Category: জাতীয়

  • লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশী

    লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশী

    লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলী ও আশপাশের এলাকা থেকে ১৫০ জন অনিয়মিত বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশে ফেরেন। 

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরত আনা বাংলাদেশীদের প্রত্যাবাসন করা হয়। এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। 

    জানা গেছে, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশীদের বেশিরভাগই ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় সাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়ায় যান। সেখানে তারা অপহরণ ও নানা নির্যাতনের শিকার হন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফেরত আসা ব্যক্তিদের অনুরোধ করেছেন, এ ধরনের বিপদজনক পথে তারা যেন আর না যান। তারা বলেন, লিবিয়া ও অন্যান্য দেশে অনিয়মিত উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    আইওএম প্রত্যাবাসিতদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে।

    লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা বাংলাদেশীদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএম যৌথভাবে এ কাজ করে যাচ্ছে।

  • রাজশাহীতে কাটা ইলিশ বিক্রি, প্রথম দিনেই ক্রেতার চাপ

    রাজশাহীতে কাটা ইলিশ বিক্রি, প্রথম দিনেই ক্রেতার চাপ

    এভাবেই পিস পিস করে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

    রাজশাহীতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে নগরীর সাহেব বাজারের মাছপট্টিতে কাটা ইলিশ বিক্রির উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ও মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা। এদিকে অনেক দিন পর ইলিশ কিনতে পেরে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রথম দিনে বেশ সাড়া পড়েছে কাটা ইলিশ বিক্রির।

    বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে আকাশছোঁয়া ইলিশের দাম। নিম্নআয়ের মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ আর গন্ধ অধরা। এবার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন জনসাধারণ। সেই সুযোগ করে দিয়েছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা।

    রাজশাহীতে কাটা ইলিশ বিক্রি, প্রথম দিনেই ক্রেতার চাপ

    তারা বলছেন, এখন সর্বনিম্ন আড়াইশো গ্রাম ইলিশ কিনতে পারবেন যে কেউ। এতে গোটা ইলিশের চেয়ে কেজিতে ২০০ টাকা দাম বেশি পড়বে।

    ইলিশ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে ইলিশ মাছ কিনতে পারিনি। কাল ঘোষণা শুনে এসেছি। এখন মাছ কিনবো। অল্প পরিমাণে কিনবো। ইলিশের স্বাদ নিতে পারবো। কিন্তু দাম বেশি হচ্ছে। এই দিকে একটু নজর দিতে হবে।

    তিন ভাগ ইলিশ মাছ কিনেছেন এন্তাজ আলী। তিনি বলেন, আমার ও আমার পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনের জন্য আমি তিনভাগ মাছ কিনেছি। প্রতিভাগ মাছের দাম পড়েছে ৫০০ টাকা করে। এ মাছ কিনতে পেরে খুশি।

    রাজশাহী সাহেব বাজারের মাছ বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, কেউ চাইলে গোটা মাছও কিনতে পারবেন। আবার কেউ চাইলে কাটা মাছ কিনতে পারেন। প্রথম দিনে কাটা মাছের বিক্রির চাহিদা বেশি। কাটা মাছ কিনতে হলে সাধারণ কেজি দরের মাছের চাইতে ২০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। কেননা মাছ কাটার পর নাড়ি ভুঁড়ি এসব কিছু বাদ দিতে হচ্ছে। প্রথম দিন হিসেবে ইলিশ বিক্রি ভালো।

    রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয়ে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এমন উদ্যোগ। যাতে ইলিশ কিনতে পারে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। অনেক মানুষ আছে যারা ১০-১৫ বছর ধরে ইলিশ খায় না। তারা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাদের কারণেই এটা চালু হয়েছে। প্রথম দিনে বেশ ভালা সাড়া পড়েছে। প্রথম আধা ঘণ্টায় প্রায় ৮-১০টি ইলিশ বিক্রি হতে দেখেছি।

    তিনি বলেন, এই কাটা ইলিশ যাতে সব সময় বিক্রি হয় আমরা মনিটরিং করবো। পাশাপাশি কেউ যদি ইলিশ কেটে বিক্রি করতে না চায়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া দামের বিষয়টি মনিটরিংয়ে রাখা হবে।

  • বন্ধের দিনেও ভারতে গেলো ইলিশ, দশ দিনে ৪৮১ টন রপ্তানি

    বন্ধের দিনেও ভারতে গেলো ইলিশ, দশ দিনে ৪৮১ টন রপ্তানি

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনে এবং ভারত সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেলো ইলিশের চালান।

    বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত ৭ ট্রাকে ২২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

    বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষণার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশের মধ্যে শুধু বেনাপোল দিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গত ১০ দিনে ৪৮১ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫৭টি ট্রাকে করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে এই ইলিশের চালান পাঠায়। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১০ মার্কিন ডলারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ১৮০।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেনাপোল মাছ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। কেজির ওপরে বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-২০০০ টাকায়। অথচ একই আকারের ইলিশ প্রায় ৬০০-৮০০ টাকা কমে ভারতে রফতানি হচ্ছে।

    কম দামে ইলিশ রপ্তানি বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের কর্মকর্তা আসওয়াদুল জানান, ইলিশ রপ্তানি পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

    বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার রাতে ৭টি ট্রাকে করে ২২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে ১০ দিনে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৪৮১ টন ইলিশ।

  • মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারে গুলি, নিহত ১

    মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারে গুলি, নিহত ১

    সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওসমান নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    নিহত জেলে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। আহত ৩ জেলেও একই ট্রলারের।

    ট্রলার মালিক সাইফুল বলেন, আমার মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারে হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এসময় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। পরে পাশে থাকা ৫টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। সেখানে ৬০ জন ছিল। পরে ২ ঘণ্টা পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ছেড়ে দেন। ট্রলার নিহত ও গুলিবিদ্ধের নিয়ে টেকনাফ উপকূলের দিকে রওনা দিয়েছে।

    টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের নৌ বাহিনীরা ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝি-মাল্লাদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। তারা কূলে এলে বিস্তারিত জানতে পারব।

  • ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

    ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে রিসেট বাটন চাপার কথা বলেননি বলে দাবি করেছে তার প্রেস উইং।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

    বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস রিসেট বাটন চাপার কথা বলেছিলেন, কলুষিত রাজনীতি থেকে নতুন যাত্রা বোঝাতে। যে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, কোটি কোটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে এ দুটি শব্দ ব্যবহার করেননি তিনি।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আপনি যখন রিসেট বাটন চাপবেন তখন আপনার সফটওয়্যারটি পুনরায় সচল হবে। এটি হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। সেটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কিছু মানুষ ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের ভুল ব্যাখ্যা করছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে গত ৮ আগস্ট ঢাকায় আসার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।

    বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি গঠন করেন এবং মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা চালান। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেন।

  • মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা : শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা : শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি, ওসি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীসহ মোট ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।

    এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মাহফুজুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    মামলা দায়ের করার পর মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি। ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ায় আদালত থেকে মানহানির মামলায় জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা হয়। আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়ার সময় লাঠি ও ইটের আঘাতে তিনি আহত হন। তাকে বহনকারী গাড়ির গ্লাসও ভেঙে ফেলা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদুর রহমান ও তার সহযোগীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার মামলাটি করেন। ওই মামলায় জামিন পেতে কুষ্টিয়া আদালতে গিয়েছিলেন তিনি।

    সেদিন কুষ্টিয়ায় দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়ার পর দুপুর ১টা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

    জামিন মঞ্জুর করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগে থেকে আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। জামিন মঞ্জুরের পর তারা মাহমুদুর রহমানকে আদালতের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নিজের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে রক্তাক্ত আহত হন মাহমুদুর রহমান।

