Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 15 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

    বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

    চলমান কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশের নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

    বুধবার রাত পৌনে ৮টায় সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলেও জানানো হয়।

    ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট  শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।

    দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালের কর্মসূচি সফল করুন।

  • আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে

    আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না

    বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আপিল আদালতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা শোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, এই আইন প্রক্রিয়া সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্র সমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না।

    আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সরকারে পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে ছাত্র সমাজের আন্দোলনে পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল করে একটা পরিপত্র জারি করে। পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোটা বহাল রাখার পক্ষে উচ্চ আদালত ২০১৮ সালের জারি করা সরকারের পরিপত্র বাতিল করে দেয়।

    ‘সরকারের পক্ষ থেকে পরিপত্র বহাল রাখার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয় এবং মহামান্য আদালত শুনানির দিন ধার্য করে। এ সময় আবার ছাত্ররা কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। বরং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যখন আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, সে ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

    শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কতটা কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুড়ে ফেলে অনেক ছাত্রদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের ওপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।

    সরকারপ্রধান বলেন, সাধারণ পথচারী, দোকানিদের আক্রমণ, এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা প্রদান করা হয়। মেয়েদের হলে ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেওয়া ও আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত তাদের সঙ্গে এই সব সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যারা হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে তাদের পরিবারের জন্য জীবন–জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা দরকার তা আমি করব।

    তিনি আরও বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আরও ঘোষণা করছি, হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু বিচারের ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সেসব বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, তা তদন্ত করে বের করা হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এই সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময়ে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতি আমার আবেদন থাকবে, তারা যেন তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকেন। একই সঙ্গে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে নজর রাখেন।

  • অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল: প্রধানমন্ত্রী

    অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।

    বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।

    অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কতটা কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?

    যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুড়ে ফেলে অনেক ছাত্রদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের ওপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।

    সাধারণ পথচারী, দোকানিদের আক্রমণ, এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা প্রদান করা হয়। মেয়েদের হলে ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেওয়া ও আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।

    আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত তাদের সঙ্গে এই সব সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ মুখোমুখি

    সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ মুখোমুখি

    সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় গুরুতর কেউ আহত হননি। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সোয়া এগারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা মিছিল নিয়ে বের হয়। ছাত্রলীগ ওই মিছিলটি প- করে দেয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার বৃষ্টি শুরু হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা জজ কোর্টের সামনে থেকে মিছিল বার করে। মিছিলটি খুলনা রোড মোড় এলাকায় যেয়ে কিছুক্ষল অবস্থান শেষে নারকেলতলা মোড় এলাকায় যাওয়ার পথে সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে সৈয়দ হাসান ইমাম, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালামসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল লক্ষ্য করে স্লোগান দেয় ও লাঠি ছোঁড়ে। এসময় কোটা বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা বখতিয়ার ও নয়নের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকারিদের একটি গ্রুপ লাটি-সোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংগঠিত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর মুহু মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্র সংহতি পরিষদ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা খুলনা রোডের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সোয়া ১টায় আহবায়ক আল ইমরান বৃহষ্পতিবার আবারো যে কোন সময় আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথা বলেতাদের কর্মসুচির সমাপ্তি ঘোষণা করে।
    এবিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমম্বয়ক আল ইমরান জানান,‘‘ জেলা প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নারকেলতলা এলাকার দিকে যাচ্ছিলাম। সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেই। ’’
    জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমান জানান,‘‘ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করুক,এটা অন্য বিষয়। কিন্তু এই আন্দোলনে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির ঢুকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি মাত্র। ’’
    সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক বিন আব্দুল আজিজ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষের কেউ এখন মাঠে নেই।

  • জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন

    জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন

    জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার অধিনস্থ ১নং বাঁশদহা ইউনিয়নের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় ছাত্র সমাজ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুজ্জামান রকি ও সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল স্বাক্ষরিত একপত্রে তারিকুজ্জামান সিজানকে সভাপতি এবং শরিফুজ্জামান শরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

    কমিটির অন্যরা হলেন, সদস্য মহিবুল্লাহ হোসেন, ইমন হোসেন, ওবায়দুল্লাহ হোসেন, আকিব হোসেন, লিপটন হোসেন, শাওন হোসেন জয় ও রাকিব হোসেন।

    এসময় পূর্বের কমিটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন…

    জেলাপর্যায়ের দলিত জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্তিকরণে সাতক্ষীরায় নেটওয়ার্কিং উন্নয়ন কর্মশালা

  • ঢাবিতে প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক, যা জানালেন উপাচার্য

    ঢাবিতে প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক, যা জানালেন উপাচার্য

    কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রভোস্ট কমিটি।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয় চলে ২ ঘণ্টাব্যাপী।

    বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম।

    ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষরা রাতভর হলে অবস্থান করবেন। মিটিংয়ে আমাদের আরও কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    এর আগে বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন সময় হামলা চালান ঢাবি ছাত্রলীগসহ সংগঠনটির মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।

    এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে যায় অন্তত ১৫০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ফের সংঘর্ষ শুরু হয় পৌনে ৭টার দিকে।

    কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে ঢাবি, ঢামেকসহ আশপাশের এলাকায়।

  • সাংবাদিক বেলাল ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    সাংবাদিক বেলাল ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর যুগ্ম-সম্পাদক ও দৈনিক আলোর বার্তা’র সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক পত্রদূত এর নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
    নেতৃবৃন্দরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য, আনিছুর রহমান তাজু, আরীফ মাহমুদ, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও এএইচএম তুমু।
    নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
    উল্লেখ্য, সাংবাদিক শেখ বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রতিবেশি মফিজুর শেখের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। হামলাকারিরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে বাড়ির দিকে ছুঁটে আসার দৃশ্য আগে ভাগে দেখতে পেয়েই ঘরের মধ্যে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার (১২ জুলাই’ ২৪) বিকেল পৌনে চারটার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
  • আশাশুনির ধাপুয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি

    আশাশুনির ধাপুয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি

    জনদুর্ভোগ চরমে

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কে কাদাকাটি-দরগাহপুর ইউনিয়নের সংযোগস্থলে ধাপুয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীর গতির কারনে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নির্মান কাজ ১ বছর ৪ মাস অতিবাহিত হতে চললেও কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তার কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা।
    বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক (আইডিএ) এর অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সাতক্ষীরার তদারকিতে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৮৮ টাকা ব্যয় বরাদ্দে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ (এসইউপিআরবি) প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করা হয়। ১৪/৪/২৩ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও কাজ শেষের কোন সময়ক্ষণ নির্দিষ্ট করে পাওয়া যাচ্ছেনা। সম্প্রতি বৃষ্টি বাদলার কারনে ব্রিজ এলাকার বিকল্প সড়ক ব্যবহার খুবই হুমকীতে রয়েছে। ফলে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বলা যায় এখানে যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনার ককারনে দুইজন নিহতর ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া প্রতিদিন ছোটখাট দুর্ঘটনা ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে।
    কুল্যা টু বাঁকা (দরগাহপুর) বাজার প্রায় ২৩  কিলো মিটার সড়ক পথ  খুবই ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ। সড়কে প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। যাতয়াতের মাঝ পথে ধাপুয়া নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মান কাজ চলছে। এই ব্রিজ দিয়ে সাতক্ষীরা টু বাকা সড়কের যাত্রীবাহী মিনিবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ব্রিজটি জরাজীর্ণ হয়েছিল। প্রায় ১ বছর ৪ মাস পূর্বে ব্রিজ পুনঃনির্মাণ কাজে হাত দেয়া হয়। রাস্তা কেটে অ্যাপ্রোচ রাস্তা করা হয়। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায়,  মাসের পর মাস কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বিরাজ করছে। ফলেরহাজার হাজার মানুষের চরম দুর্গতি লেগেই আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা অ্যান্ড ড্রেসিং সলিউশন কাজটি পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ আবারও ৪ মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
    উপসহকারী উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম  জানান, বৃষ্টির পানির কারণে বিকল্প রাস্তাটি ভেঙে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এ ব্রিজের তলায় কাজ সম্ভব হচ্ছেনা। আবহাওয়া ভালো হলে ও পানি কমে গেলেই দ্রুত সময়ে কাজ করা হবে। ব্রিজের ঢালাইয়ের সব ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • আসক’র শিশুদলের সদস্যদের নিয়ে জীবন দক্ষতা বিকষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন

    আসক’র শিশুদলের সদস্যদের নিয়ে জীবন দক্ষতা বিকষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন

    আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্যোগে শিশু দলের সদস্যদের নিয়ে ১১ জুলাই,
    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব এর বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম দিনব্যাপি
    জীবন দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন
    বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর
    প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: রোকনুজ্জামান উক্ত প্রশিক্ষণের শুরুতে শিশুদের প্রশিক্ষনের
    গুরুত্ব তুলে ধরেণ এবং শিশুদেরকে জীবন দক্ষতার বিভিন্ন বিষয়গুলো আত্মস্থা করার
    আহ্বান জানায়।
    প্রশিক্ষনে জীবন দক্ষতার আত্মসচেতনামূলক দক্ষতা, সহমর্মিতার দক্ষতা,
    অন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, চিন্তন দক্ষতা, সমস্যা
    সমাধান দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ দক্ষতা, চাপ মোকাবেলার দক্ষতা, আবেগ
    নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাদের
    দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে উল্লিখিত দক্ষতাসমূহ অর্জনের মাধ্যমে
    নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রে (আসক)
    এর প্রজেক্ট অফিসার আলিরাজ, রাহিমা বেগম ও মো: আজাহারুল ইসলাম উক্ত
    প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন।

  • জনতা ব্যাংক পিএলসি সুলতানপুর বাজার শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    জনতা ব্যাংক পিএলসি সুলতানপুর বাজার শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

     প্রেস বিজ্ঞপ্তি
    “আর্থিক সুরক্ষার লক্ষ্যে গড়ে তুলি সচেতনতা” এই স্লোগানে কাস্টমার সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি সুলতানপুর বাজার শাখার গ্রাহকদের নিয়ে সচেতনতা মূলক গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১০/০৭/২৪ সকাল ১১টায় জনতা ব্যাংক পিএলসি সুলতানপুর বাজার শাখার আয়োজনে গ্রাহক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রধান অতিথি ছিলেন জনতা ব্যাংক পিএলসি সাতক্ষীরা এরিয়া অফিসের এজিএম সেখ আমীর আলী।
    জনতা ব্যাংক পিএলসি সুলতানপুর বাজার শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন, সাতক্ষীরা কর্পোরেট শাখার এজিএম রবিউল ইসলাম, সাতক্ষীরা এরিয়া অফিসের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিন্টু কুমার সরখেল, সাতক্ষীরা পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর অনীমা রানী মন্ডল, জনতা ব্যাংক পিএলসি সুলতানপুর বাজার শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী, সিনিয়র অফিসার অমিতাভ পাল, সুজিত কুমার ঘোষ, জিএম মনির হুসাইন, প্রবীর কুমার ঘোষ, অফিসার টিপু সুলতান, ঝুম্পা দাস, তন্ময় কুমার ঘোষসহ কর্মচারী এবং ব্যাংকের বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে তিনজন সেরা গ্রাহকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়া ব্যাংকের সুলতানপুর বাজার শাখার সেরা কর্মকর্তা ২০২৪ নির্বাচিত করে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
    এ সময় বক্তারা আর্থিক নিরাপত্তা বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
  • জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল অসুস্থ্য

    জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল অসুস্থ্য

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    জেলা কৃষকলীগের সুস্থ্যাতা কামনা
    বাংলাদেশ কৃষকলীগ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল গত ৮ জুলাই‘২৪ অসুস্থ্য হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
    তার সুস্থ্যতা কামনা করেছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবিসহ জেলা কৃষক লীগ, উপজেলা কৃষক লীগ ও পৌর কৃষক লীগের সকল নেতৃবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও শাহজাহান মাস্টার

    (পর্ব-১)

    http://surl.li/idokhd

    (পর্ব- ২)

    ঃ সময়টা তখন ১৯৭১ সালের মার্চ মাস।ঢাকায় তখন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ কর্তৃক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১ মার্চে  পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেছে শোনার পর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন শুরু হয়। তবে শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ২রা মার্চে এর আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ২রা মার্চে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩রা মার্চে স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠ করা হয়। পরে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ ৭ই মার্চ। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। স্বাধীনতার ঘোষণা। বঙ্গবন্ধুর আহবানে যখন দেশজুড়ে অসহযোগ ও পশ্চিমাদের প্রতি প্রবল ঘৃণা বিস্তার লাভ করছিল তখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল দেবহাটা থানার টাউন শ্রীপুর গ্রামের মধ্যে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ২৫ এর কাল রাত্রে হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ২৬ তারিখে যখন শাহজাহান মাস্টার জানতে পারেন তখন তার মনের মধ্যে জমে থাকা পুরাতন দিনের পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রাগ ক্ষোভ সব একটি সংহতি রূপ নেয়।
    ১৯৬৪ সালে তৎকালীন সৃষ্ট মুজাহিদে শাহজান মাস্টার যোগদান করেন। হাই স্কুলের হেডমাস্টার থাকাকালীন মুজাহিদে এই যোগদানে তিনি “ছালারে আওয়াল” অর্থাৎ ক্যাপ্টেন পদটা পেয়ে যান। এরপর ট্রেনিং নেন। ৬৫ – ৬৬ সালে পাক ভারত যুদ্ধ উপলক্ষে এলাকার বহু মুজাহিদের নেতা হিসেবে সাতক্ষীরা এবং যশোরের পাক সেনাদের সাথে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে পাকিস্তানিদের, বাঙ্গালীদের প্রতি যে বৈষম্য, ঘৃণা ও অপমানকর আচরণ তার মনের মধ্যে পশ্চিমাদের প্রতি প্রবল ঘৃণা ও ক্ষোভের জন্ম নেয়।
    তিনি চিন্তা করতে থাকেন কিছু একটা করার জন্য। ২৭শে মার্চ তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনার টাকি হাসনাবাদ, বসিরহাট কলকাতার পিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। এ সময় ভারতের ঐ সকল এলাকা থেকে টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সহযোগিতা করার জন্য যাতায়াত এবং সলা পরামর্শ করতে থাকেন। এ সময়ে আগামী দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রাথমিকভাবে কি কি দরকার সে সকল প্রয়োজনীয়তা জানতে চান এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন লোকজন সাহায্য সামগ্রী নিয়ে টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় আসতে থাকেন। এমনি এক সময়ে সাতক্ষীরা থেকে এ এফ এম এনতাজ আলী, পারুলিয়া থেকে আতিয়ার রহমান সাহেব শাহজাহান মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করেন। মার্চ মাসের ২৮ তারিখে গোপনে দেবহাটা হাই স্কুলে (বিবিএমপি ইনস্টিটিউশন) তৎকালীন দেবহাটা থানার ওসি হারিস উদ্দিন এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা ও পারুলিয়া থেকে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের অত্র এলাকার নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শাহাজাহান মাস্টার এর সভাপতিত্বে এই সভায় সর্ব সিদ্ধান্তক্রমে একটি সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। এই সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হিসেবে শাহজাহান মাস্টারকে সভাপতি এবং বাবু সনৎ কুমার সেনগুপ্ত (সন্তু বাবু) কে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়। পরদিন বসিরহাট টাউন হাই স্কুলের দোতালায় শাহজাহান মাস্টার, সন্তু বাবু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে এক সভা হয়। এই সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শাহজাহন মাস্টার
     এবং পারুলিয়ার দেলদার আহমেদ সরদার বক্তব্য রাখেন। এ সময় যশোর ক্যান্টনমেন্টের চারপাশে তখন জোর লড়াই চলছে। পিপিআর সদস্যরা তখন বর্ডার আউটপোস্ট থেকে যশোরের দিকে চলে যাচ্ছে। ঠিক এই সময় শাহজাহান মাস্টার এর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক দেবহাটা ইপিআর ক্যাম্পে আক্রমণ করে। এই অভিযানে পারুলিয়ার আতিয়ার রহমান গদাই অদম্য সাহসিকতার সাথে ক্যাম্পে ডিউটিতে থাকা পাকিস্তানি ই পি আর সদস্যকে জাপটে ধরে হাতিয়ার কেড়ে নেয় এবং অন্যান্যরা এই সুযোগে ক্যাম্পের মধ্যে প্রবেশ করে সবাইকে বন্দি করে। ক্যাম্পের মধ্যে পাঁচ জন পাকিস্তানি ই পি আর সদস্য ছিল। তাদেরকে ধরি আনার পরে নৌকায় করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। এই দিনেই দোপাট্টা থানার তৎকালীন ওসি হারেজ উদ্দিন থানা রক্ষিত হাতিয়ারগুলি হাওজান মাস্টারদের হাতে তুলে দেন। শুরু হলো এলাকার শিক্ষিত – অশিক্ষিত যুবকদের নিয়ে টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে মুজাহিদদের দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে স্থানীয়ভাবে ট্রেনিং দেওয়া। শুরু হল স্বাধীনতা সংগ্রাম / মুক্তিযুদ্ধের পথে পথ চলা।
    ফারুক মাহবুবুর রহমান
    সংগৃহীত, ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টারের ডায়েরি থেকে।
  • চাঁদ দেখা যায়নি, পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই 

    চাঁদ দেখা যায়নি, পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই 

    সন্ধ্যায় পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি

    বাংলাদেশের আকাশে শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সোমবার (৮ জুলাই) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৬ হিজরি। আগামী ১৭ জুলাই বুধবার (১০ মহররম) দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

    রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু.আ. আউয়াল হাওলাদার।

    সভায় অতিরিক্ত সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৬ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। রোববার (৭ জুলাই) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সোমবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুলাই (১০ মহররম) বুধবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

    হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকেন।

    কারবালা প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এর শাহাদতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা উদযাপিত হয়। তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে।

    আশুরার দিনে ফেরাউনের হাত থেকে নবী মূসা (আ.) ও তার অনুসারীদের মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনো ঘটনা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আশুরার দিনে হযরত আদমের (আ.) তাওবা কবুল, মহাপ্লাবনের পর নূহ (আ.) এর নৌকা জুদী পর্বতের ওপর থামা ও ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করার কথা অনির্ভরযোগ্য সূত্রে কোন কোন সাহাবী-তাবিই থেকে বর্ণিত।

  • সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও শাহজাহান মাস্টার

    সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও শাহজাহান মাস্টার

    মশাল প্রতিবেদন:
    মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা অনকে মুক্তিযোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এর ভূমিকার নেপথ্যে মূল কারিগর হল ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও মেধাবী।তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ তকবগে যুবকদের ডেকে নিয়ে মুক্তি যুদ্ধের অংশগ্রহণ করাতেন। তিনি অসংখ্যক যুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
    তিনি সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাতক্ষীরা মহাকুমার মুজাহিদ ক্যাপ্টেন ছিলেন। একই সাথে তিনি দেবহাটা থানার টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৭ই মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরই তিনি তার মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে একটি ক্যাম্প তৈরি করেন। এরপর শুরু হয় এলাকার যুবকদের নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানো। তৎকালীন সময় বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত অশিক্ষিত যুবক ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানোর জন্য তাকে অনেকেই সহযোগিতা করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবহাটা থানার কামটা গ্রামের সনৎ কুমার সেনগুপ্ত (সন্তু বাবু),পাইকগাছা আওয়ামী লীগ এমপি এমএ গফুর, ইপিআরের নায়ক সুবেদার আইয়ুব আলী, দেওয়াটা থানার পারুলিয়া গ্রামের তৎকালীন পোস্ট অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোঃ আতিয়ার রহমান, তৎকালীন দেবহাটা থানার ওসি হায়েজ উদ্দিন, এ এফ এম ইন্তাজ আলী, এবং শেষে এসে যোগ দেন তৎকালীন এম এল এ, স ম আলাউদ্দিন।
    অনেক সময়ে গড়িয়ে যাওয়ার পরে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার টাকিতে গড়ে তোলা হয় মুজাহিদ ক্যাম্প বা মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্প। পরে তৎকালীন বাংলাদেশ এর অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ এর স্বাক্ষরিত সেক্টর গঠনের সময় ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি ক্যাম্পের লিখিত দায়িত্ব দেন ক্যাপ্টেন শাহাজান (মুজাহিদ) কে।(সূত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র একাদশ খন্ডে ৭৩৪ পৃষ্ঠায়।
    ৯নং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সেক্টর উপ কমান্ডার হিসাবে।
    ৯নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর এম এ জলিল রচিত ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ বইয়ে সাতক্ষীরার কয়েকজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকের নাম উল্লিখিত হয়েছে। ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও অকুতোভয় সৈনিক। ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টারের নেতৃত্বে দূরদর্শিতায় দ্রুত মুক্ত হয় এই অঞ্চল।
    কিন্তু সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের রচিয়তা কে ভূলে যেতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা প্রশাসন তার মৃত্যু দিনটা ও স্বরণ করে না।
    শুধু তার গ্রামের বাড়িতে এবং টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে ২৩ শে জুলাই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।
    একজন প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান,  শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন সাতক্ষীরার মুক্তি যুদ্ধের প্রাণ পুরুষ। তার অদম্য সাহসীকতায় এই অঞ্চল দ্রুত পাকবাহিনী মুক্ত হয়েছে। কিন্তু সেই মানুষটাকে কেউ স্মরণ করে না। দুংখজনক শাহাজাহান মাষ্টার কে বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব না। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন থাকবেন আমাদের মাঝে।
  • ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম   এর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ   মাহমুদ চৌধুরী

    ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম  এর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ  মাহমুদ চৌধুরী

    সাতক্ষীরা:

    সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট

    সিস্টেম এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে

    উপস্থিত থেকে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর

    উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ

    মাহমুদ চৌধুরী।

    বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর

    রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,

    সাতক্ষীরা -০৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম

    রুহুল, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য

    আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য

    লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ এর

    কান্ট্রি ডিরেক্টও মুজিবুল হাসান, জেলা প্রশাসক

    মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মতিউর

    রহমান সিদ্দিকীসহ অন্যরা। বিকেলে তিনি

    কালিগঞ্জের প্রস্তাবিত বসন্তপুর নৌ বন্দর পরিদর্শন

    করেন।

    এসময় তিনি বলেন, ভোমরার উন্নয়নে সকল ধরনের

    পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা ১০ হাজার

    কিলোমিটার বন্দর উন্নয়নে ৩ হাজার ৫০০ কোটি

    টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে শুধুমাত্র ১২০০

    কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ভোমরা বন্দরে।

  • হারানো বিজ্ঞপ্তি

    হারানো বিজ্ঞপ্তি

    আমি, শেখ সিরাজুল ইসলাম (৩৫) , পিতা- শেখ ইসহাক আলী , মাতা-মোছা. সুফিয়া খাতুন। আমার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার -১৯০১৭০৮৪০২, ঠিকানা (স্থায়ী)- গ্রাম: শ্যামনগর, থানা: শ্যামনগর, জেলা: সাতক্ষীরা ও ঠিকানা (বর্তমান)- শহর সমাজসেবা অফিসের গলি, গ্রাম: মুনজিতপুর, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড: ওয়ার্ড নাম্বার-০২, থানা: সাতক্ষীরা সদর, জেলা: সাতক্ষীরা। মোবাইল নং- ০১৭১৮৩৮৮৫৬৫।
    গত রোজ রবিবার ৯ জুন ২০২৪ খ্রি:সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকা হতে সকাল ১১ঃ০০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ওয়ার্ড নম্বর- ৮ ইউনিয়ন/ওয়াড এর পলাশপোল এলাকা থেকে আমার ডকুমেন্ট হারিয়ে গেছে নিম্নে আমার ডকুমেন্ট এর বিস্তারিত বিবরণ ও ঘটনার বিবরণ প্রদান করা হলো
    আমার এস, এস, সি এবং এইচ, এস, সি এর মল সার্টিফিকেট গুলো হারানো গিয়াছে। এস, এস, সি রেজিস্ট্রেশন নং- ১৯০৬৭৭, রোল নং ২৩২৯০৮, বিদ্যালয়-নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শাখা- মানবিক, শিক্ষাবর্ষ- ২০০৩-০৪। এইচ, এস, সি রেজিস্ট্রেশন নং- ৮৩৮২৫০, রোল নং ২৩২৯০৮, বিদ্যালয়-শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রী কলেজ, শাখা- মানবিক, শিক্ষাবর্ষ- ২০০৫-০৬। এ মর্মে সাতক্ষীরা সদর থানায় জিডি নাম্বার-998 , তারিখঃ ১৬/০৬/২০২৪ইং।

  • উপকূল সুরক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান

    উপকূল সুরক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান

    ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্গত উপকূলের বর্তমান পরিস্থিতি  সরজমিনে পরিদর্শন শেষে উপকূলের মানুষের জন্য আসন্ন বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জনাব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এর নেতৃত্বাধীন নাগরিক এবং সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ও প্রবল জলোচ্ছাসে দক্ষিণ-পশ্চিম (সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট) উপকূলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বসতবাড়ি ও জীবিকা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে, খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

    শনিবার ২২ জুন সকাল ১০ টায় উন্নয়ন সংস্থা ‘লিডার্স’ এবং নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ এবং সাতক্ষীরা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্গত উপকূলের বর্তমান পরিস্থিতি সরজমিনে পরিদর্শন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক জনাব নিখিল চন্দ্র ভদ্র। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট গনমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল, জনাব মো: আমিনুর রসুল, যুগ্ম সম্পাদক, বাপা, জনাব মীর মোহাম্মদ আলী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান, আবুহেনা মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক, কুয়েট, আমিনুল হক ভুইয়া, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব প্রমূখ। সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহন  কুমার মন্ডল । এছাড়া ও আরো বক্তব্য রাখেন  চ্যানেল আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি‘, দৈনিক সংযোগ প্রতিদিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি অসীম বরন চক্রবর্তী, নিউএইজ ও সময়ের খবরের নিজস্ব প্রতিবেদক রুহুল কুদ্দুস, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার মমতাজ আহমেদ বাপি, ডিবিসি নিউজ এর জেলা প্রতিনিধি এম বেলাল হোসাইন , দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান , দৈনিক দক্ষিণের মশালের অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সুন্দরবন উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র,  জলবায়ু অধিক পরামর্শ ফোরামের আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোঃ মোজাফ্ফর রহমান প্রমুখ।

    জনাব  মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন,  ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা। সরজমিনে ২০ জুন এবং ২১ জুন সেখানে গিয়ে  দেখা গিয়েছে যে ঐখানের মানুষ বিশেষত নারীরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে । সেখানে বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মৎস্য ঘের, ফসল ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুপেয় পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনে পশুপাখির মৃত্যুসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ত্রাণ ও পূনর্বাসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। দুর্যোগ পরবর্তী পূনর্বাসন কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।   এর আগে ২০ জুন বিকালে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন এ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি এই দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় মানুষের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেন।

    উপকূলীয় এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ঘূণিঝড় রেমালে প্রকৃত ক্ষতি সরকারি হিসেবের চেয়েও কয়েকগুন বেশি। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ত্রাণের থেকে জরুরি লবণপানি নিয়ন্ত্রণ। লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কৃষিকাজ করেই উপকূলের মানুষ তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তারা আরো বলেন যে  বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্যোগে সব থেকে বেশি দুর্ভোগের শিকার নারী ও শিশুরা। পূনর্বাসনে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সুন্দরবনসহ পরিবেশ সুরক্ষায় নজর দিতে হবে।  ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধীরে ধীরে আঘাত করেছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তান্ডব চালিয়েছে। তাই মৃত্যু কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনবার্সনের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নদ-নদী ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে বিজ্ঞানসম্মত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উন্নয়ন কাজে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত করতে হবে।

    অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্রতা, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি, প্রভৃতির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ওই এলাকাকে বিশেষ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

    অনুষ্ঠানে উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ গ্রহণ করতে হবে, উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে ,   উপকূলের জন্য জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্ধের পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে উপকূলীয় এলাকায় ‘একটি বাড়ি একটি সেল্টার হোম’ কার্যক্রম শুরু করতে হবে। উপকূলে সুপেয় পানির টেকসই সমাধান করতে হবে। ঝড়-ঝঞ্ঝা, নদীভাঙ্গন ও বাঁধের ভূমিক্ষয় ঠেকাতে উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।