Category: শোক সংবাদ

  • করোনায় আক্রান্ত হয়ে  জাসদ নেতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাংবাদিক সুমন মাহমুদের মৃত্যুতে জাসদের শোক

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে জাসদ নেতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাংবাদিক সুমন মাহমুদের মৃত্যুতে জাসদের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় সাবেক জাসদ নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাংবাদিক সুমন মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেন, ৬০ দশকে ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে সুমন মাহমুদ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, বিএলএফ-এর সদস্য হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৭৯-৮১ সালে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সক্রিয় দলীয় রাজনীতি ছেড়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। তিনি ভোরের কাগজসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে যুক্ত ছিলেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে আসগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার ২২ মে ২০২০ বিকাল ৪টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না…রাজেউন)। মৃতুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী প্রফেসর ডা. পারভীন শাহীদা আকতার দেশের প্রখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।

  • আজীবন সংগ্রামীমানুষ আয়ুব হোসেন চলে গেলেন না ফেরার দেশে

    আইযুব হোসেন চলে গেলেন না ফেলার দেশে। আজীবন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার লডাইয়ে যুক্ত থাকা মানুষটি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৫৮ সালের ১ অক্টোবর। জন্মস্থান পশ্চিমবাংলার বশিরহাটের সংগ্রামপুরের বিরামপুর গ্রামে। কুশখালিতে নানার বাড়ী থেকে লেখা পড়াকরেন। স্বাধীনতার পর সাতক্ষীরা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। এ সময় জাসদ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হন। কলেজে অবস্থায় ১৯৭৫ সালে পুলিশে হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের সময় মারাত্মক ভাবে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। একটানা সাড়ে তিন বছরের মত জেল খেটে ৭৮ সালের শেষ দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর গ্রেফতারের খবরে তার পিতামাতা এক সম্পাহের মধ্যে মৃত্যু বরণ করেন।
    ১৯৭৯ সালে সাতক্ষীরা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। এবং বছর সহ-সভাপতি(ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ত্যাগি এ রাজনৈতিক নেতা ১২ জুলাই ১৯৮৫ আলেয়া খাতুনের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন সন্তান দুই মেয়ে ও একপুত্র। বড় মেয়ে শারমিন শান্তা ¯œাতক শেষ করেন। মজে পুত্র আলী আম্বীয়া চঞ্চল শিক্ষা নবীশ আইনজীবী আর ছোট মেয়ে জেসমিন স্বম্পা ঢাকা মেডিকেলে সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত।
    আজীবন লড়াকু মানুষ প্রচন্ড দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে চলেছেন। কিন্তু কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি।

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, জাসদের ত্যাগী নেতা, সামরিক শাসন, সামপ্রদায়িক শক্তি বিরোধী লড়াইয়ের যোদ্ধা – আজীবন সমাজতান্ত্রিক চেতনার ধারক আইয়ুব হোসন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ২৯ এপ্রিল বিকালে মৃত্যুবরণ করেন।

  • জাসদ  নেতা,সাতক্ষীরা কলেজের সাবেক ভিপি আইয়ুব হোসেনের দাফন সম্পন্ন

    জাসদ নেতা,সাতক্ষীরা কলেজের সাবেক ভিপি আইয়ুব হোসেনের দাফন সম্পন্ন

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, জাসদের ত্যাগী নেতা, সামরিক শাসন, সামপ্রদায়িক শক্তি বিরোধী লড়াইয়ের যোদ্ধা – আজীবন সমাজতান্ত্রিক চেতনার ধারক, আইয়ুব হোসন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন|

    সদ্যপ্রয়াত আয়ুব হোসেনে মরদেহ রসুলপুর সরকারী গোরস্থানে সমাধীস্থ করা হয়। কবর দেওয়ার পূর্বে গোরস্থান প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ এর মাননীয় এমপি এড, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। জাসদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর কমিশনার সাগর, জাসদ জেলা সাধারন সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী,দৈনিক দক্ষনের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক মোহাসিন হোসেন বাবলু, বাজাসদ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, বাসদ নেতা এড. আযাদ হোসেন বেলাল, নাগরিক মঞ্চের সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, ওয়ার্কার্স পাটির নেতা জাহাঙ্গীর, জাসদ জেলা সংগঠনিক সম্পাদক আমীর খান চৌধুরী, ক্যাবের এর সাংগঠনিক সম্পাদক রওনক বাশার, আওয়ামীলীগ লাবসা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সজল সুফিয়ানসহ আইয়ুব হোসেনের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

  • এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি র শোক ও শ্রদ্ধা : সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আইয়ুব হোসন মৃত্য

    এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি র শোক ও শ্রদ্ধা : সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আইয়ুব হোসন মৃত্য

    এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি র এক বিবৃরিতে বলেন , সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, জাসদের ত্যাগী নেতা, সামরিক শাসন, সামপ্রদায়িক শক্তি বিরোধী লড়াইয়ের যোদ্ধা – আজীবন সমাজতান্ত্রিক চেতনার ধারক, আমার সহপাঠী প্রিয় আইয়ুব হোসন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।
    আমি তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, শোক ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

  • তালায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ঃ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

    তালায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ঃ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন


    তালা প্রতিনিধি ।।
    সাতক্ষীরা তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবা অফিসের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজার মোঃ আবু সাঈদ মোড়ল (৬৩) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…. রাজেউন)। সোমবার রাত ১১ টার দিকে তালা বাজারের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানান। এদিকে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে শ্রীমন্তকাটি গ্রামের বাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, তালা থানার ওসি মোঃ মেহেদী রাসেল, প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, মরহুমের ভাতিজা তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্লাহ মোড়ল, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী আর নেই

    অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী আর নেই

    বাংলাদেশের অগ্রগণ্য প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। সোমবার রাত ২টার পর ঘুমের মধ্যে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়।

    ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জামিলুর রেজা চৌধুরী মৃত্যু পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ছিলেন। তিনি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।

    একুশে পদক পাওয়া এই শিক্ষককে ২০১৮ সালে সরকার জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

    বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে যেসব বড় বড় ভৌত অবকাঠামো হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোতেই কোনো না কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করা এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৯৩ সালে যাদের হাত দিয়ে বাংলাদেশের ইমারত বিধি তৈরি হয়েছিল, জামিলুর রেজা চৌধুরী তাদের একজন।

    দেশের প্রথম মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ৫ সদস্যের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। আর এখন পদ্মার ওপরে দেশের সবচেয়ে বড় যে সেতু তৈরি হচ্ছে, সেই প্রকল্পের আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্যানেলেও নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ চলমান নানা উন্নয়ন প্রকল্পেও তিনি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

    ১৯৪৩ সালের ১৫ নভেম্বর সিলেট শহরে প্রকৌশলী আবিদ রেজা চৌধুরী ও হায়াতুন নেছা চৌধুরীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় ৷

    বাবার বদলির চাকরির কারণে তার শৈশব কেটেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। প্রাথমিক শেষ করে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ভর্তি হলেও পরে তার পরিবার ঢাকায় চলে আসে। প্রথমে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরে সেইন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল থেকে ১৯৫৭ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন।

    ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তখনকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ)। ১৯৬৩ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন।

    ১৯৬৪ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান জামিলুর রেজা চৌধুরী। সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৬৮ সালে সেখানেই পিএইচডি শেষ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘শিয়ার ওয়াল অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিস অব হাইরাইজ বিল্ডিং’।

    পিএইচডি শেষে দেশে ফিরে আবার বুয়েটে শিক্ষকতা শুরু করেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। পদোন্নতির ধারায় ১৯৭৬ সালে হন অধ্যাপক।

    ২০০১ সাল পর্যন্ত বুয়েটে অধ্যাপনা করার সময় বিভিন্ন সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান এবং ফ্যাকাল্টির ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বুয়েটের কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ছিলেন তিনি। পরে ওই কম্পিউটার সেন্টারই বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজিতে পরিণত হয়। 

    বুয়েট থেকে অবসরে যাওয়ার পর ২০০১ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, সেই দায়িত্বে তিনি ছিলেন ২০১০ সাল পর্যন্ত। এরপর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন।

    বিশেষজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়েও সরকারের বিভিন্ন পরামর্শক প্যানেলে জামিলুর রেজা চৌধুরীর ডাক পড়েছে।

    তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সফটওয়্যার রপ্তানি এবং আইটি অবকাঠামো টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৯৭ সাল থেকে পাঁচ বছর। ১৯৯৯ সালে সরকার তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা করার জন্য যে কমিটি করেছিল, জামিলুর রেজা চৌধুরীকেই তার আহ্বায়ক করা হয়। ২০০১ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর আইটি টাস্কফোর্সেরও সদস্য করা হয়।

