Category: জাতীয়

  • ডাকসুর মেয়াদ শেষ, ভাঙছে কমিটি!

    ডাকসুর মেয়াদ শেষ, ভাঙছে কমিটি!

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। অপরদিকে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছা পোষণ করলেও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

    দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে নুরুল হক নূর ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন নির্বাচিত হন। বাকি সব পদে নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গত বছরের ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করেন। এই সংসদের মেয়াদ চলতি বছরের ২২ মার্চ এক বছর পূর্ণ হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ বাড়ার সময় সোমবার (২২ জুন) শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসোন, সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্যসহ অনেকেই।

    এ বিষয় এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটা সময়ের জন্য নির্বাচিত করেছে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত। আমরা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই সেটা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। আমি নির্ধারিত সময় শেষে আমার পদ ছেড়ে দিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাই।

    অন্যদিকে মেয়াদ শেষ হলেও পদে থেকে নির্বাচন চান ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি যুক্তি দেখান, গত ২২ মার্চ ডাকসুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে; আপনি যদি সে হিসেবেই ধরেন তাহলে গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর আর কোন কার্যদিবস যায়নি। সে হিসাবে আমাদের ৯০ দিন পূর্ণ হতে এখনো অনেক বাকি। এ বিষয়ে শিগগিরই ডাকসুর সভাপতির সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসবো। তবে অবশ্যই ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ প্রত্যাশা থাকবে।

    জিএস গোলাম রাব্বানী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ডাকসুর বিষয়ে আমার বক্তব্য একদম স্পষ্ট। নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত এক মিনিটও পদে থাকতে চাই না। করোনা দুর্যোগকালীন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেহেতু আমাদের ৩৬৫ দিনের বৈধ মেয়াদের আগেই অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ। তাই আমাদের অসমাপ্ত কাজ, বিশেষ করে, মাস্টার প্লান বাস্তবায়নে সহায়তা এবং ডাকসুর শিক্ষার্থী সহায়তা ফান্ডে আমার ব্যক্তিগত কন্টিনজেন্সি ফান্ডের অর্থসহ ডাকসুর অব্যবহৃত বাজেটের টাকা হস্তান্তরের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মানবিক সহায়তা দিতে চাই। আর অবশ্যই চাই, ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ামাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে সচল হওয়া ডাকসুকে আর অচল দেখতে চাই না। করোনা দুর্যোগের জন্য যে সাড়ে তিন মাস আমরা কাজ করতে পারিনি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে সময়টুকু আমাদের প্রাপ্য, আর সেই সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী নির্বাচনও আয়োজন করে ফেলতে পারবে। তাহলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র (৬ এর গ ধারা) মেনেই আমরা নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারবো। এটুকু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবি। সম্মানিত উপাচার্য মহোদয় ডাকসুর কমিটি ভেঙে দিয়েও যদি উক্ত দাবি মেনে নেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।

  • নতুন সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

    নতুন সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

    করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশে সংগঠনের সব পর্যায়ের কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কার্যক্রম স্থগিতাদেশ আরও ২০ দিন বাড়িয়েছে বিএনপি। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত স্থগিত ছিল, তা ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১৬ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে সীমিত আকারে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করবে দলটি। বুধবার (২৪ জুন) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম/সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (আজ) পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। এই স্থগিতাদেশ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম/সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম ১৬ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে সীমিত আকারে শুরু করা হবে। করোনা মহামারী ব্যাপক বিস্তারের কারণে ২৫ মার্চ থেকে স্থগিত রয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম।

  • ডিএসসিসি’র জরুরি সভা আজ, আসতে পারে লকডাউন

    ডিএসসিসি’র জরুরি সভা আজ, আসতে পারে লকডাউন

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে জরুরি সভা ডেকেছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় ডিএসসিসি মেয়র তাপসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৪ জুন) ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন কমিটির ২য় জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) লকডাউন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’ এর আগে গত ১৬ জুন নগর ভবনে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক ডিএসসিসির কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  • করোনা হাসপাতালের সামনে পশুহাট!

