Category: তালা

  • সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    এসবিএন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আনবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী ৪ নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক প্রথম বৈঠকে তিনি তার এই লক্ষ্যের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সিইসি আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান তারা।

    কর্মকর্তাদের আলোচনার সূত্র ধরে নতুন সিইসি বলেন, এই বাংলাদেশ কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে, আর যে নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল, তা কেন বিতর্কিত ছিল, তা বিশ্লেষণে আমি যাব না। একটা কথাই বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে ইনক্লুসিভ নির্বাচন ছিল না বলেই বিতর্কিত ছিল। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্ব›িদ্ধতামূলক না হয়; যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

    বৈঠকে সিইসি বলেন, আমার একটাই কথা, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যারা সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের একটাই কথা-দল মত নির্বিশেষে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, দেশে এ রকম আলোচিত ও সবার আগ্রহ আমাদের নিয়ে; অতীতে কখনও এমনটি হয়নি। সাধারণ মানুষ, দল, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবার সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আশা করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি; তাদের উদ্দীপ্ত করতে এবং মনোবল বাড়াতে নানা নির্দেশনাও দেন তিনি।

    ইসি সচিবালয় সার্বিক অগ্রগতি, কাজের পরিধি-কাঠামো ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একটি ধারণাপত্রও নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। কর্মকর্তাদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার উদাহরণ টেনে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রসঙ্গ টানেন নূরুল হুদা।

    সিইসি বলেন, জেসমিন টুলী যখন চট্টগ্রামে একেবারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে, দৃঢতার সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিচালনা করে সফল একটা নির্বাচন উপহার দিলেন। তখন দেশবাসী তার দিকে তাকিয়ে ছিল। সমস্ত মানুষ বলেছিল, কীভাবে সম্ভব? তাকে কিন্তু কেউ প্রভাবিত করতে পারেনি, বা তার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনো রকম কেউ বিব্রত বা বিচলিত করতে পারেনি। ইসির দক্ষতা সচিবালয়, মাঠ পর্যাছয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।

    ইসি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনে অভয় দিয়ে নূরুল হুদা বলেন, যে দক্ষ জনবল রয়েছে তাতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। শুধু একটা না, সামনে যেসব নির্বাচন আসবে তা দৃঢতার সাথে মোকাবেলা করব। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন নূরুল হুদা। একজন নির্বাচন কমিশনারের কথা টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান জিরো টরারেন্স। কাউকে কোনো পর্যায়েই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা প্রাইভেটলি যে আলোচনা করেছি, তাতেও আমরা বলেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবো।

    ইসির সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সমর্থনের গুরুত্বও তুলে ধরে সিইসি বলেন, অংশীজনরা বলেছে-শুধু নির্বাচন কমিশনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তারা যদি সহযোগিতা না করে এবং অংশগ্রহণ না করে, তা হলে সম্ভব নয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেন বলেও জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার নৈরাজ্য-সহিংসতা এবং বিএনপি জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুললেও নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি বলেছে, নতুন ইসির ভূমিকা এবং নির্বাচনকালীন সরকার দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে যে এখন নতুন ইসি, সে বিষয়ে নিজেও সচেতন নূরুল হুদা।

     

  • বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    এসবিএন : বাংলাদেশ থেকে মুরগি ও ডিম আমদানি বাতিল করেছে সৌদি আরব। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই দুই পণ্যের আমদানি বাতিলের তথ্য জানিয়েছে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু’র বিস্তারের তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ (ওআইই)। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ডিম ও মুরগি আমদানি বাতিল করলো।

    দেশটির পশুসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি সরকার।

    এর আগে ২৯ জানুয়ারি ঢাকার শতকরা ৮০ ভাগ পোল্ট্রি ও দেশি মুরগির বাজারে বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এফএও জানায়।

    গত মাসে বিশ্ব পশু স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ঢাকার ধামরাই এলাকার একটি খামারে সোনালি প্রজাতির প্রায় তিন হাজার মুরগি বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩২টি মুরগি মারা যায়।

    তবে দুই বছর পর ফের বার্ড ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, সারাদেশে মুরগির খামারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ধামরাইয়ের খামারটি ছাড়া দেশের আর কোনো খামারে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

     

  • জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় খুলনা জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ

    সভাপতি সভার শুরুতে প্রথমে নব নির্বাচিত সদস্য জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সথে কুশল বিনিময় করেন তিনি বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নকর্মকান্ডের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খুলনা জেলা পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সেবা জনগণের দাড়প্রান্তে পৌছানোর লক্ষ্যে নব নির্বাচিত সদস্যদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন সভায়  নব নির্বাচিত সদস্য জয়ন্তি রানী সরদার, শোভা রানী হালদার, ফারহানা নাজনীন, নাহার আক্তার, কবির হোসেন খান, রজত কান্তি শীল, মোঃ জহুরুল হক, দিলীপ হালদার, অভিজিৎ চন্দ, শেখ মোশাররফ হোসেন(বাবু), সরদার আবু সালেহ, মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, মোল্লা আকরাম হোসেন হাবিবুল্লাহবাহার, শেখ কামরুল হাসান(টিপু) মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী, এস.এম. খালেদীন রশিদী সুকর্ন, চৌধুরী ফরিদ রায়হান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলিম উদ্দিনসচিব শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডল, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার বিশ্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ

     

  • মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    খুলনা মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সম্পাদকমন্ডলীর সভা বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়

    সভায় অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২০ ফেব্রয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত রাত ১২ টা মিনিটে হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ২১ ফেব্রয়ারী সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রভাত ফেরী সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুর খানজাহান আলী থানা বিএনপির পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে

    সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মোঃ রাশেদ, শাহজালাল বাবলু, রেহানা ঈসা, আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, জালু মিয়া, ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, জাহিদুর রহমান রিপন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ খবর বিজ্ঞপ্তির

     

  • সংবিধান মেনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো : সিইসি

    সংবিধান মেনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো : সিইসি

    এসবিএন : দেশের সংবিধান আইন মেনে অর্পিত দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানের মধ্য থেকে দায়িত্ব পালনে আপসহীন থাকবো।

    শপথ গ্রহনের পর বুধবার বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন তিনি।

    এসময় নতুন সিইসি বলেন, ‘আজ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছি। সংবিধান আইন মেনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। আমরা কারও দ্বারা প্রভাবিত হব না। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে কমিশনে যেসব সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করা। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে তার সমাধান করা।

    সময় তিনি সব রাজনৈতিক দলকে আস্থায় আনার আশাবাদব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি তার দায়িত্ব পালনে সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবেন কিনাসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কখন কোন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করব, সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে আমরা জানাতে পারব।

    আপনারা কোনোভাবে প্রভাবিত হবেন কিনাএমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিকভাবে শপথ নিয়েছি, সাংবিধানিকভাবেই দায়িত্ব পালন করব। কারও প্রভাব বিস্তারে আমরা প্রভাবিত হব না। সরকারের এখানে প্রভাব সৃষ্টির কোনও সুযোগ নেই।

    বিএনপিকে আস্থায় নিতে ইসির উদ্যোগ নেওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘এখানে বিএনপির বলে কোনও কথা নয়। বিএনপি আওয়ামী লীগসহ ছোটবড় সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আস্থায় আনতে কাজ করব। আমরা অবশ্যই আস্থার অবস্থান সৃষ্টি করতে পারব।

    নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রভাব বিস্তার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা সংবিধান আইনের বাইরে প্রভাববিস্তার করতে কাউকে দেব না।

    জনতার মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন সিইসি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা।

    সংবাদ সম্মেলন সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিবসহ ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে ইসির সদস্যদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। শপথ নেওয়া কমিশনের অন্য চার সদস্য হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ কবিতা খানম   ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

     

     

     

  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও কমিশনাররা

    শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও কমিশনাররা

    এসবিএন : নতুন নিয়োগ হওয়া কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে আজ বুধবার বেলা ৩ টার পর পরই সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। শপথ নেয়া ৪ নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। এদিকে আর কিছুক্ষন পর বিকাল ৫টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবনে নতুন নির্বাচন কমিশনারা সাংবাদিকদের মখোমুখি হবেন।

    এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এই কমিশনকে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি স্বাগত জানালেও সিইসিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি ও তাদের জোট। বিএনপির অভিযোগ, নতুন সিইসি ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তবে সিইসি কে এম নুরুল হুদা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি তখন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন। তাই জনতার মঞ্চে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।

     

     

  • ব্রিটিশ কাউন্সিলে চাকরির সুযোগ

    ব্রিটিশ কাউন্সিলে চাকরির সুযোগ

    এসবিএন : ৫০ হাজার টাকা বেতনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।হেড কাস্টমার সার্ভিসেসপদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

    যোগ্যতা

    যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ছাড়া ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে।

    বেতন

    নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হবে সর্বসাকুল্যে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ছাড়া যাতায়াত খরচ হিসেবে আট হাজার টাকা দেওয়া হবে।

    আবেদন প্রক্রিয়

    আগ্রহী প্রার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট (bit.ly/2kg9vhx) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ১৯ ফেব্র“য়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

  • এফবিসিসিআই নির্বাচন ১৪ মে

    এফবিসিসিআই নির্বাচন ১৪ মে

    এসবিএন : আগামী ১৪ মে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর ২০১৭১৯ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সংগঠনটি তথ্য জানায়। এফবিসিসিআই জানায়, ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য সাধারণ সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। সংগঠনটির নির্বাচন বোর্ড গত ১২ ফেব্রয়ারি নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিলের  মধ্যে মনোনায়ন দাখিল করতে হবে।

    এফবিসিসিআই সূত্র জানায়, এবারও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী আশরাফ। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা সামছুল আলম এবং মঞ্জুরুল হক রুবেল। বোর্ড ২০১৭১৯ মেয়াদের নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়া, আপিল বোর্ডে রয়েছেনবাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন। তার সঙ্গে সদস্য হিসেব রয়েছেন খায়রুল মাজিদ মাহমুদ এবং মির্জা আবু মঞ্জুর। এদিকে, ২৩ মার্চ ভোটারদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে ২৮ মার্চের মধ্যে আপিল বোর্ডের নিকট অভিযোগ করা যাবে। এর ভিত্তিতে ২৯ এবং ৩০ মার্চ আপিল বোর্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

     

  • অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

    অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

    দীপক রায়,দাকোপ(খুলনা) : এমন একদিন ছিল যখন দেশের মানুষ খাওয়ার জন্য সাগর, নদী-নালা ডোবা এবং মুক্ত জলাশয় থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করত। তখন আবার কাঁকড়া খাওয়ার চলটা ব্যাপকভাবে ছিল না। দিন বদলের সাথে সাথে কাঁকড়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং সুস্বাধু খাবার হিসাবে বেশ স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে বিদেশে কাঁকড়া রফতানি হওয়ার কারণে এর মূল্য এবং ব্যবসায়িক গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। চাহিদার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়ার উৎপাদন অনেক কম ফলে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা এবং চড়া মূল্য থাকার কারণে মানুষ বর্তমানে ঘেরে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেছে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে। অল্প দিনে অধিক লাভ  তাই দাকোপের সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে দিন দিন কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা বাড়ছে। সময় বদলের সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, প্রযুক্তি তাই আবার অনেকে ট্রেতে স্পেশাল কেয়ারে পালন করছেন কাঁকড়া।

    সরেজমিনে দেখা যায়, দাকোপের ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সব এলাকায় কমবেশী কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় দাকোপে কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা প্রায় ৭হাজার। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এ ঘেরের সংখ্যা বেশী। সুন্দরবন এলাকায় কৈলাশগঞ্জের রামনগর গ্রামের ঘের মালিক রাজ্জাক সরদার, আব্দুর রহমান শেখ বলছিলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে প্রচুর কাঁকড়া পাওয়া যায় তাই এখানে কাঁকড়ার ঘের করতে সুবিধা বেশী। তাঁরা বলেন,বাঁশ নেট দিয়ে ভাল করে ঘের আটকাতে হয় যেন কাঁকড়া বেরিয়ে যেতে না পারে। তারপর ছোট ছোট কাঁকড়া ঘেরে ছাড়তে হয়। বর্তমানে প্রতিমন ছোট কাঁকড়া ৫ থেকে ৬হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ৩ থেকে ৪মাস এ কাঁকড়া ঘেরে রাখতে হয়। তখন কাঁকড়াকে ছোটমাছ,শামুক এবং কুচে জাতীয় মাছ খাবার হিসাবে দেওয়া হয়। একমন কাঁকড়ার খাবারের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২ হাজার টাকা। ৩/৪মাস পর প্রতিটি কাঁকড়া ওজনে দ্বি-গুন হয়। তখন এর মূল্য প্রতি মন দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কাঁকড়ার রোগ-বালাই কম তাই কাঁকড়ার ঘের করে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। একই গ্রামের মোঃ কওসার আলী গাজী, রাজ্জাক গাজী, মহাদেব রায়, কৃষ্ণপদ রায়সহ অনেকেই সামর্থ অনুযায়ী কাঁকড়ার চাষ করেছেন এবং কয়েকবার কাঁকড়া পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। রামনগর গ্রামের গোবিন্দ বৈদ্য তার ঘেরের মধ্যে ট্রেতে করে পৃথকভাবে কিছু কাঁকড়া পালন করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেতে পরিক্ষামূলকভাবে কাঁকড়া চাষ করে দেখা গেছে এতে খাবার কম নষ্ট হয় এবং ঘেরে ছেড়ে দেওয়া কাঁকড়ার থেকে ট্রেতে পালিত কাঁকড়া অতি দ্রুত বড় হয়।

    কাঁকড়া লবন ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায় তাই যে কেউ ইচ্ছা করলে তার বাড়ীর পুকুর ডোবা এবং জলাশয়ে কাঁকড়ার চাষ করতে পারেন। তবে নদীর পানি সরবরাহ থাকলে সেখানে কাঁকড়া দ্রুত বড় হয়। কাঁকড়া চাষে বেশী জমির প্রয়োজন হয়না প্রতি শতকে ১মন কাঁকড়া চাষ করা যায়। কাঁকড়া চাষ ব্যাপকভাবে হলে সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেমন অধিক রাজস্ব পাবেন তেমনি বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চাষীরা জানান সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপকভাবে কাঁকড়া চাষের অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্যেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেক চাষী কাঁকড়া চাষ করতে পারছেন না। এ খাতে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ সুবিধা ,প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি পেলে কৃষক ও বেকার যুবকরা কাঁকড়া পালন করে যেমন সাবলম্বী হতে পারবেন তেমনি সৃষ্টি হবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পথ।

  • বিভিন্ন দেশে ৯৬৪০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    বিভিন্ন দেশে ৯৬৪০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    এসবিএন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বিশ্বের ৩৮টি দেশের বিভিন্ন কারাগারে নয় হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বন্দি রয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

    মন্ত্রী জানান, আটক বন্দিদের মধ্যে মিয়ানমারে ৯৮ জন, সিঙ্গাপুরে ৮৭, নেপালে ১২, যুক্তরাষ্ট্রে ২৬, ভারতে ২ হাজার ৩৩৭, গ্রিসে ১২৩, জাপানে ৬৫, থাইল্যান্ডে ২৩, পাকিস্তানে ১৯, ফ্রান্সে ৪৬, যুক্তরাজ্যে ২১৮, কাতারে ১১২, সৌদি আরবে ৭০৩, জর্ডানে ৩৭, মিশরে ৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬, তুরস্কে ৬৮, জর্জিয়া ২৬, কিরগিজস্তানে ১, ওমানে ১ হাজার ৪৮, বাহরাইনে ৩৭০, লেবাননে ২, মালয়েশিয়াতে ২ হাজার ৪৬৯, চীনে ৫, হংকংয়ে ২৪, মঙ্গোলিয়ায় ১, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০৯৮, ব্রুনাইয়ে ৫, ইতালিতে ৫১, ইরাকে ১২১, মরিশাসে ৭, মেক্সিকোতে ৯৭, আজারবাইজানে ৬, মরক্কোতে ২, দক্ষিণ আফ্রিকাতে ১১, ব্রাজিলে ১, অস্ট্রেলিয়াতে ৩৯ এবং কুয়েতে ২৬১ জনসহ মোট ৯ হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি কারাগারে আটক রয়েছেন।

