Category: জাতীয়

  • গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করতে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল দরকার: ফরহাদ মজহার

    গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করতে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল দরকার: ফরহাদ মজহার

    গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করার জন্য অবশ্যই তরুণদের একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এটাই দাঁড়াবে, আমরা চাই বা না চাই।’

    ‘বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লব: ২০০৭-২৪: শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্র সংস্কার করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথাগুলো বলেন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস।

    ফরহাদ মজহার বলেন, তরুণদের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের প্রত্যাশা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো মেটাতে না পারলে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। তরুণদের অধিকার আছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার।

    তরুণদের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, একবার দল করব, একবার করব না- এই বিভ্রান্তিতে ভোগা ভুল। যদি দল করতে চান, অবশ্যই দল করবেন। কেন দল করবেন, সেটা সঠিকভাবে জনগণকে বোঝাতে হবে।

    নির্বাচন দেশের জন্য কোনো সমাধান নয় বলেও মনে করেন ফরহাদ মজহার। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সিস্টেমকে রেখে এখানে-ওখানে দু-একটা সংস্কার করে আবারও আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। এটা কিন্তু তরুণেরা গ্রহণ করবেন না।

    পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করা খুব সহজ মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ভারত নানাভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মধ্যে বাইরের উসকানি আছে। বাইরের উসকানিকে আমরা আগুনের মধ্যে তেল দিচ্ছি।’

    অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতেই সব শ্রেণি-পেশা ও গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে আলাপ করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম, আনসার বিদ্রোহ ও শ্রমিক বিদ্রোহের মতো ঘটনাগুলো ঘটত না বলেও মনে করেন ফরহাদ মজহার।

    নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র ফারুক আহমাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।

  • ডিসির কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্তাদের

    ডিসির কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্তাদেরআগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ছবি- সংগৃহীত

    আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর জবাবদিহি করতে হবে।

    বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সকল জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের। তারা প্রতিদিন কী কার্যক্রম চালালেন সে বিষয়ে ডিসিদের অবহিত করতে হবে। এ বিষয়ে আজই জেলা প্রশাসক ও
    ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনাকর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পৌছাতে পারে।

    এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।

    সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

  • করোনার অতি-সংক্রামক নতুন ধরন শনাক্ত, দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা

    করোনার অতি-সংক্রামক নতুন ধরন শনাক্ত, দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা

    করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন একটি ধরন  হলো  এক্সইসি

    করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন একটি ধরন  হলো  এক্সইসি।  এই ধরনটি খুব দ্রুতগতিতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোটা বিশ্ব। এদিকে  এক্সইসি নামের এই ভ্যারিয়েন্টটি শিগগিরই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্কবার্তা করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরনটি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপগোত্রীয়। তবে এক্সইসি ধরনে নতুন করে রূপান্তর ঘটেছে। এর ফলে চলতি শরতে ইউরোপে করোনার নতুন এই ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে করোনার টিকা এই ধরনকে প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

    করোনার আগের উপ-ধরন ওমিক্রনের কেএস.১.১ এবং কেপি.৩.৩ এর মিশ্রণে শঙ্কর ধরনে রূপ নিয়েছে এক্সইসি। বর্তমানে ইউরোপজুড়ে এই ধরনের সংক্রমণের ব্যাপক আধিপত্য দেখা গেছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার নতুন ওই ধরনটি গত জুনে জার্মানিতে প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, করোনার নতুন ধরনটি এখন পর্যন্ত পোল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল এবং চীনসহ অন্তত ২৭টি দেশের ৫০০ নমুনায় শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্ক, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে এই ধরনের প্রকোপ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বিবিসিকে বলেছেন, সাম্প্রতিক অন্যান্য কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এক্সইসি ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মাঝে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর সক্ষমতাবিশিষ্ট। শীতকালে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে উচ্চগতি দেখা যেতে পারে। তবে আশার কথা হলো- করোনার ভ্যাকসিনগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক এরিক টোপোল বলেছেন, এক্সইসির সংক্রমণ মাত্র শুরু হচ্ছে। ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে নতুন এই ধরনটি কয়েক মাস সময় নিতে পারে।

    সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি

  • জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে

    জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে

    জাতিসংঘ

    জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে। ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ও ই-পার্টিসিপেশন সূচক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে দুটি সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এ সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সূচক বলছে, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে। এছাড়া ই-পার্টিসিপেশন সূচকেও পাঁচ ধাপ উন্ন হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দশক তথা ২০০৩ সালের পর ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশে এবার সর্বোচ্চ (০.৬৫৭০) অর্জন করেছে।

