Category: ধর্মীয়

  • যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত”
    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় সনাতন ধর্মসভায়——- ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচীব ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক বলেছেন, “ যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। এখানে আমরা সম অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। এজন্য বর্তমান সরকারের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে আসার কোন বিকল্প নেই।” শনিবার রাতে সাতক্ষীরার পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্রে সনাতন ধর্মসভা ১৪৩০ ও ছয়দিন ব্যাপি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর মহাসচীব ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়কারি ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক ।
    বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি নারায়ণ চন্দ্র সাধুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, হিন্দুদের জায়গা দখল, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, প্রলোভন দেখিয়ে লাভ জিহাদের নামে ধর্মান্তরকরণ অব্যহত রয়েছে। মঠ, মন্দির ও শ্মশানের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এসব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ থেকে অব্যহতি পেতে হলে সকল সনাতনীদের একত্রিত হয়ে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ছেড়ে দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে মামলা করে রায় পাওয়ার পরও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে জমি ফিরে পাচ্ছেন না হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। কারণ অধিকাংশ জমিই ক্ষমতাসীনদের দখলে। তাই আইন অনুযায়ি হিন্দুদের ওইসব জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। যাঁচাই বাছাই না করে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা ধুয়োতুলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তার অভাবে দেশের হিন্দুরা অন্যদেশে চলে গেলে সে দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। সবশেষে সম্প্রতি লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে তালার ও আশাশুনির দুটি হিন্দু কিশোরী অপহৃত হলেও প্রশাসন তাদেরকে উদ্ধার করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
    পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্র উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সময় ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক অ্যাড. অসীম কুমার মণ্ডল ও সদস্য সচীব অ্যাড. সুনীল কুমার ঘোষ।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাং- ১৫.০৪.২৩ ছবি আছে।

    যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত”
    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় সনাতন ধর্মসভায়——- ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচীব ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক বলেছেন, “ যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। এখানে আমরা সম অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। এজন্য বর্তমান সরকারের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে আসার কোন বিকল্প নেই।” শনিবার রাতে সাতক্ষীরার পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্রে সনাতন ধর্মসভা ১৪৩০ ও ছয়দিন ব্যাপি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর মহাসচীব ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়কারি ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক ।
    বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি নারায়ণ চন্দ্র সাধুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, হিন্দুদের জায়গা দখল, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, প্রলোভন দেখিয়ে লাভ জিহাদের নামে ধর্মান্তরকরণ অব্যহত রয়েছে। মঠ, মন্দির ও শ্মশানের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এসব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ থেকে অব্যহতি পেতে হলে সকল সনাতনীদের একত্রিত হয়ে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ছেড়ে দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে মামলা করে রায় পাওয়ার পরও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে জমি ফিরে পাচ্ছেন না হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। কারণ অধিকাংশ জমিই ক্ষমতাসীনদের দখলে। তাই আইন অনুযায়ি হিন্দুদের ওইসব জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। যাঁচাই বাছাই না করে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা ধুয়োতুলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তার অভাবে দেশের হিন্দুরা অন্যদেশে চলে গেলে সে দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। সবশেষে সম্প্রতি লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে তালার ও আশাশুনির দুটি হিন্দু কিশোরী অপহৃত হলেও প্রশাসন তাদেরকে উদ্ধার করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
    পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্র উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সময় ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক অ্যাড. অসীম কুমার মণ্ডল ও সদস্য সচীব অ্যাড. সুনীল কুমার ঘোষ।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাং- ১৫.০৪.২৩ ছবি আছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মসজিদে কুবায় হিফজুল কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মসজিদে কুবায় হিফজুল কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় হিফজুল কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও মাসজিদের কুবার ব্যবস্থপনায় গতকাল সকাল ১০টায় শহরের মেহেদীবাগস্থ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মইনুল ইসলাম মঈন। তিনি কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন মাহে রমজান মাসে নাজিল করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে কুরআনের অবস্থান সর্ব উচ্চ স্থানে। মানব জাতির হেদায়েতের জন্য কুরআন নাজিল হয়েছে। পবিত্র কুরআনের হাফেজদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তি হিসাবে আমাদের কাছে পরিচিত। তিনি আরো বলেন, মাহে রমজান মাসে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কুরআন প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের হাফেজরা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে। সাতক্ষীরার হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য জেলা প্রশাসনের এমন মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ গ্রহন করতে হবে। হাফেজরা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে নতুন করে সাতক্ষীরাকে বিশ্ব বাসীর কাছে পরিচিত করবে। তিনি মাসজিদে কুবার এমন উদ্যোগ কে সহায়তা করায় কমিটির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাসজিদে কুবার উপদেষ্টা ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক তৈয়েব হাসান বাবু, বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মাসজিদে কুবার সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার মো: আব্দুল্লাহ আল আমিন, জেলা তথ্য অফিসার মো: জাহারুল ইসলাম, সমাজসেবক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মো: শহিদুর রহমান, মাসজিদের মুয়াজ্জিন আব্দুস সবুর, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, গোলাম হোসেন, শফিকুল মোল্লা, গোলাম রহমান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ কারী শেখ ফিরোজ হাসান, হাফেজ আব্দুল আজিজ, মাও: খায়রুল বাসার। মাসজিদে কুবায় পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকে মাসজিদে কুবায় আসতে থাকে হাফেজগন। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে মাসজিদে তরুন হাফেজদের উপস্থিতিতে নয়নাভিরাম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রতিযোগিতায় একে একে পবিত্র কুরআনের সুমধুর বাণী শোনাতে থাকে হাফেজরা। এসময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতাধিক হাফেজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। বয়স ভিত্তিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১৭ বছর বয়সী হাফেজ গন অংশ গ্রহন করেন। এখানে প্রথম স্থান অধিকারীকে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার টাকা সহ ১০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এর পূর্বে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় দোয়া পরিচালনা করেন সুলতানপুর বড় বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মাও: আব্দুল খালেক। সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন। উল্লেখ্য ৯৫ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন কারীর মধ্য হতে বাছাই করে ২৫ জন প্রতিযোগীকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয়।

  • মৌচাক সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে ইফতার মাহফিল

    মৌচাক সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে ইফতার মাহফিল


    নিজস্ব প্রতিনিধি: মৌচাক সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে রমযানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৯ রমজান সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন এতিমথানা কমপ্লেক্সে মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আবদুর রশীদ সুমনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক জি.এম নূর ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, মৌচাক সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মো. আব্দুর রব ওয়ার্ছী, উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, প্রফেসর গাজী আবুল কাশেম, জেলা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ম. জামান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. আব্দুল মজিদ, কবি সোহরাব হোসেন মনু, মনিরুজ্জামান মুন্নাসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। ইফতারের আগে মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা করেন ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মাও. মো. মিজানুর রহমান আজমী। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাও. আনোয়ারুল হাসান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব আজাদ।

  • ফিংড়ী ইউনিয়নে হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে এমপি রবির পক্ষ থেকে ইফতার বিতরণ

    ফিংড়ী ইউনিয়নে হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে এমপি রবির পক্ষ থেকে ইফতার বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : পবিত্র মাহে রমজানে সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন স্থানে সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা ও কাছারিবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে রোজাদারদের হাতে ইফতার তুলে দেওয়া হয়। এসময় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থী ও রোজাদাররা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে ইফতার পেয়ে বেজায় খুশি হয়ে তাঁর জন্য দোয়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শফি উদ্দিন শফি, ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন ইউপি সদস্য মো. ইউছুফ আলী ও পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুর মনোয়ারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাদামতলায় ইফতার বিতরণ করলেন আসাদুজ্জামান বাবু

    বাদামতলায় ইফতার বিতরণ করলেন আসাদুজ্জামান বাবু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজানের ৯ম দিনে ভোমরা ইউনিয়নের বাদামতলা বাজার এলাকার পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু।
    শনিবার (পহেলা এপ্রিল ) বিকালে বাদামতলা বাজারের পথচারী রোজাদারদের হাতে ইফতার তুলে দেন এবং রোজাদারদের সাথে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী এমনিভাবে প্রতিদিন রাস্তায় দাড়িয়ে ৩’শ রোজদারের হাতে ইফতার পৌছে দিচ্ছেন তিনি।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহয়াবায়ক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্ররীগের সাবেক সভাপতি রেজা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক ও উইপি সদস্যগন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের প্রমূখ।

    ইফতার পেয়ে বাদামতলা এলাকার রিজাউল করিম বলেন, জিসিনপত্রের যে দাম আমাদের পক্ষে ইফতার কেনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু ভাই নিজে হাতে পথচারী ও অসহায় গরীব মানুষের হাতে ইফতার তুলে দিচ্ছেন। ইফতারির প্যাকেট পেয়ে আমি খুবই খুশি।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার মাহফিল বা পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি আমাদের গরিবদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় প্রতিদিন ৩’শ দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি। আগামী দিনগুলোতে এই কার্যক্রম অব্যহত রাখবো।

  • তালায় আধ্যাত্মিক সাধক এজাহার আলী মারফতি ফকিরের সাধু সম্মেলনে সিনি:সহকারী পুলিশ সুপার

    তালায় আধ্যাত্মিক সাধক এজাহার আলী মারফতি ফকিরের সাধু সম্মেলনে সিনি:সহকারী পুলিশ সুপার


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: তালায় আধ্যত্মিক সাধক এজাহার আলী মারফতি ফকির সাহেব এর ৯২ তম সম্মেলনের ৪ চতুর্থ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মুহাঃ সাজ্জাদ হোসেন।

    গতকাল তালার শিবপুরস্থ প্রয়াত সাধকের বাসবভন চত্বরে সাধকপুত্র, তালা উপজেলা জাতীয় পার্টি ও তালা প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক এস,এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ধর্মীয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম, তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কবির আহম্মেদ, নওপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক সাধক মুহাঃ জালাল উদ্দীন ফকির,হযরত মুহাঃ বাকিবিল্লাহ।

    সাধকপৌত্র ও যমুনা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি এস,এম আকরামুল ইসলামের সঞ্চালনায় ধর্র্মীয় আলোচক ছিলেন, ব্রাহ্মবাড়িয়া থেকে আগত সাধক দরবেশ সোহেল চিশতী, কুষ্টিয়া থেকে সাধক দরবেশ শরিফুল ইসলাম,চুয়াডাংগা থেকে সাধক মুহাঃ রুহুল কুদ্দুস, কুষ্টিয়া থেকে ধর্ম আলোচক দরবেশ মুহাঃ রুহুল সরকার, সনাতন ধর্মের আলোচক সাধক দরবেশ আশুতোষ গোস্যামী, মাওলানা মুহাঃ আব্দুল আলিম, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, ঢাকা শ্যামলী থেকে আগত শ্যামলী খানকা শরিফের খাদেম মুহাঃ আলী জোয়াদ্দার, কুষ্টিয়া লালন একাডেমির গবেষক দরবেশ মুহাঃ আব্দুল কাদের, যশোর সদর থেকে বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন সাধক মুহাঃ সোহেল সরকার, খানজাহান আলী দরবার শরিফের খাদেম মুহাঃ আকরাম হোসেন, নগরঘাটা থেকে দরবেশ মুহাঃ আরশাফ হোসেন, দরবেশ সাধক মুহাঃ আব্দুল খালেক সাইজী প্রমুখ। তালায় আধ্যাত্মিক সাধক এজাহার আলী মারফতি ফকিরের সাধু সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতশত সাধক অংশ গ্রহন করেন।

  • শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব

    শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব

    টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুক্রবার ২০ জানুয়ারি বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইজতেমা মাঠের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হবেন বলে আশা করছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির। আগামী রোববার ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
    বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, পায়ে হেঁটে, ট্রাকে, পিকআপ গাড়ি নিয়ে যে যেভাবে পারছেন ইজতেমায় পৌঁছেছেন। মুসল্লিরা তাদের প্রয়োজনীয় মালছামানা নিয়ে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।
    মাওলানা সাদ অনুসারী তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, ইজতেমায় বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। এখানে তাঁরা শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।
    তিনি বলেন, দেশের সব জেলা থেকে ৮৫ খিত্তার নজমের জামাত ইতিমধ্যে ময়দানে চলে এসেছেন। প্রতি খিত্তার জামাত, সেন্ট্রাল জামাতসহ দুই জামাতের প্রায় ২০ হাজার সাথি ময়দানে অবস্থান করছেন। তাঁদের নিয়ে সকাল থেকে ময়দানের বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান হয়েছে।
    এ বিষয়ে জিএমপি পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার ২০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। ইজতেমায় লাখ লাখ মানুষ আসবেন। আমাদের কাজ হলো যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
    কুমিল্লা জেলা থেকে আসা মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, মহান আল্লাহকে রাজি খুশি করাতে ইজতেমা ময়দানে এসেছি। ময়দানে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান শোনার পাশাপাশি নামাজ, তসবিহ-তাহলিল, জিকির-আসগার ও নফল ইবাদতে মশগুল থাকব।
    মালয়েশিয়া থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসল্লি জানান, দুই বছর পর টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে পেরে আমরা খুবই খুশি। আমরা বাংলাদেশেকে ভালোবাসি। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে ভালোবাসি। এ আয়োজনে সহায়তা করায় বাংলাদেশের সরকারকে অভিনন্দন জানাই।
    বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২২ জানুয়ারি ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, ২টি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ বিনামূল্যে পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোর ৪টা থেকে মোতায়েন থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

  • বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফ প্রদর্শনী হল মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে

    বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফ প্রদর্শনী হল মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন শরীফ দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধন হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে কুরআন শরীফ প্রদর্শনী দেখার জন্য বেশ আগে স্থানীয় সহ পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকে। পুরুষ, মহিলা, শিশু, কুরআন প্রেমিক সহ সব বয়সের মানুষ উপস্থিতিতে মেহেদীবাগ এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অতিথিরা মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করলে মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, উপদেষ্টা তৈয়েব হাসান বাবু সহ অপরাপর মুসল্লীরা অতিথিদের কে স্বাগত জানান। গতকাল সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে কুরআন শরীফ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, কুরআন আল্লাহর বানী। এটি মানব জাতির জন্য সঠিক পথ নির্দেশক। সাতক্ষীরার সন্তান হাবিবুর রহমান নিজ হাতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন লিখে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটি জেলা বাসির জন্য গৌরবের বিষয়। হাতে লেখা মহাগ্রন্থটি আরো কিভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্স সাতক্ষীরার মধ্যে একটি নান্দনিক মসজিদ। এখানে শুধু নামাজ আদায় হয় না নামাজের পাশাপাশি ইসলামি সাংস্কৃতিক ও সেবা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। মসজিদটি এ ধরনের কর্মকান্ড চালু থাকুক এটাই আমাদের কাম্য। তিনি মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: আসাদুজ্জামান বাবু, মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা তৈয়েব হাসান বাবু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াদুদ, গ্রাম ডা: শাহাজান আলম, সহ সভাপতি আব্দুল গনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, সদস্য আবু জাফর, গোলাম হোসেন, আনিছুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, আব্দুল জব্বার, জিয়াউর রহমান, মোয়াজ্জিন হাফেজ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতেলেখা কুরআন শরীফটি এক নজরে দেখার জন্য দিনভর দলে দলে মানুষ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে ছুটে যান। একে অপরের মুখে কথাছিল এমন হাতে লেখা কুরআন শরীফটি আগে কখনো দেখিনি। কুরআন শরীফটি সাদা কাগজে লাল নীল সহ বিভিন্ন রঙের কালিতে শোভা বর্ধন করে পবিত্র কুরআনে পরিনত হয়েছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের লেখক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর আট মাস ত্রিশ দিন ধরে বিভিন্ন রঙের ছয় শত ষাটটি কলম দিয়ে পূর্ণ কুরআন শরীফ সম্পন্ন করলাম। হাতে লেখা পবিত্র মহা গ্রন্থটির ওজন চারশত পাঁচ কেজি। যার দৈর্ঘ্য ১১ ফুট প্রস্থ ১৭ ফুট ৪ ইঞ্চি ও ১৪২ পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কুরআন শরীফটি আরো ব্যাপক আকারে পরিচিতি লাভ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়া মাসজিদের কুবা কমপ্লেক্সের সদস্য, স্থানীয় মুসল্লীবৃন্দ সহ সর্ব পর্যায়ের মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম।

  • সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুরের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুরের উদ্বোধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুরের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর যোহর বাদ প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তুরের শুভ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও সদর থানা জামে মসজিদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান।
    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এবং মসজিদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, থানা মসজিদের সহ-সভাপতি ডাঃ মুনছুর আহমেদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, মসজিদের ক্যাশিয়ার মো: রুস্তম আলী, সদস্য হাবিবুর রহমান, মঞ্জুরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, মীর আহছানুল হক, হাসান সিরাজুম মনিরসহ মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন অত্র মসজিদের পেশ ইমাম মাও সাইফুল্লাহ আনোয়ার।

  • দুর্গাপূজা : মাতৃরূপা ব্রহ্মেরই উপাসনা

    দুর্গাপূজা : মাতৃরূপা ব্রহ্মেরই উপাসনা

    কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী

    ব্রহ্ম এবং তাঁর শক্তি অভেদ্য। চিন্তার অতীত ব্রহ্মই যখন ক্রিয়াশীল হয়ে সৃষ্টি, পালন এবং লয়ে অংশগ্রহণ করেন তখন তাকেই আমরা শক্তি বা আদ্যাশক্তি বলি। জগতের সবকিছুর মূলেই এই ব্রহ্মরূপা আদ্যাশক্তি। তিনিই সৃষ্টি করেন, তিনিই পালন করেন আবার তিনিই লয় বা ধ্বংস করেন। অনন্ত তাঁর রূপ, অনন্ত তাঁর প্রকাশ এবং অনন্ত তাঁর বৈভব।

    শ্রীচণ্ডীর শুরুতেই শ্রীশ্রীচণ্ডীকার ধ্যানমন্ত্রে (ধ্যান : ৩) সেই আদ্যাশক্তি মহামায়াকে “নবকোটীমূর্তিসহিতা” বলা হয়েছে। এই বাক্যের দুই ধরনের অর্থ। নবকোটীমূর্তি বলতে প্রথমত নিত্যনতুন মূর্তিতে দেবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রকাশিতা এবং দ্বিতীয় আক্ষরিক অর্থে নবকোটীমূর্তি পরিবৃতা অর্থেও প্রযুক্ত হয়।

    “যা চণ্ডী মধুকৈটভাদিদৈত্যদলনী যা মাহিষোন্মূলিনী

    যা ধূম্রেক্ষণচণ্ডমুণ্ডমথনী যা রক্তবীজাশনী।

    শক্তিঃ শুম্ভনিশুম্ভদৈত্যদলনী যা সিদ্ধিদাত্রী পরা

    সা দেবী নবকোটীমূর্তিসহিতা মাং পাতু বিশ্বেশ্বরী।।”

    আদ্যাশক্তি মহামায়া যখন সৃষ্টি করেন, তখন তিনি সত্ত্বগুণ সম্ভূতা ব্রহ্মাণী বা মহাসরস্বতী বলে অভিহিত হন; যখন পালন করেন তখন রজোগুণ সম্ভূতা বৈষ্ণবী বা মহালক্ষ্মী বলা হয় তাঁকে এবং লয় বা ধংসের স্বরূপে মাহেশ্বরী বা মহাকালী বলে অভিহিত হন দেবী।

    “যে চণ্ডিকা মধুকৈটভাদি-দৈত্যনাশিনী, যিনি মহিষাসুরমর্দিনী, যিনি ধূম্রলোচন-চণ্ড-মুণ্ড-সংহারিণী, যিনি রক্তবীজ-ভক্ষয়ত্রী, যে মহাশক্তি শুম্ভ-নিশুম্ভ-অসুর-বিনাশিনী ও শ্রেষ্ঠা সিদ্ধিদাত্রী এবং নিত্যনতুন মূর্তিতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রকাশিতা, সেই জগদীশ্বরী দেবী আমাকে পালন করুন।”

    আরও পড়ুন : শারদীয় দুর্গোৎসব : সম্প্রীতির উৎসব

    ব্রহ্ম এবং তাঁর ক্রিয়াশীল শক্তির মাঝে অভেদ-তত্ত্ব বোঝাতে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস অসাধারণ কয়েকটি কথা বলেছেন। কথাগুলো শ্রী মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত বা শ্রীম লিখিত ‘শ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে—

    ”ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ, এককে মানলেই আর-একটিকে মানতে হয়। যেমন অগ্নি আর তার দাহিকাশক্তি; … অগ্নি মানলেই দাহিকাশক্তি মানতে হয়, দাহিকাশক্তি ছাড়া অগ্নি ভাবা যায় না; আবার অগ্নিকে বাদ দিয়ে দাহিকাশক্তি ভাবা যায় না। সূর্যকে বাদ দিয়ে সূর্যের রশ্মি ভাবা যায় না।”

    “আদ্যাশক্তি লীলাময়ী; সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় করছেন। তাঁরই নাম কালী। কালীই ব্রহ্ম, ব্রহ্মই কালী! একই বস্তু, যখন তিনি নিষ্ক্রিয়—সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কোনো কাজ করছেন না—এই কথা যখন ভাবি, তখন তাঁকে ব্রহ্ম বলে কই। যখন তিনি এই সব কার্য করেন, তখন তাঁকে কালী বলি, শক্তি বলি। একই ব্যক্তি নাম-রূপভেদ।”

    শারদীয়া দুর্গাপূজা আশ্বিনের শুক্লপক্ষে হয়। আবার কার্তিক মাসেও দেবীর পূজা হয়, যা কাত্যায়নী পূজা নামে খ্যাত। বর্তমানে আমরা বাঙালিরা যে পদ্ধতিতে দুর্গাপূজা করি এই পূজা প্রচলন করেন রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশনারায়ণ...

    সামবেদীয় কেনোপনিষদের উমা হৈমবতী আখ্যানে ব্রহ্ম এবং তৎশক্তি অভেদ, এই শাক্ত সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সুন্দরভাবে গল্পের মাধ্যমে বর্ণনা করা আছে। আদ্যাশক্তি মহামায়া যখন সৃষ্টি করেন, তখন তিনি সত্ত্বগুণ সম্ভূতা ব্রহ্মাণী বা মহাসরস্বতী বলে অভিহিত হন; যখন পালন করেন তখন রজোগুণ সম্ভূতা বৈষ্ণবী বা মহালক্ষ্মী বলা হয় তাঁকে এবং লয় বা ধংসের স্বরূপে মাহেশ্বরী বা মহাকালী বলে অভিহিত হন দেবী।

    “মহালক্ষ্মীর্ম্মহাকালী তথা মহাসরস্বতী।

    ঈশ্বরী সর্বভূতানাং সর্বকারণকারণম্‌।।

    সর্বকামার্থদা শান্তা সুখসেব্যা দয়ান্বিতা।

    নামোচ্চারণমাত্রেণ বাঞ্ছিতার্থফলপ্রদা।।”

    (দেবীভাগবত পুরাণ : ৩.৯. ৩৯-৪০)

    “অখিল ভূতগণের ঈশ্বরী, সমুদয় কারণের কারণ সেই মহামায়াই মহালক্ষ্মী, মহাকালী ও মহাসরস্বতী। সেই পরম দয়াবতী শান্তময়ী দেবীকে সেবা করাও ক্লেশকর নহে এবং তাঁর আরাধনায় সর্বফল লাভ হয়। অধিক কি তাঁর নাম উচ্চারণ মাত্রেই বাঞ্ছিত ফল লাভ হয়।”

    আরও পড়ুন : এই দুঃখ কোথায় রাখি?

    শ্রীচণ্ডীতে তিনটি চরিত্রে আদ্যাশক্তি মহামায়ার তিনটি প্রধান রূপেরই বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম চরিত্রে (প্রথম অধ্যায়) দেবী মহাকালিকা রূপে মধুকৈটভকে বধ করেছেন। দ্বিতীয় চরিত্রে (দ্বিতীয়-চতুর্থ অধ্যায়) দেবী মহালক্ষ্মী রূপে মহিষাসুর বধ করেছেন এবং তৃতীয় বা উত্তর চরিত্রে (পঞ্চম-ত্রয়োদশ) দেবী মহাসরস্বতী রূপে শুম্ভনিশুম্ভকে বধ করেছেন।

    শ্রীচণ্ডীতে আমরা দেখি যিনি কালী, তিনিই লক্ষ্মী এবং তিনিই সরস্বতী। কিন্তু আমরা প্রচলিত বাঙালি বিশ্বাসে দেখি দেবী দুর্গার দুই মেয়ে লক্ষ্মী এবং সরস্বতী; কিন্তু শ্রীচণ্ডী অনুসারে তাঁরা সকলেই এক আদ্যাশক্তি মহামায়া দুর্গা। শুধুমাত্র প্রকাশ বিভিন্ন। শ্রীচণ্ডীর দেবীকবচে নবদুর্গা নামে দেবীর নয় প্রকার রূপের কথা ব্যক্ত হয়েছে।

    “প্রথমং শৈলপুত্রীতি দ্বিতীয়ং ব্রহ্মচারিণী।

    তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্।।

    পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠং কাত্যায়নী তথা।

    সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমম্।।

    নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ নবদূর্গাঃ প্রকীর্তিতাঃ।

    উক্তান্যেতানি নামানি ব্রহ্মণৈব মহাত্মনা।।”

    (দেবীকবচ : ৩-৫)

    “প্রথম শৈলপুত্রী, দ্বিতীয় ব্রহ্মচারিণী, তৃতীয় চন্দ্ৰঘণ্টা, চতুর্থ কুষ্মাণ্ডা, পঞ্চম স্কন্দমাতা, ষষ্ঠ কাত্যায়নী, সপ্তম কালরাত্রি, অষ্টম মহাগৌরী এবং নবম মোক্ষপ্রদাত্রী সিদ্ধিদাত্রী; দেবীর এই নবরূপই নবদুর্গা নামে প্রকীর্তিতা। এই সকল নাম ব্রহ্মের দ্বারাই উক্ত হয়েছে।”

    আরও পড়ুন : ধর্ম যার যার থাকুক, উৎসব হোক সবার

    সেই আদ্যাশক্তি মহামায়া দুর্গাই কালী, লক্ষ্মী, সরস্বতী ইত্যাদি বিবিধ নামে প্রকাশিতা। বৈদিককাল থেকেই তাঁর পূজা প্রচলিত। আশ্বলায়ন শাখার ঋগ্বেদ সংহিতার দশম মণ্ডলের রাত্রিসূক্তে রাত্রিরূপা আদ্যাশক্তি ভগবতী দুর্গাকে ক্ষীরসহ পঞ্চগব্যাদি দিয়ে দেবীর শ্রীবিগ্রহকে অভিষিক্ত করে চন্দনাদি দ্বারা অনুলিপ্ত করে “নমো দুর্গে নমো নমঃ” মন্ত্রে দেবীর গলায় বিল্বপত্রের মালা প্রদান করে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের নির্দেশনাও রয়েছে।

    “ক্ষীরেণ স্নাপিতা দুর্গা চন্দনেনানুলেপিতা।

    বৈল্বপত্রকৃতামালা নমো দুর্গে নমো নমঃ।।”

    (আশ্বলায়ন শাখার ঋগ্বেদ সংহিতা : ১০.১২৮.৮)

    দুর্গাপূজা এই বঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। বঙ্গের বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রকারদের বিধানেও আমরা দুর্গোৎসবের সরব উপস্থিতি পাই...

    পুষ্পপত্র, চন্দনাদি অনুলেপন এবং দেবীর শ্রীবিগ্রহের অভিষেকসহ বিবিধ উপাচারে দেবীর পূজাও পদ্ধতিও বৈদিক। অর্থাৎ অনেকেই বলেন, বৈদিকযুগে প্রতিমাপূজা ছিল না, প্রতিমা পূজা পদ্ধতি অবৈদিক, তাদের কথাগুলো সত্য নয়। তারা অনেকটা বেদ সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে না জেনেই ব্যক্তিগত বা জনপ্রিয় প্রচলিত ধারণার বশবর্তী হয়ে বলেন।

    একই সত্ত্বার শুধুমাত্র প্রকাশ বিভিন্ন হওয়ার কারণে এই দৃশ্যমান বিভিন্ন স্বরূপ দেখে মায়ার প্রভাবে বিভ্রান্ত হয়ে যাই আমরা প্রতিনিয়ত। উপাস্য রুচির বৈচিত্র্যের জন্যে একই ব্রহ্মের আলাদা আলাদা রূপের প্রকাশ। আমরা এক পরমেশ্বর ছাড়া দ্বিতীয় কারো উপাসনা করি না। বেদে বিভিন্ন মন্ত্রে অত্যন্ত সুন্দর এবং স্পষ্ট করে বিষয়টা বলা আছে।

    “ইন্দ্রং মিত্রং বরুণমগ্নি-মাহু রথো

    দিব্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান্।

    একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্তি

    অগ্নি যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ।।”

    (ঋগ্বেদ সংহিতা : ১.১৬৪.৪৬)

    আরও পড়ুন : মিলেছি প্রাণের উৎসবে

    “সেই সদ্বস্তু অর্থাৎ পরব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয়। কিন্তু জ্ঞানীগণ তাঁকেই ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, অগ্নি, দিব্য (সূর্য), সুপর্ণ, গরুড়, যম, বায়ু ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকেন।”

    “ন দ্বিতীয়ো ন তৃতীয়শ্চতুর্থো নাপুচ্যতে।

    ন পঞ্চমো ন ষষ্ঠঃ সপ্তমো নাপুচ্যতে।

    নাষ্টমো ন নবমো দশমো নাপুচ্যতে।

    য এতং দেবমেক বৃতং বেদ।।”

    (অথর্ববেদ সংহিতা : ১৩.৪.২)

    “পরমাত্মা এক, তিনি ছাড়া কেহই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম বা দশম ঈশ্বর বলে অভিহিত হয় না। যিনি তাঁহাকে শুধু এক বলে জানেন একমাত্র তিনিই তাঁকে প্রাপ্ত হন।”

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক সম্প্রীতির দেশ!

    বৈদিক একত্ববাদের মতো শ্রীচণ্ডীতেও অসংখ্য স্থানে দেবীর অদ্বৈতবাদী একত্ব বর্ণিত আছে। উত্তর চরিত্রে দেবী ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, ঐন্দ্রী, নারসিংহী, বারাহী এবং চামুণ্ডা এই অষ্টমাতৃকা শক্তিকে সাথে নিয়ে শুম্ভনিশুম্ভের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

    যুদ্ধে দেবীর হাতে শুম্ভের প্রাণতুল্য ভাই নিশুম্ভ বধ হয়। শুম্ভ ভাইকে নিহত হতে দেখে এবং সকল সৈন্যবল বিনষ্ট হতে দেখে, উত্তেজিত হয়ে দেবীকে বলেন, “হে উদ্ধতা দুর্গা, তুমি গর্ব করিও না তুমি অন্যান্য বিভিন্ন দেবীকে সাথে নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত করছো, তাই গর্বিত হওয়ার কিছুই নেই।” শুম্ভের ক্রোধভরা উক্তি শুনে দেবী তখন বলেন—

    “একৈবাহং জগতত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা।

    পশ্যৈতা দুষ্ট ময্যেব বিশন্ত্যো মদ্বিভূতয়ঃ।।”

    (শ্রীচণ্ডী : ১০.০৫)

    “আমিই একমাত্র জগতে বিরাজিতা। আমার অতিরিক্ত অন্য দ্বিতীয়া আর কে আছে জগতে? ওরে দুষ্ট, ব্রহ্মাণী এই সকল দেবী আমারই অভিন্না বিভূতি। এই দেখ ওরা আমাতেই মিলে বিলীনা হয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থাৎ দেবী এক থেকে বহু হয়েছিলেন, আবার বহু থেকে আবার এক অদ্বৈত হয়ে গেলেন।

    “একই শক্তির শুধু বিভিন্নরূপের প্রকাশ চারিদিকে

    নিরাকারকে সাকারে বাধার ভক্তচেষ্টা।

    সরস্বতী-লক্ষ্মী-কালী এ ত্রিধা মূর্তি পরিব্যাপ্ত,

    সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ গুণপ্রতিভূ হয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে।

    অণুতে পরমাণুতে সর্বত্রই চলছে সেই

    চিন্ময় শক্তির নিয়ত প্রকাশের খেলা।

    সৃষ্টির আনন্দ, স্থিতির অভিভাবকত্ব;

    ধ্বংসের মুক্তির প্রশান্তি সর্বত্রই সেই কারণমময়ী।

    তিনি অনন্তরূপী,তাঁর কোনো প্রাকৃত মূর্তি নেই,

    সন্তানের শুদ্ধমানসলোকই তাঁর মূর্ত্তির উৎস।”

    বাঙালিরা ষষ্ঠী থেকে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজা শুরু করে বিজয়া দশমীতে দশমীবিহিত বিসর্জনাঙ্গ পূজা, সিঁদুর খেলা এবং পরিশেষে নৃত্যগীতাদির সাথে বিসর্জনের মাধ্যমে পাঁচদিনের বর্ণাঢ্য দুর্গোৎসব সমাপ্ত করেন...

    সমস্যা বাধে তখনই, যখন আমরা যার যার ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকেই যে যে মতাবলম্বী সবাইকে সেই সেই মতাবলম্বী বানাতে চাই। আমরা ভুলে যাই বেদান্তসূত্রের চতুর্থসূত্রকে। “তত্তু সমন্বয়াৎ (১.১.৪)।” এই সূত্রেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিভিন্ন মত-পথ নির্বিশেষে সকল মত-পথই ব্রহ্ম লাভ এবং উপলব্ধির এক একটি পন্থা। তিনিই জীবকে অজ্ঞানতার মায়ার ডোরে বদ্ধ করেন, আবার তিনিই সেই বন্ধন থেকে মুক্তি দেন।

    আরও পড়ুন : ফিরে আসুক সম্প্রীতি

    ঋগ্বেদ সংহিতায় দেবী বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রী অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের চালিকা শক্তি ঈশ্বরী। যে সব সাধক তার উপাসনা করে, সেই সব উপাসকদের তিনি মুক্তিরূপ নিঃশ্রেয়স ধন এবং জাগতিক আভ্যুদয়িক ধন প্রদান করেন। প্রত্যেকটি জীবের হৃদয়ের মাঝেই তিনি বিরাজিতা। তিনি যজ্ঞের অধিষ্ঠাত্রী, সব দেবতাগণের তিনি শক্তিস্বরূপা এবং অগ্রগণ্যা।

    বিবিধ রূপে প্রকাশিত হলেও তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তিনিই জগৎ প্রপঞ্চরূপে অনন্তভাবে, অনন্তরূপে নিমিত্ত এবং উপাদান কারণ হয়ে বিরাজ করেন। তিনিই নিমিত্ত কারণ হয়ে জগতকে পরিচালনা করেন, আবার তিনিই উপাদান কারণ হয়ে এই জগতের জড় চেতন সকল কিছুতেই বিরাজ করেন।

    তিনিই জীবাত্মা হয়ে জীবের মধ্যে প্রবিষ্টা জীবের প্রাণকে সচল রাখেন। রূপ থেকে রূপান্তরে সর্বদেশে, সর্বকালেই তিনি পূজিতা। প্রাণীকুল থেকে দেবতা সকলেই বিবিধভাবে তাকে আরাধনা করে। তিনি যেহেতু অনন্য এবং অনন্ত; তাই তাঁর উপাসনা পদ্ধতিও অনন্ত।

    “অহং রাষ্ট্রী সংগমনী বসুনাং

    চিকিতুষী প্রথমা যজ্ঞিয়ানাম্।

    তাং মা দেবা ব্যদধুঃ পুরুত্রা

    ভূরিস্থাত্রাং ভূর্যাবেশয়ন্তীম্।।”

    (ঋগ্বেদ সংহিতা : ১০.১২৫.৩)

    “আমি রাষ্ট্রী অর্থাৎ সমগ্র জগতের ঈশ্বরী। আমি উপাসকগণের ধন প্রদাত্রী। আমি পরব্রহ্মকে আত্মস্বরূপে অভিন্নরূপে প্রত্যক্ষ জেনেছি। আমি যজ্ঞিয় দেবতাগণের প্রধানা। জগৎ প্রপঞ্চরূপে আমি অনন্তভাবে অবস্থান করি এবং জীবাত্মা হয়ে জীবের মধ্যে প্রবিষ্টা। আমাকেই সর্বদেশে সুরনরাদি যজমানগণ বিবিধভাবে আরাধনা করে।”

    আরও পড়ুন : অর্থনীতি যখন উৎসবের অংশ

    ঈশ্বরকে মাতৃরূপে আরাধনা সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয় সারা পৃথিবীব্যাপী ছিল সৃষ্টিকর্তাকে মাতৃরূপে আরাধনার প্রভাব। প্রত্যেকটি জাতির জীবনেই দেখি ঈশ্বরীরূপা মহাদেবীর অবস্থান। যেমন, সেমিটিকদের মধ্যে ছিল দেবী ননা, অনৎ; আরবদের ছিল ঈশ্বরীস্বরূপা সর্বশক্তিমান অল্লৎ; ব্যাবিলন ও আসিরিয়াতে ইশতার; পারস্যে ছিলেন মহাদেবী অর্দ্বি; ফিনিশিয়দের হলেন মিলিত্তা; মিশরের অন্যতম প্রধান দেবী হলেন আইসিস; এথেন্সের হলেন এথিনি; গ্রিকদের হলেন আর্তিমিস; রোমানদের হলেন ডায়না। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাচীন খুব কম জাতিই আছে যাদের জীবনে একজন শক্তি স্বরূপা মহাদেবী নেই।

    আমাদের প্রচলিত ধারণা মতে, বসন্তকালের দুর্গাপূজাই প্রকৃত পূজা। কিন্তু এই তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীচণ্ডীতে জগন্মাতা দুর্গা নিজেই তাঁর বাৎসরিক পূজা শরৎকালে করতে বলেছেন। বাল্মীকিরচিত রামায়ণে কোথাও শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক দুর্গাপূজার কথা পাওয়া যায় না। অবশ্য বাল্মীকিরচিত রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ডে বা লঙ্কাকাণ্ডে একটা শ্লোকে (৮৫.৩৪) ব্রহ্মার বিধান দ্বারা রঘুনন্দনের মহামায়া পূজার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে দুর্গাপূজা বিস্তৃতভাবে পাওয়া যায় কৃত্তিবাস ওঝার (আনু. ১৩৮১-১৪৬১) লেখা কৃত্তিবাসী বাংলা রামায়ণে।

    “শরৎকালে মহাপূজা ক্রিয়তে যা চ বার্ষিকী।

    তস্যাং মমৈতম্মাহাত্ম্যং শ্রুত্বা ভক্তিসমন্বিতঃ।।”

    (শ্রীশ্রীচণ্ডী : ১২.১২)

    “শরতকালে আমার যে বাৎসরিক মহাপূজা অনুষ্ঠিত হয় তাতে সবাই ভক্তি সহকারে আমার মাহাত্ম্য কথারূপ শ্রীচণ্ডী পাঠ করে শুনবে।”

    দুর্গাপূজার প্রচলন বা মাহাত্ম্য সম্পর্কে মার্কণ্ডেয় পুরাণের ৮১-৯৩ অধ্যায় যা আমাদের কাছে শ্রীচণ্ডী নামে খ্যাত। এই শ্রীচণ্ডীর তেরটি অধ্যায়ের ৫৭৮টি শ্লোক এবং ৭০০টি মন্ত্রে দেবী মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুরাকালে রাজ্যহারা রাজা সুরথ এবং স্ত্রী-সন্তানদের দ্বারা প্রতারিত সমাধি নামক এক বৈশ্য একদিন মেধা ঋষির আশ্রমে যান। সেখানে তাঁর নির্দেশে তাঁরা দেবীদুর্গার মৃন্ময়ী প্রতিমায় পূজা করেন এবং দেবীসূক্ত জপ করেন। পূজায় সন্তুষ্টা হয়ে দেবী তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। কৃত্তিবাসী রামায়ণ এবং কালিকা পুরাণ থেকে জানা যায়, শ্রীরামচন্দ্র রাবণবধের জন্য অকালে শরৎকালে যুদ্ধজয় করতে দেবীকে পূজা করেছিলেন। তখন থেকে এই পূজার নাম হয় অকালবোধন বা শারদীয়া দুর্গাপূজা। চৈত্রের শুক্লপক্ষেও দেবীর পূজা হয় যা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে খ্যাত।

    শারদীয়া দুর্গাপূজা আশ্বিনের শুক্লপক্ষে হয়। আবার কার্তিক মাসেও দেবীর পূজা হয়, যা কাত্যায়নী পূজা নামে খ্যাত। বর্তমানে আমরা বাঙালিরা যে পদ্ধতিতে দুর্গাপূজা করি এই পূজা প্রচলন করেন রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশনারায়ণ, তিনি ছিলেন মনুসংহিতার টীকাকার কুল্লুক ভট্টের বংশধর।

    কংশনারায়ণকে পূজা পদ্ধতি প্রদান করেন রাজপুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী। দুর্গাপূজা এই বঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। বঙ্গের বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রকারদের বিধানেও আমরা দুর্গোৎসবের সরব উপস্থিতি পাই। জীমূতবাহনের (আনু. ১০৫০-১১৫০) দুর্গোৎসব নির্ণয়, বিদ্যাপতির (১৩৭৪-১৪৬০) দুর্গাভক্তি তরঙ্গিণী, শূলপাণির (১৩৭৫-১৪৬০) দুর্গোৎসব বিবেক, বাচস্পতি মিশ্রের (১৪২৫-১৪৮০) ক্রিয়া চিন্তামণি, শ্রীচৈতন্যদেবের সমসাময়িক রঘুনন্দনের (১৫শ-১৬শ শতক) তিথিতত্ত্ব গ্রন্থেও দুর্গাপূজার বিধান পাওয়া যায়।

    রাজশাহীর তাহেরপুরের রাজা কংশনারায়ণের পরবর্তীতে, নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০-১৭৮৩) বিভিন্ন আড়ম্বর এবং চাকচিক্যের মাধ্যমে দুর্গাপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। একবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে এসে দুর্গাপূজা রাজা, মহারাজা এবং জমিদারদের হাত থেকে বেড়িয়ে সর্বজনীন এক মহোৎসবে পরিণত হয়ে যায়। এই মহোৎসবের পরিধি বাড়তে বাড়তে আজ সারাবিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে।

    আজ দুর্গোৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটি ছোট, বড় শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বর্ণাঢ্য মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। শুক্ল পক্ষের অষ্টমী, নবমী এবং বিজয়া দশমী সারা পৃথিবীতেই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। কেউ হয়তো ভাদ্র কৃষ্ণা নবমী থেকে পূজা শুরু করে, কেউ প্রতিপদ থেকে, কেউ বা পঞ্চমী থেকে।

    বাঙালিরা ষষ্ঠী থেকে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজা শুরু করে বিজয়া দশমীতে দশমীবিহিত বিসর্জনাঙ্গ পূজা, সিঁদুর খেলা এবং পরিশেষে নৃত্যগীতাদির সাথে বিসর্জনের মাধ্যমে পাঁচদিনের বর্ণাঢ্য দুর্গোৎসব সমাপ্ত করেন।

    দেবী দুর্গা যে রাজা-প্রজা, ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ নির্বিশেষে সকলেরই মা এবং তিনি যে সর্বস্থানেই বিরাজ করেন এই সরল তত্ত্বীয় বিষয় বোঝাতেই দেবীর মহাস্নানে সমাজের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত রাজার দ্বারের মাটি যেমন লাগে; পক্ষান্তরে সমাজের সর্বোচ্চ অপাংক্তেয় বেশ্যার দ্বারের মাটিসহ আরও বহু স্থানের মাটি, জলের প্রয়োজন হয়। অবশ্য বেশ্যা শব্দটি গণিকা শব্দের বাইরে ভিন্ন অর্থও হয়। তন্ত্র মতে বেশ্যা শব্দের অর্থ, কৌল অভিসিক্তা নারী অর্থাৎ শাক্ত মতে, সাধন পথে অভিষিক্তা নারীকেও বোঝায়।

    দেবী দুর্গার সর্বজনীনতার এই বিষয়টি বুঝতে হলে এই ভূখণ্ডের মনন প্রয়োজন। চোখের দৃষ্টিপথে বৈদেশিক সংস্কৃতির চশমা পরিধান করে থাকলে, কখনো বিষয়টি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।

    কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী ।। সহকারী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • হজ পালনে বয়সের বিধিনিষেধ না থাকার সম্ভাবনা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক: ৬৫ ঊর্ধ্ব বয়সী বাংলা‌দে‌শি হজযাত্রীরা বয়সসীমার কার‌ণে চল‌তি বছর হজ কর‌তে পা‌রেন‌নি। আগামী‌তে হ‌জের এই বয়সসীমা না-ও থাক‌তে পা‌রে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

    মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি একথা ব‌লেন।

    প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, ৬৫ বছরের বিধিনিষেধের বিষয়টিও এবার না-ও থাকতে পারে। এ জিনিসটা আমরা এরই মধ্যে তাদের কাছে জানতে পেরেছি। এটা (৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনে বাধা না থাকা) যদি হয়, তাহলে আমাদের সিরিয়াল মেইনটেইন করে সহজে হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের যতটুকু আনঅফিসিয়াল কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী তাদের বিষয়ে যতটুকু জেনেছি, এবার হয়তো পূর্ণ হজই হবে ইনশা আল্লাহ। গত বছর আমাদের যেটা হয়েছিল সেটা হয়তো না-ও হতে পারে। এবার হয়তো রেশিও হিসেবে আমরা যতটুকু পাওয়ার, ততটুকু পাবো।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর ১০ হাজার (৬৫ বছরের বেশি বয়সী) মানুষ হজে যেতে পারেননি। এর মধ্যে ৭ হাজার রিপ্লেস করেছেন তারা সবাই। আর বাকি ৩ হাজার আমরা ইচ্ছামতো আবদার করার কার‌ণে। আগামী বছর এ সিস্টেম চালু হলে কারও কোনও আবদার রক্ষা করার সুযোগ আমাদের থাকবে না। তখন পুরো সিরিয়াল মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের জন্য সেটা ভালো।

    সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে দ্রুত প্রাক-নিবন্ধন করার পরামর্শ দিয়ে ফরিদুল হক খান বলেন, হয়তো এখনও আগামী বছর হজে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ১০ দিন পর সেটা হয়তো থাকবে না। ১২ হাজার পার হয়েছে। সরকারিভাবে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার পেতে পারি। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে এবার বাংলাদেশের পূর্ণ কোটার হজযাত্রীরা সৌদি আরবে হজে যেতে পারবেন।

    এসময়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর, সদস‌্য শামসুল ইসলাম, মাসউদু্ল হক প্রমুখ উপস্থিত ছি‌লেন।

  • মাসজিদে কুবা পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব ও গনযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় মেহেদীবাগাস্থ মাসজিদে কুবা মসজিদ পরিদর্শন আসেন ও নামাজ আদায় করেন অতিরিক্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মোঃ আজমল হোসেন ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ তৈয়েব আলী।

    গতকাল জোহর নামাজের পূর্বে মাসজিদে কুবায় অতিথিরা প্রবেশ করলে মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ সহ অপরাপর মুসল­ীরা তাদেরকে স্বাগত জানান। তারপর অতিথিরা মাসজিদে কুবায় জোহর নামাজ আদায় করেন। জোহর নামাজ শেষে পরিদর্শন কালে অতিথিরা মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসল­ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শহরের মধ্যে একটি নান্দনিক মসজিদ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক, মাসজিদে কুবার কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, আবু জাফর প্রমুখ। এছাড়া মাসজিদে কুবার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মুসল­ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা

    জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (০১ জুলাই) শহরের পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ জেলা মন্দির প্রাঙ্গণ জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মন্ডলের সভাপতিত্ব রথযাত্রার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম কাইয়ুম, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জি, নিত্যানন্দ আমীন, জেলা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক অপূর্ব আদিত্য, জেলা মন্দির সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ রঘুজিৎ গুহ, রথযাত্রা উদযাপন কমিটি ২০২২ এর আহ্বায়ক অসীম কুমার দাস সোনা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ফিতা কেটে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সাতক্ষীরা জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাস।

  • মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

    মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

    অনলাইন ডেস্ক   

    মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

    ইসলামের সম্মানিত স্থান মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারির দুই বছর পর অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজে মুসল্লিদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আজ সোমবার (২ মে) রমজান মাসের ত্রিশ রোজার পর মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে ঈদের নামাজ হয়।  

    kalerkantho

    মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের নামাজের ইমাম ছিলেন শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ।

    বিজ্ঞাপন মসজিদুল হারামে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।  

    kalerkantho

    এদিকে মদিনার পবিত্র মসজিদে নববিতে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন শেখ আলি হুজাইফি। তাতে মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সাউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল ঈদের জামাতে অংশ নেন।  

  • সাতক্ষীরায় এইচসিজি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের ইফতার

    সাতক্ষীরায় এইচসিজি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের ইফতার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ভারতের স্বনামধন্য ক্যান্সার হসপিটাল এইচ,সি,জি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের আয়োজনে এবং এম,এস কম্পিউটারের পরিচালনায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতক্ষীরাতে একটি চাইনিজের ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এইচ,সি,জি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের বাংলাদেশ রিজনের মার্কেটিং ম্যানেজার বিপুল বিশ^াস। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এম,এস কম্পিউটারের পরিচালক মীর শাহারিয়ার (অপু), সহযোগিতায় মীর বায়েজীদ হোসেন, ইব্রাহীম হোসেন, অভিক রহমার হযরত। উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার বিশিষ্টি ব্যবসায়ী সমাজসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • স্বনাতন ধর্মী অন্যতম প্রধান উৎসব  বিদ্যার দেবী সরস্বতী’র পূজা

    স্বনাতন ধর্মী অন্যতম প্রধান উৎসব বিদ্যার দেবী সরস্বতী’র পূজা

    • আঃজলিল(শার্শাযশোর)প্রতিনিধিঃ

    সরস্বতী বিদ্যা ও সংগীতের দেবী। শিক্ষা, সংগীত ও ললিতকলার সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা সরস্বতীকে আরাধনা করেন। এছাড়াও জ্ঞান,বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থী ছাড়াও সর্বসাধারণ এই পূজা করেন বিধায় হিন্দুদের কাছে একটি অন্যতম প্রধান উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামে পরিচিত। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও পূজার বর্তমান রূপটি আধুনিক কালে প্রচলিত। তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতিমাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াতকলম রেখে পূজা করা হতো। শ্রী পঞ্চমী তিথিতে ছাত্রেরা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট,দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত।গ্রাম অঞ্চলে এই প্রথা বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। শহরের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে পূজা করতেন। আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। শ্রী পঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন হয়। সরস্বতী পূজা সাধারণ পূজার নিয়মানুযায়ী হয়।তবে এই পূজায় কয়েকটি বিশেষ উপাচারের প্রয়োজন হয়। তাহলো অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত- কলম ও যবের শিষ।পূজার জন্য বাসন্তী রঙের গাঁদা ও পলাশ ফুলের প্রয়োজন হয়। লোকাচার অনুসারে ছাত্র- ছাত্রীরা পূজার পূর্বে কুল খায় না।পূজার দিন কিছু লেখাও পড়া নিষিদ্ধ। যথাবিহিত পূজার পর লক্ষ্মী, নারায়ন, দোয়াত- কলম,পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রেরও পূজা করার প্রথা প্রচলিত আছে। এইদিন ছোটদের হাতেখড়ি দিয়ে শিক্ষা জীবন শুরু হয়। পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার প্রথাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ছাত্র ছাত্রীদের দল বেঁধে অঞ্জলি দিতে দেখা যায়। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশা ও নেপালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। শ্রী পঞ্চমীর দিন খুব ভোরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে ও সার্ব্বজনীন পূজামন্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে এই দিন শিশুদের হাতে খড়ি, ব্রাহ্মণ ভোজন ও পিতৃতর্পণ প্রথাও প্রচলিত। পূজার দিন সন্ধ্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সার্ব্বজনীন পূজা মন্ডপ গুলিতে আরতী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পূজার পরদিন পুনরায় পূজার পর চিড়ে ও দই মিশিয়ে দধিকরম্ব বা দধিকর্মা নিবেদন করা হয়। এরপরে পূজা শেষ হয় এবং সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জ্জন দেওয়া হয়।