Category: জাতীয়

  • চার যুগ পেরিয়ে আলমগীর

    চার যুগ পেরিয়ে আলমগীর

    আলমগীর। ‘একের ভিতর অনেক’ বহুল প্রচলিত এই বাক্যটি তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একাধারে তিনি অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য। দীর্ঘ ৪৮ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন দুই শতাধিক চলচ্চিত্র। অভিনেতা হিসেবে সর্বাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ডটিও তার দখলে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন কিংবদন্তিতুল্য এ অভিনেতা। কথা হলো তার সঙ্গে…

    শুরুটা ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে…

    কলেজ জীবনেই অভিনয়ে পা দিয়েছিলাম। তবে পেশাদারিত্বের কথা বললে, ১৯৭২ সালের ২৪ জুন প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুমের ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে পথ চলা শুরু করি। এর মধ্য দিয়ে ক্যামেরার সামনেও প্রথমবারের মতো দাঁড়াই। ছবিটি করতে গিয়ে বেশ সাড়া পাই। ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তির আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। তখন সিরাজুল ইসলামের ‘দসু্যরানী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’, মোহর চাঁদের ‘হীরা’ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করি। এরপর তো একে একে প্রায় দুইশ ছবিতে অভিনয় করেছি। সংখ্যাটা কম-বেশি হতে পারে।

    সৈয়দ আব্দুল হাদীর কাছে গান শেখা…

    একটা সময় গানের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়েছিল। তখন রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি স্কুলে সৈয়দ আব্দুল হাদীর কাছে দু’তিন মাস গানও শিখেছি। এরপর মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় সত্য সাহার সুর সংগীতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় প্রথমবারের মতো পেস্ন-ব্যাক করি।

    চলচ্চিত্র আমাকে অনেক দিয়েছে…

    চলচ্চিত্র আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক কিছু শিখিয়েছে। অনেকেই আমাকে বিভিন্ন বিশেষণে অবহিত করার চেষ্টা করেন, তবে কেউ যদি আমাকে অভিনেতা বলে ডাকে, মনে তৃপ্তি পাই। সারাটা জীবন একজন অভিনেতা হতে চেয়েছি। আজকে আমার যাই আছে, তার পেছনে অনেক মানুষের সহযোগিতা রয়েছে। আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের কথা না বললেই নয়। তিনি যদি আমাকে পর্দায় আবিষ্কার না করতেন, তাহলে হয়তো এতদূর আশা হতো না। তাছাড়া গুণী পরিচালক মোস্তফা মেহমুদ, কামাল আহমেদ, সুভাষ দত্ত, খান আতাউর রহমান, চাষী নজরুল, আমজাদ হোসেন, এজে মিন্টু, কাজী হায়াৎ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সাইফুল আজম কাশেম, মালেক আফসারীসহ অনেকের সঙ্গে আমার কাজের সুযোগ হয়েছে। আমার সৌভাগ্য যে এমন গুণী পরিচালকদের সাহচর্য্যে থেকে অভিনয় শেখার সুযোগ পেয়েছি।’

    কাজের স্বীকৃতি, অনেক বড় তৃপ্তি…

    কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। পরবর্তীতে আরও আটবার একই পুরস্কারে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশে অভিনেতাদের মধ্যে সর্বাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এটা সত্যিকার অর্থেই আনন্দের বিষয়।

    প্রযোজনা ও পরিচালনা…

    দীর্ঘদিন অভিনয়ের পর প্রযোজনা ও পরিচালনার প্রতিও আমার আগ্রহ তৈরি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ‘ঝুমকা’ নামের একটি ছবি আমি প্রযোজনা করি। এরপর ‘নিষ্পাপ’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করি। সর্বশেষ ‘একটি সিনেমার গল্প’ শিরোনামে আরও একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করি।

  • সমুদ্র-সম্পদে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা জানাল বাংলাদেশ

    সমুদ্র-সম্পদে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা জানাল বাংলাদেশ

    অনলাইন ডেস্ক ॥ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনীল অর্থনীতির- (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব সমুদ্র সীমার বাইরে বৈশ্বিক সমুদ্র-সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরলো বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

    শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে উল্লেখ করা হয়, ‘সমুদ্রতলের সম্পদে টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রাপ্ত সুবিধার ন্যায়সঙ্গত বন্টন: স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের সুযোগ’- শীর্ষক এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ (আইএসএ) এবং স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের জোটের সভাপতিরা এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

    ব্রিফিংয়ে গভীর সমুদ্রে খনন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আইনগত কাঠামোর উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য চুক্তিবদ্ধকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারে এমন সক্ষমতা বিনির্মাণে আইএসএ যে পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা সদস্য দেশগুলোর সামনে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি-জেনারেল মাইকেল ডব্লিউ লজসহ অন্যান্যরা।

    রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর সুনীল অর্থনীতি এক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সক্ষমতা বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময়, বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, বিকল্প কারিগরি কর্মী তৈরি, গবেষণা ও অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টিসহ এতদবিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন সহযোগিতা পায় তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন সমুদ্র-সম্পদ আহরণ করে তা কাজে লাগাতে পারে সে লক্ষ্যে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। স্থায়ী প্রতিনিধি আইএসএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

  • অর্থ পাচার: সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা কোথায়?

    অর্থ পাচার: সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা কোথায়?

    কাদির কল্লোল

    সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের পাচার করা অর্থের ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত কোন তথ্য নেই।

    দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক বলেছে, গত বছর অর্থপাচার নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মুখে তথ্যের জন্য সুইজারল্যান্ড ব্যাংকের সাথে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে দুদক সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু এক বছরেও অগ্রগতির কোন খবর মেলেনি।

    সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে টাকা পাচার হওয়ার পর এর তথ্য জেনে বাংলাদেশে তা ফেরত আনার ক্ষেত্রে তৎপরতায় এখনও দুর্বলতা রয়েছে।

    সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবছর যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সেখানে ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ৫হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। যা এর আগের বছর থেকে দেড়শ কোটি টাকা কমেছে।

    কিন্তু সামান্য কমার এই ধারা সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা।

    বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বিদেশে টাকা পাচার এবং সেই অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না।

    “যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে, এটার প্রবাহ বন্ধ করা এবং অর্থ ফিরিয়ে আনা-এই দু’টোর জন্যই যে ধরণের রাজনৈতিক এবং আইনি কাঠামো দরকার, সেটা আমাদের এখানে অনুপস্থিত রয়েছে।”

    টাকা পাচার, বাংলাদেশ, সুইচ ব্যাংক।

    বিদেশের ব্যাংকে কাদের অর্থ, কীভাবে যায়?

    বিদেশের ব্যাংকে জমা হওয়া এবং পাচার হওয়া অর্থের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

    ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, “যে অর্থ বিদেশে যায়, তার বেশিরভাগই অপ্রদর্শিত বা দুর্নীতির অর্থ। আরেকভাবে যায়, সেটা হচ্ছে, ব্যবসা বাণিজ্য বিশেষ করে আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে। এসব উপায়ে যে টাকা চলে গেছে, সেটা কিন্তু সুইস ব্যাংক এবং গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির রিপোর্টেও দেখা যায়।”

    গত বছরও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা রাখার বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

    দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, যদিও সংশ্লিষ্ট আইনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কারও বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে তাদের দেখার ক্ষমতা নাই। এরপরও গত বছর তিনি বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য সমঝোতার উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

    এক বছরেও তিনি কোন অগ্রগতি জানতে পারেননি।

    দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, “আমরা গত বছরই বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখেছিলাম, ভারত যেমন একটা সমঝোতা স্মারক করেছে, যার মাধ্যমে তারা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের সাথে তথ্য বিনিময় করে থাকে। আমরাও বাংলাদেশ ব্যাংককে পত্র দিয়েছিলাম সুইস ব্যাংকের সাথে তথ্য বিনিময়ের সমঝোতা করার জন্য। আজকেও আমি আমার অফিসকে বলেছি যে, একটা রিমাইন্ডার দেন যে কী করলো তারা?”

    তবে তথ্য জানার জন্য সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের সাথে সমঝোতার চেষ্টায় এক বছরেও যে কোন অগ্রগতি হয়নি, বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সেই ধারণা পাওয়া যায়।

    অর্থ পাচার বন্ধের জন্য গঠিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মো: রাজি হাসান বলেছেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশি যাদের টাকা জমা আছে, তাদের বেশিরভাগই বিদেশে থাকেন।

    “এর আগেও আমরা সুইস ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে বা বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে, ব্যক্তিগত যে অর্থ সেখানে জমা আছে, সেটাও কিন্তু যারা বিদেশে বা বাইরে আছেন, তাদের অর্থ। এটা নয় যে সব টাকাই মানি লন্ডারিং হয়ে গেছে। যাই হোক মেকানিজম যেগুলো করতে হয়, সেগুলো কিন্তু আমরা করছি।”

    বাংলাদেশে থেকে টাকা পাচার হয় বিভিন্ন উন্নত দেশে
    বাংলাদেশে থেকে টাকা পাচার হয় বিভিন্ন উন্নত দেশে

    ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান আরও বলেছেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে মনে হয়েছে পাচারের বিষয় থাকতে পারে, কিছু কিছু চিহ্নিত করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। আরও কীভাবে এটা কমানো যায়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।”

    কিন্তু পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান মনে করেন,অর্থ পাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে দূর্বলতা আছে।

    “বিশ্বব্যাপী যে আজকাল টাকার চলাফেরা হচ্ছে আন্ডার গ্রাউন্ডে বা ওভার গ্রাউন্ডে, সেখানে আমাদের মতো একটা অর্থনীতি বা ব্যবস্থাপনার পক্ষে তা তন্ন তন্ন করে ফলো আপ করার ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বলতাও আছে।”

    অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতেই শুধু নয়, এখন কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে কঠোর বার্তা না থাকায় টাকা পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • বগুড়ায় প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা সাইদুজ্জামানের করোনায় মৃত্যু

    বগুড়ায় প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা সাইদুজ্জামানের করোনায় মৃত্যু

    বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক সাইদুজ্জামান তারা (৭০) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

    গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেলেই তাঁর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে।

    বগুড়া থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক হাতিয়ার’-এর নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন সাইদুজ্জামান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খায়রুল বাশার মোমিন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। কদিন আগে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ২৪ জুন তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। এরপর ২৫ জুন রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়ার সময় তিনি মারা যান।

    বগুড়া থেকে ১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলাদেশ’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এই প্রবীণ সাংবাদিক। পরবর্তীতে একাধিক দৈনিকে কাজ করেছেন। 

    তাঁর মৃত্যুতে বগুড়া প্রেসক্লাব ও বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে বগুড়ার সাংবাদিক মহলে।

  • কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল শিশুর

    কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল শিশুর

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় রিমা খাতুন (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বলিদাপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমা খাতুন বলিদাপাড়া গ্রামের লিটন হোসেনের মেয়ে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের পাশেই দাঁড়িয়েছিল রিমা। দ্রুতগতিতে আসা যশোরগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিমাকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রিমা।

    কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিশু রিমার মৃতদেহ উদ্ধার করে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

  • ‘সন্তানের টানে’ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী

    ‘সন্তানের টানে’ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী

    করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশী রাজু সরকার যেন একেবারেই মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সদ্য বাবা হওয়া রাজু সন্তানের প্রতি টানের কারণেই হয়ত জীবনের আশা ছাড়েননি।

    দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন রাজু। তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনায় চিকিৎসকরাও বিস্মিত হয়েছেন, যা তুলে ধরা হয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসে।

    সিঙ্গাপুরে প্রথম যে কয়েকজন বিদেশি কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজু তাদের অন্যতম। 

    করোনাভাইরাসে দেহের ২৪ কেজি ওজন হারিয়েছিলেন রাজু। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার টান টক সেং হাসপাতাল (টিটিএসএইচ) থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।

  • ৯০ এর রাজপথ কাপানো জাসদ নেতা হান্নান ক্যান্সারে আক্রান্ত

    ৯০ এর রাজপথ কাপানো জাসদ নেতা হান্নান ক্যান্সারে আক্রান্ত

    ন্যশনাশ ডেস্ক:রংপুরে নব্বই দশকে জাসদ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই কারা নির্যাতিত, মামলায় জর্জরিত ছাত্রনেতাদের একজন মোঃ আব্দুল হান্নান। অপরজন সাব্বির আহমেদ। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ডাঃ মিলন নিহত হওয়ার রাতেই ঘোষিত জরুরী আইনে রংপুর শহরে সর্ব প্রথম গ্রেফতার সদ্য এইচএসসি পাশ করা হান্নান। সেই শুরু। ১৯৯২ শহীদ জননীর গড়া আন্দোলন চলাকালে জামাতীদের সংগঠন যুব কমান্ডের হরতালের দিন রংপুরে শিবিরের ঘাঁটি মেস এলাকা আশরতপুরে স্থানীয় এক প্রেগন্যান্ট মহিলাকে রিক্সায় হসপিটাল যেতে বাঁধা দেয়ায় এলাকাবাসীর সাথে শিবিরের সংঘর্ষে মারা যায় শিবির কর্মী মনসুর। ষড়যন্ত্র করে সেটাতে স্থানীয়দের সাথে আসামী করা হয় জাসদের প্রয়াত আজিজুল ভাই, হান্নান ও সাব্বির ভাইকে। একই বছর রংপুরে জামদের আব্বাস আলী খানের জনসভা পণ্ড করার মধ্য দিয়ে রংপুরবাসীর শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের রংপুরের মাটিতে প্রতিরোধের সূচনা হয়। আসামী যথারীতি হান্নান। ১৯৯৩ সালে কারমাইকেল কলেজে শিবিরের সাথে জাসদ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কুখ্যাত ‘সন্ত্রাস দমন অধ্যাদেশ – ৯২’ এর আওতায় রংপুর জেলার প্রথম মামলা জাসদ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের নামে। অবধারিতভাবে আসামী হান্নান। ১৯৯৫ সাল রংপুরের জাসদ ছাত্রলীগের জন্য এক বিভীষিকার বছর। বছরের শুরুতেই ছাত্রদলের সাবেক জেলা সভাপতির করার মামলায় জাসদ ছাত্রলীগের অন্যান্যদের সাথে যথারীতি আসামী হান্নান। কিছুদিন পরে গোলাম আযমের জনসভা প্রতিরোধ, সেখানেও আসামী হান্নান। সেই বছরেই ৭ জুলাই জামাতীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে কবি শামসুর রহমানের সংবর্ধনা, আসামী হান্নান। ওই বছরই ২৮ আগস্ট কারমাইকেল কলেজে আমাদের সাথে শিবিরের সংঘর্ষে মারা যায় শিবিরের ময়নুল। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হান্নান। দুই মাস পরে ২৮ অক্টোবর আমাদের বন্ধু রংপুর মেডিকেলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শহীদ হাবীবের মামলার সাক্ষী জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন (হাবিব হত্যার দিন তিনিও গুলিবিদ্ধ) এর বাসায় ছাত্রদলের বোমা হামলায় নিহত হন আনোয়ার ভাইয়ের পিতা জমশের চাচা। ফলে এলাকাবাসী পার্শ্ববর্তী মেডিকেল হস্টেল ঘেরাও করে ছাত্রদলকে উচ্ছেদ করে ক্যাম্পাস থেকে। সেখানেও মেডিকেল কলেজ প্রশাসন ও পুলিশের করা তিনটা মামলায় আসামী হান্নান। যদিও তার বাসা শহরের অপর প্রান্তে। ১৯৯৯ সালে এরশাদ বক্তৃতা দিলেন তিনি হাসানুল হক ইনুকে মাসোহারা দিতেন। তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ হলো এরশাদেরই রংপুরে। জাপার সাথে সংঘর্ষ হলো। তাদের করা তিনটা মামলায় অন্যান্যদের সাথে আসামী হান্নান। আমি শুধু এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটার কথা লিখলাম। ১৯৯০-২০০৫ পর্যন্ত রংপুর জাসদ ছাত্রলীগ প্রায় ৩০টার মতো মামলা ফেস করে। প্রায় সবগুলোতে আসামী হান্নান। অনেকে ভাবতে পারেন হান্নান কি তবে সন্ত্রাসী? না, তার নামে দুইটি হত্যা মামলাসহ দুই ডজনের অধিক মামলার মধ্যে অরাজনৈতিক মামলা একটাও নেই। সব মামলার আসামী তাকে হতে হয়েছে জাসদ ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে। ৯০ সালে জেলা যাওয়ার যে সূচনা হয়েছিল হান্নানের তা অব্যাহত ছিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত। তারপরে অবশ্য আর একবারও জেলে যেতে হয়নি তাকে। ৯৬ সালের মে থেকে ৯৮ সালের জুন পর্যন্ত টানা ২৫ মাস জেলে থাকতে হয় তাকে। সব মিলিয়ে জাসদ ছাত্রলীগ রাজনীতির জন্য প্রায় সাড়ে তিন বছর তার জেলেই কাটে।

  • পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    টেকনাফের হোয়াইক্যং পাহাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। শুক্রবার টেকনাফের হোয়াইক্যং পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘শুক্রবার দুপুরে শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের সন্ধানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত বাহিনী পাহাড়ে ঢুকে পরে। পরে ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    তবে এখনো নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

  • বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পূর্তি আজ

    বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পূর্তি আজ

    আইসিসি ট্রফি জয়ের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৮ সালে আইসিসি মিনি বিশ্বকাপের সফল আয়োজন ক্রিকেট দুনিয়াকে দেখিয়েছিল আয়োজক বাংলাদেশের সক্ষমতা। একই টুর্নামেন্টে এই দেশে ক্রিকেটের বহুল জনপ্রিয়তার ঢেউও সবার চোখে পড়েছিল। তারপর থেকেই আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার চেষ্টায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিলেন তত্কালীন বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সাফল্য বাংলাদেশের দাবিকে আরো জোরালো করেছিল। অবশেষে ২০০০ সালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ২৬ জুন আইসিসির পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা তথা টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। এই স্বীকৃতি অর্জনে আইসিসির সাবেক সভাপতি প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

    বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর কূটনৈতিক দক্ষতাও সফলতা পেয়েছিল এর মাধ্যমে। আইসিসির ঘোষণার মধ্যদিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় পা রাখে বাংলাদেশ। তারপর কেটে গেছে ২০ বছর। টেবিলের, কাগজে-কলমের স্বীকৃতি পাওয়ার পর সাদা পোশাকে ২২ গজের লড়াইয়ে শামিল হয় বাংলাদেশ মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে। নভেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্ট খেলে বাংলাদেশ।

    গত ২০ বছরে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত এই ফরম্যাটে টাইগারদের পদচারণা খুব সুখকর নয়। কিছু খণ্ড খণ্ড সুখস্মৃতি অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু ২০ বছর আগের আশা, স্বপ্নের সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতার ফারাক অনেক বেশি। প্রত্যাশিত উন্নতি, কাঙ্ক্ষিত অবস্থান কোনোটাই পায়নি বাংলাদেশ। টেস্টে এখনো সংগ্রাম করছে বাংলাদেশ, র্যাংকিংয়ের তলানির দল। লম্বা সময়ে টাইগারদের হারের তালিকায় দীর্ঘ হয়েছে প্রতিনিয়ত। ১১৯ টেস্টে মাত্র ১৪টি জয়। হার ৮৯, ড্র ১৬। জয়গুলোর অর্ধেকই (৭) খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে।

    ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোই এযাবত্কালে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটসম্যান এসেছে। মুশফিক তিনটি, সাকিব-তামিম একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। পরবর্তীতে মুমিনুল হকের মতো ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানও পাওয়া গেছে। বাঁহাতি স্পিনের ঐতিহ্য টিকে আছে রফিক, সাকিব, তাইজুলদের হাত ধরে। অফ স্পিনেও হারিয়ে যায়নি। তবে পেস বোলিংয়ে বরাবরই ধুঁকেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি, শাহাদাতরা আশা জাগিয়েছেন বল হাতে। কিন্তু কেউই লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারেননি। টেস্টে সত্যিকারের দ্রুতগতির ফাস্ট বোলার না পাওয়ার আক্ষেপ ২০ বছর ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ।

    টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পূর্তির দিনে মুমিনুলদের কাছে হয়তো সবচেয়ে বড় কষ্ট করোনায় একের পর এক টেস্ট ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়া।

  • মানুষ বাঁচানোই এখন একমাত্র রাজনীতি : ওবায়দুল কাদের

    মানুষ বাঁচানোই এখন একমাত্র রাজনীতি : ওবায়দুল কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের এই সংকটকালে সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনও রাজনীতি করছে না। করোনার সংক্রমণ রোধ ও মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে এখন একমাত্র রাজনীতি।

    বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ সমালোচনা করতে গিয়ে বিরাজনীতি করণের অভিযোগ এনেছেন। এ সংকটকালে সরকার তো কোন রাজনীতি করছে না? এমন কি আওয়ামী লীগও এ সময়ে কোন রাজনৈতিক কার্যক্রম করছে না।’

    তিনি বলেন, যদি কোন রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে ভালো পরামর্শ দিতে চায়, সেটা সরকার গ্রহণ করবে। কোন ভুল হলে ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস সরকারের রয়েছে।

    ‘সরকারের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে নেতিবাচক ও অন্ধ সমালোচনা নির্ভর রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বক্তৃতা, বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির এখন আর কোন রাজনীতি নেই। অসহায় মানুষ থেকে তাদের অবস্থান এখন যোজন যোজন দূরে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সরকারি ও অনেক বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফ্রন্টলাইনে কর্মরত যোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে কাজ করছেন। তখন কিছু হাসপাতাল-ক্লিনিক যেকোনো সাধারণ সেবায় গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করানোর কথা বলছে, কিংবা করোনা রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছেন না। এমনকি কোনও কোনও হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার জন্য নানান ছলচাতুরী আশ্রয় নিচ্ছে, এ মুহূর্তে এটা সমীচীন নয়।

    তিনি বলেন, আবার করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান স্মার্ট এবং দ্রুত সেবা দিলেও কারো কারো বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে টেস্টের সিরিয়াল পেতে সময় লাগে অন্যদিকে নমুনা দেবার পর রেজাল্ট পেতে লাগছে কয়েক দিন। অহেতুক এ সময়ক্ষেপণে রোগী ও তার আত্মীয় স্বজনরা যেমন উদ্বিগ্ন হচ্ছে, তেমনি মনোবল হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আবার অনেকে মৃত্যুর মুখেও পতিত হচ্ছেন। এসকল প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সময়ে রিপোর্টদান এবং নমুনা সংগ্রহের সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

    বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল যারা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে বাণিজ্য করছে। তাদের এব্যাপারে সর্তক হওয়া উচিত। এ দুর্যোগে মানবিক হওয়া উচিত। অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা পরিহার করে সঠিক সেবা দান করুন। জটিল রোগীদের তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান দেরি হলে তা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পতিত হবে।

    রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যারা সমন্বয়ের কথা বলেন তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, পৃথিবীর কোথাও কি এমন নজীর আছে? করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাজনীতিবিদের কাজ নয়, যাদের দরকার, সেসব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তাদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৬৬টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকার পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

    ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতি যেমনি লক্ষ্য অর্জন করেছে, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পারস্পরিক সহমর্মিতা,ত্যাগ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মাধ্যমে উত্তরণের পথে জাতি এগিয়ে যাবে।

  • গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়নি ঔষুধ প্রশাসন

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়নি ঔষুধ প্রশাসন

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ অ্যান্টিবডিও চিনতে পারছে না। অ্যান্টিবডি শনাক্তে তাদের কিটের সেনসিটিভি গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে থাকায় রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়নি ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার বিষয়টি চিঠি দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গত ১৭ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট অ্যান্টিবডি চিনতে পারলেও সংক্রমণের প্রথমভাগে করোনা ভাইরাস শনাক্তে ‘কার্যকর নয়’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মূল্যায়ন কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অ্যান্টিবডি শনাক্তের অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মূল্যায়ন করে দেখেছে, অ্যান্টিবডি শনাক্তে ন্যূনতম সেনসিটিভিটি ঐ কিটে নেই।

    বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংকটের শুরুর দিকে যখন কিটের সংকট প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল, তখনই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তে কিট উদ্ভাবনের খবর দেন অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। এরপর চীন থেকে কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) এনে কিটের স্যাম্পল তৈরির কাজ শুরু করেন তারা। গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের এই জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট দিয়ে ৫ মিনিটে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে, খরচ হবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বলে আসছে, এ ধরনের র্যাপিড কিটে পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ফলস পজেটিভ কিংবা ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এর মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত টেস্টিং কিটের নমুনা হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রতিনিধির কাছে কিটের নমুনা তুলে দেওয়া হয়। তবে সরকারের কোনো প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না। দীর্ঘ বিতর্কের পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআরবিতে নমুনা জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়। এরপর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ছয় সদস্যের কমিটি করে এবং ১৩ মে তাদের উদ্ভাবিত কিট বিএসএমএমইউতে জমা দেয়। ৩৪ দিন পর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।

  • কভিড হাসপাতালের অর্ধেক আইসিইউ বেড এখনও খালি

    কভিড হাসপাতালের অর্ধেক আইসিইউ বেড এখনও খালি

    দেশের কভিড হাসপাতালের অর্ধেক আইসিইউ এবং দুই-তৃতীয়াংশ বেড এখনো খালি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    আজ শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।

    তিনি উল্লেখ করেন, রাজধানীর কভিড হাসপাতালগুলোতে ৮৩টি ও সারা দেশের সব কভিড হাসপাতালে ১৯৬টি আইসিইউ এখনো খালি রয়েছে। খালি থাকা আইসিইউয়ের সংখ্যা কভিড হাসপাতালগুলোর মোট আইসিইউয়ের প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে, ঢাকাসহ সারা দেশের কভিড হাসপাতালগুলোর সাধারণ বেডেরও তিন ভাগের দুই ভাগই খালি রয়েছে।

    তিনি জানান, সারা দেশে সব বিভাগে সাধারণ শয্যা রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০টি। আইসিইউ রয়েছে ৩৭৯টি। সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে চার হাজার ৬৯১ জন। আইসিইউয়ে রয়েছে ১৮৩ জন। অর্থাৎ সারা দেশে সাধারণ শয্যা খালি রয়েছে নয় হাজার ৯১৯টি আর আইসিইউ খালি রয়েছে ১৯৬টি।

    তিনি আরো জানান, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা ফাঁকা রয়েছে। প্রয়োজনে এসব হাসপাতলে রোগী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ঢাকাসহ দেশের সব কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১০ হাজার ২৪০টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৮০টি। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ৫৫টি।

    এ সময় নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৬১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৬৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনে

  • জাতীয় পুরস্কারের জন্য ২৯টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে

    জাতীয় পুরস্কারের জন্য ২৯টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে

    প্রতি বছর চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য প্রদান করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৫ জুন।

    বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমা পড়েছে মোট ২৯টি সিনেমা। আরও আছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ৫টি, ৩টি ডকুমেন্টারি।

    এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ এপ্রিলের মধ্যে চলচ্চিত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। তবে করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেকেই চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২৫ জুন করা হয়। সেই মেয়াদও শেষ হলো।

    প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয়।

  • মৃত্যু ৪০, শনাক্ত ৩৮৬৮

    মৃত্যু ৪০, শনাক্ত ৩৮৬৮

    বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। এনিয়ে মোট মারা গেলেন ১,৬৬১ জন। এছাড়া একই সময়ে আরও ৩,৮৬৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৩০,৪৭৪ জন।

    আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, ৬৬টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮,৪৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬,৯৬,৯৪১টি।

    গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৭,৯৯৯টি। এরমধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৩,৯৪৬ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ১,২৬,৬০৬ জন। আর গতকাল আরও ৩৯ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১,৬২১ জন। এছাড়া গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১,৮২৯ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫১,৪৯৫ জন।

    আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

  • করোনায় চলে গেলেন জাসদের অন্যতম অবিভাবক,সুপ্রিম কোটের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। ইনু-শিরীনের শোক

    করোনায় চলে গেলেন জাসদের অন্যতম অবিভাবক,সুপ্রিম কোটের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। ইনু-শিরীনের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় জাসদের অন্যতম অবিভাবক মশাল প্রতীক মামলায় জাসদের প্রধান কৌশলী সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমানে মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন -সহকর্মী-জাসদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এড. ইদ্রিসুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ জুন থেকে আসগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসকগণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালান। আজ ভোর ৪-১০ মি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ডা. ইশরাত জাহান উর্মি, এক পুত্র ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ রহমান সবুজসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ জোহর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাঙ্গুরা থানার বাঙ্গুরা গ্রামে তার নামাজে জানাজাশেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাধীস্থ করা হয়।
    জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এড. ইদ্রিসুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজীবন দলের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও দলের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখতেন, রাজনৈতিক ও আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা এবং নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি যে কোনো দলের পাশে দাঁড়িয়ে একজন দলের একজন দায়িত্বশীল রক্ষক ও অবিভাবকের ভুমিকা পালন করতেন। তিনি রাজনৈতিক সংকট-বিপদে কখনই বিভ্রান্তি বা দোদুল্যমানতায় না ভুগে সবসময় দলের পতাকা সমুন্নত রাখতেন এবং তরুনদের দলের কাজে উৎসাহ প্রদান করতেন। তারা বলেন, প্রয়াত এড. ইদ্রিসুর রহমানকে জাসদের নেতা-কর্মীরা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

  • জার্মানি জাসদের সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যুতে ইনু-শিরীনের শোক

    জার্মানি জাসদের সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যুতে ইনু-শিরীনের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় জাসদ জার্মানি কমিটির সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। জার্মানি জাসদ সভাপতি মুহিবুর রহমান আজ ২৫ জুন রাত ১:৩০ টায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না……রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মঅয়-স্বজন-গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জাসদ নেতা মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের প্রতি দলের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রয়াত মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিলেট অঞ্চলে জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি সমাজপ্রগতির বিপ্লবী আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক হয়রানি ও নিপীড়নের স্বীকার হয়ে এক পর্যায়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গঠণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি জার্মানির বাইরেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জাসদের সংগঠন গড়ে তোলা এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে বাংলাদেশের পক্ষে মতামত তৈরিতে ভুমিকা রেখেছেন। তারা বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সাহসী ভুমিকা রাখার জন্য জাসদের নেতা-কর্মীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
    তার মৃত্যুতে পৃথক শোকবার্তায় জাতীয় নারী জোট, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ, জাতীয় কৃষক জোট, জাতীয় যুব জোট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(হা-ন) সিলেট জেলা ও মহানগর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা জাসদ কমিটি শোক প্রকাশ করেছেন।

  • রাজধানীর কুড়িল ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু

    রাজধানীর কুড়িল ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু

    রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত একজনের নাম আল-আমিন (১৬)। বাকি দু’জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাদের বয়স ২৫ ও ৪০ বছর।বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিমানবন্দর রেলস্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টার দিকে বিশ্বরোড সংলগ্ন রেললাইন এলাকা আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি কুড়িগ্রামে। সে দিনমজুরের কাজ করত।

    তিনি আরও জানান, একই জায়গায় বুধবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরেকটি ট্রেনের ধাক্কায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

    নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।