  • সারদীয় দূর্গাপূজা মন্দির পাহারায় শার্শা বিএনপি

    সারদীয় দূর্গাপূজা মন্দির পাহারায় শার্শা বিএনপি

     ঢাকের তালে আর ধুপের মৌ মৌ গন্ধে মহা ধুমধামে শুরু হয়েছে দেশের সর্বজনীন উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যেক ঘরে। হিন্দু সম্প্রদায় যে সংখ্যালঘু নয় তারা যে মুসলমানের ভাই,তারা যে এ দেশের যোগ্য নাগরীক সেটা মন্দিরে গেলেই প্রমান মিলছে।
    সকল ধর্মের, ধর্ণের,সব মানুষ প্রাণে প্রাণ মিশিয়ে মহা ধুমধামে পালন করছে এ উৎসব।শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ২৮ টি পূজা মন্ডপে এবছর সারদীয় দূর্গাপূজা উৎযাপিত হচ্ছে। নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে যেন হিন্দু সম্প্রদায় পুজা উৎযাপন করতে পারে সে জন্য শার্শা উপজেলা বিএনপি নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
    উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহীর বলেন, শার্শা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে মন্দির ও পূজা উৎসব রক্ষায় আমরা দায়িত্ব দিয়েছি।কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেন পূজা উৎসবে কেউ না ঘটাতে পারে তার জন্য প্রত্যেক ৮ ঘন্টা পর পর ২৪ ঘন্টাই পাহারার ব্যবস্থা করেছি।প্রশাসনের পাশাপাশি তারা মন্দির পাহারায় সহযোগীতা করছে।
    তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসন আমলে বার বার মন্দিরে হামলা হয়েছে।মূর্তী ভাঙচুর হয়েছে,হিন্দু সম্প্রদয়ের ভাইদের আহত করা হয়েছে। সেই আওয়ামী পেতাত্মারা আজও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু এ দেশের জনগন আর ঐ খুনি হাসিনার শাসন চাই না।মানুষ শান্তিতে থাকতে চাই।
    বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন কালে তিনি বলেন,হিন্দু ভায়েরা অনেক শান্তিতে পূজা পালন করছে। এতটা নির্ভয়ে বিগত ১৭ বছর তারা দূর্গাপূজা পালন করতে পারিনি।শার্শা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্দিরে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে শার্শা বিএনপি এ অংসংগঠন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে।
    পূজা উৎযাপন পরিষদের শার্শা উপজেলা সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রী নীল কমল সিংহ বলেন,এবার পূজায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেশ তৎপর, প্রতিটি মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মন্ডপ পাহারা দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। আমরা আসাকরি আগামী দিনেও এভাবে উপজেলা বিএনপি আমাদের সকল কাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবে।
    উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে জানানো হয়,সারদীয় দূর্গাউৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয় বড় উৎসব। এই উৎসব যেন যথাযথ মর্যাদায় তারা পালন করতে পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। প্রত্যেক মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল গুলো দলীয় সিদ্ধান্তে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে। নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে এ বছর দূর্গা উৎসব পালিত হচ্ছে।
  • সরকারি হিসাবে ডিমের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ৩০ শতাংশ বেশি

    সরকারি হিসাবে দেশে বছরে ডিমের উৎপাদন হয় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ পিস। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮০৯ কোটি ৬০ লাখ পিস। এ হিসাবে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকছে ৩০ শতাংশ। অথচ ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের সংকট দেখিয়ে প্রতিদিনই বাড়াচ্ছেন ডিমের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। খোলাবাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

    প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, দেশের পোলট্রি পণ্যের বাজারের সিংহভাগই বড় কয়েকটি কোম্পানির দখলে। তারাই মূলত বাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে। অথচ বেশি দামে ডিম বিক্রি হলেও প্রান্তিক খামারিরা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। 

    রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল ফার্মের ডিমের হালি বিক্রি হয় ৫৮-৬০ টাকা করে। যদিও সরকার নির্ধারিত দামে নিত্যপণ্যটি সর্বোচ্চ দাম হওয়ার কথা ৪৮ টাকা। গত সপ্তাহেও এসব ডিমের হালি ছিল ৫৫ টাকা করে

    বিশ্লেষকরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও দাম বাড়ছে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়া গেলে দাম কমিয়ে আনা সম্ভব। আবার সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বাড়ার প্রভাব ডিমের ওপর পড়েছে বলেও মনে করেন তারা। মৌসুমগত কারণেই এখন ডিমের চাহিদা বেশি। আর এ সুযোগে ছয়-সাতবার হাতবদল হওয়ায় উত্তপ্ত হচ্ছে ডিমের বাজার।

    কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সরকার চুপ থাকায় ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে বাজার অস্থির করছেন। নতুন সরকারের প্রথম দুই সপ্তাহে অবশ্য দাম বাড়েনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাজারে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দাম বাড়তে থাকে।’

    দেশে বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও চার কোটি পিস উৎপাদন হচ্ছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। অথচ সরকারি হিসাবে উৎপাদন হচ্ছে চাহিদার চেয়েও বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ডিমের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৮০৯ কোটি ৬০ লাখ পিস। বিপরীতে উৎপাদিত হয় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ। উদ্বৃত্ত থাকে ৫৬৫ কোটি ৩৭ লাখ পিস ডিম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাহিদা ছিল ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৪৮ লাখ, উৎপাদিত হয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৬৩ লাখ পিস। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৫৩১ কোটি ১৫ লাখ পিস।

    এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) উদ্বৃত্ত থাকে ৫৭৬ কোটি ৬৭ লাখ পিস, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯১ কোটি ৭২ লাখ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৩ কোটি ৭৯ লাখ পিস ডিম। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরেই চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন বেশি।

    চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক খামারিরা। এক্ষেত্রে বড় কয়েকটি গ্রুপের দায় দেখছেন তারা। পাশাপাশি তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দিনে চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় সাড়ে চার কোটি পিস। কিন্তু বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করছে। তেজগাঁও ডিম সমিতি মেসেজের মাধ্যমে সারা দেশে দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। মুরগির ফিড ও একদিনের মুরগির দামও নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। ফলে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তাই ডিমের দাম কমাতে হলে সবার আগে এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’

    ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আমান উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের তেজগাঁও থেকে দিনে মাত্র ১৪-১৫ লাখ ডিম সরবরাহ করা হয়। কাজেই এখান থেকে দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই। আমরা মেসেজের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করি না। কেউ এমনটা করে থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’

    দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘এখন বৃষ্টির সময়, এ সময় ডিমের চাহিদা এমনিতেই বেশি থাকে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে ফার্ম থেকে ডিম সরবরাহ করতে পারেননি। তবে আগামী দু-এক মাসে বাজারে শীতের সবজি এলে ডিমের দাম কমে আসবে।’

    চাহিদার তুলনায় গত কয়েক অর্থবছরে বেশি উৎপাদন হওয়ার পরও দিন দিন বেড়েছে ডিমের দাম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক খুচরা বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের বাজারে ডিম বিক্রি হয়েছে ২৭ থেকে ৩০ টাকা হালি। ২০২২ সালের মে মাসে এসে হালিপ্রতি দাম দাঁড়ায় ৩৭ থেকে ৪২ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বরের বাজারমূল্যের তালিকায় দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।

    গত বছরের মে মাসের বাজারমূল্যে দেখা যায়, হালিপ্রতি ডিমের বাজারদর বাড়ে আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই সময় বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৪৭ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর অক্টোবরে গিয়ে এ দাম আরো বেড়ে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ফার্মের ডিমের হালি ৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

    চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও দাম নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার পেছনে বাজার ব্যবস্থাপনার বড় সমস্যা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মনিটরিং জোরদারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বাপন দে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রতি পিস ডিমে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩-৪ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। কারণ বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক না। ছয়-সাতবার ডিম হাতবদল হচ্ছে। আর প্রতিজনই লাভ নিচ্ছেন। ফলে উৎপাদনকারী কম লাভ পাচ্ছেন, কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন। তবে মাছ-মাংস ও সবজির দাম বাড়ার প্রভাবও কিছুটা পড়েছে ডিমের ওপর। আর চাহিদা বাড়লে ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতাও বেড়ে যায়।’

    ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে বন্যাকে সামনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক এ বন্যা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বন্যায় দেশে ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষতির মধ্যে পোলট্রি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল মাত্র ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকরাও বলছেন, বন্যায় পোলট্রি খাতের কিছুটা ক্ষতি হলেও তা সারা দেশে প্রভাব ফেলার মতো ছিল না।

    ডিমের বাজার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পেছনে কাজী ফার্মস পোলট্রি ফিড অ্যান্ড হ্যাচারিসহ বড় কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয় বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে দায়ী করা হয় ‘ভুল’ সরকারি পরিসংখ্যান এবং সরবরাহ সংকটকে। এ বিষয়ে কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডিম নিয়ে সরকারি হিসাব সম্পূর্ণ ভুল। সরকারি সংস্থা বা সরকার যখন উৎপাদন দেখায় তখন সবসময় বেশি বেশি দেখায়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও দেখা যায় উৎপাদন বেশি, তার পরও দেখা যায় দেশে নেই বলে আমদানি করতে হয়। তখন বলা হয়, পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে ডিমের দৈনিক উৎপাদন সাড়ে তিন কোটির মতো। সারা দেশে একসময় দৈনিক সাড়ে পাঁচ কোটির মতো উৎপাদন হয়েছে। সেটা দিয়ে আমাদের চাহিদা মেটানো গেছে। প্রায় পাঁচ কোটি সবসময়ই উৎপাদন হতো, কিন্তু এখন এটা সাড়ে তিন কোটি। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।’

    সরবরাহ সংকটের কোনো খবর অবশ্য সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে নেই। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তখনো সংস্থাটির কাছে দেশে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন বেশি থাকার তথ্য ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

    বাজারে ডিমের যৌক্তিক দর নির্ধারণের কাজটি সম্পাদন করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে করি না। চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য নিয়েই আমরা দাম নির্ধারণ করেছি। তবে দাম কেন মানা হচ্ছে না তা জানার জন্য মঙ্গলবার (আজ) আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ যৌথ টিম গঠন করা হয়েছে, যেখানে ভোক্তা অধিকার ও আমাদের লোকজনও থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বাজারে তারা মনিটরিংয়ের কাজ করবে।’

    বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে ইলিশের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এখন ডিমের বাজারও বেসামাল। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম আমিষ থাকে। যার বাজারমূল্য গতকাল ছিল ১৪-১৫ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষের আমিষের জোগানেও টান লেগেছে।

    এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।

  • টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপি নেতা

    টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপি নেতা

    আটককৃত বিএনপি নেতা

    নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাতে কেন্দুয়া থানার এসআই জিয়াউল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। শুক্রবার সকালে হাসেম ভূঁইয়াকে ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।আবুল হাসেম ভূঁইয়া পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বর ভূঁইয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
    টিসিবি পণ্য বিতরণের বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শুক্রবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক তালুকদার।
    পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, গত বুধবার (২ অক্টোবর) পাইকুড়া ইউনিয়নের মিয়া হোসেন মার্কেট এলাকায় মেসার্স আয়েশ ট্রেডার্স নামে একটি পরিবেশক টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে যান। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্রভাব খাটিয়ে এসব পণ্য ভাগাভাগি করে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সেনাবাহিনী জানতে পারে।
    বৃহস্পতিবার সকালে মদন অস্থায়ী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে যৌথবাহিনী বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার ঘর থেকে টিসিবির ১৮০ কেজি চাল, ৭০ কেজি মসুর ডাল ও ৭২ লিটার সয়াবিন তেলসহ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, টিসিবির পণ্যসহ আটক পাইকুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে শুক্রবার সকালে নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

     ‘বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব খুশি’

