Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
প্রশাসন Archives - Page 13 of 15 - Daily Dakshinermashal

Category: প্রশাসন

  • ডিবি পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

    বিশেষ সংবাদদাতা: গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ ব্যাবসায়ীদের কারণে অকারণে হয়রানি এবং এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিম। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভেঙে পড়বে পুলিশের ভাবমূর্তি।
    শহরের নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন মিলন জানান, গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাধানগরের মকবুল হোসেন তাকে নিয়ে কাটিয়া কাস্টমস মোড়ের আশরাফ হোসেনের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ অর্ণব আটকের সত্যতা যাঁচাই এর জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। একপর্যায়ে উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তারা বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিলে উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল পরিচয় জেনে তাকে (মিলন) নিমতলায় ডেকে নিয়ে হ্যা-কাপ পরিয়ে কথিত গারদঘরে ঢুকিয়ে দেয়। তার সন্ধান করতে থাকা মকবুলকেও আটক করেন মঞ্জুরুল হাসান। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে রাত একটার দিকে হাতকড়া বিহীন মকবুলসহ তাকে হাতকড়া পরিয়ে কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে পুরাতন মোটর সাইকেলের শোরুম সরদার ট্রেডিং এর সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাড়ির চাবি খুঁজতে মকবুলের শোরুম খুলে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে চাবি না পাওয়ায় মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং করার অভিযোগে তাকেসহ মকবুলকে একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাসে করে তার বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
    বাড়ির গেটের দরজা খুলতে দেরী হওয়ায় মারপিট করতে করতে কোলাবসিগ্যাল গেটের তালা ভেঙে দোতলায় ওঠেন পরিদর্শক শাহারিয়ার, উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল, সহকারি উপপরিদর্শক মিজান, সহকারি উপপরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম, সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া, সহকারি উপপরিদর্শক রাজু। পুলিশের কথামত তার স্ত্রী মনিরা পারভিন ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপরপরই উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল একটি ড্রয়ার ভেঙে বাড়ি বিক্রির শেষ সম্বল এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা বের করেন। দু’ লাখ সাত হাজার টাকা ছিল, বাকী টাকা কোথায় গেল সেটা তার কাছে জানতে চায় মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মঞ্জুরুল টাকা আবারো মনিরার কাছে দিয়ে দেন। কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে আসবাবপত্র তছনছ করে কিছুক্ষণ পর শাহারারিয়ারের কথামত আবারো ওই টাকা নিয়ে চলে আসেন মঞ্জুরুল। গভীর রাতের ঘটনা হলে মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং এর মেশিন খোঁজার নামে কৌশলে পুলিশের দস্যুতা অনেকেরই নজর এড়ায়নি। এ সময় শাহারিয়িারের মুখ থেকে মাদকের গন্ধ ভেসে আসছিল। পরে তাদের দু’জনকে আবারো শোরুমে নিয়ে এসে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে খাতাপত্র নিয়ে আসে পুলিশ। তাদেরকে আটক রাখা হয় গোয়েন্দা পুলিশের কথিত গারদঘরে। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে পুলিশ শোরুম থেকে টিটু ও মিলনের ২৫টি মোটর সাইকেল ফিল্মি স্টাইলে নিয়ে আসার সময় কয়েকটি গাড়ি তেল অভাবে বিকল হয়ে যায়। পরে তেল ভরে নিয়ে আসা হয় ডিবি অফিসে। টিটুর ব্যবহৃত মকবুলের কাছ থেকে প্রথমেই আটকে রাখা মোটর সাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কির মুখ, স্টিকার, লুকিং গ্লাস, হর্ণ, ব্যাটারী ও শাড়ি গার্ড খুলে নেওয়া হয়।
    বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা টিটু জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী আক্তার, কাজী ইকবাল, মোস্তফা, মাসুদ, সুলতানপুরের বাবু, রেজায়ান, মিস্ত্রী আফজাল, ও মা মোটরস এর মালিক ভাই জিল্লুর এর উপস্থিতিতে শোরুম থেকে তার ১৭টি গাড়ি বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চ্যালেঞ্জ করলে তাকে কাগজপত্র নিয়ে ডিবি অফিসে যেতে বলা হয়। ডিবি অফিসে গেলে পরিদর্শক শাহারিয়ারের বরাত দিয়ে তাকে সন্ধ্যায় যেতে বলেন মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মিটার টেম্পারিং এর বিষয়টি স্বীকার করে মকবুল কিছু জানে না বলার পর মিলন ও মকবুলকে আবারো গারদে ঢোকানো হয়। এরপর ১৭টি গাড়ির কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে তারা চলে আসার আগেই মকবুলকে ছাড়াতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তার স্ত্রী। কিন্তু এক লাখ টাকা ছাড়া ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শাহারিয়ার। ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়ায় অবস্থানকরাকালীন সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া মোবাইল ফোনে তাকে (টিটু) ডিবি অফিসে যেতে বলেন। ভাই জিল্লুরকে নিয়ে সেখানে গেলে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে সহকারি উপপরিদর্শক রাজু তাকে আটক করে গারদ ঘরে আটক করা হয়। পরে তার চোখ বেঁধে হাতে হ্যা- কাপ পরিয়ে শাহারিয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন শাহারিয়ার। পরে তাকে গারদ ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাজুর সঙ্গে চুক্তির শেষ পর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ও গাড়ি ছাড়ানোর জন্য তার কাছ থেকে আরো ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরদিন সকালে ১৮টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ এপ্রিল দিবাগত রাত দু’ টোর দিকে তাকে (টিটু) ছেড়ে দেওয়া হয়। ১১ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী ও ভাগ্নের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে মকবুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের পরের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও বারবার তাকে ঘোরানো হয়। ওই দিন আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করে ১০ হাজার টাকা নেন মঞ্জুরুল। ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাঁচটি গাড়ি, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে চারটি ও আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে ২৩ এপ্রিল চারটি ও ২৪ এপ্রিল দুপুরে দু’টি গাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল তার দু’িট গাড়ি ও মিলনের একটি গাড়িসহ মিলনকে একটি মিটার টেম্পারিং এর প্রতারনার মামলায় চালান দেওয়া হয়।
    খালিদ হোসেন মিলন বলেন, গত বৃহষ্পতিবার তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পরদিন থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য শাহারিয়ার ও মঞ্জুরুলের কাছে হাঁটতে থাকেন। কয়েকজনের তদ্বিরের পর সহকারি উপপরিদর্শক রাজুর সহায়তায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার সাতটি গাড়ি ফেরৎ দেওয়া হয়। টাকা চাইলে আবারো নতুন মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেন মঞ্জুরুল হাসান ও শাহারিয়ার।
    ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২৩ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে কালিগঞ্জেন রতনপুরের ব্যবসায়ি মন্টু ও তার সহযোগি একটি পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রি করে অন্য একটি কেনার জন্য ইজিবাইকে টাউন বাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্টেডিয়াম ব্রীজের কাছ থেকে শাহারয়িার টিমের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে হাত কড়া পরিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে এসে তাদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা নিয়ে নেয়। পরে এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এক পত্রিকা সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শাহারিয়ারে বাক বিত-া হলে টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। একই দিনে বুধহাটার এক ব্যবসায়ি তার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সোর্সদের দিয়ে বিত্তশালীদের বাড়িতে বা সার্চ করার নামে জামাপ্যান্টের পকেটে হাতের আঙুলের ফাঁকে রাখা মাদক দিয়ে ধরানোর কোন বিকল্প নেই।
    ভুক্তভোগীরা আরো জানান, শাহারিয়ার তার ভাই সাতক্ষীরার ফায়ার সার্ভিসে কাজ করা ও নানার বাড়ি তালায় হওয়ার সুবাদে সাতক্ষীরায় পড়াশুনা করেছেন। বৈচিত্রময় পাঞ্জাবী পরে তিনি আটককৃত প্রায় নিরীহ ব্যক্তি ছাড়াও মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের চোখ বেঁধে ও হাতে হ্যা-কাপ পরিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আটককৃতদের মোবাইল থেকে আটককৃতদের দিয়ে তাদের স্বজনদের মোবাইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করার ব্যাপারে সিদ্ধ হস্ত। ২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা মোটরস্ এর মালিক জাকির হোসেন বানিকে তার বাড়ির পাশ থেকে আটক করে পকেটে এক পুরিয়া গাজা পাওয়ার অভিাযোগে জেলা জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার মাধ্যমে গভীর রাতে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন শাহারিয়ার। বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারের কোন অনুমোদন ছাড়াই নামমাত্র অভিযোগ পেলেই তুলে এনে চোঁখ বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। আমদানি হয়না এমন পালচার ২২০ সিসি গাড়ি ফ্রি স্টাইলে চালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহারিয়ার। সহকারি উপপরিদর্শক রাজু ডিবি অফিসের সামনে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ডিসকভার ১৩৫ সিসি গাড়ি যার রেজিঃ নং- সাতক্ষীরা-ল-১১- ১৬৭৫ (চেসিস নং-এমডি-২০৩ জে ডবল জেডএসডিএ ৫১৯৮২, ইঞ্জিন নং- জেএনজেবিএসএ-০৪৭৩৩) নিজে ব্যবহারের জন্য খুলনা রোড়ের মোড় এলাকার জনৈক আফজাল মিস্ত্রির কাছে গত ২২ এপ্রিল সকালে রিপেয়ার করতে দিয়েছেন। এজন্য প্রথম দফায় তিনি ১০ হাজার টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ কিনে দিয়েছেন।
    স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার আসার পর পুলিশের দূর্ণীতি ৮০ ভাগ থেকে কমে ২০ ভাগে নেমে এসেছে। তাবে তারা বাস্তবতা কতটা জানেন তা ডিবি পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হলেই জিহ্বা কাটবেন।
    জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহারিয়ার সাংবাদিকদের জানান, খালিদ হোসেন মিলন একজন মিটার প্রতারক। তার কাছ থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, তাকে ছেড়ে না দিয়ে দু’ থেকে তিন দিন পর জামিনে মুক্তি পেতে পারে এমন মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। তবে মকবুল ও টিটুর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা এড়িয়ে যেয়ে বলেন, অপরাধীরা নানা অপপ্রচার করে তাদের ভাল কাজকে কলুষিত করছে। তার টিমের সদস্যরা ভাল কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।

  • সাতক্ষীরায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান মে দিবস পালিত

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা শ্রমিক লীগ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া খ- খ- র‌্যালিতে সাতক্ষীরা শহর মুখরিত হয়ে ওঠে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসন ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন, জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক আবু আহমেদ। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। এর পর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
    পরে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শহরে খন্ড খন্ড র‌্যালী বের করে।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
    মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপিলকৃত পক্ষ-বিপক্ষ ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
    সম্প্রতি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের পরিবর্তন ঘটায়। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখ-িত রেখে শ্যামনগর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
    প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রকাশিত খসড়া গেজেটেরে বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আবেদন খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের নেতাসহ আটক-৪০

    পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের নেতাসহ আটক-৪০

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ১ নেতাসহ ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
    গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    আটককৃতদের মধ্যে, সদর থানা থেকে ৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • কলারোয়া সীমান্ত থেকে ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    কলারোয় প্রতিনিধি: কলারোয়া সীমান্ত থেকে সাড়ে ৩’শ পিস ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম কুমারনাল এলাকা তাদের আটক করা হয়।
    আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার গদোখালী এলাকার মৃত রফিকুল মোড়লের ছেলে মোঃ কাবিরুল ইসলাম কালু (২৮), একই উপজেলার কুমারনাল গ্রামের মৃত নুরল ইসলাম মোল্যার ছেলে আরিফুল ইসলাম মোল্যা (২১), ইসহাক বিশ্বাসাসের ছেলে আরিফুল বিশ্বাস (২৭), সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ মাহামুদুল হক বাবু (৩৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক দালালের ছেলে মশিউর রহমান মনি ৩৩), মৃগীডাঙ্গা গ্রামের রয়িচ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম সরদার (৪৭)।
    ডিবি পুলিশের ইনেসপেক্টার জুলফিকার আলী জানান, কলারোয়া উপজেলার কুমারনাল সীমান্ত দিয়ে মাদকের একটি চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সাড়ে ৩’শ পিস ইয়াবাসহ উক্ত ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • কালিগঞ্জ উপজেলা অখ- রাখার পক্ষে ইসির শুনানীতে মতামত তুলে ধরতে ঢাকা যাচ্ছেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ৫০সদস্যের প্রতিনিধি দল

    কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: নির্বাচনী এলাকা ১০৮, সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনে অখ-িত রাখার বিষয়ে নির্বাচন অফিস ঢাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শুনানির দিন নির্ধারিত হওয়ায় কালিগঞ্জে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টায় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সভায় সাতক্ষীরা ৪ নির্বাচনী এলাকার কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ-িত রাখার বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সুধি ব্যাক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামান। সভায় কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নকে সংসদীয় আসনে অখন্ডিত রাখার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খান আছাদুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পাটির সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র শেখ মেহেদী হাসান সুমন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কালিগঞ্জ সোহরোওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফা কবিরুজ্জামান মন্টু, মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ, কুশলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাউফিল উরা সজল, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জি, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিরাঞ্জন কুমার পাল বাচ্চু, অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়জ কওছার তুহিন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেবুর নাহার জেবু, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, উপজেলা যুব মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফতেমা ইসলাম রিক্তা, কালিগঞ্জ উপজেলা মেম্বর এ্যাসোশিয়নের সভাপতি ও তারালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান, মেম্বর আব্দুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগ, সাবেক সভাপতি গৌতম কুমার লস্কর, জাতীয় শ্রমিকলীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খোদেজা খাতুন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি তৈহিদুর রহমান প্রমুখ। সভায় সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনের সীমানা ইসি কর্তৃক পূণঃনির্ধারন করায় ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে ইসির সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে ১৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কতৃক সীমানা পূণঃনির্ধানের বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ইসির শুনানীতে কালিগঞ্জ থেকে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামানের নেতৃত্বে ঢাকায় যাবেন। নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের শুনানীতে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে সাতক্ষীরা ৪ আসনের ইসির কতৃক পূণঃনির্ধারিত সীমানা বলবৎ রাখার যৌক্তিক কারণগুলো তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় আইনজীবী নিয়োগ দেবেন।
    সভায় বলা হয়, কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ভাগ হয়ে সাতক্ষীর ৪ ও সাতক্ষীরা ৩ আসনে বিভাক্ত করে নির্বাচনী এলাকা বিগত দু’নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনোত্তর এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষেও স্বাভাভিকভাবে কার্যক্রম করা বেশ দূরহ হয়ে উঠে। এহেন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বিজ্ঞতার সাথে প্রশাসনিক এলাকা বিভক্ত না রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছেন সেজন্য সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সকল নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

  • জাতীয় আইনগত সহয়তা দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভা

    আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহয়তা দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভা গত বুধবার বিকালে জেলা জর্জ আদালতের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আইনগত সহয়তা কমিটি, সাতক্ষীরার সভাপতি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জর্জ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।

  • নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

    নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, পয়ঃনিস্কাশন, মশা-মাছি নিধন, প্রাণ সায়ের খাল রক্ষা, রাস্তাঘাট সংস্কারসহ সকল নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু।

    মানববন্ধনে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের একেবারে অনুপযোগী। শহরের প্রধান-প্রধান রাস্তায় যত্রতত্র বাস, ট্রাক পার্কিং করে রাখার ফলে শহরে প্রতিনিয়ত যানজট ও দূর্ঘটনা ঘটছে।’
    ড্রেনেজ ব্যাবস্থার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার বলেন, সাতক্ষীরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ড্রেনগুলো পরিস্কারের অভাবে পানি নিস্কাশনে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।

    জলাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক ওবায়দুস সুলতান বাবলু বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে বর্ষার শুরুতেই ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নিস্কাশনের পথগুলো প্রভাবশালীরা দখল করার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্র্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক নিত্যানন্দ সরকার বলেন, শহরে মশা মাছির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা মাছি নিধনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মশা-মাছির কারণেই পৌরবাসীর জনজীবন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে মশামাছি নিধনের আহ্বান জানান।

    ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি মানুষকে পানি ক্রয় করে পান করতে হচ্ছে। পৌরসভা থেকে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা রান্না-বান্নাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করার একেবারেই অনুপযোগী। সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন। কিন্তু পৌরসভা পানি বিতরণ করছে মাত্র ৬৫ হাজার লিটার। যা পৌরবাসীর চাহিদার অর্ধেকেরও কম। তিনি অবিলম্বে বাটকেখালী পানি প্লানটি চালু করার দাবি জানান।

    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খাল শোভাবর্ধনের জন্য ৩২ লক্ষ টাকার প্রকল্প সাবেক জেলা প্রশাসকসহ পৌর মেয়র উদ্বোধন করলেন সেই কাজের কোন অগ্রগতি নেই। প্রাণ সায়ের খাল আজ সাতক্ষীরাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি অবিলম্বে প্রাণ সায়ের খালের শোভাবর্ধন ও খনন করার জন্য জোর দাবি জানান।
    সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল বলেন, বাঁকাল স্কুল থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তার দুধারে বাঁশ, বালি, পরিবহন এবং বালুর ট্রাক যত্রতত্রভাবে পার্র্কিং করার ফলে প্রতিনিয়ত স্কুল, অফিস ও পথযাত্রীরা দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগে পড়ছেন। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার ভিতরে যত্রতত্র বাস ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন পার্কিং বন্ধ করার দাবি জানান।
    মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রইফ উদ্দিন, বাসদ’র আবু তালেব, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদার, সদর উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য রওনক বাসার, সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।

