Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
মুক্তিযুদ্ধ Archives - Page 5 of 8 - Daily Dakshinermashal

Category: মুক্তিযুদ্ধ

  • সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    এসবিএন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আনবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী ৪ নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক প্রথম বৈঠকে তিনি তার এই লক্ষ্যের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সিইসি আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান তারা।

    কর্মকর্তাদের আলোচনার সূত্র ধরে নতুন সিইসি বলেন, এই বাংলাদেশ কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে, আর যে নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল, তা কেন বিতর্কিত ছিল, তা বিশ্লেষণে আমি যাব না। একটা কথাই বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে ইনক্লুসিভ নির্বাচন ছিল না বলেই বিতর্কিত ছিল। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্ব›িদ্ধতামূলক না হয়; যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

    বৈঠকে সিইসি বলেন, আমার একটাই কথা, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যারা সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের একটাই কথা-দল মত নির্বিশেষে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, দেশে এ রকম আলোচিত ও সবার আগ্রহ আমাদের নিয়ে; অতীতে কখনও এমনটি হয়নি। সাধারণ মানুষ, দল, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবার সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আশা করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি; তাদের উদ্দীপ্ত করতে এবং মনোবল বাড়াতে নানা নির্দেশনাও দেন তিনি।

    ইসি সচিবালয় সার্বিক অগ্রগতি, কাজের পরিধি-কাঠামো ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একটি ধারণাপত্রও নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। কর্মকর্তাদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার উদাহরণ টেনে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রসঙ্গ টানেন নূরুল হুদা।

    সিইসি বলেন, জেসমিন টুলী যখন চট্টগ্রামে একেবারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে, দৃঢতার সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিচালনা করে সফল একটা নির্বাচন উপহার দিলেন। তখন দেশবাসী তার দিকে তাকিয়ে ছিল। সমস্ত মানুষ বলেছিল, কীভাবে সম্ভব? তাকে কিন্তু কেউ প্রভাবিত করতে পারেনি, বা তার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনো রকম কেউ বিব্রত বা বিচলিত করতে পারেনি। ইসির দক্ষতা সচিবালয়, মাঠ পর্যাছয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।

    ইসি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনে অভয় দিয়ে নূরুল হুদা বলেন, যে দক্ষ জনবল রয়েছে তাতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। শুধু একটা না, সামনে যেসব নির্বাচন আসবে তা দৃঢতার সাথে মোকাবেলা করব। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন নূরুল হুদা। একজন নির্বাচন কমিশনারের কথা টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান জিরো টরারেন্স। কাউকে কোনো পর্যায়েই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা প্রাইভেটলি যে আলোচনা করেছি, তাতেও আমরা বলেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবো।

    ইসির সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সমর্থনের গুরুত্বও তুলে ধরে সিইসি বলেন, অংশীজনরা বলেছে-শুধু নির্বাচন কমিশনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তারা যদি সহযোগিতা না করে এবং অংশগ্রহণ না করে, তা হলে সম্ভব নয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেন বলেও জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার নৈরাজ্য-সহিংসতা এবং বিএনপি জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুললেও নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি বলেছে, নতুন ইসির ভূমিকা এবং নির্বাচনকালীন সরকার দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে যে এখন নতুন ইসি, সে বিষয়ে নিজেও সচেতন নূরুল হুদা।

     

  • বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    এসবিএন : বাংলাদেশ থেকে মুরগি ও ডিম আমদানি বাতিল করেছে সৌদি আরব। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই দুই পণ্যের আমদানি বাতিলের তথ্য জানিয়েছে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু’র বিস্তারের তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ (ওআইই)। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ডিম ও মুরগি আমদানি বাতিল করলো।

    দেশটির পশুসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি সরকার।

    এর আগে ২৯ জানুয়ারি ঢাকার শতকরা ৮০ ভাগ পোল্ট্রি ও দেশি মুরগির বাজারে বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এফএও জানায়।

    গত মাসে বিশ্ব পশু স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ঢাকার ধামরাই এলাকার একটি খামারে সোনালি প্রজাতির প্রায় তিন হাজার মুরগি বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩২টি মুরগি মারা যায়।

    তবে দুই বছর পর ফের বার্ড ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, সারাদেশে মুরগির খামারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ধামরাইয়ের খামারটি ছাড়া দেশের আর কোনো খামারে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

     

  • জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় খুলনা জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ

    সভাপতি সভার শুরুতে প্রথমে নব নির্বাচিত সদস্য জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সথে কুশল বিনিময় করেন তিনি বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নকর্মকান্ডের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খুলনা জেলা পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সেবা জনগণের দাড়প্রান্তে পৌছানোর লক্ষ্যে নব নির্বাচিত সদস্যদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন সভায়  নব নির্বাচিত সদস্য জয়ন্তি রানী সরদার, শোভা রানী হালদার, ফারহানা নাজনীন, নাহার আক্তার, কবির হোসেন খান, রজত কান্তি শীল, মোঃ জহুরুল হক, দিলীপ হালদার, অভিজিৎ চন্দ, শেখ মোশাররফ হোসেন(বাবু), সরদার আবু সালেহ, মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, মোল্লা আকরাম হোসেন হাবিবুল্লাহবাহার, শেখ কামরুল হাসান(টিপু) মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী, এস.এম. খালেদীন রশিদী সুকর্ন, চৌধুরী ফরিদ রায়হান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলিম উদ্দিনসচিব শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডল, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার বিশ্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ

     

  • মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    খুলনা মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সম্পাদকমন্ডলীর সভা বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়

    সভায় অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২০ ফেব্রয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত রাত ১২ টা মিনিটে হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ২১ ফেব্রয়ারী সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রভাত ফেরী সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুর খানজাহান আলী থানা বিএনপির পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে

    সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মোঃ রাশেদ, শাহজালাল বাবলু, রেহানা ঈসা, আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, জালু মিয়া, ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, জাহিদুর রহমান রিপন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ খবর বিজ্ঞপ্তির

     

  • বিশ্বব্যাংকে জবাব দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

    বিশ্বব্যাংকে জবাব দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

    এসবিএন : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাঙালি চোরের জাতি নয়, বীরের জাতি। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেন অপবাদ দিল, তাদের জবাব দিতে হবে। বিশ্বব্যাংক কেন বাংলাদেশকে অপমান করল তার জবাব না দিলে আগামী দিনে বাংলাদেশের কোনো প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের কোনো অনুদান (ঋণ) আসবে কি না ভেবে দেখতে হবে।

    বুধবার রাজধানীর শাহবাগের গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিতট্যানারিশিল্প স্থানান্তরপরিবেশ সংরক্ষণ জাতীয় উন্নয়নশীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশের দূষণের চিত্র তুলে ধরে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের অনাগত শিশুদের জন্য একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। কিন্তু আমাদের বায়ুদূষণ, পানিদূষণদূষণে দূষণে সর্বস্বান্ত আমরা। কিন্তু বর্তমান থেকে আমাদের ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে হবে। সাহস নিয়ে এগোতে হবে।

    ট্যানারিশিল্পের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আদালত রায় দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। আমরা আশা করি, জনস্বার্থে অচিরেই ট্যানারিশিল্পের স্থানান্তর হবে। মালিকরা সরকারের আদেশ মেনে তাদের জায়গা বদল করে নেবে।

    অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক . এস এম মাকসুদ কামাল। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য নাসরিন আহমাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

  • স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারতের রেকর্ড

    স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারতের রেকর্ড

    এসবিএন : একই সঙ্গে ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে রেকর্ডের পথে রয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পিএসএলভি সি৩৭ নামের একটি রকেটে করে এক সঙ্গেই উপগ্রহগুলো পাঠানো হয়েছে।

    তবে এর মধ্যে ১০১টি উপগ্রহই হলো বিদেশি সংস্থার। কাজে সফল হলে নতুন বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখাবে ভারত।

    বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে স্রিহারিকোটা থেকে এসব উপগ্রহ পাঠিয়েছে ভারত।

    এর আগ পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ডটি ছিল রাশিয়ার। বছর আগে রাশিয়া এক রকেটে করে ৩৭টি উপগ্রহ পাঠিয়েছিল।

    ১০১টি বিদেশি উপগ্রহের মধ্যে ৮৮টি সান ফ্রানসিসকোভিত্তিক প্লানেট ল্যাবসএর। বাকিগুলো ইসরায়েল, কাজাখস্তান, সুইজারল্যান্ড এবং আরব আমিরাতের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের।

    এক সঙ্গে এতগুলো উপগ্রহ ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫শকিলোমিটার উঁচুতে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করার ঘটনা এই প্রথম।

    ইসরো জানিয়েছে, ৩২০ টনের রকেট, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি) এই সব কয়েকটি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়েই এক সঙ্গে পাড়ি দিয়েছে। উপগ্রহগুলোর মোট ওজন ১৫শকেজির মতো। খবর অল ইন্ডিয়ার।

     

  • বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অকৃত্রিম হোক ভালোবাসা

    বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অকৃত্রিম হোক ভালোবাসা

    দীপক রায় : ভালোবাসা মানুষকে আপন করতে শেখায়,বিশ্বাস করতে শেখায়, সৃষ্টি করতে শেখায়,শান্তি আনয়ন করতে শেখায়,বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়। এই ভালবাসাবাসি শুধমাত্রু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পৃথিবীর সকল প্রাণী একে অপরকে ভালবাসে এটাই চির সত্য। এই ভালবাসার ধরণ দেশভেদে স্থানভেদে সংস্কৃতি ভেদে পৃথক হতে পারে কিন্তু এর আবেদন অনুভুতি এক ও অভিন্ন। ভালোবাসা -ভালোবাসাই এর কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীতে সভ্যতার আলো আসার  পর থেকে আজ অবধি বহু স্বার্থক ভালবাসার সত্য ঘটনা রয়েছে যা একত্র করলে ভালোবাসার গল্পের একটা সু-উচ্চ পাহাড় হয়ে যাবে। যা আজও মানুষকে অনুপ্রানিত করে,আবেগাপ্লুত করে, মোহিত করে। এই ভালোবাসা কাউকে কাঁদায় কাউকে হাসায়, কাউকে পৃথিবীর সব সুখ উজাড় করে দেয়, কাউকে ভিখারী করে,কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কেউ ভালোবাসার মুর্তি গড়েছেন কেউ আবার পুড়িয়ে ছারখার করেছেন সবকিছু। ভালোবাসা পৃথিবীতে শান্তির বসন্ত যেমন এনেছে, তেমনি এনেছে যুদ্ধের বিভীশিখা। তাই কোনো এক গানে গীতিকার লিখেছেন———-

    আমি হেলেন কিংবা নূরজাহানকে দেখিনি

    ক্লিওপেট্রা মমতাজকেও নয়,

    আমি তোমাকে দেখে জেনেছি-

    কেন গড়েছিল তাজমহল

    কেন পুড়ে ছিল ট্রয়।

    এই ভালোবাসার শক্তি এত তীব্র যা মাপার মত কোনো যন্ত্র আজও পৃথিবীতে আবিস্কৃত হয়নি। অল্পে বলা যেতে পারে, এর গতি আলোর চেয়ে দ্রুত,একে দেখা যায়না ছোঁয়া যায়না শুধু অনুভব করতে হয়। সে জন্য মহান ভালবাসার কাহিনী যে দেশেরই হোক না কেন পৃথিবী শুদ্ধ মানুষকে আকর্ষণ করে,জিজ্ঞাসা বাড়ায় তারপর—?ঠিক তেমন-ই ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও ভ্যালেনটাইনস ডে প্রাচীন রোমের কিছু অসাধারণ ভালোবাসার নিদর্শনের প্রতীক হিসাবে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই দিনে কেউ নতুন করে ভলোবাসায় আবদ্ধ হয়,কেউ ভালোবাসার স্বপ্ন দেখে,কেউ আবার ৮০ বছর বয়সের স্ত্রীকে উপহার দিয়ে পুরোনো প্রেমকে আবার নবায়ন করে।

    শোনাযায় প্রাচীন রোমে কুমারী মেয়েরা বিশেষ এক দিনে ভালোবাসার কাব্য লিখে জমা করত একটি মাটির পাত্রে। যুবকরা পাত্র থেকে তুলে নিত একটি লেখা। বিষয়টি ছিল লটারীতে ভাগ্য যাচাই-এর মত।যুবকের হাতে উঠে আসত যার লেখা সেই মেয়েটিকেই ভালোবাসত সে। তার সাথেই হতো যুবকের বিয়ে। ভাগ্য সুত্রেই মেয়েটি হতো তার জীবনসঙ্গী। যে দিনে এ কাজটি হতো সে দিনটি ১৪ ফেব্রুয়ারী।

    ১৪ ফেব্রুয়ারী নিয়ে আরও অনেক কথা রয়েছে। কিভাবে দিবসটি ভালোবাসা দিবস হলো তা অনেকটা অস্পষ্ট। এ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী নানা ঘটনার কথা। ঘটনা যাই থাকুক ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা কাহিনী দিবস হিসাবে অম্লান।এর জন্ম যেভাবেই হোক না কেন ভালোবাসা দিবসকে ভালোবাসার মাধ্যমে পালন করতে চায় পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ।

    ভ্যালেন্টাইন দিবস নিয়ে আরেকটি গল্প শোনা যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের দুই সৃষ্ট রাজকের অস্তিত্ব ছিল এক সময়। দুশ খ্রীষ্টাব্দের এ দিনে রোমান স¤্রাট এদের একজনকে শিরোচ্ছেদ করেছিলেন, কারণ তিনি সৈনিক যুবকের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন। আবার নিজেই বিয়ে করেছিলেন কোনো এক যুবতীকে।দ্বিতীয় ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে বলা হয় তিনি রোমানদের দেবী পূজার বিরোধিতা করতেন। এ অপরাধে তাঁকে বন্দি করলে রাজকের বন্ধুরা তাদের ভালোবাসার কথা লিখে কারাগারে ছুঁড়ে দিত। বলা হয় ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারী তাকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে দিনটি ভালোবাসা দিবস। পোপ ১ম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এ দিনটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন ডে-কে ঘিরে মুখে মুখে ছড়ানো এসব ঘটনার কোনো প্রমান না থাকলেও প্রেমিক- প্রেমিকারা ১৪ ফেব্রুয়ারীকে এ দিনের মর্মার্থ লালন করে গভীর আগ্রহে,আন্তরিকতায় ও আবেগের সাথে। প্রিয়জনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে আত্মতৃপ্ত হন অনেকে। কেউ আবার ভালবাসার মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে যান বহুদূর। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আবদ্ধ হন ক্যামেরার ফ্রেমে। অনেকে আবার ভালোবাসা দিবসেই জীবনসঙ্গীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এমনিভাবেই যুগ যুগ পার করল ভালোবাসা দিবস।

    এই ভালোবাসা দিবস আছে থাকবে এবং এর আবেগ- অনুভূতি আরও ঘনিভুত হোক এটা আমরা সকলেই চাই। আজকের দিনে প্রেমিক-প্রেমিকা,বন্ধু-বান্ধব ছাড়া এই ভালোবাসা-বাসিতে যদি অন্যদেরও একটু যুক্ত করা যায় তাহলে মনে হয় দিবসটির গুরুত্ব, তাৎপর্য,মাহাত্ম আরোও বেড়ে যায়।ভালোবাসা শুধুমাত্র একটি উপলব্ধি নয়। এর অন্তরে নিহিত রয়েছে। সম্মান,বিশ্বাস,পবিত্রতা,নিঃস্বার্থপরতা,নির্লোভতা। এ ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা দিতে হবে মাতা-পিতাকে,ভাই-বোনকে,পাড়া-প্রতিবেশীকে,অন্য ধর্মের মানুষকে। ভালোবাসা দিবসে ভাবতে হবে ভন্ডামীহীন,মেকামোহীন নিখাদ ভালোবাসার কথা।  প্রকৃত ভালোবাসার শক্তিই আনতে পারে বিশ্ব শান্তি তাই মানুষের আনন্দে আবেগে অনুভবে ভালবাসায় যুগ যুগ জিও থাকুক ভালোবাসা দিবস।

     

  • বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন

    বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন

    ।। প্রবীর বিশ্বাস।।

     

    ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। দিনটি আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন তাৎপর্যপূর্ণ। নদী মাতৃক এই দেশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ধলেশ্বরী, মধুমতি, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্রসহ অসংখ্য নদ-নদী জালের মতো ছড়িয়ে আছে সমস্ত দেশব্যাপী। সাধারণত এই নদীগুলো উত্তরে পাহাড়ী উচুভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণে নীচু ভূমি বঙ্গোপোসাগরে পতিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সমুদ্রের বুকে পলি জমতে জমতে তৈরী হয়েছে সমতল ভূমি। যার উদাহরণ আমাদের সুন্দরবন। বঙ্গোপোসাগরের কোল ঘেঁষে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল সবুজের সমারোহ সুন্দরবন। এটি প্রায় ১৩০ মাইল লম্বা ও ৯০ মাইল চওড়া। যার আয়তন ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২’শ ৮৫ হেক্টর বা প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৫ হাজার ৮’শ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের আনুপাতিক হার ৬ঃ৪। এ বন আমাদের গর্বের ধন; তাই আসুন বিশ্ব ভালোবাসার এই দিনে সুন্দরবনকে ভালোবসি।

    ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি কিভাবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পরিণত হলো, সেটা অনেকের কাছেই অজানা। কারণ এ নিয়ে রয়েছে অনেক ঘটনা, অনেক কাহিনী ও অনেক গল্প। প্রথম ও প্রধান কহিনীটি এ রকম- ২৭০ খৃষ্টাব্দের কথা। রোমের সম্রাট “ক্লডিয়াস ডি সেকেন্ডরের” মনে হলো বিয়ে করলে মানুষ অলস হয়ে যায়। কারণ নারীর সংস্পর্শে বিবাহিত মানুষের মন ঘরমুখী হয়ে যায়। কিন্তু সম্রাট চান দুর্ধর্ষ কঠিন যোদ্ধা। যে কারণে সম্রাট বিয়ে না করার জন্যে বিশেষ  নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন অর্থাৎ কেউ বিয়ে করতে পারবে না। তখন রোমে ‘‘সাধু ভ্যালেন্টাইন ইস্টারমনার’’ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সম্রাটের নিষেধাজ্ঞার প্রতি বিরোধিতা করে গোপনে তরুণ প্রেমিকদের বিবাহ মন্ত্রের দীক্ষা দিতে শুরু করলেন এবং কোন এক সময় সম্রাট এটা জেনে গেলেন। তারপর সম্রাট সাধুকে ডেকে রাজদরবারে এনে কৈফিয়ত তলব করলেন এবং সাধুর যুক্তিতে সম্রাট তাকে ক্ষমা করে দিলেন, তবে একটা শর্তে। শর্তটি হল তাকে খৃষ্টধর্ম পরিত্যাগ করে প্রচলিত ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সাধু সম্রাটের কথায় রাজিতো হলেনই না বরং সম্রাটকেই উল্টে খৃষ্ট ধর্মে দিক্ষা দিতে চাইলেন। এ কথা শুনে সম্রাট আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সাধুকে বন্দী করে শিরোচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন। বন্দী হওয়ার পূর্বে সাধু ভ্যালেন্টাইন এক অন্ধ মেয়ের চোখের চিকিৎসা করতেন এবং কোন এক সময় সাধু ঐ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। শিরোচ্ছেদের পর্যন্তও সাধু ঐ মেয়েটির নিকট প্রেমপত্র লিখতেন এবং সেই পত্রে লিখতেন ‘ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন’ তবে আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে সাধু ভ্যালেন্টাইনের যেদিন শিরোচ্ছেদ করা হয় সেদিনই মেয়েটি চোখের দৃষ্টি ফিরে পায়। দৃষ্টি ফিরে পেয়ে মেয়েটি চিঠি থেকে প্রথম যে লাইনটি পড়েছিল সে লাইনটি ছিল ‘ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন’ এবং যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিনটি ছিলো ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

    আবার অন্য একটি কাহিনীতে আছে প্রাচীন রোমবাসীদের কুমারী মেয়েরা বছরের একটি দিন প্রেমের কবিতা লিখে মাটির পাত্রে জমা করতো এবং প্রত্যেক যুবক ঐ পাত্র থেকে চোখ বন্ধ করে একটি লেখা তুলে নিতো। সে যুবকটির হাতে যে মেয়েটির লেখা আসতো সেই যুবক সেই মেয়েকে ভালবাসতো এবং পরবর্তীতে বিয়ে করে জীবনসঙ্গিনী করতো। এখানেও উল্লে¬খ্য বছরের যে দিনটিতে এটি হতো সে দিনটিও ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

    অপরদিকে ‘‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনার উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর ও এর সহযোগী সংগঠন সুন্দরবন একাডেমিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন পাাঁচটি জেলা, এর উপজেলায় এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও দিবসটি পালন হয়ে আসছে ২০০২ সাল থেকে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বসেরা এ বনাঞ্চল রক্ষায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি এ বন ধ্বংসের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের প্রতিহত করা এবং একই সাথে সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়নে সহায়তা করা।

    খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও বরগুনা এই পাঁচটি জেলার ১৭টি উপজেলায় প্রায় ২’শটি ইউনিয়নে সুন্দরবন অবস্থিত হলেও বেশী অংশ রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলাতে। তবে নাম নিয়ে যত মতভেদ থাকুক না কেন আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জোয়ার ভাটা দ্বারা প্রভাবিত ব-দ্বীপ যেখানে লবনাক্ত বা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের আধিক্য। বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪.২ শতাংশ এবং সমগ্র বনভূমির প্রায় ৪৪ শতাংশের এ বনে প্রাকৃতিক সম্পদের কি নেই? গাছ, মাছ, বহুজাতির প্রাণী, মধু, কাকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, গোলপাতা, পাখি, সাপ, নদ-নদীসহ অসমূল্য সম্পদের আঁধার এই সুন্দরবন। সুন্দরবনে মোট ২’শ ৪৫টি পরিবারের ৩’শ ৩৪টি প্রজাতির বড় বৃক্ষ, গুল্ম-লতা ও পরজীবী উদ্ভিদ পাওয়া যায়। মাছ পাওয়া যায় ২৭টি পরিবারের ৫৩টি প্রজাতির (সমুদ্রচর) ও ৪৯টি পরিবারের ১’শ ২৪ প্রজাতির (তলদেশ বিহারী)। চিংড়ি পাওয়া যায় ৫ পরিবারের ২৪ প্রজাতির। সুন্দরবনের প্রায় ৩৫ ভাগ জলাভূমি, যার ১লাখ ৭৫হাজার ৬’শ ৮৫ হেক্টর এলাকায় ছোট বড় ৪’শ ৫০টি নদী ও খাল রয়েছে। শুধু এ পর্যন্তই নয়, মধু, গোলপাতা ছাড়াও এ বনে রয়েছে তেল ও গ্যাস। বাংলাদেশের পেট্রোবাংলা পেট্রোলিয়ামজাত তেল-গ্যাস কার্যক্রমকে ২৩টি ব্লকে ভাগ করেছে। যার মধ্যে সুন্দরবন ৫ ও ৭নং ব্লকের অর্ন্তগত। এ বনে বন্যপ্রাণী রয়েছে ৪’শ ২৫ প্রজাতির, যার মধ্যে ৩’শ ১৪ প্রজাতির পাখি, ১৪ প্রজাতির কাছিম, ৯ প্রজাতির অজগর, কালকেউটে, বোড়া, গোসাপসহ ৩০ প্রজাতির সাপ ও কুমির, ৫৪ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী। সব কিছুর মধ্যে এখানের অন্যতম প্রাণী হচ্ছে পৃথিবীর বিরল প্রজাতির রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ১৯৮৫ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৪’শ ৫০টি। ১৯৯৩ সালের গণনা অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৩’শ ৫০ থেকে ৪’শ ৫০টি। ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৩’শ ৬৯টি এবং সর্বশেষ ২০০৪ সালে সুন্দরবনের বাঘ শুমারী ফলাফল পুরুষ বাঘ ১’শ ২১টি, স্ত্রী বাঘ ২’শ ৯৮টি ও ২১টি বাচ্চাসহ সব মিলিয়ে ৪’শ ৪০টি।

    কিন্তু এই সম্পদের আধার ধ্বংস হতে বসেছে। দিনে দিনে কমে যাচ্ছে এর সম্পদ এবং রাজস্ব আয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। মূলত বৃটিশরা এদেশ শাসন গ্রহণের পর থেকে সুন্দরবনের আয়তন ক্রমশঃ কমতে থাকে। ইতিহাস বলে এখন যেখানে কলকাতা ও খুলনা শহরের অবস্থান, ১৭৬৫ সালে সে পর্যন্ত ছিল সুন্দবনের বিস্তৃতি। রাজস্ব আয় বাড়ানো ও জীবজন্তুর হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রথম ১৭৭০ সালে কালেক্টর জেনারেল ক্লড রাসেলের সময় থেকে চাষের জন্য সুন্দরবনকে ইজারা দেওয়া শুরু হয়। এ সময় বনের কোন সীমানা নির্ধারণ ছিল না। প্রথম বনের সীমানা নির্ধারিত হয় ১৭৮৩ সালে যশোরের তৎকালীন জর্জ ও কালেক্টর টিনম্যান হেংকেল এর সময় থেকে। ১৭৮৫ সালে হেংকেল বনের ছোট ছোট জমি ১৫০ জনকে লীজ দেন। তবে হেংকেলের এই তৎপরতায় বন নিধনের সাথে সাথে আবাদী জমি বাড়তে থাকে। ১৮১১ সাল থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত লেফটেনেন্ট ডাবলু ই মরিশন সমগ্র সুন্দরবন এলাকা জরিপ কাজ শুরু করেন এবং এই জরিপ কাজ শেষ করেন মরিশনের ভাই ক্যাপ্টেন হিউজ মরিশন। অবশ্য এ সময় দু ভাইয়ের মিলে একটি আংশিক ম্যাপও তৈরী করেন এবং তাদের আংশিক ম্যাপ নিয়ে ও জরিপকৃত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১৮২২ থেকে ১৮২৩ সালে সর্ভেয়ার টমাস প্রিন্সেস সাহেব সুন্দরবনের একটি ম্যাপ তৈরী করেন। যা ১৮৩০ সালে সম্পূর্ণ আঙ্গিকে রূপ দেন সুন্দরবনের প্রথম কমিশনার উইলিয়াম ড্যাম্পিয়ার ও জরিপ কর্মকর্তা হজেয ।

    ১৮১৭ সালে সুন্দরবন এলাকার জন্য জেলা কালেক্টরের ক্ষমতা সম্পন্ন পদ সৃষ্টি করে প্রথম দায়িত্ব পান ইউলিয়াম ড্যাম্পিয়ার। ১৮২৮ সালে বৃটিশ সরকার সুন্দরবনের স্বত্ত্বাধিকার অর্জন করেন। অবশ্য এর পূর্বে সুন্দরবনের প্রথম দপ্তর স্থাপন করা হয় কলকাতার আলীপুরে। ১৮৫৩ সালে অনাবাদী ও জঙ্গল এলাকা বিতরণের জন্য নতুন আইন তৈরী হয়। ১৭৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ইংরেজরা পতিত এবং বন কেটে নতুন আবাদী জমি সৃষ্টি করে, যা একাধারে চলে ১৮৭৩ সাল পর্যন্ত। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ১৮৭৯ সালে সমগ্র সুন্দরবনের দায় দায়িত্ব বন বিভাগের উপর ন্যস্ত করা হয়। সুন্দরবনের প্রথম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নাম এম.ইউ.গ্রিন। তবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৮৮৬ সাল থেকে, কারণ ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল তৎকালিন কতিপয় জমিদারের অধীনে।

    সে কারণে দেখা যাচ্ছে সুন্দরবনের উপর অত্যাচার সেই অনাদী কাল থেকে। মনুষ্যসৃষ্ট নানান কারণসহ সুন্দরবন ক্ষতির জন্য দায়ী প্রাকৃতিক কারণও। সুদীর্ঘকাল থেকে এ ধারা চলে আসলেও বর্তমানে তা বিপজ্জনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে। এ দুরবস্থা কাটাতে চাই সামাজিক ভাবে একটি গণআন্দোলন। ১৯৯৪ সালের ৬ই ডিসেম্বর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ২১তম অধিবেশনে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) সুন্দরবনকে হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ৫২২টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে সুন্দরবনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    শুধু কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে সুন্দরবন সম্পৃক্ত নয়। বাংলাদেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায়ও এটিকে হাল্কা করে দেখার সুযোগ নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আগলে রেখেছে সুন্দরবন। অনেকটা মাতৃক্রোড়ে যেমনটি একটি শিশু পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকে। তাই আসুন ভালোবাসার এই দিনের মতো প্রতিটি দিনে সুন্দরবনকে ভালোবেসে এটিকে রক্ষা করে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করি।

    (লেখকঃ- সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী)

  • ভালোবাসার মানুষের প্রিয় উপহার

    ভালোবাসার মানুষের প্রিয় উপহার

    এসবিএন : ভালোবাসা দিবস মানেই কি শুধু ফুল, ফুল আর ফুল। নানা দেশের, নানা রঙের ও নানা আকারের। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারিভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবস মানেই না বলা মনের গোপন কথাটি যেন বলে ফেলার দিন, তেমনি পুরনো সাথীকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার দিন। এক কথায় একে অপরের ভালোবাসার স্রোতে ভেসে যাওয়ার দিন ভ্যালেন্টাইনস ডে। তবে ভালোবাসার মানুষটির মুখের হাসিই যে এই দিনের সেরা প্রাপ্তি। আর তাকে খুশি করার সবচে’ সহজ উপায় হলো এ দিনে তাকে আপনার সঙ্গ দেয়া। তবে এ দিনে বিশেষ কিছু উপহার আপনাদের ভালোবাসায় আনবে আলাদা মাধুর্য।

    কিন্তু ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটিকে কোন উপহার না দিলে যেনো ভালোবাসার পূর্ণতা প্রকাশ পায় না। এ দিনে প্রিয় মানুষটিকে কি উপহার দিবে এ নিয়েও অনেকে চিন্তায় পড়ে যায়। কেউ একে অপরকে কত বেশি ভালোবাসে সেটা প্রকাশ করতে উপহার দেয় লাল গোলাপ ফুল দিয়ে গড়া বিশাল আকারের হৃদয়। আবার কেউ প্রিয়জনের জন্য অনেক চিন্তা-ভাবনা করে হালফিলের গিফটের নতুন ট্রেন্ড নিয়েই হাজির হয়ে যান।

    এদিনে অনেকেই নিজের প্রিয় মানুষটিকে নরম পশমের ছোট্ট কুশন দিতে ভালোবসেন।কিন্তু একবার ভেবে দেখুন এই কুশনে যদি থাকে আপনাদের দু’জনের ছবি তাহলে কেমন হবে? ভাবুন এই রকম একটা গিফট আপনার মনের মানুষটিকে দিলে সে কতটা খুশি হবে! এবারে ভ্যালেন্টাইনস ডে রঙিন করে তুলতে পারেন এই পার্সোনালাইজড কুশনে। এর জন্য আপনাকে বেশি ঝামেলাও পোহাতে হবে না। ছবি বা নাম লেখার জন্য বিভিন্ন অনলাইন সংস্থা বা  গিফটের দোকানেও গেলেও এখন পেয়ে যাবেন এসব কুশন।

    ভ্যালেনটাইনস ডে তে উপহার দেয়া-নেয়া শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান এবং যে কোনো প্রিয় বন্ধুকে এইদিন উপহার দিতে পারেন। ছোট একটি উপহার আপনাদের সর্ম্পককে আরও বেশি মধুর করে তুলবে।

    তবে একটা জিনিস প্রথমেই মনে রাখা দরকার। উপহারের গুরুত্ব¡ কখনো টাকার পরিমাপে করা উচিত নয়। কারণ ছোট, বড়, দামি, সস্তা সব উপহারের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির ভালোবাসা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া।

    প্রিয় মানুষটাকে আর কি কি গিফট দিতে পারেন এ  ভ্যালেন্টাইনস ডে তে তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নিনি।

    ছেলেদের জন্য উপহার : কার্ড, ফুল, মগ, সানগ্লাস, মানিব্যাগ, বডি স্প্রে, পারফিউম, কি-রিং, শেভিং কিটস, হাতঘড়ি, বেল্ট, পোশাক, সিডি, ফটোফ্রেম, পেন, টাই, ব্যাগ। আর সঙ্গীটি যদি পড়তে ভালোবাসে তাহলে বইয়ের থেকে ভালো গিফট আর হয় না।

    মেয়েদের জন্য উপহার : কার্ড, ফুল, কফিমগ, সানগ্লাস, চকোলেট, টেডি, আংটি, পেনডেন্ট, ব্যাগ, হাতঘড়ি, পারফিউম, গয়নার বক্স, ফুলদানি, পেইন্টিংস, ফটোফ্রেম, মোবাইল ফোন সেট, পোশাক, ডায়েরি, সিডি, বই।

     

     

     

  • জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা

    জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা

    এসবিএন : পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে নগরে চলছে নানা প্রস্তুতি। উৎসবের রঙ-কে আরো একটু চড়িয়ে দিতেই তরুণ-তরুণীসহ উৎসব প্রিয় মানুষ কিনছেন পোশাক-আশাক ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। ক্রেতাদের চাহিদা ও রুচির কথা মাথায় রেখে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেলে হলুদ-কমলাসহ নানা রঙ ও ডিজাইনের বাহারি পোশাক নিয়ে এসেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসাও। বাসন্তী সাজে ও ভালবাসা দিবসে ফুলের আবেদন চিরায়ত। বিশেষ এই দুই দিনে নগরবাসীর হতে রংবেরংয়ের বাহারি ফুল তুলে দিতে প্রস্তুত ফুল ব্যবসায়ীরা।

    বিক্রেতারা জানান, এই দিনগুলোতে গাদা, গোলাপসহ উজ্জ্বল রঙের ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। আছে বিদেশি ফুলও। বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই ভালো বেচা-বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

    প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের হাতছানি। বসন্তের রঙ, রূপ ও বৈচিত্র্যের ছোঁয়া পেতে অপেক্ষায় নাগরিক জীবন। প্রকৃতির সাথে মিলে বিশেষ দিনে সব বয়সী মানুষও চায় নিজেকে সাজাতে। পলাশ-শিমুলের রাঙা দোলের সাথে থাকতে হয় বাহারি পোশাকও।

     

  • মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই বাংলার সংহতি অনুষ্ঠান শুরু

    মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই বাংলার সংহতি অনুষ্ঠান শুরু

    এসবিএন : ‘আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস : দুই বাংলার মেলবন্ধন’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৯ দিনব্যাপী ‘সংহতি’ অনুষ্ঠান রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কোলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মশাল প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর এই সংহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. লীনা তাপসী, বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপল্স ফোরামের প্রতিনিধি ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, ফ্রেন্ডস ফর বাংলাদেশ-এর কো-অর্ডিনেটর এ এস এম শামসুল আরেফিন, সংহতি-২০১৭ এর আহ্বায়ক দীপন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    উপাচার্য অধ্যাপক ড. আরেফিন সিদ্দিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি বলেন, বাংলা ভাষা সঠিকভাবে শিখতে হবে এবং শুদ্ধরূপে বাংলা বলতে ও লিখতে হবে। বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অন্য ভাষাও শেখা দরকার, তবে বাংলাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।

    উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষাগত সংহতি বিরাজ করছে। দু’দেশের মানুষের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে এখন মনের সংহতি দরকার।

    আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কোলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতির যৌথ উদ্যোগে সংহতি পদযাত্রা বের করা হয়।

    পদযাত্রায় কোলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ৫জন শিক্ষার্থী, বঙ্গ সাহিত্য সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পদযাত্রাটি কোলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে গিয়ে শেষ হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

  • জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর অবদান রেখে চলছে : নারায়ণ

    জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর অবদান রেখে চলছে : নারায়ণ

    স্টাফ রিপোর্টার : মৎস্য প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মৎস্য খাতের ব্যাপক উন্নতি করছে। দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আসে মৎস্য খাত থেকে।

    প্রতিমন্ত্রী শনিবার খুলনা জেলা মৎস্য ভবন মিলনায়তনে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ডিজিটাল ওয়াটার টেস্টিং কিটস বিতরণ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।        

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে একটি অনুষ্ঠানে বলে ছিলেন মাছ হবে এদেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উপাদান এবং তিনি গবাদি পশুর প্রথম প্রজনন চালু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এনেছে এবং ২০০৯ সালে ব্যাপকভাবে দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ¬ ঘটেছে, কৃষিতে ব্যাপকভাবে বিপ¬ ঘটেছে। তিনি বলেন, মাছের কোয়ালিটি ঠিক রেখে উৎপাদন করতে হবে। দেশের প্রায় কোটি ৮০ লাখ মানুষ মৎস্য সেক্টরে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত। ৬০ শতাংশ আমিষের যোগান আসে সেক্টর থেকে। রপ্তানির ক্ষেত্রেও মাছ অন্যতম। দিন দিন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য চাষ বিভিন্ন মৎস্য সংশি¬ষ্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগ সুষ্টি হচ্ছে।

    খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক রণজিৎ কুমার পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক . জোয়াদ্দার আনোয়ারুল হক, মৎস্য পরিদর্শন মাননিয়ন্ত্রণ খুলনা উপপরিচালক প্রফুল¬ কুমার সরকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামীম হায়দার, উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান এবং খুলনা উপপ্রকল্প পরিচালক লুকাস সরকার।

    পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষেত্র সহকারীদের মাঝে ডিজিটাল ওয়াটার টেস্টিং কিটস বিতরণ করেন। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১১৮ জন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষেত্র সহকারী অংশগ্রহণ করেন।

    সকালে তিনি ডুমুরিয়া কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন এবং বিজয়ীদের  মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিকেলে প্রতিমন্ত্রী ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া খাল খননের উদ্বোধন,কাঠাঁলতলা মঠ আশ্রমে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবং  চুকনগর মরহুম আব্দুল কাইয়ুমের স্মরণ সভায় যোগদান  করেন।      

     

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন কবরী

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন কবরী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অতিথি শিক্ষক হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) বিজনেস স্টাডিজ বিভাগে যোগ দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী।

    বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেত্রী, নারী উদ্যোক্তা, মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক সংসদ সদস্য কবরী বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ প্রোগ্রামের কনজিউমার বিহ্যাভিয়ার (ভোক্তা আচরণ) বিষয়ে প্রথম ক্লাস নেন। বসন্তকালীন সেমিস্টার ২০১৭ থেকে বিবিএ প্রোগ্রামের এডজাঙ্ক ফ্যাকাল্টি হিসেবে এন্টারপ্রেনিয়ারশিপ, লিডারশিপ ও ম্যানেজমেন্টের ক্লাস নেবেন তিনি।

    একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী কবরী অনেকদিন যাবত অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। ২০১৫ সালে ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিলেও পরে সেটি নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

     

  • ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী’ সুরঞ্জিতকে স্মরণ

    ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী’ সুরঞ্জিতকে স্মরণ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সংসদীয় রাজনীতিতে সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদান ও কর্ম স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার একাধিক সহকর্মী।

    শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক শোকসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অংশ নেন।

    জাতীয় সংসদে সুনামগঞ্জ থেকে সাত বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য  সুরঞ্জিত গত রোববার মারা যান। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যই ছিলেন। তিনি আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য  ছিলেন।

    শাজাহান খান বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী। তার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

    “১৯৭২ সালে গণপরিষদের অধিবেশন দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তার বক্তব্য শুনে অভিভূত হয়েছি। একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা দেশ গঠনে কিভাবে সুচিন্তিত মত দিচ্ছিলেন। সব শেষ মৃত্যুর তিনদিন আগেও তার সাথে আমার কথা হয়েছিল। সংসদীয় গণতন্ত্রের অনেক কিছু তার কাছ থেকে শিখেছি।

    “রাজনীতির মাঠে অনেক কথা বলা যায়। কিন্তু সংসদে কথা বলতে হয় অনেক রীতিনীতি মেনে। এই বিষয়টি আমি সুরঞ্জিত বাবুর কাছেই শিখেছি।”

    জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তার দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অসম্প্রদায়িক মতবাদের বলিষ্ঠ ধারক ছিলেন তিনি।

    সভায় সিরাজগঞ্জের সাংসদ নাসিম বলেন, “৮৬ সালে যখন প্রথমবারের মতো সংসদে যাই, তখন তার বক্তব্য শুনে অভিভূত হতাম। মনে হতো কেন তার মতো করে বলতে পারি না।

    “তার বক্তব্যে রসবোধ অনন্য, জ্ঞানের ভাণ্ডার অফুরন্ত। সংসদীয় রীতির অনেক জ্ঞানে সমৃদ্ধ ছিলেন তিনি।”

    সদ্যপ্রয়াত এই রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে ‘ট্রাজিক হিরো’ হিসেবে বর্ণনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “শেষ জীবনে অনেক কষ্ট নিয়ে চলে গেছেন। সব মানুষের জীবনেই কিছু কষ্ট তো থাকেই।”

    খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, “সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী। তিনি সব সময় আমাকে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পড়তে ও লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে বলতেন। আইন-কানুন সম্পর্ক তার মতো অগাধ জ্ঞান খুব কম লোকেরই আছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও নাট্যকার সৈয়দ হাসান ইমাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

     

  • বিএনপি বেপরোয়া, ঘটাতে পারে দুর্ঘটনা : ওবায়দুল

    বিএনপি বেপরোয়া, ঘটাতে পারে দুর্ঘটনা : ওবায়দুল

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হতাশা এখন বেপরোয়া হয়ে গেছে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো তারা যে কখন রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে, তার কোনো ঠিক নেই।

    শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ) আয়োজিত ‘যুবজাগরণ লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র’-এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন ওবায়দুল।

    বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নতুন সিইসির বক্তব্যর ‘আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মত’।

    এর জবাবে কাদের বলেন, “বিএনপি নেতারা কখন যে কী বলে তারা নিজেরা ছাড়া কেউ জানে না। আপনারাই (সাংবাদিক) বলুন, সিইসি কী আওয়ামী লীগের মুখপাত্র’’

    বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিতদের দ্বারা ভরে গেছে। তবে এই অশিক্ষিত রাজনৈতিকদের মনে রাখতে হবে এই মনোভাব নিয়ে নেতাদের উদ্দেশ্য সাধন করা যাবে, পাহারাদার হওয়া যাবে। কিন্তু নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে, পড়তে হবে।’

    ছুটির দিনে ছাড়া রাজধানীতে কোনো জনসভা করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। মানুষের দুভোর্গ হয়, কষ্ট পায়- এমন কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করব না। এ জন্য আগামী মার্চে তিনটি জাতীয় দিবসে জনসভা বা মিছিলের পরিবর্তে ঘরোয়া আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। কারন কর্মসূচি দিয়ে মানুষের ভোগান্তি করতে চাই না।”

    যুবজাগরণ সম্পর্কে ওবায়দুল বলেন, ‘এই উদ্যোগ মাঙ্গলিক, নান্দনিক ও অনিন্দ্য সুন্দর। যেটা আওয়ামী লীগ করতে পারেনি, সেটা যুবলীগ করেছে।’

    কাকরাইল মোড়ে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।

     

     

  • ‘নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার’

    ‘নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সদ্য নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, তার অধীনে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে দেশের মানুষের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়নি। তার অধীনে নির্বাচন হলে সেটি ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনই হবে।

    শুক্রবার বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

    রিজভী বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে ও সরকারের হুকুমে রকিবউদ্দিন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এবার যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় চেতনায় কাজী রকিবউদ্দিনের চেয়েও আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে।’

    জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি সাংবিধানিক পদ থেকে সরে দাঁড়ালে জাতি তাকে স্বাগত জানাবে। বলেন রুহুল কবির রিজভী।

    বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, তার (নতুন সিইসি) অতীত কর্মকাণ্ড ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণার পরপরই তার বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি যে কমিটেড আওয়ামী লীগার সেটি ফুটে উঠেছে। তার অধীনে নির্বাচন হলে সেটি ভোটারবিহীন এক তরফা নির্বাচনই হবে।

    এসময় তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরেও সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। গত পাঁচ বছরে ৪৬ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রকৃত হত্যাকারীকে তা রহস্যজালে ঢেকে আছে। নিশ্চয়ই এর পেছনে রাঘব বোয়ালরা জড়িত।

    অবিলম্বে সাগর-রুনির প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি জানান রিজভী।

     

  • নতুন ইসির অধিনেই পরবর্তী নির্বাচন : আইনমন্ত্রী

    নতুন ইসির অধিনেই পরবর্তী নির্বাচন : আইনমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বিএনপি মানুক আর না-ই মানুক, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধিনেই বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

    শুক্রবার  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন আয়োজিত হুইল চেয়ার বিতরণ ও মোবাইল থেরাপি ভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।

    আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে বলা আছে, আইন না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এজন্য রাষ্ট্রপতি সবার সঙ্গে আলোচনা করলেন। বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ সব দল নাম দিয়েছিল। এরপর বিজ্ঞদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হলো। এখন একজন বিএনপি, একজন আওয়ামী লীগ, আর বাকি তিনজনকে অন্যদল থেকে নেওয়া হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানানো হয়নি। তবে কেন এতো আপত্তি।

    জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ানুর রহমান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।

    এর আগে মন্ত্রী ৫০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীর মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন ও ৬১ পরিবারের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন।

     

     

  • সাংবাদিকদের তালিকা করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    সাংবাদিকদের তালিকা করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নবগঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    তিনি বুধবার জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।

    সরকারি দলের সদস্য নিজাম হাজারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই।

    তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯২৫টি অনলাইন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং অনলাইন রেডিওর আবেদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অনলাইন পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ৭৩১টি। অনলাইন পত্রিকাগুলো নিবন্ধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা প্রণীত হলে সব অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম বাধ্যতামূলক নিবন্ধন কার্যক্রমের মধ্যে আসবে। ফলে অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমের সঠিক পরিসংখ্যান নিরূপণ করা সম্ভব হবে।’