Category: জাতীয়

  • দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের ওপর আস্থাশীল হতে সেনাবাহিনীর প্রতি নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    ঢাকা ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের ওপর আস্থাশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

    তিনি বলেন, একটি সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুসংহতকরণে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী এরূপ যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।

    আজ রবিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০১৮’এ প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আদর্শগত ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত মৌলিক এবং মুখ্য বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ন্যস্ত হয় তাঁদেরই হাতে যাঁরা দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।’

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, সশস্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেলারেল মাহফুজুর রহমান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং মেজর জেনারেল পদ মর্যাদার সেনা কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • যেভাবে জানবেন এইচএসসির ফল

    ডেস্ক রিপোর্ট: আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ হচ্ছে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে সব কলেজ-মাদ্রসা, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও মোবাইলের এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পূর্ববর্তী রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল সংগ্রহ করতে পারবে। আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের এইসএসসি পরীক্ষার্থী মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।

    মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইলে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

  • এবছর এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ

    এবছর এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ

    ডেস্ক রিপোর্ট: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করেন। দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করবেন। দুপুর দেড়টা থেকেই পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd) থেকেও ফল জানা যাবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা শেষের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যেই এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এরপর দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব মেইল) এবং এসএমএস এর মাধ্যমে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া এটুআইয়ের মাধ্যমে ফলাফল জানতে মোবাইল থেকে ৩৩৩ ডায়াল করেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।

    সারা দেশের দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। গত ২ এপ্রিল শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

  • প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর

    ডেস্ক রিপোর্ট: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে সব বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর দুপুর ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন। এরপর দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে ফল জানতে পারবে। এছাড়া এসএমএস ও অনলাইনে ফল জানা যাবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা শেষের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যেই এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এরপর দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব মেইল) এবং এসএমএস এর মাধ্যমে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া এটুআইয়ের মাধ্যমে ফলাফল জানতে মোবাইল থেকে ৩৩৩ ডায়াল করেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।

    সারা দেশের দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। গত ২ এপ্রিল শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

  • বাম গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান।

     

     

    বুধবার (১৮ জুলাই) মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জোটের সদস্য ও সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারেনা। এই সরকারকে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন করতে দেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনে সংস্কার আনাতে বাধ্য করা হবে। আমাদের জোট ভোট সর্বস্ব জোট না, আমরা প্রয়োজনে ভোটে যাবো, প্রয়োজনে ভোট বয়কট করবো।

    তিনি আরও বলেন, আমরা দেশকে বাঁচাতে চাই। আমরা যে সরকার গঠন করবো তা কেমন হবে, সেইগুলো পরে জানানো হবে। আপাতত এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে চাই। আপাতত একটা কথা বলতে চাই, আমরা ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারার জন্য জোট করছি না।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।

    আট দলের এই বামপন্থি জোটে রয়েছে: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী),  গণ সংহতি আন্দোলন,  বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দল।

  • বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা ‘ঠিক আছে এবং ঘরেই আছে’ বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

    RELATED STORIES
  • মানসিক অসুস্থতার মিথ্যা সনদ দিলে জেল-জরিমানা

     মন্ত্রিসভা মানসিক রোগীর সম্পদের ওপর অধিকারসহ সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে মানসিক স্বাস্থ্য অধিকার আইন-২০১৮’র খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি সময়োপযোগী আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি হয়েছে।
    তিনি বলেন, ১৯১২ সালের এ সম্পর্কিত আইনকে হালনাগাদ করে আলোচ্য খসড়াটি প্রণীত হয়েছে। এতে মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিকে অপরাধে জড়িত হওয়ার প্ররোচনা এবং নিবন্ধন ছাড়া মানসিক হাসপাতাল স্থাপন ও পরিচালনার দায়ে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। সরকার মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্তদের সেবার সম্প্রসারণ, উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ের জন্য সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করবে।
    সরকার মানসিক রোগীদের দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা দেবে এবং সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির প্রতিকার পাওয়া পথ সহজতর করতে মানসিক স্বাস্থ্য পর্যালোচনা কমিটি গঠন করবে। এতে বেসরকারি খাতে হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিধানও রয়েছে।
    খসড়ায় মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যা সনদ দিলে ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছর কারাদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। মানসিক অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা ও তাদের সম্পত্তির তালিকা প্রণয়নে অবহেলা বা এ সম্পর্কিত আদালতের কোন আইনের মান্যতায় ব্যর্থতার দায়ে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও ম্যানেজারের ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে খসড়ায়।
    সভায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসি-২০১৮’র অনুমোদন দেয়া হয়। জিয়াউল আলম বলেন, ক্রমবর্ধনশীল আইসিটি ভিত্তিক বাণিজ্যের সুযোগ সম্প্রসারণে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এ আইনের আওতায় ই-লেনদেন সম্পর্কিত বিভ্রান্তি নিরসনে প্রচারণার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি সেল গঠন করবে।
    বৈঠকের শুরুতে বিশ্বকাপ টি-২০ ক্রিকেটের চূড়ান্ত আসরে স্থান করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানো হয়।
    বৈঠকে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের বড় বোন সায়মা হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
    মন্ত্রিসভা বিদায়ী অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানায়। তাকে ৪ বছরের জন্য কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান জিয়াউল আলম।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

