ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করেন। এই উপলক্ষে সদর উপজেলাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানগণ কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন।
    বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে-মসজিদে সারারাত চলে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও মোনাজাত। রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
    এদিন সবার ঘরে ভালো-ভালো খাবার-দাবার রান্না করা হয়, এসবের মধ্যে রয়েছে রুটি, বিভিন্ন রুচির হালুয়া ও মিষ্টান্ন। বিকেলে প্রতিবেশীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ ও পরিবেশন করা হয়। গরীব-দুঃখীদের মধ্যেও খাবার বিতরণ ও অর্থ দান করা হয়।
  • সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণ করতে গিয়ে দলবদ্ধ মৌমাছির কামড়ে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের সাপখালী নামক স্থানে মধু আহরনের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
    নিহতের নাম হযরত আলী (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের আইজুদ্দিন তরফদারের ছেলে।
    নিহতের চাচাতো ভাই মিলন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, সুন্দবনের সাপখালী নামকস্থানে কেওড়া গাছে উঠে মধু আহরণের সময় দলবদ্ধ অসংখ্য মৌমাছি তাকে আক্রমন করে। এ সময় মৌামাছির কামড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা অন্যান্য মৌয়ালরা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা কে.এম কবির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
    মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড

    ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড

    দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলের ঐতিহাসিক নদী যমুনা। যমুনা নদী সম্পর্কে সতীশ চন্দ্র মিত্র তাঁর যশোর খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন:

    ‘এ যমুনা সেই যমুনা
    যে যমুনার তটে ইন্দ্রপুরী তুল্য রাজপাট বসাইয়া কুরুপান্ডবে ইন্দ্রপ্রস্থ
    হস্তিনাপুরে রাঙ্গামেুয় যজ্ঞ সুসম্পন্ন করিয়া ছিলেন,
    যে কালিন্দী তটে বংশীবটে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমধর্মের অপূর্ব লীলাভিনয় হইয়া ছিল,
    যে যমুনা তীরে দিল্লী-আগ্রায়-মথুরা-প্রয়াগে হিন্দু-মুসলমান
    বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান মোঘল-ইংরেজ
    শতশত রাজ-রাজেশ্বর সমগ্র ভারতের
    রাজদভ পরিচালনা করিতেন
    এ সেই একই যমুনা।
    সেই তমালকদম্ব পরিশোভিত কোকিল কুজন মুখরিত
    নির্ম্মল সলিলে প্রবাহিত
    ভটশালিনী সুন্দর যমুনা।’

    যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে ছিল ঐতিহাসিক ও প্রত্মাত্বিক স্থাপত্য নিদর্শন, ধর্মীয় এবং লোকজ উৎসব ও সংস্কৃতি। এ ক্ষেত্রে যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বিষয়টা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে চাই। যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সংযোগ খাল, যা এক সময় স্থানীয় মৎস্য বৈচিত্র্যের আধার ছিল। খালগুলোর মধ্যে অন্যতম-ইছামতি, কদমতলী, সীমানা খাল, সোনার মোড় থেকে শরৎখানা খাল, বংশীপুর থেকে মাহমুদপুর সীমানা খাল, সোনার মোড় শ্মাশনঘাট দিয়ে সরদার বাড়ীর পশ্চিম দিক হয়ে হানারখালীর উপর দিয়ে কদমতলী সীমানা খাল, শরতখানা থেকে ভৈরব আলীর বাড়ীর দক্ষিণ দিক দিয়ে, বংশীপুর বীদগাহ সীমানা হয়ে গজলমারী, কদমতলী সীমানা খাল ও হাফরখালী শিশেল খাল ইত্যাদি।
    এ খানে অসংখ্যা বিল আছে। যেমন: নলবিল, হাফরবিল, দিঘীর বিল, কাশিপুরবিল, পশ্চিমবিল, হানরখালী বিল, মৃতঘেরী বিল, কাঁদার বিল, মাহমুদপুর চর, ফুলবাড়ির চরের বিল, চরের বিল, আঠারখানার হুলোর বিল ইত্যাদি।
    যমুনা নদীর চতুর্থ খ- ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। কাকশিয়ালী থেকে মাদার নদী পর্যন্ত যমুনা নদীর সর্বমোট ৫টি খন্ডর মধ্যে চতুর্থ খন্ডই প্রত্মাতাত্বিক নির্দশনের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এক সময় প্রবাহমান যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের দুই তীরে ছিল অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। যার মধ্যে বুরুজপোতা, বংশীপুর শাহী মসজিদ, যশোরেশ্বরী কালিমন্দির, হাম্মাম খান, শরৎবালা পুকুর, ত্রিকণা শিবমন্দির, খৃষ্টান গীর্জা, ধুমঘাট রাজধানী, জমিদারবাড়ীর চাউল ধোঁয়া পুকুর, শরতবালা স্মৃতিস্তম্ভ, জমিদার গোলাবাড়ী, শাহী মসজিদ গোরস্থান ও ঈদগাহ, সোনার মোড় শ্মশান ঘাট ইত্যাদি।
    ইতিমধ্যে ঐ সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন গুলোর অধিকাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বন্দোবস্ত বা ইজারা বাতিল করে প্রবাহ সুষ্ঠ করলে রক্ষা পাবে বিলুপ্ত প্রায় স্থাপত্য নিদর্শনগলো। অন্যথায় ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে ইতিহাস প্রদিদ্ধ ঐ সমস্ত প্রত্মতাত্বিক স্থাপত্য নির্দশন সমূহ।
    যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যান্ত পবিত্র স্থান। দেবরাজ ইন্দ্রের সহধর্মীনীর নাম বারুনী দেবী। মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে মর্তে আগামন করেন ভক্তদের সাক্ষাতের জন্য। দেবীর আগমন উপলক্ষে উক্ত তিথিতে ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়ে যমুনা নদীতে ¯œান করেন। তাদের ধারনা এই শুভদিনে বারুনী ¯œানমঙ্গল বয়ে আনবে। সেই আবহমান কালের ঐতিহ্য আজও হিন্দু ধর্মালম্বীরা পালন করে আসছে।
    নদী শুকিয়ে গেলে সভ্যতা বাঁচেনা। দখল ও দূষণ, নদী ও জলাশয়ের দুশমন। নদীর জীবনের সাথে কৃষি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব জড়িত। শ্যামনরের ঐতিহাসিক যমুনা নদীর জীবন ও স্কৃতি আজ ধবংস ও ক্ষত-বিক্ষত।
    কাকশিয়ালী থেকে মাদারনদী পর্যন্ত প্রবাহমান যমুনা নদীর সাথে সংযোগ ছিল ৪০টি খাল, ৪৪টি বিল, ৫৪টি স্থাপত্য নিদর্শন, ২৪ প্রকার লোকজ ও ধর্মীয় উৎসব। যমুনা নদী দখলের পূর্বে এ অঞ্চল ছিল স্থানীয় কৃষি প্রানবৈচিত্র্য, গবাদিপশুবৈচিত্র্য, মৎস্যবৈচিত্র্য, উদ্ভিদবৈচিত্র্য ও অসংখ্যা জলজপ্রালবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ। ভূমি, নদী ও জলাশয় দুশমনদের ভোগ বিলাসীতার জন্য চিরতরে ধবংস ও বিলুপ্ত প্রায়া। নদী ভোগ দখলের অধিকার কখনও একজন ব্যক্তির হতে পারে না। তাহলেই নদী বিপন্ন হয়ে পড়ে, যেমনটি হয়েছে যমুনা নদী উপর সকলের অধিকার প্রতিষ্টা হবে, নদী বিপন্ন হয় না, নদী হয় প্রবাহমান ও জীবন্ত।

