Category: জাতীয়

  • নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে লিগ্যাল নোটিশ

    ঢাকা ব্যুরো : নৌমন্ত্রী শাজাহান খান কোন ক্ষমতা বলে মন্ত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রয়েছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করতে নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. একলাস উদ্দিন এ নোটিশ পাঠান বলে জানিয়েছেন তিনি।

    নোটিশে বলা হয়, শ্রমিক যদি কোনো সমস্যা বা অপরাধে জড়িত থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন। আপনি একজন মন্ত্রী হওয়ার পরও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় সাংবিধানিক এবং নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

    নোটিশে সংবিধানের ১৪৮ ধারা মোতাবেক ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারিতে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তার পরেও কোন ক্ষমতা বলে একটি সাংবিধানিক পদে থেকেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন। একই সঙ্গে সাংবিধানিক পদে থাকা কেন বেআইনি ও নৈতিকতা বিরোধী হবে না তা এ নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • শিশুরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে : মনিরুল ইসলাম

    ঢাকা ব্যুরো : ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, শিশুদের থেকে অনেক সময় শিক্ষা নিতে হয়। শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে কী করতে হবে। আমরা তাদের দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছি। তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

    মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। আমরা তাদের সন্তান ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ, তারা যেন ঘরে ফিরে যায়। অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আমি একই অনুরোধ জানাচ্ছি।

    মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। সড়কে যানবাহন কয়েকবার করে চেকিং করা হচ্ছে।

    অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পর পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। বিআরটিএ ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করছে। তবে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে লাইসেন্স পরীক্ষার কারণে গাড়ির দীর্ঘ জটলা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে মুমূর্ষু রোগী, হজযাত্রী, বিদেশগামীদের ভোগান্তি হচ্ছে। তাই তাদেরকে অনুরোধ করে বলব, আপনারা চলে যান।

    কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন প্রশাসন ও বিআরটিএ’র জন্য চপেটাঘাত কীনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের থেকেও শিক্ষা নিতে হয়। তারা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে যেসব বিষয় দেখিয়ে দিয়েছে সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করবো।

    অতিরিক্ত কমিশার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত কোনো অস্ত্র প্রয়োগ করিনি। লেথাল, সেমি-লেথাল বা নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করিনি। আমরা তাদের আন্দোলনকে মানবিক এবং সহানুভূতির সঙ্গে দেখছি।

    কোনো ধরনের উস্কানিতে কান না দিতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে এক পুলিশ সদস্যকে এক ছাত্রের গলা চেপে ধরতে দেখা গেছে। কিন্তু ছবিটি ২০১৩ সালের আর এ ঘটনায় এএসআই পলাশ চন্দ্র শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন। আরেকটি ছবিতে এক ছাত্রীকে পুলিশের লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছে, সেই ছবিটিও ২০১২ সালের। এ থেকে প্রমানিত হয়, কেউ আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ছাত্রদের উস্কানি দিচ্ছে। সে সব স্বার্থান্বেষীরা এ পর্যন্ত তিনশো গাড়ি ভাংচুর করেছে, যার মধ্যে পুলিশের ৫টি পিকআপ ভ্যানও রয়েছে। এ পর্যন্ত ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যারা উস্কানি দিয়ে এ ধরনের কাজ করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

    আন্দোলনরত শিশুদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ডিএমপি ও পুলিশ কথা দিচ্ছে- আপনাদের দাবি বাস্তবায়ন হবে। আপনারা কোনো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। যারা এই সুযোগে ছাত্রদের বিভ্রান্ত করছে, তাদেরও শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

    গত মঙ্গলবার শিশুদের ওপর লাঠিচার্জ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ আন্দোলনে শিশুদের কথা মাথায় রেখে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করেনি। ছাত্রদের বিষয়টি পুলিশ মানবিকভাবেই দেখেছে।

    ছাত্রদের লাইসেন্স পরীক্ষার সময় অনেক পুলিশের গাড়িচালকের লাইসেন্স পাওয়া যায়নি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সকল ড্রাইভারেরই লাইসেন্স রয়েছে। অনেক সময় সঙ্গে নিয়ে যান না কিংবা অনেক সময় এমটি (মোটর ট্রান্সপোর্ট) বিভাগে তাদের লাইসেন্স জমা রাখেন। তাই হয়তো অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে তারা লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।

    পুলিশের এ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনায় আগে অনিয়ম ছিল। আমরা সেসব অনিয়ম অনেক দূর করেছি। উল্টোপথে চলা অনেক প্রভাবশালীর গাড়িও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফুটপাতে গাড়ি চালানো বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের আন্তরিকতা থাকা সত্তে¡ও নাগরিকদের অসেচতনতার কারণে পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা বিলম্বিত হচ্ছে।

  • মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত হবেন না : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

    ঢাকা ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু কুচক্রীমহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে, তাতে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

    আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিভিন্ন বিকৃত, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে।

    বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা এইসব বানোয়াট সংবাদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এইসব সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে এসব অপসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। বাসস

  • চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না: শাজাহান খান

    চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না: শাজাহান খান

    ডেস্ক রিপোর্ট: চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। তাদের কথায় কেন পদত্যাগ করব? অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীরা তো আমার পদত্যাগ চায়নি। তাদের ৯ দফা দাবির কোথাও আমার পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ নেই।’

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাজাহান খান এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি তো প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ দাবি করে। ফলে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।’

    মন্ত্রী জানান, তারা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছেন। তবে তিনি এও বলেন, ‘যারা সড়কে গাড়ি চালাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, তারা রাস্তায় গাড়ি বের করছেন না। আমি গাড়ির মালিকদের এ বিষয়ে কিছু বলিনি।’

    এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যদি আপনার পদত্যাগ চায়, তাহলে পদত্যাগ করবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান নৌমন্ত্রী।

    উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন।

    নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম মিম।

    ঘটনার দিন রাতেই দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

    দুর্ঘটনার দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। এরই মধ্যে তারা ৯ দফা দাবি তুলে ধরেছেন।

  • ‘বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে’

    ‘বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে’

    আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাতে বাসচাপায় নিহত হওয়ার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। টানা চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা শহর জুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ ব্যাপকতা লাভ করার প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা জানালেন।সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কোনো মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ নির্দিষ্ট মামলাটি কেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর কথা বলছেন আইনমন্ত্রী?

    এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন আছে। আমরা যে মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি- সেটা মার্ডার কেস, রেপ কেস বা অন্যান্য যে কোন মামলা …. সেটাকে জন-গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে আমরা কিন্তু সেটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বলে একটি আদালত আছে সে আদালতে পাঠিয়ে এটা দ্রুত বিচার করতে পারি।’

    বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাতে বাস চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত যাতে এরকম অন্যায় আর না হয়।

    সে ক্ষেত্রে এ রকম মামলা দ্রুত বিচারে যাওয়া স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।

    যারা বেপরোয়া গাড়ি চালায় তাদের একটি বার্তা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

    চলমান ছাত্র আন্দোলনের সাথে দ্রুত বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    যখন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের শাস্তির প্রসঙ্গ আসে তখন তারা রাস্তায় সংঘবদ্ধভাবে নেমে চাপ তৈরি করে। সে বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয়া হবে?

    এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যায় করলে কোনো আন্দোলনই বিচার থামাতে পারবে না।’

  • ফিটনেস সনদ নেই ২০ লাখ পরিবহনের!

    ডেস্ক রিপোর্ট: গণপরিহনের ট্রিপ বাড়াতে চান চালকরা, এ কারণে হুমকির মুখে যাত্রী নিরাপত্তাবর্তমানে সারা দেশে ৫০ লাখের মতো পরিবহন চলাচল করছে। তবে এর মধ্যে ২০ লাখ পরিবহনেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ফিটনেসবিহীন এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে কার্যত কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যের সংখ্যা। এ অবস্থায়ও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। প্রতিষ্ঠানটির কাছে দেশে কী পরিমাণ ফিটনেস সনদবিহীন পরিবহন রয়েছে তারও সঠিক কোনও তথ্য নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

    বেসরকারি পরিসংখ্যানে দেশে ৫০ লাখেরও বেশি পরিবহন চলাচলের কথা বলা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ৩১ জুন পর্যন্ত বিআরটিএ’র তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে বাস, মিনিবাস ও হিউম্যান হলারসহ মোট নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭০। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে ১১ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৩টি পরিবহন। এই পরিবহনের মধ্যে শুধু সাড়ে ২২ লাখই হচ্ছে মোটরসাইকেল। তবে এসব পরিবহনের মধ্যে কী পরিমাণ যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই এর সঠিক কোনও তথ্য বিআরটিএর কাছে সংরক্ষিত না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি বলছে এর সংখ্যা কোনও অংশেই ২৫ শতাংশের কম নয়।

    অপরদিকে বেসরকারি হিসাবে, সারাদেশে যানবাহনের চালকের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি হলেও এসব চালকদের মধ্যে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিআরটিএ অনুমোদিত লাইসেন্স রয়েছে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৬ জনের। এর মধ্যে পেশাদার চালক ৮ লাখ ৩০ হাজার ৯০ জন। আর অপেশাদার ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। অবশিষ্ট সাড়ে ৫১ লাখ অবৈধ ও অদক্ষ চালকই সড়কে নৈরাজ্যের মূল কারণ। ফলে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য-দুর্ঘটনা।

    তবে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির চলমান এক জরিপের তথ্য মতে বিআরটিএর নিবন্ধিত মোট পরিবহনের ৪০ শতাংশই ফিটনেসবিহীন। প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৫০ লাখ যানবাহনের মধ্যে মাত্র ৩৫ লাখের মতো যানবাহনের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি ১৫ লাখের কোনও সনদ নেই। আইন অনুযায়ী যেসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন নেই সেগুলোর ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই। এছাড়া রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের মধ্যেও অনেক পরিবহনের ফিটনেস নেই। সব মিলিয়ে এর সংখ্যা কোনও অংশেই ২০ লাখের কম নয়। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবদনটি প্রকাশ করবো।’

    এদিকে, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিটনেস নবায়ন না করা ৫৫ হাজার যানবাহনের তালিকা করেছে বিআরটিএ। এর মধ্যে তিন হাজার ৭৪০টি গাড়ি বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের। ফিটনেস সনদবিহীন সরকারি যানবাহন সবচেয়ে বেশি পুলিশের। এ বাহিনীর প্রায় ১১০০ যানবাহনের ফিটনেস সনদ ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নবায়ন হয়নি। এসব পরিবহনকে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সনদ নবায়নের নির্দেশও দেয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্দেশনা পেয়ে কিছু মালিক সনদ নবায়ন করলেও এখনও প্রায় ৫০ হাজার যানবাহন ফিটনেস সনদ নবায়ন করেনি। এই সনদ প্রদানে করসহ বিভিন্ন ফি বাবদ ২২ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হয় সরকারকে।গণপরিবহন

    বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিআরটিএর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ওই তালিকায় থাকা যানবাহনগুলো নিবন্ধন নেওয়ার পর কোনও দিনই ফিটনেস নিতে আসেনি। এর মধ্যে আবার অনেক পরিবহন তখন রাস্তায়ও ছিল না। তখন রাজধানীতে পাঁচ লাখের মতো যানবাহন চলতো। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের সংখ্যা কোনও অংশেই মোট পরিবহনের ৪০ শতাংশের কম হবে না। মূলত ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহনের কারণেই যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটছে।’

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অথরিটি (বিআরটিএ) ২০টি ক্যাটাগরিতে পরিবহনের লাইসেন্স দিচ্ছে। এই ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮২ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪১৮টি অ্যাম্ব্যুলেন্স, ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫০টি অটোরিকশা, ২০ হাজার ৪৭৩টি অটো-টেম্পু, ৪৫ হাজার ৩৭৭টি বাস, ৯ হাজার ৩২৯টি কার্গো ভ্যান, ২৮ হাজার ৪৭০টি কভার্ড ভ্যান, ২৮ হাজার ৪২৯টি ডেলিভারি ভ্যান, ১৮ হাজার ২৫টি হিউম্যান হলার, ৫৫ হাজার ৮৬৩টি জিপ (হার্ড/সপ্ট), ৯৯ হাজার ১৮৭টি মাইক্রোবাস, ২৮ হাজার ৬৩টি মিনিবাস, ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৯২টি মোটরসাইকেল, এক লাখ আট হাজার ৬৯০টি ফিক-আপ (ডাবল/সিঙ্গেল কেবিন), তিন লাখ ৪০ হাজার ২৮৯টি প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার কার, ৯ হাজার ৮৭১টি স্পেশাল পারপাস ভিইক্যাল, পাঁচ হাজার ৬০টি ট্যাঙ্কার, ৪৫ হাজার ২৯৫টি ট্যাক্সিক্যাব, ৪১ হাজার ৬০৬টি ট্রাকটর, এক লাখ ৩৪ হাজার ৪১০টি ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন রয়েছে ১৭ হাজার ৮০৩টি।

