Category: জাতীয়

  • তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না

    তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না

    বাংলাদেশের সংগীতের স্বর্ণালী সময়ের একজন সংগীতযোদ্ধা বলা হয় ইথুন বাবুকে। শুরুর দিকে শিল্পী হিসেবে তাকে শ্রোতারা চিনলেও পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেন বাংলা গানের জগতে অন্যতম জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার। তার লেখা অসংখ্য গান সেই সময়ে আলোড়ন তুলেছে দেশব্যাপী। এখনো নিয়মিত গান করছেন তিনি। রয়েছেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাসে সক্রিয়। বিএনপির রাজনীতি করায় দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি ছিলেন বিটিভির কালো তালিকায়। বিভিন্নভাবে হয়েছেন নিপীড়নের শিকার। তবুও পিছু হাঁটেননি তিনি। দীর্ঘ সংগ্রামের পর পেলেন কাঙ্খিত বিজয়।

    ইথুন বাবু বলেন, মনে রাখতে হবে যে, “যে দেশে গুণীদের সম্মান দেওয়া হয় না, সে দেশে গুণী জন্মায় না।” আপনি ভাসানীকেই তো ভুলে গেছেন। আজকে আপনি ভারতের কথা বলছেন, এই ভাসানী কিন্তু এই ভারত নিয়ে বলছিল। এখন আপনি আবার ওটাই পুনরাবৃত্তি করছেন, তুলে নিয়ে আসছেন, তখন দাম দেননি। অর্থাৎ আমাদের সমস্যা হচ্ছে যে, আমরা মূল্যায়ন করি না। যদি ঠিক মূল্যায়ন না হতো, তাহলে কিন্তু আজকে দেশের সমস্যা যেত না। আমাদের জাতীয় খেলা হচ্ছে হাডুডু। খেয়াল করে দেখবেন, ‘এর পাও ও ধরবে, ওর পা এ ধরবে’, এটা আপনি লিখে রাখেন।

    যেহেতু সব জায়গায় ঘটনা হচ্ছে নির্বাচনের রাস্তা, ভাসানী সাহেবকে আমরা কিন্তু, উনাদেরকে শ্রদ্ধার পাত্রে রাখতে পারিনি এখন পর্যন্ত। একটা লোকও ভাসানী নিয়ে কথা বলে না। যে লোক সব ভারত বিরোধী কথা বলে গেছিল। এখন কি উনার কথা খুলছে। ৫৪ বছর পর এসে উনাকে নিয়ে আপনার এনালাইসিস চলছে দেখেন। আজকে যে ভারত আমাদেরকে গলা চিপে ধরেছিল, এই ভাসানীই কিন্তু উত্থাপন করেছিল ওই সময় ফারাক্কা নিয়ে, আপনার মনে পড়ার কথা। আপনার বয়স কত আমি জানিনা।

    তিনি আরো বলেন, যেকোনো বিষয়ে, যেমন উনি বলছেন যে, আইনের শাসন, জবাবদিহিতা, এটার কিন্তু প্রয়োজন আছে, সবকিছু। যেমন বলেছে যে নির্বাচনের রাস্তায় যদি বাধা হয়, যে দেশে আপনি একটা করে চিন্তা করবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, মনে করেন একজন মাদক ব্যবসায়ী হচ্ছে এমপি, ওর নাম হচ্ছে বদি, কিছু করতে পারছেন ওর জন্য! করতে পারছেন!

    সবাই জানে সে মাদক ব্যবসায়ী, রাজা, আপনি কোন কিছু করতে পারেননি কেন! আপনি ব্যর্থ। আবার মনে করেন যে, সরকার ওই মাদক ব্যবসায়ীকে এমপি বানিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে যখন আমরা একটু জোরদার কথা বলেছি, তারপর ওকে বসিয়ে দিয়ে ,তার বউকে দিয়ে দিছে, তুই ব্যবসা কর। এখান থেকে বেরিয়ে আসেন। না তো সামনে আরো সংকট আছে।

    ছোট্ট কথা দিয়ে শেষ করি, ৫ই আগস্ট যদি না ঘটতো, এ পর্যন্ত ১০০ জনের ফাঁসি হইতো। আমাদেরকে টুকরা টুকরা করে কাটা হইতো। এই দেশটা তোমার বাপের গান লেখার জন্য!

