Category: শ্যামনগর

  • রান্নাঘর শান্তির জায়গা এ শ্লোগানকে নিয়ে শ্যামনগরে উন্নত চুলার উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

    রান্নাঘর শান্তির জায়গা এ শ্লোগানকে নিয়ে শ্যামনগরে উন্নত চুলার উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ উদ্বোধন


    শ্যামনগর প্রতিনিধি ঃ “ রান্নঘর হবে শান্তির জায়গা ” এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকেীশল অধিদপ্তর, ইউনিসেফ ও প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের সহায়তায় পল্লীচেতনার বাস্তবায়নে উন্নতচুলা উৎপাদন,বিক্রয়,বিতরণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিক্রয়য়োত্তর সেবা, বাজার ব্যবস্থা, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
    স্থানীয় ১০ জন স্যানিটারী ব্যবসায়ী ও ১০টি স্কুলের ২০ জন উন্নত চুলার চেঞ্জ এজেন্টদের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অনুষ্টানের প্রধান অতিথি ইউনিসেফ খুলানার ফিল্ড অফিসের চিফ মোঃ কফিল উদ্দিন। পল্লীচেতনার পরিচালক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ খুলনার ওয়াশ অফিসার মোঃ নাহিদ মাহমুদ,প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনের প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাঈদউরহিম মাহাদি,মোঃ ফয়সাল তারেক,রেশমা পারভীন প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম,গৃহিনী কনিকা রানী,সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন,পল্লী চেতনার কর্মকর্তা তারিক আজিজ প্রমুখ। প্রশিক্ষণে জানানো হয় উপজেলার মুন্সিগঞ্জ,আটুলিয়া ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের দরিদ্রদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে ৮হাজার উন্নত চুলা ১০জন প্রশিক্ষিত ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিতরণ,বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা হবে এবং একটি মডেল গ্রাম তৈরী করা হবে। এ ছাড়া অনুষ্টানে বক্তারা উন্নত চুলা ও সনাতনী চুলার পার্থক্য তুলে ধরে মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক বক্তব্য প্রদান করেন।

  • সংবাদ সম্মেলন: শ্যামনগরের যুবলীগের নেতা কতৃক চুরির মামলার ভয় দেখিয়ে ভ্যানশ্রমিককে নির্যাতন

    সংবাদ সম্মেলন: শ্যামনগরের যুবলীগের নেতা কতৃক চুরির মামলার ভয় দেখিয়ে ভ্যানশ্রমিককে নির্যাতন


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
    তোর নামে চুরির মামলা হয়েছে। থানা থেকে তোর নাম কেটে দেবো। আমাকে ২০ হাজার টাকা দে। এ কথায় সম্মত হয়নি ভ্যান শ্রমিক আকরাম হোসেন। এ জন্য তাকে নৃশংসভাবে মারপিট করেছে শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের যোগিন্দ্রনগর এলাকার যুবলীগ সভাপতি অহিদুল ইসলাম।
    সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বয়ারসিং গ্রামের আকরাম হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। আকরাম এখন সাতক্ষীরা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
    ফিরোজা বলেন আমাদের প্রতিবেশী সুমনদের বাড়িতে দিনের বেলায় চুরি হয়েছে শুনেছি। চোরেরা সোনার গয়না ও টাকা পয়সাও চুরি করে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা অহিদুল সরব হয়ে ওঠে। গত ৭ মে অহিদুল আমার স্বামীকে কথা আছে বলে ঘের থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে বলে তুই সুমনের বাড়িতে চুরি করেছিস। তোকে পুলিশে দেবো। থানায় তোর বিরুদ্ধে নালিশ গেছে। আমি ঠেকিয়ে দেবো। তবে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। ফিরোজা বলেন আমার স্বামী বলেছেন আমি ভ্যানচালক। কোথায় পাবো ২০ হাজার টাকা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদুল ও তার ভাড়াটে বাহিনী আকরামকে লোহার রড , গরাণের লাঠি ও বঁশের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। তিনি জানান এঘটনার পর আকরামকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান তার শাশুড়ি লায়লা বেগম বাদি হয়ে শ্যামনগর থানায় ৬ জনের নামে একটি মামলা করেন। পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি অহিদুলকে ধরতে পারেনি।
    তিনি বলেন আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামালা না তুললে আমাদের আরও ক্ষতি করবে বলেও জানিয়েছে। আসামি মোকাররমবিল্লাহ হাসপাতালে এসে হুমকি দিয়ে গেছে । বলেছে মামলা না তুললে খবর আছে।
    ফিরোজা বলেন আমরা খুব গরিব ও অসহায়। আমাদের সাধ্য নেই অহিদুলের মতো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া । তিনি এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। একই সাথে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান তিনি।
    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আকরামের ভাই আলতাফ হোসেন, তার স্ত্রী রেহানা খাতুন ও তাদের স্বজন রেজাউল ইসলাম।

  • শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ১১ আসামী আটক

    শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ১১ আসামী আটক


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার ২ জন, মাদক মামলার ২ জন ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৭ জন মোট ১১ জন পলাতক আসামীকে আটক করা হয়েছে।
    শ্যামনগর থানা সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক আসামীদের অবস্থান জানতে পেরে নিজ নেতৃত্বে কয়েকজন কনস্টেবলকে সাথে নিয়ে শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযান চালায়। এ অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামী শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম পরানপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার গাজীর পুত্র আব্দুল মজিদ গাজী, মজিদ গাজীর স্ত্রী ছকিরন বেগম। মামলা নং- ৩৪/১৯, ধারা- ৩০২/১১৪/৩৪ পিসি। মাদক মামলার আসামী ভেটখালী গ্রামে মোঃ জলিল মোল্যার পুত্র মনিরুজ্জামান মোল্যা ২০ পিস ইয়াবা সহ আটক, মামলা নং- ১০ (৫)১৯ ও ইসমাইলপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী কয়ালের পুত্র রমজান কয়াল ২১ পিস ইয়াবা সহ আটক, মামলা নং- ১১ (৫)১৯। ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ধুমঘাট গ্রামের আরশাদ শেখের পুত্র রেজাউল করিম, সৈয়াদালিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র ফরিদ হোসেন মামলা নং- সিআর-৭২/১৮, মথুরাপুর গ্রামের রজব আলীর পুত্র নুর হাসান, সিআর- ২১০/১৬, বৈশখালী গ্রামের লতিফ বাউলির পুত্র আল আমিন, সিআর- ৬৪/১৮ ও সিআর- ৬৬/১৪, পূর্ব বিড়ালাহ্মী গ্রামের সামাদ শেখের পুত্র আব্দুল্লাহ শেখ সি আর- ৪৯/১৮, উত্তর কালিঞ্চী গ্রামে মজিদ গাজীর পুত্র মঈন উদ্দীন, জিআর – ৫২/১৭, একই গ্রামের কেরামত গাজীর পুত্র শহিদুল, জিআর- ৫২/১৭। তথ্য প্রদান কালে অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন বলেন, আমি শ্যামনগরে যেটুকু সময় থাকবো ততক্ষন শ্যামনগরে মাদক থাকবে না এবং কোন আসামীকে ঘুরে বেড়াতে দেব না। তাকে আদালতে হাজির হতে হবে নতুবা আমার কাছে ধরা দিতে হবে।

  • জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন শ্যামনগরে অবৈধভাবে নদী ভাঙ্গনকুলে পাইপ স্থাপন করে পানি উত্তোলন

    জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন শ্যামনগরে অবৈধভাবে নদী ভাঙ্গনকুলে পাইপ স্থাপন করে পানি উত্তোলন


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী ৫নং পোল্ডারের ঝুকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধে অবৈধভাবে একাধিক ৯০০ পাইপ স্থাপন করে চিংড়ী ঘেরের পানি উত্তোলন করা হচ্ছে এবং একই পাইপ দিয়ে প্রবল বেগে ভাঙ্গনকুলে পানি ফেলায় নদীভাঙ্গন আরও ভয়াভয় আকার ধারন করেছে। সরজমিনে দেখা যায় দাতিনাখালী ৫নং পোল্ডারের ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধে একই স্থানে ৩-৪ টি ১২” ব্যাসার্ধের ৯০০ পাইপ বসানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানে ভাঙ্গন অব্যহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেই কোন মাথা ব্যাথা, নেই কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলার দায়িত্বে থাকা এস,ও,কে একাধিকবার অবহিত করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এলাকাবাসী জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তারা উৎকোচের মাধ্যমে চিংড়ী ঘের ও কাঁকড়া হ্যাচারী মালিকদের এহেন অবৈধ কর্মকান্ডে সহযোগিতা করছে বিধায় ভাঙ্গনকুল হতে এসব ৯০০ পাইপ অপসারন সম্ভব হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে উপজেলার ৬টি অতীব ঝুকিপূর্ন বেড়ীবাঁধের মধ্যে এটি অন্যতম। এই ভাঙ্গনকুলে সরকারি ও বে-সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বেড়ীবাঁধ মেরামতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হলেও সবই নদী গর্ভে চলে গেছে। প্রকৃত পক্ষে টেকসই বেড়ীবাঁধ করা হয়নি এবং অপরিকল্পিত সংস্কার কাজ করায় এ অবস্থা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বহুল আলেচিত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ছোবল থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীর সেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে ভাঙ্গনকুলে মাটি ভর্তি বস্তা ফেলে কোন রকমের রক্ষা পেয়েছে। এ সকল ৯০০ পাইপ অপসারণ ও নদী ভাঙ্গন রোধের দাবিতে ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধের উপর এলাকাবাসী ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অদ্যবধি নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থান থেকে ৯০০ পাইপ অপসারন ও ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধ মেরামত বা সংস্কারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এমতাবস্থায় ভাঙ্গনকুলের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

  • শ্যামনগরে দুই সপ্তাহের মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধ ও আরও ৪০ টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মানের আশ্বাস ত্রান প্রতিমন্ত্রীর

    শ্যামনগরে দুই সপ্তাহের মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধ ও আরও ৪০ টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মানের আশ্বাস ত্রান প্রতিমন্ত্রীর


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান ও আরও ৪০ টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মানের আশ্বাস দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি।
    রোববার ৫ মে ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্গত এলাকা হিসেবে গাবুরা ইউনিয়নের খোল পেটুয়া নদীর জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শনকালে তিনি এ আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এখানকার মানুষের দাবি অনুযায়ী ত্রান নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর আগে তিনি খোল পেটুয়া নদীর জুঁকিপূর্ন ও ফাটল ধরা ২৭ টি পয়েন্ট পরিদর্শন করে।
    এসময় সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে “ত্রাণ নয়, জীবন চাই, ত্রান নয়, স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মান করা” সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করে। বেড়িবাঁধ পরিদর্শন কালে তার সাথে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ.কে.এম এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আযম, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার সাজ্জেদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সুজন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    এদিকে ফণি দুর্গতদের মধ্যে নৌ বাহিনীর ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারনে পরিদর্শনকারী দলটি তাতে অংশ নিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, ফণী-দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে বেলা সাড়ে ১১ টায় আকষ্মিক সফরে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শ্যামনগরে আসেন তারা।

  • পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. এস.এম আতাউর রহমানের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ


    শ্যামনগর ব্যুরো: গত ৪ ও ৫ এপ্রিল দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় “শ্যামনগরে দুর্যোগে ত্রান ঠিকমত বিতরন না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ” -শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রচন্ড ঝড় ও বৃষ্টির কারনে ১ দিন পর বিতরন করা হয়েছে। অধিকাংশ মেম্বরদের উপস্থিতিতে স্ব-স্ব এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রান সামগ্রী সঠিকভাবে বন্টন করা হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য ইশরাত জাহান মিন্টুর সাথে পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য আমার প্রতিপক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালীদের কু-পরামর্শে এ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার মান ক্ষুন্নকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো।

  • সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে জেলে আহত


    আব্দুল জলিল :
    সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে আশরাফুল ইসলাম খোকন নামে এক জেলে মারাত্মক আহত হয়েছেন।
    শুক্রবার সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আঠারোবেকির রাজাখালী খালে কাকড়া ধরার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।
    আহত বনজীবী আশরাফুল ইসলাম খোকন শ্যামনগর উপজেলার মিরগাং গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
    রমজাননগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়াইল্ড টিমের টেংরাখালী ভিটিআরটি দলনেতা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকালে বনে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎ পাশ থেকে একটি বাঘ হামলে পড়ে আশরাফুল ইসলাম খোকনের উপর। এসময় বাঘ খোকনের মুখে থাবা দেয়। খোকন কাদায় পড়ে গেলে তার সঙ্গী বনজীবী বাবু তাৎক্ষণিক চিৎকার ও বৈঠা দিয়ে ডিঙ্গির গায়ে শব্দ করলে বাঘ ঘাবড়ে গিয়ে তাকে ছেড়ে বনের মধ্যে চলে যায়। তাৎক্ষণিক সে আহত খোকনকে ডিঙ্গিতে তুলে বন থেকে বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
    তিনি আরও জানান, খোকনের মুখে ও গলা বাঘের নখের আঘাতে চিরে গেছে। গলার আঘাত গুরুতর। রক্ত ঝরছে। তবে, খোকন কথা বলতে পারছে না। কাগজে লিখে জানাচ্ছে তার বর্তমান অবস্থা।
    সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রফিক আহমেদ ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, তাকে বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

  • ফসলী জমি অধিগ্রহনের প্রতিবাদে মানববন্ধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ১৭ ব্যটালিয়ন সদর দফতরের অনুকূলে সাড়ে ৩৩ একর জমি অধিগ্রহন চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দারা।
    তারা জানিয়েছেন তাদের এ জমিতে তিনটি করে ফসল ফলে। এই জমি অধিগ্রহন করা হলে তারা কৃষি ফসল বঞ্চিত হবেন। একই সাথে তাদের বসবাসও কঠিন হয়ে পড়বে।
    বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিস চত্বরে এই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আবদুস সবুর, আবদুর রশীদ, দুলাল তরফদার, মুজিবর রহমান , জয়দেব বিশ^াস প্রমূখ বাসিন্দা।
    মানববন্ধনে তারা বলেন ভুরুলিয়া ইউনিয়নের হাটছালা ও নকিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর মৌজায় বসবাসরত গরিব কৃষকদের বাড়িঘর ও এক দুই বিঘা করে ফসলী জমি রয়েছে। এর মধ্য থেকে সাড়ে ৩৩ একর জমি ফসলী জমি অধিগ্রহন করে তা বিজিবিকে দেওয়া হবে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এরই মধ্যে জমির সীমানা নির্ধারন করে সেখান থেকে গাছপালা কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা আরও জানান ২০১৪ সাল থেকে জমির চারপাশে পিলারও বসানো হয়েছে।
    গ্রামবাসী জানান জেলা প্রশাসনের পক্ষে ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা এরই মধ্যে জমির মালিকদের নোটীশ দিতে শুরু করেছেন। এতে তারা আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
    গ্রামবাসী এই অধিগ্রহনের প্রতিবাদ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন ও স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।

  • শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা

    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা

    নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উক্ত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার:), সুজন সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন, জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উদ জামান সাঈদ। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আযুব ডলি, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ; সিপিপি কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও কর্মকর্তাবৃন্দ; সাংবাদিকবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু তহবিল গঠন করা হবে, -এস এম আতাউল হক দোলন

    শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু তহবিল গঠন করা হবে, -এস এম আতাউল হক দোলন


    বিশেষ প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন বলেন, শ্যামনগর সবচেয়ে জলবায়ুপরিবর্তনের কারনে ঝুঁকিতে আছে। এখনকার মানুষেরা আকাশে মেঘ সৃষ্টি হলে আতঙ্কে থাকে। উপকুলীয় বেড়ী বাঁধের অবস্থা অত্যান্ত করুন। সামান্য দুর্যোগে বাধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা প্রায় সমগ্র এলাকায়। অথচ বাধ মেরামত বা দুযোগের প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য কোন অর্থ অগিম ব্যবহাওে কোন বরার্দ্দ নেই। আমি মনে করি উপকুলীয় সকল ইউনিয়ন পরিষদে প্রাক দুর্যোগের কাজ করার জন্য বরার্দ্দ থাকা জরুরী। আমি আগামী উপজেলা পরিষদের সভায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে একটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলার জন্য জলবায়ু তহবিল গঠন করবো। এ তহবিলের অর্থ বাধ ডেবে যাওয়াসহ ভাঙ্গনের উপক্রম দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে চেয়ারম্যানগন যোগাযোগ করলে বাধ সংস্কারের জন্য প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, শ্যামনগরকে সকল দুর্যোগের কবল মুক্ত করতে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।’ তিনি জলবায়ু পরিষদকে উপজেলা পরিষদেও মাসিক সমন্বয়সভায পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকার ব্যবস্থা করবো।
    গত ২৯ এপ্রিল’ সোমবার সকাল ১০টায শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের হলরুমে ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে জলবায়ু ঝুঁকি ও করনীয়’ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জলবায়ু পরিষদের সিনিয়ার সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন-অর-রশিদ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম. আতাউল হক দোলন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ূব ডলি, শ্যামগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিন-উল-মূলক। সভায় অতিথি হিসেবে ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা তুলে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান যথাক্রমে পদ্মপুকুর ইউপির চেয়ারম্যান এ্যাড. এস.এম.আতাউর রহমান, বুড়িগোয়ালিনী ইউপির চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, আটুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবু সালেহ, গাবুরা ইউপির চেয়ারম্যান জি.এম.মাসুদুল আলম, রমজান নগর ইউপিরচেয়ারম্যান শেখ আল মামুন, কাশিমাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান এস.এম.আব্দুর রউফ। অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম সহ শ্যামনগর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ৩০ জন নারী ও পুরুষ ইউপি সদস্যবৃন্দ। সভায় প্রারাম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন সিএসআরএল এর কেন্দ্রিয় সমন্বয়কারী প্রদীপ কুমার মন্ডল। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগরের সদস্য সচিব আশেক-ই-এলাহী।
    সভায় উপস্থিত ইউপি সদস্যবৃন্দ স্ব-স্ব ইউনিয়নের অগ্রাধীকার ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ ও জলবায়ু সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দাবি জানায়ে বলেন, এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বিশেষ করে বেঁড়ী বাঁধ গুলোর খুব খারাপ অবস্থা। এই বেঁড়ী বাঁধ রক্ষনাবেক্ষনের জন্য জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার তা না হলে সরকারের যত উন্নয়ন এ অঞ্চলের জন্য করা হয়, তা সব নষ্ট হয়ে যাবে। খাওয়ার পানির আরো ব্যাপক সংকট দেখা দিবে।
    সভায় এলাকার বাঁধের করুনচিত্র ভিডিও ডকুমেন্টরি তৈরি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের বিষয়ে প্রধান অতিথি বক্তব্যে সকলে একমত পোষন করেন। সভায় অগ্রাধীকার ভিত্তিতে স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করে ও জলবায়ু সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ এক যোগে আগামী ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা ও ১৭ ও১৮ জুলাই জলবায়ু মেলা সম্মিলিত ভাবে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

  • শ্যামনগরে আদীবাসী নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে আদীবাসী নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর ব্যুরো: ইউকেএইড এর অর্থায়নে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগীতায় প্রশিক্ষণটি সামস্ এর প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ এপ্রিল শনিবার দিনব্যপি প্রশিক্ষন ক্যাম্পে শ্যামনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে (শ্যামনগর সদর, ঈশ্বরীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী) এর সংগঠিত দলের মোট ২০ জন যুবক ও পুরুষ সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থ্া (সামস্) এই প্রশিক্ষণের মূখ্য আলোচক হিসেবে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন হ্রাস করণে সরকারী ও বেসরকারী কর্মসূচী তুলে ধরে বিস্তারিত আলোচনা করেন বাবু প্রণব বিশ্বাস (প্রোগ্রাম অফিসার, অনষ্টপ ক্রাইসিস সেল, শ্যামনগর)। তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার যুবক, আপনারা পারেন নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সোচ্চার হতে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব আপনারা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অনষ্টপ ক্রাইসিস সেল, মহিলা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যেসকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেগুলো প্রদান করা হবে। তিনি উপস্থিত যুবকদের সুবিধার জন্য সরকারের উদ্ভাবিত এ্যাপস্ সম্পর্কে অবিহিত করেন। তিনি বলেন নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আপনারা জয়-১০৯ বা হটলাইন ১০৯ এ ডায়াল করে অভিযোগ জানাতে পারেন। প্রণব বিশ্বাস বলেন, সামস্ আদিবাসী ও দলিতদের মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাহা যুগউপযোগী এবং প্রশংসনীয়। আমি মনেকরি এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারের গৃহীত এসডিজি-২০৩০ পুরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে যাহা অভিষ্ট্য লক্ষ্য ৫ কে সমর্থন করে।
    উক্ত প্রশিক্ষণে আইনী সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন এ্যাডভোকেট স্বপন কুমার মন্ডল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন নারীর প্রতি বা মেয়েদের প্রতি কোন রকম সহিংসতা ঘটলে আইনী সহায়তার মাধ্যমে বা সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, সহিংসতা কোন মানুষকে, রাষ্ট্রকে বা সমাকে শান্তি দিতে পারে না। তাই সমাজের নারীর প্রতি বা মেয়েদের প্রতি কোন রকম সহিংস ঘটনা না ঘটে সেজন্য আদিবাসী ও দলিত যুবকদেরকে সজাগ থাকার আহ্বান করেন।
    উক্ত দিনব্যপি প্রশিক্ষণে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণপদ মুন্ডা (নির্বাহী পরিচালক, সামস্), যোসেফ সরকার (সমন্বয়কারী, সামস্), বাহামণি মুন্ডা, সঞ্জয় মাঝী, তারাপদ সরদার ও শিউলী মন্ডল

  • আদালতে মামলা করায় জামাইকে মারপিঠ সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করায় পাওনাদার বাদী হয়ে আত্মসাৎকারীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দয়ের করে। মামলা করে ফিরে আসার পথে আত্মসাৎকারী, তার পিতা ও অন্য সহযোগীরা দলবদ্ধ হয়ে বাদীর নিকট থেকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ৮ টি স্টাস্পে জোর পূর্বক বাদীকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এঘটনায় বাদী তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের বাদী শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামে মৃত মহাত আলীর পুত্র আঃ আলীম (৩৫) অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তার আপন শালক কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের সেলিম সরদারের পুত্র ইকরামুজ্জামান মটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য আঃ আলীমের নিকট থেকে ১৫/১১/১৫ তারিখ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয় এবং একটি ১০০ টাকার ও একটি ৫০ টাকার জ্যুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেয়। টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল ২৬/০৩/১৯ তারিখ। উক্ত তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় এবং বিভিন্ন তাল বাহানা করে টাকা না দেওয়ার চেষ্টা করায় আঃ আলিম বাদী হয়ে ১৭/০৪/১৯ তারিখ সাতক্ষীরা আদালতে ইকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বাড়ি ফেরার পথে উক্ত শালক, শ্বশুড় ও তাদের সহযোগীরা আলীমকে ধরে বেধড়ক মারপিঠ করে এবং আদালতের মামলার সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর পৃথক জায়গায় নিয়ে ৪ টি অলিখিত ১০০ টাকার স্টাস্পে ও ৪ টি ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এসময় তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দেখিয়ে খুন-জখম করার হুমকি দেয়। এঘটনায় আঃ আলীম তার শালক, শ্বশুড় ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

  • আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সামস্রে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সামস্রে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্) এর আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগীতায় এবং ইউকেএইড এর আর্থিক সহায়তায় প্রমোটিং হিউম্যান রাইটস্ অব ইথনিক এন্ড দলিত ওম্যান (পিএইচআরইডি) প্রকল্পের আওতায় দলিত ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যেন ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ পেতে পারে ও বিভিন্ন কমিটিতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় এ উদ্দেশ্যেই শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    গতকাল সকাল ১০ টায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা। প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেন- ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন- সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বেবী নাজনীন ও দেলোয়ারা বেগম। আরও উপস্থিত ছিলেন, সামস্রে প্রকল্প সমন্বয়কারী যোসেফ সরকার ও সামস্রে অন্যান্য সদস্যরা। ইউপি সদস্যগণ তাদের বক্তেব্যে বিভিন্ন সেবা সমূগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রধিকার প্রদান করবেন বলে জানান এবং আরও বলেন, তারা যেন তাদের দাবি ও অভিযোগ সমূহ সরাসরি তাদেরকে তথা ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করেন। সভাপতি তার বক্তেব্যে বলেন, দলিত আদিবাসীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সমগ্র অনুষ্ঠন পরিচালনা করেন- প্রকল্প কর্মী বাহামান মুন্ডা ও তারাপদ মুন্ডা।

  • নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে শ্যামনগর পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন

    নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে শ্যামনগর পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন করে। ফেনির সোনাগাজী ইসলামি ফাযিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত রাখিকে মানসিকভাবে দফায় দফায় নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার সাথে জড়িত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও তার সহযোগীরা। এ নির্মাম হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে দেশ ব্যাপি উত্তাল। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার পক্ষ হতে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক এ্যাড. কৃষ্ণপদ মন্ডল, সহ-সভাপতি প্রভাক অনাথ হালদার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রভাষক সুশান্ত কুমার বাবু লাল, অর্থ সম্পাদক কাত্তিক চন্দ্র দত্ত, দপ্তর সম্পাদক মৃনাল ঘোষ, শ্রীনিবাস বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. আজিবর রহমান, এ্যাড. মনসুর রহমান সহ সাধারন জনগণ।

  • শ্যামনগরে দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে পাচারকালে উদ্ধার ও পাচারকারী আটক


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর থানা পুলিশের তৎপরতায় পাচারকালে ২ মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা সদর সংলগ্ন বাস টার্মিনাল হতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা আলম ওই ২ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময়ে পাচারকারীকেও আটক করে পুলিশ। এঘটনায় শ্যামনগর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে। পাচারকৃত ২ মাদ্রাসা ছাত্রী হলো- গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি গ্রামের মৃত কোবাত মোড়লের মেয়ে স্থানীয় পিজে আলীম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া খাতুন (১৩) এবং একই গ্রামের ইব্রাহিম গাইনের মেয়ে পিজে আলিম মাদ্রাসা ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী লিপিজা খাতুন (১৪)। পাচারকারী হলো- চকবারা গ্রামে হযরত গাজীর মেয়ে করুনা খাতুন (২৯)। শ্যামনগর থানায় সরেজমিনে পাচারকৃত ওই দুই ছাত্রীর সাথে কথা হলে জানায়, করুনা খাতুন গার্মেন্টস-এ মোটা বেতনে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে গাবুরা খেয়াঘাট থেকে লঞ্চ যোগে খুলনা হয়ে পাবনায় ইট ভাটায় নিয়ে আটকে রাখে। পাচারের বিষয়টি বুঝতে পেরে লিপিজা কৌশলে মোবাইল ফোনে বাড়িতে মাকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করে। থানা পুলিশের এসআই মোস্তফা আলম পাচারকারী করুনার বড় ভাই শাহাদাত হোসেন ও অপর সহযোগী আমিনুর কে আটক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই ছাত্রীকে হাজির করার তাগিদ দেওয়ায় তারা ফিরে আসে। গত রোববার সন্ধ্যায় শ্যামনগর বাস টার্মিনাল হতে দুই ছাত্রীকে উদ্ধার সহ পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত ২ ছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পাচারকারী ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : রমজাননগরের কাসেম ও ফজলু বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি চান সাহিদা বেগম ও তার পরিবার

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : রমজাননগরের কাসেম ও ফজলু বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি চান সাহিদা বেগম ও তার পরিবার


    স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সতীনপুত্র আবুল কাশেম সরদার তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য জমিজমা ও ভিটেবাড়ির সীমানা নিয়ে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরই জেরে আমার দুই পুত্র ইউসুফ, আইয়ুব সরদার ও পুত্রবধু সাবিনা সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় ইউসুফ ও আইয়ুব বাদে অন্যরা জামিন পাওয়ার পর থেকে আবুল কাশেম ও ফজলু বাহিনী তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ নিয়ে তারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন শ্যামনগর উপজেলার সোরা গ্রামের ইসমাইল সরদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সাহিদা বেগম। তিনি জানান তার দুই ছেলে ইউসুফ ও আইয়ুবকে তার স্বামী রমজাননগর মৌজার ৬৯, ৮৪ এবং ২৩৬ নম্বর খতিয়ান থেকে ৯০ শতক জমি ১৯৯৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ৩৯৬৪ নম্বর রেজিস্ট্রি দানপত্র মূলে হস্তান্তর করেন। এই জমিতে তারা সবাই দখলে রয়েছেন। সাহিদা বেগম বলেন তার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে আবুল কাশেম জামায়াতের মাসিক চাঁদাদাতা এবং তার পুত্র জামায়াত নেতা ফজলুল করিম সরদার নারী নির্যাতন মামলার আসামী। আবুল কাশেমের নাশকতা ও বোমা মামলায় এবং একটি জিআর মামলার চার্জশীট হয়েছে। তিনি জানান তার পুত্র ইউসুফের স্ত্রী সাবিনা খাতুন সহ কয়েকজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে তার পুত্র আইউব আলি সরদার আবুল কাসেম তার পুত্র ফজলুল করিম সহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১২১/২০১৫ মামলা করেন। এ মামলার চার্জশীট হয়েছে। এই মামলা থেকে বাঁচার জন্য আবুল কাসেম তার নিজের পাঁচিল ভাঙ্গা ও ডাকাতির মিথ্যা মামলা করে এবং সাক্ষি বানায় বাড়ি থেকে দুরে সোবহান ও মোস্তফাকে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দোষী কে বা কারা তা নির্নয় করতে পারেনি। পরে থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করা হয়।
    কাশেম সরদার পুলিশ সুপারের কাছে দরখাস্ত করলে শ্যামনগর থানার এসআই রাজকিশোর পাল তদন্ত শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, সেখানে ডাকাতির ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা। এই দুটি রিপোর্টে জনৈক হুমায়ুন কবিরের নাম এসেছে। তিনি রীট হুমায়ুন নামে পরিচিত। রীট হুমায়ুন ৯১৯৬/২০১৪ নম্বর রীট করে ভেটখালি সরকারি গোডাউনের জায়গা দখল করেছেন এবং কয়েকটি দোকান তৈরী করেছেন। বহু মামলার আসামী রীট হুমায়ুনের সহযোগিতায় আবুল কাশেমের পুত্র ফজলুল করিম মিথ্যা ঘটনা সম্পর্কে হাইকোর্টে ২৪৯০/২০১৯ নম্বর রীট দাখিল করে কোন রুল পাননি। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়। এতে শ্যামনগর থানার ওসি ভীত হয়ে সাহিদা খাতুনের দুই পুত্র সহ টিআর ৮৪/১৬ নম্বর মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে গত ২ এপ্রিল পেনাল কোডে ৩৯৫/৩৯৭ ধারার মামলা করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে রীটকারী ফজলুল করিম রীট হুমায়ুনের পরামর্শে গত ৭ এপ্রিল তাদের রীট প্রত্যাহার করে নেন। সাহিদা খাতুন আরও বলেন এসব বিষয় উল্লেখ করে গত ৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের নিকট তিনি আবেদন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তের কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ২ এপ্রিল তারিখে ৩ নম্বর মামলার ১ নম্বর আসামী ইউসুফ সরদার ও ২ নম্বর আসামী আইয়ুব সরদার কথিত ঘটনার ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাড়িতে ছিল না। পাঁচিল ভাঙা কিংবা মিথ্যা ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত নয়। টিআর মামলার স্বাক্ষীদের ওই মামলার আসামী করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি পরপর দুইবার তদন্ত করে ডাকাতির ঘটনা মিথ্যা বলে রিপোর্ট দিয়েছে। এমনকি রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন মেম্বর প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে বলেছেন, কথিত ঘটনার তারিখে ৩৯৫/৩৯৭ ধারার কোন ঘটনা ঘটেনি। সাহিদা খাতুন তার সন্তানদের নামে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। একই সাথে নাশকতা ও বোমা মামলার ফেরারী আসামী আবুল কাশেম ও তার পুত্র ফজলুল করিমের মিথ্যা মামলাটি তদন্ত করে ইউসুফ সরদার, আইয়ুব সরদার ও পুত্রবধূ সাবিনা খাতুনের অব্যাহতি দাবি করেছেন। তারা রীট হুমায়ুনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিদার সতীনপুত্র মোঃ নাজির সরদার ও পুত্রবধূ সাবিনা খাতুন।

  • বিবাদী কর্তৃক বাদীকে মারপিঠ করে জরুরী কাগজপত্র ছিনতাই করায় থানায় অভিযোগ


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করায় পাওনাদার বাদী হয়ে আত্মসাৎকারীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দয়ের করে। মামলা করে ফিরে আসার পথে আত্মসাৎকারী, তার পিতা ও অন্য সহযোগীরা দলবদ্ধ হয়ে বাদীর নিকট থেকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ৪ টি স্টাস্পে জোর পূর্বক বাদীকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এঘটনায় বাদী তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের বাদী শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামে মৃত মহাত আলীর পুত্র আঃ আলীম (৩৫) অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তার আপন শালক কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের সেলিম সরদারের পুত্র ইকরামুজ্জামান মটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য আঃ আলীমের নিকট থেকে ১৫/১১/১৫ তারিখ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয় এবং একটি ১০০ টাকার ও একটি ৫০ টাকার জ্যুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেয়। টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল ২৬/০৩/১৯ তারিখ। উক্ত তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় এবং বিভিন্ন তাল বাহানা করে টাকা না দেওয়ার চেষ্টা করায় আঃ আলিম বাদী হয়ে ১৭/০৪/১৯ তারিখ সাতক্ষীরা আদালতে ইকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বাড়ি ফেরার পথে উক্ত শালক, শ্বশুড় ও তাদের সহযোগীরা আলীমকে ধরে বেধড়ক মারপিঠ করে এবং আদালতের মামলার সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর পৃথক জায়গায় নিয়ে ৪ টি অলিখিত ১০০ টাকার স্টাস্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এসময় তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দেখিয়ে খুন-জখম করার হুমকি দেয়। এঘটনায় আঃ আলীম তার শালক, শ্বশুড় ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

  • শ্যামনগরে দুই শিক্ষার্থীকে পাচারের অভিযোগ

    শ্যামনগরে দুই শিক্ষার্থীকে পাচারের অভিযোগ


    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    শ্যামনগরের দুই শিক্ষার্থীকে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের খোকার কন্যা রিফুজা খাতুন(১৪) এবং কুবাত আলীর কন্যা ছাদিয়া খাতুন। রিফুজা খাতুন চাদনীমুখা পিজে আলিম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছাদিয়া খাতুন নাপিতখালী প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
    শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একই এলাকার হযরত আলীর কন্যা করুনা শিক্ষার্থী রিফুজা ও ছাদিয়া খাতুনকে নিয়ে চৌদ্দরশী লঞ্চে উঠতে দেখেন বলে জানিয়েছেন স্থানীরা। এরপর থেকে ওই দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া চাঁদনীমুখা থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত পৌছে দেন চাদনমুখা গ্রামের রুহুল আমিন গাইনের পুত্র আমিনুর। কারুনা ও আমিনুর একই সাথে বসে চা সিগেরেট খেয়েছেন বলে তারা জানান। এরপর থেকে আমিনুরের মোবাইল(০১৯৩৯৪৪৪৩৯০) নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে।
    এদিকে শিক্ষার্থী রিফুজা খাতুনের মাতা মাফুজা জানান, শনিবার দুপুর ১ টার দিকে রিফুজা আমার মোবাইলে (০১৭০৭৫২৮৭৬৫ নাম্বারে) ফোন করে জানায় আজ(শনিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের বিক্রয় করা হবে বলে হাওমাও করে কান্নাকাটি করতে। এরপরই করুনা তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর থেকে তাদের আর কোন যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। তিনি তার কন্যাসহ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    এ বিষয়ে গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি শুনেছেন জানান।