Category: রাজনৈতিক দল

  • কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যকে অব্যাহতি প্রদানের ঘোষণা

    কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যকে অব্যাহতি প্রদানের ঘোষণা


    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার ৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর ভাদিয়ালি গ্রামের আওয়ামী লীগের ৯সদস্যকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতিদানের ঘোষণা দিয়েছে দলটির ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। গত বুধবার সন্ধ্যায় ওই ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন।
    এ সময় লিখিত পত্রে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ রকিব জানান-সোনাবাড়িয়ার ২নং ওয়ার্ড উত্তর ভাদিয়ালি আওয়ামী লীগের সদস্য আলাউদ্দীন সরদার, আশরাফুল ইসলাম, ছোট্ট, কামাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটিতে ঢুকে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।
    এছাড়া তারা কোন কারণ ছাড়াই এলাকার সাধারণ মানুষদের ধরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করছে। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি তারা জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করার পায়তারা করে আসছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক জরুরি মিটিং ডাকা হয়।
    সেখানে উপস্থিত সকলে জানায়, ওই ৯ সদস্য শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত, হামলা ও একাধিক মামলার আসামি হওয়া মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে দলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই তাদের ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে বহিস্কারকৃতদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কেন তাদের বহিস্কার করা হইবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা কারণ দর্শানোর প্রতিউত্তরে সন্তোষজনক কোন জবাব না দেওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের সদস্য পদ বাতিল হইয়াছে মর্মে বিবেচিত হইবে।
    এ কারণে বুধবার সন্ধ্যায় ভাদিয়ালি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সমাবেশে তাদের ৯ সদস্যকে অব্যাহতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখন থেকে তারা আর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য পদ দাবী করতে পারবে না। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-উত্তর ভাদিয়ালী ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জুলু, ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগনেতা আয়জুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আঃ হাকিম, শাহিনুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক আমিনুর রহমান, আওয়ামী লীগনেতা আঃ খালেক, গনেশ দাস, আঃ লতিফ, সোহরাব হোসেন, কেসমত, আঃ মমিন, আঃ রহিম, আলফাজ, বিলায়েত, ফারুক, রবিউল, রেজাউল ইসলাম, আছাফুর, আসাদুজ্জামান, আঃ করিম, সিরাজুল ইসলাম, কামরুজ্জামান প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন : সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন ও সাধারন সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন : সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন ও সাধারন সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের মিনি মার্কেট চত্বরে উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধূ।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পারিচালনা করেন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আনোয়ার জাহিদ তপন। এ সময় সেখানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    কাউন্সিলে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার জাহিদ তপন ও সাধারন সম্পাদক হয়েছেন শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল।

  • জাসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তরুণদের প্রতি –

    জাসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তরুণদের প্রতি –

    শিরীন আখতার

    ৩১ অক্টোবর ২০২০ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ-এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ১৯৬২ সালের ডিসেম্বরে যারা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ বা ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেছেন, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যাঁরা পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক বৈষম্য নিয়ে কাজ করেছেন, ১৯৬৬ সাল থেকে যাঁরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের টুল বা উপায় হিসেবে গ্রহণ করে নিবেদন করেছেন জীবনের সর্বস্ব, শিক্ষা-গণতন্ত্র-প্রগতি ও প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো যাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে টেনে এনেছেন ‘স্বাধীনতা’র দিকে, যাঁরা ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ বা ‘জয়বাংলা বাহিনী’র উত্তরাধিকার হিসেবে নিউক্লিয়াসের রাজনৈতিক-সামরিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স-বিএলএফ’ বা ‘মুজিব বাহিনী’ গঠন করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ও বিজয়ী হয়েছেন— তাঁরাই গঠন করেছেন জাসদ। এঁদের প্রায় সকলেই ছিলেন ছাত্র, তরুণ ও যুবক। জাসদ গঠনকারী নিউক্লিয়াসের ছাত্র-তরুণ-যুবকগণ ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান প্রবর্তন করেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধা দিয়েছেন, জাতীয় পতাকা তৈরি-প্রদর্শন-উত্তোলন করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনাক্রমে জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন করেছেন। অন্য কোন দল নয়। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে সমগ্র বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রের লাল ঝাঁন্ডার এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল; লড়াই চলেছিল দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী এ পতাকাতলে সমবেত হয়েছিলেন। এ সময় প্রায় ৯৮ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন এই তরুণগণ। তারুণ্যের জয়গানে দীপ্ত ছিল রাজপথ। শহরে- গ্রামে-গঞ্জে জ্বলে উঠেছিল অগ্নিমশাল। শ্রমিক-কৃষক-তরুণ-যুবগণ হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই-সংগ্রাম শুরু করেছিলেন চোরাকারবারী-মুনাফাখোর-মজুদদারদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদদের লাশ, সে লাশের গন্ধ আকাশ-বাতাস তখনও ভরেছিল। অস্ত্র হাতে তরুণগণ লড়াই ছেড়ে ঘরে ঢুকে যেতে পারেননি। ক্ষমতা নির্মাণ করে জ্ঞান, সে জ্ঞান আবার ক্ষমতাকে যুক্তি ও ভিত্তি দেয়। বাংলাদেশের গত ৪৯ বছরের বড় একটা সময়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের জুন পর্যন্ত পাকিস্তানপন্থার সামরিক-বেসামরিক স্বৈরতন্ত্র একটা ইতিহাস তৈরি করেছিল— যেখানে প্রজাতন্ত্রের জনক বঙ্গবন্ধুর সমান্তরাল নেতৃত্ব হিসেবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপন করা হয়েছিল শিক্ষাঙ্গণগুলোতে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া— লও লও লও সালাম’ শ্লোগান দিয়ে।প্রশ্ন হতে পারে, নিউক্লিয়াসপন্থিরা স্বাধীনতার জন্য যদি এত কাজ করে থাকেন তাহলে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে তারা জাসদ গঠন করলেন কেন? এখানে নির্দ্বিধায় বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পর আগের দশ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের রূপকার ও নিয়ামক ভূমিকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরকে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী রাজনীতির অর্থ ও ক্ষমতালিপ্সুরা। ফলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ‘বিপ্লবী জাতীয় সরকার’ গঠিত হতে পারেনি আর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে নিউক্লিয়াস ও ছাত্র-তরুণ-যুবকদের কোনো প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু গ্রহণ করতে পারেননি; বিপ্লবোত্তর দেশে যেরকম হয়— সমাজের সেরকম আমূল পরিবর্তন হয়নি। বরং স্বাধীনতার পর থেকে জনপ্রশাসন, সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে সংস্কৃতি-রাজনীতি পর্যন্ত সবকিছু পাকিস্তানপন্থার করায়ত্ব হয়েছিল। অনেক দুঃখভরে ফিদেল ক্যাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন— মহামান্য, আপনি শেষ, আপনি পুরোনো জনপ্রশাসন বহাল রেখেছেন। পরিতাপের বিষয়, পুনর্বাসিত পাকিস্তানপন্থা প্রথমে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে; পরে কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমকে হত্যা করেছে ও জাসদ-ধ্বংসে নিয়োজিত হয়েছে।নিউক্লিয়াসপন্থিদেরকে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার পাশাপাশি জাসদ গঠনে ভূমিকা রেখেছে আওয়ামী রাজনীতির সাথে নিউক্লিয়াসপন্থিদের মতাদর্শগত বিতর্ক ও ভিন্নমত— জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্লেষণ ও অবস্থান।বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৫ বছর ধরে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাসদকে অপরাপর দলকে সাথে নিয়ে লড়তে হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। নব্বইয়ের ছাত্র_গণঅভ্যুত্থানে_যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি তারা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ পেয়েছিল। সামরিক শাসন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই ছিল মুক্তিযুদ্ধে গড়া বাংলাদেশ ফিরে পাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা। এবারও সে তরুণ-যুবকগণ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন; এঁদের সাথে ছিলেন বুদ্ধিজীবী-নারী-শ্রমিক-কৃষক-সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অভূতপূর্ব এ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য তরুণগণ আবারও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আপোষহীন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সেনাশাসনকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন।কিন্তু গণতন্ত্রের নামে ১৯৯০ সাল থেকে ক্ষমতায় একবার মুক্তিযুদ্ধের দল একবার রাজাকারের দল— এই মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলতে থাকে, যে খেলায় গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে গণতন্ত্রে অবিশ্বাসী রাজাকারের দল জামাত ও সামরিক স্বৈরাচারের গর্ভজাত দল বিএনপি জঙ্গিবাদ বিকশিত করতে থাকে। এরা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে জানে মেরে ফেলার মিশন নিয়ে মাঠে নামে।২০০২ সাল থেকে জাসদের প্রয়াসে, ২০০৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ও জাসদের সমান্তরাল প্রয়াসে, ২০০৪ সালে ১৪টি দলের যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়, ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই ১৪ দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে, ২০০৭-২০০৮ সালের ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকাল উৎরিয়ে, ১৪ দলের সাথে অপরাপর দল নিয়ে ‘মহাজোট’ নামের নির্বাচনী সমঝোতা করে, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হয় ১৪ দল ও মহাজোটের সরকার। বিএনপি-জামাত জোট ১৪ দল ও মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পরিচালনা করে ৯৩ দিনের আগুনসন্ত্রাস; হত্যা করতে থাকে শিশু ও শ্রমিকসহ জনপরিবহনে ভ্রমণকারী সাধারণ নাগরিকদের।১৪ দল ও মহাজোট সরকার এখন তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায়। জামাত-বিএনপি কিছুটা কোনঠাসা হয়েছে; কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে; কিন্তু লড়াইয়ের মাঠে সামনে আনতে হবে দুনীতি-লুটপাট-দলবাজি-অনাচার-অত্যাচার-নিপীড়ন-ধর্ষণ প্রতিরোধে সুশাসন ও আইনের শাসনের সংগ্রাম ও সকল ধরনের ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমাজ পরিবর্তনের সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম।আবারও এ সংগ্রামে প্রয়োজন তরুণ ও যুব সমাজের অংশগ্রহণ_ বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো লড়াইয়ের সামনের কাতারে থেকেই পরাজিত করতে হবে সকল অত্যাচার-ধর্ষণ-নিপীড়নের হাত। তারুণ্যের জোরালো শক্তিশালী লৌহকঠিন ঐক্যের বন্ধন যদি তৈরি করা না যায় তাহলে মার খাবে গণতন্ত্র। পদদলিত হবে সমাজ পরিবর্তনের কলাকৌশল। তাই আজ ঐতিহাসিকভাবে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে তারুণ্যের অভিযাত্রা। তারুণ্যের এই অভিযাত্রা শুরু করতে চায় জাসদ।অতীতে জাসদ ইতিহাস চর্চার সময় পায়নি; আর জাসদ ইতিহাসের গৌরব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চায় না; জাসদ চায় বর্তমানের সমস্যা মোকাবেলা করে ভবিষ্যৎ-যাত্রা। এ যাত্রায় জাসদ তরুণদের সাথে পেতে চায়; এখানে তরুণদের উপলব্ধি করতে হবে সামাজিক আন্দোলন দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করা যায়, ক্ষমতা অর্জন করা যায় না; আর ক্ষমতা না থাকলে আমূল পরিবর্তন করা যায়না। ক্ষমতা অর্জন করতে, ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতা দিতে, অবশ্য-দরকার হলো রাজনৈতিক আন্দোলন। এ r জাসদ তরুণদের স্বাগত জানায়; জাসদ তরুণদের যে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে সবসময় প্রস্তুত; জাসদ রাজনীতির অ্যাজেন্ডায় তারুণ্যের দিকনির্দেশনা চায়।(লেখক: সংসদ সদস্য, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও প্রধান উপদেষ্টা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ।)

  • সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ফরম বিতরণ ও জমাদান কার্যক্রম উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ফরম বিতরণ ও জমাদান কার্যক্রম উদ্বোধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রদত্ত ফরম বিভাগীয় টিমের নির্দেশে বিতরণ ও জমাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলিম চেয়ারম্যান।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হোসেল আহমেদ মানিক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আসলাম পারভেজ শাহীন, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হামিদ, আবু রাশেম ভুট্টো, আব্দুল মজিদ, নিজাম উদ্দীন, ইসমাইল হোসেন নিরব, মনিরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, মাজেদ, আব্দুল করিম, নূর মোহাম্মদ, রাজু আহমেদ, তুহিন, খোকন প্রমুখ। উল্লেখ্য: ২৯ অক্টোবর শুরু হয়ে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বিতরণ চলবে এবং ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জমাদান কার্যক্রম চলবে।

  • বিজয়া দশমীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

    বিজয়া দশমীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিজয়া দশমীতে করোনা পরিস্থিতিতে উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
    ২৬ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর বিভিন্ন সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শকন ও তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। করোনা কালের এই দূর্গা পূজায় জেলা আওমীলীগের নেতৃবৃন্দদের কাছে পেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ উচ্ছ্বাসিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এভাবে বজায় রাখতে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে পাশে চান।
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হোসেন মাসুম, দপ্তর সম্পাদক উপাধাক্ষ শাহাজান সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মোনায়েম, সদস্য লোকমান মিয়া,আজহারুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জি এম ওয়াহিদ পারভেজ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান ,সাবেক ছাত্রনেতা তানভীর কবীর রবিন, সাতক্ষীরা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম সহ ছাত্রলীগের ও যুবলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • সভাপতিকে বহিস্কার ও কমিটি বাতিলের দাবীতে সাতক্ষীরা স্বোচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

    সভাপতিকে বহিস্কার ও কমিটি বাতিলের দাবীতে সাতক্ষীরা স্বোচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরা জেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিককে দল থেকে বহিস্কার ও কমিটি বাতিলের দাবীতে সাতক্ষীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মিরা।সোমবার দুপুরে জেলা ও সকল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে শহরের পাকাপোলের মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বেরহয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
    বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান ভুট্টো, দলটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদকআসাদুজ্জামান খোকা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সালাউদ্দীন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম হিমু, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদকশিবলুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা রাজিবুল ইসলাম রাজিব প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তারা কোন দিন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের কর্মী, মাদক ব্যবসায়ী ও পেশাদার ডাকাত নিয়ে সেচ্ছাসেবক দলের এ জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহম্মেদ মানিকের বহিষ্কার ও এই পকেট কমিটি দ্রুত বাতিল করে রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক ত্যাগি নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহবান জানান তারা।
    সাতক্ষীরায় ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত
    নিজস্ব প্রতিবেদক: শারদীয় দূর্গোৎসবের মহানবমী উপলক্ষে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ জেলা মন্দিরের নাট মন্দির প্রাঙ্গণে জেলা মন্দির সমিতির আয়োজনে জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ^নাথ ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি গোষ্ঠবিহারী মন্ডল, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরার চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা প্রমুখ।
    এসময় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ কুমার গুহ, পুজা উদযাপন পরিষদের সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শিব পদ গাইন, বাংলাদেশ হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক বাসুদেব সিংহ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোর্শেদ, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শফি উদ্দিন শফি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার করেন এমপি রবি। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মন্দির সমিতির সহ-সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাস। এসময় দলীয় ও পূজা মন্ডপে ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর একদিনের রিমান্ডে

    হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর একদিনের রিমান্ডে

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ধানমন্ডি থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আশফাক রাজীব হাসান সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

    সোমবার সকালে হাজী সেলিমের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। আসামিরা হলো, এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন।

    রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে দুই-তিন জন ব্যক্তি নেমে ওয়াসিফ আহমদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধানমন্ডি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে গ্রেফতার মিজানুর ও গাড়ি ধানমন্ডি থানায় রয়েছে।

    ওয়াসিফ আহমদ এজাহারে অভিযোগ করেন, তিনি নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে গাড়ি চালিয়ে কলাবাগানের দিকে আসেন। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমদও তাদের পেছনে পেছনে আসেন। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো। এই বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। এরপর তারা পালিয়ে যায়।’

  • কালিগঞ্জে বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জাপা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সাফিয়া

    কালিগঞ্জে বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জাপা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সাফিয়া

    কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: কালিগঞ্জে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাফিয়া পারভীন। রবিবার বিকাল ৪টায় মোটরসাইকেল সহ শোভাযাত্রার মাধ্যমে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন ও সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের সাথে শারদীয় দূর্গা উৎসবে মতবিনিময় করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জবেদ আলী, আফসার আলী সহ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিকাল ৫টায় তিনি বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কোমরপুর সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোমরপুর সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি তাপস মজুমদার ও সাধারন সম্পাদক শম্ভু কর্মকার সহ পূজা মন্ডপ কমিটির সদস্যবৃন্দ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নেঙ্গী সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নেঙ্গী পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি শরস কুমার সরকার ও সাধারন সম্পাদক সুধীর কৃষ্ণ মন্ডল সহ পূজা মন্ডপ কমিটির সদস্যবৃন্দ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কৃষ্ণনগর সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি দীপক কুমার হালদার ও সাধারন সম্পাদক ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ সহ পূজা মন্ডপ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

  • তালায় জাতীয় পার্টির উদ্যোগে উপজেলা দিবস পালিত

    তালায় জাতীয় পার্টির উদ্যোগে উপজেলা দিবস পালিত


    জহুরুল কবীর: তালায় জাতীয় পার্টির আয়োজনে ৩৬তম উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির তালাস্থ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গাজী আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তালা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস,এম নজরুল ইসলাম।
    উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাসান আলী বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস,এম জাহাঙ্গীর হাসান,জাতীয় পার্টির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু,সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, সেচ্ছাসেবক পার্টির উপজেলা সভাপতি এ্যাড: কবির আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বি,এম বাবলুর রহমান,মো: ফারুক হুসাইন,জাপানেতা আলহাজ¦ আব্দুর রাজ্জাক বিশ^াস, জাপা নেতা আব্দুর রশিদ সরদার, রহমত গোলদার, নুরুল আমিন বিশ^াস প্রমুখ।
    সভায় বক্তারা বলেন, ২৩শে অক্টোবর বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সংস্কারক, উন্নয়ন ও সু-শাসনের মহানায়ক জাতীয় পাটি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ঘুণেধরা প্রাগৈতিহাসিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে আধুনিক রাষ্ট্রের সময়োপযোগী উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
    এই দিনে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর একটি স্বিদ্ধান্ত বদলে দেয় সারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী ক্ষতবিক্ষত বাংলার রুপ । প্রশাসন কে বিকেন্দ্রীকরন করে ২১ টি জেলাকে ভেঙ্গে ৬৪ জেলায় ও ৪৬০টি থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করেন তিনি।তার এই সময় উপযোগী সিধান্তের ফলে প্রতিটি অবহেলিত থানা উপ-শহরে রুপান্তরিত হয়।প্রতি উপজেলায় ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট জজকোর্ট, এলজিইডি অফিস সৃষ্টি করে গ্রামের জনভোগান্তি রাস্তা-ঘাটের পিচের দ্বার উন্নয়ন।ফলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা বিচার বিভাগ,উপজেলা চেয়ারম্যানের কর্যালয় সেবা গ্রহনকারী লোকজনের সংখ্যাবৃদ্ধি পাওয়ায় উপ-শহরে পরিনত হয়। উপজেলা সদরের আশেপাশে বাড়িঘর নির্মাণ,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।কিন্তু পল্লীবন্ধুর সেই উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা এখন আর নেই। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে পুনাঙ্গ উপজেলা পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয় ।

  • জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন আর নেই

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, টি এন্ড টি কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক নেতা মোহাম্মদ হোসেন (৬৮) আর নেই। গত রাত ৩ টায় মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি…………….রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কিডনী জনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। আজ সকাল ৮ টায় মগবাজার টিএন্ডটি কলোনী জামে মসজিদে মরহুমের ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বাদ আছর লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চর সেকান্তর গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য রাজনৈতিক সহচর, আত্মীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি জনাব আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ছানোয়ার হোসেন তালুকদার এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ হোসেন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মোহাম্মদ হোসেন এর মৃত্যুতে রামগতির মানুষ একজন সাহসী, নির্মোহ রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবককে হারালো। নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

  • তালায় জাতীয় ছাত্র সমাজের মতবিনিময় সভা

    তালায় জাতীয় ছাত্র সমাজের মতবিনিময় সভা


    বিশেষ প্রেিতবেদক,তালা:আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি,সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরল ইসলাম কে বিজয়ী করতে জেয়ালা নলতা ওয়ার্ড জাতীয় ছাত্র সমাজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার জেয়ালা নলতা ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ রনি ইসলাম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি,তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুল হাকিম নিকারী,জাতীয় ছাত্র সমাজের তালা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম নিকারী, জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতা মোঃ মুন্না নিকারী। সভায় জাতীয় পার্টি তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম কে বিজয়ী করতে সকলে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

  • তালায় জাতীয় ছাত্র সমাজের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    তালায় জাতীয় ছাত্র সমাজের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বিশেষ প্রতিবেদক, তালা:আগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি,সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরল ইসলাম কে বিজয়ী করতে মুড়াকলিয়া উত্তর পাড়া জাতীয় ছাত্র সমাজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    গতকাল মতবিনিময় সভায় সদর ইউনিয়নের মুড়াকলিয়া উত্তরপাড়া জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম, নজরুল ইসলাম।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মোঃ ইকবল হোসেন, মোঃ হারুন সরদার, মুড়াকলিয়া উত্তরপাড়া জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ- সভাপতি মোঃ আব্দুল গফুর, সহ- সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম, যুগ্ম- সম্পাদক সম্পাদক মোঃ জাহিদ হোসেন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুন্না গাজী, প্রচারসম্পাদক মোঃ মুশফিকুর রহমান, সদস্য মোঃ আরিফ বিল্লাহ,সরদার আরিফ প্রমুখ। সভায় আগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম কে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

  • শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনের কেক কাটলেন এমপি রবি

    শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনের কেক কাটলেন এমপি রবি

    বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনের কেক কাটছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনের কেক কাটলেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। রবিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামীলীগের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনের কেক কাটেন এমপি রবি।
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল।’
    কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনছান বাহার বুলবুল, গণেশ চন্দ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শফি উদ্দিন শফি, নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সভাপতি এস.এম শওকত হোসেনসহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা কেক কাটা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

  • কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশনা উপেক্ষিত; সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ দু’ভাগ হলো

    কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশনা উপেক্ষিত; সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ দু’ভাগ হলো




    সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও ২ নং সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ।

    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক গ্রুপের আহবানকৃত আজকের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি আবুল খায়েরের মৃত্যুতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোননয়কে ঘিরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি শুরু হয়।
    তথ্যানুসন্ধানের জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রক্রিয়া না মেনেই শেখ আব্দুর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করে পত্র দিলেই বিপত্তি দেখা দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দু’গ্রুপই জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পাল্টা-পাল্টি সভা ডাকে। পরে ২নং সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের আহবানকৃত সভাটি হয় লেকভিউ মিলনায়তনে। সেখানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। অপরদিকে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামের আহবানকৃত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু সহ অসংখ্য নেতা-কর্মী।
    জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনয়নকে ঘিরে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মোঃ শহিদুল ইসলাম। শেখ আব্দুর রশিদ ইতোপূর্বে জানিয়েছেন বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের ব্যাপার। তারা নতুন করে মোঃ শহিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বানালে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও ইতোপূর্বে সাতনদীকে বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি না থাকায় শহিদুল ইসলামের পদত্যাগ পত্রটি প্রয়াত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়েরের নিকট প্রেরণ করা হয়। প্রক্রিয়াগত ত্রুটির বিষয়টি পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির সভায় আলোচনা করে সমাধানের পথ খোলা আছে।
    এদিকে দু’গ্রুপই তাদের অস্তিত্ব ঠিক রাখতে মাঠে নেমেছে। শেখ আব্দুর রশিদ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী কর্তৃক সম্প্রতি বর্ধিত সভার পত্র প্রস্তুত করে। এ খবর জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ভাবে গত সেপ্টেম্বরে সাতক্ষীরা বাসটার্মিনালের মালিক সমিতির সভাকক্ষে মোঃ শহিদুল ইমলামের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২৭জন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোরশেদ বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেন শেখ আব্দুর রশিদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারা মানেন না। এবং তার সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা আহবান করা হলে যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।
    সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বি এম মোজাম্মেল হক চলমান জটিল পরিস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদকে ফোন দিয়ে আজকের আহবানকৃত বর্ধিত সভাটি বাতিল করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আজ শাহজাহান আলী কর্তৃক আহবানকৃত বর্ধিত সভা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হতে যাচ্ছে। অপরদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামের গ্রুপ গভীর রাত পর্যন্ত শহরের এক শীর্ষ নেতার বাসায় দীর্ঘ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহজাহান আলী’র আহবানকৃত বর্ধিত সভার কোন বৈধতা নেই। ফলে এ ধরনের সভা হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
    এদিকে, শাহজাহান আলী’র আহবানকৃত বর্ধিত সভায় বিতরণকৃত কার্ডে অতিথি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলামকে। পাশাপাশি ব্যানারে সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে অতিথি করা হয়েছে। সর্বশেষ একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে জেলার শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে আহবানকৃত সভাটি হতে যাচ্ছে। তবে সভায় দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থােনে।

  • অপরাধীদের সঙ্গে নেতাদের সন্ধি বিচ্ছেদ করতে হবে: ইনু

    অপরাধীদের সঙ্গে নেতাদের সন্ধি বিচ্ছেদ করতে হবে: ইনু


    ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘অপরাধী যেই হোক তার ঠিকানা জেলখানা। কোনও দল ও সংগঠন অপরাধীদের ঠিকানা হতে পারবে না। অপরাধীদের আশ্রয়দাতা নেতাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। অপরাধীদের সঙ্গে নেতাদের সন্ধি বিচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
    শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সহযোগী যুব সংগঠন জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন হাসানুল হক।
    ইনু বলেন, ‘‘রাজাকাররা যেমন সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারে না, ঠিক তেমনি দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-ধর্ষকদেরও সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে দেওয়া যাবে না। তাদের বেপরোয়া ভাব দমাতে ‘তুই রাজাকার’-এর মতোই ‘তুই দুর্নীতিবাজ’, ‘তুই লুটেরা’, ‘তুই ধর্ষক’ আওয়াজ তুলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’’
    জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, সহ-সভাপতি কাজী সালমা সুলতানাসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

  • বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম-এর উদ্যোগে  ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ

    বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম-এর উদ্যোগে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ভাত-কাজ-চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম-এর উদ্যোগে আজ বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    পাঠচক্র ফোরাম-এর সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্য বেলাল চৌধুরী ও সাদরুল হাসান রিপন।

    কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ৬ মাসের করোনা-সংকটে কোটি কোটি মানুষ সংকটে পড়েছে। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে, অনেক মানুষের উপার্জন কমেছে। সে মানুষের জন্যে সারাদেশে রেশনিং-ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে স্বল্পসুদে ঋণ ও ন্যায্যদামে কৃষি-উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি বলেন, লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়েছে। মালিকরা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে না। জনগণের সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫ টা পাটকল বন্ধ করে ব্যক্তিগত মালিকানায় তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকারি উদ্যোগে আধুনিকায়নের মাধ্যমে অবিলম্বে চালু করতে হবে। শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা এককালীন পরিশোধ করতে হবে।

    শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের মেসবাড়া ও বেতন-ফি মওকুফ করে শিক্ষাজীবন সচল রাখার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

    মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন-সংগঠন গড়ে তোলার জন্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী গ্রাম-শহরের শোষিত মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

  • অপু উকিলের বিরুদ্ধে নাজমার যতো ক্ষোভ

    অপু উকিলের বিরুদ্ধে নাজমার যতো ক্ষোভ

    মশাল ডেস্ক: নাজমা আক্তার। যুব মহিলা লীগ সভাপতি। ১৯ বছর ধরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি তার মা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যুব মহিলা লীগ সহানুভূতি জানিয়ে স্বজন হারানো নাজমা আক্তারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, তার মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তাও জানায়নি! এ নিয়ে শোকাহত নাজমা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেঘগন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার যে চিত্র তা তুলে ধরেছেন। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তলে ধরা হলো:

    এটা কি বিবেকহীনতা, অমানবিকতা, শত্রুতা, হিংস্রতা, নাকি জঘন্য অপরাধবোধ থেকে সৌজন্যবোধটাকে হারিয়ে ফেলা ? প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৯টি বছরই কাটালাম যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে। সম্প্রতি আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রেস রিলিজ দিয়ে শোক বার্তা পাঠাবে, এটিই বোধ হয় রাজনৈতিক শিষ্টাচার। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সেটি তো করলোই না, ফেসবুকে দু:খ প্রকাশ করেও কোন স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। এমনকি গত ৭ দিনে তার কাছ থেকে সহানুভূতির কোনো ফোনও পেলাম না। তাহলে কি আমার মায়ের মৃত্যুর প্রেস রিলিজ আমাকেই দিতে হতো?

    কার সাথে এতোটি বছর রাজনীতি করলাম? কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় আমার মায়ের মৃত্যুতে শোক ও দু:খ প্রকাশ করে জনাব ওবায়দুল কাদেরের নামের সাথে অপু উকিলের নামটিও এসেছে। সেটি যুব মহিলা লীগের কোন প্রেস রিলিজ ছিল না, কোন এক সাংবাদিক ভাই তার নাম নিজের ইচ্ছাতেই জুড়ে দিয়েছেন। এইভাবেই কি মনুষ্যত্বহীন নিষ্ঠুর রাজনীতিকে সঙ্গী করে আমাদেরকে চলতে হবে?

    সুত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন

  • পাঁচ মাস পর  সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু বিএনপির

    পাঁচ মাস পর সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু বিএনপির

    দীর্ঘ পাঁচ মাস পর দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম/সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল।

    বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি এখনো বিরাজমান। এসময় বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় কার্যক্রমের অগ্রগতির জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম/সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশব্যাপী দলের নেতাকর্মীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব সাংগঠনিক কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর পাঁচ দফায় তা বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।