Category: জাতীয়

  • আ. লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে : হাসনাত

    আ. লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে : হাসনাত

    ভারতের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে।

    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিভাইড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন হাসনাত।পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

    ‘‘১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।

    কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

    আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০ এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়- ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে – তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামীলীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

    আমাদেরকে আরো বলা হয়-রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।

    আমাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন।

    এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরণের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’।

    আলোচনার এক পর্যায় বলি-যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কিভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে,’ ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে না।’

    উত্তরে বলি, ‘ আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না।আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে।আওয়ামী লীগ ফেরানোর চেষ্টা করা হলে যে সংকট তৈরি হবে, তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে’।
    পরে- মিটিং অসমাপ্ত রেখেই আমাদের চলে আসতে হয়।

    জুলাই আন্দোলনের সময়ও আমাদের দিয়ে অনেক কিছু করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কখনো এজেন্সি কখনো বা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নানা ধরণের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করতে চাপ দেয়া হয়েছে। আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের উপরেই আস্থা রেখেছি। আপনাদের সাথে নিয়েই হাসিনার চূড়ান্ত পতন ঘটিয়েছি।

    আজকেও ক্যান্টনমেন্টের চাপকে অস্বীকার করে আমি আবারও আপনাদের উপরেই ভরসা রাখতে চাই। এ পোস্ট দেওয়ার পর আমার কী হবে আমি জানি না। নানামুখী প্রেশারে আমাকে হয়তো পড়তে হবে হয়তো বিপদেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোন ধরণের আপোষ করার সুযোগ নাই।

    জুলাইয়ের দিনগুলোতে জনগণের স্রোতে ক্যান্টনমেন্ট আর এজেন্সির সকল প্রেসক্রিপশন আমরা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আজ আবারও যদি আপনাদের সমর্থন পাই, রাজপথে আপনাদের পাশে পাই তবে আবারও এই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনের ভারতীয় ষড়যন্ত্রও আমরা উড়িয়ে দিতে পারবো।

    আসুন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দিবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।’’

     

  • জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

    জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

    জুলাই অভ্যুত্থানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সহিংসতায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত আট হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে ইইউ। বুধবার (১৯ মার্চ) চালু হওয়া প্রকল্পটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সরকার।

    ‘দ্য পাথওয়েজ টু হিলিং: এ সারভাইভার সেন্ট্রেড অ্যাপ্রোচ টু অ্যাড্রেস ভায়োলেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনস’ প্রকল্পে ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইইউ। ২০২৬ সালের আগস্টের আগপর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের শারীরিক, মানসিক উন্নতি ও সুস্থতার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক সংহতি জোরদার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এ অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যত দিন এ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, তত দিন এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

    এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন, তাঁদের সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঔষধজাত পণ্য, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করা হবে।

    এ ছাড়া উপার্জন খাতেও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    গত বছরের অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র, শ্রমিক, সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারসহ অন্যদের এ সহায়তা দেওয়া হবে। ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সহায়তায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এটি অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

  • সাতক্ষীরায় হাসপাতালের বিলবোর্ডে ভেসে উঠলো ‘আ.লীগ আবার ফিরবে’

    সাতক্ষীরায় হাসপাতালের বিলবোর্ডে ভেসে উঠলো ‘আ.লীগ আবার ফিরবে’

    সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিলবোর্ডে আকস্মিকভাবে ভেসে উঠেছে—‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে এই বার্তা প্রদর্শিত হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে খুলনা রোড মোড়ে থাকা বিলবোর্ডটিতে আচমকা এই বার্তা ফুটে ওঠে। বিষয়টি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হন।

    খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন—‘আমরা এখানে এসেছি ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করতে। এখানে অনেক জনতা জড়ো হয়েছে, ঘটনাটির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছি।’

    পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং কারা ও কীভাবে এই বার্তা প্রচার করেছে তা খতিয়ে দেখছে।

    বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ একে ডিজিটাল বিলবোর্ড হ্যাকিং বলে সন্দেহ করছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার বলেও মনে করছেন। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

  • জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

    জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ২৮৯ জন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া হামলায় মদদদাতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট।

    সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, বহিষ্কৃতদের তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

    প্রসঙ্গত, আন্দোলন চলার সময় গত বছরের ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ, ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে।

    এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলাসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনটি জমা দেন ওই কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম। প্রতিবেদনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়।

  • দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

    দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

    বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) সকাল পৌনে এগারোটায় সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ খেলা এই ফুটবলার। গতকাল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ফ্লাইটে রওনা হয়েছিলেন হামজা।

    হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে এয়ারপোর্টে বাফুফের ৭ জন নির্বাহী সদস্য রয়েছেন। গতকাল চার সদস্যের (শাহীন, হিল্টন,গাউস ও ইকবাল) সঙ্গে আজ যোগ দিয়েছেন আরও তিন সদস্য রুপু, সবুজ ও মঞ্জু। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরপরই হামজাকে বরণ করে নেবেন বাফুফে কর্তারা। তাদের সাথে রয়েছেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী।

    হামজাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখার জন্য সিলেট এয়ারপোর্টের বাইরে অনেক সমর্থকের ভিড়। কেউ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার খালি হাতে শুধু এক নজর দেখার জন্য। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীরাও বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।

    হামজা আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে আসছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।

    সিলেট বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় আসতে পারেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের।

  • সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ২২ জনের নামে মামলা

    সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ২২ জনের নামে মামলা

    সাতক্ষীরা তলায় বিএনপি নেতা বিপ্লব কবিরকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সাতক্ষীরায় ১ আসনের সাবেক এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ সহ ২২ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই তালা উপজেলার দোহার গ্রামের মৃত শেখ শের আলীর ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রোববার (১৬ মার্চ) সাতক্ষীরা আমলী আদালত ৩ এ এই মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিদুল হাসান বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে জ্ঞাত করার জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক ওসি একেএম আজমল হুদা, ডিবি পুলিশের কনষ্টেবল হাসিবুর রহমান, ফারুক চৌধুরি, রাসেল মাহমুদ, শিকদার মনিরুজ্জামান, তালা থানার সাবেক ওসি আবু বকর সিদ্দিক, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই গোলাম সরোয়ার, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি, মাঝিয়াড়া গ্রামের যুবলীগ নেতা শেখ আবু জাফর, দোহার গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহিন শেখ, জালালপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমিরুল শেখ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রুহুল আমিন শেখ মিন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আমজাদ আলী, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল সরদার, যুব লীগ নেতা আক্তারুল সরদার, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মহিবুল্লাহ মোড়ল, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ আনারুল ইসলাম ও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাম প্রসাদ দাশ।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, তালা শালিখা ডিগ্রী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপি নেতা বিপ্লব কবিরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে বিপ্লব বিষয়টি জানতে পেরে তিনি রাতে নিজ বাড়িতে না থেকে জনৈক ছবেদ আলী মোড়লের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতেন। আসামীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ১২ টার দিকে উক্ত আসামীরা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘবদ্ধ হয়ে ছবেদ আলী মোড়লের বাড়ি ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তারা ছবেদ আলীর বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা বিপ্লবকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

    পুলিশ মামলার বাদিসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় তারা সে সময় মামলা করতে সাহস পায়নি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর মামলা করার পরিবেশ সৃষ্টি হয় তিনি রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

    বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. আবু সাঈদ রাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে বাদীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে জ্ঞাত করার জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

  • ওদের সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না : মির্জা আব্বাস

    ওদের সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না : মির্জা আব্বাস

    বিশেষ কিছু দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সংস্কার কাজ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘ওদের হাতের, ওদের কলমের কোনো সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না। সংস্কার যদি করেন, আমরা কারেকশন করব। বিএনপি সেই কারেকশন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলেমিশে ঠিক করে তা জাতির কাছে তুলে ধরবে। ওই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা এ দেশের নাগরিক পর্যন্ত নয়, তাদের দিয়ে আপনারা সংস্কার করবেন, এটা আমরা মেনে নেব না।’

    রোববার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা চাই, নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, ততটুকু করে নির্বাচন দিন। নিবার্চনের পর যে–ই ক্ষমতায় আসুক, তাকে আমরা সালাম দিয়ে মেনে নেব। কোনো অনির্বাচিত সরকারের, ব্যক্তির কোনো কথা আমরা মেনে নেব না।’

    নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংশয়, সন্দেহ আছে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বহু কথা শুনেছি, কেউ বলছে নির্বাচন হবে, কেউ বলছে হবে না। আমরা কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাই না। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, ড. ইউনূস যে কথা বলেছেন তাঁর কথা রাখবেন। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে একটা নির্বাচন পাব। আমরা দেখছি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একদল লোক বোকা পেয়েছে, যা খুশি বলে যাচ্ছে, করে যাচ্ছে। ওই লোকগুলো, যারা সংবিধান নতুন করে লিখতে চায়।’

    সংস্কার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনী সংস্কার করুন। বাকি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে।’

    বিনা ভোটে দেশের মানুষকে পরিচালনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে দয়া করে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা শান্তি চাই। এ দেশের মানুষ বহু জেলজুলুম সহ্য করেছে। আমরাও বহু জেল খেটেছি। আর জেল খাটতে চাই না। দেশটাতে বহু বছর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দেশের মানুষের কষ্টে শান্তি এসেছে। দয়া করে দেশটাকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না।

  • সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

    সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

    রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম চূড়ান্ত করা হয়।

    সভা শেষে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে সাত কলেজের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে এর অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

    এই সাত সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

    শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ণসহ নানা বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে এসব কলেজ পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও অদূরদর্শিতার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর মাসে মাঠে নামেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা

    তারা দাবি জানান, সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের। দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি।

    আজ ইউজিসির ডাকা মতবিনিময় সভা থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা মামলা : ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল

    আবরার হত্যা মামলা : ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

    রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়।

    বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

    যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

    এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত।

    রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তিন আসামি হলেন– এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। রায়ের পরপরই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা এবং রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) আবেদন করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত অক্টোবরে এই মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়।

  • ২৫ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন

    ২৫ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এবং জুলাই আন্দোলন, শাপলা  চত্বর ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শ রীফ উসমান বিন হাদী আজ এক ঘোষণায় জানান, আগামী ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে “শহীদি সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হবে।

    সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের বাবা-মায়েরা, শাপলা চত্বরে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এবং পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানরা উপস্থিত থাকবেন।

    শরীফ উসমান বিন হাদী বলেন, “শহীদি সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হবে। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

    তিনি আরও বলেন, “২৫ এপ্রিলের সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

  • ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যাওয়ার আগে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

    এসময় তাকে বিদায় জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।

    এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের হাতে ফুল তুলে দেয় শিশুরা।

    সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন গুতেরেস। সেখানে লাখো রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করেন তিনি।

    এরপর সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন। এরপর দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেন তিনি। পরে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন।

    এদিন বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর অংশ নেন ইফতার ও আর্লি ডিনার সেশনে।

  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

    ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

    মাগুরায় নির্যাতনে মারা যাওয়া আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধারণ মানুষ হিটু শেখের বাড়ির সামনে এসে নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় হিটু শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ভাঙচুর ও পোড়া বাড়িতেই কেউ ঢিল ছুড়ছেন, দেয়াল ভাঙছেন আবার কেউবা গালাগালি করছেন। বেলা ১১টার দিকে হিটু শেখের বাড়ির আঙিনায় থাকা আম গাছসহ বিভিন্ন ফলজ প্রায় ১২টি গাছ কেটে ফেলেন স্থানীয়রা। এভাবে স্থানীয়সহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির প্রথম জানাজার পর বিক্ষুব্ধরা হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পাওয়ার পরও সেটি নেভাতে পারেনি। তারা অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি নিয়ে রওনা দিলেও বিক্ষুব্ধরা আটকে দিলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

    এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভায়নার মোড়ে অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-মাগুরা, যশোর-মাগুরা ও ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

    পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

    ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ শনিবার তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

    ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

  • ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে

    ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে

    সরকারি টাকায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

    তিনি বলেন, এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখছে। এসব মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের কোনো অনুদান নেই।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

  • সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

    সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

    বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, শাহবাগ মোড়, কাকরাইল মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।

  • সাতক্ষীরায় ২ লাখ ৫৩ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

    সাতক্ষীরায় ২ লাখ ৫৩ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

    জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে শনিবার (১৫ মার্চ) সাতক্ষীরায় ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬০জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানানো হয়।

    সাতক্ষীরা জেলার ৭ টি উপজেলার ৭৮ টি ইউনিয়নে ও ২ টি পৌর সভার ১৯৩৮ টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৬ হাজার ৮২৩ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ২৭ হাজার ১৩৭ জন শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খায়ানো হবে।

    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আব্দুস সালাম, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: জয়ন্ত সরকার, সিভিল সার্জন অফিসের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট বাকী বিল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও রাশেদ উদ্দিন মৃধা, সিভিল সার্জন অফিসের এম ওসিএস ডাঃ ইসমত জাহান সুমনা প্রমুখ।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভিটামিন এ শুধু অপুষ্টি জানিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমা এবং শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।

    জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনটি১৫ মার্চ একদিন চলবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ৪টা পর্যন্ত। এসময় জেলার মোট ১ হাজার ৯৩৮ টি টিকাদান কেন্দ্রে ৯০৫ জন সরকারী ও ৩৮৬৭ জন বেসরকারী স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

    সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম বলেন, শিশুর জন্মের পর পরই মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পর থেকে দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে।

    তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে নির্দিষ্ট বয়সের একটি বাচ্চাকে মাত্র একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একটি বাচ্চাও যাতে এই ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না যায় সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রচার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই মহা কর্মযজ্ঞ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

    সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

    বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১৫ মার্চ থেকে ৬০ দিন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

    বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবি-তে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) এ ক্ষমতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

    গত ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তার মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়েছিল সরকার।

    এরপর জানুয়ারিতে আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। আজ এ মেয়াদ আরও আরও দুই মাস বাড়ল

  • মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে যা বলছে বিসিবি

    মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে যা বলছে বিসিবি

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার তার পথেই হাঁটলেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগেই টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার ওয়ানডে থেকেও বিদায় নিলেন। গতকাল (বুধবার) নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন রিয়াদ।

    মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ দলে অসাধারণ অবদানের জন্য মোঃ মাহমুদউল্লাহকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টেনেছেন।’

    ‘বিভিন্ন ফরম্যাটে সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ ৪৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন যেখানে রান করেছেন ১১,০৪৭ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ১৬৬টি। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক সেঞ্চুরি (৪) করার গৌরব তার রয়েছে এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। তিনি ছয়টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৪৩টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।’

    মাহমুদউল্লাহর অবদানের প্রশংসা করে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে যুক্ত সকলের জন্য একটি হৃদয়বিদারক মুহূর্ত, কারণ মাহমুদউল্লাহ প্রায় দুই দশক ধরে জাতীয় দলের শক্তির স্তম্ভ হয়ে আছেন। চাপের মধ্যেও তার ধারাবাহিকতা এবং সাফল্য তাকে অমূল্য সম্পদে পরিণত করেছে। তার নিষ্ঠা এবং পারফরম্যান্স ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে এবং তাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

    বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পারফর্মারদের একজন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ব্যাটিং হোক বা বোলিং, যখন দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তখনই তিনি সেরাটা করে দেখিয়েছেন। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে তার শান্ত আচরণ এবং মাঠে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন হিসেবে তার মর্যাদাকে সুদৃঢ় করেছে।’

    ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে, আমরা মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ ক্যারিয়ার উদযাপন করছি এবং দল এবং খেলাধুলার প্রতি তার অমূল্য সেবার জন্য আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা তার ভবিষ্যতের সকল প্রচেষ্টায় তার সাফল্য কামনা করি এবং আত্মবিশ্বাসী যে তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করে তুলবে।’

  • সাত দিনের মধ্যে মাগুরার শিশু ধর্ষণের বিচার শুরু: আইন উপদেষ্টা

    সাত দিনের মধ্যে মাগুরার শিশু ধর্ষণের বিচার শুরু: আইন উপদেষ্টা

    মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে বিচারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয় আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

    এসময় তিনি বলেন, মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটির পোস্টমর্টেম বিশেষ ব্যবস্থায় আজই শুরু করা হয়েছে। সাত দিন মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে আশা করি। হেলিকপ্টার যোগে মাগুরা নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দাফন পর্যন্ত সাথে থাকবেন।

    তিনি জানান, ধর্ষণ ও নারী সহিংসতা রোধ করতে রোববার বা সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিষয়ে সংশোধিত আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে। শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।

    উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না।