আশাশুনি ব্যুরো:আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তৎকালীন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়) এর অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল গফুর (৭২) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি …. রাজেউন)। সোমবার বেলা ১২.৪০ টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম আব্দুল গফুর একজন ক্রীড়ানুরাগী, সদালাপী, হাস্যোজ্জল ও সুন্দর মনের মানুষ ছিলেন। তিনি সুনামের সাথে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রদের খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতেন এবং ক্রীড়ার মানোন্নয়নে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তার হাতে অসংখ্য ক্রীড়াবিদ তৈরি হয়েছে। আশাশুনি ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানাগেছে। তিনি স্ত্রী, দু’পুত্র ও দু’কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
Category: শোক সংবাদ
-

আশাশুনি হাই স্কুলের অবঃ শিক্ষক আবদুল গফুর এর ইন্তেকাল
-

আশাশুনিতে সাংবাদিক সাহেব আলীর ভাইয়ের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন
আশাশুনি সংবাদদাতা : আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক সাহেব আলীর সেজো ভাই আইয়ুব আলী মোড়ল (৪৯) শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে …. রাজিউন)। আশাশুনি সদরের মৃত আব্দুল মজিদ মোড়লের সেজো পুত্র আইয়ুব আলী মোড়ল দীর্ঘদিন যাবৎ মরন ব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৮ কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আশাশুনি হাফিজিয়া মাদ্রাসা চত্ত্বরে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মরহুমের জানাজা নামাজে আশাশুনি সদর ইউ,পি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলন, জেলা পরিষদ সদস্য মহিতুর রহমান, ইউ,পি সদস্য তারিকুল আওয়াল সেজে, বিএনপি নেতা নুরুল হক খোকন, উপজেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন বাবু, আশাশুনি প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সদর ইউ পি চেয়ারম্যান প্রার্থী এস, এম হোসেনুজ্জামান হোসেন, বড়দল ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন, বড়দল ভূমিহীন সমিতির সেক্রেটারী আবুল হোসেন রাজু, মাওঃ আবুল কাশেম, প্রাক্তন শিক্ষক মো: শফিউল্লাহ, হাফেজ বাকী বিল্লাহ, হাফেজ আবুজার গিফারি ও সাংবাদিক সাহেব আলী সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের ভ্রাতুষ্পুত্রসৌরভ হোসেন। -

নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পিতা আব্দুল মান্নানের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজীর পিতা আব্দুল মান্নান (কবিরাজ) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লা…..রাজিউন)। শনিবার (১২সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারনে তিনি নিজবাড়ী শহরের কুখরালি ফুলতলা গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি ৪ পুত্র, ৩ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। ঐ দিন যোহর নামাজ বাদে কুখরালি বলফিল্ড মাঠে জানাযা নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযা নামাজে ইমামতি করেন আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান। মরহুমের জানাযা নামাজে অংশ নেন এলাকার কয়েক শতাধিক ব্যক্তিবর্গ। -

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা রামেরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চশমে আরা (৪৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার সকালে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে শহরের পলাশপোল এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মাত্র তিন মাস আগে চশমে আরার স্বামী ইদ্রিস আলীও মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি এক মেয়ে টাঙ্গাইল জেলার সহকারী জজ ইসরাত জেনিফার জেরিন ও এক ছেলে বিবিএ শিক্ষার্থী সামিতসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। প্রধান শিক্ষক চশমে আরার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সফিউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক চায়না ব্যানার্জী শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও বিদাহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন । -

শোক : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।’ আজ (৮ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের এক শোক বিবৃতিতে বলা হয়-
‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত্
’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের এক অকুতোভয় যোদ্ধা ছাড়াও জিয়াউদ্দিন তারিক আলী ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রাদয়িকতাবিরোধী নাগিরক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই অসাম্প্রদায়িক নেতা মানবতার সেবায় তাঁর দেহদান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেও করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করায় তাঁকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবার পাশাপাশি আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং সহযোগী ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
স্বাক্ষরদাতা-
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বীর খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কবি দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ। -

জাসদের শোক: বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিক প্রণব মুখার্জির মৃত্যু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ এক শোকবার্তায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিক প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন-সহকর্মী ও ভারতবাসীর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তারা প্রণব মুখার্জির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণ একজন অকৃত্রিম মহান বন্ধুকে হারালো। তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের প্রয়োজনে প্রণব মুখার্জির সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণ চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
-

