Category: জাতীয়

  • একই সড়কে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণ হারালো ১১ জন, আহত ১৫

    একই সড়কে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণ হারালো ১১ জন, আহত ১৫

    ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। বেপরোয়া গতিই দুর্ঘটনার কারণ বলছেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। তবে, এসব সড়কে লোকাল বাস সার্ভিস না থাকায় দিন দিন সড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে বলে দাবি অনেকের। এদিকে, মহাসড়কে সিএনজি-মাহিন্দ্রা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না চালকরা।

    শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে জেলার ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।

    রাত সাড়ে ৮টার দিকে হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ সড়কের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরারপার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হন।

    এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজারের হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন।

    ফুলপুরে নিহতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার মালেক শাহ’র ছেলে কাজিম উদ্দিন (২৮), নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে লাল মিয়া (৩৬), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আফাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল (৩০), আ. কুদ্দুস আলীর স্ত্রী হাছিনা খাতুন (৫০), জবান আলীর ছেলে শামসুদ্দিন (৬৫), আলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (৪০), ফুলপুর উপজেলার জসিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৮), মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে জাহের আলী (৭০)।

    তারাকান্দায় নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার কোরবান আলীর ছেলে আলম (৪০), ধোবাউড়ার মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী জবেদা খাতুন (৮৫), ফুলপুর উপজেলার জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান (১৫)।

    ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরদার বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস হালুয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাজিয়াকান্দা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়।

    তিনি আরও বলেন, এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুই জন মারা যান।

    এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

    এদিকে, তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স হালুয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ময়মনসিংহগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক উদ্দিন বলেন, ফুলপুরের বাস-মাহিন্দ্রা দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ৬ জন আহত ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছে।

    তিনি আরও বলেন, তারাকান্দার অটোরিকশা-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ২ জন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলম (৪০) নামে আরও একজন মারা যান।

    ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হামিদ বলেন, মাহিন্দ্রার চালকসহ ৮ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ জন। দুর্ঘটনার শিকার বাস ও মাহিন্দ্রা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চালককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

    এদিকে, পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহতের বিষয়টি সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও লোকাল বাস সার্ভিস না থাকায় যাত্রীরা সিএনজি-মাহিন্দ্রা গাড়িতে চলাফেরা করে। যে কারণে সড়কে মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে।

    পরিবহন সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে স্বল্প সংখ্যক লোকাল বাস সার্ভিস চলাচল করে। ময়মনসিংহ-শেরপুর, হালুয়াঘাট সড়কে কোন লোকাল বাস সার্ভিস চলাচল করে না। তবে, ময়মনসিংহ-ধোবাউড়া সড়কে স্বল্প সংখ্যক লোকাল বাস চলাচল করে।

    লোকাল বাস সার্ভিসের বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, সিএনজি এবং মাহিন্দ্রা গাড়ির চালকদের কারণে এসব রুটে বাস চালানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সিএনজি ও মাহিন্দ্রা চালকরা আন্দোলন করে এসব সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার দাবি করেন। এদিকে, সিএনজি ও মাহিন্দ্রার কারণে বাসে কাঙ্ক্ষিত যাত্রী না হওয়ায় চালকরাও বাস চালানো বন্ধ রাখেন।

    জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রতন আকন্দ বলেন, ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ধোবাউড়ায় স্বল্প সংখ্যক বাস চলাচল করে। তবে, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনা বিরিশিরি বা দুর্গাপুরে সড়কে কোন লোকাল বাস চলাচল করে না। এসব সড়কে সিএনজি ও মাহিন্দ্রা গাড়িই যাত্রীদের ভরসা।

    তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে সিএনজি ও মাহিন্দ্রার চালকদের আন্দোলনের কারণে বেশ কয়েকটি সড়কে লোকাল বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। তবে, কয়েকটি সড়কে লোকাল বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। সমিতির অন্যান্য নেতাদের নিয়ে যেসব সড়কে লোকাল বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে, সেই সড়কগুলোতে লোকাল বাস সার্ভিস চালু করা যায় কিনা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

    জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবু নাছের মো. জহির বলেন, মহাসড়কে সিএনজি, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে এসপি স্যার জিরো টলারেন্স। উনার নির্দেশে নিয়মিত সিএনজি, মাহিন্দ্রা চালকদের জরিমানা করছি। গত মাসে প্রায় ১ হাজার ৮০০ মামলা করে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আজকেও সকাল থেকে সিএনজি, মাহিন্দ্রা চালকদের ২০টা মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে, মানুষের চাহিদা ও সিএনজি, মাহিন্দ্রা অতিরিক্ত হওয়ায় বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম রাতেই পৃথক দুটি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার শিকার সিএনজি অটোরিকশা, বাস এবং অন্যান্য যানবাহনের চূর্ণ-বিচূর্ণ অবস্থার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, বেপরোয়া গতিই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ না পেলে ফরম পূরণ নয় : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

    ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ না পেলে ফরম পূরণ নয় : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ শতাংশের কম নম্বর পেলে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করতে পারবে না। একই সঙ্গে ৬০ শতাংশের কম ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি মিলবে না। শিক্ষা কার্যক্রমের গুণগত মান বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করা এবং ইনকোর্স পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে নতুন এসব নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইনকোর্স পরীক্ষার নিয়ম আগে থেকেই চালু থাকলেও অনেক জায়গায় তা কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল না। কিছু শিক্ষক অতিরিক্ত নম্বর দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ অপ্রয়োজনীয়ভাবে কম নম্বর দিচ্ছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এবার ইনকোর্সে অংশগ্রহণ, নম্বর প্রদান ও উপস্থিতির বিষয়ে কঠোর নীতিমালা চালু করা হয়েছে।

    নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চার ক্রেডিটের তত্ত্বীয় কোর্সে ইনকোর্স পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৫ নম্বর থাকবে, যার মধ্যে ৬ নম্বর পেলেই পাস ধরা হবে। তিন ও দুই ক্রেডিটের কোর্সে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২৫ ও ৭ দশমিক ৫ নম্বর থাকবে, পাস নম্বর যথাক্রমে ৪ দশমিক ৫ ও ৩। আর প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের জন্য নম্বর আরও চার ক্রেডিটের কোর্সে সর্বোচ্চ ২০ নম্বর, যেখানে পাস করতে পেতে হবে অন্তত ৮ নম্বর।

    এছাড়া শুধু ইনকোর্স পরীক্ষায় পাস করলেই হবে না, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত ক্রেডিট অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশের নিচে থাকবে, তারা কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। ৮০ শতাংশের বেশি উপস্থিত থাকলে সর্বোচ্চ উপস্থিতির নম্বর পাওয়া যাবে। উপস্থিতির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার জন্যও আলাদা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি কোর্সের জন্য বর্ষভিত্তিক দুটি ইনকোর্স পরীক্ষা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সিলেবাসের আলোকে পরীক্ষা নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন এবং গড় নম্বর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এন্ট্রি করতে হবে। এরপর হার্ড কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকোর্স মনিটরিং সেলে পাঠাতে হবে।

    নতুন এই নির্দেশনা আগামী অনার্স ২য় বর্ষ পরীক্ষা-২০২৪, ডিগ্রি পাস ১ম বর্ষ পরীক্ষা-২০২৪, মাস্টার্স শেষ বর্ষ পরীক্ষা-২০২৩ এবং প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষা-২০২৩ থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।

  • ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

    ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-ছাত্রীদের রোববার (২২ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পেশাগত ও এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবেন।

    শনিবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ অনুষ্ঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

    উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

    তাদের দাবির মধ্যে ছিল—

    •  পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ছাত্রাবাসের বিকল্প ব্যবস্থা।
    • নতুন ছাত্রাবাস ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পাস।
    • শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, দাবিগুলো মানা না হলে তারা নিজেরাই একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন। তবে তার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজ বন্ধের ঘোষণা এলো।

  • ১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস

    ১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস

    প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও তার স্বামী জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমেটেডের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
    তাদের (মুনা ও তার স্বামী) ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
    সোমবার (১৬ জুন) দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসহ ১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নাম সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক) থেকে ঋণ নিয়ে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেন।

  • জাতীয় বাজেট  ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের

    জাতীয় বাজেট ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের

    বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট (২ জুন, ২০২৫) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থাপন করেছেন। এটি দেশের ৫৫তম বাজেট এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রথম বাজেট।

    বাজেটের সারাংশ

    • মোট বাজেটের আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা

    • রাজস্ব বাজেট: ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা

    • উন্নয়ন বাজেট: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

    • জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫%

    • মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা: ৬.৫%

    গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে বরাদ্দ

    • শিক্ষা খাত: ৯৩৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মোট বরাদ্দ হয়েছে ৮৪,০০০ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ কমলেও মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    • তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়: ১,১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, যা গত বছরের তুলনায় ৮৮ কোটি টাকা কম।

    • অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ: ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ, পূর্ববর্তী বছরের ৮৩৫ কোটি টাকা থেকে কম।

    • নির্বাচন কমিশন: ২,৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ।

    • পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড: ১,৩৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ।

    • জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবার: ৪০৫.২ কোটি টাকা বরাদ্দ।

    বিশেষ দিকনির্দেশনা

    • কালো টাকা সাদা করার সুযোগ: আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

    • করমুক্ত আয়সীমা: করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

    • সামাজিক নিরাপত্তা খাত: বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    • ভর্তুকি ও প্রণোদনা: এই খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

    • সিগারেটের দাম: এবার সিগারেটের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।

    কোন খাতে কত টাকার বরাদ্দ হলো তা একনজরে

    🏗️ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)

    মোট এডিপি বরাদ্দ: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

    • পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: ৫৯ হাজার কোটি টাকা

    • বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: ২২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা

    • সামাজিক নিরাপত্তা খাত: ৩৭ হাজার কোটি টাকা

    📚 শিক্ষা খাত

    মোট বরাদ্দ: ৯৫ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা

    • প্রাথমিক শিক্ষা: বরাদ্দ কমেছে

    • কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা: বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে

    👩‍👧 নারী ও শিশু খাত

    • মোট বরাদ্দ: ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা

    • পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা

    • কমেছে: ১৪৫ কোটি টাকা

    💰 রাজস্ব আয় ও বাজেট ঘাটতি

    • রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা

      • এনবিআর থেকে: ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা

      • অন্যান্য খাত থেকে: ৬৫ হাজার কোটি টাকা

    • বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

      • অভ্যন্তরীণ ঋণ: ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা

      • বৈদেশিক ঋণ: ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা

    📈 অর্থনৈতিক সূচক

    • জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫%

    • মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা: ৬.৫%

    🛒 পণ্য ও সেবার দাম পরিবর্তন

    দাম বৃদ্ধি পাবে:

    • কনভেনশন হল, নির্মাণ খাত, সেল্ফ কপি পেপার, কোটেড পেপার, ই-কর্মাস কমিশন

    • প্লাস্টিক সামগ্রী, গৃহস্থালি সামগ্রী, টয়লেট সামগ্রী, কটন সুতা, কৃত্রিম সুতা, ব্লেড, জয়েন্ট, নাট, বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার, সিগারেট

    • ওটিটি সেবা, এলইডি লাইট, আমদানিকৃত লিফট, সিফুড, নারিকেল তেল, স্যালমন ফিস, আমদানিকৃত মাংস, আমদানিকৃত টুনা, লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, দারচিনি, মাখন, দুগ্ধজাত পণ্য, চিজ, বিদেশি সবজি, কাজু বাদাম, শুকনা ফল, আপেল, নাশপাতি

    • রড, কফি, চকলেট, শিশু খাদ্য, পাস্তা, বিস্কুট, চিপস, জ্যাম-জেলি, জুস, সস

    • দেশি তৈরি মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার

    • মার্বেল- গ্রানাইট, অ্যালকোহল, ফুড সাপ্লিমেন্ট, তামাক জাতীয় পণ্য, বিদেশি লবণ, আইসক্রিম, বার্নিশ, সুগন্ধি, এলপিজি সিলিন্ডার, অটো রিকশা, প্রসাধনী, সাবান, ডিটারজেন্ট

    দাম কমবে:

    • ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্পের কাঁচামাল, এলএনজি, সিলিন্ডার, দেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন, দেশি ডায়াপার, প্যাকেটকৃত তরল দুধ, বলপয়েন্ট, ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর, রেন্ট, হাসপাতালের বেড, ওষুধের কাঁচামাল, হাসপাতালের যন্ত্রাংশ, কোল্ড স্টোরেজ, এলপিজি সিলিন্ডার, ব্যাটারি, কীটনাশক, ফ্রুট ব্যাগ, টায়ার, সার

    কর হার পরিবর্তন:

    • পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর হার ২.৫% কমে ২০% হয়েছে

    • মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫% থেকে কমে ২৭.৫% হয়েছে

    • ব্রোকারেজ হাউজের সিকিউরিটিজ লেনদেন কর ০.০৫% থেকে কমে ০.০৩% হয়েছে

    ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা:

    • সাধারণ নাগরিক: ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা

    • নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী: ৪ লাখ টাকা

    • প্রতিবন্ধী: ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা

    • গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা: ৫ লাখ টাকা

    • ‘জুলাই যোদ্ধা’: ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা

    সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ:

    • মোট বরাদ্দ: ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা

    • বাজেটের ১২.১৮%

    • পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা (১১.৩৫%)

    সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা:

    • ১০% থেকে ২০% পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে

    বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে:

    • সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমাণ ৪.৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে

    কালো টাকা সাদা করার সুযোগ:

    • গতবারের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে

    প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ:

    • বরাদ্দ কমেছে

    কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ:

    • বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে

    নারী ও শিশু খাতে বরাদ্দ:

    • মোট বরাদ্দ: ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা

    • পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা

    • কমেছে: ১৪৫ কোটি টাকা

    বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণ:

    • অভ্যন্তরীণ ঋণ: ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা

    • বৈদেশিক ঋণ: ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা

    জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা:

    • ৫.৫%

    মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা:

    • ৬.৫%

    বাজেট ঘাটতি:

    • ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%

    রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা:

    • ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা

  • জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা

    জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা

    ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। সোমবার জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বাজেট প্রস্তাব করেন।

    বাজেট বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শীঘ্রই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

    তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

  • জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

    জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

    জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না- এ কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, জুলাই সনদ ঘোষণার আগে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়, তাহলে সংস্কারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেরিয়ে এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানিয়েছি, ১৬ বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, এরপর ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে চাই এবং সরকারকে সময় দিতে চাই সব রাজনৈতিক দল মিলে। দুই মাসের মধ্যে আমাদের জুলাই সনদ, যেখানে জনগণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শাসনের রূপরেখা, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা দেখতে পারবে। সেই জুলাই সনদ হওয়ার পরে সরকার যাতে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে, সে আহ্বান আমরা জানিয়েছি। জুলাই সনদ হওয়ার পরে আমরা আমাদের দলীয় মন্তব্য জানাব যে আমরা কখন নির্বাচন চাচ্ছি।’

    নির্বাচন কমিশন এখন যে প্রক্রিয়ায় চলছে, তার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন নাহিদ ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার। নির্বাচন–সংক্রান্ত ও নির্বাচন কমিশন–সংক্রান্ত যে আইনগুলো রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি।’

    জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বিষয়গুলো হলো, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকার যে জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলেছিল, সেটির অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যাতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, সে আহ্বান জানিয়েছেন।

    ‘কারণ, আমরা এর আগেও দেখেছিলাম, জানুয়ারি মাসে একটা ডেট দেওয়া হয়েছিল, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার যাতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না হয়। জুলাই মাসের মধ্যে সবার সাক্ষ্য নিয়ে জুলাই সনদ যাতে কার্যকর করা হয়, সে বিষয়ে দাবি জানিয়েছি,’ বলেন তিনি।

    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস; জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

  • জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

    জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যেটুকুই আলাপ ছিল, দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্বকে ঘুচিয়ে এনে যাতে জুলাই সনদের বর্তমানে যত ঐকমত্যের বিষয় আছে, তার সঙ্গে আরও কিছু যোগ করতে পারি। দেখতে সুন্দর লাগবে, জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি, গর্বিত জাতি হিসেবে আমরা যাতে দাঁড়াতে পারি। আমরা তো বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি সৃষ্টি করিনি। আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। দেশের মঙ্গলের জন্য। সোমবার (২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

    ড. ইউনূস বলেন, আমি সারা দিন যত মিটিং করি, সব থেকে আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে এরকম বসে আলাপে। কারণ এখানেই সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায়, এরকম একটা কাজে আমি নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি। শুধু আপনাদের কথা শোনার জন্য এটাকে আপনারা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সংস্কার করার জন্য। আমরা তো বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করবো। প্রথমেই নানা আলাপের মধ্যে ঠিক হলো, আমরা কিছু কমিশন করে দেই। তারা প্রকৃতপক্ষে ভেতরে গিয়ে জিনিসটা তৈরি করবে। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, শেষ পর্যন্ত আমরা লোক জোগাড় করলাম।
    প্রথমে ছয়টি, পরবর্তী সময়ে আরও ছয়টি কমিশন করা হলো। দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য তাদের ৯০ দিন সময় দিয়েছিলাম। তারা করতে পেরেছে, কয়েকটা কমিশন বেশি সময় নিয়েছে, তাতে অসুবিধা নেই। কমিশনের রিপোর্ট আসার পর এখন আমরা যে ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছি, এটা কীভাবে হবে। সেখান থেকে আইডিয়া হলো আলাদা একটা কমিশন করি। আমি কমিশনের সঙ্গে যখনই বৈঠক করি, আমাকে জানানো হয় আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই, যেভাবে আপনারা সহযোগিতা করেছেন, কারণ আমার মনে হয়েছিল কারও আগ্রহ হবে, পাশ কাটিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি, কত গভীরভাবে আপনারা এর ভেতরে গিয়েছেন।

    তিনি বলেন, এরকম আগ্রহ নিয়ে যদি আমরা নিজে থেকে বসি তাহলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু আসবে। আজকে প্রথম পর্ব শেষ হলো, সেটাও আনন্দের দিন। সবাই কোন বিষয়ে একমত হলাম, সেসব মিলিয়ে সবাই মিলে আমরা জুলাই সনদ করবো। এটি আমাদের লক্ষ্য। এটি ছিল প্রথম পর্বে, দ্বিতীয় পর্বে তাহলে কী হবে। অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আমরা কাছাকাছি এসেছি, আরেকটু একমত হলে আমাদের তালিকাটি আরেকটু সুপারিশযুক্ত হয়। এই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।

  • শ্যামনগর সীমান্তে বিজিবি’র বিওপির উদ্বোধন

    শ্যামনগর সীমান্তে বিজিবি’র বিওপির উদ্বোধন

    অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি, সীমান্তের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিধান ও চোরাচালান দমনসহ অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে সাতক্ষীরার শ্যামনগর সীমান্তবর্তী ছুটিপুর এলাকায় একটি নতুন বিওপির উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) সকালে বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ূন কবীর, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্যামনগরের নীলডুমুরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নবনির্মিত এই ‘ছুটিপুর বিওপি’র উদ্বোধন করেন।

    এসময় বিজিবির খুলনা সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার ও যশোর রিজিয়নের পরিচালক (অপারেশন) লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. শাহারিয়ার রাজীব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জুনিয়র কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বিজিবির ছুটিপুর বিওপির উদ্বোধন শেষে সেক্টর কমান্ডার নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর অধীনস্থ ও দায়িত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

    পরে প্রধান অতিথি ছুটিপুর বিওপিতে স্থানীয় অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং দুস্থ ও অসহায় জনসাধারণের মাঝে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

    সাতক্ষীরার নীলডুমরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. শাহরিয়ার রাজিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

  • সারজিসকে সেনাবাহিনী : মবের নামে আর কাউকে ধ্বংস করার সুযোগ নেই!

    সারজিসকে সেনাবাহিনী : মবের নামে আর কাউকে ধ্বংস করার সুযোগ নেই!

    জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর শনিবার রাতভর সেনাবাহিনী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন।

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম সারজিস আলমকে বলেন,
    “শরীরে যতক্ষণ রক্ত আছে, আমরা দেশের বিরুদ্ধে কোনো অপকর্ম প্রচার করব না। আপাতত যারা জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করে, নাশকতা করে, মবের নামে আগুন জ্বালায় এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, তাদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এ ধরনের কাজের সুযোগ আর নেই।”

    গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের সেনপাড়া ‘দ্য স্কাই ভিউ’ বাসভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় জিএম কাদের বাসায় ছিলেন।

    শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম নগরীর পায়রা চত্বর মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ শেষে সারজিস আলম বলেন,
    “যে কোনো সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপির কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে রাতে দেরিতে এ ধরনের কাজ দৃষ্টিকটু। আশা করছি, ভবিষ্যতে দিনের বেলা অফিস আওয়ারে ডেকে সহযোগিতার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবে।”

  • ৩০ বছরের নিচে কোটি তরুণের দেশে বিনিয়োগের ইতিহাস তৈরি করতে চায় চীন!

    ৩০ বছরের নিচে কোটি তরুণের দেশে বিনিয়োগের ইতিহাস তৈরি করতে চায় চীন!

    বাংলাদেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চীনা বিনিয়োগকারীদের দেশের শিল্প খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    রোববার রাজধানীর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ও চীন সরকার।

    ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, জ্বালানি, কৃষি, পাট এবং তথ্য প্রযুক্তিসহ বহু সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে। এসব খাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশকে একটি কার্যকর ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে রূপ দেওয়া সম্ভব।”

    তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মোট জনশক্তির প্রায় অর্ধেকের বয়স ৩০ বছরের নিচে। এই তরুণ কর্মশক্তি কাজে লাগাতে চীনা ব্যবসায়ীরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।”

    চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বাজার বিশ্লেষণ ও খাতভিত্তিক দিকনির্দেশনা দিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে চীনের ১০০টির বেশি কোম্পানি থেকে প্রায় ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।

    সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তারা উভয়েই বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাবনা এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

  • ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১ জুন (রোববার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালত আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।

    উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামো পুনর্গঠন করা হয় এবং এরপরই এই ঘটনায় প্রথম একটি বিবিধ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা এখন একটি পূর্ণাঙ্গ মামলায় রূপ নিয়েছে। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তিনি পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

    পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট তিনটি মামলা চলছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়েছে। এছাড়া, তাঁর শাসনামলে গুম ও হত্যার অভিযোগ এবং হেফাজতে ইসলামের মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় আরও দুটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

  • ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের

    ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের

    বর্তমান সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পৃথিবীকে রক্ষায় ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার জন্য। শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের টোকিওতে সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, আমরা যে সভ্যতা তৈরি করছি, তা একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা, যা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে।

    ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান সভ্যতার কাঠামোর মধ্যে মানবজাতির টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ওপর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ ধারণা মূলত তিনটি শূন্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা- শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। তার মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেই এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এখন সবাই কেবল তাদের মুনাফা সর্বাধিক করতে চাচ্ছে।

    বিশ্বের সম্পদের সিংহভাগ এখন খুব অল্প কয়েকজনের হাতে কেন্দ্রীভূত, যাকে তিনি এক অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

    অধ্যাপক ইউনূস বেকারত্বের সমস্যা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জগুলোর দিকেও আলোকপাত করেন।

    ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ সম্পর্কে তিনি বলেন, পাঁচজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে একটি থ্রি জিরো ক্লাব গঠন করতে পারে, যেখানে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে যে তারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করবে না।

    তরুণ প্রজন্মকে নতুন এক বিশ্ব গড়তে সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, চাকরি মানুষের সৃজনশীলতাকে দমন করে।

    মানুষের সহজাত উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘যদি তোমার মধ্যে সৃজনশীলতা না থাকে, তবে তুমি কিছুই নও…প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সৃজনশীলতা আছে।’

    তিনি উদ্যোক্তা তৈরি করতে সামাজিক ব্যবসায় ক্লাব প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘একটি নতুন পৃথিবী কল্পনা করো, কারণ কল্পনা তোমাকে নিজেকে উন্মুক্ত করার ক্ষমতা দেয়।’

    ড. ইউনূস অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের জানান কীভাবে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক থাকাকালে পাশের একটি ছোট গ্রামে ক্ষুদ্রঋণের যাত্রা শুরু করেন।

    অনুষ্ঠানে সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।বিশ্বব্যাপী সামাজিক উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুজুকিও বক্তব্য রাখেন।

  • গুম হওয়া সাতক্ষীরার  বিএনপি নেতা আবু সেলিমকে ফিরিয়ে দিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ 

    গুম হওয়া সাতক্ষীরার  বিএনপি নেতা আবু সেলিমকে ফিরিয়ে দিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ 

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম হওয়া সাতক্ষীরা আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আব্দুর রউফের একমাত্র পুত্র সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও আলিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সেলিমকে ফিরিয়ে দিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  অনুষ্ঠিত  হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবদলের আয়োজনে বৃহস্পতিবার(২৯ মে) বিকালে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে  খুলনা রোডস্থ মোড়  শহীদ আসিফ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
    জেলা যুবদলের সাবেক সমন্বয়ক  আইনুল ইসলাম নান্টা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন  সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ তারিকুর হাসান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির সদস্য প্রভাষক আতাউর রহমান,জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ,  আলিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, আলিপুর ইউনিয়নের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাদিউজ্জামান বাদশা,জেলা যুবদলের নেতা আলিমুজ্জামান আলীম ও ফরিদ হোসেন, শ্রমিক নেতা রেজাউল ইসলাম রেজা,প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, আবু  সেলিম, শিক্ষক শাহিনুর রহমান, আবু  সেলিমের বড় ছেলে সামির সোয়েদ রাদমীম ও ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ সিয়াম জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত।
    বক্তারা বলেন, বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে হাসিনা সরকার আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আজও তাদের খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তাদের জন্য পরিবারের লোকজন অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১১ সালের ২৯ শে মে এই দিনে ঢাকা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাতক্ষীরার যুবদল নেতা আবু সেলিমকে  তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ ১৪ বছর পেরিয়ে ১৫ বছরের পদার্পণ হচ্ছে তার কোন সন্ধান মেলেনি। সাতক্ষীরার আবুল সেলিম গুমের পিছনে সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন জড়িত আছে, তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ড  নিলে আবু সেলিমকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে বলে বক্তারা জানান ।
     শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আয়নাঘর থেকে গুম হওয়া কয়েকজন ফিরে এসেছে। আমরা সাতক্ষীরার যুবদলের নেতা আবু সেলিমসহ বাকিদেরও ফেরত চাই।
    সমগ্র সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা কৃষকদলের সাবেক আহবায়ক আহসানুল কাদির স্বপন।
  • ঈদের আগে বাজারে আসছে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট

    ঈদের আগে বাজারে আসছে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট

    ন্যাশনাল ডেস্ক  : আগামী ১ জুন থেকে নতুন ডিজাইনের এক হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট বাজারে আসছে। ইতোমধ্যে নতুন নোটের ছবিও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস এবং পরবর্তীতে ব্যাংকের অন্য শাখায় নতুন নোট ইস্যু করা হবে।

    বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র (চলতি দায়িত্ব) মহুয়া মহসীনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন নোটের ছবিসহ ওই বিজ্ঞপ্তিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও আপলোড করা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন ডিজাইনের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের এসব নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। এছাড়া মুদ্রা সংগ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়মিত নোটের পাশাপাশি ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমান নমুনা নোটও (বিনিময়যোগ্য নয়) মুদ্রণ করা হয়েছে, যা মিরপুরের টাকা জাদুঘর থেকে নির্ধারিত মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।

  • আগামী ২ জুন জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হবে

    আগামী ২ জুন জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হবে

    আগামী ২ জুন জাতির উদ্দেশে ২০২৫-২৬ অর্থ-বছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

    পূর্ব রেকর্ড করা বাজেট ভাষণটি ওই দিন বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে।

    জাতীয় বাজেটের ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলোকে বিটিভি থেকে ফিড গ্রহণ করে বাজেট ভাষণটি একই সঙ্গে সম্প্রচার করার অনুরোধ করা হয়।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেট হবে অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বাজেট। সরকারের লক্ষ্য হলো ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা। যেখানে বাজেটের একটি বড় অংশ শুধু ঋণ ও সুদ পরিশোধেই খরচ হয়।

    সরকার আগামী অর্থবছরে মোট ব্যয় জিডিপির ১২ দশমিক ৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটের আকার তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও, এটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সামনে রেখে তৈরি করা হচ্ছে।

  • বিএটি’র সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

    বিএটি’র সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

    ন্যাশনাল ডেস্ক: ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকা থেকে বিএটি’র অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারণ, বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।

    এসময় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নকল বিড়ি ও সিগারেট প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানান শ্রমিকরা।

    বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি একটি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না। কিন্তু দেশি-বিদেশী কিছু এনজিও এবং বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়ি কারখানা গুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ হচ্ছে। ফলে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বেকারত্বের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে লক্ষ লক্ষ অসহায় নারী ও পুরুষ শ্রমিক। বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ২০২২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পে শুল্ক বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা থাকলে সারাদেশের ১৮ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। এছাড়া নকল বিড়ি উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।

    সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন বলেন, ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকায় বিএটি’র সিগারেট ফ্যাক্টরী পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বিএটি আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী পরিচালনা করছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, বিএটি কি সরকারের চেয়েও ক্ষমতাশালী? সুতরাং অতি দ্রুত বিএটির অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারন, শুল্ক ফাঁকিসহ তাদের সকল প্রকার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।

  • বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি : ড. ইউনূস

    বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি : ড. ইউনূস

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতন্ত্রে মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    বৃহস্পতিবার জাপানে আয়োজিত নিক্কেই সম্মেলনে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    বিভিন্ন দেশে সংঘাত তিনি বলেন, এশিয়া এবং এর বাইরেও একের পর এক সংঘাত হচ্ছে, যার ফলে শান্তি এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অধরা হয়ে উঠেছে। ইউক্রেন, গাজা ও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংকটে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হচ্ছে।

    ড. ইউনূস বলেন, যুদ্ধে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে, অথচ সেই অর্থের অভাবে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নৃশংস রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সেই সংকটকে আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত করেছে।