  • শ্যামনগরে বিনাধান-১০ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস

    শ্যামনগর ব্যুরো: শনিবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরার সহযোগিতায় ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের অর্থায়নে লবন সহনশীল জাত বিনাধান-১০ এর ফসলকর্তন ও মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ এর মহাপরিচালক ড.বীরেশ কুমার গোস্বামী। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন লবনাক্ত এলাকার জন্য কৃষকদের তথ্য মতে বিনা ধান ১০ এর ফসল ভাল। এটিতে খরচ কম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম এবং সার কীটনাশক কম লাগে। তিনি জমি ফেলে না রেখে, চিংড়ী ঘেরের আইলে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন।
    বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আল-আরফাত তপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিংহের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, সাতক্ষীরা, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, বিনা ময়মনসিংহের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান, বেনেরপোতা, সাতক্ষীরার বারি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিমুল মন্ডল। সাতক্ষীরা বিনা উপকেন্দ্রের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শ্যামনগরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জি এম মাহফুজুর রহমান,ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডল,কৃষক সুশান্ত কুমার গায়েন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষক সঞ্জয় সরদারের প্রদর্শনী প্লট বিনাধান ১০ এর ফসল কর্তন করা হয় এবং জানানো হয় বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া গেছে প্রায় ২৫ মণ।

  • কাশিমাড়ীতে কৃষকলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় বিক্রির অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দলীয় কার্যালয় বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। এঘটনায় ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, বিগত কয়েকবছর পূর্বে কৃষকলীগ নেতাকর্মীদের বসার জন্য একই এলাকার আশরাফুল গাজী ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এক খ- জমি দান করেন। সে অনুযায়ী উক্ত স্থানে ঘর নির্মাণ করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি বর্তমান ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উক্ত অফিসের আর্ধেকাংশ জয়নগর এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হবির কাছে বিক্রিয় করেছেন। ইতোমধ্যে হবি সেখানে পাকা ভিত্তি নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। নেতাকর্মীরা আরো জানান, বর্তমান সভাপতি রাজ্জাক দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষকে অতীষ্ট করে তুলেছে। বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষের জমি জাল করে দখল করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে কারণে তিনি অত্র এলাকায় জাল রাজ্জাক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
    এ ঘটনায় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অফিস বিক্রয় করিনি। অফিসটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। সে কারণে হবি নিজ খরচে সেখানে ২টি পাকা ঘর নির্মাণ করবে একটিতে আমরা দলীয় কার্যক্রম চলাবো, অন্যটিতে হবি ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি মহলের অফিস বিক্রির মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
    অফিস ক্রেতা হবি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অফিস ক্রয় করিনি। সভাপতির শর্ত অনুযায়ী আমার খরচে ২টি ঘর করে একটিতে তাদের অফিস হবে অন্যটিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হবে।
    ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ রহিম বলেন, সভাপতি নিজের ক্ষমতায় অফিসটির অর্ধেক বিক্রিয় করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি আমাদের কোন ভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ নিয়ে ইউনিয়ন কৃষকলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে সভাপতির বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপিলকৃত পক্ষ-বিপক্ষ ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
    সম্প্রতি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের পরিবর্তন ঘটায়। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখ-িত রেখে শ্যামনগর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
    প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রকাশিত খসড়া গেজেটেরে বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আবেদন খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের নেতাসহ আটক-৪০

    পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের নেতাসহ আটক-৪০

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ১ নেতাসহ ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
    গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    আটককৃতদের মধ্যে, সদর থানা থেকে ৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • কাশিমাড়ীতে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    কাশিমাড়ীতে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: সেচ্চাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম কাশিমাড়ী ইউনিট এর আয়োজনে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে কাশিমাড়ী বাজার সংলগ্ন হলরুমে উক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবঃপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সেপেক্টর টি এম সোহরাব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান টি এম নুরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অবঃপ্রাপ্ত সেনা কর্পোরাল গোলাম সারোয়ার, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন, ইউপি সদস্যা মিসেস পাপিয়া হক, সাংবাদিক ডি এম আব্দুল¬াহ আল মামুন, কাশিমাড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আজগর হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম কাশিমাড়ী ইউনিট সভাপতি মাকছুদুর রহমান মিলন।

  • কালিগঞ্জ উপজেলা অখ- রাখার পক্ষে ইসির শুনানীতে মতামত তুলে ধরতে ঢাকা যাচ্ছেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ৫০সদস্যের প্রতিনিধি দল

    কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: নির্বাচনী এলাকা ১০৮, সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনে অখ-িত রাখার বিষয়ে নির্বাচন অফিস ঢাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শুনানির দিন নির্ধারিত হওয়ায় কালিগঞ্জে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টায় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সভায় সাতক্ষীরা ৪ নির্বাচনী এলাকার কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ-িত রাখার বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সুধি ব্যাক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামান। সভায় কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নকে সংসদীয় আসনে অখন্ডিত রাখার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খান আছাদুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পাটির সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র শেখ মেহেদী হাসান সুমন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কালিগঞ্জ সোহরোওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফা কবিরুজ্জামান মন্টু, মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ, কুশলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাউফিল উরা সজল, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জি, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিরাঞ্জন কুমার পাল বাচ্চু, অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়জ কওছার তুহিন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেবুর নাহার জেবু, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, উপজেলা যুব মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফতেমা ইসলাম রিক্তা, কালিগঞ্জ উপজেলা মেম্বর এ্যাসোশিয়নের সভাপতি ও তারালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান, মেম্বর আব্দুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগ, সাবেক সভাপতি গৌতম কুমার লস্কর, জাতীয় শ্রমিকলীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খোদেজা খাতুন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি তৈহিদুর রহমান প্রমুখ। সভায় সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনের সীমানা ইসি কর্তৃক পূণঃনির্ধারন করায় ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে ইসির সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে ১৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কতৃক সীমানা পূণঃনির্ধানের বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ইসির শুনানীতে কালিগঞ্জ থেকে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামানের নেতৃত্বে ঢাকায় যাবেন। নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের শুনানীতে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে সাতক্ষীরা ৪ আসনের ইসির কতৃক পূণঃনির্ধারিত সীমানা বলবৎ রাখার যৌক্তিক কারণগুলো তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় আইনজীবী নিয়োগ দেবেন।
    সভায় বলা হয়, কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ভাগ হয়ে সাতক্ষীর ৪ ও সাতক্ষীরা ৩ আসনে বিভাক্ত করে নির্বাচনী এলাকা বিগত দু’নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনোত্তর এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষেও স্বাভাভিকভাবে কার্যক্রম করা বেশ দূরহ হয়ে উঠে। এহেন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বিজ্ঞতার সাথে প্রশাসনিক এলাকা বিভক্ত না রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছেন সেজন্য সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সকল নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

  • শ্যামনগরে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

    শ্যামনগরে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও ভাব বাংলাদেশের আয়োজনে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার জোবেদা সোহরাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাব-বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এ আলিম খাঁন, প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আবুবক্কর সিদ্দিক প্রিন্স, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক জয়দেব বিশ^াস প্রমুখ। প্রশিক্ষণে ত্রিপাণি বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ, ভেটখালী এ করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যা নিকেতন, রমজাননগর ইউনিয়ন তোফাজ্জেল বিদ্যাপীঠ, শওকতনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূরুলিয়া নাগবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

  • যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): যথাগোগ্য মর্যাদা জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলাব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদের সমন্বয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    জেলায় ঐতিহাসিক মুুজিবনগর দিবস পালনের প্রধান কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^াস সুদেব কুমার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক মিসেস মোনয়ারা খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. জাকির হোসেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ:
    ঐতিহাসিক মুজিনগর দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন, আর এসি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফীন, ইংরেজি’র ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল’র ইন্সট্রাক্টর ধর্মদাস সরকার, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর রঞ্জন কুমার সরকার, পদার্থের ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা বাকী বিল্লাহ, আর এসি’র ইন্সট্রাক্টর শেখ আব্দুল আলম, রসায়নের ইন্সট্রাক্টর শংকর প্রসাদ দত্ত, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(কম্পিউটার) মাসুদ রানা, জুনিয়ার ইন্সট্রাক্টর (ফার্ম মেশিনারী) অজিহার রহমান, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক বিষ্ণ চন্দ্র পাল এবং ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর(সপ)’র গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ভাষা শিক্ষক(বাংলা ও সমাজবিজ্ঞান) শরিফুল ইসলাম।
    পলাশপোল স্কুল:
    পলাশপোল স্কুলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে মাওঃ আনারুল হাসান, সুদর্শন ব্যানার্জী, মঙ্গল কুমার পাল, জাহাঙ্গীর আলম, ইসরাইল আলম, রোকেয়া খাতুন, রেহেনা খাতুন, কানিজ ফাতেমা, রাজিয়া খাতুন, সাবিনা খাতুনসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় বক্তারা বলেন, আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা এদেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। পারতাম না স্বাধীনভাবে চলাচল ও চাকুরি করতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
    আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা:
    সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র উদ্যোগে ঐতিহাসিক ১৭এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ইংরেজি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, আহছানিয়া মাল্টি কমপ্লেক্স এর ত্বাবধায়ক আবু সোয়েব এ্যাবেল, সদস্য কাজি আমিরুল হক আহাদ প্রমুখ। এসময় বাংলা প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, আরবী প্রভাষক বৃন্দ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা:
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, মাস্টার আবুল হোসেন, মাও. কামরুল ইসলাম, শিক্ষক আদিত্য ঘোষ, শিরিনা খাতুন, তানজিলা খাতুন, নজরুল ইসলাম গউসুল আযম প্রমুখ।
    জেলা কৃষকলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কাটিয়া বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড. নওশের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আতিয়ার রহমান, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কৃষকলীগের আব্দুল খালেক মাস্টার, লাবসা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক রবিন মল্লিক, আগরদাড়ি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ঢালী, ঘোনা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, সরুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম।
    জেলা ছাত্রলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইদুজ্জামান জিকো, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শিমুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান মুকুল সহ জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ:
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে মুজিবনগর জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কামালনগরস্থ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সেলিম হোসেনের সঞ্চলনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সাংগঠনিক আমিনুর ইসলাম সেলিম,সমাজকল্যাণ সম্পাদক আঃ আলিম, কুটির শিল্প সম্পাদক মোচ্ছাক সরদার, পৌর শাখার সভাপতি আঃ আলিম, সহ- সভাপতি আঃ বারী, আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি নুরলআমিন, ৬নং পৌর আবুল হোসেন, ৪নং পৌর সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন বাবু, ফিংড়ি আহবায়ক আহছান হাবিব, সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য আজিজুল, সদর শাখা মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর সাংগঠনিক মিজান, পৌর ওয়ার্ড শাখার ফরমান সরদার,শহিদুল, জাকির হোসেন পল্টু, মোসা গাঈন, তাজিম, মাজেদ, শহিদুল, আগরদাড়ী আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব হেলাল, জাহিদ, রহমত, কালু,ইউপি সদস্য আঃ গফুর সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। আলোচনার শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরত কামনা করা হয়।
    তালা:
    সাতক্ষীরার তালায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা থানার (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    এ সময় মুজিবনগর দিবসের ওপর একটি বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    দেবহাটা:
    দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দীন, উপজেলার সখিপুর সাব রেজিস্টার পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জী, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন প্রমুখ। বক্তারা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজে দিবসটি পালন করা হয়। কলেজে র‌্যালি শেষে অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আকবর আলী, সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার, সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
    আশাশুনি:
    আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসাবে চিত্র প্রদর্শনী শেষে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দবিস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, সমবায় অফিসার জি এম আনছারুল আজাদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্œ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

    কালিগঞ্জ:
    কালিগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মেদ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর নগর দিবসের উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
    চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসা:
    বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। তার ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসার হল রুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন আরবী প্রভাষক শহিদুল্যাহ, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ জুবাইর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আঃ জব্বার । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা প্রভাষক মোঃ নুরুল আমিন।
    শ্যামনগর:
    ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুর ২টায় শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এর আয়োজনে কলেজের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জি,এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক সুশান্ত কুমার বাবু লাল, নুরুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। সভায় কলেজের সকল প্রভাষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকাল ৪টায় উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবি রঞ্জন মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি,এম আকবর কবির, উপদেষ্টা আফজালুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী প্রমুখ। এ সময় সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    বিকাল ৫টায় শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শোকর আলী, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন, প্রভাষক সাঈদুজ্জামান সাঈদ, স ম আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, সুশান্ত কুমার বাবু লাল, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান টুটুল, ছাত্রনেতা আল-মামুন লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • জামায়াতের রোকনসহ জেলায় আটক-৩৮

    জামায়াতের রোকনসহ জেলায় আটক-৩৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের রোকন মো.আব্দুল আজিজসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১১ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৫ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।