Category: ভোমরা

  • ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির মতবিনিময় সভা

    ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির মতবিনিময় সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড নিবন্ধন নং ৮৬/সাত এর নতুন অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভোমরা অফিস কার্যালয়ে ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির নব-গঠিত কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড নিবন্ধন নং ৮৬/সাত এর সাবেক এডহক কমিটির সভাপতি মো. ফিরোজ হোসেন, সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম, সামছুজ্জামান, ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড নিবন্ধন নং ৮৬/সাত এর নতুন অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান ও মো. খালিদ হোসেন প্রমুখ। ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির নব-গঠিত কমিটির মতবিনিময় সভায় সংগঠনের উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন সিদ্ধার্ন্ত গ্রহণ করা হয়। সংগঠনের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে ও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নির্বাচন দেওয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির অফিস সহকারি মো. আব্দুস সালাম। এসময় ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • “ক্রস ফায়ার” কে বৃদ্ধাঙ্গুল সীমান্তের ঘরে ঘরে অবাধ মাদক বানিজ্য : ভোমরার মাদক ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীকে ১২ বোতল ফেনসি ও ১০০ পুরিয়া গাঁজাসহ আটক করল জেলা মাদক নিয়ন্ত্র বিভাগ


    ভোমরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ড এর চিহ্নিত মাদক পাচারকারী ও মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সৈয়দ আলীকে ১২ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ পুরিয়া গাঁজাসহ আটক করেছে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন বিভাগ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সকালে ভোমরা পঞ্চিমপাড়া বায়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন মহল্লায় অভিযান চালায় মাদক নিয়ন্ত্রন বিভাগ। অভিযান চলাকালীন সময় মাদক স¤্রাট সৈয়দ আলীর বসতবাড়ীতে ও বসতবাড়ীর আশপাশে লুকিয়ে রাখা ১২ বতল ফেনসিডিল ও এক ঠোঙা অর্থাৎ ১০০ পুরিয়া গাঁজাসহ সৈয়দ আলীকে আটক করে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন বিভাগের সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, একজন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে আরো কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সূর্যোদয় থেকে গভির রাত পর্যন্ত এই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যায় গাঁজা, মদ ও ফেনসিডিলের অবাধ বানিজ্য। স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবির চোখ এড়িয়ে বহিরাগত মাদক সেবীরা চলে আসে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে। এখান থেকে নির্ভয়ে গাঁজা ও ফেনসিডিল সেবন করে বহালতবিয়তা এলাকা ত্যাগ করে চলে যায় তারা। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীদের আরো অভিযোগ, পবিত্র মাহে রমজান মাসেও মাদকের ব্যবসা চলেছে হরদমে। পবিত্র তারাবি নামাজ শেষে মাদক সেবীদের ভীড় পড়ে যায় এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে। এলাকাবাসী বহিরাগত মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না। বায়তুল ফালাহ মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে এসব কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের সতর্কতা করা সত্তেও তারা অদৃশ্য শক্তির মদদে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘেœ। এ মহল্লায় সদর থানার পুলিশ, ডিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রন বিভাগের সদস্যরা একাধিকবার অভিযান চালিয়ে মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে নাতে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও তারা আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় চালাতে থাকে তাদের মাদক ব্যবসা। এলাকার সুধিসমাজ এই ঘৃণ্য ব্যবসার প্রতিবাদ করলে ওই সব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা গালি গালাজ, হুমকি এমনটি জীবননাশেরও হুমকি দিয়ে থাকে। ফলে এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শব্দ উচ্চারন করলে তাদের আর রেহায় নাই। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্র আরো জানায়, ভোমরার ঘোষপাড়া ও ঠাকুর পাড়া সীমান্ত মাদক পাচারের প্রধান রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সীমান্তের এদুটি চোরাই রুট দিয়ে অনায়াসে পার হয়ে যায় ওই সব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। সীমান্তের ওপারে ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় গড়ে ওঠা মাদক ব্যবসা কেন্দ্র থেকে গাঁজা, মদ ও ফেনসিডিলের বড় আকারের চালান নিয়ে আসে এসব মাদক পাচারকারীরা। সীমান্ত প্রহরী বিজিবি জোয়ানদের ম্যানেজ করে কখনওবা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব মাদকের চালান পাচার হয়ে আসে নির্বিঘেœ। পাচার হওয়া মাদকের চালান সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখে তারা। এখান থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে মাদক নিয়ে এসে মাদক সেবীদের কাছে বিক্রি করে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, মাদক পাচার কারীরা নিজস্ব ব্যবহৃত গামছায় বেঁধে কখনও বালতিতে ভরে এসব মাদক দ্রব্য নিয়ে আসে। যেটা সীমান্ত রক্ষীদের চোখের অন্তরালে রয়ে যায়। এমনি ভাবে দিনে রাতে চলছে মাদকের অবাধ বানিজ্য। ভয়াবহ এ মাদক বানিজ্য প্রতিরোধে নেই কোন প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন “হাতির পাঁচ পা” দেখে এবং “ক্রস ফায়াকে” বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে মাদক ব্যবসার কারখানা গড়ে তুলেছে ভোমরা সীমান্তে। ঘরে ঘরে এখন মাদকের বিকিকিনি, বিষ বাষ্পের মত ছড়িয়ে পড়েছে মাদকের ছোঁবল। এলাকার সচেতন মহলের দাবি, জেলা প্রশাসন ও বিজিবি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে সরেজমিনে এসে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার।