শ্যামনগর ব্যুরো ঃ প্রকাশ বৃটিশ কাউন্সিল ও প্রগতির সহযোগিতায় এবং সিএসআরএল ও জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে আগামী বিভিন্ন কার্যক্রম সমূহের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় প্রগতির কার্যালয়ে জলবায়ু পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জলবায়ু পরিষদের সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় এবং জলবায়ু পরিষদের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুপর্ণা, সদস্য রফিকুল ইসলাম ও সদস্য বেল্লাল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এফজিডির শেয়ারিং মিটিং, আইলা দিবস পালন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, ইউপি নারী সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভা, জলবায়ু মেলা এ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে সম্ভাব্য সময় নির্ধারন করা হয়। এসকল বিষয়ে সামগ্রিক মতামত পেশ করেন উপস্থিতিদের মধ্যে জলবায়ু পরিষদের সদস্য শেখ হারুণ-অর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক আবু সাঈদ, সাংবাদিক আনিছুজ্জামন সুমন, সাংবাদিক আবু তালেব, ডাঃ আলী আশরাফ, চন্দ্রিকা ব্যানার্জি, শম্পা গোস্বামী, এ্যাড. মনসুর রহমান, পিজুস বাউলিয়া পিন্টু সহ জলবায়ু পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও ভলেন্টিয়ারবৃন্দ।
Category: শ্যামনগর
-

শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
-
লিডার্স এর আয়োজনে ইউনিয়ন যুব ফোরাম গঠন
বেসরকারী সংস্থা লিডার্স এর আয়োজনে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে ইয়্যুথ মোবিলাইজেশন ফর সোসাল চেঞ্জ কার্যক্রমের আওতায় ইউনিয়ন যুব ফোরাম গঠন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাশিমাড়ী আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে আলোচিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লিডার্স এর পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন ৭,৮ও ৯নং ওয়ার্ড এর মহিলা সদস্য মোসা রওশান আরা বিথি , লিডার্স এর প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী হরিদাস কুমার ঢালী,ফিল্ড ফ্যাসলিটেটর শ্যামল কুমার মন্ডল, মোঃ সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল বলেন,“বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এই ইউনিয়নের যুবদের সংগঠিত করে সমাজ পরিবর্তনের যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন সেটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রানিত একটি আদর্শ সমাজে গঠনে সহায়ক হবে। লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন,“ বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যুবরা সমাজের পরিবর্তনে কার্যকারী ভুমিকা পালন করবে এবং নারী ও শিশু সহ সকল সচেতন নাগরিক সামাজিক নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপন করতে সমর্থ হবে। প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুল হাই বলেন,“ সমাজ পরিবর্তনে যুবদেরকে কাজে লাগাতে পারলেই এদেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হবে। যুব সমাজের বিকাশের মাধ্যমে এদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথ প্রসস্ত হবে । ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায় এই বিকশিত নেতৃত্ব আমাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে সঠিক পথ দেখাবে। উক্ত সভায় ৯সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয় । -

শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের বিশ্ব পানি দিবস উদযাপিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ কাউকে পিছনে ফেলে নয়-“পানি সবার অধিকার, বাদ রবে না কেউ আর” এই প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিষদ দিনব্যাপী র্যালী, আলোচনা সভা সহ অন্যান্য কর্মসুচীর মাধ্যমে বিশ^ পানি দিবস-২০১৯ উদযাপন করে। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজামানের নেতৃত্বে এক বর্নাঢ্য র্যালী শ্যামনগর সদরের প্রধান প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজজামান। অন্যান্যদের ,মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুখ হোসাইন সাগর, পাউবো শ্যামনগরের কর্মকর্তা মাসুদ রানা, ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান প্রমুখ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সদস্য ও ভলান্টিয়ার বৃন্দ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।
