Category: রাজনীতি

  • সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার টিকিট পেলেন মুস্তফা লুৎফুল্লাহ

           আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১(তালা ও কলারোয়া) আসনে নৌকার টিকিট পেলেন মহাজোটের ১৪ দলের শরীক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ও পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত চিঠি রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম মহাজোটের মনোনীত ১৪ দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ’র হাতে নৌকা প্রতীকের এই চূড়ান্ত চিঠি তুলে দেন।
    মনোনয়ন চিঠি পেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবার দোয়া, ভালোবাসা ও শুভকামনায় আমার এলাকার প্রিয় নেতা-কর্মী ভাইবোনদের পরিশ্রমের ফসল এই মনোনয়ন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’ এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌকা প্রতীককে জয়যুক্ত করারও আহ্বান জানান তিনি।
    প্রকাশ,সাতক্ষীরা-১ তালা ও কলারোয়া দু’টি উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১০৫, সাতক্ষীরা-১ আসনটি। নির্বাচন অফিস সুত্রে সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এই আসনের ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন এবং পুর”ষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন।

  • ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা –এমপি রবি

    ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা –এমপি রবি


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ ঃ আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি’র সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নের চিত্র নিজ নিজ এলাকার সাধারণ ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। অবশ্যই আবারও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। শুধু প্রয়োজন সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্য ও সমন্বয়। দেশে প্রচুর পরিমানে উন্নয়ন হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা।’
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি প্রমুখ।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. শামছুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, গোপাল চন্দ্র ঘোষাল, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, যুবলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, মাস্টার কামাল হোসেন প্রমুখ। এসময় আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠঅন পরিচালনা করেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাপস আচার্য্য।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন


    সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম
    রেজার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।
    সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডলর কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ স.ম আলাউদ্দীন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পড়ে শোনান মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন।
    তিনি বলেন, গত ৩ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সম্মেলন কক্ষে সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের তার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। ব্যক্তি স্বার্থে প্রভাবিত হয়ে কতিপয় নামধারী মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সে বিষয়ে অবগত নই। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেকের নাম দিয়ে লিখিত ভাবে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। আব্দুল বারেক ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ ২০১০ সালে আইলায় ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহ নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের যে তালিকা করা হয়েছিল সেখানে ভিন্ন উপজেলার ৭’শ পরিবার এবং ১৩ জন মৃত ব্যক্তির নাম ছিল। সঠিক তালিকা তৈরী করে টাকা দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়েছিল। পরে আদালতের নির্দেশে সঠিক তালিকা তৈরী করে স্ব স্ব নামে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়।
    তারা আরো বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। দেশ ও জাতীর স্বর্থে নেত্রী মহাজোট যাকেই মনোনয়ন দিবেন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে তাকেই সমর্থন জানাবো।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক গাজী,বরকতুল্লা, শেখ হারুন অর রশিদ, আব্দুল লতিফ, মোঃ ছুন্নত আলী মল্লিক ও মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমূখ।

  • ঐক্যবদ্ধভাবে বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে

    ঐক্যবদ্ধভাবে বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে


    নিজস্ব রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের পুরাতন আইনজীবী ভবনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন, ‘সকল নেতাই সদরে নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে বিজয়ী করার ঐক্যমত প্রকাশ করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জামাত-বিএনপির দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য সকল নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে।’
    বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার, মফজুলার রহমান খোকন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, আব্দুল কাদের, মো. ফারুক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, সরদার নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নির্বাহী সদস্য ও লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম প্রমুখ।
    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা. মহিউর রহমান (ময়ুর ডাক্তার), ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. কাওছার আলী, বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাবু সানা), ব্রক্ষèরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মগরেব আলী, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম গাজী প্রমুখ।
    জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী।

  • ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই

    ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই। ভোটারের ভোটটি তার কাংখিত প্রার্থীর অনকূলে গেছে কিনা তাও তিনি নিশ্চিত হতে পারবেন বুথের মধ্যেই। আর ভোট শেষে খুব অল্প সময়েই গননা শেষ হবে। ফলাফল পেতেও কোনো বেগ পেতে হবে না।
    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম প্রদর্শন ও কারিগরি ধারনা প্রদান বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এস.এম মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
    এ সময় তিনি বলেন, কোনো সংশয় সন্দেহ কিংবা অনিশ্চয়তা নেই, ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দেবেন । এ জন্য ভোট কেন্দ্রে যেমন কোনো ব্যালট বাক্স লাগবে না তেমনি ব্যলট পেপারও লাগছে না। সাধারন ভোটারদের এ বিষয়ে অবহিত করতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় প্রাকটিক্যাল প্রচারনা চালানো হবে।
    এ সময় ইভিএম মেশিন নিয়ে তার প্রয়োগ ও ভোটদান পদ্ধতি তুলে ধরে প্রশিক্ষন দেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সাইফদুর রহমান শাহাবুদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের নুরজ্জামান শাওন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ সাংবাদিকরা।
    বাংলাদেশের কোনো জেলা শহর সাতক্ষীরার সদর আসনে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এতে আপনার আমার ভোটের সুরক্ষা হবে। শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। দ্রুত সময়ে ভোট গ্রহন ও গননা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন যেহেতু ইভিএম মেশিনে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে না সেজন্য হ্যাকিং হবার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি বিদ্যুত না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ ইভিএম চলবে ব্যাটারির শক্তিতে। ভোটার বাটনে চাপ দিলেই দেখতে পাবেন তার কাংখিত প্রার্থীর নাম ও প্রতীক। এরপরই তিনি নিচের সবুজ বাটনে চাপ দিলে নিশ্চিত হবেন যে তার ভোট যথাস্থানে পড়েছে। জেলা প্রশাসক এ সময় এ বিষয়ে সকলকে অবহতি করার আহবান জানান।

  • সাইফুল্লাহ লস্কর স্মরণে : আমাদের সাইফুল্লাহ ভাই

    সাইফুল্লাহ লস্কর স্মরণে : আমাদের সাইফুল্লাহ ভাই


    ফরিদ আহম্মেদ :

    ঠিক কবে কখন সাইফুল্লাহ্ ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল তা আজ আর মনে পড়ে না। তবে ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল এবং ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে আমার কর্মজীবনে প্রবেশের পরেও তাঁর সাথে উষ্ম আন্তরিকতার সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। তাঁর সঙ্গে জীবনে বহুবার দেখা হয়েছে, বহুবার তাঁর বাসায় আতিথ্য গ্রহণ করেছি, অনেক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সাথে অংশ নিয়েছি। মৃদু ভাষী, সদা হাস্যময়ী, বিনয়ী, ভদ্র, মার্জিত স্বভাবের এই মানুষটির সঙ্গে আমার শুধু নয় এই অঞ্চলের গোটা শ্রমজীবি মানুষের গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যা তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সাইফুল্লাহ্ ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ জানতে পারি পত্রিকার পাতা থেকে, পরে তাঁর সংগঠন কৃষক সংগ্রাম সমিতির নেতাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে খবরটি নিশ্চিত হই। তাঁকে নিয়ে অনেক স্মৃতি, অনেক কথা আজো মনে পড়ে। পেশাগত ক্ষেত্রে কর্মব্যস্ততার কারণে নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও তাঁর সাথে কখনো দেখা হলেই উষ্ম আন্তরিকতার সম্পর্ক অনুভব করতে পেরেছি।

    সাইফুল্লাহ্ লস্কর দীর্ঘ সময় ধরে এদেশের কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তিনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বহু কৃষক আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বৃহত্তর খুলনা জেলাতে বিল ডাকাতিয়া আন্দোলন, দক্ষিণাঞ্চলে ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বিরোধী আন্দোলন, খাস জমিতে ভূমিহীন কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন উল্লেখযোগ্য ু; যশোর জেলায় বিল ডহুরী, বিল খুকশী, বিল বুড়–লী, আগরহাটি-ভায়না বিলের আন্দোলন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য আন্দোলন সংগঠিত হয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ ও তাঁর সহযোগী দেশীয় শাসক-শোষক গোষ্টির পরিকল্পনায় পরিচালিত প্রতিবিপ্লবী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে যশোর-কেশবপুর-চুকনগর-তালা-পাইকগাছা পর্যন্ত গণবিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। তিনি এই আন্দোলনে অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

    ষাট-এর দশকে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসাবে পাকিস্তানের শাসক-শোষক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে পরিচালিত ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি পর্যায়ক্রমে ন্যাপ, কৃষক সংগ্রাম সমিতি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। এই সময়ে ঐ অঞ্চলের সংঘঠিত প্রতিটি কৃষক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন ও নেতৃত্বদানকারীর ভূমিকা পালন করেন। ঐ অঞ্চলে গড়ে উঠা ভূমিহীন কৃষকদের খাস জমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা গ্রহণ করে ভূমিদস্যু স্থানীয় জোতদারদের বিরুদ্ধে কৃষক-জনতার প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন সদালাপি, মার্জিত, ভদ্র এবং কর্মীদের প্রতি দরদী মানুষ। তিনি সর্বদা ভোগ-বিলাসকে পরিহার করে সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্থ ছিলেন। তিনি আজীবন বাম প্রগতিশীল মতাদর্শকে ধারণ ও লালন-পালন করেছেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষের একজন নিষ্ঠাবান নেতা। তিনি ছিলেন আজীবন সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় এজেন্ট সামন্ত-মুৎসুদ্দী শ্রেণীর বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াকু ব্যক্তিত্ব। তাঁর সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী আপোষহীন ভূমিকার কারণেই স্থানীয় প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিদস্যুদের সহযোগীতায় সাম্রাজ্যবাদের দালাল ক্ষমতাসীন শাসক-শোষক গোষ্ঠির পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় শক্তি নির্মমভাবে তাঁকে খুন করেছে। তাঁর মৃত্যুতে এ দেশের কৃষক-জনতা হারিয়েছে তাদের এক আপোষহীন নেতাকে আর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তি হারিয়েছে তাদের একজন মহান সহযোদ্ধাকে। এদেশের সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য এ মৃত্যু এক অপূূূূূরণীয় ক্ষতি। এই সময়ে রাষ্ট্রশক্তি শুধু সাইফুল্লাহ্ লস্করকে হত্যা করেনি, হাজার হাজার মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন পন্থায় হত্যা করছে। সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালিত হচ্ছে। এই হত্যাকান্ড শুধু আমাদের দেশেই নয়, সাম্রাজ্যবাদ বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন দেশে এই রাষ্ট্রীয় শক্তির দ্বারা হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে। এর কারণ কি ? এর কারণ নিহিত আছে বর্তমরুন বিশ্বে প্রচলিত পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় বিদ্যমান অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে।

    সমগ্র পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা আজ গভীর অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় বিদ্যমান এই সাধারণ সংকটকে পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদগণ মন্দা হিসাবে অভিহিত করছেন। প্রথম বিশ্ব মন্দার সূচনা হয় ১৯০৩-০৫ পর্বে। এই মহামন্দার পরিণতিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত হয় ; ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের মাঝদিয়ে রুশদেশে শ্রমিকশ্রেণী বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। ২য় মহামন্দা শুরু হয় ১৯২৯ সালে। ১৯৩৩ সালের দিকে মন্দা কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে ধরা হয় ; বাজারে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা দেয়। কিন্তু আবার গভীর মন্দা সব কিছুকে গ্রাস করে। এই মন্দার পরিণতি ঘটে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যে বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে। ১৯৩৯ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। বিশ্বযুদ্ধের ভিতর দিয়ে পূর্ব ইউরোপের ৭টি দেশে শ্রমিকশ্রেণী বুর্জোয়াদের উচ্ছেদ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। বিগত ২টি মহামন্দার কোনটাই কেবল ক্রমাগত অবনতির ফল ছিল না। উভয় মন্দার সময়কালেই অর্থনীতির উত্থান ঘটেছিল। তবে তা ছিল সাময়িক ; যা অর্থনৈতিক মন্দার প্রাথমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ও নতুনভাবে আঘাত হানে এবং গোটা অর্থনীতিকে গ্রাস করে। পল ক্রুগম্যানের মতে, “বিশ্ব এখন ৩য় মন্দার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এটা ভেবেই আমি চরমভাবে ভীত। বর্তমান মন্দার গতি প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে এটা অতীতের মহামন্দা থেকেও আরো দীর্ঘতর ও ভয়াবহ হবে। কিন্তু অর্থনীতিকে এর চরম মূল্য দিতে হবে এবং সর্বোপরি কোটি কোটি লোক বেকার হয়ে পড়বে যা অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে। প্রাথমিকভাবে নীতির ব্যর্থতার কারণেই ৩য় মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে সব সরকার মূল্যস্ফীতি দ্বারা আবিষ্ট রয়েছে। অথচ যেখানে প্রধান সমস্যা হলো মুদ্রা সংকোচন।”

    পল ক্রুগম্যান আরো বলেন, “ কিন্তু ভবিষ্যত ইতিহাসবিদরা আমাদের বলবেনÑএটাই ৩য় মন্দার শেষ ছিল না, ঠিক যেমন ব্যবসার একটু ভাল অবস্থা যা ১৯৩৩ সালে শুরু হয়েছিল তা মহামন্দার শেষ ছিল না। যাই হোক না বেকারত্ব বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বের চরম অবস্থা যা ধ্বংসাত্মক বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে তাও খুব আগের ঘটনা নয়। এই বেকারত্ব দ্রুত হ্রাস হয়ে আসার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ খুব ভালভাবেই এই ঘরানার মুদ্রা সংকোচন কৌশলের ফাঁদে পড়েছে। সংকটের এই ঘোলাটে দৃশ্যের মাঝেও আপনারা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করবেন যে নীতি নির্ধারকেরা এটা অনুধাবন করবেন তারা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট কাজ এখনো করেননি। কিন্তু না কয়েক মাস ধরে আশ্চর্যজনকভাবে পুনরুদ্ধারের জন্য নগদ টাকা ও ভারসাম্য বাজেটের সেই পুরানো পন্থার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।”

    পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার নীতি নির্ধারকেরা মন্দা কাটিয়ে উঠার ঘোষণা দিলেও বিশ্ব অর্থনীতির বাস্তব চিত্র ভয়াবহ সংকটের নির্দেশ করছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার সর্ববৃহৎ অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১০-২০১১ সালের জন্য ৩.৮৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট পাশ করেছে। এই বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১.৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার যা যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির ১০.৬%। বাজেটে সামরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৮.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৫.৯% দেখানো হয়েছে। ২০০৭ সালে মন্দা শুরু হবার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেকার হয়েছে ৮৩ লক্ষ ৬০ হাজার জন। ২০১০ সালের ফেব্র“য়ারীতে বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ৯.৭% যা বর্তমান মাসে ২ অংকের সংখ্যাতে পৌঁছাবে বলে বলা হচ্ছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪০ টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম মাসে আরো ৩৫ টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছে।

    পুনরুদ্ধারের কথা বলা হলেও ইউরোপের অর্থনীতিতেও সংকট এবং মন্দা অব্যাহত রয়েছে। ২০০৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে ইউরোপের কোন কোন দেশে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি দেখানো হলেও অর্থনীতিতে বাস্তবে মন্দা ও সংকট অব্যাহত রয়েছে। ২০০৯ সালে সামগ্রিকভাবে ইউরো জোন এর অর্থনীতি ৪% সংকুচিত হয়। ২০০৯ সালে জার্মান অর্থনীতি ৫%, ফ্রান্স ২.২%, নেদারল্যান্ড ৪%, অষ্ট্রিয়া ৩.৬% ও চেক প্রজাতন্ত্র ৪.৩% সংকুচিত হয়। এই সময়ে আইসল্যান্ড ও গ্রীসের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। গ্রীসের ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ হাজার কোটি ডলার। গ্রীসের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ১২.৬%। সর্বশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১১ হাজার কোটি ইউরো ঋণ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছে গ্রীসকে। গ্রীসের পর এবার হাঙ্গেরীতে অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিতে আছে স্পেন, পর্তুগাল, ইটালী, আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেন। ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতি জার্মানী, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অর্থনীতি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। ব্রিটেনের ঋণের পরিমাণ ৯.২, জার্মানীর ৫.২ ও ফ্রান্সের ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। এ পর্যায়ে জাপানের অর্থনীতি ধারাবাহিক মন্দার প্রক্রিয়ায় ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে আবারো মন্দায় পতিত হয়। ২০০৯ সালে জাপানের অর্থনীতি ৫.২% সংকুচিত হয় এবং বছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধি ১.১% এ দাঁড়ায়। জাপানের জাতীয় বিমান সংস্থা ‘জাপান এয়ার লাইন্স’ ২৬ বিলিয়ন ডলার ঋণগ্রস্থ হয়ে দেউলিয়া ঘোষিত হয়। জাপানের বড় গাড়ী কোম্পানী টয়োটা ও নিশান যান্ত্রিক ত্র“টির কারণে বাজার থেকে বিপুল সংখ্যক গাড়ী তুলে নিতে বাধ্য হয়। এই সময়ে জাপানে ‘উদ্ধার’ ও ‘উদ্দীপক’ কর্মসূচী অব্যাহত থাকে। ২০০৯ সালে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবেলায় চীন ৫৮৫ বিলিয়ন ডলারের উদ্দীপক কর্মসূচী গ্রহণ করে প্রবৃদ্ধি ৮.৭% করতে সক্ষম হয়। এই সময় আভ্যন্তরীন বাজারে গাড়ী বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চীন প্রথম স্থান অধিকার করে। চীনের গাড়ী বিক্রয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৩৬ লক্ষেরও বেশী ছিল। ২০০৯ সালে রুশ অর্থনীতি সংকটে পড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও তার অর্থনীতি সংকুচিত হয় ৭.৯%।

    সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে। অর্থনৈতিক এই নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার সংকটকে গভীরতর করছে। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছে। আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধান প্রধান পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো স্বীয় বাজার ও প্রভাব বলয় রক্ষা এবং বিস্তারের লক্ষ্যে পরস্পর জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে স্ব স্ব স্বার্থ রক্ষার উপায় খুঁজছে। আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বর্তমান পর্যায়ে (ক) মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে জোট, (খ) জার্মান-ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং (গ) রাশিয়া-চীনের নেতৃত্বে সাংহাই-৬ গঠন করে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের দ্বারা পরিচালিত বিশ্বব্যাংক, আএমএফ, ডব্লিউটিও, জি-৭, জি-২০, জাতিসংঘ ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থা আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে অকার্যকর হয়ে পড়ছে। আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ ও বিশ্বযুদ্ধের বিপদের দিকটি সামনে আসছে। অন্যদিকে সারা বিশ্বব্যাপী শ্রমের সাথে পুঁজির দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের সংকটের বোঝা জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের সংকট লাঘবের চেষ্টা করছে। অপরদিকে শ্রমিকশ্রেণী ও জনগণ মজুরী-বেতন- ভাতা, পেনশন, জনকল্যাণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়ার বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়ে একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও ধর্মঘট সংঘটিত করে চলেছে। তাই বিশ্বব্যাপী কার্যকরী ৩ মৌলিক দ্বন্দ্ব (ক) শ্রম-পুঁজির দ্বন্দ্ব, (খ) আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব ও (গ) সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা নির্যাতিত দেশ, জাতি ও জনগণের সাথে সাম্রাজ্যবাদের দ্বন্দ্ব-এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে একদিকে বিশ্বযুদ্ধের বিপদ অন্যদিকে বিশ্ববিপ্লবের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    আমাদের বাংলাদেশ একটি নয়াউপনিবেশিক-আধাসামন্তবাদী রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক শক্তি হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। তাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় এদেশের শাসক- শোষক গোষ্ঠি ধারাবাহিকভাবে গণবিরোধী জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ কার্যকরী করে চলেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে সামনে নিয়ে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ পুঁজিবাদী চীনের মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন ভারত মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত বঙ্গোপসাগরীয় রাষ্ট্র হওয়ায় এখানকার ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তার যুদ্ধ পরিকল্পনা কার্যকরী করার প্রয়োজনে বাংলাদেশকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি ও বিপ্লবী শক্তির উপস্থিতি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার বিপদের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে একে নির্মূল করতে চায়। তাই আমাদের দেশের শাসক-শোষক গোষ্ঠি মার্কিন সাম্রজ্যবাদের পরিকল্পনায় গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী শক্তিকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার ও বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে খুন করে চলেছে। একে প্রতিহত করতে হলে দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ; সারা বিশ্বের শ্রমিকশ্রেণী, শান্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদকে নির্মূল করতে হবে। বিশ্বশান্তি ও মানবজাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে এর কোন বিকল্প হতে পারে না। এ পথেই সাইফুল্লাহ্ ভাই তাঁর সমগ্র জীবন নিবেদিত রেখে প্রয়াত হয়েছেন। তাই তিনি জনগণের প্রকৃত অগ্রসেনাণী।

  • দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে এস এম জগলুল হায়দারের শুভেচ্ছা বিনিময়

    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা- ৪, শ্যামনগর+কালিগঞ্জ আংশিক আসনের নৌকার মাঝি এস এম জগলুল হায়দার দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে শুক্রবার দিনভর ব্যস্ত ছিলেন। সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কবিরুজ্জামান (মন্টুর) দাদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে জগলুল হায়দার ছুটে যান তার বাসভবনে। সেখানে শোকাহত পরিবারের প্রতি শোক ও সমাবেদনা জ্ঞাপন করেন। সকাল ১১ টায় ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিকালে শ্যামনগর আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় সকল নেতা কর্মীদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একটি মিলন মেলার সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

  • আজ মুক্তিযোদ্ধা দিবস : জাসদ সভাপতি শ্রদ্ধা নিবেদন

    আজ মুক্তিযোদ্ধা দিবস : জাসদ সভাপতি শ্রদ্ধা নিবেদন

    মুক্তিযোদ্ধা দিবসে জাসদ সভাপতি ও মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু এমপি ‘র নেতৃত্বে মীরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মাননীয় মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন,“ আজ ১লা ডিসেম্বর ২০১৮। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। ২০০৪ সাল থেকে জাসদ, আজকের এই দিনটি”মুক্তিযোদ্ধা”দিবস হিসেবে পালন করছে এবং একই সাথে এই দিনটি ” মুক্তিযোদ্ধা” দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জোর দাবীজানাচ্ছে । আজকে এই দাবীর প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে। আশাকরি অবিলম্বে সরকার এই দাবী মেনে নেবেন।
    এখানে একটি প্রসঙ্গ বিনয়ের সাথে উল্লেখ করতে চায় শুধু সরকারের সাথে যারা আছেন তাদের মধ্যে, বিশেষকরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে, ” ১৯৯৯ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে, যখন কুষ্টিয়ার কালিদাসপুরে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়, তখন বিভিন্ন মহল থেকে দাবী উঠেছিল, উনাকে জাতীয়বীরের মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হোক, আমরা শহীদ মিনারে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম, কিনতু সাড়া মেলেনি, উনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আমরা করতে পারিনি। এর ৩/৪ মাস পরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিযোদ্ধারামারা গেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে এবং এটা চলছে। হয়তো ২দিন আগে বা পরে ১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘােষণা করা হবে বলে আমরা আশাকরি। এর আগের একটি ঘটনা, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার এক খলিফা আব্দুল কুদ্দুস মাখন মারা গেলেও তৎকালীন বিএনপি সরকার বহু নাটকের পর, উনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্হা করেছিল। এটাই আমাদের সরকারগুলোর অদূরদর্শিতা! । ”

    মুক্তিযোদ্ধা দিবসের এশ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন , মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান শওকত,বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ সহ সভাপতি শফী উদ্দিন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মাইনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, নাদের চৌধুরী, জাতীয় যুবজোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, মীর্জা আনোয়ার, যুবনেতা সামসুজ্জামান সম্রাট ও নওশের আলী সজীব। নারীনেত্রী রাবেয়া দিলরুবা ও নার্গিসসহ আরো অনেকে। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাএনেতা সামসুল ইসলাম সুমন।
    ছাএনেতা নুরুজ্জামান ননী,গোলাম কিবরিয়া ওগোলাম মোস্তফা

  • সাতক্ষীরা-২ আসনে জাপার প্রার্থী শেখ আহজার

    সাতক্ষীরা-২ আসনে জাপার প্রার্থী শেখ আহজার


    ১০৬ সাতক্ষীরা-০২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে শেখ আজহার হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ৩০ নভেম্বর’১৮ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর প্রেরিত কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত একপত্রে এ প্রার্থীতা নিশ্চিত করেন। ওই পত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন, সাতক্ষীরা-০২ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দ্বিতীয় কোনো প্রার্থী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বলে বিবেচিত হবে না। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারকে অনুরোধ জানানো হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরী হয়নি – সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরী হয়নি – সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তেঁতুলিয় ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপি’র এক কর্মী সভা স্থানীয় মদনপুর বাজারে অনুষ্ঠিত হয়।
    ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম,উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিয়াজান আলী মোড়ল,তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক ময়েজ উদ্দীন,জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, ঢাবি ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ-উল-ইসলাম, তালা উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আনিচুজ্জামান আনিচ,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আকরামুল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামসহ বিএনপির ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    কর্মী সভায় প্রধান অতিথি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরী হয়নি। সেজন্য আগামী নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে অনুরোধ জানান।

  • ডাঃ রুহুল হক কে শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ছাত্রনেতারা

    ডাঃ রুহুল হক কে শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ছাত্রনেতারা


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    সাতক্ষীরা-৩ আসনে সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ. ফ. ম. রুহুল হক পুনরায় নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ায় সাতক্ষীরার সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে কে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রাতে রুহুল হকের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে নেতৃবৃন্দ এ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির আহবায়ক শেখ সাহিদ উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক জে এম ফাত্তাহ, কাজী আক্তার হোসেন, সদস্য সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, নূর ই আলম সিদ্দিকী মুকুল, মোঃ সালাউদ্দীন আল আজাদ, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সাংবাদিক মাসুদ আলী, পলাশ হোসেন, হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। এসময় রুহুল হক এমপি সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আসন্ন মহান জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাদের নৌকা প্রতিক দিয়েছেন দলের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করে শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

  • নজরুল ইসলামকে জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি ফোরামের শুভেচ্ছা

    নজরুল ইসলামকে জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি ফোরামের শুভেচ্ছা


    জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি ফোরামের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের নিজস্ব বাসভবনের জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে এ শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি আব্দুল আলিম, সহ-সভাপতি মারুফ আহমেদ, আব্দুস সামাদ, জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোছাক সরদার, মিজানুর রহমান, গোলাম এজদানী, খায়রুল ইসলাম বাবু, শাহরিয়া কবির পিন্টু, আশরাফুল ইসলাম, ফরমান সরদার, ইউনুছ আলীসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

    সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এ মতবিনিময় করেন।
    এ সময় তার সাথে ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুক, এড. আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, শেখ রায়হান, যুগ্ন সম্পাদক মারুফ হোসেন, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রকিব মোল্যা, কলারোয়া উপজেলা যুবদল সভাপতি আব্দুল কাদের বাচ্চু, কলারোয়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, জেলা ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন প্রমুখ।
    এ সময় বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানান। একই সাথে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা কারাবন্দী রয়েছেন তাদের নিঃশ্বর্তে মুক্তির দাবী জানান। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি তার আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে সাংবাদিকদের সামনে আশা প্রকাশ করেন।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।##

  • উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকার পক্ষে কাজ করুন

    উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকার পক্ষে কাজ করুন


    মাহফুজুর রহমান তালেবঃ গত ২৯ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম মৃধার সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয় সংলগ্ন এক বর্ধিত ও শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এম এম জগলুলহায়দার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার মতো জনম দুখিনী
    তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জ বাজার হতে হরিনগর বাজার, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়ে ভেটখালী বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১০কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ ও সংষ্কার এই হাসিনা সরকারই করেছেন। পদ্মা সেতুর কাজ অর্ধেক সমাপ্ত হয়েছে। বাঁকি অর্ধেক কাজ সমাপ্ত করতে হলে এ সরকারের প্রয়োজন আছে কিনা? তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বছরের ১ম দিনে আপনাদের ছেলে মেয়েদের হাতে কে বই উঠিয়ে দেন। ১০ টাকা কেজি দরে কে চাউল দেন। সকলে সমস্বরে জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা বললে তিনি আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা-কে বিজয়ী করার জন্য জনগনের নিকট তার সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান। তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসন হতে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ ৮ ইউনিয়নের সমন্নয়কারী সজল মুখার্জী, প্রভাষক মোশারাফ হোসেন। উক্ত বিশেষ বর্ধিত সভায়
    মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এবং সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য শেখ গোলাম মোস্তফা, আকবর আলী, সেলিনা সাইদ এবং সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ মাজেদ মোড়ল।

  • আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সদর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি রবি

    আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সদর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি রবি


    আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা-০২ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা সদর আসনে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকার টিকিট পাওয়া গরীব দুঃখী গণমানুষের প্রাণের নেতা রাজনীতিবিদ সাতক্ষীরাবাসীর প্রিয় মুখ, সদর আসনের উন্নয়নের রুপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কায়ালয়ে সাতক্ষীরা জেলা রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের হাতে। এসময় এমপি রবিসহ নেতা কর্মীরা মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন এবং সাতক্ষীরা সদর আসনে আবারো দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও তার সুস্থ্যতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
    এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তার মরহুম পিতা মীর ইশরাক আলী ইসু মিয়া ও তার মায়ের কবর জিয়ারত করেন। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নলতায় সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গাওছে জামান আরেফ বিল্লাহ হযরত শাহ্ সুফী আলহাজ¦ খান বাহাদুর আহছ্ান উল্লাহ (রঃ) এর পাক রওজা শরীফ জিয়ারত ও যোহরের নামাজ আদায় করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা আরা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুৃল হাকিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশতাক আলীসহ আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সমবেত হন। জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

  • সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে ৩৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

    সাতক্ষীরায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য চারটি আসনে ৩৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং অফিস এবং উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসে প্রার্থীরা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
    রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উল্লেখযোগ্যের মধ্যে যারা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন,
    সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়মীলীগ নেতা সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান, বিএম নজরুল ইসলাম, সরদার মুজিব, বিশ^জিত সাধু ও শেখ নুরুল ইসলাম। ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, একই আসনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জাসদের ওবায়দুস সুলতান বাবলু ও বামগণতান্ত্রিক জোটের আব্দুল আজিজ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
    সাতক্ষীরা-২ সদর আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি।
    বিএনপির জেলা সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশ, সহ-সভাপতি আব্দুল আলিম ও সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান। জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী জেলা সভাপতি শেখ আজহার হোসেন। এই আসনে জামায়াতের মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, বামগণতান্ত্রিক জোটের নিত্যানন্দ সরকার।
    সাতক্ষীরা-৩ আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি, বিএনপি দলীয় প্রার্থী ড্যাব নেতা ডাঃ শহিদুল আলম, জামায়াতের হাফেজ রবিউল বাশার।
    সাতক্ষীরা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জগলুল হায়দার এমপি, জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, একই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সাত্তার মোড়ল ও বিকল্পধারা থেকে সাবেক এমপি এইচএম গোলাম রেজাসহ মোট ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
    সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মোট ৩৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ।

  • সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা ও কলারোয়া) আসনে ধানের শীষের হয়ে লড়তে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
    সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে মনোনয়নের চিঠি গ্রহণ করেছেন তিনি।
    বিকেলে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে মনোনয়নের চিঠি বিতরণের উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
    মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সবার সহযোগিতায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন তরান্বিত করতে হবে।
    তিনি ১৯৯৬-এর ষষ্ঠ এবং ২০০১-এর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
    তালা ও কলারোয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-১ আসন। ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২২ হাজার ৮৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ দাশ হাজার ৭০০ নারী ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ১৮৩ জন। এবারের নির্বাচনে তালা উপজেলায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১১ হাজার ৩৫৫ জন ও নারী ভোটার বেড়েছে ১০ হাজার ২৯০ জন। কলারোয়া উপজেলায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১০ হাজার ৮৭২ জন। ও নারী ভোটার বেড়েছে ১০ হাজার ৩০৮ জন।

  • নির্বাচন  কোন জঙ্গিগোষ্টি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সম্পাদায়িক শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৌশল হতে পারে না – হাসানুল হক ইনু

    নির্বাচন কোন জঙ্গিগোষ্টি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সম্পাদায়িক শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৌশল হতে পারে না – হাসানুল হক ইনু

    সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এ বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, কোন দণ্ডিত অপরাধীর মুক্তির হাতিয়ার হতে পারে না নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে কোন জঙ্গিগোষ্টি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সম্পাদায়িক কোনো শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৌশল নির্বাচন হতে পারে না।

    তিনি বলেন, ৫ বছর পর নির্বাচন হয় নতুন সরকার গঠন করার জন্য। এ সময় ইভিএম সংবিধান সম্মত উপায়েই নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করছে বলে তিনি দাবি করেন। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল হাফিজ তপন, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ছবি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলম জাকারিয়া টিপু, উপজেলা জাসদের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম আতা, সাধারণ সম্পাদক এসএম আনছার আলী প্রমুখ।