    ইথুন বাবু বলেন, উনি ববি হাজ্জাদ বসে আছে, উনারও তো কথাবার্তা আমি শুনি। উনাকেও তো মনে করেন, কলিজা টুকরা টুকরা করতো। কেউ মাফ পেতেন না, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। যে ৫ই আগস্টটা যেভাবে হয়েছিল, হইছে। ১৫ বছর আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা ৩৯ টা গান লিখছি। ভোটের বিরুদ্ধে গান লিখছি। ভোটের বাক্সে লাত্থি মারছি।

    ‘ধর, ধর, ধর, ১৪ ধর, জনগণ করছে প্রতিবাদ,

    দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’

    আমরা বলছি, আমরা যখন শুনছি, বারবার বলছি, দেশ বাপের! মোবাইল বাপের! ওর বাপের! শের বাপের! তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না।

  • ঢাকাতে আর বেশি লোক আসতে দেওয়া সম্ভব না

    ঢাকাতে আর বেশি লোক আসতে দেওয়া সম্ভব না

    গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে পরিবেশ উপদেষ্টা  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,“ঢাকাতে আর বেশি লোক আসতে দেওয়া সম্ভব না। এত লোকের ভার তো ঢাকা নিতে পারবে না”।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, ঢাকায় অতিরিক্ত মানুষের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা নেই।
    শনিবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, একটি টাস্কফোর্স রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা ইতোমধ্যেই বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এ বিষয়ে আগেও বিদেশি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তবে বাস্তবতা হলো দেশের ভেতর থেকেই আমরা টের পাচ্ছি যে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

    উপদেষ্টার মতে, প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করতেই হবে, এ বিষয়ে কোনো বিকল্প নেই। জনসংখ্যার চাপে ঢাকা ইতোমধ্যেই এক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
    যত আধুনিক যানবাহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাই গড়ে তোলা হোক না কেন, অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভার এই নগরী বহন করতে পারছে না। বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার স্থান অন্যতম, তবে এত ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী আর কোথাও আছে কি না, তা নিশ্চিত নয়।সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, রাজউক ‘লিভেবল ঢাকা’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেখানে বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগরীর প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ নির্ধারণের জন্য। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
    অধিক জনসংখ্যার চাপ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

  • আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

    আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

    নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতে ছিল, হোটেলে ছিল, পার্সোনাল বাড়িতেও ছিল। আপনারা শুধু এক জায়গার কথা জানেন। বাকি কথা জানেন না। অচিরেই হয়ত জানতে পারবেন।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫৬ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, যতদিন আমরা থাকি চেষ্টা করবো মানুষ ও দেশের জন্য কিছু করার। দেশটা এমন তছনছ হয়ে গেছে যে ঠিক করা ভেরি ডিফিকাল্ট, শুধু আমাদের জন্য না, আগামীতে যারা সরকারে আসবে তাদের জন্যও। সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই দেশে এমন চুরি হয়েছে এই চুরিকে আমি সাগর চুরি বলি না, প্রশান্ত মহাসাগরের মতো চুরি হয়েছে।

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তরুণ অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা সবাই তাদের এই দানকে স্বীকার করি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

    উপদেষ্টা বলেন, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ আয়তনে ছোট হলেও এটি অনেক বড় বড় ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এই কলেজের অবদান অনেক। তবে অনেক পুরোনো কলেজ হিসেবে এর অবকাঠামোর যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিলো ততটা হয়নি। কলেজটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন জানিয়ে কলেজের উন্নয়নে অনুষ্ঠানে উত্থাপিত তিনটি দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

    তিনি আরও বলেন, এক সময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিলো। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিসটি খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট, তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখা ও আরো কার্যকর করার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না হলে বন্দরটির পুর্ণ বিকাশ হবে না, এক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডাইরক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নজরুল ইমলাম মঞ্জু এবং সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান। এতে সভাপতিত্ব করেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের মোঃ আনিছুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোল্লা মারুফ রশীদ।

  • দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির

    দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির

    জামায়া‌তে ইসলামীর আমির ডা. শ‌ফিকুর রহমান ব‌লে‌ছেন, স্বাধীনতার পরে দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে। কম-বেশি সবাই এ জাতিকে কষ্ট দিয়ে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে গত ১৫ বছর যারা ছিল। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীদের দিয়ে শুরু করে একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড চলিয়েছে তারা। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নিজের দেশের মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে নাটোর জেলা জামায়া‌তের কর্মী স‌ম্মেল‌নে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

    শ‌ফিকুর রহমান বলেন, এতো মানুষ কেন জীবন দিয়েছে? তারা বৈষম্যহীন সমাজ চায়। তারা বলেছে, আমরা চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। দশমাসের সন্তান থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধরা জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল। সব শ্রেণি পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছিল।

    ‘আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দলের দেশ প্রেমিক নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। নির্বাচন তাদের জন্য, যারা দেশের মাটিকে আমানত মনে করে। আমরা চাই অতিদ্রুত সংস্কার করে দেশে একটি নির্বাচন হোক। আশা করি তারা সেই দিকেই যাবে।’

    জামায়াতের আমির ব‌লেন, যারা বাংলাদেশে অকাম-কুমাম করেছে, তারাই মানুষকে চোর বলতো। যারা মানুষের সম্পদ, ইজ্জতের ওপর হাত দিচ্ছে না তাদের মানুষ গ্রহণ করবে। পট পরিবর্তনের পর নেতাকর্মীদের বলেছি, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, সবাই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আন্দোলনে হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবকের হাতকে দেশ গড়ার হাতে পরিণত করব।

    তিনি আরও বলেন, আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে যাওয়ার জন্য নয়। কারো লাল চোখ আমরা দেখতে চাই না। জামায়াত ইসলাম বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ করতে চায়। আমরা বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। এদেশের হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই গর্বিত নাগরিক।

    জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসেন প্রমুখ।

  • বছরের দীর্ঘতম রাত আজ

    বছরের দীর্ঘতম রাত আজ

    উত্তর গোলার্ধের সব দেশের মানুষদের জন্য ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) বছরের দীর্ঘতম রাত। উত্তর গোলার্ধে আজ দ্রুত সন্ধ্যা নামলেও বছরের সবচেয়ে বেশি সময় লাগবে রাত শেষ হতে। ঠিক বিপরীত চিত্র বিরাজ করবে দক্ষিণ গোলার্ধে।

    মূলত ২১ ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থান করে এবং উত্তর মেরু সূর্য থেকে কিছুটা দূরে হেলে থাকার কারণেই রাত বড় হয়।

    ২১ ডিসেম্বর কেন বছরের দীর্ঘতম রাত?
    দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে। মূলত ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময় বদলায়। ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।

    ফলে সেখানে সূর্যের আলো অতটাই কম পড়ে যে দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।

  • গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

    গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

    দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

    সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।

    কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে, কিছু বন্দি এখনো ভারতের জেলে থাকতে পারে।

    কমিশন জানায়, ‘আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি যেন তারা ভারতে এখনো বন্দি অবস্থায় থাকাতে পরে এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করতে সাধ্যমত চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এই বিষয়টি তদন্ত করা কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ।’

    প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুটি বহুল আলোচিত ঘটনা গুমের এই কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সরবরাহ করে।

    ঘটনা দুটির একটি হলো- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে উপস্থিত হওয়া সুখরঞ্জন বালির ঘটনা এবং অপরটি হলো বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা।

    এসব ঘটনার পাশাপাশি হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, তার কারাগারের বাইরে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনা যেত, যেখানে বলা হচ্ছিল- ‘ওকে কখন ধরা হয়েছে? কোনো তথ্য দিয়েছে কি? এখনো কী জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে?’ ইত্যাদি।

    কমিশন জানায়, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত বন্দি বিনিময় ব্যবস্থার কিছু কার্যপ্রণালীকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে।

    ২০১৫ সালে উত্তরায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক হওয়ার পর তিনি জানান, তাকে একটি পরিত্যাক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল, যেখানে মেঝেতে একটি গর্ত ছিল যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

    তাকে দেওয়া কম্বলটিতে ‘টিএফআই’ অক্ষরগুলো লেখা ছিল, যা ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে।

    তারা জানায়, ওই সময় একমাত্র সক্রিয় টিএফআই কেন্দ্রটি ছিল র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে, যা র‌্যাব সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হলেও, এটি ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব-১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের একটি প্রাচীর ঘেরা স্থাপনার ভিতরে ছিল

  • মারা গেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

    মারা গেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

    অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। উপদেষ্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. আবেদ চৌধুরী।

    উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ গণমাধ্যমকে জানান, তার বাবা উপদেষ্টা হাসান আরিফ হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপরে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। এর আগে ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ এফ হাসান আরিফ। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।

    এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন , সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।

  • সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম

    সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম

    মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ১২ বছর ছয় মাসের চেয়ে কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা আছেন দুই হাজার ১১১ জন। তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স মন্ত্রণালয় থেকে ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করা আছে। এর চেয়ে কম বয়সী আছেন ২ হাজার ১১১ জন। তারা তালিকা থেকে বাদ যাবেন।’

    অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তারা যদি স্বেচ্ছায় চলে যান তাহলে সাধারণ ক্ষমতা পেতে পারেন। না হলে তাদের অভিযুক্ত করা হবে।

    আদালত নির্ণয়ের পর এদের সাজার ব্যবস্থা করা হবে।

    মন্ত্রণালয় থেকে ভাতাপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৮৯৫ জন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৬৮ জন। সব মিলিয়ে মোট ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন।

    এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন, রাজাকারের তালিকার কোনো ফাইল পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়েও এ নথি নাই।

  • ভিসা সেন্টার ঢাকায় আনার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার

    ভিসা সেন্টার ঢাকায় আনার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ করেছেন।

    সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

    প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইন্টার‌্যাক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।’

    বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসব কথা জানান।

    বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’

  • ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত

    ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত

    ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪ এর অনলাইন আবেদন ‘অনিবার্য কারণে’ স্থগিত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরুর আগের দিন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পিএসসির জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন। এই বিসিএসে শূন্য পদে ক্যাডার নিয়োগ পাবেন তিন হাজার ৪৮৭ জন।

    ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমাদান ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হয়ে জমাদানের শেষ তারিখ ও সময় ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ছিল।

    পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানান, অনলাইনে আবেদন শুরু ও শেষ হওয়ার সময় এবং তারিখ কমিশনের অনুমোদনক্রমে শিগগিরিই জানিয়ে দেওয়া হবে।

  • হাসিনার বক্তব্যে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ

    হাসিনার বক্তব্যে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ

    ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য পছন্দ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এই বার্তা পৌঁছে দিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।

    বাংলা‌দেশ ও ভারতের ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরানোর প্রশ্নে জসীম উদ্দিন বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাকে ফেরানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ আসার বিষয় আর এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত যখন হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন ব্যবস্থা নেবে। এটা এফওসিতে কেন, যে কোনো পর্যায়ে হতে পারে। সেটা কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমেও হতে পারে, জানানো যায় এবং দিল্লিতে আমাদের যে মিশন আছে তার মাধ্যমেও জানানো যায়।

    সংক্ষিপ্ত সফরে আজ সকালে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি। এদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলা‌দেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকার হয়ে নেতৃত্ব দেন জসীম উদ্দিন। অন্যদিকে, দিল্লির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন বিক্রম মিশ্রি। দুই সচিবের মধ্যে একান্ত আলাপসহ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক।

    ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ পছন্দ নয় অন্তর্বর্তী সরকারের। সেই বার্তা দিল্লির পররাষ্ট্র সচিবকে ঢাকায় পেয়ে সরাসরি পৌঁছে দেন জসীম উদ্দিন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান করে যে বক্তব্য রাখছেন এই বক্তব্যের প্রতি আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আপনারা গতকাল শুনেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) একটি বক্তৃতা দিয়েছেন, এটা এই সরকার পছন্দ করছেন না এবং তারা যে কথাটা বলেছেন, তার উপস্থিতি দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

    তিনি বলেন, আমরা বলেছি, তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা আমাদের পছন্দ হচ্ছে না। তাদের (ভারতকে) আমরা বলেছি, আমরা যে এটা পছন্দ করছি না এটা তাকে (শেখ হাসিনাকে) যেন জানানো হয়। তারা (বিক্রম মিশ্রি) নোট নিয়েছেন।

  • স্ত্রীর কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিলেন রিজভী

    স্ত্রীর কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিলেন রিজভী

    ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান ও স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী।

    বৃহস্পতিবার (৫ই ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়িটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতেই এই অনুষ্ঠান

    রিজভী বলেন, যারা আমার দেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। তাদের দেশের যে শাড়ি কিনতো আমাদের মা-বোন-স্ত্রীরা, তারা আর ভারতীয় শাড়ি, সাবান টুথপেস্টসহ কোনো কিছুই কিনবে না।

    ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুর রহমান আউয়ালও বক্তব্য দেন।

  • নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতি থাকলেও আমাদের পরিবার একটা : প্রধান উপ‌দেষ্টা

    নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতি থাকলেও আমাদের পরিবার একটা : প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

    ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জেগেছে। সেগুলোর জবাব খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরই এই সরকার যখন গঠন হয়, আগস্টের ৮ তারিখ আমি যখন বিমানবন্দরে উপস্থিত হলাম। তখন সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেটা কোন রাজনৈতিক বা শ্রোতাপ্রিয় বক্তব্য ছিল না। বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতেই জোর দিয়েছিলাম।

    তিনি বলেন, আমাদের শত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা কারও শত্রু না। পরস্পরের শত্রু না। আমরা এক জায়গাতে, এক কাতারে ওখানে চলে আসি। যেখানে আমাদের জাতীয়তার প্রশ্ন আছে, পরিচয়ের প্রশ্ন আছে। আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য।

    ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে ‘আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।’

    তিনি বলেন, আমি তাদের আন্তরিকভাবেই বলেছিলাম যে আমরা এটা দেখব নিশ্চিত করার ব্যাপারে। সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেওয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারপরও শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তো আমি সবার সঙ্গে বসলাম এবং কথা বললাম যে এখান থেকে কী করে তাদের উদ্ধার করতে পারি? তখন পূজার সময় এল। আমি মনে করলাম এই সময়ে হামলা হবে। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো রকম হামলা না হয়।

    তিনি বলেন, দুর্গাপূজা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম একটুতো কাজ করেছি। এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলবো না প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এসব হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কি হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভূুল হতে পারে। ভুল তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মত বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোন ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কিভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এতবড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।

    ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তথ্য পেলাম কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোন গোলমাল নেই। তথ্যপ্রবাহ কিভাবে পাব, দোষীকে কিভাবে ধরব। যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়। এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মত বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করে যেতে হবে।

    সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কিভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করবো, যে তথ্য দিচ্ছে তা যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।

  • গণমাধ্যমে মতামত দেওয়ায় Huawei” কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংগঠক মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার নিন্দা ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান

    গণমাধ্যমে টেলিটকের ৫ম প্রকল্পে দুর্নীতি সম্পর্কে মতামত দেয়ায় চীনা কোম্পানী Huawei‘ কর্তৃক বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করায় গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে অবিলম্বে মিথ্যা, হয়রানিমুলক মামরা প্রত্যাহার করে জনগনের কন্ঠরোধ করার অপকৌশল বাদদিয়ে নাগরিকের স্বাধীন মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার দাবি করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।মহিউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সরকারের স্বৈরচারী আচরণ ও সাধারন মানুষের কন্ঠরোধ করার বিপরীতে জুলাই আন্দোলনে বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই উদার গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন মতামতের প্রদানে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। বিগত সরকারের নানা বঞ্চনা ও অবিচারের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের মতামত গণমাধ্যমসহ রাস্তায় সভা-সমাবেশ করে প্রকাশ করছেন। সরকার সেখানে কোন প্রতিবন্ধকতা ও বাঁধা তৈরী করেনি। কিন্তু পত্রিকায় মতামত প্রদানের জন্য মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা করে জনগনের কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে নৈতিকতা পরিপন্থি ও ন্যায্য ব্যবসা প্রসারে বড় বাঁধা। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাদের এ ধরনের অসৌজন্যমূলক, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি অনেকটাই “শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অচচেষ্টা” কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিটিআরসি এবং দুদকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশের আহবান জানিচ্ছি।
    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি হিসাবে মহিউদ্দিন আহমেদ দেশে ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক অধিকার লংগন হলেই সোচ্চার এবং প্রতিবাদে রাজপথসহ সর্বত্রই সক্রিয়। একটি প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করতে এধরনের অপকৌশল কোন সময়ই সফল হয় না। অধিকন্তু তারা যদি অনিয়ম বা ধরনের নিন্মমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহে জড়িত না হয় তাহলে যারা সংবাদটি প্রকাশ করেছেন, তার প্রতিবাদ দেয়া যেত, লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মতামত প্রদানকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হাস্যকর বিষয়ে পরিনত করেছেন।
    বিবৃতিতে নেৃতৃবন্দ আরও বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার প্রত্যেক নাগরিককে দিয়েছে। আর ভোক্তা হিসাবে ভোক্তা স্বার্থ সংস্লিষ্ঠ সব বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদানের স্বাধীনতাও জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকারের অন্যতম। তাই কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সে অধিকার লংগনের কোন সুযোগ নেই। আর কেই যদি ভোক্তার সে অধিকার হরণ করতে চায় তার অর্থ হলো তিনি বা প্রতিষ্টান ভিন্ন কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এটি করছেন। যা ন্যায্য ব্যবসার পুরোপুরি পরিপন্থি। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বশীল নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর রহস্য উদঘাটন প্রয়োজন।
  • অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান

    অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান

    সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর কোর্ট বিল্ডিং ডিসি হিলে মানববন্ধন ও পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও স্মরকলিপিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত আলু, পেঁয়াজ, সবজি এবং সয়াবিন তেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস অবস্থা। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু মান ভেদে এখনো ৭৫-৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫-১৩০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
    এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। মূলত আলুর হিমাগার পর্যায়ে হিমাগার মালিক, বেপারী ও কমিশন এজেন্টসদের কারসাজিতে হাতবদল ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের কারণেই এবার আলুর দামের এই উর্ধ্বগতি। হিমাগারে বিপুল মজুদ থাকলেও স্থানীয় কমিশন এজেন্টস ও আড়তদাররা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরী করছেন। আবার দাম নিয়ন্ত্রণ বা আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হিমাগার ও আড়তদার পর্যায়ে যথাযথ তদারকি নাই। আর এই তদারকি না থাকায় আলুর মতো পেঁয়াজের দাম ও অনেক বেশি।
    বছর আলু উত্তোলন মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা পাইকারি দামে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেছে ২৫-২৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হতো ৩০-৩৫ টাকায় আর এখন সে আলু এখন প্রতি কেজি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। কৃষক থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুদ করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেবার কারণে এসব ঘটনা বারবার ঘটছে। এপরিস্থিতি সরকারি বাজার তদারিক সংস্থাগুলোকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ না করলে জনভোগান্তি কমবে না।
    পরে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের কাছে স্মারকলিপিতে-৮দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। দাবিগুলাহলো; অসাধু ও সিন্ডিকেটবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, দেশব্যাপী নিত্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, বাজার অভিযান/মনিটরিং জোরদার ও কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে, টিসিবির ট্রাক সেল বাড়াতে হবে, বাজারে খোলা ভোজ্য তেল বিক্রিতাদের কঠোর ভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে, ভোক্তা স্বার্থ দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ বা ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে, সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১ কোটি সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য দিচ্ছে এর সংখ্যা ১,৫০,০০০০ (দেড় কোটি) করতে হবে, আইনে নিষিদ্ধ থাকা বাজারে খোলা ভোজ্য তেল (ড্রামে) বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
    মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সদরঘাট থানা সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব ৮নং পশ্চিম ষোল শহরের আবদুল আওয়াল শাহীন, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, সিদরাতুল মুনতাহা, রাইসুল ইসলাম ও ক্যাব বিভাগীয় সমন্বয়ক আবু হাসান আজমী প্রমুখ।

  • চট্টগ্রামে “পরিবর্তিত পরিস্থিতিঃ শিক্ষার্থী-যুব ভাবনায় ভবীষ্যত বাংলাদেশ” শীর্ষক কমর্শালা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে “পরিবর্তিত পরিস্থিতিঃ শিক্ষার্থী-যুব ভাবনায় ভবীষ্যত বাংলাদেশ” শীর্ষক কমর্শালা অনুষ্ঠিত

    মোহাম্মদ জুনায়েদ জুলাই বিপ্লবের বীরযোদ্ধা। জুলাইয়ের ১৮ তারিখে তার ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ননায় উপস্থিত সকলের আবেগে আপ্লুত হয়ে যান। তাকে সেদিন সরকারি সিটি কলেজের সামনে ছাত্রলীগের সদস্যরা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পুরো শরীরটা ক্ষত-বিক্ষত করেছিলো। হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ভেবে মর্গে(লাশঘর) পাঠিয়ে দেন। ৭-৮ ঘন্টার পর আল্লাহ অশেষ কৃপায় লাশঘরে তার জ্ঞান ফিরে আসে। অতঃপর সে বেঁচে যায়। কিন্তু দুই পা এখনও ভালো হয়নি। হাঁটার জন্য কৃত্রিম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এরকম হাজারো তরুন-কিশোরের আত্মহুতির বিনিময়ে এই জুলাই বিপ্লব। তাই এই বিপ্লবকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। এ জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ০৩ নভেম্বর ২০২৪ নগরীর কুক আউট রেস্টুরেন্ট কনফারেন্স হলে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) কর্তৃক আয়োজিত “পরিবর্তিত পরিস্থিতিঃ শিক্ষার্থী-যুব ভাবনায় ভবীষ্যত বাংলাদেশ” শীর্ষক কমর্শালায় অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন তরুনরা এভাবেই তাদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন।

    অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট(এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই’র নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব যুব গ্রæপের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন, ছাত্র নেতা আল রাজী, আরমান শাহরিয়ার সৌরভ, করিমুল ইসলাম, সাফার আহমেদ, তানিয়া সুলতানা, ইমদাদুল ইসলাম, জাহিন আরমান, রাসেল উদ্দীন, রায়হান উদ্দীন, আবুল কাসেম, সুমইয়া, ইশরাফুল হক চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ, রাইসুল ইসলাম, নাফিজা নবী, ক্যাব যুব গ্রæপ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

    আলোচনায় জুলাই ছাত্র-জনতা গণঅভ্যত্থানে অংশগ্রহনকারী ছাত্র ও যুব নেতারা তাদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তারা কি উদ্দ্যেশ্য অর্জনের জন্য এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন তার ব্যাখা প্রদান করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা আশা করেন অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। অধিকার ভোগ করতে গিয়ে আবার কারও অধিকার যেন হরণ করা না হয় সে বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। অর্ন্তবতীকালীন সরকার নানা সংস্কার ও পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে তেমন একটা সংস্কার না করায় হতাশ হলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে কমিশন গঠন এবং শিক্ষা কারিকুলামে সংস্কার আনার দাবি জানান। একই সাথে কর্মমূখি শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের আহবান জানান।

    অংশগ্রহনকারীরা আরও বলেন কৃষি ও ভূমি সংস্কারে গুরুত্ব প্রদান করে কৃষি ও ভূমি সংস্কারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন কৃষিতে রাসায়নিক সার ও বীজ ব্যবহারের কারনে একজনমানুষ প্রতিবছর ৪০০-৫০০ গ্রাম বিষ নিচ্ছে। তাই কৃষিতে জৈব সার ও প্রাকৃতিক কৃষির ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করার আহবান জানান।

    শিক্ষার্থী ও তরুনদের জন্য খন্ডকালীন চাকুরীর ব্যবস্থা প্রবর্তন করে তাদেরকে আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা করা ও পড়াশুনা শেষ করেই যেন প্রকৃত শিক্ষা লাভ করে চাকুরীতে যোগ দিতে পারে তার জন্য পরিবেশ তৈরীর আহবান জানান। কারণ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন হলেও বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে কর্মজীবনে যোগ দিতে পারে না।সেজন্য কারিগরী শিক্ষার প্রসারে আরও জোর দেয়া দরকার। তরুনদেরকে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে মুলধন সরবরাহে জমানতবিহীন ঋন প্রদান, যারা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ঋন নিয়েছে তাদেরকে অগ্রাধিকার বিধান বাতিল করার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত প্রথা সংস্কারের দাবিও জানান।

    নিত্যপণ্যের বাজার সংস্কারে পৃথক সংস্কার কমিশন গঠন করা, কিছু সময়ের জন্য বাজারে তদারকির মিডিয়া ট্রায়েল বন্ধ করে সিন্ডিকেটের আসল হোতাদেরকে কঠোর আইনের আওতায় শাস্তির দাবির জানান। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বঞ্চিত ও মেধাবীদের পুনঃবহালের দাবি জানান। বিগত সরকারের আমলে সরকারি বেসরকারী অফিস আদালত, সেবপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় দালালি ও ঘুষবানিজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান। একই সাথে সরকারি তথ্য প্রাপ্তিতে জঠিলতা দূর করা, সরকারি কর্মকর্তারা জনগনের প্রভু নয়, জনগনের সেবক ও জনগনের করের টাকায় তাাদের বেতন ভাতা প্রদান করা এই বিষয়টি যে কোন বুনিয়াদি প্রশিক্ষনে অর্ন্তভুক্ত করা ও তাদের মানষিকতা পরিবর্তনে প্রচলিত প্রথার সংস্কারের দাবি জানান।

  • আমাদের স্বাধীন দেশ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা কেন : চরমোনাই পীর

    আমাদের স্বাধীন দেশ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা কেন : চরমোনাই পীর

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাহাবাদের অনুসরণ। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া বিজয় সম্ভব নয়। বিজয় অর্জন করতে হলে অবশ্যই সাহাবাদের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রাসূলকে যেই নীতি ও আদর্শ নিয়ে পাঠিয়েছেন এই নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনি যদি এই নীতি আদর্শকে বিশ্বাস করেন তবে আপনার সন্তানকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

    আজ শুক্রবার ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল ময়দানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন চরমোনাই পীর।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের দেশ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা হবে কেন? আমরা কি স্বাধীন দেশের নাগরিক নয়? হিন্দুরা এদেশের নাগরিক তাদের ভালোমন্দ আমরা দেখবো। এটা নিয়ে অন্যদেশে আলোচনা হবে কেন?

    চরমোনাই পীর সাহেব আরও বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে সকল দল জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। খুনী ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলাম দেশ ও মানবতার পক্ষে আওয়াজ তুললে বাতিল পালাতে বাধ্য হবে।

    গণজমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যারা দখলবাজি করছে এরা আধা পাগল। এদের চিকিৎসার জন্য একটি মেন্টাল হসপিটাল তৈরি করা জরুরি। তবে এসব রাজনীতিবিদরা সুস্থ হয়ে দেশ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

    গণজমায়েতে প্রদত্ত বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, একটি সরকার পরিবর্তন করা সহজ হলেও আদর্শ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা তত সহজ নয়। এজন্য আদর্শবান সচ্চরিত্রবান প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। মেধাবীদেরকে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে গণজমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নেছার উদ্দীন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, অ্যাডভোকেট হাছিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, শরিফুল ইসলাম রিয়াদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

    আজ দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত চরমোনাই ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি ও খুৎবা প্রদান করেন নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।

    জুমার জামাতে অংশ নেন বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উলামায়ে কিরাম ও জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

    আগামী ৩০ নভেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৮ টায় হযরত পীর সাহেব চরমোনাই’র আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

    মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে গতকাল দুইজন বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। উভয়ের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

  • যমুনা নদীর রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত

    যমুনা নদীর রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত

    যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন নামে আগামী বছরের (২০২৫) জানুয়ারিতে এ সেতু উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে নবনির্মিত রেল সেতুর নাম কি দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। ইতোমধ্যে রেল সেতুর ওপর দিয়ে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়েছে।

    শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান।

    প্রকল্প পরিচালক বলেন, শোনা যাচ্ছে উদ্বোধনের আগেই রেল সেতুর নাম পরিবর্তন করা হবে। তবে নাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এই সেতুর কাজ আগামী ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। এরপর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এটি চালু হতে পারে। যমুনা সেতুর ৩০ মিটার দূরত্ব রেখে নতুন রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

    ১৯৯৮ সালে চালু হওয়া যমুনা সেতুতেও পরে রেলপথ যুক্ত করা হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুর কাঠামোগত সমস্যা দেখা দেওয়ায়– ট্রেনের গতি বেশ কম রাখতে হয়। আবার যমুনা সেতুর পূর্ব স্টেশন থেকে ট্রেন সেতুতে প্রবেশ করলে, পশ্চিম স্টেশন প্রান্তে অন্য ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে ২০ কিলোমিটার গতিসীমা নিয়ে গড়ে ৩৮টি ট্রেন যমুনা সেতু পাড়ি দেয়।

    আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। আর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এই সেতু রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে চাই। ডিজিটাল কম্পিউটার-বেজড সিগন্যাল ইনস্টল করতে এপ্রিল পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে এই বিলম্বের কারণে রেল চলাচলে সমস্যা হবে না, কারণ সাময়িকভাবে এনালগ সিগন্যাল ব্যবহার করা যাবে।

    রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু রেল‌ সেতুর নাম এখনও প‌রিবর্তন হয়‌নি। ত‌বে উচ্চ পর্যা‌য়ে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হ‌চ্ছে। সেতুর উদ্বোধনের আগে হয়তো রেল সেতুর নাম প‌রিবর্তন হ‌তে পা‌রে। রেলও‌য়ে কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এটির উদ্বোধন করা হবে।