    জাতিসংঘের এ সূচকে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৯৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১০০ তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১১ তম। এছাড়া ২০২০ সালে বাংলাদেশ সূচকে ১১৯তম অবস্থানে ছিল।

    ইজিডিআই ছাড়াও ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে এ সূচকে বাংলাদেশ ৭০তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে এ সূচকে ৭৫ তম অবস্থান ছিল। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

    ইজিডিআই ইনডেক্স সব সদস্য রাষ্ট্রের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট মূল্যায়নে বিভিন্ন প্রকাশনা এবং অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া এতে শগুলোর অনলাইনে সেবা প্রদান, আইন ও পলিসি কাঠামো, ই-পার্টিসিপেশনের অবস্থার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং হিউম্যান ক্যাপিটালকেও মূল্যায়ন করা হয়।

    ২০২৪ সালের ইজিডিআই সূচকে শীর্ষ অবস্থারে রয়েছে ডেনমার্ক। এরপর রয়েছে এস্তোনিয়া এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এ তালিকায় ভারত ৯৭তম এবং মিয়ানমার ১৩৮তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ ৬৯৪তম, শ্রীলংকা ৯৮তম, ভুটান ১০৩তম আর নেপাল ১১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

  • হাসিনার ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ আজ

    ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে হাসিনার ভাগ্যে? 

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  কূটনৈতিক পাসপোর্টে তিনি দেশ ছাড়াতে  ভারতে বৈধভাবে ৪৫ দিন অবস্থান করতে পারবেন। তার এ ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ ফলে তার ভাগ্যে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

    সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনে ভারতে থাকবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    এতে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মহলের ধারণা হয়তো শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে থাকার বিষয়টি এখন দেশটির সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    জি নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তারা জানেন না। এ নিয়ে ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। ভারত চাইলে যে কাউকেই সে দেশে আশ্রয় দিতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

    এর আগে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন। এ সাক্ষাৎকারে গত সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার ন্যায়বিচারে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

    ড. ইউনূস বলেন, ভারতে তার অবস্থানের কারণে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কেননা আমরা তাকে ফেরাতে চাই।

  • পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিশেষ নির্দেশনা

    পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিশেষ নির্দেশনা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    চলমান পরিস্থিতিতে ডিএমপিকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ যেন তাদের পুরোনো ফর্মে তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। জনগণের একটা আশা, পুলিশ যেন জনবান্ধব হতে পারে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদরদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কাল জাহাঙ্গীরনগরে দেখলাম… তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এই সচেতনতা আসতে হবে।

    একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন হাতে তুলে নেওয়ার কারো কিন্তু অধিকার নেই। তিনি বলেন, কেউ অপরাধী হলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারাও (গণমাধ্যম) একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন।জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোক যেন কোনো অবস্থাতেই কোনো হেনস্তা না হয়।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশকে পুরোনো রূপে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পাওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ের লোকজন অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরও কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায়, চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়, প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলো সম্পর্কে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

  • অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

    অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে বলা হচ্ছে, নতুন দল তৈরি করতে হবে। নতুন দল তৈরি করার কথা বললে জনগণ কীভাবে বুঝবে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?

    ‘দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট: উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

    সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমাদের ব্যবস্থাকে জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে নিয়ে আসার। সেটা কি নস্যাৎ করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে? যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে যখন বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যদি বলেন, নতুন দল তৈরি করতে হবে, তাহলে জনগণ কী করে বুঝবে যে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেশ কিছু গোষ্ঠী বলতে শুরু করেছে যে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালে জন্য রাখা হোক। সমস্ত সংস্কার তারাই করুক। যে কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। সে জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

    বিএনপির নেতা-কর্মীদের সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসনকে সহায়তাকারীরা এখনো প্রশাসনে রয়ে গেছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে।

    আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে। তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে তাতে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান সংস্কার ও শাসনব্যবস্থা মেরামত করতে হবে। যারা হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা করা যাবে না। বিচার করতে হবে।

    রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করতে হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। কোনটা আগে শুরু করা হবে, সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং তা কীভাবে টেকসই যায়, তা ভাবতে হবে। কারণ, অর্জন করলেও তা টিকিয়ে রাখা যায় না। যে সংস্কার না করলে এই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনার করা দরকার।

    এ সময় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও কে এম জাবির।

  • মেট্রোর দুই স্টেশন ১৩৮ কোটিতেই সংস্কার

    মেট্রোর দুই স্টেশন ১৩৮ কোটিতেই সংস্কার

    চলতি বছরের ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেলের স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। সংস্কার করে বন্ধ থাকা স্টেশন দুটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্যোগের ফলে আপাতত কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে পারে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। আর মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হতে আরও কয়েকমাস সময় লাগবে।

    ওই ঘটনার পর তখন ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন সংস্কার করে চালু করতে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো খরচ করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দুটি স্টেশনের জন্য ১৩৮ কোটি টাকার বেশি লাগবে না।

    এছাড়া সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতে পারে মেট্রোরেল। এটি শুরু হলো দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল সপ্তাহে সাতদিনই চলাচল করবে।

    সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল আগামী ২০ তারিখে (শুক্রবার) চলবে এটা এখনো নিশ্চিত না। যদি সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে ১৮ তারিখ (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে শুক্রবারে মেট্রোরেল চালানোর ঘোষণা এবং কাজীপাড়া স্টেশন চালু করার বিষয়টি। কিন্তু এখনো তারিখ ঠিক বলতে পারছি না।

    তিনি বলেন, নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজীপাড়ায় এই মুহূর্তে শেষ সময়ের কাজগুলো চলছে। আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি চলছে। গতকালকে আমাদের ফাইনাল টেস্টিং হয়েছে, সেটা আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ক্লিয়ারেন্স আমরা সব পক্ষ থেকে পেয়েছি। টুকটাক কিছু বিষয় আছে সেগুলোর কাজ চলছে এই মুহূর্তে। এটাও সর্বোচ্চ ১৮ তারিখের মধ্যে হয়ে যাবে।

  • পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল, শুল্ক কমিয়ে প্রত্যাহার সর্বনিম্ন মূল্য করল

    পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল, শুল্ক কমিয়ে প্রত্যাহার সর্বনিম্ন মূল্য করল

    পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল, শুল্ক কমিয়ে প্রত্যাহার সর্বনিম্ন মূল্য করল

    পেঁয়াজ। ফাইল ছবি

    পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ভারত। প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। পাশাপাশি কমানো হয়েছে রপ্তানি শুল্ক।

    টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড গতকাল শুক্রবার পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য বা ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস’ সংক্রান্ত শর্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বের কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যে কোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।

    ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে পিটিআই এ খবর দিয়ে বলেছে যে হ্রাসকৃত শুল্ক আজ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

    অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলারে নির্ধারণ করে দেয়। এছাড়া রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার।

    ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১৭ হাজার টন। ভারতে এপ্রিল থেকে অর্থবছর শুরু হয়।

    বিশ্বের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে।

  • উখিয়ায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

    উখিয়ায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

    পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি। ছবি: জনকণ্ঠ

    টানা তিনদিন ধরে ভারী বর্ষণ-পাহাড়ি ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে কক্সবাজারের উখিয়ার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে, গ্রামীণ সড়ক লণ্ডভণ্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এদিকে পাহাড় ধসে উখিয়ার হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।

    জানা যায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, মনির মার্কেট, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি, নলবুনিয়া, খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা,পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ প্রায় শতাধিক গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে।

    চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড। ভারি বৃষ্টিতে জেলার উখিয়াসহ অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

    এ ব্যাপারে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেছেন, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বউ বাজার, পাগলির বিল, বড়বিল, মনি মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেতসহ আমন মৌসুমের ধানের চাষাবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

    স্থানীয় মৎস্য চাষী আবদুল করিম ও হামিদ বলেছেন, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ডুকে লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

    জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম বলেন, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া, নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান প্রবল পানির স্রোতে ধান চাষ, সবজি খেত ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। গ্রামীন অভ্যন্তরীণ কাঁচা রাস্তা ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাউসার। তবে তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারছে না তিনি।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেনের নির্দেশনায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল ও সিপিপি সদস্যরা প্লাবিত এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ স্থানের সরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিতে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক জরুরি বার্তায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত জনগণকে নিরাপদ স্থানে কিংবা পার্শ্ববর্তী সাইক্লোন সেন্টার আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

  • বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেবেন না কাজী সালাউদ্দিন 

    বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেবেন না কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ছবি: ফাইল

    আগামী ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে অংশ নেবেন না সাবেক ফুটবলার ও বর্তমান বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

    সালাউদ্দিন বলেন, বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টেবরে; আমি এই নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবো না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।

    কাজী সালাউদ্দিন চার মেয়াদে বাফুফের সভাপতি হয়েছেন এবং ১৬ বছর দেশের ফুটবল তার হাতে ছিল। তিনি দায়িত্ব পালনের বিষয়ে বলেন, আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে।

    সালাউদ্দিন জানান, ফিফার কাছে বাফুফের নির্বাচন পেছানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিফা তা নাকচ করে দিয়েছে। চিঠির উত্তরে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা জানিয়েছে, নির্বাচক একদিনও পেছানো হবে না।

    নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জানিয়ে বাফুফে সভাপতি আরও জানান, তিনি ১৬ বছর ফেডারেশনে ছিলেন। এই সময়ে তার সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে অনেকের ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। তিনি কিছু মনে রাখছেন না এবং অন্যদেরও কিছু মনে না রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

  • আ’লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: বদিউল আলম মজুমদার

    আ’লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: বদিউল আলম মজুমদারড. বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি

    আমি-ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের অনেকেই পালিয়ে গেছেন। এখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে, তা অগ্রহণযোগ্য হবে না।

    আজ শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বদিউল আলম। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৯-১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতে পারে।

    গত তিন মেয়াদে ডামি নির্বাচন আয়োজনে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিয়ে জানিয়ে বদিউল আলম বলেন, কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতি উৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তাই নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্ত সবাইকে বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

    তিনি আরও বলেন, সদ্য পদত্যাগ করা ইসি নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। সে সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।

    সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি কীভাবে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল! শিশু এমনকি মৃত মানুষও ভোট দিয়েছেন। আমি ও ডামি প্রার্থীর নির্বাচনে ৮-১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অথচ তা বাড়িয়ে ৪০-৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছে।

  • ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে, কেউ বিভাজিত করতে না পারে’

    গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে: মির্জা ফখরুলকেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাজনৈতিক দমন পীড়নের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সমকাল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৬ বছরে গণতন্ত্রের সংগ্রামে আমরা নিপীড়িত হয়েছি। প্রায় ৭০০ ভাইবোন গুম হয়েছে। এখনও গুম হওয়া ব্যক্তিদের ছেলে-মেয়েরা কেঁদে বেড়াচ্ছেন। ছোট্ট শিশুরা তার বাবা মাকে খুঁজছে। সেই মানুষগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে ষাট লাখ মানুষের নামে মামলা হয়েছে। এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের যেন কেউ বিভাজিত করতে না পারে।’

    আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাজনৈতিক দমন পীড়নের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের খোঁজ এবং হত্যা-খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা।

    এ সময় জুলাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে নিহত, আহত এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের আলোকচিত্র তুলে ধরেন স্বজনরা। ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনেকে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনুষ্ঠানের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে গান পরিবেশন করা হয়, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে মূকাভিনয় প্রদর্শন করা হয়।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। যারা প্রতিনিয়ত গুম খুনের আশ্রয় নিয়েছিল। ১৬ বছরে অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। আজকে আমরা সবাই স্বাধীন হয়েছি হয়তো, এখনও চতুর্দিকে চক্রান্ত চলছে।’

    তিনি বলেন, ‘আজকে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের আশা আকাশচুম্বী। জনগণ প্রত্যাশা করে তারা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে আগের জায়গায় আনবে, যেখানে সত্যিকার অর্থে একটি অর্থবহ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

    মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যারা পঙ্গু হয়েছেন, যারা ১৬ বছর ধরে শহিদ হয়েছেন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভাতা দিতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। শুধু অনুষ্ঠান করলেই হবে না, সরকারের কাছে জোরাল দাবি তুলে ধরতে হবে।

    গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা শহিদ হয়েছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা হায়েনার মত লুকিয়ে আছে। যে কোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। আমাদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    গত ১৮ জুলাই সাভারে পুলিশের নির্বিচার গুলির পর সাঁজোয়া যানের ওপরে মুমূর্ষু মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ছাত্র আসহাবুল ইয়ামিনকে ঘুরানো হয়, পরে জীবিত অবস্থায়ই সড়ক বিভাজকে ফেলে দেওয়া হলে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন ইয়ামিন।

    ইয়ামিনের বাবা মো. মহিউদ্দীন বলেন, ‘বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর থেকে ভারী কোনো বোঝা নেই। আর কোনো বাবা-মা, বোনকে এই নির্মম পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন না হতে হয়। কাউকে সাঁজোয়া যান থেকে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য আর যেন দেখতে না হয়। কোনো ইয়ামিনকে যেন পুলিশের ঘৃণার পাত্র হতে না হয়। আগামী দিনে পুলিশ যেন তার সঠিক দায়িত্ব পালন করে। আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই এবং শহীদের মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

    টাঙ্গাইলে দু’চোখ হারানো হিমেল আহমেদের মা নাসিমা আক্তার বলেন, ‘৪ আগস্টের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল হিমেল। ছিল টাঙ্গাইল শহরের মূল সড়কে একটি মিছিলের নেতৃত্বে। তারা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পৌঁছালে গুলি ছুড়তে শুরু করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় মিছিলের সামনে থাকা হিমেলের মাথা ও মুখমণ্ডলে শতাধিক ছররা গুলি লাগে। আমাদের পাশে আপনারা দাঁড়াবেন।’

    নিহত রিটন চন্দ্র শীলের মা রুবী রাণী শীল বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রদল করত। সে গেছিল তারেক জিয়ার মিছিলে। তারে নিয়া নৃশংসভাবে মারছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার আপনাদের কাছে চাই। আমার ছোট ছেলেও গুলি খেয়ে চিকিৎসাধীন। আমার সংসারে আর কেউ নাই। খুনি হাসিনার বিচার আমরা চাই।’

    টাঙ্গাইলে কলেজের ছাত্র ইমন গত ৫ আগস্ট শহীদ হয়েছিল। তার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতো। ইমনের ভাই সুমন বলেন, ‘আমরা তিন ভাই। আমার বড় ভাই যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে তখন মারা যায়। তারপর ইমন ভাই ছিল পরিবারের সব। তিনি নিজে পড়তেন এবং আমাদের পড়াতেন। তিনি গুলি লেগে আহত হয়ে ১৮ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমি তার বিচার চাই। আমার ভাইয়ের বিচার যেন আমি এ বাংলায় দেখতে পারি।’

    সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘বিচার শুরু হয়েছে। এই বিচার এমনভাবে হবে আগামী একশত বছরেও তারা মীর জাফরে পরিণত হবে। যারা শহিদ ও আহত হয়েছে তাদের সহযোগিতার জন্য সরকারের পাশাপাশি দলগুলোর মধ্যে লিয়াজোঁ কমিটি করে দেওয়া উচিত। শহিদদের রক্তের সঙ্গে যেন আমরা বেইমানি না করি।’

    গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর বলেন, ‘যারা আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে, শহীদ হয়েছে তাদের যেন আমরা ভুলে না যায়। জুলাই ফাউন্ডেশন পাশাপাশি গত দেড় দশকে যারা হারিয়েছে সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

    আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলের শীর্ষ নেতা এহসানুল হুদা, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপির শীর্ষ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীর আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

    এর আগে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ৪ নং এজাহারনামীয় আসামি হলেন সাফি।

    এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

  • ঢাকায় ডোনাল্ড লু

    দুই দিনের সফরে দি‌ল্লি হয়ে ঢাকায় এসেছেন মা‌র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। শ‌নিবার (১৪ সে‌প্টেম্বর) বিকেলে ডোনাল্ড লুর ঢাকায় আসার তথ্য গণমাধ্যমকে নি‌শ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

    এর আগে সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি‌নি‌ধি দল প্রধান রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান ঢাকায় আসেন।

    অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম সফর। প্রতিনিধি দলের সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে মূল আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আগামী রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সভায় অংশ নেবেন। ওইদিন বিকেলে প্রতিনিধি দল প্রধান নেইম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে লু ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়েছেন।

    এর আগে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গত মে মাসে ঢাকা সফর করে‌ছিলেন ডোনাল্ড লু।

  • ‘আমরাও দুর্গোৎসব করি, ভারত নয় ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা’

    দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাড়ে ইলিশের চাহিদা। ইলিশকে পূজার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবেও বিবেচনা করেন অনেকে। এই দুর্গাপূজার আগে কলকাতার মানুষের জন্য ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার পূজায় পশ্চিমবঙ্গে আর ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ।

    এতে করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কলকাতায় বাড়বে ইলিশের দাম। এছাড়া বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।

    শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামী মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) পারবে।”

    বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।”

    মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার পানি বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত।

  • বুয়েটের নতুন উপাচার্য আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান

    বুয়েটের নতুন উপাচার্য আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান

    অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক।

    বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম।

  • সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় বাবরের জামিন

    সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এই আদেশ দেন।

    ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া নিহত হন।

    এ ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে মামলা করা হয়।

    এ মামলায় আদালতে হাজির হন আরিফুল হক চৌধুরী। মামলার অন্যতম আসামি বাবর ঢাকায় কারাগারে বন্দি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে আদালতের বিচারক বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন।

    এর আগে বিএনপি সরকারের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘটিত হলে ২০০৭ সালের ২৮ মে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আটক করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    লুৎফুজ্জামান বাবর সেই সময়ে দুদকের কাছে ছয় কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। ওই বছরের ১২ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

    লুৎফুজ্জামান বাবর আরও বেশ কিছু মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এর আগে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আরেকটি আদালতে লুৎফুজ্জামান বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।