ডায়বেটিস মাপার নকল উপকরণ উৎপাদন ও বিপণনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর উৎপাদনকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ক্যাব এর দায়ের করা রিট পিটিশন নং ৬০০৪/২০২৪ এ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড উতপাদিত ৫৭১০ ইউনিট আকু চেক এক্টিভ টেস্ট স্ট্রিপ ধ্বংস করেছে। মহামান্য আদালতের আদেশ মোতাবেক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং ক্যাব এর দুইজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক বিগত ৯ জুন প্রেরিত পত্রের বরাতে জানানো হয় তাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চিকিৎসা উপকরণগুলো ধ্বংসের জন্য। জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে ক্যাব জনস্বার্থে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রাথমিকভাবে হলেও সফল হতে পেরেছে।
বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি৷
রবিবার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন তিনি ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়৷ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না৷ তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে৷ আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। সবার নামে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। তবে তরুণ প্রজন্ম এখন প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়। আমি জানি না. পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয়, তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে৷ রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না৷ তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা৷ এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না৷ কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেওয়া যায় না।











