Category: জাতীয়

  • নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

    নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

    ন্যাশনাল ডেস্ক :বাংলাদেশে আগামী বছরের জুনের মধ্যে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির পাশাপাশি, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন।

    বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগ (জেবিপিএফএল)-এর প্রেসিডেন্ট তারো আসোর সঙ্গে এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনূস।

    চার দিনের জাপান সফরে ‘নিক্কেই ফোরাম ফর এশিয়া’-তে অংশগ্রহণ এবং জাপানি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতেই ইউনূস এই সফরে রয়েছেন। তিনি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে টোকিওতে পৌঁছান।

    বৈঠকে তারো আসো বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। উত্তরে ইউনূস জানান, তার নেতৃত্বাধীন সরকার তিনটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে—সংস্কার, অপরাধীদের বিচার এবং অবাধ নির্বাচন।

    তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছে, ফলে তরুণদের মধ্যে এক ধরনের গণআন্দোলন সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে তরুণদের আহ্বানে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি।”

    প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সফল হয়েছি।”

    এই সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “জাপান আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশগুলোর একটি। গত দশ মাসে তারা আমাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে এসেছে। এই সফর এক অর্থে কৃতজ্ঞতা জানানোও বটে।”

    বৈঠকে ইউনূস চলমান সংস্কার কার্যক্রম দেখতে তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

    জেবিপিএফএল-এর অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ)-র সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় দেশের পক্ষ থেকেই সেপ্টেম্বরে চুক্তি স্বাক্ষরের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়, যা হলে জাপান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।

    বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাপানের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, “এই সংকট অনন্য কারণ রোহিঙ্গারা অন্য কোথাও নয়, নিজেদের বাড়ি ফিরতে চায়।”

    বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ।

  • ঈদে আসছে নতুন টাকা

    ঈদে আসছে নতুন টাকা

    বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি আরও ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে বাজারে আনছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট। এসব নোটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সব নোটে রয়েছে নতুন গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের স্বাক্ষর।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে আসছে নতুন ডিজাইনের টাকা। এসব টাকায় কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। এর বদলে থাকছে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতীক।

    জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই– জুনের ২ অথবা ৩ তারিখের মধ্যে সাধারণ মানুষ হাতে পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্য মূল্যমানের নোটও বাজারে আসবে। তবে এখনই সব নোট পুরোপুরি বাজারে না এলেও সীমিত পরিসরে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক অনুষ্ঠানে জানান, নতুন নোটে দেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নতুন ডিজাইনে কোনো ব্যক্তির ছবি রাখা হয়নি। নোটগুলোতে দেশের চিত্র ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।’

    জানা গেছে, নোটগুলো বাজারে ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখানো হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ‘নতুন নোটের ডিজাইন কেমন হবে, তা গভর্নর স্যার আগেই জানিয়েছেন। এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। বরং দেশের ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, ঈদের আগে– জুনের ২ বা ৩ তারিখের মধ্যে– ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রথমে এই তিনটি নোট বাজারে আসবে, পরে ধাপে ধাপে অন্য মূল্যমানের নোট ছাড়া হবে।

    গণমাধ্যমের কাছে ইতোমধ্যে নতুন ডিজাইনের কয়েকটি নোটের ছবি সংগ্রহ করেছে, যেখানে সুন্দরবন, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতীক দেখা গেছে। এসব নোটে দেশের পরিচিতি ও গৌরবময় ইতিহাসের ছাপ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    ১০০ টাকার নতুন নোটে সুন্দরবনের ছোঁয়া
    ১০০ টাকার নতুন নোটে এক পাশে রয়েছে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ও জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জলছবি। অপর পাশে দেখা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’, যেখানে রয়েছে এক ঝাঁক হরিণ ও একটি বাঘের ছবি। সাদা অংশে বাঘের জলছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

    ২০০ টাকার নোটে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন
    নতুন ২০০ টাকার নোটে হালকা হলুদ রঙে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য। অপর পাশে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি—মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় পোশাক ও উপাসনালয়সহ উপস্থাপিত হয়েছে। মাঝখানে সবুজের মধ্যে রয়েছে দেশের মানচিত্র।

    ৫০০ টাকার নোটে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট
    নতুন ৫০০ টাকার নোটে একপাশে স্থান পেয়েছে জাতীয় চেতনায় অনন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অপর পাশে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।

    ১০০০ টাকার নোটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সংসদ ভবন
    সবচেয়ে বড় মূল্যমানের ১০০০ টাকার নোটে একদিকে রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। অপরদিকে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

    নতুন ডিজাইনের এই নোটগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ।

  • কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ

    কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ

    আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। রোববার (২৫) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক শেষে মূল্য ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরুদ্দ্দীন।

    উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    দেশে কাঁচা চামড়ার চাহিদা না থাকলে প্রয়োজনে চামড়া রফতানি করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, চামড়া রফতানি সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ ছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে সরকার।

    এবারের ঈদুল আজহায় কুরবানির পশুর ক্ষেত্রে ছোটো গরুর কাচা চামড়ার দাম ঢাকায় ১৩৫০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

  • আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডে‌কে‌ছেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডে‌কে‌ছেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আগামীকাল রোববার সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। এদিন বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠক ডেকেছেন।

    জানা গেছে, বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আগামীকালের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

    দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আগামীকালের বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। তবে সময়টি এখনো জানানো হয়নি। পরবর্তীতে সময় জানানো হবে বলে আমাদেরকে বলা হয়েছে। যতদূর মনে হলো বিকালেই হবে।

    এদিকে আজ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাথে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধি এবং রাত ৮টায় জামায়াত ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

  • জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই একটা অর্জন দৃশ্যমান ছাড়া আর কোনো কিছু এখনো পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

    শনিবার দুপুরে ‘৩৬ জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ২০২৪’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    গ্রন্থটি আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও মুরশিদুল আলম চৌধুরী সম্পাদনা করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবকে নিয়ে খুব কমই গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থ জুলাই বিপ্লবের ঘটনা প্রবাহের এক অনন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। সরকারের উচিত এ ধরনের গ্রন্থ প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করা। কেননা, ৯ মাস অতিবাহিত না হতেই বিপ্লবের বয়ান মুছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বিপ্লবীদেরকে এ বিষয়ে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।

    তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা দৃশমান করতে রাজনীতিতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তারা কী করতে চায় সেটাও জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো জাতির সামনে তাদের মেন্যুফেস্টু তুলে ধরতে পারেনি।

    মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল জুলাই বিপ্লবের হতাহতদের সুরক্ষা, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা এবং আর যাতে এ ধরনের কোনো দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে উঠতে পারে সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এসবের কোনোটাই করতে পারেনি সরকার।

    সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, এ সরকার আদৌ কোনো সংস্কার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লবের পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কোনো সংস্কার দৃশ্যমান করতে পারেনি। এ জন্য সরকারের উপদেষ্টার ব্যর্থতাই প্রধানত দায়ী।

    তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির আলোকে বলা যায় সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সেইসঙ্গে সাফল্যের সম্ভাবনাও কমে আসছে। ফলে সরকারকে হয়তো সংস্কারের উদ্যোগ ফেলে দিয়েই একটা নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে হতে পারে।

    ঋদ্ধ প্রকাশনীর চেয়ারম্যান ও সাবেক সবিচ নূরুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও সমন্বয়ক সাদিক কাইয়ুম, ইনকিলাব মঞ্চের সভাপতি শরীফ ওসমান হাদি, আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ, আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

  • আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

    আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তীব্র দাবদাহে গত দুদিন থেকে রাস্তায় রয়েছি, ফলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ‘আন্দোলন প্রত্যাহার’ করা হয় তারপরও আপনারা নিজেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

    শনিবার (১০ মে) শাহবাগ মোড়ে বিকাল চারটার দিকে গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ বার্তা দেন এনসিপির এই নেতা।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আরও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, যতই ষড়যন্ত্র ও প্রেসার আসুক জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে কেউ পারবে না।

    আমি যদি আর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না-হাসনাত আবদুল্লাহ

    এর আগে বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবারের ন্যায় গণজমায়েত শুরু হয়েছে। এই গণজমায়েত কর্মসূচিতে এনসিপি ছাড়াও যোগ দিয়েছেন, জুলাই মঞ্চ, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন দল ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।

    আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আজকের (শনিবার) গণজমায়েত থেকে সিদ্ধান্ত আসবে আন্দোলন কোন দিকে যাবে। যদি আজ রাতের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসে, কাল থেকে সারা দেশের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসতে পারে

  • আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে চার টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সংলগ্ন সড়কে থেকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এই অবরোধে অংশ নেন। যার ফলে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি এবং বাংলামোটরগামী রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

    এ সময় আন্দোলনকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং গণহত্যার বিচারের আহ্বান জানায়। ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ‘নাহিদ-আক্তার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুড়িয়ে দাও’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, প্রভৃতি বলে স্লোগান দেয়।

    এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে ‘বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ’। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব। ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

  • এবার ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

    এবার ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

     

    পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। মঙ্গলবার ( ৬ মে) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ছুটির এই সিদ্ধান্ত হয়।

    বৈঠকে উপস্থিত দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ওই উপদেষ্টা আরও জানান, ১৭ মে ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে।

    এর আগে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরেও ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

    অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা ছিল।

  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার।

    সোমবার (২৮ এপ্রিল) অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

    সেখানে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলো।

  • মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়, তদন্তে দায়ভার পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি

    মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়, তদন্তে দায়ভার পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি

    পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।’ সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    আইজিপি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর একটি মহল হয়রানির উদ্দেশ্যে মূল আসামির সঙ্গে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামি করছে। এ বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’

    ‘সাংবাদিকসহ বিভিন্নজনের নামে মিথ্যা মামলা হচ্ছে’—এ প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে। সবাই নিজের হাতে লিখে নিয়ে আসেন। যখন একজন বাদী নিয়ে আসেন তখন সেটি আমাদের মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। তখন এটা সত্য না মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ নেই। অভিযোগ যেটা দেয়, সেটা আমার নিতে হয়। এরপর তদন্তে গিয়ে আমি দেখি আসলে কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা। সত্য অংশটুকুই আমরা তদন্তে উঠিয়ে নিয়ে আদালতের কাছে পাঠাই। এই অপরাধটা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘এখন যেটা ৫ আগস্টের পরে দেখা গেছে অনেকে অসৎ উদ্দেশ্যে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য, হয়রানি করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য। অপরাধটা হয়তো করেছেন ৫ কিংবা ১০ জন, ওখানে আরো ৩০০ জনের নাম দিয়ে মামলা করা হচ্ছে এবং গতকালও একটা হয়েছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে নিশ্চিত করতে পারি শুরু থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমি নিজে বলেছি এবং পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই নির্দেশ পেয়েছেন কোনো নিরীহ মানুষকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, হয়রানি করা না হয়। তদন্তে শুধু যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বেলাতেই আমরা ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট চাইব। তার বিরুদ্ধেই আমরা গ্রেপ্তার কার্যক্রম চালাব।’

  • আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হককে থাপ্পড়

    আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হককে থাপ্পড়

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদরাসাছাত্র হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার সময় আইনজীবীদের একাংশ আনিসুল হককে চড়থাপ্পড় মারেন এবং ধাওয়া দেন। পরে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠায়।

    সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

    রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান। তিনি বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনউদ্দিন কাদিরের আদালতে সিআইডি সাত দিনের আবেদন করলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার প্রধান জানান, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসাছাত্র হাফেজ মো. সোলাইমান নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের দুলাভাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। আদালতে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে আনিসুল হকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আশা করি এই রিমান্ডের মাধ্যমে এ ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটন হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় মাদরাসাছাত্র মো. সোলাইমান নিহত হন। পরে ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ

    সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ

    সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ- সব বয়সী মানুষের ঢল নামে সাতক্ষীরার কালেক্টরেট চত্বরের ভেষজ উদ্যানে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণের সূচনা সংগীত।

    এরপর বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মিলিত হয়। এরপর পার্কে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু প্রমুখ।

    বৈশাখী মেলার উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক বাংলোতে পান্তা ভাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া সাতক্ষীরার মুক্তমঞ্চে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    সমগ্র আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।

  • ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

    ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

    সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘শোভাযাত্রা ঐতিহাসিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি।’

    সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘দেশের সকল জনগোষ্ঠী, সকল ঐতিহ্য-সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য, এর পরের ঐহিত্য সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। ফলে টিপিক্যাল ন্যারো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখানে নেই।’

    এর আগে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়। এদিন সকাল ৯ টার দিকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়।

    এটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন।

    এবার এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি নতুন নামে আয়োজিত হয়েছে। আগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

    শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী—চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারো অংশ নিয়েছে। একই সঙ্গে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও।

    গত শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের ভেতরে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

    স্বৈরাচারের ওই মুখাকৃতি মোটিফটি বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ।

    এদিকে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুড়ে যাওয়ার পর সেটি নতুন করে তৈরির কাজ শুরু হয়। গত শনিবার রাতেই থার্মোকল বা সোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানো হয়।

  • দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা

    দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা

    সারাদেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার্থে একই সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, জুমার দিন সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। মহান আল্লাহ বলেছেন, হে বিশ্বাসীরা। জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯) জুমা পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনকে বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনে বিশেষ সময়ে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।

    আরো বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে ১.৩০ মিনিটে, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১.৫০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু করতে দেখা যায়। সময়ের তারতম্যের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ করে পথচারী (সফররত মুসল্লি) বিভ্রান্ত ও সমস্যার সম্মুখীন হন। এ সমস্যা দূরীকরণে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে একই সময়ে অর্থাৎ ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ আদায় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

  • এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান

    এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান

    সদ্য সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার একশ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। আরও বিনিয়োগ প্রস্তাব পাইপলাইনে আছে বলেও জানান বিডা চেয়ারম্যান।

    এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে এতে পার্টনার হিসেবে যারা অংশ নিয়েছেন তারা ব্যয় করেছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চার দিনের এই সম্মেলনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

    আশিক চৌধুরী বলেন, খরচের হিসেব দিয়ে সামিটকে মূল্যায়ন করা যাবে না। বিনিয়োগের সব ক্রেডিট এই সামিটের নয়, এটা আগে থেকে চলতে থাকা আলোচনার ভিত্তিতে হয়েছে। সামিটে এসেই বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে দিবেন বিষয়টি এমন নয়। তাই এটাকে সামিটের সফলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সামিটের খরচ দিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বিচার করলে হবে না।

    সংবাদ সম্মেলনে বিডার চেয়ারম্যান জানান, দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের তথ্যও জানান তিনি।

    এবারের সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি এবার ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ৫৮ শতাংশ।

    এ সময় বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, দেশের মানুষের সহনশীলতা, বিনিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। সামিটের সফলতা নিয়ে বিডা চিন্তিত নয়, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।

    অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

  • ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

    ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।

    এতে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’

    বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন।

    তিনি বলেন, আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে।

    তিনি আরও বলেন, সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে এদিনে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

    প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

    নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন তিনি।

  • মার্চ ফর গাজা ও সমাবেশপূর্ব ঘোষণাপত্র

    মার্চ ফর গাজা ও সমাবেশপূর্ব ঘোষণাপত্র

    গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলের পক্ষ থেকে চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বের বিবেকবান মানুষ সোচ্চার। ছয় শত কোটি মানুষের চোখের সামনে একটি ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় সহিংসতা—যেখানে নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ মৌলিক অবকাঠামো। অথচ ৫৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, ওআইসি এবং তাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক শক্তিও এ মানবিক সংকট মোকাবেলায় এখনো সক্রিয় কোনো উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ।

    এই প্রেক্ষাপটে, ইউরোপ-আমেরিকা সহ বিশ্বজুড়ে শান্তিপ্রিয় মানুষেরা রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বাংলাদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে গাজায় চলমান নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

    এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে “প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে আগামী শনিবার, ১২ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে “মার্চ ফর গাজা” অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।

    এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন: মাওলানা খতীব আব্দুল মালেক (বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ)।

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমূখে মার্চ ফর গাজায় আগতদের জন্য গেট ও রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা

    দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণোজমায়েতের সময় বিকাল ৩টা।

    মার্চ এর পথ নির্দেশনা:

    স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর

    প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়

    প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট

    প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বখশীবাজার মোড়

    প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়

    প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)

    বিশেষ নির্দেশনাসমূহ:

    ১. টিএসসি মেট্রো স্টেশন ঐ দিন বন্ধ থাকবে।

    ২. সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।

    সাধারণ দিক নির্দেশনা:

    ১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

    ২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

    ৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

    ৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।

    আসুন, আমরা সবাই একত্রিত হই—মানবতার পক্ষে, মজলুমের পাশে। পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। আগামী প্রজন্মকে জানান ফিলিস্তিনের মানুষের যন্ত্রণার কথা, যাতে তারা শিখে কীভাবে মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হয়।

  • গাজায় বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার মানববন্ধন 

    গাজায় বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার মানববন্ধন 

    সাতক্ষীরাঃ  “নিরীহ ফিলিস্থিনীদের উপর ইসরায়েলী বাহিনীর কর্তৃক বর্বোরচিত হামলার” প্রতিবাদে
    ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার ১১.০৪.২০২৫ তারিখ বিকাল ৫ টায় শহরের নিউ মার্কেট মোড় চত্বরে  উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও জনতা ব্যাংক সুলতানপুর বাজার শাখার ম্যানেজার আব্দুর রহিম। বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি ও অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের এসপিও কবির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনালী ব্যাংক পারুলিয়া শাখার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক জিএম আবু সায়েম, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান, সংগঠনের উপদেষ্টা ও রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শংকর কুমার দাশ, এজিএম ইউনুস আলী, জনতা ব্যাংক পাটকেলঘাটা শাখার ম্যানেজার কারিমুছ শাহাদাৎ, তালা শাখার ম্যানেজার শহীদুজ্জামান, বাকাল শাখার ম্যানেজার শাহিনুর রহমান,উপজেলা ক্যাম্পাস শাখার ম্যানেজার বরদা চরন বিশ্বাস, ব্রহ্মরাজপুর বাজার শাখার ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, সাউথ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার বিদ্যুৎ, উত্তরা ব্যাংকের ম্যানেজার প্রঞ্জানন্দ বালা, এনআরবিসি ব্যাংকের ম্যানেজার শামীম রেজা, সোনালী ব্যাংক খলিশখালী শাখার ম্যনেজার জসীম উদ্দিন, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসঃ ব্যাংকের ম্যানেজার জাফর ইকবাল, আজমল হোসেন, ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, ট্রাস্ট ব্যাংকের ম্যানেজার শাকিল আহমেদ, যমুনা ব্যাংকের ম্যানেজার গাজী মোশাররফ হোসেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ম্যানেজার ইলিয়াসুর রহমানসহ ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সাতক্ষীরার সকল ব্যাংকারা। এ মানববন্ধন কর্মসূচি তে একাত্মা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকার্স ক্লাব সাতক্ষীরা, আল বারাকা শপিং কমপ্লেক্স এর স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান বুলু, ব্যবসায়ী পল্টু, কামরুল, কাজী রাশেদ আলীসহ দুই শতাধিক ব্যাংকার ও শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ । বক্তারা সবাই ইজরায়েলী বাহিনী কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনিবাসীর উপর এই বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান । নিরীহ ফিলিস্তিনিবাসীর জন্য দোয়া করেন ।