অপর দিকে বিকাল ৪ টায় জলবায়ু পরিষদ কার্যালয়ে জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে শ্যামনগর উপজেলার সুপেয় পানির সংকট নিরসন, প্রকল্প প্রস্তাবনা, বিলবোর্ড স্থাপন, পুকুর খনন ও পুন:খনন এবং তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে মত বিনিময় করা হয়। মত বিনিময় সভায় জনস্বাাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগর যৌথভাবে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সভাপতি, মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য, শেখ-হারুন-অর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, শাহানা হামিদ, রনজিত বর্মন, এ্যাড. মুনসুর রহমান, দেবপ্রসাদ মন্ডল সহ অন্যান্য সদস্য ও ভলোন্টিয়ারবৃন্দ। -
শ্যামনগরের কৈখালীতে সুপেয় পানির অভাব
কৈখালী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত শ্যামনগর উপজেলা। এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে সুপেয় পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে৷ পানি সংকটে দিন কাটছে তাদের। জীবিকা নির্বাহ করার জন্য সারা দিন হাড় ভাঙা পরিশ্রম করার পরেও মাইলের পর মাইল যেতে হয় খাবার পানি সংগ্রহ করতে। তাছাড়াও গরমের মৌসুমে পানির কারণে শিশু, বৃদ্ধাসহ অনেক মানুষের ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
জানা যায়, আইলা কবলিত শ্যামনগর উপজেলায় লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে সুপেয় খাবার পানির তীব্র সংকট। শ্যামনগরের কৈখালী, গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগরসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে এই সমস্যা প্রকট। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে জানালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসি৷অনেক সময় দেখা যায় নারীরা দিনের এক বেলা অর্থ উপার্জন করলেও আরেক বেলা কেটে যায় ৩/৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি সংগ্রহের কাজে। এলাকাটি সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় পানি লবণাক্ত। তাই দল বেঁধে বাড়ির নারীরা পানি সংগ্রহ করতে যায় দূরে কোথাও। পানি সংকট নিরসনে সরকারি বেসরকারি দপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন তারা। -

কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরদের প্রশিক্ষণ
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলায় নকশীকাঁথার আয়োজনে নিজস্ব কার্যালয়ে ভিএসও বাংলাদেশের সহায়তায় বিগলটারী ফান্ডের অর্থায়নে কাশিমাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে এক ওরিয়েন্টশনের আয়োজন করা হয়।
কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টশনে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে প্রধান অতিথির বক্তব্য সহ প্রশিক্ষকের বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক হোসাইন সাগর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য সুধাংশু মন্ডল,সীতা রানী বৈদ্য,রওশনয়ারা বীথি প্রমুখ। -

শ্যামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ সমতা ও সংহতি নির্ভর সার্বজনিন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে শ্যামনগর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১০ টায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি র্যালি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে স্বাস্থ্য বিভাগ চত্ত্বরে আলোচনা সভায় হাজির হয়। আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা অজয় কুমার সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, প.প কর্মকর্তা শাকির হোসেন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর কর্মকর্তাগণ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। -

শ্যামনগরে আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া দিবস পালনের লক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ৬ মার্চ সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও এনজিও সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা চত্ত্বর থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্ত্বরে আলোচনা সভায় ফিরে আসে। এখানে এনজিও সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক গাজী আল ইমরানের পরিচালনায় উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, আলোচনা সভার সভাপতি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন
নিজস্ব প্রতিনিধি : জনগন তাদের ভোট দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করেছেন। আমি তাদের কাছে ঋণি ও কৃতজ্ঞ। আর এজন্য আমার দায়িত্বকাল আগামী ৫ বছর যাবত আমি জনগনের কাছেই থাকতে চাই। তাদের হাসিকান্না ও সুখ দুঃখকে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।
