Category: জাতীয়

  • গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

    গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর, নৃশংশ হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।
    আজ বুধবার( ৯ এপ্রিল)  সকালে বিক্ষোভ মিছিল শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।  মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
    বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আবু জাহিল ডাবলু, যুগ্ম আহবায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতী প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা বলেন,  পৃথিবী থেকে ইসরায়েলকে অবাঞ্চিত করতে হবে। মানবতার  জয়গান, ফিলিস্তিনের জয়গান নিশ্চিত করতে হবে। ইসরায়েলী পন্য বয়কট করতে হবে। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন বিশৃঙ্খলা না করে ইসরায়েলি পন্য সরাতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন তারা।
  • ২৫০ ধরনের ওষুধ ৩ ভাগের ১ ভাগ দামে পাবে জনগণ

    ২৫০ ধরনের ওষুধ ৩ ভাগের ১ ভাগ দামে পাবে জনগণ

    সারা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্বাস্থ্যখাতের বিশাল চাপ এবং ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না, যার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারের এই ফার্মেসি ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

    এ বিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা। সরকারি ফার্মেসি চালু হলে, এর মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।

    তবে সরকারি ফার্মেসি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে ওষুধ চুরি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে। এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।

  • নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় অংশীদার হলো বাংলাদেশ

    নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় অংশীদার হলো বাংলাদেশ

    ৫৪তম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর সাইডলাইনে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়।

    এ সময় নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো (ভার্চ্যুয়ালি), ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপলোমেসি কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি ও অ্যাক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস এস গারডিনার উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, স্পারসোর চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের রাষ্ট্রাচার প্রধান ও মহাপরিচালক এ এফ এম জাহিদ-উল-ইসলাম, বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের পরিচালক মো. শফিউল আলম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের সহকারী সচিব সৈয়দা সুমাইয়া তারান্নুম উপস্থিত ছিলেন।

  • নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি, প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

    নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি, প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

    ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়েই’ নির্বাচনি আচরণবিধির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি বলছে, খসড়াটি প্রায় চূড়ান্ত। এখন এটি অনুমোদনের জন্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

    সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচনের ছয়টি বিষয় নিয়ে গঠিত কমিটি সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে একটি সভা করে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    এ সময় খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এরকম। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি।

    আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আচরণবিধির খসড়া আমাদের প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে আজ একটা সভা হয়েছে। আগেও আমরা একটি সভা করেছিলাম। খসড়াটি চূড়ান্ত করে আমরা কমিশনে প্লেস করব, কমিশন অনুমোদন দিলে প্রকাশ হবে।’

    আনোয়ারুল ইসলামের ভাষ্য, ‘সংস্কার কমিশনের বিধি নিয়ে যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে, যেমন—স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নতুন কিছু বিষয় আমরা ইনকরপোরেটে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে।’

    খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের অলমোস্ট সবগুলোই আমরা আচরণবিধির খসড়ায় ইনকরপোরেটে করেছি।’

    আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে কিনা—সে প্রশ্নও করা হয় আনোয়ারুল ইসলামকে। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। অবস্থাই (পরিস্থিতিই) আমাদের বলবে কী করতে হবে।’

    ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের তো প্ল্যান আছে কবে কি করব। এই যে আমরা মিটিং করছি। এটাও প্ল্যানিংয়ের অংশ।’

    সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি জানান, ‘সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের যে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে তা পাঠিয়েছিলাম। ঈদের আগে কেবিনেটে এ নিয়ে মিটিং হয়েছে। এখনো আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে আমরা ডিলিমিটেশনের কাজটা করতে পারব। অনুমোদন না হলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

    কী থাকছে আচরণবিধিতে বিষয়টি নিয়ে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব নূন্যতম রাখা, নির্বাচনী শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত প্রার্থীদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা, নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (তৈরি), যেন সব প্রার্থী সমভাবে প্রচারণা করতে পারেন, সেই ধরনের অ্যাটিচ্যুড নিয়ে আমরা আচরণবিধির খসড়া নিয়ে কাজ করছি।’

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টিও নির্বাচনী আচরণবিধিতে আছে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, ‘নির্বাচনের সময় গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই প্রস্তাব করেছি।’

    নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামের একটি দল সম্প্রতি আদালতে রিট করেছেন। তাদের ক্ষেত্রে স্টে অর্ডারটি কোর্ট থেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না। নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।’

  • ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ফিলিস্তিনে মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও মোদি সরকারের মদদে ভারতীয় মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাতক্ষীরার সর্বস্তরের ছাত্র জনতা।

    সোমবার (৭ এপ্রিল ) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে   সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

    বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’; ‘দুনিয়ার মজলুম এক হও লড়াই করো’; ‘ওহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’সহ ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তাঁদের হাতে হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

    এসময় শিক্ষার্থী নয়ন বাবু বলেন, ইসরায়েল গাজা ও রাফা সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পশ্চিমা বিশ্ব একদিকে মানবতার কথা বললেও, অন্যদিকে ফিলিস্তিনে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।এসময় তিনি আরো বলেন”ভারতের সাম্প্রতিক মুসলিম-বিরোধী নীতিরও কড়া সমালোচনা করা হয় সমাবেশে। বক্তারা বলেন, ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ইসরায়েল। তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই যে মুসলিম-বিরোধী বিল পাস হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।

  • ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ 

    ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ 

    গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসা গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।
    সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পাকে যেয়ে শেষ হয়।
    মিছিলটির নের্তৃত্বদেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহঃ ইজ্জত উল্লাহ।
    মিছিল পূর্ববর্তি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক,  সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল,
    শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ ।

  • শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না: যুবদল নেতা আমিন

    শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না: যুবদল নেতা আমিন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না। লেখাপড়া শেষ করলেই যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। একটি দেশের ক্ষতি করতে হলে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়। আর আওয়ামী লীগ সেটাই করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাখাত চালাতো।
    শনিবার  (৫ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রতনপুর, ধলবাড়িয়া,মথুরেশপুর  বাজার সহ বিভিন্ন  এলাকায় গিয়ে ঈদ পরবর্তী তৃণমূলের সাধারণ মানুষের কাছে তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে এসব কথা বলেন  যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন।
    তিনি বলেন, আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে শিক্ষাখাতে। বিএনপি এই ভেঙে পড়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
    তিনি আরও বলেন, মাফিয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে, সে বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী সকল সূর্য সৈনিককে এক্যবদ্ধ থেকে মাফিয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদেরকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন ও সদস্য সচিব আরিফুর রহমান ছোটন,উপজেলা জাসাসের আহবায়ক মোঃ মুরশীদ আলী, উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোঃ আঃ সালাম ও আমজাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম, পরিশেষে কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহবায়ক ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সন্মানিত সদস্য  শেখ এবাদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির  সদ্য সাবেক সদস্য সচিব ডা: শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু ও উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ সেলিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
  • কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী স্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

    কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী স্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন দুই এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে অবস্থিত কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী হাইস্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে “প্রাণের মাঝে আয়” শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় উক্ত স্কুলের নবীন-প্রবীণ, বর্তমান-প্রাক্তন সকল ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক বৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর বাসুদেব কুমার বসু, প্রিন্সিপাল সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, এসব ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অব: অধ্যক্ষ শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজ, স ম তুহিন, প্রকাশক ম্যানগ্রোভ পাবলিকেশন্স এছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য গুণীজন।

  • আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার আত্মহত্যা

    আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার আত্মহত্যা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:

    আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিক বিষপান করেছেন। তার অবস্থা আশঙ্কজনক। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামে। জানা গেছে উত্তর চাপড়া গ্রামের আল-আমিন সানার স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৪) ২সন্তানের জননী এর সঙ্গে একই গ্রামের শাহজাহান গাজীর ছেলে শাহ আলম (২২) এর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হলে মনিরা’র স্বামী আল-আমিনের মা বিষয়টি প্রায় তাকে জানাত কিন্তু ছেলে আল-আমিন সেটা বিশ্বাস করত না। একপর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে আল আমিনের স্ত্রী তার প্রেমিকের হাত ধরে ঈদের মার্কেট করতে বুধহাটা বাজারে যায়। ফিরে আসার পর শাশুড়ি ও স্বামী জানতে পেরে বিষয়টা জিজ্ঞাসা করা নিয়ে তর্ক তর্কির এক পর্যায়ে সকলের অজান্তে গভীর রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর শুনে প্রেমিক বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে দ্রুত উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নিহত মনিরার স্বামী জানান আমার স্ত্রী শাহ আলমের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। গতকাল তারা দুইজন বুধহাটা থেকে ঈদের কাপড়-চোপড় কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরে এই কথা জিজ্ঞাসা করাকে কেন্দ্র করে অভিমান করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারপূর্বক শ্রুতহল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্টমেটামের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান থানায় এই সংক্রান্ত ৯(২৯)৩ নং একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়ে

    ছে।

  • জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের

    জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড (আইআরবি)। এই রায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট (আইআরপিএ) এর ধারা ৩৪(১)(এফ)-এর আওতায় কানাডার সরকারের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

    এ সিদ্ধান্তটি আসে ২ বছর ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর, যা ২০২২ সালে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) একটি প্রতিবেদনের পর শুরু হয়েছিল। সিবিএসএ অভিযোগ করেছিল- জনৈক রহমান নামে এক ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রোকন) হওয়ার কারণে কানাডায় প্রবেশের অনুপযুক্ত। কারণ সিবিএসএর মতে জামায়াত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। তবে, ট্রাইব্যুনাল আজকের রায়ে এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন।

    এ রায়ের গুরুত্ব খুব বেশি। আইআরবির এ সিদ্ধান্তটি শুধু উক্ত রহমানের জন্যই নয়, বরং জামায়াতে ইসলামীর সুনামের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন রায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল দুটি পূর্ণাঙ্গ দিবস এবং অতিরিক্ত আরও আড়াই দিন শুনানি পরিচালনা করে। কয়েক হাজার পৃষ্ঠার নথিও এ সময় পর্যালোচনা করা হয়।

    এছাড়া, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদ ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, যাদের সবাই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন।

    ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়

    সন্ত্রাসবাদের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই: রায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।

    বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য গ্রহণ: তিনজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষক এই মামলা চলাকালে সন্ত্রাসবাদ, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক আন্দোলন, ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিষয়ে শপথ নিয়ে সাক্ষ্য দেন, যা বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং ধারাবাহিক বলে প্রমাণিত হয়।

    রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষনে জানিয়েছে যে, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের শিকার হয়ে আসছে, বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে যারা ভিন্ন আদর্শ লালন করেন তারা জামায়াতের বিষয়ে বহু বছর ধরেই প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছেন।

    ২০২৪ সালের আগস্টের বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

    আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতি: এই রায় কানাডার ন্যায়বিচার, সততা ও সুবিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে এবং উল্লেখ করেছে যে কোনো সংগঠনকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক চাপ বা বিদেশি সরকারের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সন্ত্রাসী ঘোষণা করা যায় না।

    জামায়াতে ইসলামীর জন্য আইনি বিজয়

    মামলায় জামায়াতে ইসলামীকে সফলভাবে প্রতিনিধিত্ব করেন ওডব্লিউএস ল-এর ব্যারিস্টার ওয়াশিম আহমেদ। এই রায় সম্পর্কে তিনি বলেন,“এই রায় জামায়াতে ইসলামী আইনি মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বিজয়। এটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে অভিযোগগুলোর ভিত্তি হতে হবে বাস্তব প্রমাণ এবং নিরপেক্ষ মূল্যায়নের ওপর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নয়।”

    গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া লিখিত সিদ্ধান্তে রহমানকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় এবং সিবিএসএর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয়। এ রায় ভবিষ্যতে অনুরূপ মামলাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে। কারণ অনেক সময়ই দেখা যায়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

  • বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

    বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুত্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা বার্তাটি প্রকাশ করা হয়েছে।

    শুভেচ্ছা বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে, আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই পরিবর্তনের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বর্ধিত নিরাপত্তার জন্য সক্ষমতা তৈরির একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। আসন্ন এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার সাথে সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারব এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে পারব। এই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

    মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফর প্রতিবেশী ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কী প্রভাব রাখবে তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে।

  • একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়,

    একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়,

    একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

    বুধবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। তার অভিযোগ, যারা একাত্তর আর চব্বিশকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাতে চায় তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়।

    নাহিদ আরও বলেন, ক্ষমতায় বসার জন্য যদি নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয় তা মানা হবে না। একদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানান তিনি।

    এছাড়া সংবিধান আঁকড়ে রেখে পুরোনো বন্দোবস্তেই দেশকে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ নাহিদ ইসলামের। এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এনসিপি নেতারা।

  • সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। এইচ এম রহমাতুল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক ও আবু জাহিদ ডাবলুকে সদস্যসচিব করে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন- যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, তাজকিন আহমেদ চিশতি, ড. মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুল ইসলাম, সদস্য এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, আব্দুল আলিম, হাবিবুর রহমান হাবিব, শেখ তারিকুল হাসান, মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, অধ্যক্ষ রইচ উদ্দিন, মো. আব্দুর রশিদ, সম হেদায়েতুল্লাহ, জিএম লিয়াকত আলী, শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ এবাদুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি রায়, মহিউদ্দীন সিদ্দিক, শের আলী, সোলাইমান কবির, অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, আব্দুর রকিব মোল্ল্যা, ইঞ্জি: মো. আয়ুব হোসেন, এড. নুররুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন, আশেক এলাহী মুন্না, আসাফুর রহমান তুহিন, অধ্যাপক আতাউর রহমান ও মো. নুরুজ্জামান।

    প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির পূর্বের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে এইচ এম রহমাতুল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক ও আবু জাহিদ ডাবলুকে সদস্যসচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি : প্রধান উপদেষ্টা

    বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি : প্রধান উপদেষ্টা

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বাধীনতা যুদ্ধে সব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

    তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেন আগামীতে একটা নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার তাদের পালা শেষ করে দিয়ে যারা জীবিত অবস্থায় আছেন তাদেরকে যেন পুরস্কার দেই। তাদের প্রতি সম্মানটা আমরা দেই। তারা আমাদের জাতিকে মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পুরস্কার দিয়ে আমরা শুধু তাদেরকে সম্মানিত করছি না। আমরা বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মান তাদের মাধ্যমে পাচ্ছি। তারা প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত। তারা জাতির জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তাদের জীবদ্দশায় স্মরণ করতে না পারলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবো। যাদেরকে আমরা এই সম্মান দিতে চাই, যথাসময়ে আমরা যেন তা দেই।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান বলেন, কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর সরকার ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তারা সবাই বাংলার সূর্যসন্তান।

    পুরস্কারপ্রাপ্তদের স্মরণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম একজন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী। পৃথিবীর নামকরা সব বিজ্ঞানীরা তাকে চেনেন। তিনি সবসময় প্রকৃতি ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল কবি। তার কবিতা বহু কবি, লেখক, পাঠককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ও এর পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি ব্র্যাক গড়েছিলেন। প্রান্তিক গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ বহুমুখী কাজে ব্র্যাক এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

    লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সম্মাননা স্মারক আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে। বাংলার সঙ্গীত ও আর্টের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র আজম খান ও নভেরা আহমেদ। পূর্ব বাংলায় নভেরার হাতেই প্রথম ভাস্কর্যের উদ্বোধন হয়। তিনি আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃত। আর বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান মহান মুক্তিযুদ্ধে গান গেয়ে এদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি সমাজের বঞ্চিত মানুষের জন্য গান করেছেন। আজম খান দেশের হাজারো তরুণ সংগীতশিল্পীর আইকন। যে জেন-জি প্রজন্ম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের অনুপ্রেরণার নাম বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। সে ন্যায়বিচারের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য জোরালো প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।

    যারা আজ এ সম্মাননা পেলেন তারা জীবদ্দশায় এ প্রাপ্তি দেখে যেতে পারেননি, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে তাদের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। এই সূর্যসন্তানদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

    ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ আপনাদের স্বজনরা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেরিতে হলেও তাদেরকে এই স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেবে।

  • এসএসসিতে যশোর বোর্ডে কমেছে ২১ হাজার পরীক্ষার্থী

    এসএসসিতে যশোর বোর্ডে কমেছে ২১ হাজার পরীক্ষার্থী

    মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর (২০২৪) সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ জন। অর্থাৎ, এ বছর ২১ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৮৫ জন ছাত্র ও ৭১ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্রী। বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা হলো- বিজ্ঞান বিভাগে ৪০ হাজার ১৪৪ জন, মানবিক বিভাগে ৮৫ হাজার ২৩৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৮২ জন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

    এ বিষয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, পূর্বে অনেক শিক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাধ্য হতে হতো, যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির চাপে করা হতো। বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এতে প্রধান শিক্ষকরা আর অনৈতিক চাপের মুখে নেই। এবার টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে, আশা করা হচ্ছে, এবারের পরীক্ষার ফলাফল আগের বছরের তুলনায় ভালো হবে।

    পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেছেন, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের ২৯৯টি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা হবে এবং পরীক্ষায় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এবং লাল পতাকা চিহ্নিত করা হবে। পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যতীত অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। পরীক্ষার সময় কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কোনো শিক্ষকের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে দায়িত্ব থেকে সাথে সাথে অব্যাহতি দেয়া হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবার (২১মার্চ) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগের বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু নাসের মো: আবু সাঈদ। ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দিনকালের স্টাফ রিপের্টাার মো: আব্দুল বারী। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, রুহুল কুদ্দুস, দিলীপ কুমার দেব, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শহিদুল হক রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়ক রফিকুল ইসলাম শাওন, নির্বাহী সদস্য গোলাম সরোয়ার, নির্বাহী সদস্য, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুর রশিদ, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, ইয়ারব হোসেন, এম জিললুর রহমান, আহছানুর রহমান রাজীব, খালিদ হাসান, মো: হাফিজুর রহমান, মেহেদী আলী সুজয়, এসএম রেজাউল ইসলাম, আব্দুল আলিম, ইব্রাহিম খলিল, ফারুক রহমান, মীর আবু বকর, মীর মোস্তফা আলী, শহিদুল ইসলাম, খন্দকার আনিসুর রহমান, আয়ুব হোসেন রানা প্রমুখ।
    ইফতার মাহফিলে দেশ ও জাতীর শান্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা পৌর পার্ক জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আলহাজ¦ সাইফুল ইসলাম।

  • ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল

    ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখা।
    শুক্রবার  (২০ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে সংগঠনটির
    নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
    সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সেক্রেটারি মোঃ মেহেদী হাসানের  সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ইসলাম ছাত্রশিবিরের সা৪তক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন।
    প্রধান অতিথি বক্তব্যে সাতক্ষীরা শহর শাখার  সভাপতি আল মামুন  বলেন, ”যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চার শতাধিক ঘুমন্ত ও সেহেরীরত ফিলিস্তিনি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে আমাদের সবাইকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গাজায় শুধু মুসলমানরা আক্রান্ত হয়েছে মনে করবেন না। মূলত বিশ্ব মানবতাই আজ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার।এটা বিশ্বমানবতার ওপর আঘাত। বিশ্বনেতাদের অবশ্যই ন্যাক্কারজনক এই হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
    ওআইসি সহ বিশ্ব মুসলিম নেতাদের , ইজরায়েলের সাথে যাবতীয় কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।
    উক্ত বিক্ষোভ মিছিল আরো উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু তালেব ও আনিছুর রহমান,সাতক্ষীরা শহর শাখার অফিস সম্পাদক নূরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ
  • আ’লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না : জামায়াত আমির

    আ’লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না : জামায়াত আমির

    পতিত আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতিতে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট দিয়েছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হট টপিক। এবার এই ইস্যুতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।

    শুক্রবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে ড. শফিকুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পোস্টটি হবুহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-

    #আওয়ামী_লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না

    বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।

    প্রিয় সম্মানিত দেশবাসী,

    আল্লাহ তাআলার একান্ত মেহেরবানিতে আমরা পবিত্র রমাদানুল কারীম অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক অতিক্রম করছে।

    দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবানিতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।

    এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভিতরে এবং বাহিরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

    এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই।

    আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।

    মহান আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করুন এবং তার একান্ত সাহায্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে আমাদেরকে মেহেরবানি করুন। আমীন।

    এই পোস্টটি দেওয়ার পর কমেন্ট বক্সে একটি মন্তব্যও করেছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজড হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ওপেন করার কোনই অবকাশ নেই।