    করোনা হাসপাতালের সামনে পশুহাট!

    পুরান ঢাকার নয়াবাজারে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে চলছে করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা। এখন এই হাসপাতালের সামনের রাস্তায় কোরবানির অস্থায়ী পশুহাট বসাতে দরপত্র আহ্বান করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এতে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    এই হাসপাতাল সংলগ্ন আরমানিটোলা মাঠ। এই পশুহাট মাঠ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই তাঁরা পশুহাটের দরপত্র স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এবং করোনা প্রতিরোধে এই পশুহাট বাতিলের আবেদন জানিয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাঠটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নিজস্ব সম্পত্তি।

    ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৪ জুন আরমানিটোলা মাঠের আশপাশের খালি জায়গায় কোরবানির (সরকারি মূল্য ১ কোটি ৬৫ লাখ) পশুহাটের দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসসিসি। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যবিধির কিছুই বলা হয়নি। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়নি। ২৯ জুন দরপত্র চূড়ান্ত হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হবে।

    কোরবানির হাটের ইজারা তদারকি করে ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ। এ ব্যাপারে সংস্থাটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, আরমানিটোলা মাঠে নয়, পশুহাট বসবে মাঠসংলগ্ন আশপাশে খালি জায়গায়। গত মঙ্গলবার ওই এলাকা ঘুরে গলিরাস্তা ছাড়া খালি জায়গা দেখা যায়নি। এখন এই পরিস্থিতিতে যদি রাস্তার ওপর পশুর হাট বসে, পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে। এতে মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    করোনা হাসপাতালের সামনে পশুহাট: ১৫০ শয্যার ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ডিএসসিসির একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ এপ্রিল এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের পাশের মিটফোর্ডে স্থানান্তর করা হয়। এখন এই হাসপাতালে শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিয়েছে ডিএসসিসি। তবে এখন হাসপাতালটির সামনের রাস্তায় পশুহাট বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    হাসপাতাল সংলগ্ন আরমানিটোলা মাঠ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, এমনিতেই হাসপাতালের সামনের রাস্তায় দিনভর যানজট লেগে থাকে। এখন হাট বসলে পুরো হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গত বছর এই হাসপাতালের আশপাশের রাস্তায় কোরবানির পশুহাট বসেছিল। তখন অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এবারের করোনা পরিস্থিতি ভিন্ন। কোনোক্রমেই হাসপাতালে এলাকায় পশুহাট বসানো যাবে না।

    মাঠে হাট বসার আশঙ্কা: আরমানিটোলা মাঠের আয়তন প্রায় ৮৯ শতক। ২০১৪ সালের আগপর্যন্ত এই মাঠে পশুহাট বসে। এতে নষ্ট হয়ে যায় মাঠের পরিবেশ। পরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মাঠটি সংস্কার করেন আরমানিটোলা সমাজকল্যাণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালে এই মাঠে ফের পশুহাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএসসিসি। পরে ওই বছরের ১১ জুলাই ‘আরমানিটোলা মাঠ: এই মাঠে কেন পশুর হাট?’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হয়। তখন মাঠের দরপত্র বাতিল করে সংস্থাটি। কিন্তু এবার তারা আবার মাঠে হাট বসানোর পাঁয়তারা করছে। তাই গত ১৪ জুন মাঠে হাট বন্ধে মেয়র বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ জুন পৃথক চিঠি দিয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল।

    এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ উত্তম কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, এই মাঠ বা রাস্তায় পশুহাট বসলে পুরো এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এখন করোনা প্রতিরোধে এই এলাকায় পশুর হাট বসানোর কোনো যুক্তি নেই।

    ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, তাঁরা হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদের পরামর্শ নেবেন। তারপর হাটের দরপত্র চূড়ান্ত করা হবে। দরপত্র প্রকাশের আগে কেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেননি, এমন প্রশ্নের তিনি কোনো উত্তর দেননি।

  • করোনার নতুন সংক্রমণ ৩৪৬২, মোট সুস্থ প্রায় ৫০ হাজার

    করোনার নতুন সংক্রমণ ৩৪৬২, মোট সুস্থ প্রায় ৫০ হাজার

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৪৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩৭ জন। সব মিলিয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮২ জন। দেশে সব মিলে শনাক্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনের। করোনার সংক্রমণ থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সুস্থ হয়েছেন।

    দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

    ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩১ জন। সব মিলে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৬৬ জন।

    গতকাল মঙ্গলবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৪১২ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪৩ জন।

    ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর আগের দিন ১৬ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪টি নমুনা। দেশে ৬৬টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

    ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

    করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শিশুকে টিকা দিতে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে আসুন। টিকা প্রদানের কর্মসূচি ইতিমধ্যেই সম্প্রসারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। সময়মতো শিশুর টিকা দিন, সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

    সূত্র: প্রথমআলো

  • বাজেটের উপর আলোচনায় হাসানুল হক ইনু: করোনা পুষে রেখে অর্থনীতি সচল হবে না, দুর্নীতি পুষে রেখে করোনা মোকাবেলা করা যাবে না

    বাজেটের উপর আলোচনায় হাসানুল হক ইনু: করোনা পুষে রেখে অর্থনীতি সচল হবে না, দুর্নীতি পুষে রেখে করোনা মোকাবেলা করা যাবে না

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক  ইনু এমপি আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় বলেছেন, করোনা পুষে রেখে অর্থনীতি সচল হবে না, দুর্নীতি পুষে রেখে করোনা মোকাবেলা করা যাবে না। ক্যাসিনো বন্ধে যেভাবে বুলডোজার চালানো হয়েছিল ঠিক তেমনভাবে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের উপর বুলডোজার চালাতে হবে। তিনি স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা ও ভয়ংকর দুর্নীতি দূর করার দাবি জানান। তিনি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-সংক্রমণরোগ বিশেষজ্ঞ-ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে লাল-হলুদ-সবুজ জোন ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা এবং প্রধানমমন্ত্রীকে নিয়মিত রিপোর্টের ব্যবস্থার দাবি জানান। জনাব ইনু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ১ লক্ষ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা আর করোনা মোকাবেলায় বাজেটে ১০হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব, এডিবির প্রকল্প বাদ রেখে হিসাব করলে বাজেট দেখে মনে হয় দেশে ও দুনিয়ায় করোনা বলে কিছু নাই। তিনি বলেন, বাজেটে বরাদ্দ খাতের অগ্রাধিকার সঠিকভাবে নির্ণয় করা হলেও গতবারের তুলনায় বৃদ্ধির পরিমাণ ও হার খুবই গতানুগতিক, ছঁকেবাধা নিয়ম মাফিক বৃদ্ধি। তিনি সর্বজনীন জনস্বাস্থসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ছঁকের বাইরে গিয়ে বাজেটে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে  বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানান। তিনি বলেন, করোনার অভিঘাতে নতুন করে যারা কর্মহীন হয়ে গ্রামে ফিরবে, যে প্রবাসীরা দেশে ফিরবে, শ্রম বাজারে নতুন করে যে ২৬ লাখ যুবক প্রবেশ করবে তাদের কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। তিনি বলেন, কৃষি-মৎস্য-পোল্ট্রি-প্রাণী সম্পদ খাত সংকটে অর্থনীতিকে যে শক্তি দেয় সেই কৃষি ও কৃষির উপখাত, কৃষক ও খামারীদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। তিনি শিক্ষা ও গবেষনা খাতেও বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। জনাব ইনু বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে আয় ও অর্থসংস্থান নিয়ে এখন চিন্তা করার সময় না। ঋণ করতে যখন হচ্ছেই তখন একটু বেশি ঋণ করলে ক্ষতি নাই। ঋণ করে আমরা ঘি খাচ্ছি না। বিদেশে, সেকেন্ড হোমে, বেগমপল্লীতে পাচারও করছি না। তিনি বলেন, তারেক-কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা সরকার ফেরত আনতে পারলে বেগমপ্ললী, সেকেন্ডহোমওয়ালাদের পাচার করা টাকাও ফেরত এনে বাজেটে ব্যয় করতে পারবে। তিনি আয়করের জাল বৃদ্ধি, সবাইকে আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ট্যাক্সদাতাদের পিছনে ধাওয়া না করে ১ কোটি টাকা ব্যক্তিগত আয়কর দিতে পারে কিন্ত আয়কর দেয় না এমন কয়েক লাখ ট্যাক্স ফাঁকি দাতা ধরার জন্য শক্ত জাল পাতার আহবান জানান। তিনি বলেন,  স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও গবেষনা খাতে ব্যয়কে ব্যয় হিসাবে হিসাব না করে বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়লে এসব খাত মূলধন ফেরত দেয়াসহ বহুগুণ লাভ জাতিকে ফিরিয়ে দিবে। জনাব ইনু বলেন, করোনা ধনী গরীব সবাইকে সমান করে দিয়েছে। করোনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রীয় মূলনীতি সমাজতন্ত্রের পথে হাটতে হবে। সমাজতন্ত্রের আলোকে সর্বজনীন জনস্বাস্থ্যসেবা, সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা, সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। জনাব ইনু বক্তৃতার শুরুতে করোনা আত্মোৎসর্গকারী প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, সংবাদ গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং করোনা আক্রান্ত সকলের সুস্থতা কামনা করেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও  আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের  শুভেচ্ছা জানান।

  • কোভিড-১৯ এর  থাবায় প্রাথমিক শিক্ষার ৩১৮ জন আক্রান্ত ।  পাঁচজন  মৃত্য

    কোভিড-১৯ এর থাবায় প্রাথমিক শিক্ষার ৩১৮ জন আক্রান্ত । পাঁচজন মৃত্য

    মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ভয়াল থাবায় প্রাথমিক শিক্ষার ৩১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই মরণব্যাধির বিষাক্ত ছোবল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন।

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সোমবার (২২ জুন) একদিনে দুই শিক্ষক মারা গেছেন। এদিন নতুন করে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন দুই জন।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে করোনা আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

    তবে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাধিক বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা। তারা বলেন, অনেকে সামাজিক ভীতির কারণে উপসর্গ নিয়ে বাসায় চুপচাপ থাকছেন, কোনো ধরনের পরীক্ষা করছেন না। এ কারণে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা উঠে আসছে না বলে জানান তারা।

    ডিপিই’র তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাথমিকের ২৭ জন শিক্ষক, ৩৬ জন কর্মকর্তা, ২২ জন কর্মচারী ও ১৩ জন শিক্ষার্থী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। আর এ পর্যন্ত ৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষক, ৫ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী দুইজন ও ৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

    দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রামে ৮৬ জন, খুলনায় ১০ জন, বরিশালে ১৮ জন, সিলেটে ৩৪ জন, রংপুরে ১৭ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন রয়েছেন।

    জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনের অবস্থা মুমূর্ষু। নিজ উদ্যোগেই নানাভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। নিম্ন বেতনের প্রাথমিক শিক্ষকরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন।

    আক্রান্ত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষকদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের নানা ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কারো চিকিৎসকের পরামর্শ লাগলে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যেসব শিক্ষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত, তাদের বেশিরভাগই নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন কয়েকজন। তবে সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ কাজ শুরু করে ডিপিই। প্রতিদিন এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ২৪ ঘণ্টা পরপর ওয়েবসাইটে আপডেট করা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। সারাদেশে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রয়েছে। অনেক শিক্ষক করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না, এ কারণে সঠিক সংখ্যাটাও জানা যাচ্ছে না। অনেকে ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন, সামাজিক হয়রানির ভয়ে বাইরে যাচ্ছেন না।

    অন্যদিকে ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তার তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • দেশে করোনায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু

    দেশে করোনায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু

    দেশে করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৫৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪১২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মিডিয়া বুলেটিনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত মহা-পরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।  

    এদিকে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৯১ জন। বিপরীতে সেরে উঠেছেন ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯৯ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৪৫ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন।

  • জাসদ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুট মৃত্যুবরণ

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (কাইয়ূম-চুন্নু) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক পাঠচক্র সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি এবং জাসদ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুট মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
    সোমবার (২২ জুন) ভোর ৪টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ডা. মুকুট বাবা-মা, স্ত্রী ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।
    এক শোক বার্তায় প্রয়াতের পরিবার-আত্মীয়-পরিজন-বন্ধু-স্বজন-সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ইনু-শিরীন বলেন, সামরিক স্বৈরশাসনের অবসানের আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতা-যুদ্ধাপরাধ বিচার আন্দোলন ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনের সামনের কাতারের একজন সৈনিক ছিলেন ডা. মুকুট। একজন চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত জীবনেও তিনি সমাজের নিম্নবর্গীয় জনগণের একজন বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন মানবি চিকিৎসক ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনের সক্রিয় ব্যক্তিকে হারালো।
    পৃথক বার্তায় জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি নুরুল আমিন কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদ আশেক এলাহী, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সভাপতি আহসান হাবীব শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক ননী ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুটের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

  • করোনায় আক্রান্ত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

    করোনায় আক্রান্ত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

    রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    রবিবার (২১ জুন) রাতে বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়ে বলেন, নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসার পর থেকেই বাসায় অবস্থান করছি। বর্তমানে আমি সুস্থ আছি। মঙ্গলবার (২৩ জুন) দ্বিতীয়বারের মত নমুনা পরীক্ষার করা হবে।

    গুণী এই শিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন। রেজওয়ানা চৌধুরী রবীন্দ্রসংগীতের জন্যই সর্বত্র পরিচিত। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান বন্যা। তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

  • করোনা পজিটিভ তিন ক্রিকেটার, বাকিদের জন্য বিসিবি চিকিৎসকের পরামর্শ

    করোনা পজিটিভ তিন ক্রিকেটার, বাকিদের জন্য বিসিবি চিকিৎসকের পরামর্শ


    ক্রিড়া প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এখন প্রায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রিকেটাররাও আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবাল প্রায় সপ্তাহখানেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন খানিকটা সুস্থতার পথে।সাবেক অধিনায়ক ও দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব মাশরাফি বিন মর্তুজার করোনা পজিটিভ হয়েছে শনিবার। একইদিন জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপুরও করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
    বলার অপেক্ষা রাখে না, মাশরাফি নিজ এলাকা নড়াইলে নানান সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন, প্রচুর সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং সেটা সশরীরে উপস্থিত থেকে। একইভাবে নাজমুল অপুও নিজ হাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ত্রান বিতরণ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়েই করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন মাশরাফি ও নাজমুল অপু।
    শুধু মাশরাফি, নাফিস বা অপু নন, জাতীয় দলের অন্য ক্রিকেটাররাও করোনা ঝুঁকির বাইরে নন। এ অবস্থায় বিসিবি কী ভাবছে? ক্রিকেটাররা যাতে নিরাপদ থাকতে পারেন, সংক্রমিত না হন সেজন্য জাতীয় দলসহ অন্যান্য ক্রিকেটারদের জন্য বিসিবির কোন নির্দেশিকা আছে কি?
    বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ জানান, ‘আমাদের পরামর্শ একটাই, অতি জরুরী ও দরকারি কাজ না থাকলে বাইরে বের হবেন না, ঘরে থাকুন। ঘরে থাকাই প্রথম ও শেষ কথা।’ডাঃ দেবাশিষ বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত ৮০ ভাগ মানুষ বাসায় থেকেই ভাল হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাকি ২০ ভাগ ভুগছেন। অনেকে ঠিকমত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কাজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ঝুঁকির ভেতরে পড়ার চেয়ে ঘরের বাইরে বের না হওয়াই উত্তম।’ তিনি যোগ করেন, ‘অবস্থাটা ভাবুন একবার। অন্যসময় কোন ক্রিকেটার অসুস্থ হলে আমরা ছুটে যাই। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই যান হাসপাতালে। কিন্তু এখন তো সে সুযোগটাও নেই। কেউ যেতে পারছেন না। কারও হাসপাতালে যাবার অবস্থাও নেই। এমন ছোয়াচেঁ ব্যাপারটা। সে কারণেই আমার মনে হয় চেষ্টা থাকা উচিৎ করোনা যাতে না হয়। আমাদের সবসময় সতর্ক ও সাবধানি থাকতে হবে যাতে করোনা নিজের ও পরিবারের কারো মাঝে সংক্রমিত না হয়। তাই বলা হচ্ছে ঘরে থাকেন, বের হবেন না। সেটাই নিরাপদ।’
    তারপরও বিসিবি থেকে কোনরকম উপদেশ দেয়া যায় কি না? অনেক ক্রিকেটারই সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন, ত্রান বিতরণ করেছেন। মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহসহ আরও অনেক ক্রিকেটার শুরু থেকেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। কেউ কেউ সশরীরে সেই ত্রান বিতরণ করেছেন। সেই সশরীরে বাইরে গিয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও অর্থ সাহায্য করছেন। ফলে তাদের ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় চললেও একটা ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের এই সশরীরে মানব সেবা ও সাহায্য সহযোগিতা প্রদান কাজকর্ম না করে অন্য কারও মাধ্যমে তা বিতরণ করলে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি কম থাকবে। বিসিবি কি ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে তেমন কোন নির্দেশিকা দেবে?
    এমন প্রশ্নের জবাবে ডাঃ দেবাশিষ চৌধুরী জানান, ‘ক্রিকেটাররা এমনিতেই অনেক বেশি সতর্ক। একমাত্র মাশরাফিই সশরীরে ত্রান বিতরণ করেছেন এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দেশ বরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি একজন জনপ্রতিনিধিও, তাই নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন একদম মাঠে নেমে। কিন্তু বর্তমান জাতীয় দলের আর কোন ক্রিকেটার সশরীরে ত্রান বিতরণ করেননি। তারা কারও না কারও মাধ্যমে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং অর্থ সাহায্য করে যাচ্ছেন।’‘তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশিকা দেইনি। হয়তো এখন সময় এসেছে বোর্ড থেকে একটা নির্দেশিকা দেয়ার। যেখানে বলা থাকবে, মানবিক কারণে অতি অবশ্যই করোনাকালীন সময়ে সাহায্য সহযোগিতা করা যাবে। তবে সেটা সশরীরে গিয়ে নয়। অন্য কাউকে দিয়ে। তাহলে আর ঘর থেকে বের হতে হবে না। করোনায় সংক্রমিত হবার সম্ভাবনাও থাকবে কম।’

  • কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।

  • কামাল লোহানী আর নেই

    কামাল লোহানী আর নেই

    করোনায় আক্রান্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী আর নেই। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী এ কথা জানান।
    কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে গতকাল শুক্রবার জানান তাঁর মেয়ে ঊর্মি লোহানী। কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

    কামাল লোহানীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন সুলতানা কামাল (বামে)


    শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামাল লোহানী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।


    ঊর্মি লোহানী জানান, কামাল লোহানী অনেক দিন ধরেই ফুসফুস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। শুরুতে লকডাউনে চিকিৎসা করাতেও বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার সমস্যা ছিল। টেলিফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা বেশ গুরুতর হয়ে পড়লে গত ১৮ মে তাঁকে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে ২ জুন তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার ভর্তি করাতে হয়েছে।


    কর্মজীবনে কামাল লোহানী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু করেন। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
    উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও উপদেষ্টা কামাল লোহানী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুবার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে এবং ছায়ানটের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

  • জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডাক্তার রফিকুল হায়দার লিটনের মৃত্যুতে জাসদের শোক

    জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডাক্তার রফিকুল হায়দার লিটনের মৃত্যুতে জাসদের শোক



    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ শুক্রবার ১৯ জুন ২০২০ এক শোক বার্তায় এনাম মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে ডাক্তার ও ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে সিলেট এমএওজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. রফিকুল হায়দার লিটনের করোনায় মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজন-সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সমদেনা জ্ঞাপন করেন। তারা ডা. রফিকুল হায়দার লিটনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ডা. রফিকুল হায়দার লিটন জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও সিমিটারসহ তেল-গ্যাস লুন্ঠণকারী মাল্টিন্যাশনাল বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভুমিকা পালন করেছেন।

  • খুলনায় আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

    খুলনায় আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

    খুলনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডা. আব্দুর রকিব খানকে হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতী স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা। 

    বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে একই সাথে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
     
    জানা যায়, রোগীর স্বজনদের হামলায় গুরুতর আহত খুলনার রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. রকিব খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট টেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ছিলেন। রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর মৃত্যুতে তার স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে ডা. রকিবকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে মাথায় আঘাত লাগায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও নিহতের পরিবারের সাথে দুর্ব্যবহার করায় খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বুধবার বিকাল থেকে টানা কর্মবিরতি শুরু করে খুলনার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকরা। তবে বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে খুলনা বিএমএ। 

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে রোগীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত থাকবে। 

  • সেলাই মেশিন মেরামতে টাকা না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

    সেলাই মেশিন মেরামতে টাকা না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

    সেলাই মেশিন মেরামতের টাকা না পেয়ে বাবার সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক মাদ্রাসাছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর তাজহাট থানা এলাকার সিলিমপুর এলাকায়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলিমপুর এলাকার কৃষক আব্দুল মতিনের মেয়ে  মারুফা বেগম (১৯) মাহিগঞ্জ এলাকায় একটি কামিল মাদ্রাসায় পড়ে। তার সেলাই মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেলে তা মেরামতের জন্য বাবার কাছে টাকা চায়। বাবা টাকা দিতে গড়িমসি করলে অভিমান করে বুধবার রাতে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

    তাজহাট থানার এসআই মামুন জানান, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন।

  • প্রয়াত মন্ত্রীকে কটূক্তি; বেরোবি’র সেই শিক্ষক বরখাস্ত

    প্রয়াত মন্ত্রীকে কটূক্তি; বেরোবি’র সেই শিক্ষক বরখাস্ত

    সদ্য প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করা   বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মনিরাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানি শেষে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। 

    ১৩ জুন সন্ধ্যার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মনিরা তার নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তার এই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে তাজহাট থানায় ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাত সোয়া ২ টার দিকে শিক্ষক সিরাজুম মনিরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারি প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান জানান,  প্রয়াত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিশ্ববিদ্যালযের নিয়ম অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জেল হাজতে থাকায় ডাক যোগে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মহিবুল ইসলাম জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত তাজহাট এর বিচারক উক্ত শিক্ষককে দুই দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

  • বৃষ্টি আরও ৩ দিন, ভূমিধসের শঙ্কাও

    বৃষ্টি আরও ৩ দিন, ভূমিধসের শঙ্কাও

    জার্নাল ডেস্ক

    সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত আরও ৩ দিন থাকতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

    এছাড়া দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

    এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা আছে- মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    এই সময়ে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।