    মানববন্ধন পরিচালনা করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল।

  • যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): যথাগোগ্য মর্যাদা জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলাব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদের সমন্বয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    জেলায় ঐতিহাসিক মুুজিবনগর দিবস পালনের প্রধান কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^াস সুদেব কুমার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক মিসেস মোনয়ারা খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. জাকির হোসেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ:
    ঐতিহাসিক মুজিনগর দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন, আর এসি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফীন, ইংরেজি’র ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল’র ইন্সট্রাক্টর ধর্মদাস সরকার, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর রঞ্জন কুমার সরকার, পদার্থের ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা বাকী বিল্লাহ, আর এসি’র ইন্সট্রাক্টর শেখ আব্দুল আলম, রসায়নের ইন্সট্রাক্টর শংকর প্রসাদ দত্ত, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(কম্পিউটার) মাসুদ রানা, জুনিয়ার ইন্সট্রাক্টর (ফার্ম মেশিনারী) অজিহার রহমান, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক বিষ্ণ চন্দ্র পাল এবং ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর(সপ)’র গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ভাষা শিক্ষক(বাংলা ও সমাজবিজ্ঞান) শরিফুল ইসলাম।
    পলাশপোল স্কুল:
    পলাশপোল স্কুলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে মাওঃ আনারুল হাসান, সুদর্শন ব্যানার্জী, মঙ্গল কুমার পাল, জাহাঙ্গীর আলম, ইসরাইল আলম, রোকেয়া খাতুন, রেহেনা খাতুন, কানিজ ফাতেমা, রাজিয়া খাতুন, সাবিনা খাতুনসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় বক্তারা বলেন, আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা এদেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। পারতাম না স্বাধীনভাবে চলাচল ও চাকুরি করতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
    আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা:
    সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র উদ্যোগে ঐতিহাসিক ১৭এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ইংরেজি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, আহছানিয়া মাল্টি কমপ্লেক্স এর ত্বাবধায়ক আবু সোয়েব এ্যাবেল, সদস্য কাজি আমিরুল হক আহাদ প্রমুখ। এসময় বাংলা প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, আরবী প্রভাষক বৃন্দ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা:
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, মাস্টার আবুল হোসেন, মাও. কামরুল ইসলাম, শিক্ষক আদিত্য ঘোষ, শিরিনা খাতুন, তানজিলা খাতুন, নজরুল ইসলাম গউসুল আযম প্রমুখ।
    জেলা কৃষকলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কাটিয়া বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড. নওশের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আতিয়ার রহমান, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কৃষকলীগের আব্দুল খালেক মাস্টার, লাবসা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক রবিন মল্লিক, আগরদাড়ি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ঢালী, ঘোনা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, সরুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম।
    জেলা ছাত্রলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইদুজ্জামান জিকো, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শিমুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান মুকুল সহ জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ:
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে মুজিবনগর জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কামালনগরস্থ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সেলিম হোসেনের সঞ্চলনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সাংগঠনিক আমিনুর ইসলাম সেলিম,সমাজকল্যাণ সম্পাদক আঃ আলিম, কুটির শিল্প সম্পাদক মোচ্ছাক সরদার, পৌর শাখার সভাপতি আঃ আলিম, সহ- সভাপতি আঃ বারী, আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি নুরলআমিন, ৬নং পৌর আবুল হোসেন, ৪নং পৌর সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন বাবু, ফিংড়ি আহবায়ক আহছান হাবিব, সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য আজিজুল, সদর শাখা মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর সাংগঠনিক মিজান, পৌর ওয়ার্ড শাখার ফরমান সরদার,শহিদুল, জাকির হোসেন পল্টু, মোসা গাঈন, তাজিম, মাজেদ, শহিদুল, আগরদাড়ী আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব হেলাল, জাহিদ, রহমত, কালু,ইউপি সদস্য আঃ গফুর সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। আলোচনার শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরত কামনা করা হয়।
    তালা:
    সাতক্ষীরার তালায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা থানার (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    এ সময় মুজিবনগর দিবসের ওপর একটি বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    দেবহাটা:
    দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দীন, উপজেলার সখিপুর সাব রেজিস্টার পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জী, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন প্রমুখ। বক্তারা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজে দিবসটি পালন করা হয়। কলেজে র‌্যালি শেষে অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আকবর আলী, সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার, সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
    আশাশুনি:
    আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসাবে চিত্র প্রদর্শনী শেষে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দবিস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, সমবায় অফিসার জি এম আনছারুল আজাদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্œ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

    কালিগঞ্জ:
    কালিগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মেদ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর নগর দিবসের উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
    চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসা:
    বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। তার ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসার হল রুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন আরবী প্রভাষক শহিদুল্যাহ, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ জুবাইর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আঃ জব্বার । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা প্রভাষক মোঃ নুরুল আমিন।
    শ্যামনগর:
    ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুর ২টায় শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এর আয়োজনে কলেজের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জি,এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক সুশান্ত কুমার বাবু লাল, নুরুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। সভায় কলেজের সকল প্রভাষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকাল ৪টায় উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবি রঞ্জন মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি,এম আকবর কবির, উপদেষ্টা আফজালুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী প্রমুখ। এ সময় সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    বিকাল ৫টায় শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শোকর আলী, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন, প্রভাষক সাঈদুজ্জামান সাঈদ, স ম আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, সুশান্ত কুমার বাবু লাল, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান টুটুল, ছাত্রনেতা আল-মামুন লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • জামায়াতের রোকনসহ জেলায় আটক-৩৮

    জামায়াতের রোকনসহ জেলায় আটক-৩৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের রোকন মো.আব্দুল আজিজসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১১ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৫ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার গণকবর, বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন খড়িবিলা বিল আবাদানীর ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা’র নেতৃবৃন্দ। গত রোববার সকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, নিত্যানন্দ সরকার, চারুশিল্পী এম এ জলিল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’র সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, এড. মুনির উদ্দিন, রওনক বাসার, লোকী ইকবাল প্রমুখ।
    নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল খুলনা, বাগেরহাট, ৯৬ গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৬০০-৭০০ নির্যাতিত মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্তমানে ওই স্থানে বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। দীনেশ কর্মকার তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন। এই পুকুর ও ডোবার অংশটুকু চলে গেছে জনৈক ব্যক্তির দখলে। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে।
    সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নিচে ফেলে দিত। এ অংশটুকু এখন এক প্রভাবশালীর দখলে চলে গেছে।
    এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় বৃহৎ গণকবর হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও এখন এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে। পরে তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় ও রূপালী ব্যাংকের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। এসব গণকবরগুলোরও কোনো চিহ্ন নেই। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে।
    গত ৯ বছর ধরে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এখানকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ অনেকে জানেনা মুক্তিযুদ্ধের ওই ইতিহাসের কথা। এসকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আজও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
    বর্তমানে ইতিহাস গাঁথা ওই সব গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চলে গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে। সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমির বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো। আর বধ্যভূমির বিষয়গুলো যেন নতুন প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
    এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পলাশপোল মৌজার খড়িবিলা বিল আবাদানির ১০০ একর সরকারি খাস সম্পত্তি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত খাস জমি সাতক্ষীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ এখনো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য সুদুর রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই সাতক্ষীরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাঙালি সংস্কৃতির ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই আবাহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগ্রত হয়েছে গোটা জাতি। পহেলা বৈশাখ, একটি নতুন দিন। একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই-জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি।
    সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ‘বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের’ খবর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষ্যে নতুন করে সজ্জিত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিনভর জেলাব্যাপি পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসেন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।
    জেলা প্রশাসকের বাঙলোয়: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে বাঙালী আনায় বৈশাখী উদ্যাপন করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জেলা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাবের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাংলো মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় সকলেই সমবেত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক দেশী ফলের সমাহারে অতিথি পরায়ণতার মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান। খই, দই আর পান সুপারী, চিড়া, মুড়ির মোয়া, হরেক রকম মিষ্টি-মিঠাই আরো ছিল ঘোল, ডাব, তরমুজ, শাহী গজা আর হাওয়াই মিঠাই, ছিল বেলের সরবত। শনিবার সকালে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসকের বাংলোর এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশাখী এ অনুষ্ঠানে সকল অতিথিদের মাঝে পান্তা ও বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারতহমিনা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা পুলিশের আয়োজনে: জেলা পুলিশের আয়োজনে দুস্থ ও এতিম শিশুদের বৈশাখী আনান্দ উপভোগ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বৈশাখী ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ সুপার পত্মী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, সদর সারকেল মেরিনা আক্তার প্রমুখ। এ সময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখের আনান্দ যেমন প্রতিটা মানুষ উৎযাপন করছে তখন আমাদের দায়িত্ব ছিল সমাজের দুস্থ অসহায় ও এতিম শিশুদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাথে আনান্দ ভাগা, ভাগি করে নেয়া, তাই নিজের দায়িত্ব বোদের জায়গাথেকে মানুশেন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: খরতপ্ত রুদ্র বৈশাখের প্রথম দিন শনিবার প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীঘির জলে ঢেউ তুলে ভেসে আসা দখিনা বাতাসের প্রাণ জুড়ানো দোলায় ক্লাব ভবনে সকালেই বসেছিল এ উৎসব। শিশু থেকে বুড়ো বুড়িরাও প্রেসক্লাবের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। উৎসবে আসা সকলকেই বাঙ্গালির চিরন্তন খাবার পান্তা ভর্তা আর নারকেল ও গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
    প্রেসক্লাবের এই উৎসবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, শেখ হারুনার রশীদ, সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রেসক্লাবের প্রাণের মেলা বৈশাখি উৎসবের সাথে নিজেদের একাকার করে বরণ করে নেন নতুন বছরকে।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক ঝরা, অগ্নিশ্নানে সুচি হোক ধরা,’ শিক্ষার্থীরা নাচে ও গানে নতুন বছর ১৪২৫ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। উৎসবের আমেজে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বৈশাখী অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস.এম আফজাল হোসেন, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক আমানুল্লাহ আল হাদী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শণ করে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির হাড়িতে মন্ডা মিঠাই বিশেষ মোড়কে প্রধান অতিথিকে উপহার দেওয়া হয়। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: নতুন বছর ১৪২৫ বরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ক্যাম্পাসে বাঙালীআনা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও একাডেমিক ইনচার্জ প্রকৗশলী ড. এম.এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অলোক সরকার, ফারুক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন, ছিদ্দিক আলী, বিল্পব কুমার দাস, এনামুল হাসান কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটাল বিভাগীয় প্রধান এবিএম ছিদ্দিকী, আর.এসি বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার মো. হেলালে হায়দার।
    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানানমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার সকালে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে। পরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির মেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী শামীমা রুমা, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা, উম্মে হাবিবা, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ, পহেলা বৈশাখ উদয়াপন কমিটির আহবায়ক সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান।
    সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ: সাতক্ষীরা ল কলেজের আয়োজনে ল স্টুডেন্টস ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে আলোচনা, বাঙালী খাবারের আয়োজন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়, বাংলাদেশ হাইকোর্টের ডেপুটে অ্যাটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আ ক ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজ, ল কলেজের প্রভাষক এড. অরুন কুমার ব্যানার্জী, এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন. এড. শহীদ হাসান, এড. হোসনেয়ারা, এড. লাকী ইয়াসমিন, এড. নাঝমুন নাহার ঝুমুর, এড. শরীফ আজমীর হোসেন রোকন, ল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ মোখলেছুর রহমান, জান্নাতুন নাহার, আলমগীর কবীর সুমন, মোখলেছুর রহমান, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এসএম বিপ্লব হোসেন, কার্তিক চন্দ্র সাহা, প্রবল কুমার, পাপিয়া সুলতানা, সোহেলী পারভীন, বিন্তু পারভীন, মুন্সি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, রোজিনা পারভীন, কার্তিক চন্দ্র, কাকলী, শাওন, তাহসিন কবীর খান, তাসনিম সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, তাজনিম সুলতানা, সাথী, মামুন, তাজ নোভা, ইকতিয়ারসহ সাতক্ষীরা ল কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
    শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পতœী সালেহা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাক্কার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, শেখ হারুণ অর রশিদ, কবির হোসেন, নূরুল হক, রহমান, মনোয়ার হোসেন, নূরুল হুদা রনি, আলিফ, আশিক প্রমূখ।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
    সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন-চার্জ এ.এইচ.এম. মুঞ্জুর মোরশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিনব্যাপী বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙ্গালী সাংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
    বিকালে এনইউবিটিকের ছাত্রদের সেকশন-বি ও ওয়েব ব্যান্ড দল এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ কনসার্টে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি নিজেই সঙ্গিত পরিবেশন করেন। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এস.এস. আলী এন্ড কোং, লেক্সিকন, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আবির্স।