    তিনি বলেন, কোনো দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে অবহিত করলে বা অন্য কোনো মাধ্যমে সংবাদ পেলে তা যাচাই করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

    মাহমুদ আলী বলেন, আটক বাংলাদেশি নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তাসহ আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।

  • প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল  হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

    প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

    স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনকে এর উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো এবারের সুন্দরবন দিবস। বরাবরের মত “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন-এই মুল সুরে সুন্দরবন সন্নিহিত জেলাসমূহে দিবসটি পালন করা হয়। খুলনায় সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠিান ছিল তিনদিন ব্যাপী। মঙ্গলবার শেষ দিনের অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল নগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্ক।

    খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস-এর পরিচালক প্রফেসর ড. দিলীপ দত্ত, ইউএসএইডের ওয়াইল্ড টিমের বাঘ এ্যাকটিভিটির চীফ অব পার্টি গ্রে এফ. কলিন্স, জিআইজেড-এর প্রিন্সিপ্যাল এ্যাডভাইজর ওমর ইডিও, ইউএসএইডের ক্রেল প্রকল্পের রিজিওন্যাল কোঅর্ডিনেটর শেখ মোঃ জিয়াউল হক। রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

    অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পাওয়া সেন্ট জোসেফস হাই স্কুলের আবদুল্লাহ আল মামুন, দ্বিতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত খুলনা জিলা স্কুলের আলিফ আল জামান এবং তৃতীয় রেভাঃ পলস হাই স্কুলের ফারজানা আক্তারও বক্তৃতা করে। অনুষ্ঠানে ‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় হারম্যান মেইনর স্কুলের সায়িমা তাসনিম অরনি প্রথম, খুলনা জিলা স্কুলের ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় এবং হারম্যান মেইনর স্কুলের গ্রন্থী মুল তৃতীয় স্থান লাভ করে। অংশগ্রহণকারী ২৩টি বিদ্যালয়কেও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজক সুন্দরবন একাডেমী ও সুন্দরবন বন বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা, রূপান্তর থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুন্দরবনের পটগান দিয়ে অনুষ্ঠানের হয়।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা সুন্দরবনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের টিকে থাকার উপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল এ বনকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    বক্তারা সুন্দরবন রক্ষায় জনঅশংগ্রহণ আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধুমাত্র বন বিভাগের কিছু কর্মীদের দিয়ে সুন্দরবনকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে যে সুন্দরবনের যে কোন ক্ষতি তাদেরও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করবে।

    উল্লেখ্য, তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০১ সাল হতে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। এগুলো হচ্ছে : জাতীয় বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পরিবেশের গুরুত্ব এবং ভূমিকা সর্ম্পকে সর্বমহলে ব্যাপক সচেতনতা এবং আগ্রহ সৃষ্টি করা, যাতে এটি সংরক্ষণের কাজ শক্তিশালী হয়; বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বনবিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহকে সহায়তা করা; এবং সুন্দরবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালবাসা ও মমত্ববোধ তৈরী করা এবং তাদের চেতনায় সুন্দরবন ভাবনাকে উজ্জীবিত করা। তবে এই প্রধান তিন উদ্দেশ্যের বাইরেও সুনির্ষ্টভাবে বেশকিছু উদ্দেশ্যাবলী রয়েছে এই দিবস পালনের নেপথ্যে।

    সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তর, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্রুপ ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় বরাবরের মতই এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    খুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছাড়াও সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন  উপজেলা যেমন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, শ্যামনগর, আশাশুনিতে স্থানীয় বনবিভাগ, প্রেসসক্লাব এবং অন্যান্য বেসরকারী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সুন্দরবন দিবসের নানা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা, সেমিনার, কর্মশালা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি।

     

  • আজ ভালোবাসা দিবস, সুন্দরবন দিবস

    আজ ভালোবাসা দিবস, সুন্দরবন দিবস

    স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ ১৪ ফেব্র“য়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।

    বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকায় পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস। তিনদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচীর শেষ দিনে আজ খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে স্কুলভিত্তিক শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    সোমবার এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ-এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, সুন্দরবন একাডেমীর পরিচালক ফারুক আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস. এম হাবিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর রায়।

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তার, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্র“প ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বরাবরের মতই খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    এবারের সুন্দরবন দিবসের প্রধান আকর্ষণ হলো- খুলনা মহানগরীর নির্বাচিত ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলভিত্তিক অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘জীববৈচিত্র্যের সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ’ ধারণাটি রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে যাতে সুন্দরবন সংরক্ষণে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা-চেতনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। রোববার উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মকান্ডে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরবন বিষয়ে চিত্রাঙ্কন এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য হলো আগামী প্রজন্মের এই প্রতিনিধিদের ‘সুন্দরবন সচেতন’ করে গড়ে তোলা যাতে করে ভবিষ্যতে তারা জগৎবিখ্যাত এই বন সুরক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।

    সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, সাংবাদিক সমাজের ক্ষুরধার লেখনির মধ্য দিয়ে আমরা অচিরেই সুন্দরবন দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পারব- যার দাবি খুলনার মানুষ জানিয়ে আসছে বিগত ১৫ বছর যাবৎ।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, করমজলের লোপার্ড ক্যাট-ই যে কুমিরছানা হন্তারক সিসি টিভির ফুটেজে তা’ নিশ্চিত হবার পরেই চিতাবিড়ালটি হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। এটির পোস্টমর্টেম করে তার পেটে অনেকগুলো কুমিরের অংশ পাওয়া গেছে। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ মানুষের সচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

    উল্লেখ্য, “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন” শ্লে¬াগান তুলে ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে ই-কার্ড মেইল করার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুলনায় সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা জেল্ওা সুন্দরবন সন্নিহিত উপজেলাসমূহে সুন্দরবন দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

     

     

  • ভালোবাসার রঙ কী?

    ভালোবাসার রঙ কী?

    এসবিএিন : লোকে বলে বেদনার রঙ নীল। সুখের রঙ সাদা। শোকের রঙ কালো। ভালোবাসার রঙ কী? কেউ কেউ বলেন, ভালোবাসার রঙ লাল। তবে ভালোবেসে মানুষ নীল হয় কেন? কালো, ছাই বা পাথর বর্ণে ধূসর হয়ে শেষ সন্ধ্যার মতো পিত রঙেরইবা হয়ে ওঠে কখনো কখনো। তাহলে কি বলা যায়, ভালোবাসার কোনো রঙ নেই! ভালোবাসা কোনো রঙের হয় না!

    জলের যেমন কেনো রঙ নেই, যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের রঙই তার রঙ, তেমনি ভালোবাসারও একক কোনো রঙ নেই। যে যে রঙে ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলে ভালোবাসা সে রঙেই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। তাই তো ভালোবাসা কখনো কারো কাছে ধরা দেয় পরম সুখের রঙের হয়ে আবার কখনো কারো কাছে আসে রাতের গহীন আঁধার হয়ে।

    ভালোবাসা এক মায়ার ক্যানভাস। সে ক্যানভাসে যে শিল্পী যে রঙে-রূপে চিত্র অঙ্কন করেন, ‘ভালোবাসা’ সে রঙে-রূপেই উজ্জ্বল হয়ে আভা ছড়ায়। অনুভূতি জাগায়। আর এ অনুভূতি জাগায় বলেই ‘ভালোবাসা’ ধরা দেয় একেকজনের কাছে একেক রঙে। ভালোবাসাকে যে রঙে আঁকবেন ‘ভালোবাসা’ সে রঙেই ধরা দেয়। কারোরই কিছু করার থাকে না এ ভালোবাসায়।

    তাহলে ভালোবাসার কি কোনো রঙ নেই? ‘ভালোবাসা’ বায়বীয় শব্দ আর রঙহীন অনুভূতি? ভালোবাসায় জয় হয় আবার ভালোবাসারই ক্ষয় হয়। ভালোবাসাকে ভালোবাসার রঙ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে ভালোবাসা বেঁচে থাকে চিরদিন, আবার ভালোবাসাকে ভালোবাসাহীন রঙ দিলে সে নষ্টরঙ হয় আপনাতেই। ভালোবাসার কোনো শক্তি বা ক্ষমতা নেই সে রঙিন হয়। তাকে রাঙিয়ে তুলতে হয়। আর মানুষই ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলে।তবে আপনার ভালোবাসা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়,তার জন্য চাই একটু যতœ। তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনার ভালোকবাসাকে আরো একটু রঙিন রঙে রাঙিয়ে তুলবেন।

    ‘ভালোবাসা’মাটিতে রোপা গাছের মতো।তার মূলে প্রতিদিন পানি দিয়ে তাকে সতেজ রাখতে হয়। ভালোবাসা কোনো সম্পত্তি নয়, সামান্য অযতেœও তা ফিকে হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়।

    ভালোবাসার নির্দিষ্ট রঙ নেই বলেই একে একটি রঙে আটকে রাখা যায় না। অনেক রঙে রঙিন করতে হয়। ভালোবাসার যে কোনো কিছুকে ভালোবেসেই বাঁচিয়ে রাখতে হয়। না হলে ভালোবাসা মরে যায় নি:শব্দে।

    একেকজনের একেকরকম দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে ভালোবাসার রঙ। যেহেতু ‘ভালোবাসা’র নিজস্ব রঙ নেই, তাই চিত্রকরের মতো নানান রঙের উপাদান মিশিয়ে একটি রঙ তাকে দিতে হয়।

    ভালোবাসার বিষয়টি নির্ভর করে পুরোপুরি আপনার উপর।আপনি যেমন রঙে আপনার ভালোবাসাকে সাজাবেন  সেও তেমন রঙেই আপনাকে ভালোবাসায় সিক্ত করবে।

    ভালোবাসার আরএক নাম বিশ্বাস। তার সাথে মেশাতে হয় দায়িত্ব, কর্তব্য, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, বোঝাপড়া। এ সব কিছুর মিশ্রণে আপনার ভালোবাসা হয়ে উঠবে আরো রঙিন।

    ‘স্যাক্রিফাইস’শব্দটি ‘ভালোবাসা’র সাঙ্গে ছায়ার মতো। ভালোবাসার ক্ষেত্রে স্বার্থ থাকলে হবে না। ভালোবাসা হতে হবে নিস্বার্থ। ভালোবাসাই আপনাকে এনে দিবে স্বর্গীয় সুখ।

    বোতলে পনির রঙের ক্ষেত্রে পানি ও বোতল দুইয়ের ভূমিকাই যেমন প্রধান পায়। তেমনি ভালোবাসার ক্ষেত্রেও রঙ ও পট এই দুইয়ের ভূমিকাও প্রধান। রঙ অনেক ভালো হলো কিন্তু পট উপযুক্ত না হলে চিত্র যেমন অসুন্দর হয় না তেমনি পট অনেক ভালো হলেও রঙ যদি উপযুক্ত না হয় তাতেও চিত্র অসুন্দর হয়ে যায়। তাই ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুজনকেই সমান ভূমিকা পালন করতে হবে। এক পক্ষ ভালোবাসায় কখনো পূর্ণ ভালোবাসার রূপ হতে পারে না।