দেবহাটা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটায় ককটেল ফাঁটিয়ে নাশকতাকালে ৬ নাশকতাকারি ও পৃথক অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে অবিষ্ফোরিত ৪টি ককটেল ও বিষ্ফোরিত এবং ককটেল তৈরীর সরঞ্জাম এবং ১৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মাহাবুর রহমান, এসআই হাফিজুর রহমান ও এসআই শোভন দাসের নের্তৃত্বে পুলিশ সদস্যরা বসন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী বসন্তপুরের হামিদ সরদারের ছেলে আব্দুল্যাহ সরদার (৩১) এবং একই গ্রামের বাবলু শেখের ছেলে আলামিন শেখ (২২) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা (নং-১৪) দায়ের হয়েছে।
অপরদিকে শনিবার ভোররাতে পারুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একদল নাশকতাকারি নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাশকতাকারিরা কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিষ্ফোরিত ককটেল এবং বিষ্ফোরিত ও ককটেল তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধারসহ হাতেনাতে উত্তর কুলিয়ার মৃত নূর আলী গাজীর ছেলে আবু লাহাব ওরফে লাপ্পা (৩৬), দক্ষিণ কুলিয়ার মৃত ফজর আলীর ছেলে মোহাম্মাদ আলী গাজী (৫৩), পারুলিয়া ফুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২), পুষ্পকাটির মঞ্জুরুল গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৮), মাঝ পারুলিয়ার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে রমজান আলী (৫২) ও ভাতশালা গ্রামের মৃত অহেদ বিশ্বাসের ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু (৫২) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিষ্ফোরক উপাদানাবলি আইনে মামলা (নং-১৫) দায়ের শেষে বিচারার্থে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবহাটা থানার ওসি মো. বাবুল আক্তার।
Category: দেবহাটা
-

দেবহাটায় ককটেল ফাঁটিয়ে নাশকতাকালে ৬ জনসহ গ্রেপ্তার-৮
-

দেবহাটায় প্রধান শিক্ষক তহিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে তদন্ত
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী দুই চাকুরি প্রত্যাশী, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
এরআগে সখিপুর ইউনিয়নের মাঘরী গ্রামের মৃত বাবুর আলীর ছেলে রুহুল আমিন খোকন দাপ্তরিক পদে তার ছেলে জাকারুল ইসলামের চাকুরি বাবদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং কাজিমহল্যা গ্রামের শহিদুল ইসলাম পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে তার স্ত্রী মরিয়ম খাতুনের চাকুরি বাবদ ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীদের দায়েরকৃত পৃথক অভিযোগের সুত্র ধরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্তকালে মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদসহ লিখিত জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়।
তদন্তকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, দেবহাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলাইমান হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, বিদ্যালয়টি বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতুসহ ভুক্তভোগীদের পরিবার ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। -

দেবহাটায় হাট-বাজারের ইজারা সম্পন্ন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দরপত্র দাখিল করেন আগ্রহীরা। পরে বিকাল ৩টায় নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে টেন্ডারবক্স খোলা ও দাখিলকৃত দরপত্রের মূল্যায়ণ ও যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পারুলিয়া পশুহাটটি সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আলফা’র পুত্র আশিকুর রহমান আশিক, কুলিয়া নতুন বাজারটি রবিউল ইসলাম শেখ, সখিপুর বাজারটি পিয়ার আলী, ঈদগাহ বাজারটি রুহুল আমিন খোকন, দেবহাটা বাজারটি আহছান উল্লাহ রিপন, গাজীরহাট বাজারটি আব্দুল করিম, সুবর্ণাবাদ বাজারটি আহছান উল্লাহ রিপন, টাউনশ্রীপুর বাজারটি শফিকুল ইসলাম, পারুলিয়া মৎস্য সেডটি আব্দুল কাদের, বহেরা বাজারটি তরিকুল ইসলাম আগামী বাংলা ১৪৩০ সনের জন্য ইজারা পান। এসময় সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার অধীর গাইন, প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক আজিজুল হক আরিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
-

দেবহাটায় জলাতঙ্ক রোধে ৫ দিনব্যাপী ভ্যাক্সিন কার্যক্রম শুরু বৃহস্পতিবার
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় কুকুরের ভ্যাক্সিন কার্যক্রম আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। এই বিশেষ কর্মসূচিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় এক্সপার্টদের একাধীক টিম কুকুর ও বিড়ালের খুঁজে বের করে প্রতিরোধক ভ্যাক্সিন প্রদান করবেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে অবহিতকরণ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে উক্ত অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ। বক্তব্যদেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ বিপ্লব মন্ডল, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ তহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহজাহান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমডিভি) কার্যক্রমের ফিল্ড সুপারভাইজার কাওসার আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমডিভি) কার্যক্রমের ফিল্ড সুপারভাইজার জনকল্যান চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
বক্তরা বলেন, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি। এ রোগের মৃত্যুর হার শতভাগ। জলাতঙ্গ রোগ মুলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড় ও আঁচড় থেকে হতে পারে। বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ জলাতঙ্কে মারা যেত এবং গবাদী পশুর মৃত্যুর সংখ্যা অগনিত ছিল। ২০১১ সাল থেকে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে এটি ২০১৬ সালে ৯০% এর নিচে নামিয়ে আনে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন সরকার। যার মধ্যে ভ্যাক্সিন কার্যক্রম অন্যতম। জলাতঙ্ক একটি তীব্র ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রায় সবসময়ই মারাত্মক। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বানরের মাধ্যমে সংক্রমন হয়ে থাকে। প্রথম পর্যায়ে বাদুড় থেকে এই ভাইরাস অন্যপ্রাণি বহন করে সব শেষে মানুষে দেহে প্রবেশ করে। আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে অন্য মানুষ সংক্রমনিত হয় না। এ জন্য বেশি বেশি সচেতনতা দরকার। এমনকি আক্রান্ত প্রাণি থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করার আগে প্রতিরোধ করা গেলে ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব। যেহেতু প্রাণীর লালার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়। বিপথগামী কুকুরগুলি সংক্রমণের সবচেয়ে সম্ভাব্য উৎস, সে কারণে পোষা প্রাণীদের টিকা দেওয়া হয়। যদি একটি উন্মত্ত প্রাণী একজন ব্যক্তির উপর একটি খোলা ক্ষত চাটতে পারে, তাহলে ভাইরাসটি সহজে সংক্রমণ হতে পারে। মাথা এবং ঘাড়ের ক্ষতগুলি আরও বিপজ্জনক কারণ সংক্রমণ দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে। জলাতঙ্কের উপসর্গ এবং লক্ষণগুলি রোগের শেষ পর্যায়ে দেখা যায় না, এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে এবং এর পরেই মৃত্যু ঘটে। প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল: মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, জ্বর এবং কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি। অত্যধিক লালা নিঃসরণ, গিলতে অসুবিধা, গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয়, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অনিদ্রা এমনকি আংশিক পক্ষাঘাত এবং কখনও কখনও কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত দেয়। ব্যক্তি শব্দ, আলো এবং এমনকি বাতাসের ভয় দেখা যায়।
বক্তরা আরো বলেন, জলাতঙ্ক ৩টি স্থরের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রথমত যদি কোন মানুষকে কুকুর, বিড়াল বা শিয়ালে কামড়ে বা আঁচড় বা জিহ্বা দিয়ে কোন স্থানে চাটতে পারে তাহলে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত বের না হয় সেক্ষেত্রে ওই স্থানে সাবান পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জাতীয় জিনিস দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট ধরে ধুতে ফেলতে হবে। ২য় স্থরে যদি কোন ব্যক্তিকে কামড় দেয় সেই স্থান থেকে রক্ত নিগত হতে থাকে তাহলে ক্ষত স্থান চেপে ধরে রাখতে হবে এবং সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এমনকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে কিংবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের নিকট হতে ভ্যাক্সিন গ্রহন করতে হবে। ৩য় স্থরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি একাধিক স্থানে কামড়িয়ে জখম করে থাকে সেক্ষেত্রে যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সেখানে ডাক্তারের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে জলাতঙ্ক সাথে সাথে ছড়িয়ে না পড়লেও এটি ১০/১৫ বছর পরেও লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই ঝাঁড় ফুক না দিয়ে রুগিকে সরাসরি চিকিৎসকের নিকট নিয়ে এসে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে হবে। মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগে যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দেশ থেকে জলাতঙ্ক কমে যাবে। সে জন্য বিপথগামী কুকুর, পোষা প্রাণীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। এজন্য এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। -

দেবহাটা সরকারি বিবিএমপি ইনস্টিটিউশনের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা সরকারি বিপিন বিহারী মেমোরিয়াল পাবলিক ইনস্টিটিউশন (পাইলট হাইস্কুল) এর প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনঃমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রে দিনব্যাপী নানা অয়োজনের মধ্যে দিয়ে পুনঃমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক পুনঃমিলনীর ক্রীড়া, প্রীতিভোজ ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ সম্পাদক ফারুক মাহবুব রহমানের সভাপতিত্বেব প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মহন মোহন পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলী মোর্ত্তজা মোঃ আনোয়ারুল হক।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষার্থী যথাক্রমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আকবর আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবুর আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, প্রভাষক জাফর ইকবাল, ইউপি সদস্য আব্দুর হাই, আবুল কালাম, সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান, অনিক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আবু সাঈদ, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম, আইনজীবি শাখওয়াত হোসেন, শিক্ষক মুজিরর রহমান, তাপস বিশ্বাস সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও বিভিন্ন বর্ষের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহনে পুনঃমিলনী অনুষ্ঠান এক মিলন মেলায় রূপ নেয়। পরে গোলক নিক্ষেপ, হাড়িভাঙ্গা, চেয়ারসিটিং সহ বিভিন্ন খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। -

দেবহাটায় প্রায়ত উপজেলা চেয়ারম্যানের স্মরণে শীতবস্ত্র বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা প্রায়ত উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল গণির স্মরণে গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুর মাদ্রসা মোড় এলাকায় প্রায়ত চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে কাইয়ুম হোসেনের নিজস্ব উদ্যোগে ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মদিনা ট্রেডার্স চত্বরে এ বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত থেকে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান করেন প্রায়ত চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে ও কামটা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাইয়ুম হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কামটা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন, মৃত্তিকা মানবিক ইউনিট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শাহরিয়ার সাকিব মিঠুন, সমাজসেবক মুকুল হোসেন, শামিম হোসেন প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সখিপুর ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ১শত গরীব অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। -

দেবহাটার কামটা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাইয়ুম, সম্পাদক মোনায়েম
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার কামটা আহছানিয়া শাখা মিশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে কামটা আহছানিয়া মিশনের নিজস্ব কার্যলয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় ইউপি সদস্য মোনায়েম হোসেনের সভাপতিত্বে নলতা কেন্দ্রিয় আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিগত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কামটা আহছানিয়া মিশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য ও নলতা কেন্দ্রিয় আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ আব্দুল গনির ছোট ছেলে আব্দুল কাইয়ুম কে সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোনায়েম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনিত করা হয়। একই সাথে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। -

দেবহাটায় বিজয় দিবস উপলক্ষে লক্ষ টাকার ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় লক্ষটাকার ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে ঐতিহ্যবাহী সুশীলগাঁতী বাগের মাঠে সুশীলগাঁতী নবজাগরণ সংঘের আয়োজনে এ খেলার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সুশীলগাঁতী নবজাগরণ সংঘের সভাপতি আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনজার্চ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আলী মোর্তোজা মোহাম্মাদ আনোয়ারুল হক, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর গাজী, ইউপি সদস্য আজগার আলী, রফিকুল ইসলাম মন্টু, রেহেনা ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য আরমান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পদক আফসার আলী মাস্টার, পারুলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, বাগের মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সুশীলগাঁতী নবজাগরণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক আশিম খান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনীয় খেলায় নলতা ফুটবল একাদশ বনাম কুশুলিয়া কসমস ক্লাব ফুটবল একাদশ অংশ নেন। খেলার শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে কুশুলিয়া কসমস ক্লাব ফুটবল একাদশ একটি গোল করে। তার জবাবে নলতা ফুটবল একাদশ খেলা শেষ এক মিনিটে গোল পরিশোধ করে। পরবর্তীতে টাইব্রেকারে উভয় দল সমান সমান গোল করেন। এতে উভয় দলকে আবারো ৩টি গোল দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে নলতা একাদশ ২টি গোল করে কুশলিয়া কসকম ক্লাব ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২ দিনের দিনের খেলায় সাতক্ষীরার শ্রীরামপুর ফুটবল একাদশ ও নলতার কাশিবাটি ফুটবল একাদশের মধ্যেকর খেলা দেখার আমন্ত্রন জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। -

দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান।
বক্তব্য দেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক আলী মোর্ত্তোজা মাহাম্মাদ আনোয়ারুল হক, দেবহাটা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি প্রফেসর রাজু আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেবহাটা উপজেলা শাখার ফিল্ড সুপারভাইজার মাওলানা আজিজুর রহমান। -

যুব মিডিয়া ফেলোশীপে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতির প্রথম স্থান অর্জন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম যুব মিডিয়া ফেলোশীপে ৫টি ক্যাটাগরীর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। বুধবার বেলা ১১টায় বাটকেখালীস্থ সাতক্ষীরা ইয়ুথ হাবে একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগীতায় বে-সরকারী সংস্থা সিডোর সাতক্ষীরার উদ্যোগে এ ফেলোশীপ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই এর নিজস্ব প্রতিনিধি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বে-সরকারি সংস্থা স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, দৈনিক প্রজন্ম একাত্তর পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফারুক রহমান, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা হেনরি সরদার, প্রকল্প সমন্বয়কারী তহিদুজ্জামান (তহিদ), ইন্সপেরিটর একশনএইড বাংলাদেশ জিসান মাহমুদ, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার ও গিয়াস উদ্দীন প্রমুখ।
ফেলোশীপে দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারী ও যুব বান্ধব বাজেট পর্যালোচনা ক্যাটাগরীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন, দৈনিক বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান মধু জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাত ক্যাটগরীতে ২য় স্থান এবং দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার উপ-সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম যুব ও নারী বান্ধব স্বাস্থ্য সেবার চ্যালেঞ্জ ক্যাটাগরীতে ৩য় স্থান অর্জন করেন। এছাড়া এখন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আহসানুর রহমান রাজীব কারিগরী শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা, দৈনিক ঢাকা টাইমস্ এর জেলা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারী ও যুব বান্ধব বাজেট পর্যালোচনা, দৈনিক পত্রদূতের স্টাফ রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিল সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে যুব অন্তর্ভূক্তি ও চ্যালেঞ্জ, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রুবেল হোসেন যুব ও নারী বান্ধব স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ, দৈনিক পত্রদূতের স্টাফ রিপোর্টার হোসেন আলী জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাত ক্যাটগরীতে বিশেষ সম্মাননা ভূষিত হন। -

দেবহাটায় নোড়া-চারকুনিতে ভূমিহীন সমাবেশে বক্তরা: রিসিভারের ভয় দেখিয়ে ভূমিহীনদের নিয়ে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার নোড়া-চারকুনিতে ভূমিহীন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় নোড়া-চারকুনি ভূমিহীন পল্লী মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নোড়া-চারকুনি ভূমিহীন কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে দেবহাটা উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি কমরেড অদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি শেখ শওকাত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ তাজুল ইসলাম, লাবসা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, ভূমিহীন নেতা আমজাদ হোসেন, ইয়াদ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মোকারম আলী, বাবু রাম মন্ডল প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, সরকারি জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে হবে। রিসিভার না দিয়ে ভূমিহীন পরিবারের মাঝে সুষ্ঠ ভাবে দলিল হস্তান্তর করতে হবে। একই সাথে যারা ভূমিহীনদের নিয়ে যারা নানা সুবিধা ভোগ করে আসছে তাদেরকে পরিত্যাগ করার কথা বলেন বক্তরা।
আরো বলেন, খাস জমি ভূমিহীনদের অধিকার। তাই সরকারের খাস জমি নোড়া-চারকুনি এলাকায় ২০০৭ সাল থেকে ভূমিহীনরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। আমরা কোন সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার সাথে কখনোই ছিলাম না। আগামীতেও আইনের প্রতিশ্রদ্ধা রেখে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কোন দাললকে ভূমিহীন মানুষদের নিয়ে খেলা করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক একটি চক্র আইডি কার্ডের ফটোকপি ও দেড় হাজার টাকা তুলছেন প্রতিটি পরিবার থেকে। যে খানে সরকার ভূমিহীনদের জমি ও ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন তখন একটি গ্রুপ ভূমিহীনদের শোষন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আমরা আর তাদের ব্যবাহার হব না আর অন্যদের পুঁজি করে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। সাবেক সভাপতি আব্দুল গফ্ফার ভূমিহীনদের জমি বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। বক্তরা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃতদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবি করেন। -

দেবহাটায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে গৃহপালিত প্রাণি বিতরন উদ্বোধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় অতি দরিদ্র পরিবারের উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে দেশী বকনা গরুর বাছুর বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ৪টায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে ও সুশীলনের আয়োজনে দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রামের আওতায় দেবহাটা সরকারি হাইস্কুল মাঠে এ বিতরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডাঃ নাজমুল হোসেন, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জিএম মনিরুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার নরেশ মারান্ডি, সুশীলনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ টিপু সুলতান, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন স্পেশালিষ্ট মামুন হোসেন সহ উপকারভোগীগন।
উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ১৮ জনকে দেশী বকনা গরুর বাছুর প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বমোট ২৮০ টি পরিবারকে একটি করে দেশী বকনা গরুর বাছুর প্রদান করা হবে। -

সংবাদ সম্মেলন :সাতক্ষীরায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদ
সিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, দেবহাটা উপজেলার নাজিরের ঘের এলাকার মৃত. ছফেদ আলীর পুত্র ও নাজিরের ঘের ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী সানা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, দেবহাটার নাজিরের ঘেরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে শিক্ষাদান করে আসছি। অল্প কিছুদিন আমার চাকুরির বয়স রয়েছে। মাদ্রাসায় চাকুরি করলেও আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি পারুলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। কিন্তু অত্র এলাকার অধিকাংশ মানুষই জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় আমাকে নানাভাবে হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। এমনকি আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করার চক্রান্তও চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কোন ভাবেই আমাকে ফাঁসাতে না পেরে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি করেছে এমন মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই কুচক্রী মহলটি। এরপর ওই কুচক্রী মহল এলাকার কতিপয় ব্যক্তিদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করে। আমার বয়স প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি এ বয়সে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি করা আমার পক্ষে কিভাবে সম্ভব। এছাড়া আমি শারিরীকভাবে মারাত্মাক অসুস্থ আমি মাদ্রাসার গিয়ে ক্লাস রুমে গিয়ে ক্লাস নেওয়া ছাড়া কোথায় যাই না। ক্লাসের মধ্যে এভাবে একটি শিশু কন্যার গায়ে হাত দেবো অন্যরা দেখতে পাবে না এটি কিভাবে হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ওই কুচক্রী মহল ছলে বলে কৌশলে আমাকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়াতে চান। এ কারনেই একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরনের জঘণ্য মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শুধু আমাকেই অপমানিত এবং হেয় করা হয়নি, শিক্ষক সমাজের মাথাকে হেয় করা হয়েছে। এখানেই শেষ নই, পত্র-পত্রিকায় ওই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে নিয়ে প্রায়ই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। ফলে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় বের হতে পারছি না। চরমভাবে আমার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। তিনি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

দেবহাটার হাজী কেয়াম উদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের ৮ সাফল্য
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : দেবহাটার নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে কলেজ পর্যায়ে একমাত্র বিদ্যাপিঠ সখিপুর হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কলেজটি ১৯৯৬ সালে ইউনিয়নের সাবেক সখিপুর চেয়ারম্যান ছালামতুল্যাহ গাজী তার পিতা হাজী কেয়ামউদ্দীনের নামে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে সখিপুরের এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠটি সফলতার সাথে ছাত্রীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে আসছে। গত ও ১৮ ও ১৯ মে ছিল জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় কলেজ পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতা। এতে হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে ৮টি গ্রুপে। যার মধ্যে উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হয়েছেন হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম।
এছাড়া এ কলেজের নজরুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক, মিলনী বালা মন্ডল শ্রেষ্ঠ গালর্স গাইড শিক্ষক, অনিশা পারভীন শ্রেষ্ঠ গালর্স গাইড, ফারজানা ইয়াসমীন একক প্রতিযোগিতায়, মল্লিকা পাল দেশাত্ববোধক গান এবং লোক সঙ্গীতে, বিলকিস নাহার ও তার দল দল ভিত্তিক জারী গানে উপজেলার শ্রেষ্ঠ হওয়ার সফলতা অর্জন করেছেন। এদিকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এ হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজে এসকল নানা মুখী সাফল্য অর্জন করায় কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল মাজেদসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অভিভাবক এবং ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। -

দেবহাটায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসানিয়ক সার বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা চত্বরে ২০২১-২২ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় এ বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পর্যায়ে আউস ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরন অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, কৃষি অফিসার শরিফ মোহাম্মদ তিতুমীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আলী মোর্ত্তেজা মো. আনোয়ারুল হক, সাবেক বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সহ উপকার ভোগীগন।
এসময় ৫শ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ব্রি ধান-৪৮ জাতের ৫ কেজি হারে বীজ, ডিএপি সার-২০ কেজি এবং এমওপি সার-১০ কেজি হারে প্রদান করা হয়। -

দেবহাটায় ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী শিক্ষক ফজর আলীর স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন হাদিপুর মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণ মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী বহিষ্কৃত শিক্ষক ফজর আলি প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে মাদ্রাসায় যোগাদানের চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার বেলা ১১ টায় মাদ্রাসার সম্মূখ সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাদিপুর, জগন্নাথপুর গ্রামের মানুষের প্রতিবাদ দেখে মানববন্ধনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরাও। এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্যক্তিত্ব বাবুর আলী, জহুরুল হক, ইয়াকুব আলী, ইদ্রিস আলী সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, গত ১১ এপ্রিল বহিস্কৃত শিক্ষক ফজর আলী মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ও থানার ওসি শেখ ওবাইদুল্লা সহ পুলিশ নিয়ে জোরপূর্বক মাদ্রাসায় যোগদান করতে এসে আইনী জটিলতায় ও অভিভাবকদের প্রতিরোধে ব্যার্থ হয়। এই ফজর আলী যে সনদে চাকরি করছে সেটি সঠিক নয়। তদন্ত করলে তার জালজালিয়াতি ধরা পড়বে। তার হাতে কোন ছাত্রী নিরাপদ না। তিনি যদি আমাদের মাদ্রাসায় আসে তাহলে এখানে কোন ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসবে না। তার নোংরা চরিত্রের জন্য আজকে আমরা সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ভয় পায়।
বক্তারা আরো বলেন, শুধু তাই নয় সে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকার পরেও কিভাবে সে মাদ্রাসায় যোগদান করতে পারে। সে যোগদান করে পূর্বের চরিত্রে ফিরে যাবে না এমন কি নিশ্চয়তা রয়েছে। আমরা চাই মাদ্রাসাটি সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হোক। আমরা চাই ধর্ষকমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ এমন জঘন্য মানুষকে নতুন করে মাদ্রাসায় সুযোগ না দেওয়া হোক। এমন একজন অপরাধীকে উপজেলা ২ অভিভাবক অফিসার কিভাবে যোগদান করাতে নিয়ে আসে সেটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা চাই এই ফজর আলিকে স্থায়ী বহিস্কার করে কলংঙ্ক মুক্ত হোক প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, এলাকাবাসী ফজর আলি বিচারাধীন মামলার আসামী, অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক উল্লেখ করে তার স্থায়ী বরখাস্তর দাবি জানিয়ে মাদ্রাসা বোর্ড চেয়ারম্যান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে মানববন্ধন পরবর্তী স্মারক লিপি প্রেরণ করা হয়। একই সাথে ফজর আলির নামে ধর্ষণ মামলা দ্রæত শেষ করে শাস্তির আওতায় আনতে বিজ্ঞ জেলা জজ এবং বহিষ্কার মামলায় বিচার করতে বিজ্ঞ বিচারপতির নিকট অনুরোধ জানান তারা।
উল্লেখ্য যে, হাদিপুর মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক ফজর আলির বিরুদ্ধে নিজ মাদ্রাসার ছাত্রী ও তার সহকর্মীর কন্যার ধর্ষণ মামলা এবং একটি রাষ্ট্রবিরোধী মামলা চলমান রয়েছে। আদালতে উক্ত দুই মামলার চার্জশীট জমা দিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় নীতিমালার আলোকে মাদ্রাসার শিক্ষক ফজর আলিকে বোর্ড মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে সে যোগদানের চেষ্টা করলেও আইনীয় জটিলতায় কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সবশেষ ১১ এপ্রিল উপজেলা দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে নিয়ে যোগদানের জন্য মাদ্রাসায় যান। কিন্তু মামলা চলমান থাকায় তাকে যোগদান করানো হয়নি। -

দেবহাটার নোড়ার চকে ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : অবৈধভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী সহযোগিতায় দেবহাটার নোড়ার চকে ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, দেবহাটা উপজেলার নোড়ারচক গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের পুত্র লব বিশ্বাস। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা পারুলিয়া মৌজার সাবেক সি এস ১৭৫৩ নং খতিয়ানে এস এ জরিপে ১নং খতিয়ানে সরকার বাহাদুরের নামে ও রিভিশনাল জরিপে ১ খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিতে শতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করলে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলা মোকদ্দমা করি। মামলায় আমার রায় ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি। ১৯৯৮ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও নির্বাহী অফিসার কর্তৃক দুটি খন্ড করেন। উক্ত রায় ডিক্রির সম্পত্তি বাদ দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পৃথক করে নেয়। রায় ডিক্রিধারীরা অর্থ্যাৎ আমরা সেখানে বহাল থাকি। এমতাবস্থায় কোড়া গ্রামের মৃত. মুন্সি মাদার আলী গাজীর পুত্র আঃ মান্নানসহ কতিপয় ব্যক্তি দখলী স্বত্ত্ব দাবি করে এবং সরকার বাহাদুরকে বিবাদী শ্রেণিবুক্ত করে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ২নং আদালতে ২৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে ১২২/১৪ নং দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় আদালতকে ভুল বুঝিয়ে ২৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখের আদেশে লুৎফর রহমান এক রিসিভার নিয়োগের আদেশ গ্রহণ করেন। উক্ত বিষয়টি অবগত হয়ে সেখানে বসবাসকারী শতাধিক পরিবারের সদস্যরা উক্ত মামলার বিবাদী শ্রেণিভুক্ত হয়। যা দ্বিপক্ষ শুনানী অন্তে ইং ১৩ মে ১৮ তারিখে উক্ত রিসিভার বাতিল হয় এবং ১২২/১৪ নং দেওয়ানী মোকদ্দমাটিও গত ইং ২৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে খারিজ হয়। উক্ত রিসিভার বাতিলের বিরুদ্ধে লুৎফর রহমান গং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ১১৫(২) ধারা মতে ৪৮/১৮ নং রিভিশন মামলা দায়ের করেন। যা অতিরিক্ত জেলা জজ ১নং আদালতে বদলী হয়। আগামী ২০ এপ্রিল ২২ তারিখে রিভিশন শুনানীর দিন ধার্য আছে। অথচ ইতোমধ্যে মুল দেওয়ানী ১২২/১৪ নং মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে। মামলা চলমান থাকায় অবস্থায় মধ্যবর্তী আদেশের গ্রহণযোগ্য থাকলেও মূল মামলা খারিজ হলে মধ্য আদেশ ও রিভিশন আপীল যে কোন কোর্টের যাই হোক না কেন তার কোন কার্যকারিতা থাকে না এবং আইনগত বৈধতা থাকে না। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামতেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মূল মামলা খারিজ হয়ে গেলে মধ্য আদেশের কোন কার্যকারিতা থাকে না। কিন্তু ওই মধ্যবর্তী আদেশ নিয়ে উল্লেখিত লুৎফর রহমান গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তিতে বসবাসকারী অসহায় সংখ্যালঘু কাগজপত্রে স্বত্ত্ববান রায় ডিক্রিধারীর ও ভূমিহীনদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। প্রায়ই গভীর রাতে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে যাচ্ছেন। তাদের ভয়ে অত্র এলাকায় বসবাসকারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। আমাদের কে কৌশলে উচ্ছেদ করে অবৈধদখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে লুৎফর ও শেখ মকরম হোসেন গংয়ের সন্ত্রাসী বাহিনী। যে কোন সময়ে সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যাও রয়েছে। ওই লুৎফর গংয়ের কবল থেকে সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। -

উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ এমপি রবি’র
- জহুরুল কবীর:
উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য রাজস্ব থেকে জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবেলায় সক্ষম বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজ। গতকাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন। ‘বাজেট ২০২১-২২: উপকূলীয় সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশান নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সেমিনারে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র এমপি (খুলনা-৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, (সাতক্ষীরা-২), জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি (ভোলা-৩), নাহিম রাজ্জাক এমপি (শরীয়তপুর -৩), আশেক উল্লাহ রফিক এমপি (কক্সবাজার -২), শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (গাইবান্ধা -২), জাফর আলম এমপি (কক্সবাজার -২)। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. আইনুন নিশাত, সিপিআরডির মোঃ শামসুদ্দোহা এবং ক্লিন-খুলনার হাসান মেহেদী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।
এছাড়া প্রগতি পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের বার্তাসম্পাদক জহুরুল কবীর প্রমুখ।
সৈয়দ আমিনুল হক উল্লেখ করেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকার জীবিকার কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকির থাকা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপরেও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বাজেট বরাদ্দ গতানুতিক এবং সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত। তিনি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন: (১) বাঁধ নির্মাণের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, (২) তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকারকে বাজেটসহ দায়িত্ব দিতে হবে এবং (৩) উপকূলীয় সুরক্ষা, বিশেষত প্রাকৃতিক সুরক্ষা, উপকূলীয় মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকায়নের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যে একটি জাতীয় ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রয়োজন, যা সরকারকে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দের দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বেড়িবাঁধ উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি আমরা এই বিষয়ে একটি রোডম্যাপের জন্য কাজ করছি। এটি সত্য ডে, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যতীত উন্নত বাংলাদেশের কল্পনা করা অসম্ভব, তাই উপকূলের সমস্যাকে কোনও অঞ্চলের আলাদা কোনও সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে এটিকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
ডাঃ আইনুন নিশাত বলেন, বাজেট বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে, বাঁধ বিষয়ক পরিকল্পনায় এই পরিস্থিতি অনুপস্থিত। ‘ডেল্টা প্ল্যান’ এর আওতাধীন প্রকল্পগুলি পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের দুর্যোগ পূর্বাভাসকে বিবেচনা না করেই গ্রহণ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে সেটা জাতীয় অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ফেরত দিতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে আমরা জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিতে পারছি না। এ কারণেই কক্সবাজার জেলার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সময়োপযোগী এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করতে পানি ব্যবস্থাপনার ও পরিকল্পনার জন্য ব্যাপক আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটিই সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
আমরা এই বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জোরদার করতে উপকূলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি ‘ককাস’ গঠন করতে পারি। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন যে, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৌশল এবং পদ্ধতিকেসরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটা করা সম্ভভ হলে এটি অগ্রাধিকার পাবে। এর জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প আয় তৈরিতে সক্ষম শিক্ষা বিস্তারকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।
দুর্যোগের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে বাঁধগুলোর একটি মূল্যায়ন হতে হবে, এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনা করেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং সরকার- সকালের অংশ্রগহণের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
জিয়াউল হক মুক্তা