    এর আগে ২০১০ সালের শুরুতে রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বিআরটিএ। এতে দেখা যায় শুধু রাজধানী ঢাকায় ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলছে ফিটনেস (চলাচলের উপযোগী সনদ) ছাড়া। সে সময় ওই সব পরিবহনের তালিকা করে পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় ব্যক্তিগত কার, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন রয়েছে।

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সত্যিকারে সে পরিমাণ যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেই। আমরা পরিবহন মালিকদের বারবার তাগিদ দিচ্ছি কাগজপত্র নবায়ন করে নেওয়ার জন্য। চিঠি দিয়েও জানিয়েছি। অনেকেই নবায়ন করছেন। আবার অনেকেই এখনও করেনি।’

    মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, একবার ফিটনেস সনদ সংগ্রহ করলে তা নবায়নের তারিখ থেকে পরের এক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফিটনেস সনদ পেতে হলে গাড়িসহ বিআরটিএ কার্যালয়ে হাজির হতে হবে। সেখানে অন্তত ৩০ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়।

    গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারিয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীবের মর্মান্তিক মৃত্যু দেশের মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিমের মৃত্যু পরিবহন জগতের চিত্র ফুটে উঠেছে। বাসচালকদের প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতায় দিন দিন যোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে কঠোর আইনের আওতায় আনার পরামর্শ তাদের।

    এদিকে গত ২৯ জুলাইয়ের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে রিটটি দায়ের পর শুনানি শেষে আদালত গণপরিবহনের ফিটনেস বিষয়ে জরিপ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    জানতে চাইলে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. নূরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক পরিবহনের ফিটনেস সনদ নেই এটা সত্য। তবে কী পরিমাণ পরিবহনের সনদ নেই সেই সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। কারণ রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার পর অনেক পরিবহন সড়কে থাকে না। অনেক পরিবহন নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে নষ্ট গাড়ির তো আর ফিটনেস সনদ মালিক নেবে না। এজন্য বিষয়টি নিরূপন করা কঠিন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা কমিটি গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

  • জাবালে নূরের বাস মালিক গ্রেফতার

    ঢাকা ব্যুরো : দুই শিক্ষার্থীকে পিষিয়ে মারা জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

    গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল্লাহপুর-মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের রেষারেষিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজিব ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম নিহত হন।

    এ ছাড়া আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় রোববার রাতেই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালত সূত্র জানায়, শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুর বিপরীত পাশে ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে যে বাসস্ট্যান্ড সেখানে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস সেখানে আসে।

    কিছুক্ষণ পর একই পরিবহনের আরেকটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে টার্ন নেয় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায় বাসটি। কেউ চাকার নিচে পিষ্ট হয়, কেউ ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে।

    আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে করিম ও মিমকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

  • সড়ক পরিবহন আইনে সম্মতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়

    ঢাকা ব্যুরো : অবশেষে সড়ক পরিবহন আইনে ভেটিং (সম্মতি) সম্পন্ন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার এ আইনে ভেটিং সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দেন। এরপর নথিটি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

    নথিতে অনুমোদনের বিষয়ে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় যে শাস্তি হওয়া উচিত, তার সর্বোচ্চটাই থাকছে সড়ক পরিবহন আইনে।

    ১৯৯১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিজের স্ত্রীকে হারিয়েছেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি জানি স্বজন হারানোর কষ্ট কী। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বছরখানেক ধরে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিনি বলেন, সড়কে অনেক রকম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। জানার চেষ্টা করেছি কী কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রাস্তার কারণে, গাড়ির কারণে, মানুষ চলাচলের কারণে, দুর্ঘটনা হতে পারে। এসব কারণের ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রভিশন করা হয়েছে কী না, সেগুলো (একই ঘটনা) যাতে না ঘটে, সে জন্য পর্যাপ্ত প্রভিশনের মধ্যে আছে কী না এবং সেখানে আইনের কোনও ফাঁকফোকর আছে কী না, সেসব দেখে এটা (সড়ক পরিবহন আইন) প্রস্তুত করা হয়েছে।

    দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণে তড়িঘড়ি করে আইনটি প্রস্তুত হলো কিনা এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা কাকতালীয় ঘটনা। এটা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ চলছিল। আর এরই মধ্যে এ রকম একটা দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পক্ষ থেকে যা যা উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার সবই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী চান আইনটি দ্রুত পাস হোক এবং অপরাধীরা শাস্তি পাক।

    গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর বাসচাপায় মৃত্যুর ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে সেই মামলার বিচার যাতে দ্রুত হয় সেদিকে আমি খেয়াল রাখব। প্রয়োজনে আমি প্রসিকিউশনকে বলব, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার যেন দ্রুত করা হয়।

    আইনে কী কী বিধান আছে, শাস্তির বিধান কী- জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এটা অত্যন্ত আধুনিক একটা আইন হয়েছে। আইনটিতে ত্বরিত গতিতে বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং কোনও অপরাধী ফাঁকফোকর দিয়ে বের হতে পারবে না। কেউ বড় অপরাধ করে কম শাস্তি পাবে না। আবার ছোট অপরাধ করে বড় শাস্তি পাবে না।

    তিনি বলেন, এছাড়া আইনে ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে, ড্রাইভারের নানা ভুলের শাস্তি হিসেবে ব্যবহার হবে এই পয়েন্টগুলো। বিদেশেও চালকের ভুল হলে পয়েন্ট ধরে শাস্তি হয়। এই আইনেও যে ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে তার থেকে কারো পুরো ১২ পয়েন্ট কেটে যায় তাহলে তিনি আর কোনো দিনই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে না। তিন পয়েন্ট কাটা গেলে কি হবে সেটাও আইনে বলা আছে।

    আইনমন্ত্রী বলেন, এখন এই আইনটা মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আইনটা অনুমোদন হলে সব পক্ষই ন্যায়বিচার পাবেন। মানুষ মেরে কেউ কম শাস্তি নিয়ে চলে যাবেন এটা তো হবে না। সব কিছু অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সেটা চূড়ান্ত বলে জানান মন্ত্রী। সড়ক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে যেসব জিনিস রাখা উচিত সবই রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও আইনে রাখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ মার্চ এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইন মন্ত্রণালয় থেকে সড়ক পরিবহনে পাঠানো আইনটির খসড়া এখন চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে মন্ত্রিসভা। ওই অনুমোদনের পর তা পাস করতে সংসদে তোলা হবে।

  • ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা; সভাপতি শোভন, সম্পাদক রাব্বানী

    ঢাকা ব্যুরো : ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। সভানেত্রীর পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন সভাপতি মোঃ রেজানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জোবায়ের আহমেদ।

  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ৫ আগস্ট

    ঢাকা ব্যুরো : এমপিও-বিহীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে। এ আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত।

    বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.shed.gov.bd) অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dshe.gov.bd) অথবা ব্যানবেইসের ওয়েবসাইট (www.banbeis.gov.bd)-তে“ Online M.P.O. Application” শিরোনামে প্রদর্শিত link এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

    হার্ডকপির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোন আবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বা তার অধীন দপ্তরে দাখিল করা যাবে না।

    প্রজ্ঞাপনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, এ কার্যক্রমে তদবির করার সুযোগ নাই।নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে এবং এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নির্দেশকের ভিত্তিতে এমপিও প্রত্যাশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

  • জাবালে নূর পরিবহনের ওই ২ বাসের রুট পারমিট বাতিল

    ঢাকা ব্যুরো : বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জের ধরে মিরপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

    বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় বিআরটিএর চেয়ারম্যান এ ঘোষণা দেন।

    দুই বাসের প্রতিযোগিতায় রবিবার কুর্মিটোলায় বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে দুই বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের দাবি ঘাতক চালকের মৃত্যুদণ্ড ও নিরাপদ সড়ক।

  • এবার যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের গাড়িচাপা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

    ঢাকা ব্যুরো : বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই এবার যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের ওপর পিকআপ (নারায়ণগঞ্জ-ড ০২-০২৪০) উঠিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রাণ বাঁচাতে দুপাশে লাফিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পাঁচজন আহত হন। এ সময় এক শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে গেলে তার ওপর দিয়েই পিকআপ চালিয়ে দেয়া হয়।

    ওই শিক্ষার্থীর নাম ফয়সাল। তিনি দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

    হামলাকালে আবদুল্লাহ আল রাকিব নামে সিটি কলেজের এক ছাত্রের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় শনিরআখড়ার দেশবাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসব ঘটনা ঘটেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হয়ে মিছিল করার পাশাপাশি গাড়ি থামিয়ে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখছিলেন।

    একপর্যায়ে এক পিকআপ চালকের লাইসেন্স দেখতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন। এ সময় শিক্ষার্থী ফয়সাল ছিটকে গাড়ির নিচে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ইয়াসিনসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির দনিয়া কলেজ শাখার নেতা আকাশ ও আবির ফুয়াদ বলেন, বাসের চাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আমরা সকাল ৯টা থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমরা গাড়ির চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করার সময় পিকআপচালক আমাদের সহপাঠী ফয়সালের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন।

    শিক্ষার্থীরা জানান, ফয়সালকে পিষে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা দৌড়ে গিয়ে চালকসহ পিকআপটি আটক করেন। পরে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের কাছে চালক ও পিকআপটি সোপর্দ করা হয়।

    এদিকে গাড়ি উঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ২০-২৫টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় বাসযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

    পরে ডিএমপি ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ।

    দুপুর ১২টার দিকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ৩০ মিনিট যেতে না যেতেই শিক্ষার্থীরা আবারও সড়ক অবরোধ করেন।

    এদিকে শুরুতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ন্যায্য বলে আখ্যা দেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

    এর মধ্যে দনিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত রহমান মিথিল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকছির, কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম রাজু, যাত্রাবাড়ী থানা যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন ও কদমতলী থানা যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল আহমেদ  বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    তবে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে একযোগে হামলা চালান ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আল রাকিবের মাথা ফেটে যায়।

    উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মীম নিহত হন। বাসচাপায় আহত হন আরও ১৩ জন।

    এ ঘটনা কেন্দ্র করে চার দিন ধরে রাজধানীজুড়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত পরিবহনকর্মীদের বিচার ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানান।

  • সিটি নির্বাচনে তীক্ষ্ণ নজর বিদেশিদের

    ঢাকা ব্যুরো : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ তিন সিটির নির্বাচনে তীক্ষ্ণ নজর বিদেশিদের। সরেজমিনে এবার রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। এ জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে ১৮ জনের নামে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কার্ড ইস্যুর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করবেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। বিগত দু’টি, আসন্ন তিন সিটি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    ইসি সূত্রে জানা গেছে, তিন সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য মার্কিন দূতাবাস থেকে আবেদন সংবলিত পাঁচজনের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রাজশাহীতে সিটি তিনজন, বরিশাল ও সিলেট সিটিতে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে। দূতাবাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে পাঁচজনের পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দেয়া হয়। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) ৯জন প্রতিনিধি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ৪জন, সিলেটে ৩জন এবং বরিশালে ২জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যাবেন। ইউএসএইড নামের আরেকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ৪জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। বিশেষ করে গত ২৬ জুন গাজীপুর ও গত ১৫ মে খুলনা নির্বাচনের চেয়ে বরং রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে বেশি দৃষ্টি রাখছে বিদেশিরা। এই তিন সিটির মধ্যে রাজশাহীর নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ বেশি। এই সিটিতে বেশি পর্যবেক্ষণ পাঠানো হচ্ছে।

    বিদেশিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান আরজু ইত্তেফাককে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও দু’টি সংস্থার মোট ১৮জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে আবেদন করেছে। কমিশনও সংশ্লিষ্টদের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

    সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শুরু থেকেই সরব যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৬ জুন অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে মার্কিন দূতাবাসের একাধিক টিম শহর ঘুরে বেড়িয়েছে। খুলনা ও সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করা এবং আসন্ন ৩ সিটির নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত করার তাগিদও দিয়েছিলেন তিনি। গত ১ জুলাই নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে খুলনা ও গাজীপুর নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের উদ্বেগেরও জবাব দেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। ওই দুই সিটিতে অনিয়মের ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ দেয়ার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    এদিকে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে- যুক্তরাজ্যের তরফে দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশনের রাজনৈতিক বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ইলেকশন অবজার্ভার টিম গঠন করা হয়েছে। তারা মাঠে যাচ্ছেন। বাকিরা ঢাকায় বসে প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোটের মাঠের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যুক্তরাজ্যের একটি টিম গত ২৪ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত বরিশালে থাকার কথা রয়েছে। এরপর ওই টিমটি সিলেট সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যাওয়ার কথা। এ ছাড়া শুরু থেকে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ছাড়াও জাপান, কানাডা, জার্মানির কূটনীতিকরাও নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে।

  • প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা শুরু ১৮ নভেম্বর

    ঢাকা ব্যুরো : প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৮ শুরু হবে আগামী ১৮ নভেম্বর এবং তা শেষ হবে ২৬ নভেম্বর।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার ‘প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮’-এর জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    সভায় সমাপনী পরীক্ষা শুরুর সময় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষা বেলা ১১টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১টায়। তবে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিটের পরিবর্তে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।

    এছাড়াও সরকারি ছুটি এবং খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বী সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট সম্প্রদায়ভুক্ত পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সময়সূচিতে শনিবার পরীক্ষা রাখা হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব কথা জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, আগে এক উপজেলার খাতা অন্য উপজেলার শিক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা হলেও এ বছর নিজ নিজ উপজেলায় পরীক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সদস্য সচিব থাকবেন।কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসিবুল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, নেপের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ইউসুফ আলী, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরীবিক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এ.কে.এম আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহামুদ-উল-হক সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাসস

  • বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: বিন্দুমাত্র ছাড় দিবে না ঢাবি শিক্ষক সমিতি

    ঢাকা ব্যুরো : স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দাঁড়িয়ে যখন জাতির জনককে আঘাত করা হয়, তখন এ দেশের প্রতি ইঞ্চি জায়গায় আঘাত করা হয়, দেশের মানুষের প্রতিটি ধমনীতে আঘাত করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডুটা) বিন্দুমাত্র ছাড় দিবে না।

    বুধবার বেলা বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) এ এস এম মাকসুদ কামাল এ সব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়।

    গত ১৯ জুলাই নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দের এক সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আকমল হোসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক সমিতি ওই শিক্ষকের বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে তারা অধ্যাপক আকমল হোসেনের বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান। এর জবাবে অধ্যাপক আকমল হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার বক্তব্যের ব্যাখা দেন।

    অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা আশঙ্কা করেছি কোটা আন্দোলন এ দেশের ছাত্রদের অধিকারের আন্দোলন নয়। কোটা আন্দোলন হলো নির্বাচনের বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতা নেওয়া যায় তার আন্দোলন। এ আশঙ্কা আমরা সেদিন থেকে করেছিলাম। আর সেদিনকার হাততালি থেকে সে আশঙ্কা প্রমাণিত হলো।

    তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের ভেতর জামায়াত-বিএনপি ঢুকেছে। আয়োজকরা অধ্যাপক আকমলের বক্তব্যের পরে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া করেনি। অধ্যাপক আকমল হোসেন যে অপরাধে অপরাধী আয়োজকরাও একই অপরাধে অপরাধী। আয়োজকরা তাদের বসিয়ে রেখে হাত তালি দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এই হাততালি ছাত্র শিবির বিএনপি-ছাত্রদলের হাততালি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি তিনি কটূক্তিকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমা যদি চান এবং যদি বলেন ভবিষ্যতে আর এই ধরনের কথা বলবেন না তাহলে শিক্ষক সমিতি বিবেচনা করে দেখবে ভবিষ্যতে কোনো কর্মসূচি দিবে কিনা।

    ৩৭ বছর শিক্ষকতা জীবনে অধ্যাপক আকমল হোসেন কি পড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সেটা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে মাকসুদ কামাল বলেন, অধ্যাপক আকমল ৩৭ বছর শ্রেণিকক্ষে পড়িয়েছেন। তিনি কি ৩৭ বছর এই বিষয়গুলো পড়িয়েছেন? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তিনি ৩৭ বছর শ্রেণিকক্ষে বিভ্রান্তকর তথ্য পড়িয়েছেন সেটিও খতিয়ে দেখার বিষয় আজকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব ৩৭ বছর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে তিনি কি পড়িয়েছেন, সেখানে সিলেবাস কি আছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।

    মুক্তিযুদ্ধের সময় চীনপন্থী বুদ্ধিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে বসে বসে মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা করছিল অভিযোগ করে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা বলছিল, ভোটের বাক্সে লাথি মার বাংলাদেশ কায়েম কর। একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সৃষ্টি করার যে পথ বঙ্গবন্ধু উন্মোচন করতে চাচ্ছিলেন সেই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা তারা তখন করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বলেছিল ‘মুক্তিযুদ্ধ হলো দুই কুকুরের কামড়া কামড়ি; সুতরাং আমরা এই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করব না।’ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে তারা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ দাঁড়িয়ে বলে ‘তার পিতা কি মুক্তিযুদ্ধ করেছে?।’ এই অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চুপ থাকতে পারে না। আমরা বিবৃতিতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছি। সহকর্মীরা আইনের মাধ্যমে জিনিসটির সুরাহার কথা বলেছেন। আমরা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিব আলোচনা করে।