সেক্টরের অধিনায়ক, মানবাধিকার আন্দোলনের পুরোগামী নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
শোক বিবৃতি
ঢাকা, ২৫ আগস্ট ২০২০
১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে ৪নং সেক্টরের অধিনায়ক, মানবাধিকার আন্দোলনের পুরোগামী নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ (২৫ আগস্ট) সংগঠনের এক শোক বার্তায় বলা হয়-
‘১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে ৪নং সেক্টরের বীর অধিনায়ক, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মানবাধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্তের মৃত্যুতে আমরা গভীরতম শোক প্রকাশ করছি।
‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বপ্রদানকারী তাঁর প্রধান সহযোদ্ধাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানপন্থী সামরিক শাসকরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ যেভাবে মৌলবাদীকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ ও দুর্বৃত্তায়ন করেছে তার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের আন্দোলনে জেনারেল দত্ত ছিলেন একজন পুরোগামী নেতা। বিশেষভাবে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে তার অসামান্য সাহসী অবস্থান সব সময় আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
‘আমরা মহান মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল দত্তের শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং তাঁর আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
স্বাক্ষরদাতা-
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী সরদার জাকির হোসেন খসরু, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বীর খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কবি দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট কাজী মানসুরুল হক খসরু, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
(কাজী মুকুল) -
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত আর নেই
মুক্তিযুদ্ধের চার নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম আর নেই৷ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপংকর ঘোষ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, সি আর দত্ত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন৷ গত ২০ আগস্ট বাথরুমে অসাবধানবশত তিনি পড়ে যান। এতে তার পা ভেঙে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
চিত্ত রঞ্জন দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। শিলংয়ের লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন৷ পরবর্তীকালে তার বাবা চাকরি থেকে অবসর নিয়ে হবিগঞ্জে এসে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন৷ হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে কলকাতার আশুতোষ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়ে ছাত্রাবাসে থাকা শুরু করেন তিনি৷ পরবর্তীতে খুলনার দৌলতপুর কলেজের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন৷ পরে এই কলেজ থেকেই বিএসসি পাস করেন৷
চিত্ত রঞ্জন দত্ত ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ কিছুদিন পর ‘সেকেন্ড লেফটেনেন্ট’ পদে কমিশন পান। ১৯৬৫ সালে সৈনিক জীবনে প্রথম যুদ্ধে লড়েন তিনি৷ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে আসালংয়ে একটা কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন তিনি৷ এই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করে৷
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানী সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়স্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে চার নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে চিত্ত রঞ্জন দত্তকে দায়িত্ব দেন৷ সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটের রশীদপুরে প্রথমে ক্যাম্প বানান তিনি৷ চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চা-বাগান৷ বাগানের আড়ালকে কাজে লাগিয়ে তিনি যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করে দিতেন৷ পরবর্তী সময়ে তিনি যুদ্ধের আক্রমণের সুবিধার্থে রশীদপুর ছেড়ে মৌলভীবাজারে ক্যাম্প স্থাপন করেন৷
চিত্ত রঞ্জন দত্ত ১৯৭২ সালে রংপুরে ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন৷ সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন৷ ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সীমান্ত রক্ষা প্রহরী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরকার৷ এই বিষয়ে চিত্ত রঞ্জন দত্তকে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ সরকার৷ পরবর্তীকালে তিনি সীমান্ত রক্ষা প্রহরী গঠন করেন এবং নাম দেন বাংলাদেশ রাইফেলস। এখন এ বাহিনীর নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চিত্ত রঞ্জন দত্ত ছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল। এছাড়া ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তাকে নানা ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি হেড কোয়ার্টার চিফ অব লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৭৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন৷ ১৯৭৯ সালে বি আর টি সির চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮২ সালে তিনি পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন৷ ১৯৮৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন৷
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন৷ এছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ানবাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।
-

খুলনার বিশিষ্ট সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না মৃত্যু বরন করেছেন
সংবাদদাতা: খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক জন্মভুমির বার্তা সম্পাদক ও জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াদুদুর রহমান পান্না শনিবার বিকেলে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)
মরহুমের মরদেহ রবিবার সকাল দশটায় জোহরা খাতুন স্কুলে এবং ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর পশ্চিম বানিয়াখামার মোড়ল বাড়ী জামে মসজিদের সামনে জানাজা এবং পরে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। -
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হকের সহধর্মিণীর মৃত্যুতে সাঈদ মেহেদীর শোক জ্ঞাপন
সাজেদুল হক সাজু, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সহধর্মিণী ইলা হক আর নেই। বুধবার (১২ আগস্ট) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাহার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। -

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র সহধর্মিণী ইলা হক আর নেই
3:24 AM (3 hours ago)নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরা-০৩ আসনের মাননীয় সাংসদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক এমপির সহধর্মিণী মিসেস ইলা হক বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মত্যুকালে তিনি স্বামী, ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে ইলা হকের আকর্ষিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ। দলের জেলা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম এক বিবৃতি ইলা হকের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া তাৎক্ষণিক বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। -

বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাসদ স্হায়ী কমিটির সদস্য সহসভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. হাবিবুর শওকত আর আমাদের মাঝে নেই
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আইন বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের পটুখালী-গলাচিপা সাব সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার, সাগরপারের যুদ্ধখ্যাত পানপট্টি যুদ্ধসহ পটুখালী হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধের দুঃসাহসী নায়ক এড. হাবিবুর রহমান শওকত আজ (৩ জুলাই) বিকাল ৩:৪১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিট-২ এর আইসিইউ-তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না…..রাজেউন)।
তিনি গত ১৯ জুলাই করোনয় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট-২ এ ভর্তি হয়েছিলেন। ১৪ দিন যুদ্ধ করে আজ তিনি করোনার কাছে পরাজিত হন। তার জন্ম ১৯৫০ সালের ১৪ এপ্রিল, ১লা বৈশাখ তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা ও জামাতাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এড. হাবিবুর রহমান শকত একজন বিরল দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৩ জুন ১৯৭১ তারিখে ‘বিলোনিয়া ব্রীজ’ ঐতিহাসিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২নং সেক্টরে যুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি জেনারেল ওসমানীর কাছে নিজের এলাকায় যুদ্ধ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। জে. ওসমানীর নির্দেশে ৯নং সেক্টরের পটুখালী-গলাচিপা সাব-সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ সাগরপারের যুদ্ধখ্যাত পানপট্টি সম্মুখ যুদ্ধসহ পটুয়াখালী হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধে দুঃসাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এড. হাবিবুর রহমান শওকত ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নতকরণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নির্যাতিত-ধর্ষিত পরিবারের সদস্যদের গণশুনানী করেন’। তার এই পদক্ষেপ ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিতকরণে পটুয়াখালী মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পায়। তার উদ্যোগে এই গণশুনানীতে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তদন্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের-তদন্ত-বিচার করে, বিচারে ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। ১৬ ডিসেম্বরের পর এড. হাবিবুর রহমান শওকত পটুয়াখালী ট্রেজারি থেকে লুট হয়ে যাওয়া ৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেন। উক্ত জেলা প্রশাসক ও কতিপয় অফিসারের যোগসাজসে এই স্বর্ণ আত্মসাৎ করলে তিনি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলায় উক্ত জেলা প্রশাসকের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তসহ ৭ বছর দন্ড হয়। এড. হাবিবর রহমান শওকত ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা জাসদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে তিনি নির্যাতিত-অনির্বাচিত-সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্দোলন, তেল-গ্যাস-বন্দর-বিদ্যুৎ-সুন্দরবন-জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তি দাফনের প্রটোকল মেনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ রাতেই রায়েরবাজার কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান শওকতের মৃত্যুতে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সেক্টর কমান্ডারর্স ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ অব: বীরউত্তম ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
অনুরূপ পৃথক শোক বার্তায়, জাতীয় নারী জোটের আহবায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি নুরুল আমিন কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদ আশেক এলাহী, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক ননী এড. হাবিবুর রহমান শওকতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তার পরিবার-আত্মীয়-পরিজন-বন্ধু-স্বজন-সহযোদ্ধাদে প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
-

নৌকমান্ড মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ চলে গেলেন
স্টাফ রিপোটার : সাতক্ষীরার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দিন আর নেই।(ইন্নালিল্লাহি—রাজিউন)। তিনি আজ শুক্রবার ২৪ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা মেডিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি নৌ-কামান্ড ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আত্মঘাতী দলের সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার এবং সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন বিশুদ্ধ, সৎ ও নির্ভিক দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ বাদ আছর তার নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নেবাখালীতে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। -

একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্ক্তিযোদ্ধা গণমানুষের নেতা সকলের খায়ের ভাই চলে গেলেন সকলকে কাদিয়ে
সাতক্ষীরাবাসিকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে গেলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, একাত্তরের রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফিংড়ি ইউনিয়নের পাঁচ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, একাত্তরের ঘাত দালাল নিমূল কমিটির সাবেক জেলা আহ্বয়ক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, ভূমিহীন আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, দক্ষ সংগঠক, গণমানুষের নেতা মো. আবুল খায়ের সরদার (৭৭)। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাত ৯:১৫ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না এলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার জোহর নামাজের পর মরহুমের জানাজা নামাজ গাভা আইডিয়াল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের রজব আলী সরদার ও আছিয়া বেগমের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ছিলেন আবুল খায়ের সরদার। তিনি ফিংড়ি ইউনিয়নের পাঁচ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সরাসরি সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ৭০ দশকের শেষের দিকে ফিংড়ি ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল বারি সরদারের মৃত্যুর পর তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর একাধারে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৬ সালে আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরআগে তিনি ১৯৮৬ সালে তৎকালীন আশাশুনি সংসদীয় আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।
আবুল খায়ের সরদার ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি নির্যাতীত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আজীবন নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি কখনো। ভূমিহীন আন্দোলনের নেতৃত্বে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন আবুল খায়ের সরদার। একজন দক্ষ ন্যায় বিচারক ও সদালাপি মানুষ হিসেবে গোটা এলাকায় তার সুনাম সবার মুখে। তিনি ছিলেন গাভা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া গাভা দাখিল মাদ্রাসা, গাভা হাইস্কুল, জিফুলবাড়ি দরগাহ শরীফ আলিম মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে তিনি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যংদহা গণগ্রন্থাগার, বিভিন্ন ক্লাবসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ছিল তার নাড়ির সম্পর্ক। ফিংড়িসহ সাতক্ষীরা জলাবদ্ধতা নিরসনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন একজন উন্নয়নকামী মানুষ। গরীব, দুস্থ, অসহায় মানুষের সুখ দু:খের সাথী হিসেবে তিনি আমরণ কাজ করে গেছেন। গত বছর তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরআগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে তিনি অবিরাম কাজ করেছেন। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গোটা জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে আবুল খায়ের সরদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক আবু রায়হান তিতু, সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান, সুজন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম ও মো. আবু ছালেকসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। -

জাসদের শোক: বীর মুক্তিযোদ্ধা দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতি ব্যবসায়ী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা, একজন সফল উদ্যোক্তা হিসাবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন চ্যানেলের মত দুইটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম গড়ে তোলার জন্য নুরুল ইসলাম বাবুলকে দেশবাসী স্মরণে রাখবেন।
-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যু
করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত এক স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত ওই স্বাস্থ্য কর্মীর নাম আমজাদ হোসেন (৬৫)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের গোলাম সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী আমজাদ হোসেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
-
ব্যবসায়ী রাহাতুল্যার মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর শ্বশুর বিশিষ্ট ঠিকাদার ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী রাহাতুল্যাহ (৯৫) আর নেই।
পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহীদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে তিনি শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট রোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম রাহাতুল্যাহ ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। তিনি সদর উপজেলার আলিপুর গার্লস স্কুলের জমিদাতা সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে তার সুনাম জেলাজুড়ে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। এদিকে রাহাতুল্যার মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীসহ কমিটির সকল সদস্য। -
আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা বাজার জামে মসজিদের সাবেক সভাপতির দাফন সম্পন্ন
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি শামছুর রহমান শিকারী শুক্রবার সকাল ০৮ টায় নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।(ইন্নালিল্লাহি ……..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের মৃত সাত্তার শিকারির পুত্র।মৃত্যুকালে তিনি মাতা, দুই স্ত্রী, দুই পুত্র ও সাত কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার জুম্মা বাদ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন স¤পন্ন হয়েছে।