Category: জাতীয়

  • বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব পুলিশকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    বৃহস্পতিবারের (৮ আগস্ট) মধ্যে সব পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত আইজিপি ময়নুল ইসলাম।

    বুধবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরের কনফারেন্সে রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পুলিশপ্রধান এ নির্দেশ দেন।

    আইজিপি বলেন, আজ এক বিশেষ পরিস্থিতিতে আমি আপনাদের সম্মুখে হাজির হয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বন্ধ পরিকর। পারষ্পরিক সৌহাদ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাব।

    পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন থানা, স্থাপনা, আবাসিক ভবনে আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ ও এর স্থাপনা সমূহ একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পুলিশ দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সংকটময় মূহুর্তে এই বাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা এখনও আমাদের ওপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালনে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

    আন্দোলনে আহত পুলিশের প্রত্যেক সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্থ করে আইজিপি বলেন, সম্প্রতি পুলিশের যেসব সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকটি পরিবারের দায়িত্ব আমরা নেব। যারা আহত হয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করেছি। প্রয়োজনে আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

  • নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে: ড. ইউনূস

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের প্রতি দ্রুত আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করা দরকার। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।

    সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে আমরা একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারি, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে কথা বলব।’

    শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হতে কাজ করা দরকার।

  • দিল্লি পালানোর সময় পলক আটক

    ভারতের রাজধানী দিল্লি পালানোর সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে।

    বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।

    এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে— শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষায় ছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    তখন বিমানবন্দরের কর্মচারীরা তাকে ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পর বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে তাকে আটক করেন।

  • ঢাকা ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন

    ঢাকা ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন

    সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাঁরা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।

    এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পরেছেন হাজারো মানুষ।আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার পর থেকেই তারা গণভবনে ঢুকতে শুরু করেন। গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোনকে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন।

    আবার আনন্দবাজারের মতে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বলে খবর। তাঁকে কপ্টারে করে ‘নিরাপদ’ আশ্রয়ের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশে সেনার অধীনে তদারকি সরকার গঠিত হতে পারে। সূত্রের খবর, তার আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয় ইস্তফা দেওয়ার জন্য। ৪৫ মিনিট সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তার পরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। বাংলাদেশ গণমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। তাঁকে সেই সুযোগও দেয়নি বাংলাদেশ সেনা। কিছু ক্ষণ পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

    কপ্টারে দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। একটি সূত্রের দাবি, হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনও বিমান পাঠাবে না। কারণ তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে। ভারত থেকে জানানো হয়, হাসিনাকে ভারতে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। কপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী অবতরণ স্থান হতে পারে কলকাতা বিমানবন্দর। সেখান থেকে তাঁকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অন্যান্য সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দরে এবং শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দরেও নামতে পারেন হাসিনা।

    গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। সোমবার হাসিনা পদত্যাগ করলেন।

    রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে অশান্তি ঠেকাতে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। সোমবার থেকে তিন দিন ছুটিও ঘোষণা করে সরকার। তবে সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় কার্ফু উপেক্ষা করে ভিড় বাড়তে থাকে মানুষের। আন্দোলনকারীদের জমায়েতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়। কিন্তু আন্দোলন দমানো যায়নি। পরে শোনা যায়, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেনাপ্রধান। তার পরেই হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসে। বাংলাদেশ গণমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মাঝেই বাংলাদেশের রাস্তায় নেমে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। লাখ লাখ মানুষ হাসিনার বাসভবন ‘গণভবন’-এ ঢুকে পড়েছেন।

    খুলনা গেজেট থেকে নেওয়া

  • সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন স্কিম বাতিল ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার দুপুরে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

    এবছরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে আন্দোলনের ঘোষণা দেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি ছিল—সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা।

    জুনের মধ্যে দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান তারা। সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয় তাদের আন্দোলনের ফলে।

    এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

    চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকেই সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করে। এর আগে গত ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সমাজের সব স্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আলোকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়।

  • আবারো সাধারণ ছুটি ঘোষণা সম্পর্কে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

    অসহযোগ কর্মসূচির ডাক এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সাধারণ ছুটি আসবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শনিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার নিয়ে আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। তবে রোববার থেকে কীভাবে অফিস চলবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমরা এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

    এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের জরুরি বৈঠক চলছে। সন্ধ্যা ৭টার পর বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানাতে ব্রিফ করা হবে। এ সময় কারফিউ এবং অফিস টাইমের বিষয়ে জানা যেতে পারে বলে সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অফিস আদালত স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়। গত সপ্তাহের রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই); এই তিন দিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলেছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর বুধবার (৩১ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চালু ছিল।

  • ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফলের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ নির্দেশনা

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আজ শনিবার দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার ‘অসহযোগ আন্দোলন’। এ আন্দোলন সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জারি করেছে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা।

    শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এসব নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট দেন।

    নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
    ২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
    ৩. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
    ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
    ৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
    ৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
    ৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
    ৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না।
    ৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
    ১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
    ১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
    ১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
    ১৩. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
    ১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
    ১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

    হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে।

    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

  • রংপুরে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় অপেশাদার আচরণের কারণে এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এএসআই আমীর হোসেন রংপুর পুলিশ লাইন্সে এবং কনস্টেবল সুজন তাজহাট থানায় কর্মরত ছিলেন।

    আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

    তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই দু’জনের অপেশাদার আচরণ প্রমাণিত হয়েছে, যার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আবু সাঈদের সুরতহাল, সেদিনের ভিডিও, ছবি এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখছে। ওই ঘটনায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ গোটা দেশজুড়ে। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

  • কোটা আন্দোলনে আহত আরও একজনের মৃত্যু

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মো. ইমন (১৭) নামের এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। ওই সময়ই আহত হয়েছিলেন ইমন। আজ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪ জন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার আন্দোলন ঘিরে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৬ জনের।

  • সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

    বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।’

    নাহিদ আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব৷’

    ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’—বলেন নাহিদ।

    যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। এবার এক দফা দাবি তুলে ধরা হলো। আজ শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ছয়জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের। তাঁদের মধ্যে নাহিদসহ তিনজন বক্তব্য দেন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে। রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

    শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত প্রথম আলোর তিনজন প্রতিবেদক জানান, আজ শনিবার বেলা আড়াইটার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত গড়াতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

    শহীদ মিনার ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।

    এর আগে সকালে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের নেতারা।

    আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ।

    দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে।

    তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।

  • সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত চারটি মদনটাক পাখি সুন্দরবনে অবমুক্ত

    বিজিবি’র অভিযানে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি গুলো পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন কলাগাছিয়া ইকুটুরিজম এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার নীলডুমুর বিজিবি’র তত্বাবধায়নে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    নীলডুমুর বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সানবীর হাসান জানান, ৩১ জুলাই রাতে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ৪টি বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিজিবি’র যশোর আঞ্চলিক অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে মদনটাক পাখিগুলোকে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, একাকি চলাফেরা করতে অভ্যস্থ মদনটাক পাখি সুন্দরবনে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত তারা জলাভূমি বা নদীর মোহনার কাছাকাছি বসবাস করে। সংখ্যা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা মদনটাক বা হাড়গিলা পাখিটাকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির পাখি বলে ঘোষণা দিয়েছে।

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা সাড়ে সোয়া ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুর হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে খুলনারোড মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ,বিজিবিসহ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিত থাকলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছাত্রদের কোন ধরনের বাধা প্রদান করেনি। ছাত্ররা খুলনা রোড মোড় অবরোধ করে ২ ঘন্টা অবস্থান করে ফিরে যান। এসময় কোটা আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় নিহত সাতক্ষীরার আসিফ হাসানের নামে সাতক্ষীরার খুলনারোড মোড়কে আসিফ চত্বর নামকরণের দাবি জানান। আন্দোলন চলাকালে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়।

  • রিমান্ড শেষে কারাগারে পার্থ

    কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মায়েরা রাজপথে

    ‘সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের নারীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসময় কর্মসূচিতে যোগ দেন হাজারও নারী ও অভিভাবক। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান নারী সমাজ।

    আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবকরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিবাদী নারী সমাজের ব্যানারে ‘শিক্ষার্থীদের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা গণপ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সন্তান হত্যার বিচার দাবীতে মায়েরা রাজপথে’ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিভিন্ন পেশার অভিভাবকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

    গান, নৃত্য, মাইম ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন অভিভাবক ও শিশুরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘শিক্ষার্থীদের পাশে মা’ এই ব্যানারে আরেকদল নারী এসে যোগদান করেন মানববন্ধনে। জনতার ঢলে চেরাগী মোড় থেকে জামাল খান রোড পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৬টায় কর্মসূচি শেষ হয়।

    মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার । তিনি প্রতিবাদী নারী সমাজের সমন্বয়ক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গৃহিনী, নারী উদ্যোক্তা, ডাক্তার, ব্যাংকার ও সমাজকর্মীরা। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পুরুষরাও যোগ দেয় মানববন্ধনে।

    এ সময় অভিভাবকরা ‘হামার বেটা মারলু কেনে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘আমার সন্তান মরলো কেন, বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    মানববন্ধনে মাথায় পতাকা বেধে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজকর্মী শাহীন শিরীণ। পাশে নিজের ছোট শিশুর হাতে দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ছবি। শাহীন শিরীণ সমকালকে বলেন, ‘আমার সন্তান রক্তাক্ত হয়েছে মানে আমরাও রক্তাক্ত। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের সন্তানদের গণকবর দেওয়া হয়। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। এই রাষ্ট্রই তো আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে।’

    মানববন্ধনে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন রিতু পারভিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো পরিস্থিতি হলে মায়েরা রাজপথে নামে? এতো হত্যা আর গণগ্রেপ্তার হল। তারপরেও এখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী যারা আটক হয়েছে তাদের জেলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলছে। ওরা তো শিশু। আমাদের শিশুরা কেন বিনা অপরাধে জেলে পরীক্ষা দিবে? আমরা তাদের মুক্তি চাই।’

    আরেক অভিভাবক ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা কেনা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ আমাদের সন্তানকে হত্যা করে। আমি বলতে চাই, আমাদের সন্তানকে না মেরে আমাদেরকে খুন করেন। ওরা আমাদের ভবিষ্যত। আপনারা আমাদের ভবিষ্যতকে হত্যার নেশায় মেতে উঠেছেন।’ সরকারের প্রতি এই জুলুম বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

  • শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

  • ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৪২জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (প্রসিকিউশন বিভাগ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    এর আগে দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা সিএমএম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক হওয়াদের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনিসহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রাদিসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে। আটক যেসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা দেবে।

  • স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষার সূচি রাখা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

    প্রকাশিত নতুন সূচি অনুযায়ী, ১১ আগস্ট রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বিকেল ২টা থেকে ৫টা উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, আরবি দ্বিতীয়পত্র এবং পালি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে।

    আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকালে (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয়পত্র ও শিশু বিকাশ দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া একই দিন বিকেলে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, সমাজকর্ম দ্বিতীয়পত্র এবং ক্রীড়া দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দিয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে।

  • রাবিতে শিক্ষার্থী আটকের চেষ্টা পুলিশের, বাধা দিলেন শিক্ষকরা

    সারাদেশে ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ‘ছাত্র-জনতার খুনিদের প্রতিহত করুন’ ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। মিছিল শেষ হলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষকরা তাদের প্রতিহত করেন এবং নিরাপত্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। তবে এ ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    দিকে ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিককে ‘ইনফর্মার’ বলে তুলে নিতে চায় এবং হেনস্তা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল বের করেন। পরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে কর্মসূচি শেষ করেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষকদের এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে থেকেই সাদা পোশাকে অবস্থান নিতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’একজন করে শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা তা দেখামাত্রই দৌঁড়ে গিয়ে তাদের বাধা দেন।

    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তবে শিক্ষকদের বাধায় ক্যাম্পাস থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা ঢাল হয়ে শিক্ষার্থীদের কাজলা গেটে নিয়ে গিয়ে নিরাপদে বের করে দেন।

    শিক্ষক ও পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। দৈনিক সমকাল পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি অর্পণ ধর ও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেনকে তুলে নিতে টানা-হেঁচড়া করে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও একজন গোয়েন্দা সদস্য এসে সমকাল প্রতিনিধিকে মুক্ত করেন।

    এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী আটকের লাইভ চলাকালে পুলিশ আমার ওপর চড়াও হয় পুলিশ। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। ওই সময় আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারীন্দ্র মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবণ্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মৌন মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে আঘাত করে। আমার ভাইদের বিনা কারণে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের অপরাধ কি? আমরা কোনো মামলার আসামি না তাহলে কেন আমাদের আটক করবে। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আজকের এই মৌন মিছিলে এসেছিলাম।

    এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে আটক করার কোনো নথিপত্র নেই। সন্দেহের বশে কাউকে আটক করা অন্যায়। আপনারা এমনটা কখনোই করতে পারেন না। এর পরে যদি কোনো ছাত্রের গায়ে হাত পড়ে এবং আমার সহকর্মীদের গায়ে আঘাত লাগে, এটা কিন্তু আমরা মেনে নিব না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাই বলে পুলিশ প্রশাসন ওপেন কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিতে পারে না। তাদের নামে কোনো মামলা নেই যে তারা আসামি। আপনারা আপনাদের কাজ করুন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করতে বলি। তবে যদি কোনো বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বর্তমানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমার শিক্ষার্থীরা বাসায় আছে। কোনো ছাত্রের হয়রানি হোক আমরা এমনটা কখনোই চাই না। আমরা জানতে পেরে সকল শিক্ষার্থীকে কাজলা গেইট পর্যন্ত নিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়েছি।