Category: জাতীয়

  • হালদা নদী নারী নির্যাতনের মতো নির্যাতিত হচ্ছে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

    হালদা নদী নারী নির্যাতনের মতো নির্যাতিত হচ্ছে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদীকে নারী নির্যাতনের মত নির্যাতন করা হয়। তামাক চাষ একেবারে যদি বন্ধ নাও করি, চাইলে তা অন্যান্য জায়গায় করা যায়। কিন্তু হালদার পাড়ে কেন করতে হবে। হালদার পাড়ে তামাক চাষ মাছের ক্ষতি করছে। এখানে অবিলম্বে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে। হালদা পাড়ে তামাক চাষ কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য না।

    তিনি বলেন, যারা তামাক চাষ করছেন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমরা আপনাদের সহায়তা করবো। কিন্তু আপনারা জেনে বুঝে এই ক্ষতিটা করবেন না। যারা তামাক চাষ করে তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

    মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদী পরির্দশন ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, হালদা নদীর উপরিভাগে রাবার ড্যাম কিন্তু কৃষকদের লাভের জন্য করা হয়নি। এটা আমাদের ভুল বুঝানো হয়েছে। এটা করেছে চা বাগানের জন্য। এসব বড় বড় কোম্পানির জন্য আমাদের এত বড় হালদা নদী নষ্ট হবে, ধ্বংস হবে। এটা আমরা হতে দেবো না।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

    এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হালদা প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল মুখ্য, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছিম হায়দার, নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ.ম নিজাম উদ্দিন, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন আজাদী, হালদা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, রাউজান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন রানা, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন, এনজিও সংস্থা আইডিএফের প্রতিনিধি মাহাবুল হাসান, হালদার ডিম সংগ্রহ কারী শফিকুল আলম, কামাল সওদাগর, রোসাঙ্গীর আলম, দেবজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।

    এসময় হালদা নদীকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতে ৪টি বিশেষ ড্রোন উদ্বোধন করা হয়। এর আগে সকালে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার হালদা নদী পরিদর্শন করেন এবং হালদায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সদস্য সচিবের পদত্যাগ

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সদস্য সচিবের পদত্যাগ

    পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব সুহাইল মাহদীন (সাদী)। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সুহাইল বলেন, আজ ১ জুলাই, ২০২৫—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক বছর পূর্তি। ২০২৪ সালের এই দিনে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে প্রজ্বলিত আগুনকে সামনে রেখে এই ব্যানারের যাত্রা শুরু হয়। সেই আন্দোলন এখন হয়ে উঠেছে একটি চেতনা—‘জুলাই বিপ্লব’।

    তিনি বলেন, সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নিজের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়েই তিনি পদ ছাড়ছেন। এই সিদ্ধান্ত কোনো ক্ষোভ বা বিরোধ থেকে নয়, বরং সংগঠনের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই পদত্যাগ করছি। আমি বিশ্বাস করি, নেতৃত্ব মানেই কেবল পদে থাকা নয়—বরং ত্যাগ, বিশ্বাস ও চেতনার নামই প্রকৃত নেতৃত্ব।

    সুহাইল আরও বলেন, পদ ছেড়েছি কিন্তু প্রেম নয়। এই মাটি, এই স্বপ্ন, এই বিপ্লব—সবসময় বুকের ভিতর গেঁথে থাকবে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করেই আগামীতেও বৈষম্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবেন।

    সুহাইল তার স্ট্যাটাসে বলেন, আমি চাই, ‘জুলাই’-এর চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক সাতক্ষীরার প্রতিটি প্রান্তে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু একটি সংগঠন নয়—এটি একটি আদর্শ, একটি দীপ্ত প্রতিজ্ঞা। সেই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন আমার মূল লক্ষ্য।

    তিনি বলেন, কারো সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। বরং সংগঠনের গতিশীলতা বাড়াতেই এই পদত্যাগ। পোস্টের শেষ লাইনে তিনি লেখেন- জুলাই বিপ্লব জিন্দাবাদ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে সাতক্ষীরা জেলা শাখায় ১৬৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান আরাফাত হুসাইন, সদস্য সচিব হন সুহাইল মাহদীন (সাদী)। আল শাহরিয়ার মুখ্য সংগঠক এবং মোহেনী পারভীন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

  • স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজ আমরা করছি। জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সচেতনতাই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল শক্তি। ভবিষ্যতে কেউ যদি স্বৈরাচার হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাহলে জনগণ সঙ্গে সঙ্গেই তার পতন ঘটাবে। কারণ, একবার যখন জনগণ রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তি তাদের থামাতে পারে না।”

    মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

    ড. ইউনূস বলেন, “১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিজয়ের জন্য আমাদের ১৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে—গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে জনগণকে সর্বদা সজাগ ও সংগঠিত থাকতে হবে। আমরা চাই না, আর কখনো সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার দিন ফিরে আসুক।”

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা। কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনারও আয়োজন করা হয় যেখানে ’৯০-এর গণআন্দোলনের স্মৃতি জাগানিয়া গান পরিবেশন করা হয়।

    জুলাই মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে থাকবে আলোচনা সভা, গণসংলাপ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মশালা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য—গণতন্ত্র চর্চার প্রতি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্য আরও মজবুত করা।

  • দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন

    দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন

    দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৭ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। এতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৩ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৮০৫ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবার (২৯ জুন) সকালে প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সময়ে সারাদেশে ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৮৭ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।

  • যশোরে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

    যশোরে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

    যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সী গোলাম রহমান নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি যশোরের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সবচেয়ে কার্যকর। তবে, এ ধরনের পজিটিভ ফলাফলের পর রোগীর ক্লিনিক্যাল ইতিহাস, অন্যান্য লক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোলাম রহমান শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং ওইদিন রাতেই তিনি জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে যশোরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে।

  • এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

    এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

    নড়াইলের লোহাগড়ায় লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্রে সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব কাজল কুমার বিশ্বাস ও ট্যাগ অফিসার লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই ভুলের জন্য তাদের দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসরআব্দুল মতিন।

    তিনি জানান, যশোর বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৪ নম্বর সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ, লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ২ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চারটি সেটের মধ্যে কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা আগেই কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা সেই বিষয়টি লক্ষ্য না করেই সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নিয়েছেন। দায়িত্বে এ ধরণের অবহেলার কারণে তাদেরকে অব্যাহতি এবং শোকজ করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া হলেও উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনো সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে কোনো পরীক্ষার্থী যেন অহেতুক দুশ্চিন্তা না করেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৫৬০জন পরীক্ষার্থী আছেন।

  • ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

    ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

    আগামী ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এবং ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রোববার (২৯ জুন) এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে না বলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • আগামী অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দেওয়া যাবে যেদিন থেকে

    আগামী অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দেওয়া যাবে যেদিন থেকে

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চলতি জুলাই মাস থেকে আগামী অর্থবছরের ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা যাবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইআরএফ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, কর ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করতে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৭ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা পড়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ। চলতি অর্থবছর শেষে কর আদায়ের পরিমাণ ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    এনবিআরের চলমান সংস্কার ও কর্মীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে এবং জুলাইয়ের মধ্যেই সংশোধন আনা হবে। আজই এনবিআর কর্মীদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    চেয়ারম্যান আরও বলেন, “সবকিছুই হওয়া উচিত দেশের স্বার্থে। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাসেবী সম্মতি বাড়াতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”

  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: আমীর খসরু

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন মোটেই সম্ভব নয়। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরো প্রস্তুত। শুক্রবার রাতে সিলেটে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান চৌধুরীর দেয়া একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের এমনটি বলেন আমীর খসরু।

    শনিবার দুপুরে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে ‘সিলেট বিজনেস ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লুটেরাদের কারণে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে। দেশের ব্যবসায়ী খাতকে গোষ্ঠী ও রাজনীতির দখলের বাইরে নিয়ে আসবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

    অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সরাসরি নিজেদের মতামত ও সংকটের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চা, আগর, পর্যটন, ফলমূল, সবজি, পাথরসহ বিভিন্ন শিল্প সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে করে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি আসবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে আগের রাজনীতি চলবে না, বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে।

    ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীবান্ধব দল হিসেবে বিএনপি দেশের বাণিজ্য খাতকে প্রসারিত করবে। বাণিজ্যের গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে অর্থনীতি নিয়ে যে সৃজনশীলতা ছিলো তা গেল ১৭ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যবসাকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে, তবে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করতে হবে।

    আমীর খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মাসে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে তথ্য প্রযুক্তিখাতে। নূন্যতম এসএসসি পাস তরুণদের আইসিটি খাতে চাকরি দেওয়া হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠনে সিলেটের ও জাতীয় অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাবেক সভাপতি ফজলুল হক

    অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আগে স্থানীয় নির্বাচনসহ ১৬ দা‌বি ইসলামী আন্দোলনের

    আগে স্থানীয় নির্বাচনসহ ১৬ দা‌বি ইসলামী আন্দোলনের

    প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন, নির্বাচনে লে‌ভেল প্লে‌য়িং ফিল্ডসহ ১৬ দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে চরমোনাই পী‌রের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আ‌ন্দোলন।

    আজ শ‌নিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমা‌বে‌শের ঘোষণাপত্রে এ দা‌বি জানা‌নো হয়। ইসলামী আ‌ন্দোল‌নের আ‌মির সৈয়দ রেজাউল করী‌মের সভাপ‌তি‌ত্বে মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ ক‌রেন দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

    ঘোষণাপ‌ত্রে বলা হ‌য়ে‌ছে, ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিতে সংস্কার ক‌মিশ‌নে মতামত দি‌য়ে‌ছে ইসলামী আ‌ন্দোলন। তা বি‌বেচনা কররত মহাসমা‌বেশ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি।

    সংস্কারের দ্বিতীয় ধা‌পের সংলা‌পে বাস্তবায়‌নের জন্য ১৬ দফা দা‌বি জানা‌নো‌ হয়। এগু‌লো হলো-

    ১. সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সঙ্গে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি’ এ বিষয়টি অবশ্যই পুনঃস্থাপন করতে হবে।

    ২. সংসদের প্রস্তাবিত উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।

    ৩. গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।

    ৪. নির্বাচিত স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও সন্ত্রাসী শ্রেণি রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে না পারে এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনী মৌলিক রাষ্ট্রসংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

    ৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। ফ্যাসিবাদেরক চিহ্নিত করে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

    ৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিতে বিদেশে পালাতক অপরাধীদের আটকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।

    ৭. দেশ থেকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে সক্রিয়, কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    ৮. দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও অবিচল হতে হবে।

    ৯. ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে।

    ১০. জাতীয় নির্বাচনের আ‌গে সব স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

    ১১. চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

    ১২. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

    ১৩. ঘুষ, দূর্নীতিসহ সকল প্রকার নাগরিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক কারণে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের কোথাও কোনো রকম মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না। মব সৃষ্টিকারীদের দমনে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    ১৪. দেশ বিরোধী ও ইসলাম বিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

    ১৫. জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

    ১৬. স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনগণের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা, সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আদর্শের অনুশীলন করতে হবে।

  • এনবিআর শাটডাউনে সারা দেশে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্ধ শুল্ক-কর কার্যক্রম

    এনবিআর শাটডাউনে সারা দেশে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্ধ শুল্ক-কর কার্যক্রম

    সকাল থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কাজ হচ্ছে না। চলছে শাটডাউন কর্মসূচি। ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারছেন না। বের হতেও পারছেন না কেউ। এ কারণে এনবিআরের সব সেবা বন্ধ আছে।

    এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ। এতে আমদানি–রপ্তানিতে সব ধরনের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ আছে।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কাজ হচ্ছে না। সব টেবিল–চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। প্রায় সব কর্মকর্তা–কর্মচারী লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। এনবিআরের সামনের রাস্তায় কয়েক শ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান করছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে। তাঁরা কাউকে এনবিআরের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না, বের হতেও দিচ্ছেন। এনবিআরের তিনটি ফটকে তালা ঝুলছে।

    সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আজ শনিবার ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হয়েছেন।

    এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে। এনবিআর হলো দেশের প্রধান রাজস্ব আদায়কারী সংস্থা। জুন মাসে অর্থবছরের শেষ সময়। এই সময় রাজস্ব আদায়ে বেশ গতি থাকে। সে জন্য আজ দেশের সব শুল্ক–কর কার্যালয় খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনের কারণে আজ সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।

    এনবিআরের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে ভেতরে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এনবিআর ভবনের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

    সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আজ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। পাশাপাশি আজ থেকে সারা দেশের শুল্ক–কর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে লাগাতার ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি।

  • পৃথিবীকে বদলাতে অংশগ্রহণ করতে হবে সবাইকে, সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ : ড. ইউনূস

    পৃথিবীকে বদলাতে অংশগ্রহণ করতে হবে সবাইকে, সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ : ড. ইউনূস

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীকে বদলাতে সব জাতিকে ভূমিকা রাখতে হবে। অংশগ্রহণ করতে হবে সবাইকে। ধ্বংসের আগে সঠিক পথ ধরতে হবে আমাদের।

    তিনি বলেন, বিষণ্ন বিশ্ব নয়, একটি সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ।

    শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সাভারের জিরাবোতে অবস্থিত সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দুদিনব্যাপী ১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ব্যবসা দিবস একটি পারিবারিক পুনর্মিলন। বিগত সরকারের আপত্তি ছিল এই দিবস পালনে। ৫ আগস্টের পর প্রথম এ দিবস পালন করতে পারলো বাংলাদেশ।

    তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সামাজিক ব্যবসা একমাত্র উপায়। এ বছরের প্রতিপাদ্য—‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো সামাজিক ব্যবসা।’

    বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা দূর করে একটি টেকসই, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক মূল্যবোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই আয়োজন।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো শিক্ষা সিস্টেম তৈরি করতে হবে স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে। স্বপ্ন দেখা শেখানোই প্রথম কাজ হবে শিক্ষা সিস্টেমের। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সভ্যতা গড়তে সহায়তা করবে।

    তার ভাষায়, স্বপ্ন না দেখলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। স্বপ্ন দেখতে হবে। বিষণ্ন বিশ্ব তৈরি করতে চাই না, সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চাই। নতুন সভ্যতা গড়তে চাই। সেটা আমরা পারব।

    উল্লেখ্য, দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ও আটটি ব্রেকআউট সেশন থাকবে। দু’দিনের এ আয়োজনে ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে ১৮০ জনেরও অধিক বিদেশিসহ সহস্রাধিক অংশগ্রহণ করেছেন।

  • ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এসব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সব কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

    আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

    এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

    এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।

    তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে। ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

    আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিটের (যেখানে প্রযোজ্য) মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

    উপদেষ্টা সম্প্রতি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে জানান, ‘অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

  • আদালতে অপরাধ স্বীকার করে আ. লীগের ওপর দায় চাপালেন আউয়াল

    আদালতে অপরাধ স্বীকার করে আ. লীগের ওপর দায় চাপালেন আউয়াল

    চব্বিশের নির্বাচন যে ডামি ও প্রহসনমূলক ছিলো আদালতে সেটা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। এই ডামি নির্বাচনের দায় আওয়ামী লীগের ওপরে চাপান তিনি। এদিন আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত হাবিবুল আউয়ালের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ।

    আদালতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ক্ষমতার লোভ শেখ মুজিবও সামলাতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী ১ হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

    এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হাবিবুল আউয়ালকে আদালতে আনা হয়। প্রথমে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

    শুনানিতে তিনি বলেন, এই আসামি (হাবিবুল আউয়াল) ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আমলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এদেশে কলঙ্কজনক একটি নির্বাচন হয়। সেই ডামি নির্বাচনে আ.লীগ ও ২/১টি দল ছাড়া আর কেউ অংশ নেয়নি। সেই নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন, একতরফা, লোক দেখানো ও প্রহসনের নির্বাচন। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিতে পারেননি। তখন তিনি (আউয়াল) বলেছেন, ‘কেউ নির্বাচনে না এলে আমি কি বসে থাকব?’ তিনি ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। অন্যায় করেছেন বলেই তিনি গা ঢাকা দেন।

    শুনানিতে ওমর ফারুক আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে’। এত বড় মিথ্যা বলে তিনি কীভাবে তার ফ্যামিলির সামনে মুখ দেখান? ওইদিন সকাল ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। তার এক ঘণ্টা পর ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। অথচ আমরা দেখেছি কেন্দ্রগুলোতে কোনো মানুষ ছিল না। কুকুর-বিড়াল কেন্দ্রে শুয়ে আছে। ওই এক ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।’ কতটা হাস্যকর কথাবার্তা।

    শুনানিতে সরকারি এই কৌঁসুলি আরও বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে থোক বরাদ্দ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। সংবিধান বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করছি।

    আসামি পক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল তার রিমান্ড নামঞ্জুর চেয়ে বলেন, তার বয়স ৭০। তিনি অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। আমরা যেন ফ্যাসিস্ট দমাতে গিয়ে নিজেরা ফ্যাসিস্ট না হয়ে যাই। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের বক্তব্যের সঙ্গে আমিও একমত। নির্বাচনটি ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন ছিল। এসময় তাকে থামিয়ে বিচারক বলেন, প্রত্যেক জেলায় নির্বাচনী ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়। যেখানে যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার একজন দায়িত্বে থাকেন। আগে যার ভাতা ছিল ২২ হাজার টাকা, সেটা আপনি ৫ লাখে উন্নীত করেছেন। এতে কি জনগণের টাকা অপচয় হয়নি? এ বিষয়ে তার জানা নেই জানিয়ে বলেন, পাঁচ বছরের মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করে হয়তো ভাতা বাড়ানো হয়েছিল।

    এরপর বিচারক আবারও বলেন, এই যে ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়েছিল নির্বাচনের সময় কোথাও কি তারা সরেজমিনে গিয়েছিলেন? তখন আউয়াল বলেন, একজন রিটার্নিং অফিসারের অধীনে ৪-৫টা সংসদীয় আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকে সহযোগিতা করতে আরও ৪-৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার থাকেন। একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ২ ভাগ দায়িত্ব কমিশনের, বাকি ৯৮ ভাগ দায়িত্ব মাঠ পর্যায়ে কাজ করা অফিসারদের।

    নির্বাচনের আগে এমন অবস্থা জেনে আপনি পদত্যাগ করলেন না কেন? বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই অবস্থায় পদত্যাগ করা সম্ভব ছিল না। আমার এক বন্ধুও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল পদত্যাগের কথা, আমি বলেছি তুমি যদি আগে বলতা এমন ভয়ংকর নির্বাচন হবে, তাহলে আমি দায়িত্বই নিতাম না।

    আউয়াল পূর্বের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে বলেন, ৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের তিন মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত ৭৩ এর নির্বাচনে আ.লীগ ২৯৩টি আসন পায়। সেই নির্বাচনও সুষ্ঠু ছিল না। ক্ষমতার লোভ এমন যে শেখ মুজিবও তা সামলাতে পারেননি। ৯৬ সালে আ.লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তী সময়ে তারাই আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সংবিধান সংশোধন করে।

    এসময় পাবলিক প্রসিকিউটর উত্তেজিত হয়ে আদালতকে বলেন, তিনি নিজেকে জাস্টিফাই করছেন। তার এসব বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এসময় আউয়াল বলেন, জাস্টিফাই না করতে দিলে রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন। এসময় উপস্থিত আইনজীবীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে এজলাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে আউয়াল বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী ১ হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

    আধ ঘণ্টার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। পরে ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

  • শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা মোট ১৫৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ জব্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।

    দুদকের সূত্র জানায়, জব্দ করা টাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি রয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর নামে। এ ট্রাস্টের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ৪৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই)-এর নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৬ টাকা, আওয়ামী লীগের নামে আটটি ব্যাংক হিসাবে ৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৩১ টাকা এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ১১৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের নামে দুটি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে পাঁচটি হিসাবে ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৭৪৩ টাকা, সায়মা ওয়াজেদের নামে পাঁচটি হিসাবে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার যৌথ নামে থাকা চারটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৮৬২ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১২টি হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা, শেখ রেহানার নামে দুটি হিসাবে ৮১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ টাকা, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ১৭ লাখ ১৫ হাজার ২৭১ টাকা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৪ টাকা এবং ববির বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ টাকা।

    দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতের অনুমোদন নিয়ে আইনানুগভাবে এসব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশনের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সময়কালীন বিভিন্ন ধাপে জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

    দুদক আরও জানায়, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব ববি, শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাদের নিকটাত্মীয়দের নামে বিদেশে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে—বিলাসবহুল সম্পদেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের উৎস ও বৈধতা খতিয়ে দেখতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক তদন্ত সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জুলাই জুড়ে অনুষ্ঠান

    গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জুলাই জুড়ে অনুষ্ঠান

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা’ আয়োজন করা হবে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়েছে।

    ৩৬ দিনব্যাপী জুলাই স্মৃতি উদযাপনে যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে সেগুলো হলো—

    ১ জুলাই : মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ অন্যান্য উপসানালয়ে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা। জুলাই ক্যালেন্ডার প্রদান (অনলাইন-অফলাইন)। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সূচনা, চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই শহীদ স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু।

    ৫ জুলাই : বিভিন্ন সময় অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন প্রচারে দেশব্যাপী পোস্টারিং কর্মসূচি চালু।

    ৭ জুলাই : julyforever.org নামে ওয়েবসাইট চালু।

    ১৫ জুলাই : ‘আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া’ শিরোনামে ১৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। জুলাই স্মৃতিচারণ। ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং জুলাইয়ের গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলইডি ওয়াল ইনস্টলেশন। প্রজেকশন ম্যাপিং। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।

    ১৯ জুলাই : ‘কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙ্গা’ ১৯ জুলাইয়ের ভিডিও, নরসিংদী, সাভার, ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। গণহত্যা ও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ দিবস

    ২৪ জুলাই : শিশু শহীদদের স্মরণে ‘কী করেছে তোমার বাবা’ শিরোনামে ২৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শিশু শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচি। দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘২৪ এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্গন’ প্রতিযোগিতা। নারায়ণগঞ্জের শিশু শহীদ রিয়া গোপের স্মরণে অনুষ্ঠান। শিশু শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান, জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও গান। শিশু একাডেমিতে জুলাইয়ের শিশু শহীদদেরকে থিম করে একটি আইকনিক ভাস্কর্য স্থাপন। শিশুদের জন্য জুলাই আন্দোলনকে উপজীব্য করে গ্রাফিক নভেল প্রকাশ।

    ৩০ জুলাই : ‘চল চল চল’ ৩০ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। অনলাইনে জুলাই স্মরণ। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান।

  • সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

    সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

    স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান
    ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট (এফএফডি-৪) বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ এখানে স্থানীয় সম্পদ আহরণ, বৈদেশিক দেনা বিষয়ক নীতিমালা এবং জলবায়ু অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে যা আগামী বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাবে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য  বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। প্রায় ১.৭৮ মিলিয়ন শিশুরা শিশুশ্রমে নিযুক্ত। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%  এবং যা দেশটির সাম্প্রতিক দারিদ্র্যতা বৃদ্ধির হারকে নির্দেশ করছে। বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।
    আজ সহায়তা প্রদানের চেয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরৎ দিন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এসব তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে, যখন বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা  (ওডিএ) ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবে? অন্যদিকে আইএমএফ এর অন্যায্য কর ব্যবস্থা, মানি লন্ডারিং, বড় রকমের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। বক্তারা আরো বলেন যে, গত ১৫ বছরে, বিদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাচার হয়ে গেছে। এই অর্থ আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের সমান। এটি দেশের মোট বৈদেশিক দেনারও সমান। এই অর্থ যদি পাচার না করা হত তবে এটি বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত বৈদেশিক দেনাকে পরিশোধ করতে পারতো। বক্তারা এফএফডি-৪ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরতের জোর দাবি জানান।
    কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, বিসিজেএফ, এনডিএফ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন এবং ওয়াটার কিপারর্স বাংলাদেশ যৌথভাবে এফএফডি-৪ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে আজ রাজধানী ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এফএফডি-৪  স্পেনের সেভিলা শহরে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মোঃ ইকবাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ইক্যুইটিবিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী এতে সঞ্চালনা করেন।
    মোঃ ইকবাল উদ্দিন বলেন যে, এফএফডি-৪ কে অবশ্যই বৈশ্বিক অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ইতোমধ্যে  পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ভূক্তভোগী দেশগুলোকে ফেরৎ দিতে হবে। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন যে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম ইতোমধ্যে তাদের বৈদেশিক সহায়তা প্রদান কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা আমাদের এসডিজি অর্জনে আর তেমন সহায়তা করতে পারবে না। তাই সহায়তা প্রদানের চেয়ে বরং তাদের বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরৎ দেয়া উচিৎ এবং অবৈধ অর্থ পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
    ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, যদি উন্নতদেশগুলোতে টাকা পাচারের ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে আমাদের মতো দেশগুলো থেকে টাকা পাচার হওয়া বন্ধ হয়ে যেত। তিনি এফএফডি-৪ কে টাকা পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  বলেন। এনডিএফ এর ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি বৈশ্বিক দায়। বাংলাদেশের উপর এটি চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি এর জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক  নিখিল চন্দ্র ভদ্র  পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ এনে উপকূলের বিপদাপন্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় করার দাবি জানান। উদয়নের অসাদুজ্জান বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ি নয়। তাই বাংলাদেশের জলবায়ু সংক্রান্ত সকল অবৈধ দেনাগুলো বাতিল করতে হবে এবং সেগুলোকে সহায়তা আকারে প্রদান করতে হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের ওমর ফারুক ভূইয়া আইএমএফ এর কর ব্যবস্থা সংস্কারের সমালোচনা করে বলেন যে সেগুলো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেই যায়। তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বৈশ্বিক ট্যাক্স কনভেনশনের আওতায় বাংলাদেশের কর ন্যায্যতা নির্ধারণের দাবি জানান।
  • করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

    করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সারা দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩৬ জন। রোববার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই হিসাবে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৮০ শতাংশ।

    দেশে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৯৮ জন করোনা পরীক্ষা করেছেন। এর বিপরীতে ৪৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    এই বছর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর মধ্যে ৯ জন নারী আর ৭ জন পুরুষ রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫১৫।

    চলতি বছর প্রথম ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। এরপর ১৩ জুন দুজন, ১৫ জুন একজন, ১৬ জুন একজন ও ১৭ জুন দুজন, ১৮ জুন একজন, ১৯ জুন একজন ও ২১ জুন দুজনের মৃত্যু হয়।