     

     

     

     

     

  • শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

    ঢাকা ব্যুরো : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (১ নম্বর টার্মিনাল) ইমিগ্রেশন অফিসের দোতলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট।রোববার বিকালে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তার কারণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

    ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এনায়েত করিম আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করছে। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।

    এ বিষয়ে বিমানবন্দর এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরের কোথাও আগুন দেখা যায়নি। ইমিগ্রেশনের পর লবিতে স্মোক দেখে অনেকে ভয় পেয়েছেন। ধারণা করছি কোথাও বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে ধোঁয়া দেখা যেতে পারে।

    ফায়ার সার্ভিসের ডিজি মোহাম্মদ আলী যুগান্তরকে বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ভয়ের কিছু নেই। ইমিগ্রেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সিলিং থেকে ধোঁয়া বের হয়। তবে কোথা থেকে সেটা হয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও সন্ত্রাস দমনে পাশে থাকবে ভারত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাস দমন ও যে কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। রবিবার সচিবালয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

    দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বৈঠক শুরুর আগে রাজনাথ সিংকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়।

    বৈঠকে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সহযোগিতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় গুরুত্ব পায়।

    বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমাদের কথা হচ্ছে। আমরা বলেছি রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য প্রব্লেম (সমস্যা) হয়ে আছে। আমরা যে উদারতা দেখিয়েছি এটাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অ্যাপ্রিশিয়েট (তারিফ) করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাস দমনে তারা সহযোগিতা করবেন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু যারা এসেছেন, তাদের পুনর্বাসন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানান।

  • ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী ছাড়া আর কেউ কিছু বলেননি’

    ঢাকা ব্যুরো : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। তিনি এ মামলার প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দীর বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ছাড়া আর কেউ কিছু বলেননি। এ মামলার ১ম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নুর আহম্মদ যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন তার বাইরে। সেই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর ভিতরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু ছিলনা। তিনি অনুসন্ধান রিপোর্টের বাইরে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্যাংকের হিসাব খোলাসহ কোনো ডকুমেন্টে খালেদা জিয়ার নাম নেই। প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি পড়া শেষে সোমবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

    রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে আদালতে এমন দাবি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান।

    সোমবার বেলা দুইটায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু হয়। শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মাদ আলী আদালতে বলেন, এ আপিলের পেপার বুক অসম্পুর্ণ। এ অবস্থায় মামলার শুনানি করা যায় না। পেপার বুকের বিষয়ে সোমবার আদেশ দেবেন মর্মে দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

    আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ও মাসুদ রানা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।

    এই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চতর আদালত।

    পরে খালেদা জিয়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল মামলার নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার ওই আবেদন মুলতবি রেখে আপিল বিভাগ বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। সে পর্যন্ত আবেদনটি স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে।

    এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুইজন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

    পলাতক তিনজন হলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

    রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন।

    ২২ ফেব্রুয়ারি সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

    পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল এই আদালতে শুনানি হচ্ছে।

  • শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

    ঢাকা ব্যুরো : কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি, ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচী দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আইন অনুষদ ভবনের পাশ দিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
    বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের নেতৃত্বে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধনে দাঁড়ান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়ান। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা মাইক চালু করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এর দুই মিনিটের মধ্যেই ছাত্রলীগও নিপীড়নবিরোধীদের মুখের দিকে একটি মাইক তাক করে বক্তব্য দিতে থাকেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকত শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকদের জামায়াত-শিবিরের দোসর উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এ সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
    মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি হয়েছে শহীদ মিনারকে ঘিরে। শহীদ মিনারকে ভালোবাসি বলে আমরা এখানে। আমরা অতি সাধারণ আর আপনারা অসাধারণ। কারণ আপনারা রাষ্ট্র ক্ষমতার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছেন। আমরা সাধারণদের রক্ষা করতে চাই।

    গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন নিপীড়িত হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হয় তাকে রক্ষা করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করেনি, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন ছাত্রলীগকে ডেকে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসন কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষকরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সুন্দর সুষ্ঠুভাবে বিদ্যার চর্চা করবে। তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে। সেই আন্দোলন কোনো গুণ্ডাবাহিনী ঠেকাতে পারবে না।
    তিনি বলেন, আপনারা শক্তিতে বলিয়ান হতে পারেন কিন্তু আমাদের মনোবল আপনাদের চেয়ে তুখোর। এ সময় ছাত্রলীগের পাশ থেকে শিক্ষকদের গোলাম, দালাল সম্বোধন করে বক্তব্য দেওয়া হয়। এটা শুনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা গোলাম নই, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

    এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা এসে নিপড়নবিরোধীদের মাইকের তার ছিঁড়ে দেন। পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান শহীদ মিনারে অবস্থানের ঘোষণা দেন। এ সময় ছাত্রলীগও তাদের দেখাদেখি বসে পড়ে। মিনিটি দশ পরে শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের দিকে রওনা হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেদিকে রওনা হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিমার্ণাধীন ভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের কাছে গেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন, সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. রুম্মান হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস। শিক্ষার্থীরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর বিক্ষিপ্তভাবে হামলা করেন।
    শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরে সোয়া একটার দিকে শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বরং প্রশাসন হামলার জন্য আমাদের দুষছেন।

    এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা নানাভাবে সহযোগিতা চেয়েও কোনো পক্ষের কাছে কোনো সহযোগিতা পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাদের স্বাধীনতা আছে আপনারা কর্মসূচী পালন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও যখন আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাইবে তখন আপনারা এগিয়ে আসবেন।

    প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় আইন শৃংখলা রক্ষার বিষয়টি একজন প্রক্টর দেখেন। তার অধীনে শিক্ষকদের সমন্বয়ে অন্তত ১১জন সহকারী প্রক্টর ও কর্চারীদের সমন্বয়ে ৯ জন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য কাজ করেন।

    এদিকে, মধুর ক্যান্টিনের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা জানান। এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

  • সব বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: রাজনাথ সিং

    ঢাকা ব্যুরো : রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বৈঠক শুরুর আগে রাজনাথ সিংকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। বৈঠকে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সহযোগিতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানান।

  • ভারতের ৫ বছরের ভিসা পাবে মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্করা

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক নাগরিকদের পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেবে ভারত। চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

    রবিবার সচিবালয়ে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ‘রিভাইস ট্রাভেল অ্যারেজমেন্টস-২০১৮’ নামে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও ভারতের পক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল সেক্রেটারি বিরাজ রাজ শর্মা সই করেন।

    অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিদেশে যান এক কোটির বেশি লোক। এর মধ্যে ৩০ লাখ লোক যান ভারতে। সে কারণে ভারত মেডিক্যাল ভিসাসহ অন্যান্য ভিসা আরও সহজ করতে চেয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শনিবার একটি ভিসা কেন্দ্র চালু করেছে ভারত। এছাড়া ভিসা আরও সহজ করার জন্য আজ (রবিবার) চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যাদের বয়স ৬৫ বছর সেসব সিনিয়র সিটিজেনদের পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেবে ভারত। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এটার চুক্তি আজ স্বাক্ষর হয়েছে। বাকিদের ভিসা সহজ করার জন্য কথা হয়েছে। মেডিক্যাল ও স্টুডেন্ট ভিসা সহজ করার কথাও বৈঠকে বলেছেন তারা।

    এদিকে শনিবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে সমন্বিত ভিসা কেন্দ্র উদ্বোধনের দিন জানানো হয়, ভিসাপ্রার্থীদের সুবিধা বিবেচনা করে ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের পাঁচ বছরের ভিসার দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
    মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেন, নারী ও ব্যবসা ভিসার জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে এখানে।

  • খুবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন

    খুবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন

    তৈয়েবুর তামিম: কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
    অাজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খুবির হাদী চত্বরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
    প্রথমে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত একটি মিছিল বের করে পরে অাবার হাদী চত্বরে অবস্থান করে অান্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার এবং অান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে তারা অান্দোলন করেন।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখা শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান বলেন, অামরা কোটা সংস্কারের যৌক্তিক অান্দোলনে নেমেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি কোটা উঠিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন অামরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় অামরা অাবারো মাঠে নামি তারপর ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা অামাদের যৌক্তিক অান্দোলনে নৃশংস হামলা চালায়। হামলাকারীদের বিচার না করে যারা ভিক্টিম নূর, রাশেদরা অাজ বিনা অপরাধে জেলে অাছে তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অামাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।
    কোটা অান্দোলনে বক্তব্য দেয়া অাশিক রহমান বলেন, অাজ যৌক্তিক অান্দোলনে শরিক হওয়া মেয়েরাও নিরাপদ নয়। অপরাধীরা চোখের সামনে ঘুরাফেরা করলেও তারা অাজ ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং অামার ভাইদের দ্রুত জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অামরা ক্লাসে ফিরে যাবো না।
    শরিফুজ্জামান বলেন, অামাদের সহজ সরল একটাই দাবী অার সেটা হলো কোটা যৌক্তিক সংস্কার চাই।
    শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। আন্দোলনকারী যে সব ভাইকে আটক করা হয়েছে, সরকারের প্রতি আমাদের দাবি তাদের মুক্তি ও নিখোঁজদের সন্ধান দিতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার চাই এবং হাতুড়িপেটানো ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড চাই। হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা না করে বের করে দেওয়ারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে এবং বাংলাদেশের সকল ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
    এছাড়াও কোটা সংস্কার অান্দোলনে বক্তব্য রাখেন কাঞ্চন কুমার, রিফাত অাহমেদ, মাসুদ অাল মোস্তফা, শেখ শুভ, মুক্তা অাক্তার, ইয়াছিন অালী, নরোত্তম পল, শেখ নাভিদ প্রমুখ।
  • প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যার সমাধান আলোচনায় : প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী বাংলাদেশ।শনিবার বাংলাদেশ সফররত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে আমরা সবসময় আলোচনার পক্ষে। স্থলসীমান্তসহ নানা সমস্যার সমাধান আমরা এ আলোচনার মাধ্যমেই করেছি।’

    প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম আরো জানান, রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন।

    বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) ব্রজরাজ শর্মা, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্রসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম নজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনবির।

  • সৌদির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইট

    ঢাকা ব্যুরো : সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট। আজ শনিবার সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, প্রথম দিনে হজ ফ্লাইট বিজি-৩০১১ বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে, বিজি-৫০১১ বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। এ বছর চট্টগ্রাম থেকে ৯টি এবং সিলেট থেকে ৩টি হজ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।

    হজ ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ (ব্যালটি ও নন-ব্যালটি) জন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জেদ্দা যাবেন। এই হজ যাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের ৪টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজ যাত্রীরা পবিত্র ভূমিতে যাবেন। এবছর সৌদি সরকার নির্ধারিত বরাদ্দকৃত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছে।

  • বিদেশে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের নীতিমালা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : বাংলাদেশের রোগীদের বিদেশ গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু এ পর্যন্ত কতজন রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছে এবং কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আপাতত দেয়া সম্ভব নয়। তবে, নীতিমালা প্রণয়নের পর এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব হবে।

    তিনি জানান, মূলত চারটি রোগের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য কিছু মানুষ বিদেশে যান।

    বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৯ আসনের এমপি ডা. মো. এনামুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংসদকে এসব তথ্য জানান।

    ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।

    নাসিম বলেন, প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছুসংখ্যক রোগী বিদেশে চলে যায়। তবে মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মূলত চারটি রোগের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য তারা বিদেশে যান। কারণসমূহ হচ্ছে- আর্থিক স্বচ্ছলতা, বিদেশে চিকিৎসাপ্রীতি, হেলথ ট্যুরিজম এবং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসাস্বল্পতা।