    নবজীবন ইন্সিটিটিউট: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার নবজীবনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ ১৪২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবন ইনস্টিটিউটের উদ্দোগে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সাথে নিজস্ব ব্যানারে একটি বর্ণিল ও মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা বের করে। শোভা যাত্রায় বিশেষ আকর্ষন হিসাবে যোগ করা হয় গ্রামীন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য মন্ডিত গরুর গাড়ী,ঢেকী,হরিন,বিশাল আকৃতির ডাক ঘুড়ি,পালকি,ঘোড়ার গাড়ী, হাতি,বাঘ,বাঘ শাবক,হালখাতা মহরত,রিকসা,বেদেনী,নৌকা,সহ নানান আয়োজন। তালে তালে বাজানো হয় ঢাক, ঢোল ও ভেপু। দীর্ঘ এবং বর্নিল সাজের শোভা যাত্রাটি দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রশাসনের বিচারক মন্ডলি সহ হাজার হাজার দর্শক ও শ্রোতা। শোভা যাত্রাটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌছালে মঞ্চ থেকে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকারের ঘোষনা দেওয়া হয় । আনুষ্ঠানিক ভাবে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং পুরস্কার গ্রহন করেন নবজীবনের নির্বাহী পরিচালক ও নবজীবন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তাারেকুজ্জামান খান, এসময় বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ,সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ,নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,উপাধ্যক্ষ মীর ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ, শিক্ষক শেখ বোরহান আলী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নবজীবন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে চিংড়ী পান্তা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এসময় নবজীবনের সকল কর্মকর্তা,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক গন উপস্থিত ছিলেন।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ: বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের পৌর শাখার আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পানতা ইলিশ ভোজ , র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, আমন্ত্রতি অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক এড, আজাহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব সেলিম হোসেন,অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সাংগঠনিক আমিনুল ইসলাম সেলিম, কুটির শিল্পী সম্পাদক মৌচাক সরদার, সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাফিজ, রোকনউদ্দীন প্রমূখ।
    থানাঘাটা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির ফজর আলী, ইয়াকুব হোসেন, মহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, শফীকুল, আব্দুল্লাহ, গোলাম রসুল প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মোঃ আসাদুজ্জামান।
    তালা: তালায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    ১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী সোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্চ্ছো খানম,তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানসহ ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সামাজিক সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি তালা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
    পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পান্তা ভোজ, পুকুরে হাঁস ধরা,লাঠিখেলা, ইত্যাদি। এছাড়া জালালপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ সাহিত্য সংসদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পাটকেলঘাটার,কুমিরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
    পাটকেলঘাটা: ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ বরণের এ গানের মধ্যদিয়ে পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও মন্দিরে খাতা পুজা ও ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা,মধ্যদিয়ে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ । পাটকেলঘাটাস্থ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার বটমুলের সবুজ চত্বরে বর্ণিল মঞ্চে ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
    পাটকেলঘাটায় দিনব্যপী বিভিন্ন বৈশাখী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শিল্পী, সাংবাদিক,শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, নারী পুরুষ,শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাঙালীর চিরচেনা ঢাক-ঢোল,কাঁশর,সানাই,ঘোড়াগাড়িসহ বিভিন্ন সাজে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিরা সহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র সদনে এসে সমবেত হয়। এরপর সেখানে পান্তা ইলিশ ভোজনের সাথে সাথে মঞ্চে চলতে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত.নজরুলগীতি পল¬ীগীতি,লালনগীতিও বাউলসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। এরই মাঝে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আসাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ মাহাতা, দেবজিৎমিত্র, অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,ড. বিধান চন্দ্র ঘোষ, মোস্তাফিজুর রহমান,নারায়ন মজুমদার, বিশ্বাস আতিয়ার রহমান প্রমুখ । জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর নেতৃত্বে র‌্যালি ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশাল র‌্যালী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করে । এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ বর্ষবরণ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮ টায় পালকী, গরুর গাড়ি ও নানারকম বাদ্যের তালে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবি বটতলায় শেষ হয়। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য পান্তা উৎসবের আয়োজন ছিল। পান্তা খাওয়া শেষে আনুষ্টানিকভাবে দেশীয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি বর্ষবরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরজ্জামান মনি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী. সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমত আরা বেগম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নোহাগ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, সাতার সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়।
    বহেরা এ.টি মাধ্যমিক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা এ,টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আছাদুল হক এর সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। শোভা যাত্রা শেষে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
    কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউপি এর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকারের সভাপতিত্বে ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা, ইউপি সচিব সহ কর্মচারী বৃন্দ।
    কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শেষে কুলিয়া শহীদ মিনার চত্বরে পান্তা উৎসব উৎযাপন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ এর অর্থসম্পাদক মো. আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আযহারুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সহ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগন।
    পুষ্পকাটি সমবায় সমিতি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলানববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিনুজ্জামান রিপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষের পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আ”লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, কুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা ফতেমা খাতুন প্রমুখ।
    কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ সকাল ৮ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালী কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তারের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফুলতলায় উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহামেদ মাছুম, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নববর্ষে উক্ত মঞ্চে বাউল ও লোকজ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কুশুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
    কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা সকাল হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া সোতা-বেনাদনা মাঠে দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসা, কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্ষবরণ উদ্যাপন করে।
    শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাড়ম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শ্যামনগরে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। কর্মসূচির মধ্যে লক্ষনীয় বিষয়গুলো ছিল বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৬ টায় সানাই, কাসাই ও ঢোল বদনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। সকাল ৭ টায় মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপজেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী সংস্থা নববর্ষের ব্যানার সহ অংশ গ্রহনে এক বিশাল শোভাযাত্রা সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্তরে সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল ৮ টায় ছাতিম তলায় অনুষ্ঠিত হয় পান্থা ভোজ উৎসব, সকাল ৯ টায় উপজেলা চত্ত্বরে বৈশাখী মেলা উদ্ভোধন, সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, বেলা ২ টায় জারী গান, ৩ টায় সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সাংবাদিক বনাম সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রিতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ টায় র‌্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি ঘটে।
    মুন্সীগঞ্জ: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারহে বর্ষ বরণ ১৪২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে-৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন এবং হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথ ভাবে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছে। এছাড়াও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জহিরনগর দাখিল মাদ্রাসা, সুন্দরবন শিশু শিক্ষা নিকেতন ও বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী মুন্সীগঞ্জ কুলতলী বর্ষবরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলি সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরমধ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমীর বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি সবার নজর কাড়ে। এরপর পান্তা ভাত, কাঁচা ঝাল ও চিংড়ি মাছ পরিবেশন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী সন্ধ্যায় তাদের নিজস্ব শিল্পীদের সমন্নয়ে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চুনকুড়ি কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠিত হবে যাত্রানুষ্ঠান “কালো মেয়ের রাঙা পা।”
    আশাশুনি:
    বড়দল: আশাশুনির বড়দলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে এদিন সকাল ৭টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ডাঃ আলহাজ্ব এস এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবউদ্দীন, সকল সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    কাদাকাটি হাইস্কুল: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান। সহকারী শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, সুনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, রসময় মন্ডল, মিলন কুমার, শিরিন আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিমসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    কুল্যা: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ফিরোজ হোসেন মালীর নেতৃত্বে আরার গোবিন্দপুর লাঠি খেলা দল ও বাহাদুরপুর লাঠি খেলা দল অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত থেকে লাঠি খেলা উপভোগ করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মেম্বর আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মেম্বর আনোয়রা বেগম, সমাজ সেবক ইয়াহিয়া মোল্যা, আহাদ আলী প্রমুখ। এসময় লাঠি খেলা দেখতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রচুর দর্শক হাজির হন। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা।

  • সুন্দরবন রক্ষায় ৭৬ টি ক্যাম্পে পাহারায় মাত্র ১৭৮ বনরক্ষী

    নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র,র্ পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়েি চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষার্ কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়েি চলছে এর রক্ষাণাবক্ষণে। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধাি থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশনেংি ও ঝুঁকভািতা,র্ সবন¤œি বতনে স্কলে নয়েি বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারননো সরকারি ছুটগুিলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবািরকে দয়ো হয়না কোন বতনে-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকূিলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষার্ কাযক্রম।
    বন বভািগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমািণ ৪ হাজার ১৪৩র্ বগ কলোিমটাির। আর জলভাগরে পরমািণ ২ হাজার ৮৭৪র্ বগ কলোিমটাির।র্ পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভক্তি সুন্দরবন বনবভািগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছ।েে সুন্দরবনরে মধ্য দয়েি শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহত।ি এ সকল খাল-নদী পর্রদশিনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলয়িেি বন প্রহরী রয়ছনেে মাত্র ১৭৮ জন। বর্স্তীিণ সুন্দরবনরে নরািপত্তায় নরস্ত্রি অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়েি পাহারার্ কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
    সূত্র জানায়,র্ পার্শ্ববতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশের্ কর্মরতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভািগ খুলনা রঞ্জরেে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বর্নকমী বলন,ে বনরে ভতরে নয়মিতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নই।ে এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তেি দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতরে সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটর্ওেয়াক।
    তনিি আরো বলন,ে নয়মিতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমররিে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকূিলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলন,ে দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরওে কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররণোর অভাবে কখনো কখনো তারা নরুিৎসাহতি হয়ে পড়ন।ে ভুক্তভোগী বর্নকমীরা জানান, পুলশি বভািগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশনে, ঝুঁকি ভাতা,র্ কমরত অবস্থায় নহতি পরবািররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভািগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগর্ দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখতিি আবদনে করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকটিা হলওে হতাশ তারা।
    বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতরিি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়দৈ অলয়াির রহমান মলনি সাংবাদকদিরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতেি করা আবদনেটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতািয় আটকে গছেের্ অথ মন্ত্রণালয়।ে
    পশ্চমি সুন্দরবনরে বভগিীয় বনর্ কর্মকতা বলন,ে বন বভািগরে স্টাফদরে দাবরি বষয়িটি বভন্নিি সময়র্ ঊধ্বতনর্ কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছ।েে
    িিজিস্ব প্রতবিদেক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র, র্পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়িে চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষা র্কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়িে চলছে এর রক্ষাণাবক্ষেণ। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধিা থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশেনংি ও ঝুঁকভিাতা, র্সবন¤িœ বতেন স্কলে নয়িে বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারনেনা সরকারি ছুটগিুলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবিারকে দয়ো হয়না কোন বতেন-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকিূলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষা র্কাযক্রম।
    বন বভিাগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমিাণ ৪ হাজার ১৪৩ র্বগ কলিোমটিার। আর জলভাগরে পরমিাণ ২ হাজার ৮৭৪ র্বগ কলিোমটিার। র্পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভিক্ত সুন্দরবন বনবভিাগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছে।ে সুন্দরবনরে মধ্য দয়িে শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহতি। এ সকল খাল-নদী পরর্দিশনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলিয়িে বন প্রহরী রয়ছেনে মাত্র ১৭৮ জন। বস্তর্িীণ সুন্দরবনরে নরিাপত্তায় নরিস্ত্র অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়িে পাহারা র্কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
    সূত্র জানায়, র্পাশ্বর্বতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশে র্কমর্রতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভিাগ খুলনা রঞ্জেরে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বনর্কমী বলনে, বনরে ভতের নয়িমতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নইে। এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তিে দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতের সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটেওর্য়াক।
    তনিি আরো বলনে, নয়িমতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমরিরে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকিূলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলনে, দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরেও কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররেণার অভাবে কখনো কখনো তারা নরিুৎসাহতি হয়ে পড়নে। ভুক্তভোগী বনর্কমীরা জানান, পুলশি বভিাগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশেন, ঝুঁকি ভাতা, র্কমরত অবস্থায় নহিত পরবিাররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভিাগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগ র্দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখিতি আবদেন করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকিটা হলওে হতাশ তারা।
    বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতিরি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়ৈদ অলয়িার রহমান মলিন সাংবাদকিদরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতিে করা আবদেনটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতিায় আটকে গছেে র্অথ মন্ত্রণালয়।ে
    পশ্চমি সুন্দরবনরে বভিগীয় বন র্কমর্কতা বলনে, বন বভিাগরে স্টাফদরে দাবরি বষিয়টি বভিন্নি সময় র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছে।ে

  • পুলিশের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ আটক-৬৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের দুই নেতা-কর্মীসহ ৬৮ জন আটক করা হয়েছে।
    গত বোরবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদকদ্রব্য। পরে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৬ জন, কালিগঞ্জ থানা ১১ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: একাত্তরের বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বর্তমান সরকর একাত্তরের বধ্যভূমি/গণকবর চিহ্নিত করে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ/স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরা শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাক হানাদার বাহিনী স্কুলে আশ্রয় নেয়া ভারতগামী শরনার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে শত শত নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাছাড়া অসংখ্য মানুষ এই হত্যাযজ্ঞে আহত হয়। পরবর্তীতে উদ্যোগের অভাবে উক্ত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার যশোর সংলগ্ন সাতক্ষীরার অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ঝাউডাঙ্গা বাজার ৭১ এর এপ্রিলের শেষে খুলনা অঞ্চল থেকে প্রাণভয়ে পালানো কয়েক শত শনণার্থী পরিবার ভারতে যাওয়ার পথে ঝাউডাঙ্গায় পৌছালে পাক-বাহিনী অতর্কিতভাবে নির্বিচারে গুলি করে শতাধিক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। গণ হত্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই এ মুহুর্তে দু’টি বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য সাতক্ষীরাবাসী গতকয়েক বছর ধরে এবং এ বছরে উক্ত বর্ধ্যভুমিতে নানাবিধ কর্মসুচি ও গণহত্যা দিবস পালন করেছে। ৭১ এর বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদস্য আব্দুর রহিম ও সদর উপজেলার সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।

  • সামান্য বাতাসেই নেই হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ!

    সামান্য বাতাসেই নেই হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ!

    মো. মুশফিকুর রহমান রিজভি: একটু বৃষ্টি শুরু হলে কিংবা একটু জোরে বাতাস হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। পৌরসভায় মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা দেখা গেলেও ইউনিয়নের অবস্থা আরো বেগতিক। একবার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলেই ১০-১২ ঘণ্টা আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না।

    গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যার পর আকাশ একটু মেঘাচ্ছন্ন সাথে একটু জোরে বাতাস হতেই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। জেলার পৌরসভার আওতাভুক্ত এলাকায় রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলা করলেও স্থায়ীভাবে থাকেনি বেশিক্ষণ।

    অন্যদিকে ইউনিয়নগুলোতে সন্ধ্যার পরেই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। পরে সারা রাত আর দেখা মেলেনি বিদ্যুতের। বিদ্যুতের দেখা মিলেছে পরদিন (২ এপ্রিল) সকাল ৯ টার পর।

    এব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিস সংশ্লিষ্টদের মত, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিভিন্ন স্থানে লাইনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। সেগুলো মেরামত করে সংযোগ পুনরায় চালু করতে গিয়ে দেখা দিয়েছে এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যাতিত অন্য সময়ে নিয়মিত লোডশেডিং এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের মন্তব্য, এখন আর আগের মত বেশি লোডশেডিং হয় না। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ একটু কম থাকার কারণে এরূপ লোডশেডিং হয়।

    কিন্তু জনসাধারণের বক্তব্য ভিন্ন, তারা বলছেন, গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গেছে লোডশেডিং। বিদুতের এমন লুকোচুরি খেলায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জেলাবাসীকে। গত ১ এপ্রিলের এরূপ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে এইচ.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এইচ.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম পরীক্ষার আগের দিন এরূপ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি।

    এব্যাপারে এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী নাজরাণ হোসেন রকি বলেন, সারা রাত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কাক্সিক্ষত পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছি। আরেক পরীক্ষার্থী তাজিম হাসান শাওন বলেন, চার্জার লাইটে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু চার্জার লাইটের চার্জ ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরীক্ষা প্রস্তুতি সন্তোষজনক হয়নি।

    বিদুতের এমন লুকোচুরিতে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রেস ব্যবসায়ী, কলকারখানা, বেকারীসহ সকলপ্রকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের জনসাধারণ। এমন লোডশেডিং এর কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা খাদ্যদ্রব্য।

    এব্যাপারে কদমতলা বাজারের ব্যাবসায়ী আশরাফুজ্জামান বলেন, সামান্য মেঘ-বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাদের ব্যাবসায়ীদের জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাট সরকারের সকল উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছে।

    এব্যাপারে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবারাহ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বন্ধ ছিল। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকলেও প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকার কারণে সৃষ্টি হয় এরূপ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের।

    রাতভর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার ব্যাপারে কালিগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তুষার কান্তি মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যাতিত অন্য সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর আগের মতো লোডশেডিং থাকেনা। পিক আওয়ারে সামান্য লোডশেডিং থাকে।

    গত ১ এপ্রিল রাতের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য আবহাওয়াকে দায়ী করছেন ঝাউডাঙ্গা বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান। তার মতো পাটকেলঘাটা বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজারও প্রাকৃতিক দূর্যোগকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য। নিয়মিত লোডশেডিং এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, লোডশেডিং এখন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এ লোডশেডিং এর পেছনে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দায়ী কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ একটু তো কম আছেই। তবে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনেক কমে গেছে।

  • সাতক্ষীরায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত

    সাতক্ষীরায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: “বন্ধ হলে দূর্নীতি, উন্নয়নে আসবে গতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় দূর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে শহরের নিউমার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বর থেকে এ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান প্রদক্ষীন করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়।

    র‌্যালিতে এ সময় নেতৃত্ব দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: ইফতেখার হোসেন। পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট্য সমাজসেবক ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ, মুর্শিদা খাতুন প্রমুখ। আলোচলা সভা শেষে সেখানে স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে দূর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্যপাঠ করানো হয়।