বিজয়ীর বেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে অনির্ধারিত শুভেচ্ছা মতবিনিময়কালে একথা বলেন দক্ষিন উপকূলের সুন্দরবন লাগোয়া শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন। তিনি বলেন, আমি আমার এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। আমার দায়িত্বকালে এসব সমস্যার সমাধানে বিশেষ করে বেড়ি বাঁধের উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবেলা , সুপেয় পানি এবং দুর্যোগ কবলিত মানুষের পুনর্বাসনে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবো। সুন্দরবন এলাকাকে পর্যটন শিল্প হিসাবে গড়ে তোলার দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সাধ্যমত কাজ করবো। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতিও আমার মনোযোগ থাকবে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসার পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিকবৃন্দ। এসময় তাকে স্বাগত জানিয়ে আরও বক্তৃতা করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী। চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন তার রাজনৈতিক সহকর্মী গোলাম মোস্তফাকে সাথে নিয়ে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে মিষ্টি দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। -
শ্যামনগরে বৃদ্ধ পিতাকে ব্যবহার করে ভাই-বোনদের সম্পত্তি আত্মসাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগরে বৃদ্ধ পিতাকে ব্যবহার করে ভুল বুঝিয়ে আত্মসাতের চেষ্টায় দুই ভাই ষড়যন্ত্র করে অপর একভাই ও ৫ বোনের শরীক অংশ আত্মসাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে বোনদের পক্ষে বড় ভাই শ্যামনগর সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড় ভাই হাজী শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী গ্রামের এম এম সামসুল হকের ৪ পুত্র ও ৫ কন্যা। শাহাদাৎ হোসেন সামছুল হকের বড় পুত্র। পিতা সামছুল হক নওয়াবেঁকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিল। বর্তমান তিনি ৯৫ বছরের বৃদ্ধ ও মতিভ্রম হয়ে পড়েছেন। এ সুযোগে পরসম্পদ লোভী দুই ভাই এম এম সাইফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান বৃদ্ধ ও মতিভ্রম পিতাকে ব্যবহার করে অন্য ভাইবোনদের শরীক অংশ আত্মসাতের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ষড়যন্ত্র করে আটুলিয়া ও নওয়াবেঁকী মৌজার জেএল নং- ১০৭ ও ১০৮, ডিপি খতিয়ান- ৬২২,৪৪৫, সাবেক দাগ- ৫০৯৯, ৫০৯৫, হাল দাগ- ১০৮৫, ১০৮৪, ১০৮৩, ১০৯১, জমির পরিমান ৬ একর ৭ শতক সম্পত্তিতে তাদের শরীক অংশ যাহাতে আত্মসাৎ করতে না পারে সে দাবিতে সেলিনা আক্তার, নার্গিস আক্তার, নাসরিন আক্তার, নাজমা আক্তার ও কামরুন নাহার-এ ৫ বোনের পক্ষে বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সাব রেজিষ্ট্রার শ্যামনগর বরাবর অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। -

শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালিনী বন অফিসে মধু আহরন উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ “সচেতন বনজীবি নিরাপদ সুন্দরবন”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জ সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে এবং আই ইউসিএন, কেএফ ডব্লু, সোনার বাংলা শপিং সেন্টার, ওয়ার্ল্ড টিম, আলওয়াল ও বেডস্-এর যৌথ সহযোগীতায় পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে মধু আহরন উদ্বোধনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায়ে গতকাল ১ এপ্রিল ১৮ চৈত্র সোমবার সকাল ১০ টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বসিরুল-আল-মামুন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন সংরক্ষন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নব নির্বাচিত শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন-উল-মুলক, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জিএম মাছুদুল আলম, বেডস্ এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন শান্তুনু বিশ্বাস, সোনার বাংলা শপিং সেন্টারের পক্ষে নাজমুস-সাদাত পালাশ, ওয়ার্ল্ড টিভির পক্ষে মঈনুল ইসলাম, যমুনা টিভির পক্ষে গাজী আহসান, গাজী সালাউদ্দীন বাপ্পি, বনজীবিদের পক্ষে ইকবাল হোসেন মন্টু। বনজীবিদের পক্ষে ইকবাল হোসেন মন্টু তার বক্তেব্যে বলেন- তারা মহাজনের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে মাত্র ১৫ দিন মেয়াদে পাশ দিলে এবং মাথাপিছু ৫০ কেজি মধু আহরনের টার্গেট বেধে দিলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারবে না, মহাজনের নিকট ঋণী হয়ে যাবে বলে মেয়াদ বাড়ানো ও টার্গেট বেধে না দেওয়ার দাবি জানায়। তিনি আরও দাবি জানাই, যদি পাশ গুলো দিয়ে তাদের একসাথে ছাড়া না হয় তাহলে যারা পিছে যাবে তারা মধু পাবে না বা কম পাবে। অতিথিগণের বক্তেব্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে মৌয়ালিদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান। সভাপতি তার বক্তেব্যে পরবর্তীতে মৌয়ালীদের উর্থাপিত দাবী রক্ষা করার আহবান জানান। আলোচনা শেষে মধু সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরষ্কার দেন অতিথিবৃন্দ। এরপর অতিথিগণ বন বিভাগের সহযোগীতায় মৌচাক থেকে মধু আহরনের দৃশ্য দেখার জন্য কলাগাছিয়া বনফাঁড়িতে যান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এসও বেল্লাল হোসেন। -

শ্যামনগরে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা হাজী কুরবান আলী সরদারের নামে হলো শ্যামনগরের বাস টার্মিনাল : উদ্বোধন করলেন এমপি এস এম জগলুল হায়দার
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগরে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা হাজী কুরবান আলী সরদারের নামে শ্যামনগরের বাস টারমিনালের নাম করা হয়। গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪ টায় হাজী কুরবান আলী সরদারের নামে শ্যামনগরের বাস টারমিনালের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা -৪ এর এমপি এস এম জগলুল হায়দার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটিতে দৈনিক দক্ষিনের মশাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাবেক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু, কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ রউফ, কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহিম, কালিগঞ্জ বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, সাধারন সম্পাদক আবু তাহের, শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি কামরুল হায়দার নান্টু, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, শ্রমিক ইউনিয়ন শ্যামনগর শাখার সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন, সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আঃ মজিদ, পরিবহন কাউন্টার সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম বাবু, এছাড়া এমপি মহোদয়ের সাথে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রেজওয়ানুল আজাদ নিপুন। অনুষ্ঠান শেষে মামুন পরিবহন যাত্রী নিয়ে ঢাকা অভিমুখে উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে। -

শ্যামনগরে জলবায়ু সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আদি যমুনা নদী পরিষ্কার কর্মসূচি
শ্যামনগর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্যামনগরে উদযাপিত হচ্ছে জলবায়ু সপ্তাহ-২০১৯ এরই অংশ হিসেবে ২৯ মার্চ সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আদি যমুনা নদী পরিস্কার কর্মসূচি পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে জলবায়ু পরিষদের কর্মীরা স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপী আদি যমুনা নদীর আর্বজনা পরিস্কার কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এসময় উপজেলা জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদ। জলবায়ু পরিষদ কর্মী সুপর্ণা কর্মকারের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক নিদর্শন এই আদি যমুনা মৃত্যু প্রায়। একে পুনরুদ্ধার ও প্রবাহ মান করতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বক্তারা এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
-

শ্যামনগরে ২৭-৩১ মার্চ জলবায়ু সপ্তাহ উদ্বোধন
শ্যামনগর ব্যুরো: জলবায়ু সুশাসনের দাবিতে বুধবার শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের অনুপ্রেরনায় সপ্তাহ ব্যাপী জলবায়ু সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের শুরুতেই শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জলবায়ু সপ্তাহের যুবদের স্যাইকেল র্যালীর পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভ্ূমি সুজন সরকার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান, জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য সচিব, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, দেব প্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্যাইকেল র্যালী সহকারে জলবায়ু অর্থায়ন ও দুর্যোগ প্রশমনে ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্ররিকল্পনা প্রনয়ন করা, উপজেলার সকল জলবায়ু প্রকল্পের বিল বোড স্থাপন করা, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং দুর্যোগ প্রবন অঞ্চলে অগ্রাধিকার দিয়ে তহবিল বরাদ্দ করা, সকলের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা, উপকুলীয় নিরাপত্তার জন্য বাঁধ সহ সকল গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামোত করার কাজে স্থানীয় সরকারকে অন্তভূক্ত করার দাবীসহ অন্যান্য দাবীতে জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর ও গ্রুপ নের্তৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক সহ স্থানীয়দের অংশগ্রহণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার, শ্যামনগর সরকারী মহাসীন কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জুলফিকার আল মেহেদী লিটন এবং বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারক লিপি প্রদান কালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার সহ অন্যান্যরা প্রস্তাবিত দাবীর সাথে একমত পোষন করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি, এ.কে. ফজলুল হক, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম. আতাউল হক দোলন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস.এম.মহাসীন উল মূলক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলিসহ প্রমুখ। জলবায়ু সপ্তাহের প্রথম দিনেই ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য বাজনা সহকারে যুবরা সুন্দরবন সংলগ্ন নীলডুমুর খেয়াঘাট, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয় ও গাবুরার ইউপির দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প সংলগ্ন পুকুর পাড়ে জলবায়ু সুশাষন ও ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন করা হয় এবং মানববন্ধনে স্থানীয়রা একমত পোষন করে অংশগ্রহণ করে। জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে ২৭-৩১ মার্চ’১৯ পর্যন্ত জলবায়ু সপ্তাহে জলবায়ু সুশাসন বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল ২৮ মার্চ দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়। -

শ্যামনগরে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত
শ্যামনগর ব্যুরো: “এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয় এবং সহযোগী সংস্থা সমূহের আয়োজনে শ্যামনগরে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস- ২০১৯ পালিত হয়েছে। ২৭ মার্চ সকাল ১০ টায় শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সেকশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় হাজির হয়। ব্র্যাকের উপজেলা ম্যানেজার (টিবি) মোঃ আলাউদ্দীনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভায় মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেদওয়ান রাইসুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ রুহুল আমিন, মোঃ হাবিবুর রহমান, অর্পনা কর্মকার প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, দিবস পালন মানে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া যক্ষ্মা রোগের লক্ষন ও চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে আলোচনা করেন। বক্তাগণ আরও বলেন বিনামূল্যে প্রতিদিন ১১৫ জন যক্ষ্মা রোগীকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
-

জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন ও ন্যায্যতার দাবিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও জলবায়ু সপ্তাহের উদ্বোধন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জলবায়ু সুশাসনের দাবিতে বুধবার শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের অনুপ্রেরনায় সপ্তাহ ব্যাপী জলবায়ু সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের শুরুতেই শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জলবায়ু সপ্তাহের যুবদের স্যাইকেল র্যালীর পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভ্ূমি সুজন সরকার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান, জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য সচিব, আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, দেব প্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্যাইকেল র্যালী সহকারে জলবায়ু অর্থায়ন ও দুর্যোগ প্রশমনে ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্ররিকল্পনা প্রনয়ন করা, উপজেলার সকল জলবায়ু প্রকল্পের বিল বোড স্থাপন করা, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং দুর্যোগ প্রবন অঞ্চলে অগ্রাধিকার দিয়ে তহবিল বরাদ্দ করা, সকলের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা, উপকুলীয় নিরাপত্তার জন্য বাঁধ সহ সকল গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামোত করার কাজে স্থানীয় সরকারকে অন্তভূক্ত করার দাবীসহ অন্যান্য দাবীতে জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর ও গ্রুপ নের্তৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক সহ স্থানীয়দের অংশগ্রহণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার, শ্যামনগর সরকারী মহাসীন কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জুলফিকার আল মেহেদী লিটন এবং বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারক লিপি প্রদান কালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার সহ অন্যান্যরা প্রস্তাবিত দাবীর সাথে একমত পোষন করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি, এ.কে. ফজলুল হক, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম. আতাউল হক দোলন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস.এম.মহাসীন উল মূলক ও মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলিসহ প্রমুখ। জলবায়ু সপ্তাহের প্রথম দিনেই ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য বাজনা সহকারে যুবরা সুন্দরবন সংলগ্ন নীলডুমুর খেয়াঘাট, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয় ও গাবুরার ইউপির দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প সংলগ্ন পুকুর পাড়ে জলবায়ু সুশাষন ও ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন করা হয় এবং মানববন্ধনে স্থানীয়রা একমত পোষন করে অংশগ্রহণ করে। জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে ২৭-৩১ মার্চ’১৯ পর্যন্ত জলবায়ু সপ্তাহে জলবায়ু সুশাসন বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে। -
শ্যামনগরের উপকুলজুড়ে খাবার পানির জন্যহা-হা-কা-র
বৃষ্টির পানি শেষ হয়েছে আরও আগে। গতদুই মাসধরে পুকুরের পানি খাচ্ছি।কিন্তু পানিকমে যাওয়ায়এখন ঘোলাআর দুর্গন্ধযুক্ত পানি খেয়ে প্রাণে বাঁচতেছি।কথাগুলো উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলার খাগড়াঘাট গ্রামেরষাটোর্ধ বয়সীআমিরণ বিবির।
তার সাথে থাকা গৃহবধূ তাসলিমা বেগম জানালেন তিন কিঃমিঃ দূরবর্তী কাশিপুর গ্রামথেকে খাবার জন্য পানি নিতে এসেছেন।সাত সদস্যের পরিবারের জন্য সকাল বিকাল দুই বারতাকে এইদীর্ঘ পথপাড়ি দিয়েব্যবহার অযোগ্যপানি টেনেনিতে হয়খাওয়ার জন্য।
তবে এমন দৃশ্য কেবল ওই খাগড়াঘাট গ্রামে নয়। বরংশ্যামনগর উপজেলার হেঞ্চি, তালবাড়িয়া,কাঁঠালবাড়িয়াসহ গোটা উপকূলীয় জনপদজুড়ে। সর্বত্রই সুপেয় খাবার পানির জন্য রীতিমত হা-হা-কা-র চলছে।
স্থানীয়দের দাবি উপকূলীয়এ জনপদে গভীর ওঅগভীর নলকূপ সফল না হওয়া, আরডব্লিউএইচ,পিএসএফসমুহ যথাযথভাবে কাজ না করা সহনানাবিধ কারণে এলাকাবাসীর খাবার পানির প্রধান উৎস বৃষ্টির পানি।
কিন্তু বছরের অর্ধেকটা সময় বৃষ্টির পানি দিয়ে চললেও বাকি সময় তারা পুকুরের পানি ব্যবহার করে।কিন্তু দিনেদিনে পুকুরের পানিও কমে যাওয়ায় এখন কর্দমাক্ত আর দুর্গন্ধময় পানিই তাদের একমাত্র ভরসা।
এদিকে খাবার পানি নিয়ে উপকূলবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে এক বছর আগে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পুকুর,দীঘি, জলাশয় পুনঃখনন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর সমুহের সমন্বয়হীনতায় পানি সংরক্ষণসহ নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যেগৃহীত ওইপরিকল্পনা শুরুতে হোঁচট খেতে বসেছে।
যদিও কর্তৃপক্ষেরদাবি দুইএকটি স্থানে সমস্যা হলেও দ্রুতই বাকি প্রকল্পসমুহ পুরোপুরি কাযার্দেশ অনুযায়ী সম্পন্নহবে।ভেটখালী গ্রামের সুষমামন্ডল ওসুধা রানীজানান আইলারপর থেকে প্রায় চার কিঃমিঃ দুরের শেখবাড়ির দীঘি থেকে তারা গোটা গ্রীস্মকাল জুড়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতো। তিন চার বছর আগে বিদেশী সংস্থা জাইকা’র পক্ষে স্থানীয় ঈশ্বরীপুর ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) রাস্তা জুড়ে পাইপযোগে বসতবাড়ির সামনে পানি টেনে আনার ব্যবস্থা করে।
কিন্তু এক বছরের মধ্যে পাইপসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন আবারও প্রখররৌদ্রের মধ্যেওই দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহকরতে হচ্ছে। তবে গতকিছুদিন ধরে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় এখন কাদাযুক্ত পানি খেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। গরম বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়ার অভিযোগও তাদের।
কাঠাঁলবাড়িয়া গ্রামের প্রভাষক সুভাস মন্ডলএবং মুজিবর রহমানসহ স্থানীয় রাজানান খুটিকাটা,কাঠালবাড়িয়া, কাছিহারানিসহ পাঁচ গ্রামের মানুষেরগ্রীষ্ম কালের একমাত্র পানির উৎস কাঁঠালবাড়িয়া সরকারি দীঘি। কিন্তু পুকুরটি খননের জন্য শুকিয়ে দেয়ায় এখন সাত,আট কিঃমিঃ দূরবর্তী বিভিন্ন পুকুর থেকে পানিসংগ্রহ করতে হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দুরত্ব ভেদে কলস প্রতিদশ থেকেত্রিশ টাকা পর্যন্ত মজুরী দিয়ে পানি সংগ্রহের কথা জানান তারা।গ্রামাঞ্চল আর প্রত্যন্ত জনপদে বসবাস করেও টাকা দিয়ে পানি কিনে খাবার প্রায় অভিন্ন অভিযোগ তোলেন ছোটকুপোট, আটুলিয়াসহ আরও অনেক গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ।তাদের দাবি‘ভাত রুটিনা খেয়েও এক বেলা থাকা যায়।কিন্তু পানি ছাড়া একমুহূর্ত কাটেনা’। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে পানি বিশত্রিশ টাকায়প্রতি কলস কিনতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পুকুরের কর্দমাক্ত,দুর্গন্ধময় আর লবণ পানি খাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
কাঁচড়াহাটি গ্রামের প্রভাষ মন্ডল জানায় নিজে দিনমুজরের কাজ করে। কিন্তুএলাকার পুকুরের পানি কমে গন্ধ আর ঘোলা হয়ে যাওয়ায় এখন তাকেও টাকা দিয়ে পানি কিনে খেতে হচ্ছে। এমনদৃশ্য প্রায়গোটা উপকুলজুড়ে। খাবার উপযোগী একটু পানির জন্য তারা গ্রীষ্মের শুরু থেকে লড়াই করছে বলে জানান।উপকুলবাসীর খাবার পানিরএ সমস্যা দীর্ঘদিনের। খাবার পানি নিয়ে উপকুলবাসীর সমস্যা নিরসনেএক বছরআগে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় পুকুর, দীঘি,জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।যার অংশ হিসেবে উপকূলীয়এ জনপদে প্রথম পযার্য়ে ৫৭টি পুকুরপুনঃখননের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যেখানে নুন্যতম ১৯লাখ থেকে সবোর্চ্চ ৬৮লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতিটি পুকুরের জন্য।
এদিকে খাবারউপযোগী পানির সমস্যা নিরসনে গৃহীত এপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরুতে বিপত্তি দেখাদিয়েছে। জেলাপরিষদের পুকুর দাবি করে প্রকল্প বরাদ্দ দেয়ার পর কিছু পুকুরের মালিকানা দাবি করেছে স্থানীয়রা।তাদের অভিযোগ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে জেলাপরিষদ তাদের পৈত্রিক পুকুর কে সরকারি পুকুর উল্লেখ করে প্রস্তাবনা পাঠায়। ফলে সরকারি উদ্যোগে এসব পুকুর পুনঃখনন নিয়ে সমস্যার সৃষ্টিহচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ঠিকাদার নিয়োগের পরও ভুরুলিয়ার কাটিবারহল গ্রামে ১৬১ নং সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন পুকুরটির খনন কাজ শুরতেই বন্ধহয়ে গেছে। জেলা পরিষদ উক্ত পুকুর নিজেদের দাবিকরে পুনঃখননের প্রস্তাবনা পাঠালেও স্থানীয়রা দাবি করেছে এটা তাদের পৈত্রিক পুকুর।একই বিদ্যালয়ের সভাপতিশেখ মহিউদ্দীন জানান জেলাপরিষদ শুরুতে এটি তাদের পুকুর বলে দাবি করলেও কাগজপত্র দেখে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে গেছে। ভুল তথ্যে জেলাপরিষদ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তাদের ওইপুকুর সরকারি তালিকাভুক্ত করেছিল। প্রায় অভিন্ন অবস্থাসৃষ্টি হয়েছে কৈখালীর খোসালপুর সরকারি দীঘিকে কেন্দ্র করে। জেলা পরিষদ সম্প্রতি সেখানে কাজ শুরু করলেও জনৈক আশেক এলাহী উক্ত পুকুর নিজের দাবি করায় সেখানকার খনন কাজওবন্ধ হয়ে গেছে।
একই ভাবে নুরনগরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সরকারি দীঘি নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে মতপার্থক্যের কারণে আপাতত সেসব এলাকায় সরকারি উদ্যোগে পুকুর খননের কাজ বন্ধ হওয়ায় খাবার পানি নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বলে জানান কৈখালীর ইউপিসদস্য অসীমকুমার মন্ডলসহ কাটিবারহল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।এদিকে সরেজমিনে কাঠালবাড়িয়া সরকারি দীঘি পরিদর্শনে যেয়ে দেখা গেছে নানা অনিয়মের মধ্যেই শুরু হয়েছে পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ। কাজ শুরুর তারিখ থেকে সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদকাল এমনকি কাজের ধরন কিংবা প্রাক্কালিত ব্যয়সহ কোন ধরনের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড সেখানে লাগানো হয়নি।
পুকুরটি খনন কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা কালিদাস সরকার জানান, তিনি দীর্ঘদিন জেলাপরিষদ থেকে পুকুরটি ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন।তাই প্রকল্প অনুমোদনের পর কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার তাকে খনন কাজ তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে।