    তিনি বলেন, তবে এ প্রবণতা কমিয়ে আনতে দেশে সব মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিতকরণের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বেশকিছু আধুনিক হাসপাতাল যেখানে অন্য দেশ থেকে এসে রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করার বহু নজির আছে।

    মহিলা এমপি জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় মানুষ চারটি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। রোগগুলোর মধ্যে চর্মরোগ, পায়ে ও হাতের আঙুলে পচন ধরা বা গ্যাংগ্রিন, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার এবং লিভার, কিডনি, মুত্রাশয় ও ফুসফুস আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি।

    মন্ত্রী বলেন, এসব রোগ সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করতে সরকার সচেতনমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

    এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    তিনি বলেন, এছাড়াও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নতুন কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।

    এমপি মো. নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমানে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে মোট ১২ হাজার ৮৩৭ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছে এবং ১০৫৬ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে, যা খুব দ্রুতই সম্পন্ন হবে।

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা তাতে হাইকোর্টের রায় রয়ে গেছে। যেখানে হাইকোর্টের রায়ে আছে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তাহলে ওই কোটার বিষয়ে আমরা কীভাবে কোর্টের ওই রায় ভায়োলেট করব। সেটা তো আমরা করতে পারছি না। এই রায় অবমাননা করে তখন তো আমি কনডেম্প অব কোর্টে পড়ে যাব। এটা তো কেউ করতেই পারবে না।

    তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে কোটা পূরণ হবে না, কোটার যেটা খালি থাকবে, তা মেধার তালিকা থেকে নিয়োগ হবে। এটা আমরা করে দিয়েছি। গত কয়েক বছর থেকেই এই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।’

    ভিসির বাড়িতে ভাঙচুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা ভিসির বাড়িতে ভাঙচুর ও আক্রমণ করেছে তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। উচ্ছৃঙ্খলা কখনও বরদাশত করা যায় না। ভাঙচুরকারীরা ভিসির বাড়ির ক্যামেরার চিপস নিয়ে গেলেও আশপাশে থাকা ক্যামেরা দেখে তাদের একটা একটা করে খুঁজে বের করা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, যারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আক্রমণ করেছে, তাদের তো ছাড়া হবে না। তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করছে। যত আন্দোলনই হোক না কেন, এদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

    কোটা আন্দোলনকারীরা কী চায়, তা সঠিকভাবে বলতে পারে না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলন। এটা কী আন্দোলন নাকি। ঠিক তারা যে কী চায়, বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, সেটা কিন্তু সঠিকভাবে বলতে পারে না।

    তিনি বলেন, আজকে আন্দোলন তারা করছে খুব ভালো কথা। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, ছেলেপুলে আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া, গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো, বাড়ি ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছে ভাঙচুর এবং লুটপাট করা, স্টিলের আলমারি ভেঙে গয়না, টাকাপয়সা সব কিছু লুটপাট করেছে। ভিসির পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এটা কি কোনও শিক্ষার্থীর কাজ? এটা কি কোনও শিক্ষার্থী করতে পারে?

    শেখ হাসিনা বলেন, কথায় কথায় তারা বলে ক্লাস করবে না। ক্লাসে তালা দেয়, ক্ষতিগ্রস্ত কারা হবে? আমরা সেশনজট দূর করেছি। এদের কারণে এখন আবারও সেই সেশনজট। ১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকা খাবার, কোথায় আছে পৃথিবীর। আজ নতুন নতুন হল বানিয়েছি। ১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকায় খাবার খেয়ে তারা লাফালাফি করে। তাহলে সিট ভাড়া আর খাবারে বাজারদর যা রয়েছে, তাদের তা দিতে হবে। সেটা তারা দিক।

    মধ্যরাতে হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধ্যরাতে হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে যাবে। টেনশনে আমি বাঁচি না। আমি পুলিশকে, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলেছি- এই মেয়েদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। ভোর ৬টা পর্যন্ত জেগে থেকে যার যার হলে পৌঁছে যাওয়ার পর আমি ঘুমাতে গিয়েছি।

    তিনি বলেন, ‘বলেছি, কোটা সংস্কার আমরা করব। আমি তো বলেছি টোটাল কোটা বাদ দিতে। আমরা তো কেবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছে। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায়?’