    পুরকৌশলের এই শিক্ষক নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ১৯৯৬ সালে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেখভাল করতে হয়েছিল তাকে। 

    যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউশন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের ফেলো জামিলুর রেজা চৌধুরী নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটিতেও তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডসহ নানা আয়োজনে জামিলুর রেজা চৌধুরী ছিলেন নেতৃত্বের ভূমিকায়।

    বহুতল ভবন নির্মাণ, স্বল্প খরচে আবাসন, ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নকশা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে ইমারত রক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রকৌশল নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে তার।

    কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দেয়। ২০১৮ সালের জুনে আরও দুইজন শিক্ষকের সঙ্গে তাকেও জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করা হয়।

    ওই বছরই জাপান সরকার জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সম্মানজনক ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড রেইস উইথ নেক রিবন’ খেতাবে ভূষিত করে। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি তিনি।

    দীর্ঘ এই পথযাত্রায় জামিলুর রেজা চৌধুরীর সঙ্গী ছিলেন তার স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী। তাদের মেয়ে কারিশমা ফারহিন চৌধুরীও একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, আর ছেলে কাশিফ রেজা চৌধুরী কম্পিউটার প্রকৌশলী।

    ( বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম হতে গৃহীত)

  • প্রাক্তন ফুটবলার শেখ আনোয়ার আলী নিলু’র মৃত্যুতে লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির গভীর শোক

    প্রাক্তন ফুটবলার শেখ আনোয়ার আলী নিলু’র মৃত্যুতে লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির গভীর শোক


    প্রেস-বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরা জেলা দলের প্রাক্তন ফুটবলার ও লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির কোষাধ্যক্ষ শেখ আনোয়ার আলী (নিলু)’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন লাবসা পল্লী মঙ্গল সমিতির নেতৃবৃন্দ। তিনি সম্প্রতি হার্ট এ্যাটাক এ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না……রাজিউন)। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির সভাপতি শেখ আশরাফ আলী, সহ-সভাপতি কাজী আবু হেলাল, আলমগীর হাসান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদ আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আলিম, এ্যাড. শহিদুল ইসলাম, কাজী এহছানুল হক, আবু তুষার, শেখ নুরুল্লাহ নাজির, আবু বেলাল, শিমুল, মুন্সি বাবলু, মীর মোশারফ আলী, ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টি, মফিদুর, মনিরুজ্জামান, বাশার, মিজান, জুয়েল, জোহা, আরশাদ আলী, মামুন, জাহাঙ্গীর হাশেমী, নাসির উদ্দিনসহ লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির নেতৃবৃন্দ। এদিকে লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির কোষাধ্যক্ষ শেখ আনোয়ার আলী (নিলু)’র মৃত্যুতে সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গণসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • জাসদ’র গভীর শোক : করোনা’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রথম কাতারের বীর যোদ্ধা প্র. ডা. মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় করোনা’র বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম কাতারের বীর যোদ্ধা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন এর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন-সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তারা প্র. ডা. মঈন উদ্দিনকে একজন মানবতাবাদী সাহসী চিকিৎসক ও করোনা’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে একজন নিবেদিত বীর যোদ্ধা হিসাবে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা ইতিপূর্বে নারায়ণগঞ্জে করোনার বিরুদ্ধে প্রথম কাতারের যোদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী স্বাস্থ্যকর্মী সেলিম আকন্দ এর প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    তারা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মৃত্যবরণকারী এই দুই বীর যোদ্ধার প্রতি জাতীয় সম্মান প্রদান করে তাদের পরিবারের সকল দায়িত্বগ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। তারা একইসাথে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামনের কাতারের যোদ্ধা ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, প্রণোদনা, ঝুঁকিবীমা, এককালীন সম্মানী ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

  • সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ জব্বার আর নেই

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ জব্বার (৮৫) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি–রাজেউন)। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিনি মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির এই নেতা নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি চার মেয়ে ও তিন পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ্যজনিত কারণে তিনি তার ঢাকা বারিধারা’র বাসভবনে অবস্থান করছিলেন।
    সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু জানান, শারীরিক নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি। সকাল ১০ টার দিকে তিনি মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে জেলা জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। জেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।
    এদিকে, তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সমবেদনা জানিয়েছেন।

  • সাবেক এমপি এম.এ জব্বার- এমপি রবি’র শোক


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রাজনীতিবিদ আলহাজ¦ এম এ জব্বার’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলহাজ¦ এম এ জব্বার মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ০৯টায় ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। (ইন্না—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • অসহায় বিধবা নারীর সম্পত্তি ও সম্মান রক্ষার্থে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা এবং প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    গত ইং- ২৫ শে মার্চ ২০২০ বুধবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় তিন ও চার কলামে “অবৈধ ভাবে বসত ঘর দখল থেকে রক্ষা পেতে শ্যামনগরে মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীর সংবাদ সম্মেলন” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। আমি মোছাঃ মমতাজ খাতুন ১৩ নং হায়বাতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ অত্যান্ত সুমানের সহিত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছি। আমার স্বামী মৃত্যু খোরশেদ আলম সাতক্ষীরা জেলায় অতি পরিচিত একটি নাম। তিনি সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করেছিলেন। ব্যবসায়িক কারণে তিনি সাতক্ষীরা ছেড়ে শ্যামনগরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। আমি ২০০৫ সাল থেকে এস.এ রেকর্ডীয় প্রজা মৃত্যু শেখ তমিজ উদ্দীনের ওয়ারেশগন আমাকে তাদের জমির উপরে বসত বাড়ি তৈরী করার অনুমতি দেয়। সেখানে ২ রুম বিশিষ্ট একটি টিন সেড, বাস ঘর, একটি গোলপাতার ছাউনী রান্নাঘর ও একটি পাকা বাথরুম সম্পূর্ন আমাদের নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছিলাম। ২০/১২/২০০৯ তারিখে ৪৭৯৩ নং রেজিষ্ট্রী কোবালা মূলে শ্যামনগর থানাধীন শ্রীফলকাটি গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র জি.এম.মিজানুর রহমান উনি আমাকে বলেন যে, এই জমি আমি খরিদ করিয়াছি। অদ্য হইতে আপনি আমার জায়গার উপর বসবাস করিতেছেন। তাহার কাগজপত্র দেখিয়া আমি স্বীকার করিয়া লইলাম যে, আমি এখন হইতে আপনার জায়গায় বসবাস করিতেছি। আপনার প্রয়োজনে আমি আপনার জায়গা হইতে যখন বলিবেন তখনি আমি আমার নির্মাণকৃত অর্থ বুঝিয়া পাইলে আমি চলে যাইব। এর পর ২০১২ সালে আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আব্দুল বারেক গাজী আমাকে প্রস্তাব দেন যে, উক্ত মিজানুর রহমানের বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে আমার পৈত্রিক .০৩ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করা হইবে। অত:পর আমি বাজারের সর্বোচ্চ দামে ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যে ১৫৭০ নং ডিপি খতিয়ানে এস.এ ৫১ ও ৫৮ দাগে হাল ১৩৩ হাল ১৩৭ দুই দাগে মোট .০৩ শতক জমি আব্দুল বারেক গাজীর নিকট হইতে ক্রয় করে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। অত:পর ১৫/০৫/২০১৭ তারিখে ২১৩২ নং রেজিষ্ট্রী কোবালা মূলে একটি দলিল নকিপুর গ্রামের মৃত শিবপদ চক্রবর্তীর পুত্র সুকুমার চক্রবর্তী আমাকে দেখায় এবং বলে যে, আমি জি.এম.মিজানুর রহমানের নিকট হইতে এই জমি খরিদ করিয়াছি। অদ্য হইতে আপনি আমার জমিতে বসবাস করিতেছেন। আমি তাহা দেখিয়া মানিয়া লইয়া পূর্ব ব্যক্তির ন্যায় উনাকে বলিলাম যে, আপনার প্রয়োজনে আপনার জমি হইতে আমি চলে যাওয়ার পূর্বে আমার নির্মাণকৃত সমূদয় অর্থ বুঝিয়া দিলে আমি চলে যাইব। কিছুদিন পূর্ব হইতে আব্দুল বারেক গাজী আমাকে প্রস্তাব দেয় যে, সুকুমার চক্রবর্তী ঘর সহ জায়গা আমাকে রাত্রের অন্ধকারে দখল বুঝিয়া দিয়া তোমার .০৩ শতক জায়গার উপর চলিয়া যাও। যার পরিবর্তে আমি তোমাকে তোমার .০৩ শতক জায়গার উপর সম্পূর্ন আমার অর্থ দিয়া পাকা ঘর বাড়ি নির্মাণ করিয়া দিব। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হইয়া বরং সুকুমার চক্রবর্তীকে বারেক গাজীর সমস্ত পরিকল্পনা জানাইয়া দেই। সেই হইতে আব্দুল বারেক গাজী আমার উপর শত্রুতা মনোভাব সহ বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি দিয়া আসিতেছে এবং ইতিপূর্বে কয়েকবার আমার বসে থাকা সম্পত্তির উপরে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে দখলদারী করার চেষ্টা করে।

    সে কারনে আমি ও আমার পুত্রের জানমালের নিরাপত্তার জন্য শ্যামনগর থানায় আব্দুল বারেক গাজীর বিরুদ্ধে একটি জিডি করি। যাহার জিডি নং- ৪৫৩, তারিখ ইং- ১১/০২/২০১৮ এবং তাহারই জের ধরিয়া উক্ত জমিতে ২০/০৩/২০২০ তারিখ ভোর রাত্রে আব্দুল বারেক গাজী ২৫/৩০ জন ভাড়াটিয়া গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন লাঠি সোটা দা, সাবল ও সিমেন্টের পিলিয়ার সহ উক্ত জমির উপর ঝাপাইয়া পড়ে। আমি তাৎক্ষনিক ভাবে সুকুমার চক্রবর্তীকে জানাইলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আব্দুল বারেক গাজী অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি দেয়। উল্লেখ্য আব্দুল বারেক গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনি এই মুক্তিযোদ্ধা নামকে পুঁজি/ব্যবহার করিয়া নানান অপকর্মে লিপ্ত আছেন। সরকারি খাস খাল, খাস জমি সহ বিভিন্ন মানুষের বিরোধপূর্ন জমি তিনি চিহ্নিত একটি লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা দীর্ঘদিন ভোগদখল করা সহ এই প্রক্রিয়ায় লিপ্ত আছেন। আমার স্বামী জীবিত থাকাবস্থায় বারেক গাজীর সাথে সম্পর্ক ভাল থাকায় তিনি কোন রুপ ষড়যন্ত্র করেননি। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পরে বারেক গাজীর আসল চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে। আমার স্বামীর মৃত্যুর আগে নকিপুর গ্রামের মৃত্যু শিবপদ চক্রবর্তীর পুত্র ব্যবসায়ী সুকুমার চক্রবর্তী ভাল সম্পর্ক ছিল। সুকুমার চক্রবর্তী আমার স্বামীকে নিজের মামার মত জানত এবং মামা বলে ডাকত। সেই সম্পর্কে আমি সুকুমার চক্রবর্তীর মামী হই। স্বামীর আকষির্¥ক মৃত্যুর পরে আমার একমাত্র পুত্রকে নিয়ে যখন আমি দিশেহারা হইয়া পড়ি সে সময় সুকুমার চক্রবর্তী ও তার পরিবারবর্গ মামার প্রতি শ্রদ্ধাবোধে জায়গা থেকে আমার অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাড়ায় এবং অদ্যবধি তাহারা আমার বিপদ আপদ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমার পরিবারকে সহযোগীতা করে আসিতেছে।
    সংবাদ সম্মেলনে সুকুমার চক্রবর্তী ও আমাকে জড়িয়ে কিছু আপত্তিকর ও অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। আমি একজন খাঁটি মুসলিম পরিবারের সন্তান। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। এহেন মানহানিকর মিথ্যা, বানোয়াট এবং কু-রুচিপূর্ন সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা নামধারী চিহ্নিত মামলাবাজ ও দখলবাজ বারেক গাজীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে আমার সম্পত্তি ও পরিবারকে রক্ষা করতে পারি সেজন্য গ্রহনে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    (মোছাঃ মমতাজ খাতুন)
    সহকারী শিক্ষক
    ১৩ নং হায়বাতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
    শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।

  • ব্যবসায়ী বশির আহমেদ আর নেই

    ব্যবসায়ী বশির আহমেদ আর নেই

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী শিল্পপতি বশির আহমেদ (৫৫) আর নেই।

    তিনি শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)।

    বশির আহমেদ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় বসবাস করতেন।

    এছাড়া তিনি শহরের স¤্রাট প্লাজা, সংগ্রাম টাওয়ার, সংগ্রাম ক্লিনিক, সংগ্রাম পরিবহনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে গোটা দেশে তার পরিচিতি ছিলো। পারিবারিক একাধিক সূত্র তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে। স্বজনরা তার মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান।