Category: রাজনীতি

  • সরকার টিকা আমদানিতে ব্যর্থ-ফখরুল

    সরকার টিকা আমদানিতে ব্যর্থ-ফখরুল


    ন্যাশনাল ডেস্ক: আর্থিক লাভের জন্য সরকার নিজে আমদানি না করে বেক্সিমকো ফার্মাকে করেনার টিকা আমদানির সুযোগ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
    সোমবার (২৬ এপ্রিল) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
    মির্জা ফখরুল বলেন, “একটি কোম্পানিকে সুবিধা দিয়েছে সরকার। তাই সরকার টিকা আমদানিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
    সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল আরও বলেন, “করোনায় সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ে পড়লেও সরকারের টনক নড়ছে না।”

  • ভারতের সঙ্গে স্থল পথের সব সীমান্ত বন্ধ করুন: ফখরুল

    ভারতের সঙ্গে স্থল পথের সব সীমান্ত বন্ধ করুন: ফখরুল


    ন্যাশনাল ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের স্থল সীমান্ত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি বিমানপথে আসা যাত্রীদের ‘তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা’র সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিও করেন তিনি।

    শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
    ফখরুল বলেন, ‘ভারতের পশ্চিম বাংলায় এই সংক্রমণটা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করি যে, ভারতের সঙ্গে স্থল পথের যে সীমান্ত আছে, এই সীমান্তগুলো একেবারেই বন্ধ করা দরকার।’
    ফখরুল বলেন, ‘এরইমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন— বলা হচ্ছে যে, বাইরে থেকে যারা আসবেন বিমান পথে, তাদেরকে মাত্র তিন দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যেটা আমি বিশ্বের কোথাও শুনিনি।’
    ‘এই যে সিদ্ধান্তগুলো, এই সব সিদ্ধান্ত আমাদের পরিস্থিতিকে ভয়ংকরভাবে নাজুক করে ফেলেছে। এখন যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে, লকডাউনের পরে একটা সপ্তাহ সবাই বাইরে চলে গেলো, এখন আবারও বলা হচ্ছে যে, আগামী রবিবার থেকে শপিংমল-দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে’, যোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় এসেছে যে, যারা এসব দোকানপাটে কাজ করছেন, ছোট ছোট দোকান যারা করেন, তারা সবাই বাইরে চলে গিয়েছিল, তারা আবারও ফিরতে শুরু করেছেন। ঈদের আগে তারা আবারও গ্রামের ফিরে যাবেন। ফলে কী হবে? সারা দেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভ্যারিয়েন্ট এসেছে তা ভয়াবহভাবে ছড়িয়েছে। এমন একটা পরিবার নেই যেখানে এই সংক্রমণ যায়নি। এমনকি শিশু পর্যন্ত এবার বাদ পড়ছে না।’
    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আগেও বলেছি। এখনও আমরা সরকারকে বলতে চাই যে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার এবং একটা পরিকল্পিত, সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। এত লেজেগোবরে করে ফেলেছে, যেন এখন কোনোটাই সামাল দিতে পারছে না।’

  • লকডাউন নিয়ে বাবুনগরীর বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়: জাসদ

    লকডাউন নিয়ে বাবুনগরীর বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়: জাসদ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান জাসদের দুই শীর্ষনেতা।
    বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) হেফাজত আমিরের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘হেফাজতের আমির বাবুনগরীর “লকডাউন তুলে নেওয়ার বিনিময়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জেলে যাবো” বক্তব্য অত্যন্ত নিম্নমানের চতুরতা, ধূর্ততা, ধড়িবাজি, চটকদারি, অসততা, মিথ্যাচার, ভণ্ডামি আর দ্বৈধতার বহিঃপ্রকাশ।’
    তারা বলেন, ‘বাবুনগরী লকডাউনকে এমনভাবে চিহ্নিত করেছে যে, লকডাউন বাংলাদেশ সরকারের আবিষ্কার। সরকার লকডাউন দিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিতে, হেফাজতি নেতাদের গ্রেফতার করতে, আর মুসলমানদের ইবাদত বন্ধ করতে। লকডাউন নিয়ে বাবুনগরীর বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

    লকডাউনে কী ফৌজদারি মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতারে রাষ্ট্রীয় আইনে কোনও বাধা আছে, এমন প্রশ্ন রেখে ইনু ও শিরিন বলেন, ‘বাবুনগরী, মামুনুলরা মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের সাদকা-জাকাত-দানের টাকায় ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাস-আমোদ-প্রমোদেই জীবন কাটায়। এর প্রমাণ মানুষের সামনে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে।’

  • রুশ বিপ্লবের নায়ক কমরেড লেনিনের জন্মদিন আজ

    রুশ বিপ্লবের নায়ক কমরেড লেনিনের জন্মদিন আজ

    অনলাইন ডেস্ক: ২২ এপ্রিল রুশ বিপ্লবের মহানায়ক কমরেড ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের জন্মদিন। ১৮৭০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শ্রমিক, কৃষকসহ মেহনতী মানুষগুলো যখন কুঁজো হয়ে যাচ্ছিল, মেহনতীদের ঘাড় ভেঙে পুঁজিপতি সুবিধাবাদী জাররা মুঠি ভরে নিত; ঠিক সে সময় রাশিয়ার মহানদী ভলগার তীরে এই মহান নেতার জন্ম।

    লেনিন এর পিতা ইলিয়া নিকোলায়েভিচ উইলিয়ানভ ছিলেন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। মা-মারিয়া আলেক্সান্দ্রভনা পড়াশোনা করেন বাড়ীতে। কয়েকটি বিদেশী ভাষা জানতেন, সাহিত্যে তার ভালো দখল ছিল।

    ইলিয়া ও মারিয়া উইলিয়ানভ পরিবারে ছেলেমেয়ে ছিল মোট ছয় জন। বাবা-মা তাদের জন্য বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন, চেয়েছিলেন তাদের সৎ ,বিনয়ী, পরিশ্রমী, জনগনের অভাব অনটনের প্রতি সজাগ করে তুলতে। পাঁচ বছর বয়সেই ভ্লাদিমির পড়তে শেখে, নয় বছর বয়সে ভর্তি হয় সিমবির্স্ক জিমনেসিয়মের প্রথম শ্রেণীতে। পড়াশোনায় ভ্লাদিমির ছিলেন খুবই মনোযোগী। ক্লাসের পর ক্লাস উত্তীর্ন হয়ে এল ভ্লাদিমির প্রথম শ্র্রেণীর পুরস্কার পেয়ে।

    অনেক পড়াশোনা করেন ভ্লাদিমির । রুশ মহান লেখকদের রচনা তার পাঠ্য সম্ভারে জড়িয়ে ছিল। তার পঠিত সাহিত্যের মধ্যে একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল বিপ¬বী গণতন্ত্রী লেখকরা। এদের অনেকের লেখা তখন নিষিদ্ধ ছিল তবু ভ্লাদিমির তা বাদ দেননি। লেলিনকে খুবই আকৃষ্ট করত ন.গ. চেনিশের্ভস্কির “What’s the Duty” উপন্যাস। ভ্লাদিমির লেলিনের মতে কঠোর সেন্সর সত্বেও চেনিশের্ভস্কি তার প্রবন্ধ মারফত সত্যিকার বিপ¬বী গড়ে তুলতে পেরেছিলেন।

    কিশোর লেলিনের চরিত্র ও দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে উঠে রুশ সাহিত্য ও পরিবেশের জীবন পর্যবেক্ষনের প্রভাবে। এসময় পুঁজিবাদ দ্রুত বিকাশ পাচ্ছিল, যান্ত্রিক টেকনোলজি ও হাজার হাজার মজুর নিয়ে মাথা তুলছিল কলকারখানা। সংগে যোগ হয়েছিল অভিশপ্ত ভূমিদাস প্রথা ।

    লেনিনকে আরো আলোড়িত করে ১৮৮৭ সালে যখন তার দাদা আলেক্সান্দর উইলিয়ানভ জার তৃতীয় আলেক্সজান্ডারকে হত্যা করার অভিযোগে সেই বছরের মার্চে গ্রেপ্তার হন এবং মে’তে তিনি মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হন। দাদার মৃত্যুর পর লেলিন বিপ্লবী সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন।

    তেইশ বছর বয়সী লেলিন গ্রাম্য জীবনকে স্বচক্ষে পর্যবেক্ষন করতেন। প্রায়ই কৃষকদের সম্বন্ধে আলাপ করতেন, তাদের অবস্থার খোঁজখবর নিতেন। সামারা, কাজান, সারাতভ, সিজরান প্রভৃতি এলাকাসহ ভলগা তীরের অন্যান্য শহরে মার্কসবাদীদের সংগে যোগাযোগ স্থাপন করে পরবর্তী বিপ্লবী অভ্যুথানের জন্য সক্রিয় হতে থাকেন।

    ১৮৯৬ সালে গ্রীষ্মে ‘সংগ্রাম সংঘ’এর নেতৃত্বে পিটার্সবুর্গে সুতাকল শ্রমিকদের একটি বিখ্যাত ধর্মঘট সংঘটিত হয়, তাতে যোগ দেয় ত্রিশ হাজারেরও বেশী নরনারী শ্রমিক। এ ক্রিয়াকলাপের ফলে জার সরকার লেলিনসহ দলের অধিকাংশ নেতা কর্মীদের গ্রপ্তার করেন। জেলে থেকেও তিনি বিপ্লবী ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকেননি। জার সরকার ১৮৯৭ সালে লেনিনকে ৩ বছরের জন্য সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করেন । তবু তিনি ভেঙ্গে পড়েননি।

    ১৯০০ সালের ২৯ জানুয়ারী নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি সস্ত্রীক প্রচন্ড শীতে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার ঘোড়ায় চেপে দিন-রাত সমানে পথ চলেন।

    ১৯১৪ সালের প্রথমার্ধে রাশিয়ায় বিপ্লবী আন্দোলন ক্রমেই ব্যাপক হয়ে উঠল এবং পনের লক্ষ শ্রমিক ধর্মঘট করে। অর্থনৈতিক ধর্মঘটের সাথে রাজনৈতিক ধর্মঘট জড়িয়ে পড়েছিল। এই ১৯১৪ সালেরই গ্রীষ্মে দুই সম্রাজ্যবাদী দলের মধ্যে শুরু হয় প্রচন্ড লড়াই। এদের এক দলে জার্মানি ও অস্ট্রো হাঙ্গেরি এবং অন্যদলে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়া। পরে যুদ্ধে যোগ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অন্যান্য রাষ্ট্র। যুদ্ধ হয়ে উঠল বিশ্ব যুদ্ধ।

    যুদ্ধের বিরোধিতা করায় অস্ট্রিয় সরকার তাঁকে মিথ্যা রিপোর্টে গ্রপ্তার করান জার সরকারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অস্ট্রিয়ার সামরিক কর্তারা লেলিনকে দুই সপ্তাহ্ পর মুক্তি দিতে বাধ্য হন। প্রায় দশ বছর পর ১৯১৭ সালের ৩ এপ্রিল রাতে লেনিন রাশিয়ায় পৌছান। সেখানে বিপ্লবের দ্রুত বিকাশ দেখে লেলিন শ্রমিক শ্রেণী ও গরীব কৃষকদের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের জন্য তৈরী হতে বলেন। লেনিনের সশস্ত্র অভ্যুত্থান, প্রলেতারীয় একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার আহবান সমর্থন করে দেশে ২৫০টির বেশী সোভিয়েত।

    লেনিন ও বলশেভিক পার্টির নেতৃত্ব শ্রমিক, লালরক্ষী, সৈন্য ও নাবিকদের আত্মৎসর্গী সংগ্রাম ও বিরত্বের ফলে বিশ্ব ইতিহাসে এক মহাসাফল্যের ঘটনা ঘটে। জমিদার ও পুঁজিবাদ ধ্বংস হয়। ২৫ অক্টোবর সকাল ১০টায় পেত্রগ্রাদ সোভিয়েতের অধীনস্থ সামরিক বিপ্লব কমিটি লেনিনের বিবৃতি প্রকাশ করে ঘোষনা দেয় লড়াই সফল হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় শুরু হয় দ্বিতীয় সোভিয়েত কংগ্রেস। এতে নানা অঞ্চল থেকে ৬৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেয়, যার মধ্যে ৪শ’ জনই বলশেভিক।

    ২৬ অক্টোবর কংগ্রেসে লেনিনের বক্তৃতা উল্লাসে অভিনন্দিত করে প্রতিনিধিরা। ‘লেনিন যেই মঞ্চে এলেন অমনি সমস্ত সভাকক্ষ উঠে এগিয়ে যায় লেনিনের দিকে। অবিরাম করতালি আর লেনিন জিন্দাবাদ ধ্বনিতে মুখরিত প্রাঙ্গনে তিনি বহুক্ষন বক্তৃতা শুরু করতে পারেননি।’

    এভাবেই যাত্রা শুরু হয় সমাজ তান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের। ১৯২৩ সালের মার্চের গোড়ায় লেনিনের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে আসে। মে মাসে উনি গোর্কিতে ফিরে যান। অবশেষে ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরনের ফলে মারা যান লেলিন। আর সেই সাথে অবসান হয় একটি বিপ্লবী চরিত্রের, একজন রাষ্ট্র নায়কের, এক মেহণতীদের নেতার।

    ২৩ জানুয়ারী লেলিনের শবাধার গরইক থেকে মস্কোয় এনে ইউনিয়ন ভবনের সভা কক্ষে রাখা হয়। সকল স্তরের নর-নারীরা স্তম্ভ কক্ষের ভিতর দিয়ে প্রদক্ষিন করে লেলিনকে তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। ২৭ জানুয়ারী বিকাল চারটায় লেলিনের সমাধি অনুষ্ঠান শুরু হয়। ক্রমলিনের দেয়ালের কাছে, বিশেষভাবে নির্মিত ম্যুজোলিয়ামে স্থাপিত হয় লেলিনের দেহ। তখন সমস্ত কাজ পাঁচ মিনিটের জন্য বন্ধ ঘোষনা জানালো আন্তর্জাতিক

    প্রলেতারিয়েত। থেমে গেল মোটর, ট্রেন, বন্ধ রইল কলকারখানার কাজ। পেত্রগ্রাদের নাম হয় লেনিন গ্রাদ। গভীর শোক নিয়ে এভাবেই প্রাণের নেতাকে চির বিদায় দিল সোভিয়েত জনগণ।

  • মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী ঐক্য সরকার গঠন

    মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী ঐক্য সরকার গঠন

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

    মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধীরা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেছে। সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে উত্খাত হওয়া পার্লামেন্ট সদস্য, জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের নেতা ও জাতিগত সংখ্যালঘু বা আদিবাসীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে এ ছায়া সরকার গঠন করা হয়েছে। যারা আত্মগোপনে থেকে কাজ করবেন। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নামে ছায়া সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় কমিটি রিপ্রেজেন্টিং পাইদাউংসু হ্লুতাউ (সিআরপিএইচ)। গতকাল নবগঠিত এ সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, তাদের লক্ষ্য সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। খবর রয়টার্স।

    গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের নেতা মিন কো নাইং ১০ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জনগণের সরকারকে স্বাগত জানাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে দায়িত্বশীলদের নামও প্রকাশ করা হয়। ঐক্য সরকারের স্টেট কাউন্সেলর হিসেবে গৃহবন্দি অং সান সু চিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মিন কো নাইং বলেন, জনগণের ইচ্ছাই হবে তাদের সরকারের অগ্রাধিকার। তবে নতুন এ দায়িত্ব অনেক কঠিন তা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, আমরা এ পরিস্থিতির উৎস থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি। ফলে আমাদের আত্মত্যাগ করতে হবে অনেক বেশি।

    আন্তর্জাতিক সমর্থন ও স্বীকৃতি আদায় হবে ঐক্য সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। নবগঠিত এ সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী ড. সাসা সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে দেশটির বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমারের নেতা। তাই মুক্ত ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে তাহলে এর অর্থ হলো তারা গণতন্ত্রকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের লক্ষ্য একটি ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন গড়ে তোলা।

    গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির দলকে ক্ষমতা থেকে উত্খাত করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। গত বছর নভেম্বরে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় এসেছিল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। তবে ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল নেয় সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় অং সান সু চিকে। সামরিক শাসনের প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছে সাধারণ মানুষ। গত সাড়ে তিন মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সাত শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।

  • শফীর মধ্যপন্থা থেকে বেরিয়ে ‘বাবুনগরীর হেফাজতে ইসলাম’ চরমপন্থার যে বার্তা দিচ্ছে

    শফীর মধ্যপন্থা থেকে বেরিয়ে ‘বাবুনগরীর হেফাজতে ইসলাম’ চরমপন্থার যে বার্তা দিচ্ছে

    ইউরোপীয় ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের মন্তব্য

    • অনলাইন ডেস্ক :  

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সংগঠনটির নামের অর্থ দাঁড়ায় ‘বাংলাদেশে ইসলাম রক্ষা’। এটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম মূলত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের কওমি (ধর্মীয় স্কুল) মাদরাসায়। উগ্র ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (এইচআইবি) দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রাক্কালে। 

    সংগঠনটি সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ২০১৩ সালে। তখন এই সংগঠনটি কওমি মাদরাসার প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মী নিয়ে ঢাকায় আন্দোলন করে। সংগঠনটির হাজার হাজার মাদরাসার একটি নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

    হেফাজতের পরিচালিত মাদরাসাগুলোতে শত শত এতিমকে বিনামূল্যে রাখা হয়, ইসলামী রীতি-নীতি অনুযায়ী তাদের সামাজিক চাহিদা ও প্রয়োজন পূরণ করা হয়। এ ছাড়া জাকাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পায় হেফাজত পরিচালিত মাদরাসাগুলো। এসব কারণে হেফাজতের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। 

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে আল্লামা শাহ আহমদ শফী মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর দলটির ভেতরের সরকারবিরোধী উপদলগুলো আরো চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ে। ক্ষমতার ভারসাম্যও চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    শাহ আহমদ শফীর উত্তরসূরি হিসেবে আমির পদে আসেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তার বয়স যখন ২০-এর কোটায় তখন তিনি চার বছর পাকিস্তানে পড়াশোনা করেছিলেন। প্রথমে তিনি পড়াশোনা করেন জামিয়া উলূম-উল-ইসলামিয়ায়। পরে করাচির জামিয়া দারুল উলূম নামের এক প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। কট্টরপন্থী বাবুনগরী দায়িত্ব নেওয়ার পর তার পূর্বসূরির প্রণীত দলটির মধ্যপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে অনেকটাই রাজনৈতিক চরিত্র দেন।

    এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন দ্য ডেইলি স্টারের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রাশিদুল হাসান।২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি নিবন্ধে তিনি জানান, হেফাজত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হচ্ছে। দলটির কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, কৌশলগত এমন দাবির পরও হেফাজতে ইসলাম এখন রাজনৈতিক দলের চেয়েও বেশি কিছু।

    ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি নিবন্ধে তিনি জানান, হেফাজত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হচ্ছে। দলটির কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, কৌশলগত এমন দাবির পরও হেফাজতে ইসলাম এখন রাজনৈতিক দলের চেয়েও বেশি কিছু।

    দ্য ডেইলি স্টারের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রাশিদুল হাসান।

    এর আগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নিষিদ্ধ মৌলবাদী ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জোটবদ্ধ হয়েছিলেন। এই দুটি দল আগে ঢাকায় সরকার গঠনের জন্য জোটবদ্ধও হয়েছে। শেখ হাসিনাকে হটাতে হেফাজতের উচ্চাভিলাষী নতুন নেতৃত্বকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে দেখছে বর্তমান বিএনপি। 

    কিছু বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ মনে করেন, হেফাজতে ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে একটি ফ্রন্টে পরিণত হয়েছে। যে দলটি বাংলাদেশে শরিয়াহ শাসন কায়েম করতে চায়। জামায়াত পাকিস্তানি আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে বলে মনে করা হয়। জামায়াত ও হেফাজত একে অপরের কাছে আসার পেছনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    চলতি বছরের ২৬ মার্চ হেফাজত বাংলাদেশে যে সহিংসতা সৃষ্টি করেছিল, তার পটভূমি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। দেশে মোদি আসার পরও সহিংসতা চলছিল, সহিংসতা চলমান থাকে বেশ কয়েক দিন। বাংলাদেশ সরকার হেফাজতের কর্মকাণ্ড গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের প্রথম প্রতিক্রিয়া দৃঢ় ছিল। তিনি বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।  বিক্ষোভ বন্ধ না করা হলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

    এদিকে ইসলামের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোয় হেফাজতের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হেফাজতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য বিএনপি ও জামায়াতের সমালোচনা করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এসব কর্মকাণ্ড হেফাজত কি একা করেছে? এর পেছনে বিএনপি-জামায়াত জোটের হাত রয়েছে। 

    হেফাজতকে সমর্থন জানিয়ে ২৭ ও ২৮ মার্চ বিএনপি ও জামায়াত পৃথক বিবৃতি জারি করেছিল বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে তাদেরও ভূমিকা রয়েছে এটি তার প্রমাণ করেছে। তিনি এই দুটি দলকেই আদর্শবর্জিত বলে দাবি করেন। তার দাবি, মোদির সফরবিরোধী হেফাজতের তাণ্ডবকে সমর্থন করছে এই দুই দল। আবার একই সময়ে মোদি যখন দেশে এলেন, তখন তারা তাঁকে (মোদিকে) স্বাগত জানিয়েছে। শেখ হাসিনা দেশের সংসদকে নিশ্চিত করেছেন যে যারা এমন ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

    মোদির বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে ভারত সরকার তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোদির সফর ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরো দৃঢ় করবে। হেফাজতের তাণ্ডব সম্পর্কে তারা বলছে, সহিংসতা উদ্বেগের বিষয়। আমরা সর্বদা মৌলবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে ছিলাম। আমরা নিশ্চিত যে বাংলাদেশ সরকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। 

    বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হলো দলটির নতুন নেতৃত্বের অধীনে নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে হেফাজতের উত্থান ঘোষণা করা। যে দলটি বাংলাদেশে ইসলামকে ‘রক্ষা’ করতে চায়। মনে করা হচ্ছে, এই বিষয়টি সম্পর্কে শেখ হাসিনা অবগত এবং মোকাবেলা করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন।

    সূত্র: কালের কণ্ঠ, (ইউরোপীয় ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে ‘ভায়োলেন্ট প্রটেস্টস ডিউরিং ইন্ডিয়ান পিএম’স ভিজিট মে হেরাল্ড দ্য ডাউন অব এ পটেন্ট নিউ এক্সট্রিমিস্ট ইনটিটি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে অনূদিত (সংক্ষেপিত)।

  • শুভ জন্মদিন, আগুনের ফুল-শিরীন আখতার

    শুভ জন্মদিন, আগুনের ফুল-শিরীন আখতার

    জিয়াউল হক মুক্তা

    [বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীকালের সকল সামরিক-বেসামরিক স্বৈরতন্ত্র ও যুদ্ধাপরাধ-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আর শ্রমিক-নারী-কৃষক-কৃষিশ্রমিকের সুনির্দিষ্ট অধিকার আদায়ের আন্দোলনে-সংগ্রামে রাজপথের সাহসী নেতা শিরীন আখতারের জন্মদিন ১২ এপ্রিল। এ রচনায় তাঁর জীবনের ওপর সামান্য আলোকপাত করেছেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা।]
    আজ আমাদের দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয় শিরীন আপার ৬৬তম জন্মদিন। ভীষণ এ মহামারীকালে ৬৭ বছর বয়সে পদার্পনের দিনেও তাঁর জীবন আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় কখনও থেমে যেতে নেই। সংগ্রাম চিরন্তন ও নিরন্তর, সংগ্রাম জীবনভর এই তাঁর জীবনের শিক্ষা অন্যদের জন্য।
    খুব ছোটকালে ১৯৬৮ সালে ১৪ বছর বয়সে তিনি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে সক্রিয় গোপন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস’-এর একজন সক্রিয় অনুসারী হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন। সে সময় সমাজে প্রতিষ্ঠিত একটি পরিবারের একজন ‘মেয়ে’র জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া খুব সহজ ছিল না। ১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগহণ করেন।
    ১৯৭১ সালের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি আজিমপুরের দুঃসাহসী নগর-গেরিলা গ্রুপ সবুজ-সজীব গ্রুপের সদস্য হিসেবে ভুমিকা পালন করেন। সেসময় আজিমপুর কলোনির কিশোরীদের নিয়ে নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অনেক দুঃসাহসী কাজের নেতৃত্ব দেন। ওই সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সে সময়ের কিশোরী লিনু হকের বই: মেয়ে বিচ্ছু।
    স্বাধীনতার পর সে ধারাবাহিকতায় তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রপন্থি ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ থেকে জাসদ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে প্রকাশ্য কার্যক্রম পরিচালনায় বাঁধা দেয়া হতে থাকলে দলের সক্রিয় সকল নেতাদের মতো তাঁকেও আত্মগোপনে গিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ১৯৭৫ সালে নিষিদ্ধ হবার পর দল বিপ্লবী গণবাহিনী গড়ে তোলে। ১৯৭৪ সাল থেকে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল দলের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থাটি সক্রিয় রাখা— বিশেষত উত্তরবঙ্গে। মনে রাখা দরকার সেটা টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের যুগ ছিল না, ভালো সড়ক যোগাযোগেরও না।
    বঙ্গবন্ধু হত্যার ১৫ দিন পর ১৯৭৫ সালের ৩০ আগস্ট খোন্দকার মুশতাকের শাসনামলে তিনি তার বেইজ-এলাকা রংপুর থেকে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেফতার হন ও অমানুষিক নিপীড়নের শিকার হন। ১৯৭৫ সালের ২৫ অক্টোবর তাঁকে ঢাকায় এনে গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে রাখা হয় এক সপ্তাহ ও ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতার জেল-হত্যার পরপরই তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালতের রায়ে তাকে দুবছরের সশ্রম কারাদ- ভোগ করতে হয়। ১৯৭৭ সালের ১৩ জুলাই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন ডাকসুর ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদক পদে। ১৯৮২ সালে সামরিক জান্তা এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন ও স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনায় তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৩-র ১৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ঐতিহাসিক মধ্য-ফেব্রুয়ারির সামরিক-স্বৈরশাসন বিরোধী জঙ্গি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুনতর গতি ও মাত্রা দেন।
    ১৯৮৭-র ১৪ জানুয়ারি সালে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেবার পর তিনি জাতীয় শ্রমিক জোটের মাধ্যমে শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন ও নেতৃত্ব দেন; সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনও অব্যাহত রাখেন।
    ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শেষদিকে তিনি তাঁর ছাত্র ও শ্রমিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর বাবার বাসার নীচতলার ছোট একটি কক্ষে গড়ে তোলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘কর্মজীবী নারী’। তাঁর এ উদ্যোগ বাংলাদেশের নারী আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের দুটো প্রধান নেতিবাচক প্রবণতাকে ছিন্নভিন্ন-তছনছ করে দেয়; ও পরে যুগপোযোগী করে তোলে।
    প্রথমত, বাংলাদেশের নারী আন্দোলন তখনও পর্যন্ত ছিল এলিট ও মধ্যবিত্তের অ্যাজেন্ডায় ফ্যাঁচফ্যাঁচে ‘পিতার সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার চাই’ জাতীয় ইস্যুতে পরিপূর্ণ। তিনি সামনে টেনে আনলেন সমাজ বিকাশের এ পর্যায়ে সর্বহারা নারীর ইস্যু যে নারীর পিতার সম্পত্তিই নেই কিংবা যে নারী নিজেই সর্বহারা, শ্রম ছাড়া যার বিকোবার কিছু নেই— তাদের ইস্যু। বিকাশমান ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের নারীর ইস্যুর পাশাপাশি তিনি সামনে টেনে আনলেন সার্ভিস সেক্টরের নারীর ইস্যু; শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী নারীর সমমজুরি ও সমঅধিকারের ইস্যু। পরিবারে-কর্মক্ষেত্রে-সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নিপীড়নের ইস্যুটিতেও তিনি ব্যাপকভাবে আলোকপাত করেন। তাঁর এসব বহুমাত্রিক উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে সকল নারী সংগঠনকে বাধ্য করে তাদের নিজ নিজ অ্যাজেন্ডা পরিবর্তন করতে, নয়তো বিলুপ্ত হতে।
    দ্বিতীয়ত, ডান-বাম নির্বিশেষ বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রমিক নেতৃত্ব নারী শ্রমিকের বিশেষ অধিকারগুলোর প্রতি চরম নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতেন; অপ্রকাশ্যে হয়তো এখনও অনেকেই তাই করেন। নারী শ্রমিকের বিশেষ অধিকারের কথা [সমকাজে সমমজুরি ও সমঅধিকার, প্রজনন স্বাস্থ্য, মাতৃত্বকালীন ছুটি, শিশুযতœকেন্দ্র ইত্যাদি] সামনে আনলেই এ নেতৃত্বের সবাই-সমস্বরে চিৎকার করে উঠতেন কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে যে শোষিত শ্রমিক তো শ্রমিকই তার আবার নারী-পুরুষ কী? হিমালয়সম এসব নেতৃত্বকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন মোটামুটি একা। স্থানীয়-জাতীয়-আন্তর্জাতিক পরিসরে তিনি এসব নিয়ে কাজ করেছেন নিরলস। এবং এরই মধ্যে তিনি এগুলোর বেশির ভাগেরই আইনগত স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। সকল শ্রমিক সংগঠনে নারী সেল গঠনের তাঁর যে প্রস্তাবনা, তাও অর্জিত হয়েছে।
    খুব সংক্ষেপে বললে তিনি নারী আন্দোলনকে পুষ্ট করেছেন শ্রমিকের অ্যাজোন্ডায়, আর শ্রমিক আন্দোলনকে পুষ্ট করেছেন নারীর অ্যাজেন্ডায়। এটা বললে বাড়াবাড়ি হবে না মোটেই যে এদেশে এ রকম পারস্পরিক-মাত্রায় আর কেউ অবদান রাখতে পারেননি। হ্যাঁ, পরে অন্যরাও কেউ কেউ এসব করেছেন, কিন্তু শিরীন আখতারই হচ্ছেন পাইওনিয়ার, ভ্যানগার্ড।
    শ্রমিক ও নারী আন্দোলনে তিনি আরও অনেক ভূমিকাই রেখেছেন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর চাপিয়ে দেয়া কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচির বিশিল্পায়ন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। নতুন শ্রম আইন অর্জন করেছেন। পোশাক শিল্পের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কাজ করেছেন। হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আইন সচেতনতা, সংগঠন ও নেতৃত্ব বিষয়ে। দেশের বৃহত্তম শ্রমখাত কৃষি শ্রমিকদের আইনগত স্বীকৃতি অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দিনাজপুরে ইয়াসমীন ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে রাজধানীতে সামগ্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে নারী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করায় ভূমিকা রেখেছেন; বিচার নিশ্চিত করেছেনৃ.. ইত্যাদি।
    কর্মজীবী নারীর সভাপতি থাকার সময় তিনি জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি হন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাংগঠনিক কাঠামোয় যোগদান করেন। কিছুটা দ্বিধা ও লজ্জা লাগলেও একথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে অপরাপর সকল ডান-বাম দলের মতোই জাসদের অভ্যন্তরেও পিতৃতান্ত্রিক-পুরুষতান্ত্রিক-পুঁজিতান্ত্রিক অধঃস্তনতার সংস্কৃতি কিছুটা বিরাজমান। সেই অধঃস্তনতার সংস্কৃতিকে মোকাবিলা করেই তিনি বিপুল ভোটে জাসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাসদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ১৪ দলের যুদ্ধাপরাধ-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধ নবতর আন্দোলনের সূচনা করছেন। সংগঠনের অভ্যন্তরে আদর্শবাদের চর্চায় গুরুত্ব দিচ্ছেন।
    তিনি বয়সে আমার আম্মার চেয়েও বড়; কিন্তু তাঁর তারুণ্য আজকের দিনের বয়সী তরুণদের চেয়ে অনেক অনেক উচ্চতর। এখনও তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেন। রাজনীতির জন্য শ্রম-সময়-মেধা দিতে গিয়ে তিনি তাঁর একমাত্র ছেলেকে ব্রেস্টফিড করাতে পারেননি— ঘটনাচক্রে তাঁর ছেলের এ অভিমানের কথা আমরা জেনেছি তাঁর মাতৃহৃদয়ে এ বিষয়ে চিনচিনে একটি ব্যথাও হয়তো রয়েছে। তবে তাঁর এ ঘটনাটির একটি মতবাদিক দিক রয়েছে পিতৃতন্ত্র-পুরুষতন্ত্র-পুঁজিতন্ত্র ‘মা’ ও ‘মাতৃত্ব’ একাকার করে ফেলে নারীকে গৃহবন্দী করার ও অধঃস্তন করার যুক্তি হিসেবে। মা শিশুর জন্ম দেন, এর জন্য জরায়ুর প্রয়োজন হয়; কিন্তু লালনপালনের জন্য জরায়ুর প্রয়োজন হয় না, তা যে কেউ করতে পারে; মাতৃত্বের সীমাবদ্ধতা ‘মা’র গুরুত্ব বা মহত্বকে খাটো করে না; সকল মা’ই মহিয়সী।
    তাঁর ছেলে এখন একজন চিকিৎসক। তাঁর স্বামী মনিরুল ইসলাম, ষাটের দশক থেকে মার্শাল মনি নামে পরিচিত। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস সংগঠিত ও সক্রিয় থাকলেও একে আদর্শবাদের ভিত্তিতে এক নতুন গুণগত মানে উত্তীর্ণ করতে প্রধান ভূমিকা রাখেন তিনি। সিরাজুল আলম খান সম্প্রতি বলেছেন যে তাঁদের তিনজনের সাথে মার্শাল মনি হচ্ছেন একজন যিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশীদার ছিলেন। মার্শাল মনিও একজন নিভৃতচারী সেজন্য বর্তমান সময়ের লোকজন তাঁকে খুব একটা চেনেন না। জনশ্রুতি আছে বঙ্গবন্ধু একবার সিরাজুল আলম খানকে বলেছিলেন, কীরে, তোর মার্শাল মনিকে তো আমাকে দেখালি না। আমরা সঠিক জানিনা তাঁর সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল কিনা। সে যাক, শিরীন আখতারের কথা বলতে গিয়েই তাঁর পরিবারের প্রসঙ্গটিও এসে গেল আশা করি তারা এতে কিছু মনে করবেন না।
    একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। ১৯৯৮ বা ১৯৯৯ সাল। কর্মজীবী নারীতে আমি তখন একজন কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করি। একটি প্রকল্প ছাড় করানোর জন্য মৎসভবনে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালকের সাথে দেখা করতে যাই আমি ও আরও একজন সহকর্মী। মহাপরিচালক সাহেব কর্মজীবী নারী সম্পর্কে এটাসেটা জিজ্ঞেস করার পর জিজ্ঞেস করলেন আপনাদের সভাপতি কোন শিরীন আখতার? আমিও এটাসেটা বলে জবাব দেবার চেষ্টা করি, শিরীন আপার রাজনৈতিক পরিচয় এড়িয়ে গিয়ে; কিন্তু তিনিও নাছোড়বান্দা। আমার মুখ থেকে বের করে আনলেন যে এই শিরীন আখতার জাসদের শিরীন আখতার। তিনি তখন চিনলেন। আমি ভাবলাম মহাপরিচালক সাহেব মনে হয় ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতেন; তাই সাহস করে বললাম জাসদের শিরীন আখতারকে আপনি কীভাবে চেনেন? তিনি বললেন যে তিনি সে সময় রংপুর জেলখানার কর্মরত ছিলেন। তিনি বললেন, “আপনারা এ কালের তরুণরা কতোটা বুঝবেন জানি না; কিন্তু আগুনের মতো সুন্দরী একজন তরুণী গোপন রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করতে গিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ধরা পরে কারান্তরীণ আর সে কারার কর্মকর্তা আমি সে ঘটনা ভুলি কী করে?”
    জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা শিরীন আপার জন্য। প্রথমে রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদার শেষ কথা দিয়ে শেষ করার কথা মনে এলেও পরে তা অপূর্ণাঙ্গ মনে হলো; তাঁর জন্য আমাদের নিবেদন আমার অসম্ভব প্রিয় গানগুলোর একটি নিনা সিমোনের মিসিসিপি গডড্যাম যা তাঁর ব্যক্তিক-আদর্শিক-রাজনৈতিক অবস্থান ও সংগ্রামকে প্রতিফলিত করে।

    লেখক: প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল

  • জেলা জাসদের পতাকা মিছিল

    জেলা জাসদের পতাকা মিছিল

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১ মার্চ সোমবার জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলীর নেতৃত্বে পতাকা মিছিল।

  • আমি একা, বড় একা, আমার আপন কেউ নেই…….. রওশন এরশাদ

    আমি একা, বড় একা, আমার আপন কেউ নেই…….. রওশন এরশাদ

    নিজস্ব প্রতিনিধি

    বছর দু’এক আগেও রওশন এরশাদকে ঘিরে সরব ছিল জাতীয় পার্টি। কে বেশি সময় পাশে থাকতে পারেন, এ নিয়ে প্রতিযোগীতা ছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টির ‘প্রধান পৃষ্ঠপোশক’ রওশন এরশাদের সেদিন এখন আর নেই। কার্যত দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা।

    নিজের দল জাতীয় পার্টি থেকে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শুরুতে এলাকায় চমক দেখানো অনেক কাজই করেছেন ‘সাবেক ফার্স্ট লেডি’ রওশন এরশাদ। তৃণমূলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু ময়মনসিংহ সদরের ভোটাররা এখন আর তাঁর খুব একটা দেখা পান না। গেলো এক বছর কোন দৃশ্যমান কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাকে। এমন কি জাতীয় পার্টিতেও তার অবস্থান বেশ নাজুক। করোনার কারনেই মনে হয় একাকিত্ব বরণ করছেন তিনি। দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদের কোন কার্যক্রমেও তাকে দেখা যায়নি।

    জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলে পদ-পদবি নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে। পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে দলটিতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেখা যায় নেতাকর্মীদের। পরবর্তীতে বৈঠকের মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। দলের নবম কাউন্সিলে ক্ষমতাহীন ‘চিফ প্যাট্রন’ বা প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। কাউন্সিল পরবর্তীতে তার কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে অনেকটা আড়ালে চলে যান তিনি।

    তবে রওশন এরশাদের নীরবতার পেছনে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন কেউ কেউ। পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম একটি গণমাধ্যমে দেয়া স্বাক্ষাতকারে বলেন, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান উপদেষ্টা। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিচ্ছেন না। তার মানে এই নয় যে তিনি সংগঠন থেকে দূরে সরে গেছেন। তিনি সবসময় দলের খোঁজখবর রাখছেন। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গেও তার যোগাযোগ আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি দৃশ্যমান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

    তবে গুঞ্জন উঠেছে, দলীয় রাজনীতিতে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর যারা রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাদের একটি বড় অংশ পরবর্তীতে বড় পদ পেয়ে নিজেরে অবস্থান পরিবর্তন করেন। বাকিরা দলের প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এদিকে ক্ষমতা ও কর্মহীন পদ পাওয়ায় নিজেও চুপসে গেছেন রওশন এরশাদ। বের হচ্ছেন না ঘর থেকেও। বয়সের ভারেও তিনি নুয্য।

    জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, রওশন এরশাদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। মহামারী করোনা প্রাদুর্ভাবের পর তিনি নেতাকর্মীদের সাথে স্বাক্ষাত করা কমিয়ে দেন। বয়সের কারণে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার বাসায় একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়া থেকেও অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের এক নেতা জানান, মহামারিকালের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে তিনি বাসা থেকে বের হন না। বয়সজনিত কারণে তিনি শারিরীকভাবে সুস্থও নন। তবে দুএক দিনের মধ্যেই তার সংসদে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি সেখানে টিকা নেবেন বলে শুনেছি।

  • নৌকা ডুবির কারণ অনুসন্ধানে নেতা-কর্মীরা

    নৌকা ডুবির কারণ অনুসন্ধানে নেতা-কর্মীরা

    সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভাঙার শক্তি নেই, নৌকা প্রতীকে ভোট না করে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করলে আমি হয়তো বা বেশি ভোট পেতাম

    -নাসেরুল হক
    • তিনটি চোরাচালানি সিন্টিকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের ভোট নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছেফিরোজ কামাল শুভ্র
    • দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে-আসাদুজ্জামান বাবু
    • এখানকার জনগনের একটি বড় অংশ ভারত থেকে মাইগ্রেটেড। ফলে তারা আওয়ামী বিরোধী-নজরুল ইসলাম
    • সমন্বয়ের অভাবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সংগঠিত হতে পারেনি-আশু

    রঘুনাথ খাঁ : সাতক্ষীরা পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠণিক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ চিশতি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। অপরদিকে ১৩ হাজার ৫০ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ নাসিরুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুবদল নেতা নাসিম ফারুক খাঁন মিঠু পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২১ ভোট। জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী নুরুল হুদা পেয়েছেন ২৮৮৮ ভোট ও ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুর রউফ পেয়েছেন ১৬৭৯ ভোট। মোট ভোটার ছিল ৮৯ হাজার ২২৪। ভোট পড়েছে ৫৫ হাজার ৯২৬ টি।


    আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা মনে করেন দ্বিতীয় ধাপে অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভে সাতক্ষীরার নেতা কর্মীদের আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগা, দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা, চারদলীয় ভোট ব্যাংকে আঘাত হানতে ব্যর্থ হওয়া, জামায়াত ও বিএনপি উভয়দলের প্রার্থী থাকার পরও দু’দিন আগে সমঝোতা হওয়া, পৌর নির্বাচনে গঠিত কমিটির কয়েকজন সদস্যের ভোটারদের কাছে যথেষ্ঠ পরিচিতি না থাকা, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এর মৃত্যু সাতক্ষীরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী শেখ নাসেরুল হকের পরাজয়ের অন্যতম কারণ।


    রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে যেয়ে দেখা গেছে সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটারদের নাতিদীর্ঘ লাইন । অনেককে বলতে শোনা গেছে দুপুর ১২টার পর আর ব্যালট পাওয়া যাবে না। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। তারা ভোট দেওয়ার পর শতভাগ সুন্দর ভোট হচ্ছে এমন প্রচার হয়ে যাওয়ায় ধানের শীষ ও নারিকেল গাছ প্রতীকের নেতা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি লোক পাঠিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বা ইজিবাইকে ভোটার আনার ব্যবস্থা নেন। সাবেক জামায়াত নেতার নীরবতার কারণে ধানের শীষে ভোট বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তৃণমূল পর্যায়ের মাঠপাড়ার এক কর্মী বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অধিকাংশই নৌকার সঙ্গে তাকে ভোট দেওয়ার কথা না বলে মেয়রের ভোট যাকে পারবেন তাকে দেবেন, অন্ততঃ কাউন্সিলর প্রাথী হিসেবে তাকে ভোটটি দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে অনুরোধ করেছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে যে নির্বাচন কমিটি গঠণ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্ততঃ তিনজনের শহরে পরিচিতি যথেষ্ট কম ছিল। ফলে তারা নিজের দলের নেতা কর্মীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেননি। পারেননি প্রতিপক্ষের ভোটারদের কাছে টানতে। এ ছাড়া দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ছিল সমন্বয়ের অভাব। অতিরিক্ত আত্ম বিশ্বাস ও একলা চলো নীতিই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের মূল কারণ। মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত মনে করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সঙ্কট, নৌকা প্রার্থীর তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক গড়ে না ওঠায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।


    জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে পরাজিত শেখ নাসেরুল হক বলেন, সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভাঙার শক্তি নেই। ধানের শীষ ও নারিকেল গাছ প্রার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থার কাছে তিনি প্রায় জিরো। তাছাড়া শেষ রাতেই জগ প্রতীকের প্রার্থী জামায়ত নেতা নুরুল হুদার সঙ্গে ধানের শীষের সমঝোতা হয়ে যায়। ফলে জামায়াতের ভোটের অধিকাংশই পড়ে ধানের শীষে। এ ছাড়া বাবার মত অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকারি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এর আকষ্মিক মৃত্যু ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলেছে। তবে তিনি কোনভাবেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাননি। নেতা কর্মীদের উপর সন্তুষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রীয় কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তবে নৌকা প্রতীকে ভোট না করে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করলে আমি হয়তো বা বেশি ভোট পেতাম।
    জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র বলেন, তিনটি চোরাচালানি সি-িকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের ভোট নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছে। তা ছাড়া ভোটে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের আত্মসন্তষ্টিতে ভোগা, ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বসাবসি না হওয়ায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।
    জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু মনে করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এর মৃত্যু পৌরভোটে প্রভাব না ফেললেও দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। পৌরভোটের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিটির তিনজনের পরিচিতি কম থাকায় ভোটে তার প্রভাব ফেলেছে।
    বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সমন্বয়হীনতা, আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার অভাবের কারণে নৌকার পরাজয় হয়েছে। পৌরভোটকে কেন্দ্র করে জানুয়ারি মাসের শেষের দিক মহাজোটের নেতৃত্ব পর্যায়ে সভায় জাতীয় পার্টি তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়েছিল। সব মিলিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি জাপা, আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরপরও নেতা কর্মীদের আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কারণে ও ভোটে কালো টাকার প্রভাব পড়ায় নৌকা প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে।
    জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, সাতক্ষীরায় অধিকাংশ সময় এন্টি আওয়ামী লীগাররা ক্ষমতায় থেকেছে। আগে তারা ১৪ দলে থাকলেও এখন তারা বিরোধী দল। এরপরও সমন্বয়ের অভাবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সংগঠিত হতে পারেনি। পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল দাবি করে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যু একটা শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে।
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা সদরে চার বার জামায়ত ও বিএনপি’র সাংসদ ছিল। এখানকার জনগনের একটি বড় অংশ ভারত থেকে মাইগ্রেটেড। ফলে তারা আওয়ামী বিরোধী। তারা জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য পার্টিতে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যথেষ্ট ভালো প্রার্থী শেখ নাসেরুল হকের পক্ষে কাজ করলেও অনেক নেতা কর্মী পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তারা নিজেদের ভোট করতে যেয়ে মেয়র প্রার্থীর জন্য কাজ করতে পারেননি। ফলে নৌকার পরাজয় হয়েছে।

  • কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভা

    কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ আলোচনা সভা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিজয়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সমলোচিত ও অবৈধ কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।’
    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোর্শেদ, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমান, কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউছুফ আলম, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কওছার আলী, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম গাজী, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলাম, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিশ^াস, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, জেলা তাঁতীলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দন হিমেল, আওয়ামীলীগ নেতা মো. শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • মুনসুর আহমেদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া

    মুনসুর আহমেদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার কৃতি সন্তান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সাংসদ ও পারুলিয়া আহছানিয়া মিশনের সভাপতি মনসুর আহমেদ অসুস্থ থাকায় তার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় দেবহাটায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে পারুলিয়া আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক জামাল বিশ্বাসের পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পারুলিয়া আহছানিয়া মিশনের জমিদাতা মোসলেহউদ্দিন মুকুল, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস আবারা, সহ-সভাপতি রজব আলী মোল্ল্যা, সাধারণ সম্পাদক জামাল বিশ্বাস, নাজমুল হোসেন, সদস্য রফিকুল ইসলাম, জিয়াদ আলী, গোলাম ফারুক, মোস্তফা কামাল সরদার, আব্দুল্লাহ মোল্ল্যা, সাফায়েত হোসেন বাচ্চু, সরদার ইদ্রিস আলী, খোকন হোসেন, হাফিজসহ আহছানিয়া মিশনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সিরাজুল আলম খান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

    সিরাজুল আলম খান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

    ন্যাশনাল ডেস্ক: সিরাজুল আলম খান (দাদাভাই) অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাই ডেফিসিয়েন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পরিচালক নাজমুল হক। তিনি জানান, প্রবীণ এই রাজনীতিককে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাকে গতকাল কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

    সিরাজুল আলম খান


    জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্প্রতি দেশে আসা সিরাজুল আলম খানকে বুধবার রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
    ৮০ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

    সিরাজুল আলমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহিল কাইয়ুম জানান, মাইল্ড হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হলে বুধবার রাতে এ বর্ষীয়ান রাজনীতিককে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    জানা যায়, সিরাজুল আলম খানের হার্টে আগে অপারেশন হয়েছিল। এ ছাড়া কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় হিপ ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়েছে।


    গত শতকের ষাটের দশকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের যে ‘নিউক্লিয়াস’ আলোচিত ছিল, তার উদ্যোক্তা ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তাকে অনেকে ‘দাদাভাই’ নামে ডাকত। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ভেঙে জাসদ গঠনের উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে সিরাজুল আলম খান সম্প্রতি দেশে ফেরেন। তিনি রাজধানীর কলাবাগানে ভাইদের বাসায় ওঠেন।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল

    “সুকৌশলে একটি গোষ্ঠী স্বাধীনতা বিরোধী প্রেতাত্বা যাদের বাপ দাদারা আওয়ামীলীগকে ধ্বংশ করতে চেয়েছিল তাদেরকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগে পদ দেওয়া হয়েছে”

    -মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি


    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারবর্গ, জাতীয় চারনেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্থানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে পা রাখেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্থানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্থানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২৯০ দিন পাকিস্থানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গননা শেষে লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উৎসবের আমেজ। গোটা বাঙালি জাতি রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কখন তাদের প্রিয় নেতা স্বাধীন দেশের মাটিতে এসে পৌঁছবেন। প্রচুর মানুষ সেদিন জড়ো হয়েছিল ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ্যরে সাথে অনেকে বেইমানী করছে। “সুকৌশলে একটি গোষ্ঠী স্বাধীনতা বিরোধী প্রেতাত্বা যাদের বাপ দাদারা আওয়ামীলীগকে ধ্বংশ করতে চেয়েছিল তাদেরকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগে পদ দেওয়া হয়েছে”। অথচ যারা দলের জন্য জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে সে সব ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছে। সন্ত্রাসী, চাদাবাজ ও ভূমিদস্যুদেরকে যারা লালন করে তারা কখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ্যের সৈনিক হতে পারেনা। এ বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি রবি। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি হল অথচ আমি সদরের এমপি হয়ে জানতে পারলাম না। আলোচনা সভার শুরুতে ১ মিনিট নিরাবতা পালন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এমপি রবি এবং সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।’
    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম মহি, ছাত্রলীগ নেতা কাজী সাদিক দ্বীপ, ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মনোয়ার প্রমুখ।
    এসময় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, শহর কাচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মো. আব্দুর রহিম বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, পৌর ০৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, পৌর ০৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দীন, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো. কওছার আলী, সহ-সভাপতি শেখ শওকত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শাহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা, পৌর, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন।

  • সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

    মুনসুর আহমেদ সভাপতি ও নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

    জহুরুল কবীর : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে

    ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে পুনরায় মুনসুর আহমেদ সভাপতি ও নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ২০১৯ সালের (১২ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় তাদের নাম ঘোষণা করেন কাউন্সিলের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।


    পূণাঙ্গ কমিটিতে আছেন:
    সহ-সভাপতি হলেন- একে ফজলুল হক, বিএম নজরুল ইসলাম, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, কাজী এরজেতা হাসান, মো: শহীদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাফী আহমেদ, মো: আছাদুল হক, মাষ্টার নীলকষ্ঠ সোম, শেখ সাহিদ উদ্দিন ও মিসেস সাহানা মহিদ।
    জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন- সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, মো: আসাদুজ্জামান বাবু ও আ.হ.ম তারিক উদ্দীন। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন সম্পাদক সদস্য হলেন- আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা: মুনছুর আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. অনিত কুমার মুখার্জী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আনিসুজ্জামান আনিচ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিক্ষা ও মানব সম্পাদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্মা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেলিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু ও কোষাধ্যক্ষ বাবু রাজ্যেশ্বর দাস ।
    নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন- ইঞ্জি শেখ মুজিবর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, এসএম জগলুল হায়দার, এসএম শওকত হোসেন, এ.বিএ.ম মোস্তাাকিম, এ্যাড. মোজহার হোসেন কান্টু, শেখ নুরুল ইসলাম, নরীম আলী মাস্টার, মো: মুজিবুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ নাসেরুল হক, শেখ আব্দুর রশিদ, মো: শাহ্জাহান আলী, মো: শাহাদাত হোসেন, ঘোষ সনৎ কুমার, এসএম আতাউল হক দোলন, মো: মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মারুফ হাসান মিঠু, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাঈদ মেহেদী, মো: আব্দুল কাদের, সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, অধ্যক্ষ ফাজরুল আলম বাবু, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, আসাদুজ্জামান অসলে, এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক ছোট, ইঞ্জি মেহেদী হাসান সুমন, মিসেস কহিনুর ইসলাম, মোস্তাাফিজুর রহমান নাছিম, শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নাজমুন নাহার মুন্নি, মো: সামছুর রহমান, মীর জাকির হোসেন, মিসেস মাহফুজা রুবি ও ইসমত আরা বেগম।

  • নতুন কৌশলে বিএনপি

    নতুন কৌশলে বিএনপি

    রুমানা জামান

    বৈশ্বিক রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের কার্যক্রম শুরু করেছে বিএনপি। তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে নির্ধারিত হচ্ছে নতুন এই কৌশল। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সরকারবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে একটি জাতীয় ‘ঐক্যের প্লাটফর্ম’ তৈরি করবে দলটি। জোটসঙ্গী জামায়াতকে বাদ রেখে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণœ রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আস্থায় আনার জোর তৎপরতা থাকবে। এবং বর্তমান প্রজন্মের জাতীয়তাবাদী চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার রুপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
    সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপিকে নানা ধারনের চাপ মোকাবিলা করে এগোতে হচ্ছে। এ কারণে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বৈশ্বিক রাজনৈতিক কৌশলও রপ্ত করা জরুরি। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নেতৃত্ব সংকট কাটিয়ে উঠতে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির উপায় নিয়েও ভাবা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ভিত্তি ধরেই প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে পরিকল্পনামাফিক কর্মসূচির রোডম্যাপ তৈরি করছে বিএনপি।
    জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার সংগ্রামে সবাইকে নতুনভাবে ব্রতী হতে হবে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ভিন্ন দল ও মতের সবাইকে নিয়ে ঐক্যের প্ল্যাটফরম গঠন এই মূহর্তে জরুরি হয়ে গেছে।
    তৈরি হচ্ছে ঐক্যের প্লাটফর্ম : মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পরে এই জোটে আরোও কয়েকটি দলকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু ফ্রন্ট নিয়ে ২০ দলীয় জোটের তোপের মুখে এই পরিকল্পনা আর সফল হয়নি। এবার সেই কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকারবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ভিন্ন কৌশলে একটি জাতীয় ঐক্যের প্লাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছে বিএনপি। বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিরোধীদের অভিন্ন দাবিগুলো সমন্বয় করে এই প্লাটফর্মের ভিত্তি মজবুদ করা হচ্ছে।

    ‘জাতীয় ঐক্যের দাবি ও লক্ষ্য’ এ শিরোনামে প্লাটফর্মের কাজ এগিয়ে চলছে। দলের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করে সিনিয়র নেতারা সমন্বয় করে খসড়া প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিরোধী মতের দলগুলোও তাদের আলাদা প্রস্তাব দেবেন। বিরোধী দলগুলো থেকে আসা প্রস্তাবগুলো থেকে বাছাই করে মূল প্রস্তাব তৈরি করে জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
    ঐক্যের প্রস্তাবনায় যা থাকছে : কমপক্ষে ১০টি বিষয়কে সামনে রেখে ঐক্যের প্রস্তাবনা তৈরি করছে বিএনপি। প্রস্তাবনার খসড়ায় রয়েছে- সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাস্তি প্রত্যাহার এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তার বিধান, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করা। এ ছাড়াও জনসম্পৃক্ত প্রতিটি সেক্টর ধরে পয়েন্ট আকারে আলাদা প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।
    ২১ বছরের গাঁটছড়া, কে-কাকে ছাড়বে : ১৯৯৯ সালে চারদলীয় জোট গঠন হওয়ার মধ্য দিয়ে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা তৈরি হয়। সূত্র জানায়, জামায়াতে ইসলামীকে যুক্ত করা হয়েছিল দুইজন ব্যক্তির তৎপরতায়। তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ এবং সাংবাদিক-রাজনীতিক আনোয়ার জাহিদ। এই দুজনের অসামান্য তৎপরতায় খালেদা জিয়ার কাছে জামায়াতকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হয়।
    সূত্রের দাবি, ১৯৯৯ সালে জোট গঠনের আগে প্রায়ই খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাসায় জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার যাতায়াত ছিল। কাজী জাফর ওই নেতাদেরকে তার আত্মীয় বলে খালেদা জিয়ার বাসায় নিয়ে যেতেন। একই সময়ে আনোয়ার জাহিদের প্রচেষ্টাও ছিল উল্লেখযোগ্য।
    ১৯৯৯ সালে খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠকে এসে প্রথমেই বলেন, ‘আমি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে কথা দিতে হবে, আপনারা এই সিদ্ধান্ত মানবেন। ওই কমিটিতে জামায়াতকে জোটে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেদিন ওই বৈঠকে সদস্য হিসেবে উপস্থিত থেকে সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাজেদুল ইসলাম, শওকত আলীসহ কয়েকজন এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপত্তি তোলেন। কিন্তু ওই সময় তিনজন প্রভাবশালী ডানপন্থী নেতা আবদুস সালাম তালুকদার, আব্দুল মতিন চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমানের কারণে জামায়াতের সমর্থন না নেয়ার বিষয়টি বোঝাতে খালেদা জিয়াকে বোঝাতে ব্যর্থ হন তারা।
    দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপি সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের দল। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাজনৈতিক জোট করার মধ্য দিয়ে এই জায়গাটি নষ্ট করা হয়েছে। অনেকটা না বুঝেই অতিমাত্রায় ইসলামি ভাবাদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়ায় বৈশ্বিক রাজনীতিতে দলটি প্রায় বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। জামায়াতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
    বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। নতুন করে যাতে ঝামেলায় পড়তে না হয়, সেজন্য সম্প্রতি দেশে ভাস্কর্যবিরোধিতায় হেফাজত সরব হলেও বিএনপি ছিল চুপ। সম্প্রপ্রতি মারা যাওয়া হেফাজতের মহাসচিব নূর হোসাইন কাশেমীর বায়তুল মোকাররমে জানাজা হলেও বিএনপির নেতাদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। তবে দৃশ্যত এখনো বিএনপি ও জামায়াত দুপক্ষ সখ্যতার সম্পর্কের ইতি টানতে না চাইলেও ভেতরে- ভেতরে ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে।
    বিএনপিতে জামায়াতকে রাখা না রাখার ব্যাপারে যতবারই আলোচনা উঠেছে সব সময়ই জামায়াতকে ধরে রাখার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা নিজেরা কেন ছাড়ব। তারা ছাড়ুক। তাছাড়া জামায়াতকে ছাড়লে সরকার তাদের লুফে নেবে। তাছাড়া ভোটের হিসাবে জামায়াতকে সঙ্গে রাখার তাৎপর্য আছে।
    জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জোট তো গোপনে ভেঙে দেয়ার কিছু নেই। জোট ছাড়লে আমরা প্রকাশ্যেই জানাব।
    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নতুন বার্তা : শুধু ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধতাই নয়, বেশকিছু কারনে কয়েক বছর ধরেই বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে। এমন অবস্থায় দলটির বিদেশনীতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
    সূত্র জানায়, প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে ‘ভারসাম্য’র নীতিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল চীনে পাঠানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।
    জানা গেছে, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্যসহ শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কোন্নয়নে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে চীন বিএনপিকে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বিএনপির ক‚টনৈতিক উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েক নেতাকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে দেশটির। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কূটনৈতিক উয়িং ভেঙে নতুন করে সাজানো হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে দেশটিকে।
    জানতে চাইলে বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের অন্যতম সদস্য ও দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এ মুহূর্তে আমরা দুটি বিষয় সামনে রেখে এগোচ্ছি। দল গোছানোর সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে জোর দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র দেশগুলোর চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে পররাষ্ট্রনীতি সাজানো হচ্ছে।