জানা যায় পুকুরটি পূর্বেকার পাড় হতে ১৮ ফুটগভীর হওয়ার কথা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে পাড়ের উপর দুই,তিন ফুট মাটি ফেলেওই গভীরতা অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী অনিলমন্ডল, সুধাংশুও আব্দুর রশিদ জানায় কত টাকা বরাদ্দ কিংবা কাজের মেয়াদকাল সম্পর্কিত বিষয়া বলীসহ কোন বিষয়ে কোন সাইনবোর্ড না দেয়ায় তারা কাজ নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারছে না।উদ্বোধনের সময়ে এলাকাবাসী খাবার পানির সমস্যা দুর করতে পুকুরটি পুনঃখননের কথা তাদের জানানো হয়েছে।
তবে নামপ্রকাশ না করার শর্তেস্থানীয় কয়েক গ্রামবাসী জানান, প্রায় বত্রিশ লাখ টাকায় ব্যয়েওই পুকুরটি পুনঃখননসহ সেখানে সৌন্দর্য্য বর্ধনের বিষয়ে তারা জেনেছেন।কিন্তু পরবর্তীতেওই প্রকল্পেরবিসয়ে আরকোনকিছুই তাদেরজানানো হয়নি।বিষয়টির মধ্যেশুভঙ্করের ফাঁকির মত নানা বিষয়থাকতে পারেবলেও তারাদাবি করেন।এদিকে উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান. এতদাঞ্চলের শতকরা সত্তর ভাগ মানুষ পুকুরের পানি পান করে থাকে। স্যালাইন এলাকা হওয়াতে গ্রীষ্মকালে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় খাবার পানি সংকট প্রবল আকার ধারণ করে। তবে সরকারিভাবে ট্যাংকি সরবরাহ করে বৃষ্টির সময়কার পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয়দের সারা বছরের জন্য প্রয়োজনীয় পানি চাহিদা পূরণের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন ১৬৩৮টি গভীর এবং ৩৫৮টি অগভীর নলকূপ ছাড়াও ৩৯৭ টি ভিএসএসটি, ৪৮৩টি এসএসটি, ১০৯৮টি আরডব্লিউএইচ এবং ৫৬৬টি পিএসএফ’র মাধ্যমে স্থানীয়দের পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে।
তারপরও স্থানীয়দের পানিরচাহিদা মেটাতেজেলা পরিষদেরপুকুরসমুহ পুনঃখননের পাশাপাশি ব্যক্তির উদ্যোগেনুতন নুতনপুকুর খননেরপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলেও তিনিউল্লেখ করেন। (তথ্যসুত্র: দৈনিক সাতক্ষীরা)
-
শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা
শ্যামনগর ব্যুরো: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিকাল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সভায় সভাপতি ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠ এবং শান্তি পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য প্রশাসন খুবই আন্তরিক। তিনি সকলকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহব্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ভোট প্রদানে বাঁধা সৃষ্টিকারী সহ ভোট সংক্রান্ত সকল অনিয়ম কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমীর। এছাড়া বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন। এ বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল প্রার্থী, সাংবাদিকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, ইমাম ও পুরোহিত সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন।
-
শ্যামনগরে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের বৈশ্বিক জলবায়ু অবরোধ র্যালি ও মানববন্ধন
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে শনিবার সকাল ১০টায় বে-সরকারি সংস্থা লিডার্স এর আয়োজনে আইইউএফও ইয়থ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর সহযোগিতায় নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ও শিশুদের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার দাবিতে বৈশ্বিক জলবায়ু অবরোধ, র্যালি ও মানববন্ধন করেন। জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সারা বিশ্বের সকল উন্নয়নের পদক্ষেপকে বিঘিœত করছে। উন্তত দেশ গুলি গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন করে জলবায়ু পরিবর্তনকে তরান্বিত করেছে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে কোন ভূমিকা না রেখেও বেশি ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকা অধিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ধ্বংসের মুখে পড়েছে। সারা বিশ্বের স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা জলবায়ু নায্যতার দাবীতে ১ঘন্টার জন্য ক্লাস বর্জন করে পথে নেমেছে। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের স্কুলের শিশুরাও জলবায়ূ নায্যতা দাবি ও পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার দাবীতে পথে নেমেছে। এরই ধারা বাহিকতায় শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও র্যালী ও মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্জ্ব জি, এম, আকবর কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, দশম শ্রেণির ছাত্র সামিউল ইসলাম ও শামিন রওনক, আইইউএফ প্রতিনিধি গোলাম সরোয়ার প্রমুখ। এসময় প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্য ও স্কুল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।