বড় মেয়েকে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছাড়েন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার বড় মেয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায়। আমার স্ত্রী (রাহাত আরা বেগম) গত দেড় মাস যাবত বড় মেয়ের কাছে আছেন। তাদেরকে একটু সময় দিতে সেখানে যাওয়া। আশা করছি, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দেশে ফিরবো।
মির্জা ফখরুল দম্পত্তির দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ড. শামারুহ মির্জা ২০০৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন স্বামী ও সন্তান নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সেন্ট্রাল মেডিসিন রেগুলেটরি বোর্ডের আওতাধীন থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (টিজিএ) সিনিয়র টক্সিকলজিস্ট হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন।
শামারুহ মির্জা একজন নারী সংগঠক হিসেবে ক্যানবেরাতে তিনি সমধিক পরিচিত। শামারুহ ২০১৭ সালে সিতারার গল্প (সিতারা স্টোরি) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বাংলাদেশে ২ জন নারী বীরপ্রতীক রয়েছেন…ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা ও তারামন বিবি। তাদের নামানুসারেই এই সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। ‘সি’ মানে সিতারা বেগম, আর ‘তারা’ মানে তারামন বিবি। আর ছোট মেয়ে সাফারুহ মির্জা ঢাকায় একটি ইংরেজি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ৮৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে চাঁন্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ওসি জাহিদুল কবির বলেন,‘শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম রনি, চাঁন্দগাও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরার, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমর, কাউন্সিলর এসরারুলের সহযোগী মহিউদ্দীন ফরহাদ, ড্রিল জালাল, ফরিদ, সিটি কলেজের ভিপি তাহসীন, ফিরোজসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
এর আগে, গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন তরুণ নিহত হন। তাদের একজন নগরের আশেকানে ডিগ্রি কলেজের ছাত্র তানভীর আহমেদ (১৯)। তার মাথায় গুলি লাগে। সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ওইদিন তানভীর ছাড়া গুলিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও দোকানকর্মী সাময়ন নিহত হন।
কারাগারের ফটক ভেঙে পালিয়ে যাওয়া আসামীরা আবার জেলখানায় ফিরতে শুরু করেছে
৫টি থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, আরো-৫ জনের মৃত্যু
শেখ হাসিনার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে রাতে সহিংসতায় সাতক্ষীরার একজন সাংসদ, দুটি পত্রিকা অফিস, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কমপক্ষে ৫০টির বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ১০জনকে কুপিয়ে জখম
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সোমবার রাত ১০টার পর থেকে পরবর্তী ২০ ঘণ্টায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুটি পত্রিকা অফিস, কমপক্ষে ৫টি থানা, একজন চিকিৎসকের বাড়ি, আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর , লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলায় পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ১০জন জখম হয়েছেন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের রাফেল সরদারের ছেলে আসাফুর রহমান(৫০), মৃগিডাঙা গ্রামের সাবেক ্সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন(২৭),একই গ্রামের তেজামউদ্দিনের চেলে মুকুল হোসেন(৩৪), আব্দুল গফুরের চেলে ফারুক হোসেন সান্টু (৪০), ঘোনা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(২৯)।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িতে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে নতুন করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা সংরক্ষিত নারী সাংসদ লায়লা পারভিন সেঁজুতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি মোটর সাইকেলসহ দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা অফিসে আগুণ লাগিয়ে দেয়। পরে তার ব্যবহৃত নতুন নোহা গাড়িটি বাইপাস সড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। প্রায় একই সময় দুর্বৃত্তরা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় দৈনিক কালের চিত্র অফিসে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে। তবে খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড এলেও তাদেরকে আগুন নিভাতে দেওয়া হয়নি। রসুলপুরের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আজিজুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুট্পাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় শহরের আলবারাকা মার্কেটে। একইভাবে ধুলিহর বাজারে ডাঃ দীনেশ দত্তের ফার্মেসি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। থানা থেকে পুলিশ চলে যাওয়ার সূযোগে মামলা থাকার পরও প্রতিপক্ষ কালিপদ দাসের ছেলে সরোজিৎ কুমার দাস ও রণজিৎ কুমার দাস ৩০/৪০ জন ভাড়াটিয় সন্ত্রাসী নিয়ে সোমাবর সকাল ৬টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেবনগরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নিরঞ্জন দাসের বাড়ির প্রাচীর ভেঙে, ১১টি আমগাছ, মেগহণি গাছ, নারিকেল গাছ কেটে জোর করে ইট দিয়ে বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়েছে। বাধা দেওয়ায় নিরঞ্জন দাস ও তার স্ত্রীকে মারপিট করা হয়েছে।
সোমবার রাতে সদর থানায় আন্দোলনকারিরা দফায় দফায় হামলা চালায়। করা হয় অগ্নিসংযোগ। এ সময় পুলিশ শূন্যে কয়েক রাউ- গুলি ছোঁড়ে। এরপরও হামলাকারিরা থানায় থাকা কমপক্ষে ৭০ টি মটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। থানার ভবন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তদন্ত ওসির কক্ষ, উপপরিদর্শকদের বসার কক্ষ ডিউটি অফিসারের কক্ষ, ব্রাকসহ কমপক্ষে সাতটি কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এরপর একটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একইভাবে শ্যামনগর থানায়ও ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তালা থানার মধ্যে দুটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও দুটি মটর সাইকেল লুট করা হয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় কলারোয়া ও আশাশুনি থানায়। এ ছাড়া দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও পাটকেলঘাটায় হামলার আতঙ্কে পুলিশ কর্মকর্তারা থানা ছেড়ে চলে যায়। নামমাত্র দুই তিনজন সিপাহী ওইসব তিন থানার ভিতরে তালা মেরে অবস্থান করছেন।
এদিকে সোমবার গভীর রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় পুড়ে জখম হয় তার প্রতিবন্ধী বোন রমা মুখার্জী। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজা’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রতনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের বাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। লুটপাট শেষে আগুন দেওয়া হয় রতনপুর বাজারের জুয়েলারী ব্যবসায়ি খোকন দত্তের দোকান। একই উপজেলার শ্রীধরকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সিদ্দীকুর রহমানের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। রাত সোয়া ১১টার দিকে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ চন্দ্র ম-লের বাড়ি, বিষ্ণপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক সনৎ গাইনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ভাাড়সিমলা ইউপি সদস্য বরুন কুমার ঘোষের চাউলের গুদাম “মা লক্ষী ভা-ার” এ লুট করা হয়। ভাংচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয় শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা, বুড়িগোয়ালিনীর ডালিম ঘরামী, ভবতোষ মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান অসীম কুমার জোয়ারদার, কদমতলার সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, মলয় রপ্তান, উৎপল জোয়ারদার, হরিনগর বাজারের অসীম ম-লের কসমেটিকস দোকান, নিরঞ্জন ম-লের ম্যাকানিকের দোকান, মোস্তফার চায়ের দোকান, কলবাড়ি বাজারের কার্তিক ম-ল ও বলাই ম-লের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সদর ইউনিয়নের চিংড়িখালি গ্রামের দেবদাস এর বাড়ি থেকে টাকা, সোনার গহনা ও মটর সাইকেল লুটপাট করা হয়। চিংড়িখালি দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রামপদ ম-লের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে উঠানে আগুন জ্বালানো হয়। ফুলবাড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রামপদ এর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তিলকুড়া গ্রামের ফারুক হোসেন রতনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওরফে সাহেব আলীর অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক মাহামুদুল হাসান শাওনের সখীপুরের ব্যবসা প্রতিষ।ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর দিকে শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামের হরিপদ বর্মন ও তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুন বর্মনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা
হয়। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার মৃগীডাঙা গ্রামের জাহিদ, মুকুল, ফারুক ও ঘোনা গ্রামের সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মুকুলের বাড়ি গোলা থেকে থান ও চাল লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় মারাত্মক জখম হয় মৃগীডাঙা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। তালা উপজেলার কুমিরায় কমপক্ষে ২০টি হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বাড়ি ভাংচুর না করার শর্তে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এ ছাড়া শেখেরহাট, মাগুরা বাজার, খেজুরবুনিয়া ও খলিলনগর বাজারসহ কয়েকটি বাজারের ১০ জনেরও বেশি হিন্দু ব্যবসায়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়।সোমবার রাতে তালা উপজেলার মাগুরা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আটঘরা গ্রামের রামপ্রসাদ দাস, জালালপুর ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক রায়, শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মিন্টু ও সন্টু দাসের কাপড়ের দোকান, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মেহেদী হাসানের রড সিমেন্টের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জালালপুর বাজারের ফাম্মেষী মালিক জেলা পরিষদ সদস্য ইন্দ্রজিৎ দাসের পানের বরজ তার কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে চলে যাওয়ার সময় আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের সাথে হাতাহাতিতে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলর হাসনা জাহান বিথীসহ ২১ জন কারারক্ষী ও কর্মকর্তা। এসময় দুর্বৃত্তরা শতাধিক কারারক্ষীর রেশন, পিসি কার্ডের টাকা ও ক্যান্টিনের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করে। তবে চলে যাওয়া ৫৯৬ জন আসামীর মধ্যে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামী কলারোয়ার সোহাগ, রকিব, নাশকতা মামলার আসামী সদরের মৃগিডাঙার ইসমাইল হোসেনসহ দুই শতাধিক আসামী মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে আবার কারাগারে ফিরে এসেছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরা কারাফটকের পাশে সুমাইয়া স্টোর্স ও আওয়াল স্টোর্স ভাঙচুর করে আন্দোলনকারিরা তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে শহরের জীবনযাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন চলছে কম। মঙ্গলবার রাতেও অনেকেই সহিংসতার আশংকা করছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আদালতে দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে প্রতিপক্ষের দারা লাঞ্ছিত হয়েছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. মিজানুর রহমান। তবে অনেকেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদালতে যাননি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আলীপুরের বাঁকাল এলাকার কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায় রউফ বাহিনীর সদস্যরা। ঝাউডাঙার সাংবাদিক দৈনিক পত্রদূতের মনিরুল ইসলাম মনিকে জনৈক হাসান মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ছুরি নিয়ে দুই বার জীবননাশের হুমকি দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার পূর্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী জেলায় সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার সাথে সাধারন ছাত্র আন্দোলনকারীদের কোন সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত: শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতার সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত আশাশুনির প্রতাপনগরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন , ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকিরের ভাইপো সজীব, ভাগ্নে আশিক, গাড়ি চালক শাহীনুর রহমান, দেহরক্ষী শাকের আহম্মেদ, হাফেজ আনাস, আলম, আদম আলী নিহত হন। ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল সহ কমপক্ষে ৩০টি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো-১৪।
দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বিএনপি। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো। জামায়াত প্রথম অংশ নেবার কথা থাকলেও পরে অন্য কোনো বিরোধী দল অংশ না নেওয়ায় তারাও বর্জন করে। এদিকে বিএনপির স্থানীয় ৬৬-৬৫ জন নেতা এই নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তাদের সবাইকে বিএনপি বহিষ্কার করেছে।
জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গতকাল বুধবার। এই ভোটে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির বহিষ্কৃত এসব নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এবারের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়কার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়ই আওয়ামী লীগের নেতা। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হন আব্দুল কুদ্দুছ। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পান। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে বড় ব্যবধানে হারান তিনি।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। অন্য একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।
গোমস্তাপুর উপজেলায় আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাট উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ভোলাহাট উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।
গোমস্তাপুর উপজেলায় মোহা. আশরাফ হোসেন আলিম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়েছে তিনি। আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে। নির্বাচনে তিনি হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীনকে। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।
তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি থেকে যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই তালিকায় মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নাম পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। ঘোড়া প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৯৬৯। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে হারিয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীকে রীনা পারভীন পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৯৬৮টি ভোট পেয়েছেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৩ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ২৬ এপ্রিল গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন।
বাসস ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর কলোনি মাঠে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবাজার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকান্ড নিয়ে রাজনীতির অপচেষ্টা করছে। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি বলবে আওয়ামী লীগের দোষ। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে বিএনপি। তারা অতীতেও মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, আজও পাশে না দাঁড়িয়ে কষ্ট দিচ্ছে। রাস্তা অবরোধ করে রোজার দিনে কিসের কর্মসূচি। রাস্তা বন্ধ করে রোজাদারদের বিএনপি কষ্ট দিলে, আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হাঁড় ভেঙে গেছে, এই হাঁড় আর জোড়া লাগবে না। তাদের আন্দোলন গোলাপবাগে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বিএনপির পদযাত্রা মানেই পতনযাত্রা। হাঁটু ভাঙ্গা দল আর দাঁড়াবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। আগামী নির্বাচনেও মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিবেন। বিএনপির সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না। লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ। পরে সুবিধাভোগীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
পয়লা রোজা।সকালে ওবিকালে দু,বার সাতক্ষীরা বড় বাজারে ঘুরলাম।সকালে রাস্তাফাকা।বিকালে কেনাকটার ভিড়।জিনিসের মূল্য আগুন সমান।রোজার মাসে দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক। সরকার চরম ভাবে ব্যার্থ। রোজার মাসে গ্রামেগ্রামে রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করা উচিৎ ছিলো। সন্ধায় কষ্ট নিয়ে পার্টি অফিসে ইফতার করে ছি মুড়ি দিয়ে। প্রখ্যাত কবি সৌহার্দ্য সিরাজ, বাংলাদেশ জাসদ নেতা আশরাফ সরদার, আমি মোঃ ইদ্রিস আলী অফিসে বসে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা হল।কবি অনেক গুলো কবিতা আবৃত্তি করলেন।আশরাফ বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বললেন।আমি সরকারের বর্তমান সরকারের এমপি দের মোড়ে ইফতার বিতরণ নিয়ে বললাম। বিকালে বাইরে বের হয়ে লাবণী মোড়ে দেখলাম হঠাৎ কুচকুচে কালো একটি গাড়ী থেকে বেরিয়ে সদরের এমপি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি কয়েক প্যাকেট খাবার বিতরণ করলেন।আবার দেখলাম খুলনারোড মোড়ে কয়েক প্যাকেট খাদ্য বিতরণ।প্রথমে ভালো লাগল।কিন্তু বাজার মুল্যনিয়ে যখন মনেহল, তখন বেশ কষ্ট পাচ্ছিলাম।যে মননিয়ে ইফতার বিতরণ করলেন এমপি সাহেব,সেই মননিয়ে একটু বাজার মনিটরিং করলে,সংসদে রেশনিং নিয়ে কথা বললে জনগনের এমপি মনে হত।মানুষের এধরণের কষ্ট নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দের প্রহসণ না করা ভালো। বাংলাদেশ জাসদ , সাতক্ষীরা জেলা সাতক্ষীরা বাসীকে লুটপাট দুর্নীতিরবিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান
নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে খুলনা রোড মোড়ে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের খুলনা রোড মোড়ে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যালয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা’র সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলেখা দাস, রুমা রানী বরকন্দাজ, দপ্তর সম্পাদক তাহমিনা ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সোনিয়া পারভীন শাপলা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক সালেহা আক্তার, সদস্য-ফাহিমা আক্তার, তৈয়েবা রওনক, মনোয়ারা খাতুন, মমতাজ, মাহমুদা, রেবেকা খাতুন রিক্তা, রোকেয়া, শোভা প্রমুখ। অপরদিকে জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে একই স্থানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলেখা দাস, রুমা রানী বরকন্দাজ, দপ্তর সম্পাদক তাহমিনা ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সোনিয়া পারভীন শাপলা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক সালেহা আক্তার, সদস্য-ফাহিমা আক্তার, তৈয়েবা রওনক, মনোয়ারা খাতুন, মমতাজ, মাহমুদা, রেবেকা খাতুন রিক্তা, রোকেয়া, শোভা, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্লাহ,কম্পিউটার প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান প্রমুখ। এসময় জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার তথ্য আপা ও দর্জি প্রশিক্ষণের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন ট্রেডের শিক্ষার্থী ও কোমলমতি শিশুরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল ফেডারেশন এর সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ এর সাবেক কোষাধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস্ ড্রামেটিক ক্লাব এবং সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি’র সদস্য বিশিষ্ট নাগরিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মো. মোসলেম শারীরিক অসুস্থ্য হয়ে সাতক্ষীরা চায়না-বাংলা (সিবি) হসপিটালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর আশু সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীর জেলা কমিটির আহবায়ক এটিএম রইফ উদ্দিন সরদার ও সদস্য সচিব ডা. মো. মুনসুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিবৃতিদাতারা হলেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীর জেলা কমিটি’র সদস্য মনিন্দ্র নাথ ম-ল, মো. বায়েজীদ হাসান, ডা. মো. নুর উদ্দীন, মো. আলাউদ্দিন, আহাজ উদ্দিন সুমন, মধুসুদন বিশ্বাস, ডা. সুদয় কুমার ম-ল প্রমূখ।
সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মাস্টার মোঃ আনছার আলীর মাতা মোছাম্মাদ সুরমান বিবি (৮৫)গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কৃষক লীগ নেতার মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের জাতীয় পরিষদের অন্যতম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুজ্জামান জুয়েল, কৃষকলীগ নেতা শাহ মোঃ আনারুল ইসলাম, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম হেদায়েত, শেখ আফজাল হোসেন, মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ বাবলুর রহমান, মোঃ ওবায়দুল্লাহ ইসলাম, মোঃ সফিউদ্দিন ময়না, প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাস, শেখ বদরুজ্জামান মিল্টন, মোঃ রেজাউল মোল্লা রনি, ডাক্তার (গ্রাম্য) রুহুল আমিন, মোঃ আফছার আলী, ডাক্তার( গ্রাম্য) এ আর হাবিব, মোঃ মিজানুর রহমান মিজানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। তারেক-জোবায়দা পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশ করায় বিচারক মামলার পরবর্তী কার্যকম অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। এরআগে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ৩০ জানুয়ারি এ গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের ধার্য তারিখের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। তারও আগে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী প্রদক্ষেপ হিসেবে বিজি প্রেসের মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক রহসান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। তাদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আদালত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।
আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বিদেশী বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। একসময় হ্যারি কে, টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূতেরা এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতো। এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি। মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশীদের কাছে বিএনপির ধর্না দেয়া বা হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয় এবং এটিকে সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সাথে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে দু’দেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজিসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদান করছে। আগামীতে বাংলাদেশে প্রচুর কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা জানান, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তিনি দু’দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এ বছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, কাজুবাদাম, কফিসহ উন্নতজাতের চারা সরবরাহ, এগ্রো প্রসেসিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা, মাদক ও মানব পাচার রোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সুস্থ রাজনীতি করে না, নষ্ট রাজনীতি করে। ফলে নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ারের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে, অর্থ পাচার করেছে। আর এই ষড়যন্ত্রকারীরাই কিনা রাষ্ট্র মেরামত করতে চায়?
সারা ঢাকা আজ মিছিলের মহানগরী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আজ প্রস্তুত আছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে, বোমাবাজদের বিরুদ্ধে আজ প্রস্তুত আছে আওয়ামী লীগ। ওদের রুখতে হবে, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে হবে।
এ সময় বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, মেগা প্রকল্প একটিও করতে পারেননি আপনারা। দুর্নীতি ছাড়া আপনাদের কী আছে? থাকলে জনগণকে দেখান। মিথ্যাচারের জন্য জনগণ আর বিএনপিকে ভোট দেবে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় বিবৃতি না দেওয়ায় বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বিএনপি বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে ফখরুলের মুক্তি চায়, ভালো। ফখরুল তাদের বন্ধু। তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি অসুস্থ আমরা জানি না। বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন তিনি নাকি অসুস্থ। এ বাংলাদেশের যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কী আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? আমি জানতে চাই কোথায় ছিল প্রতিবাদ, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ। আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা তখন কী প্রতিবাদ করেছিলেন?
সমাবেশে আরও বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
ডেস্ক রিপোর্ট: জনপ্রিয় স্যাটালাইট টেলিভিশন বৈশাখী টিভির ১৮ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়েছে। মঙ্গলবার শহরের কোয়াইশী ফুড পার্কে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রবীণ সাংবাদিক ও দৈনিক কালেরচিত্র সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে ও বৈশাখী টেলিভিশনের সাতক্ষীরা সংবাদদাতা শামীম পারভেজের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, বিশিষ্ট নাট্যকার ও সাহিত্যিক খায়রুল বাসার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্যের আহবায়ক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, সাতক্ষীরা টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক আবুল কাসেম, সদস্য সচিব আমিনা বিলকিস ময়না, সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোসফিকুর রহমান মিল্টন, বর্ণমালা একাডেমির পরিচালক শামীমা পারভীন রতœা, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মনিরুল ইসলাম মনি, এখন টিভির আহসান রাজীব, সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মহিদার রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বৈশাখী টেলিভিশন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে গঠনমূলক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশগঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে দর্শক শ্রোতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালন করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে সমাবেশ-বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ওইদিন বিকেল চারটায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শামীম ইমাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা রুবেল সিকদার প্রমুখ।
সভায় দেশের সকল বাম-প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন শক্তি ও ব্যক্তিদের বাম জোটের আশু ১০ দফার দাবিতে সোচ্চার হওয়া এবং শ্রেণী-সংগ্রাম ও গণআন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্রকৌশলী ম. ইনামুল হকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানানো হয়। নেতারা বলেন, নানাভাবে মানুষের কথা বলার অধিকার খর্ব করার স্বৈরাচারী প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এর বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলে দুঃশাসন রুখে দাঁড়াতে হবে। চলমান দুঃশাসনের অবসানে সংগ্রাম বেগবান করতে
অনলাইন ডেস্ক: আবারও আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি। আর সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনিও টানা তৃতীয় মেয়াদে এই দায়িত্বে থাকছেন।
শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এই দুজনের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বিকেল তিনটায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাব সমর্থন করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান- ফোকাস বাংলা
আর কাউন্সিলে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার নাম প্রস্তাব সমর্থন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। পরে কাউন্সিলে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। পরে বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
এই অধিবেশনে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মামলা-হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখতে পারেনি। তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। কী কারণে তাদের জামিন দিচ্ছেন না- এর জবাব একদিন না একদিন দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্কে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। সরকারের তাণ্ডব মোকাবিলা করতে গিয়ে বিএনপির সব সমাবেশ একদিনের জায়গায় তিনদিন করে হয়েছে। আমরা একদিনের সমাবেশ তিনদিন করেছি। আমাদের যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তার চেয়ে তিনগুণ ব্যয় করেছে সরকার। তারা পরিবহন বন্ধ করেছে, রিকশা বন্ধ করেছে, ইন্টারনেট, নৌপথ, জলপথ বন্ধ করেছে। কিন্তু প্রতিবাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে পারেনি।
গয়েশ্বর বলেন, এতদিন ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম পারে না। কত রকম তিরস্কার করেছে। বলেছে, খেলা হবে। কিন্তু এখন তিনি খেলা বন্ধ করেছেন। বিএনপির আন্দোলন দেখে এখন আর বিএনপিকে নিয়ে মশকরা করার সাহস পান না।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ শেষে ভুবন মোহন পার্ক থেকে মনি চত্বর হয়ে প্রধান প্রধান সড়কে গণমিছিল করে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। এই বিষয়টি সামনে রেখেই সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।
সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে আসার পর আধঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মূল মঞ্চের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মঞ্চ। মূলমঞ্চে চার সারিতে চেয়ার সাজানো হবে। প্রথম সারিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসবেন। দ্বিতীয়টিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সিনিয়র নেতা ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বাকি দু’টিতে বসবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। মোট ১২০টি চেয়ার রাখা হবে।
আওয়ামী লীগের মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্য সচিব ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে তৈরি ৮০ ফুট বনাম ৪৪ ফুট মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মূল মঞ্চের উচ্চতা হবে ৭ ফুট। মূলমঞ্চে চার ভাগে চেয়ার সাজানো হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ এলিডি মনিটর থাকবে, যেখানে সম্মেলনের কার্যক্রম দেখা যাবে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কিছুটা কৃচ্ছ্রতা সাধনের লক্ষ্যে সম্মেলনে সাদামাটা আয়োজনের জন্য এ বছর বিদেশিদের দাওয়াত করা হচ্ছে না। তবে, সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে দাওয়াত করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বেশির ভাগই দু’দিনব্যাপী হয়েছে। এবার তা এক দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে খরচ কমাতে। ২০১৯ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। সর্বশেষ সম্মেলনের বাজেট ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এবারের সম্মেলনের জন্য বাজেট ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি। সূত্র: বাসস/সমকাল
ভূমিহীন ও কৃষক নেতা সাইফুল্লাহ লস্করের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কাটিয়া লস্করপাড়াস্থ প্রয়াতের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি’র নেতৃবৃন্দ। এ সময় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি’র সদস্য সচিব ডা. মো. মুনসুর রহমান, সদস্য আহাজ উদ্দিন সুমন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর (শেলী) প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পমাল্য অর্পনকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৯ সালের ০৫ ডিসেম্বর ঘাতকের নির্মম আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ভূমিহীন ও কৃষক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ সাইফুল্লাহ লস্কর। আজ তাঁর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। অথচ অদ্যাবধি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। এছাড়াও ঘাতকরা বীরদর্পে জেলাজুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। অবিলম্বে তাঁর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা