Category: শোক সংবাদ

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক প্রকাশ

    বিশিষ্ট খেলোয়ার ও সংগঠক, সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তিনি বুধবার (২০ জুলাই) ভোর ৫টায় সাতক্ষীরা সিবি হসপিটালে চিকিৎস্যধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি—-রাজিউন) মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল (৬৮) বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
    তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, অর্থসম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, নির্বাহী সদস্য মকসুমুল হাকিম, সেলিম রেজা মুকুল, আব্দুল গফুর সরদার, মাছুদুর জামান সুমন, এম শাহীন গোলদারসহ প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি’র গভীর শোক

    সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি’র গভীর শোক


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বদরুল ইসলাম খান বুধবার (২০ জুলাই) অনুমান ভোর ৫টায় সাতক্ষীরা সিবি হসপিটালে চিকিৎস্যধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি—-রাজিউন) মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল (৬৮) বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, বদরুল ইসলাম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট খেলোয়াড় ও সংগঠক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে ড. কাজী এরতেজা হাসানের গভীর শোক


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটি সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা, ডেইলি পিপলস্ টাইম এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান।
    বদরুল ইসলাম খান বুধবার (২০ জুলাই) অনুমান ভোর ৫টায় সাতক্ষীরা সিবি হসপিটালে চিকিৎস্যধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি—-রাজিউন) মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল (৬৮) বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 
    বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি বলেন, বদরুল ইসলাম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট খেলোয়াড় ও সংগঠক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিয়ার রহমানের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের তালা উপজেলা সাংগঠনিক কমিটির শোক

    বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিয়ার রহমানের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের তালা উপজেলা সাংগঠনিক কমিটির শোক


    প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আতাউর রহমান এর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বার বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য এবং খেশরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি অজিয়ার রহমান গোলদার খুলনায় চিকিৎসারত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী ৫ পুত্র ১ কন্যাসহ অসংখ্যা আত্মীয় স্বজন গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার বাদ জোহর তালা উপজেলার হরিহরনগর ফুটবল মাঠে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে।
    তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলার সাংগঠনিক কমিটির তালা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ.হ.ম. তারেক উদ্দীন, সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি, সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব, সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার দাস, সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, সদস্য ও তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, সদস্য ও তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার ও সদস্য মীর জাকির হোসেন।

  • ক্যাবের শোকবার্তা

    কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কুমিল্লা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লার বেসরকারি
    সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ‘দর্পন’ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মাহবুব মোর্শেদ গত ১৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখ ঢাকার
    ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থয় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
    তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।
    তিনি ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় সবসময় সোচ্চার থেকেছেন এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ক ্যাবের সকল
    কাজে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা ক্যাব কৃজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে। তাঁর অকাল প্রয়াণে ক ̈াব ভোক্তা
    আন্দোলনের এক অকৃত্রিম সহযোদ্ধা হারালো। ভোক্তা আন্দোলনে তাঁর অবদান সকলের কাছে চির ̄§রণীয় হয়ে
    থাকবে।
    বিবৃতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা
    জ্ঞাপন করা হয়

  • উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের মাতা পরলোকগমন

    উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের মাতা পরলোকগমন

    প্রেসবিজ্ঞপ্তি; বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী, উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক ও জেলা নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাধব চন্দ্র দত্তের মাতা, প্রয়াত সন্তোষ দত্তের স্ত্রী ঊষালতা দত্ত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০টায় বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি চার ছেলে ও তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজনহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার-বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রয়াত জগন্নাথ দত্ত, ব্যবসায়ী গৌর দত্ত তারসহ তার সন্তানরা সকলেই সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। নারী অধিকারকর্মী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোৎস্না দত্ত তার পুত্রবধূ।

    প্রয়াত ঊষালতা দত্তের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শুক্রবার বেলা ১১টায় রসুলপুর শ্মশানে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

    এদিকে মাধব চন্দ্র দত্তের মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    বিবৃতিদাতারা হলেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা জেএসডি’র নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, জেলা জাসদ সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, শেখ হারুণ অর রশিদ, বাংলাদেশ জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, জেলা সিপিবি সভাপতি আবুল হোসেন, বাসদের সমন্বয়ক নিত্যানন্দ সরকার, এড. শাহানাজ পারভীন মিলি, জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আল মাহামুদ পলাশ, এড. মুনির উদ্দিন, শেখ মনিরুজ্জামান, মোহন কুমার মন্ডল, মরিয়ম মান্নান, ফরিদা আক্তার বিউটি, মটর শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম, মহব্বত আলী, ভূমিহীন নেতা কওসার আলী, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, সাহিত্যিক গাজী শাহজাহান সিরাজ প্রমুখ।

  • কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

    কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত


    কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেখানকার বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    শনিবার আনুমানিক রাত ৯টায় আল সামাল সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে কাতারে বাস করতেন।

    নিহতরা হলেন- কাতারপ্রবাসী সিলেটের ইকবাল আহমেদের ছেলে আহমেদ সাফওয়ান (২১), চট্টগ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ইসরান (২২) ও ফেনীর ফজলুল হকের ছেলে আজহারুল হক জয় (২২)।

    বাংলাদেশি কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, এই তিন শিক্ষার্থীর গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারা রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে চাকা ঠিক করছিলেন। এসময় হঠাৎ একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান।

    গুরুতর আহত ২ জনকে হাসপাতালের নেওয়ার পর সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় কমিউনিটি সংগঠনের পক্ষে থেকে শোক জানানো হয়েছে।

  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ মৃত্যু

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ মৃত্যু

    সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই। আজ শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর সিএমএইচে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শোক প্রকাশ করেছেন।

    বুধবার রাতে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের বিচারপতি আহমেদের জামাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

    সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ শনিবার (১৯ মার্চ) তিনটি পৃথক শোকবার্তায় সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে শোক এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তারা।

    এর আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেন দুইবারের এ রাষ্ট্রপতি।

    বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং পরে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডি- এইচএ

  • বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদকের মৃত্যুতে শোক

    বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদকের মৃত্যুতে শোক


    প্রেস-বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ও স্বপ্ন ক্লিনিকের মালিক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ৭টায় কলারোয়ার কয়লা গ্রামে নিজস্ব বাসভবনে অসুস্থ্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। ১৫ মার্চ বাদ আছর জানাযা শেষে কলারোয়ায় কয়লা গ্রামে মরহুমের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা শাখার প্রচার সম্পাদক ও স্বপ্ন ক্লিনিকের মালিক রফিকুল ইসলাম (৫৬) এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ডা. হাবিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ ডা. আবুল কালাম বাবলা, সহ-সভাপতি আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, কোষাধ্য ডা. সি.এম নাজমুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুবক্কর সিদ্দিক, নির্বাহী সদস্য মো. ফজলুর রহমান, মো. আবুল খায়ের, বিধান চন্দ্র মন্ডল, শাহীন আলম, পুলক কুমার পাল, মো. গোলাম রব্বানী, মো. ইখতেখার আলমসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ। এদিকে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের প্রচার সম্পাদক ও স্বপ্ন ক্লিনিকের মালিক রফিকুল ইসলাম (৫৬) এর মৃত্যুতে তার নিজ গ্রাম কলারোয়ার কয়লা গ্রামসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশা পাশি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

  • মাহফুজা রুবীর পিতা ও শেখ নাসেরুল হকের মাতার মৃত্যুতে জেলা আ’লীগের গভীর শোক ও মাগফিরাত কামনা

    মাহফুজা রুবীর পিতা ও শেখ নাসেরুল হকের মাতার মৃত্যুতে জেলা আ’লীগের গভীর শোক ও মাগফিরাত কামনা

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা রুবীর পিতা আলহাজ্ব মো: রমজান আলী (৭৩) এবং সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হকের মাতা হাছিনা বেগম (৭৮) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুম-মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন-সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বিএম নজরুল ইসলাম, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, কাজী এরতেজা হাসান, মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাফী আহমেদ, মো. আছাদুল হক, মাস্টার নীলকণ্ঠ সোম, শেখ সাহিদ উদ্দিন ও মিসেস সাহানা মহিদ। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, মো. আসাদুজ্জামান বাবু ও আ. হ. ম তারিক উদ্দীন।
    আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. অনিত কুমার মুখার্জী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আনিসুজ্জামান আনিচ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু ও কোষাধ্যক্ষ রাজ্যেশ্বর দাস।
    অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, এসএম জগলুল হায়দার, এসএম শওকত হোসেন, এবিএম মোস্তাকিম, এড. মোজহার হোসেন কান্টু, শেখ নুরুল ইসলাম, নরীম আলী মাস্টার, মো. মুজিবুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ নাসেরুল হক, শেখ আব্দুর রশিদ, মো. শাহ্জাহান আলী, মো. শাহাদাত হোসেন, ঘোষ সনৎ কুমার, এসএম আতাউল হক দোলন, মো. মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মারুফ হাসান মিঠু, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাঈদ মেহেদী, মো. আব্দুল কাদের, সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, আসাদুজ্জামান অসলে, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক ছোট, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সুমন, মিসেস কহিনুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নাজমুন নাহার মুন্নি, মো. সামছুর রহমান, মীর জাকির হোসেন, মিসেস মাহফুজা রুবি ও ইসমত আরা বেগম।

  • সাতক্ষীরার একসময়ের দাপুটে ফুটবলার সিরাজুল হক আর নেই

    সাতক্ষীরার একসময়ের দাপুটে ফুটবলার সিরাজুল হক আর নেই

    সাতক্ষীরার একসময়ের দাপুটে ফুটবল খেলোয়ার এ কে এম সিরাজুল হক আর নেই। করোনা আক্রান্ত হয়ে বুধবার গভীর রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
    আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়েছে।
    এ কে এম সিরাজুল হক সাতক্ষীরায় একজন কৃতি ফুটবলার ছিলেন। একজন ফটবলার হিসেবে জেলাব্যাপী তার পরিচিতি ছিলো।

  • প্রখ্যাত সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য আর নেই

    প্রখ্যাত সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য আর নেই

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য মারা গেছেন। রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (০৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। অনুপ ভট্টাচার্যের মেয়ে জামাই নাট্য নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পারিবারিক সূত্র জানায়, অনুপ ভট্টাচার্য ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বাসায় হঠাৎ করেই নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    অনুপ ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪৫ সালে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘নোঙর তোলো তোলো’সহ অনেক সমবেত গানে কণ্ঠ দেন তিনি।

    বহু জনপ্রিয় গানের সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য। যার মধ্যে রফিকুল ইসলামের গাওয়া বৈশাখী মেঘের কাছে ও মিতালী মুখার্জির কণ্ঠে ‘সুখ পাখি রে’ গান ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।

  • দরজা ভেঙে ড. তারেক শামসুর রেহমানের লাশ উদ্ধার

    দরজা ভেঙে ড. তারেক শামসুর রেহমানের লাশ উদ্ধার

    অনলাইন ডেস্ক   :

    দরজা ভেঙে ড. তারেক শামসুর রেহমানের লাশ উদ্ধার

    ড. তারেক শামসুর রেহমান। ফাইল ছবি-মশাল

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও দেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান মারা গেছেন। শনিবার (১৭) উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টে নিজের ফ্ল্যাটে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় বাসায় কেউ ছিলেন না। পুলিশ দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।

    রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. মোজাফফর আহমেদ গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ড. রেহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র কালের কণ্ঠকে জানায়, তাঁর লাশ এক পা বাধরুমের ভেতরে আরেক পা বাইরে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

    বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও বৈদেশিক নীতি এবং তুলনামূলক রাজনীতি নিয়ে তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রির অধিকারী অধ্যাপক রেহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি ড. রেহমান নিয়মিত কলাম লিখতেন। প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে তার কলাম নিয়মিত ছাপা হতো।

    তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরাক যুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক রাজনীতি, গণতন্ত্রের শত্রু-মিত্র, নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশ্ব রাজনীতির চালচিত্র, উপআঞ্চলিক জোট, ট্রানজিট ইস্যু ও গ্যাস রপ্তানি প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও রাজনীতি, বাংলাদেশ : রাজনীতির ২৫ বছর, বাংলাদেশ : রাজনীতির চার দশক, গঙ্গার পানি চুক্তি : প্রেক্ষিত ও সম্ভাবনা, সোভিয়েত-বালাদেশ সম্পর্ক, বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর ইত্যাদি।

  • চলে গেলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান

    চলে গেলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান

    বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

    শামসুজ্জামান খানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

    কয়েক দিন আগে করোনা পজিটিভ হলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে। অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার (১২ এপ্রিল) তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

    ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন শামসুজ্জামান খান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এবং ১৯৬৪ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। একই বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে ২৪ মে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    শামসুজ্জামান খানের উল্লেখযোগ্য কাজ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শিরোনামে ৬৪ খণ্ডে ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রহশালা সম্পাদনা এবং ১১৪ খণ্ডে বাংলাদেশের ফোকলোর সংগ্রহমালা সম্পাদনা। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, কালুশাহ পুরস্কার, দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার,শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

  • মতিন খসরুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

    মতিন খসরুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

    মতিন খসরুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার গণমাধ্যমে পৃথক শোক বার্তা পাঠান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা বিচারে তার ভূমিকা জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান দেশের সংসদীয় ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

    পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও জনমানুষের নেতা হিসেবে মতিন খসরু চিরদিন মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উত্তরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একজন জননেতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিককে হারালাম যিনি জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলায় আইনজ্ঞ হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    এ ছাড়া আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তর প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এবং বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন প্রমুখ।

    সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মতিন খসরু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

  • আব্দুল মতিন খসরু আর নেই

    আব্দুল মতিন খসরু আর নেই

    আব্দুল মতিন খসরু আর নেই

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।

    গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৬ এপ্রিল সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই, এক বোন। আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

    আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৯৬ সালে সংবিধান ও মানবতাবিরোধী কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের

    বিচারের ব্যবস্থা করেন তিনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

  • শ্যামনগরে উপজেলা তরুণ লীগ সভাপতির পিতার জানাজা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে উপজেলা তরুণ লীগ সভাপতির পিতার জানাজা অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলা তরুণ লীগ সভাপতি আব্দুল আলীমের পিতা মো: আবু বাক্কার গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বাদ যোহর ঐতিহাসিক বংশীপুর শাহী মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গনে এ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক াঈদুজ্জামান (সাঈদ), ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড জি.এম শোকর আলী সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য বাক্কার গাজী উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মৃত বাসতুল্যাহ গাজীর পুত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। দীর্ঘদিন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার ভোর ৫ টায় তার নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।

  • মেয়ে বিদেশ থেকে ফেরার পর আবুল মকসুদের দাফন

    মেয়ে বিদেশ থেকে ফেরার পর আবুল মকসুদের দাফন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকাপ্রকাশ:

    বিদেশে অবস্থানরত মেয়ে দেশে ফেরার পর সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের দাফন হবে। সৈয়দ আবুল মকসুদের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যান আবুল মকসুদ।

    মঙ্গলবার বিকেলে বাসায় সৈয়দ আবুল মকসুদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তাঁকে দ্রুত পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী সুলতানা মকসুদ, ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ ও মেয়ে জিহাদ মকসুদসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ধানমন্ডির মসজিদে তাকওয়ায় রাত ১০টার দিকে সৈয়দ আবুল মকসুদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।বিজ্ঞাপন

    সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন এ মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরছেন। তাঁর ফেরার পর সৈয়দ আবুল মকসুদের দাফনসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
    সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গতকাল রাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা শোকবার্তায় সৈয়দ আবুল মকসুদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

    সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান শোক প্রকাশ করেন।

    এ ছাড়া শোক প্রকাশ করেছে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফোরাম, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, ঐক্য ন্যাপ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।

    জীবন ও সংগ্রাম

    দেশের প্রগতিশীল চিন্তা, গবেষণা ও আন্দোলনের অন্যতম এই অগ্রগামী ব্যক্তিত্বের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জে। পেশাগত জীবনে তিনি দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) কাজ করেছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে সৈয়দ আবুল মকসুদ সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে বার্লিনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। চাকরিজীবনে সর্বশেষ ছিলেন বাসসের উপবার্তা সম্পাদক।

    ২০০৪ সালের ১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রথম আলোতে ‘হুমায়ুন আজাদের ওপর আঘাত, ফ্যাসিবাদের নগ্নরূপ’ শিরোনামে একটি কলাম লেখেন। এরপর তাঁর কর্মস্থল বাসস কর্তৃপক্ষ ও তৎকালীন তথ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাঁকে কলাম না লেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ৩ মার্চ তিনি বাসস থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে নিয়মিত প্রথম আলোতে তিনি মতামত লিখতেন। প্রথমা প্রকাশনের সঙ্গেও সৈয়দ আবুল মকসুদ ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।বিজ্ঞাপন

    সৈয়দ আবুল মকসুদ ২০০৪ সালের শেষের দিকে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাগ্রন্থ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা’ বইটির জন্য ২০১৭ সালে ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার’ পান। এর আগে ১৯৯৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন।

    ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রতিবাদ হিসেবে সৈয়দ আবুল মকসুদ পশ্চিমা পোশাক ত্যাগ করেন। গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতি অনুরক্ত এই সামাজিক ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী সুতির সাদা কাপড়কে প্রতিবাদের পোশাক হিসেবে বেছে নেন। রাজপথে নানা গণমুখী প্রতিবাদ ও আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত হতেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি ছিলেন। সুন্দরবন রক্ষা, নদী ও দূষণবিরোধী আন্দোলনে তিনি সামনের সারিতে থাকতেন। দেশের খনিজ সম্পদ রক্ষার আন্দোলন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ–বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ও উপকূল রক্ষার আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। এ ছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ নানা সামাজিক আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন।

    গবেষণা ও গ্রন্থ

    সাংবাদিকতা ও সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সৈয়দ আবুল মকসুদ নিয়ত গবেষণায় রত ছিলেন। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি যেসব মতামতধর্মী প্রবন্ধ লিখতেন, তাতেও ছিল গবেষণা ও চিন্তার গভীর ছাপ। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ বই নবাব সলিমুল্লাহ ও তাঁর সময়। এ ছাড়া প্রথমা থেকে প্রকাশিত তাঁর অন্য বইয়ের মধ্যে আছে অরণ্য বেতার, স্মৃতিতে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, স্যার ফিলিপ হার্টগ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য, ঢাকার বুদ্ধদেব বসু, কাগমারী সম্মেলন, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন এবং নির্বাচিত সহজিয়া কড়চা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত তাঁর অন্যান্য বইয়ের মধ্যে আছে গোবিন্দচন্দ্র দাসের ঘর-গেরস্থালি, জার্মানির জার্নাল, পারস্যের পত্রাবলি, ভাসানীর ভারতপ্রবাস, মাওলানা আবদুল হামিদ খাঁ, গান্ধী ক্যাম্প, ভাসানী কাহিনি এবং বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রম ও বিশ্বাসহীনতা ইত্যাদি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বই বিকেলবেলা এবং দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা।