Category: জাতীয়

  • ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে নারীদের মশাল মিছিল

    ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে নারীদের মশাল মিছিল

    ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন শতাধিক নারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরবাসীর ব্যানারে লালমাটিয়ায় এ মিছিল হয়।
    মিছিলে ‘নেশাখোরদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধূমপান নিষিদ্ধ কর, করতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। পরে মিছিলে সংহতি জানিয়ে যোগ দেয় লালমাটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা।
    এ সময় স্থানীয়রা বলেন, কয়েকদিন আগে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। লালমাটিয়া এলাকাটি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করছে। তাদের কারণে শিশুরাও বিপথগামী হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এই মশাল মিছিল বের করা হয়েছে।
    মিছিলে অংশ নেওয়া সামিনা ইয়াসমিন বলেন, ধূমপানের কারণে নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশ্যে ধূমপান শিশুসহ অধুমপায়ীদের বেশি ক্ষতি করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই সারা দেশে ধুমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করা হোক।

  • গত সাত মাসে ১১৪ গণপিটুনি, নিহত ১১৯: এইচআরএসএস

    গত সাত মাসে ১১৪ গণপিটুনি, নিহত ১১৯: এইচআরএসএস

    ন্যাশনাল ডেস্ক : অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১১৯ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
    এছাড়াও গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে অন্তত ৩০টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন। আহত হয়েছেন ২০ জন।
    সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মারা গেছেন অন্তত ৭৯২ জন। আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন। গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে গত বছর। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ১৭৯ জন। আহত হয়েছেন ৮৮ জন।
    গত বছরের মতো গণপিটুনির ঘটনা বেশি ঘটেছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। এ দুই বছরে গণপিটুনিতে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন।
    এর মধ্যে ৩ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের এওচিয়া এলাকায় মাইকে ‘ডাকাত পড়ার’ ঘোষণা দিয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দলবদ্ধভাবে গুলশানের একটি বাসায় ঢুকে ‘তল্লাশি’র নামে জিনিসপত্র তছনছ ও লুটপাট করা হয়।
    এইচআরএসএস বলছে, এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডাকাতির ঘটনায় শরীয়তপুরে সাতজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে পাঁচজন মারা যান। এর এক দিন আগে রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
    এসব ঘটনার বাইরে বগুড়া, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, খুলনা, টঙ্গী, রাজশাহী ও বরিশালেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
    দেশে এ ধরনের সহিংসতা বৃদ্ধির পেছনে ছয় ধরনের কারণের কথা বলেছেন এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম।
    তিনি বলেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষত পুলিশ ও র‌্যাব এখনো পুরোপুরি কার্যকর নয়। আবার চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের কারণে অনেকে সন্দেহ করে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছেন।
    ইজাজুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির নজির তেমন নেই। তাই অনেকেই আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন।
    এ ছাড়া স্বার্থান্বেষী কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অরাজকতা তৈরির চেষ্টা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতার অভাবে রয়েছে। এসব কারণে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে।
    বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১০ বছরের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

  • ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

    ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

    ন্যাশনাল ডেস্ক : এবার জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
    ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, দাবি উঠেছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারেরও।
    এমন অবস্থায় এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করার আশা করছেন ড. ইউনূস। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই নির্বাসনে থাকা হাসিনা এবং তার দল সেই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত চাচ্ছে বাংলাদেশ।
    তিনি বলেন: “শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং এরপর অর্থনীতি। সাবেক সরকারের রেখে যাওয়া এটি এক ছিন্নভিন্ন অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। এটা এমন কিছু যেন ১৬ বছর ধরে কিছু ভয়ানক টর্নেডো হয়েছে এবং আমরা এখন টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
    অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবেন। তার সরকার কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সংস্কারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
    অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যদি আমাদের ইচ্ছা মতো দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে আমরা নির্বাচন করতে পারবো। আর যদি সংস্কারের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।”
    গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা সহিংস বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। (এমন বিশৃঙ্খলা যেখানে) মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
    কিন্তু প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ঢাকার মানুষ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি এবং পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। ড. ইউসূস বলেন, “বেটার (ভালো) একটি আপেক্ষিক শব্দ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি গত বছরের একই সময়ের সাথে তুলনা করেন তবে এটি (আইনশৃঙ্খলা) ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন কিছু নয়।”

  • শেখ হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন: ড. ইউনূস

    শেখ হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন: ড. ইউনূস

    বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুধু হাসিনা নন, তার পরিবারের সদস্য, ক্লায়েন্ট এবং সহযোগীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস জানান, হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছি, তবে নয়াদিল্লি থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ড. ইউনূস আরও বলেন, হাসিনার বিচার অবশ্যই হবে, সেটা তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা ভারতে থেকেই হোক।
    প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ বা গোপন টর্চার সেল পরিদর্শন করেছেন, যেখানে গত ১৫ বছর ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, সেখানে যা দেখেছেন, তাতে তিনি হতবাক। হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। অনেক অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
    ড. ইউনূস স্বীকার করেন, অভিযুক্তদের সংখ্যা ও পরিসর বেশি হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তিনি বলেন, পুরো সরকার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই কারা সত্যিই উৎসাহের সঙ্গে এই অপরাধগুলো করেছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল, তা বের করা কঠিন। তবে ভুক্তভোগীদের পরিবার যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায়, সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি দেবেন না

    যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি দেবেন না

    যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া তিনি স্বল্প পরিমাণ টাকা দান করা থেকেও বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ তা থেকে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারবে না।
    জামায়াত আমীর বলেন, ‘যাকাতের এই টাকা বিভিন্ন সংস্থা গ্রহণ করে। যেহেতু আমাদের দেশে ইসলামি সরকার নেই, ফলে যাকাতের টাকা মানুষ সরকারের হাতে দিতে চায় না। আর যাকাত দানের পদ্ধতিই হচ্ছে কাউকে একবার যাকাত দিলে তার যেন পরবর্তীতে আর কারো কাছে সাহায্য চাইতে না হয়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করি। তাকে পয়সা দিয়ে আমরা বসে থাকি না। তাকে সংগ দেই, তদারকি করি যে সে যাকাত টি সঠিকভাবে ব্যবহার করেছে কি না।’’
    তিনি বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে হাতজোড় করে অনুরোধ করবো শাড়ি এবং লুঙ্গি বিতরণ করবেন না। ২০, ১০০ বা ৫০ টাকা দিবেন না। এ দিয়ে সে স্বাবলম্বী হবে না। যাকাতের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) যে সুসংবাদ দিয়েছেন সেটা বাস্তবায়ন হবে না।’
    ঊুড়রপজামায়াত আমীর আরও বলেন, ‘আপনার কোনো নিকট আত্মীয়কে যদি আপনি সরাসরি পুনর্বাসন করতে লজ্জা পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব দিয়ে দিন। আমরা আপনার কামলা হিসেবে কাজ করে দিবো ইনশাআল্লাহ। তদারকিও করবো। আপনাদের সাথে আমরাও আল্লাহর দরবার থেকে কিছু পাওয়ার আশায় করবো। এবং বড় টার্গেট থাকবে সমাজ থেকে যেন দারিদ্র্য দূর হয়।’

  • যদি সীমান্তে আর একটি হত্যার ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব: বিজিবি প্রধান

    যদি সীমান্তে আর একটি হত্যার ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব: বিজিবি প্রধান

    ন্যাশনাল ডেস্ক : সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলে ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের আইনানুগভাবে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে, এমন মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
    শনিবার (১ মার্চ) সকালে কক্সবাজারে বিজিবির নবগঠিত উখিয়া ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “সীমান্তে হত্যাকা- এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণে হোক না কেন, হত্যা কখনোই চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।”
    তিনি আরও বলেন, “হত্যার ঘটনাগুলো সাধারণত শূন্যরেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। শূন্যরেখায় প্রবেশ ঠেকাতে আমরা কাজ করছি।” সীমান্ত হত্যাকা-ের বিষয়ে ভারতকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

    চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: শনিবার (২ মার্চ) ইসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২৭৪ জন।
    সিইসি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে। একই অনুষ্ঠানে তিনি জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর একটি র‌্যালি বের করা হয়।
    এ বছর সপ্তমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের ২ মার্চ থেকে ভোটাধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে দিনটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ে থানা, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসগুলোতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
    এদিন ইসি জানায়, ২০২৫ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২৭৪ জনে পৌঁছেছে।

  • জানতাম শেখ হাসিনার পতন হবেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ

    জানতাম শেখ হাসিনার পতন হবেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আমরা জানতাম শেখ হাসিনার পতন হবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তবে কবে হবে, কখন হবে, কত রক্তপাতের উপর দিয়ে হবে সেটার অপেক্ষা করছিলাম আমরা। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যেসব ফ্যাসিস্টদের পতন হয়, তারা সেই দেশে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরতে পারে না, সুস্থ রাজনীতিতে ফিরতে পারে না, আওয়ামী লীগও পারবে না।
    ১৯৫৪ সালে ভোটের মাধ্যমে মুসলিম লীগের পতন হয়েছিল। ১৯৬৯ এ এই ভূখ-ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আইয়ুব খানের পতন হয়। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন হলে সে আর কখনো দালালি ছাড়া রাজনীতিতে কিছুই করতে পারেনি।

  • ভালো থাকুক সব শহীদরা: আসিফ নজরুল

    ভালো থাকুক সব শহীদরা: আসিফ নজরুল

    ন্যাশনাল ডেস্ক: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আ্যকাউন্টে শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধর একটি স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছে, যেখানে লেখা ছিলো; সবাই পোস্ট দিচ্ছে,’ইফতারের মূল ইনগ্রিডিয়েন্স হলো পরিবার!’
    আমার পরিবারটা তো আর কখনো পরিপূর্ণ হবে না। বিগত বছরগুলোতে আম্মুকে দেখতাম মুগ্ধর খুলনা থেকে আসার জন্য অপেক্ষায় প্রতিটি ইফতারের সময় বলতো কি দিয়ে জানি ইফতার করতেসে খুলনাতে। আর যখন আসতো আম্মুর মুখে একটা হাসি লেগেই থাকতো আর স্পেশাল আইটেম রেডি করতো। মুগ্ধর সামনেই আমরা কতো ক্ষেপাইতাম আম্মুকে এই বলে যে তোমার প্রিয় ছেলে আসছে এখন তো ভালো ভালো রান্না করবাই।
    আমি জানি আজকে ইফতারের সময় আম্মু কাদবে, অবশ্যই কাদবে আর বলবে আমার মুগ্ধটা আর বাড়ি ফিরবে না। হাজারটা সন্তানের মা আজকে কাঁদব, এবং এই কান্না থামানো কারো পক্ষে সম্ভব না।
    ওপারে ভালো থাকুক সব শহীদরা।
    রমজান মোবারক
    বাংলাদেশ।

  • ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি

    ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি

    সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিক।

    তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারের পর যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের কাছে আমরা হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে, যদি তারা না করে।

    আজ শনিবার দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি প্রাধান্য এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে। সেই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদরদপ্তর থেকে শুরু করে সবখানে বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

    তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পরে এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি, যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পরে কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

    বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটেও কেউ মারা যেতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

    মহাপরিচালক আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যাইহোক; হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না। আরও যদি একটি (হত্যা) করা হয় আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবো। আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

    মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে বিজিবি ডিজি বলেন, কেউ যদি মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ না করে, (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা (বিজিবি) তৈরি আছি।

  • জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

    জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

    জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে। আর এ নতুন দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে আখতার হোসেনকে।

    শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক দল ও আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত শহীদ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মীম আক্তার।

    মীম আক্তার বলেন, ইতিহাসে দেখিনি বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ। আমরা দুই বোনের কাঁধে ছিল ভাইয়ের লাশ।

    এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হয়েছেন ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার রিভা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। বিকেল ৪টার পর নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।

    এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কূটনৈতিকদের মধ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের পক্ষে একজন কাউন্সিল অংশ নিয়েছেন বলে মঞ্চ থেকে জানানো হয়।

  • ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

    ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকা- নিয়ে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে মঙ্গলবার আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, ‘ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।’
    সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্য আরো বলেন, আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে, শুধু তাই নয় আমরা কিছু পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। অনেকে ছবিতে দেখেছেন, তবে আমি এ বর্বরতার চাক্ষুষ সাক্ষী। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআরের সদস্য দ্বারা সংগঠিত।
    ঊুড়রপফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা সাজাপ্রাপ্ত। সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না।
    যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভ ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।
    বোটম লাইন হচ্ছে, আমাদের এই সমস্ত চৌকস যেসব সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এই সমস্ত জিনিস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি। কেউ কেউ এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
    আজকে আমি যে উপদেশ আপনাদের দিয়ে যাব, সেটি যদি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। আমি এটা আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে, কোনো গ্রিভলসেন্স থেকে থাকে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধা করব। এটার জন্য ডানে-বায়ে দৌঁড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। আমি আপনাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করে দিচ্ছি।
    কিছু কিছু সদস্যদের দাবি, যে তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দায়ী করছেন যে, তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই বোর্ডের সদস্য। প্রথম ফেজে ৫১ জন সদস্যের ব্যাপারে আমার কাছে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছে। আর রিকমেন্ডেশনের অধিকাংশই আমি গ্রহণ করেছি। এবং আরও বেশি আমি দিয়েছি। নেভি-এয়ার ফোর্সও তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
    আমার স্ট্যান্ডপয়েন্ট হচ্ছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার জন্য কোনো ছাড় হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ইট ইজ এ ডিসিপ্লিন ফোর্স। ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।

  • ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা

    ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা

    রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। যেখানে প্রতিবছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।

    পরিপত্রে বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না। দিনটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    সিদ্ধান্তটি যথাযথভাবে প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয় পরিপত্রে।

    উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। নিহত হন সব মিলিয়ে ৭৪ জন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

  • দুর্নীতি কমাতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    দুর্নীতি কমাতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি সমূলে ধ্বংস করা না গেলে দেশের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, সব স্তর থেকে দুর্নীতি কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে, এবং এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, কার্য-অধিবেশনে মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও কৃষি খাতের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা সীমান্ত এলাকায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো, নৌপথে নিরাপত্তা জোরদারে নৌ পুলিশ বৃদ্ধি এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকাসহ শিল্প পুলিশের জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন। এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলেও উন্নতির আরও সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করা হচ্ছে, যা আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কার্য-অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বিপিএমসহ স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুর্নীতি রোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং সীমান্ত ও নৌপথ নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি কৃষি খাতের অগ্রগতিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

  • প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই মাস্কের

    প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই মাস্কের

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ইলন মাস্কের নেই, তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

    প্রশাসনিক কার্যালয়ের পরিচালক জোশুয়া ফিশারের এক নথি অনুসারে, ইলন মাস্কের ভূমিকা ট্রাম্প প্রশাসনে একজন হোয়াইট হাউজ কর্মী ও প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নির্ধারিত। তিনি সরকারি ডিওজিইর কোনো কর্মচারী নন ও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।

    অন্যান্য সিনিয়র হোয়াইট হাউস উপদেষ্টাদের মতো মাস্কের নিজে সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও বাস্তব বা আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্ব নেই। তিনি কেবল রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে এবং রাষ্ট্রপতির নির্দেশাবলী জানাতে পারেন।

    ইলন মাস্কের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের করা মামলার নথিতে ফিশার এসব কথা বলেন।

    উল্লেখ্য, ট্রাম্প নভেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন যে “গ্রেট ইলন মাস্ক… ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি এর নেতৃত্ব দেবেন।”

  • ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন
    বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ্#৩৯;তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া
    কর্মসূচি-২০২৪-২০২৫ এর আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার
    বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খেজুরডাঙ্গা, রাজনগর-খেলারডাঙ্গা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা
    ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
    এবং পুরস্কার বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।
    অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেজুরডাঙ্গা, রাজনগর-খেলারডাঙ্গা মাধ্যমিক
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন বি বি কে কানাইলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোরঞ্জন মন্ডল, মাছখোলা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্রদাস পরামানিক, রাজনগর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান,
    বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক জহুরুল হক, কাশেমপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক
    আমির হোসেন প্রমুখ। এসময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন
    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খেজুরডাঙ্গা,
    রাজনগর-খেলারডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস।
    ক্যাপশন : তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২০২৫
    এর আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করছেন প্রধান
    অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।
    ক্যাপশন : তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২০২৫
    এর আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে
    প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।

  • ড্রামের ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে ক্যাবের  মানববন্ধন

    ড্রামের ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে ক্যাবের মানববন্ধন

    নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দেশে অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ এবং ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামের
    ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর
    উদ্যোগে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া,
    দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, সাবেক
    যুগ্ম সচিব ও ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোহা: শওকত আলী খান, ক্যাব
    কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. বাহাদুর সাজেদা আক্তার ক্যাব নির্বাহী কমিটির
    সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মীর রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ সাধারণ
    নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, সহ অনেকে।
    এসময় বক্তারা বলেন, আইন অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল
    বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ আইন,
    ২০১৩" এবং "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫" অনুযায়ী, সকল
    ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু নন-ফুড গ্রেড
    ড্রামে বাজারজাত করা খোলা অনিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে
    নানাবিধ রোগব্যাধি বিশেষত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
    বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের
    উন্নয়ন এবং সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১৯-২০
    অনুযায়ী ভোজ্যতেলে সরকারের ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ এর মতো পদক্ষেপের ফলে
    ভিটামিন 'এ' এর ঘাটতি কমে আসলেও এখনও বাংলাদেশে ২২ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী
    শিশু ভিটামিন 'এ' স্বল্পতায় ভুগছে। ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানা রোগ, চোখের শুষ্কতা
    ও কর্ণিয়ার ক্ষতি, ইনফেকশন, দেহের বিকাশ বাধাগ্রর হওয়াসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা
    হচ্ছে।
    ‘১ জুলাই ২০২১ হতে অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর ও ফুডগ্রেডহীন ড্রামে ভোজ্যতেল
    বাজারজাতকরণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং
    রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতির ঘাটতির দরুন সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
    পরবর্তীতে সরকার খোলা সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২২ এবং
    খোলা পাম অয়েল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
    উক্ত সময়ের পর শতভাগ ভোজ্যতেল ফুডগ্রেড বোতল, প্লাস্টিক ফয়েল বা পাউচপ্যাকে
    বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। আইন অনুযায়ী অনিরাপদ প্যাকেজিং

    অর্থাৎ ফুডগ্রেড নয় এমন উপকরণে তৈরি প্যাকেজিং-এ ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ
    দণ্ডনীয় অপরাধ।’
    মানববন্ধনে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩"
    এবং "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫" সরকার প্রণয়ন করলেও
    সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন 'মাসখানেক হলো বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে
    খাচ্ছেন এবং খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনের মান একই। শুধু দামেই তফাত।' বাণিজ্য
    উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে ক্যাব তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেননা ইতোমধ্যে গবেষণায়
    দেখা গেছে, দেশের বাজারে ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই ভিটামিন 'এ'
    সমৃদ্ধ নয় এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন 'এ' নেই। বাণিজ্য
    উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে ভোজ্যতেল ব্যবসার সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীগণ আইন ভঙ্গ
    করে অস্বাস্থ্যকর ও নন-ফুডগ্রেড খোলা ড্রামে অনিরাপদ ভোজ্যতেল বিক্রি করতে
    উৎসাহিত হবেন, যা আইন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে ক্যাব মনে করে।
    এছাড়াও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে নন-ফুড গ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল
    বাজারজাত বন্ধকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়ে
    অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া বলেন, খোলা ভোজ্যতেলের মারাত্বক ক্ষতির কারণে তা
    বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বিশেষ করে
    মূল দায়িত্ব যাদের পালন করার কথা, সেই জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের
    কার্যক্রম হতাশজনক। তারা রাষ্ট্রের আদেশ পালনে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
    তারা অস্বাস্থ্যকর এই খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করতে পারছে না বা বন্ধ করছেও না। কিন্তু
    তারা যদি না পারে, তাহলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুক। তবুও ভোক্তার অধিকার
    নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হোক।
    স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা তথা ভোক্তা
    অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে নাগরিক সংগঠন ক্যাব। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই
    প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।
    ক্যাবের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব শ‌ওকত আলী খান বলেন, বিদ্যমান আইন
    লঙ্ঘন করে খোলা বাজারে নন- ফুডগ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল বিক্রয় করা হচ্ছে যা
    স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং বাড়াতে
    হবে। ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য জনাব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্প্রতি
    মাননীয় বানিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে বাজারে
    সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রয় করছে যা
    জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
    অধিদপ্তরকে জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
    বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় বানিজ্য
    উপদেষ্টা নিজেই খোলা ড্রামে বিক্রযকৃত ভোজ্যতেল ব্যবহারের কথা বলার কারণে কতিপয়
    তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট
    সৃষ্টি করে তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে, আমি মনে করি বানিজ্য উপদেষ্টা নিজেই
    সিন্ডিকেটের সদস্য যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তেলের বাজার ক্রেতা সাধারণের
    ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আসে তাহলে বানিজ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।
    দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব সারোয়ার ওয়াদুদ
    চৌধুরী ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
    দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্য কর্নেল (অব:) ডঃ প্রকৌশলী
    আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
    ক্যাবের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা
    ক্যাবের পক্ষ থেকে অনেক কষ্ট সহ্য করে ভোক্তা সাধারণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি

    কিন্তু সরকার যদি জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সেটা অত্যন্ত
    পরিতাপের বিষয়। অতি সম্প্রতি মাননীয় বানিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের কারণে ভোজ্যতেলের
    কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে খোলা তেল নন
    ফুডগ্রেড ড্রামে বিক্রি করতছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে আমরা মনে
    করি। কারণ এই কেমিক্যাল মিশ্রিত ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষ বিভিন্ন দুরারোগ্য
    ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি সামনে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে
    সরকার এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে
    পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যাতে করে মানুষ সুলভ মূল্যে নিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের সুযোগ
    পায়।
    আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় এবং জাতীয় ভোক্তা –
    অধিকার সংরক্ষণ

  • ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লবের পূর্ববর্তী বাংলাদেশের আমরা পুনরাবৃত্তি চাই না

    ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লবের পূর্ববর্তী বাংলাদেশের আমরা পুনরাবৃত্তি চাই না

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। চলমান যে সংস্কার প্রক্রিয়া, এই সংস্কার প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের সূচনা লগ্নে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা জানি যে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরে, বাংলাদেশের সংস্কারের যেই কথাটি খুব জোরেশোরে সামনে আসে এবং সকলেই এই সংস্কারের দাবি জানা বা সংস্কারের চাহিদা বা সকলের কাছেই এই বাংলাদেশে একটি ব্যাপক ভিত্তিক সংস্কার সাধিত হোক। এ অভিপ্রায় সকলেরই ছিল।

    সেই জায়গা থেকে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছে। সেই ছয়টি কমিশনই তারা তাদের সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা তারা তৈরি করেছে। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে এখন জাতীয় ঐক্যমত গঠন করার জন্য ছয়টি কমিশনের প্রধানদেরকে নিয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশনের আগামী দিনের কার্যক্রম পরিচালনার যে রূপরেখা সেটি ঘোষণা করা হয়েছে আজকে এবং সেই আগামী দিনের কার্যক্রম পরিচালনার একটি উদ্বোধনী প্রোগ্রাম ছিল আজকে। সেখানে ছয়টি কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা গুলো তৈরি করা হয়েছে, সেই প্রস্তাবনাগুলোর ভিত্তিতে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ইন্ডিভিজুয়াল, আলাদা আলাদা সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকবেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং তাদের কাছ থেকে, তাদের কাছে এই প্রস্তাবনাগুলো কমিশনের প্রস্তুতকৃত প্রস্তাবনাগুলো তাদের কাছে দেয়া হবে আগে। তারা এটাকে এনালাইসিস করবেন, করে তারপরে প্রত্যেক দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলো সম্পর্কে দলীয় প্রস্তাবনা এবং দলীয় পরামর্শ, মতামত ব্যক্ত করা হবে।তিনি বলেন, সেই ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা একটা টাইম ফ্রেম তিনি ঘোষণা করেছেন যে, আগামী, আশা করা যায় যে ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়ে, সংস্কারগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাধিত হবে। সংবিধান সংস্কার হবে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার হবে, বিচার এবং পুলিশ সহ অন্যান্য যে বিষয়গুলোতে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে, সকল সংস্কার গুলো সম্পন্ন হবে, এটা আশা করা হচ্ছে।

    আজকে আলোচনার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো আরেকটা বিষয় ব্যাপকভাবে আলোচনায় নিয়ে এসেছিল, সেটি হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই প্রশ্নে আমরা দেখেছি যে, রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত রয়েছে। অনেকে এই বর্তমান যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার যে ভন্ডুল অবস্থা, সেই জায়গায় ভঙ্গুর অবস্থার কারণে, অনেকে অনতিবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করেছে। আবার অনেক রাজনৈতিক দল তারা বলেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি এই মুহূর্তে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া হয় তাহলে এটি একটি সিভিল ওয়ার দিকে পরিবেশ চলে যেতে পারে। এজন্য তারা সতর্ক করেছেন যে কোনভাবেই যেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হয়। সেই সাথে সকলে আরেকটি বিষয় ঐক্যমত পোষণ করেছে এবং সকলের অভিন্ন ঘোষণা ছিল, যেন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এবং সেই ফ্যাসিবাদী শক্তি, তাদেরকে যেন কোনভাবে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার কেউ কোন অপচেষ্টা না চালায়।

    তিনি আরো বলেন, এই আগামী নির্বাচনের এই প্রস্তুতি পর্বে বা কোন অজুহাতে সেই পতিত সরকার বা তারা সেই ফ্যাসিবাদী শক্তি, তারা যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয় পাওয়ার সুযোগ না পায়। সেই সঙ্গে তাদের বিচার ব্যবস্থাটাকে নিশ্চিত করার জন্য, অতি দ্রুত বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের আগেই অন্তত দৃশ্যমান কিছু বিচার প্রক্রিয়া যেন সম্পন্ন হয় এবং বিচার যেন কার্যকর  হয়। সেই ধরনের কিছু দাবি উত্থাপিত হয়েছে এবং সেই ধরনের কিছু আশ্বাসও আমরা সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহল থেকে পেয়েছি।

    কোন কোন উপদেষ্টা বলেছেন এই ধরনের কথা, যে বা সরকারি পক্ষ থেকে এ ধরনের আশ্বাস শোনা যাচ্ছে। যে অন্তত আগামী নির্বাচন বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই বিগত এই ফ্যাসিবাদী শক্তির এবং এই হত্যাকারী শক্তির, তাদের কিছু বিচার এটা দৃশ্যমান হবে, সেই আশাবাদ উনারা ব্যক্ত করেছেন এবং আমরাও সেই ভাবে আশাবাদী। তো এই ছিল মোটামুটি আজকের কথা।

    খেলাফত মজলিশের আমির বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যেই কথাটি বলেছি, আমরা বলেছি যে অবশ্যই এখন যেই সংস্কারের যেই দ্বিতীয় প্রক্রিয়ার যে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হচ্ছে, সেখানে সকল দলগুলো নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবে এবং তারা অংশগ্রহণ করবে, সেই সাথে আমরা চাই যে, এই সংস্কার প্রস্তাবনা এবং সেটা বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হওয়ার শুরুতেই যে বিষয়গুলো সমাধান হওয়া উচিত, নির্ধারিত হওয়া উচিত, সেগুলো হলো আগামীর বাংলাদেশের ভিত্তি কি হবে? আগামীর সংস্কারের ভিত্তি কি হবে?

    সেজন্য আমরা মনে করি যে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের যে একটি ঘোষণাপত্র জাতির সামনে ঘোষিত হওয়ার কথা, আমরা জোর দিয়েছি সেটি যেন অনতিবিলম্ব সেই ঘোষণাপত্র যেন জাতির সামনে ঐক্যমতের ভিত্তিতে চলে আসে। সেই সাথে আগামীর বাংলাদেশ আমরা কেমন দেখতে চাই, অবশ্যই ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লবের পূর্ববর্তী বাংলাদেশের আমরা পুনরাবৃত্তি চাই না।

    এজন্য বাংলাদেশটাকে আমরা যেভাবে আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেখানে যেই অতীতের যেই বাংলাদেশের যে ঘটনা প্রবাহ, সেই ঘটনা প্রবাহের সূত্র ধরে ৪৭, ৭১ এবং ২৪ এর যে বাংলাদেশ, যেই ঘটনা প্রবাহ, সেই ঘটনার ভিত্তিতে যেন আগামীর বাংলাদেশ গড়ে ওঠে, সেই ধরনের প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করেছি।

    সংবাদকর্মী জানতে চান, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের ইস্যুতে আপনাদের অবস্থান কি?

    জবাবে মামুনুল হক বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের বক্তব্য সুনির্দিষ্ট, সেটাই যে প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হওয়ার পরে চলতি ২০২৫ সালের মধ্যেই, ২৫ সালের শেষ নাগাদ জন্য অন্তত জাতীয় নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হয়, সেই প্রত্যাশা আমরা রাখছি।

    পরবর্তী প্রশ্নে সংবাদকর্মী  আরো জানতে চান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য কি?

    এর জবাবে মামুনুল হক বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা, আমাদের দলের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য রাখিনি এবং এই ব্যাপারে আমাদের এই মুহূর্তে কোন বক্তব্য নেই। আমরা মনে করি যে, এই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হওয়া প্রয়োজন। এরপরে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে বা পরে হওয়া এটা কোনভাবেই রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ সহ এই নির্বাচনের দিকে দেশ যাওয়ার কোনভাবে উচিত হবে না।