    অধ্যাপক মাকসদু কামাল বলেন, ২০০২ সালের ৮ জানুয়ারি মতিউর রহমান নিজামী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল মুক্তিযুদ্ধ কোটা বাতিল হবে। ২০০৩ সালে দেলওয়ার হোসেন সাঈদি বলেছিল মুক্তিযুদ্ধ কোটা বাদ দিতে হবে। তারা যে বক্তব্য রেখেছে সেই বিষয় নিয়ে আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত তরুণরা যখন মাঠে নেমেছে শিক্ষক সমিতি তখন যুগের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সংহতি প্রকাশ করেছে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কোটা আন্দোলনে যদি কোনো বাধা আসে প্রতিরোধ করতে হবে। যখন আজ লন্ডন থেকে কিভাবে কোটা আন্দোলনকে উসকে দিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা যায়। তখন কোটা আন্দোলন কোন দিকে সেটা বোঝার আমাদের অবকাশ নাই। তিনি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনকে কেউ যেন কোনো উসকানিতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না করেন তার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস হলো এই জাতির বিবেক। এখানে দাঁড়িয়ে এমন কিছু হবে না যাতে আমাদের মস্তক অবনত হয়ে যায়।

    অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে এই সময়ে এই ধরনের বক্তব্য রাখার কেউ সাহস দেখায়, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এই অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে আমরা যাব না। আমাদের দেশ উন্নত হচ্ছে সেখানে যেন কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে, পিছিয়ে নিয়ে যেতে না পারে এবং বিভিন্নভাবে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে তার ব্যাপারে শিক্ষকমণ্ডলী সচেষ্ট থাকবে।

    ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক আ জ ম শফিউল আলম ভুঁইয়া, সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মু. আব্দুর রশীদ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন প্রমুখ।

  • ‘দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে’

    ঢাকা ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তোরণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং ক্ষুধাও দারিদ্রমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সফল পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন লাভ করেছে, তার ধারবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন ‘এই ধারবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এবং ক্ষুধাও দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়তে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য।’

    আজ বুধবার দুপুরে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক-২০১৭’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ১ম স্থান অধিকারকারী ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে স্বর্ণপদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান প্রিয়া এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সজন ধর স্বর্নপদক প্রাপ্তদের পক্ষে নিজস্ব অনুভুতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য হিসেবে অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং ড. সৌমিত্র শেখর তাঁদের রচিত ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ শীর্ষক গ্রন্থটিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ,জাতীয় অধ্যাপক বৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, গবেষক এবং পদক প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • ফাইভ-জি চালুতে বিশ্বের প্রথম দিকেই থাকবে বাংলাদেশ: জয়

    ঢাকা ব্যুরো : বাংলাদেশে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফাইভ-জির যাত্রা শুরু করেন তিনি।

    সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ফাইভ-জি চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম শ্রেণির দেশগুলোর কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে ফাইভ-জি এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম থেকে বাস্তবায়ন করবে।

    তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রথম হবে বাংলাদেশ-এটি আমার স্বপ্ন। অন্ধকারকে পেছনে ফেলে আলোকে জয় করেছে বাংলাদেশ। সব জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে দেশে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি আসছে।

    ফাইভ-জি সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিটিআরসির সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, রবির এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং জেনজুন।

    তবে ফাইভ-জি সেবা এখনই ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার করা যাবে না। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক সংযোগ চালু হলো। এই সংযোগ শুধু ফাইভ-জি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করতে পারবে।

  • শর্ত মেনে নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে : ওবায়দুল কাদের

    ঢাকা ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো শর্ত মেনে আগামী নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এ নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো সংলাপের প্রয়োজন নেই। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সংলাপ করতে হবে।

    রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, অক্টোবরের যে কোনো সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়েই এ সরকার গঠন হবে। অন্য কাউকে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

    বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দলটির অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে, আগামীতেও রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে। এ ব্যাপারে কেউ অনুমতি চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

    আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নানা ধরনের ‘চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র’ করছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘ইস্যু খুঁজেত গিয়ে কখনো কোটা আন্দোলন, কখনো লর্ড কারলাইলকে ভারতে এনে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর চেষ্টা- এরকম অনেক কিছু করা হয়েছে। এখনো চক্রান্তমূলক পরিকল্পনার ছক তৈরি করছে অনেকে বিদেশ থেকে…।’