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ঢাকায় তার পুরনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি খুব খুশি। বৈঠকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং বিগত সরকার কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।

    প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তারা একই গাড়িতে চড়ে দ্বিপাক্ষিক ভেন্যুতে গিয়েছিল-তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের প্রকাশে।

    তার আগে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

  • রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।  পোস্টে, আওয়ামী লীগের বিচার ও দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তনসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    এর আগে গেল ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে রদবদল চলছে।

  • আয়নাঘর: গুমের ঘটনায় ৪০০ অভিযোগ জমা

    আয়নাঘর: গুমের ঘটনায় ৪০০ অভিযোগ জমা

    গুম করে রাখা হতো আয়নাঘরে।

    গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই), ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে।

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অনুসন্ধান কমিশনের সভাপতি ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যারা গুম হয়েছেন তাদের অভিযোগগুলো নিয়েই আমরা কাজ করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরও আমরা ডাকব। বক্তব্যের জন্য সমন দেব। অভিযুক্তরা না আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র‍্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে। ২৫ সেপ্টেম্বর আমরা ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। ১ অক্টোবর আমরা ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছি। তবে সেখানে কোনো বন্দী আমরা পাইনি। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সেখানে থেকে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

    এর আগে ২৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

  • বাতিল হচ্ছে  সাইবার নিরাপত্তা আইন

    বাতিল হচ্ছে  সাইবার নিরাপত্তা আইন 

    আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

    সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে বিশিষ্টজনদের আশ্বস্ত করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

  • বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পেতে যাচ্ছে ভিআইপি সেবা

    বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পেতে যাচ্ছে ভিআইপি সেবা

    হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন,  আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের জন্য ভিআইপি সেবা চালু হবে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা।

    আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহের ও উৎসাহের ভিত্তিতে আমাদের যারা রেমিটেন্স যোদ্ধা আছে তাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দিব। একজন ভিআইপি যখন বিমানবন্দরে যায় তখন তাদের সঙ্গে লাগেজ এবং চেকিংকের জন্য একজন থাকে, ইমিগ্রেশান করার সময় পাশে একজন থাকে। প্রত্যেকটা স্তরে আমরা অনুরুপ সেবা চালু করব।

    প্রবাসী উপদেষ্টা বলেন, প্রথম স্তরে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে টার্গেট করেছি, ইউরোপ পরে করব। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অধিকাংশ শ্রমবাজার। প্রথম স্তরে মধ্যপ্রাচ্যে যে সমস্ত শ্রমিক যাচ্ছে ওনারা যখন ফেরত আসবে একজন ভিআইপি যে রকম সেবা পান সেটা পাবেন। আমরা লাউঞ্জ ব্যবহার করার চিন্তা করছি। এটা অনেক পরের কাজ।

    তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে একটা ইমিগ্রেশানে কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার জন্য কর্তৃপেক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্রত্যেকটা স্তরে পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মী। দরকার হলে আমরা আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষত কর্মী নিয়োগ করব। সেটা আমরা দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করব।

    আসিফ নজরুল বলেন, একজন প্রবাসী যেন কোনো অবস্থাতে হয়রানির স্বীকার না হোন। অপরাধ বোধ মনে না করেন এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্ট।

  • গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার

    গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় জমা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে (২০২৪) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

    এতে বলা হয়েছে, তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

    প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে-

    (ক) শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    (খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।

    (গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।

    (ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।

    (ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।

    (চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কি না তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

    গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শহীদদের মধ্যে যদি কারো নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।

  • দেশে নতুন করে ৮৬৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ২

    দেশে নতুন করে ৮৬৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ২

    নতুন করে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো ২ জনের

    রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৬৬ জন।

    সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৭, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৭০, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৮, খুলনা বিভাগে ৮৫ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ১২ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

    এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৯১৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৯৫ জন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২৪ হাজার ৯০০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। এছাড়াও গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

  • অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

    অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

    বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনগণের সরকার। জনগণ এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই জুলাই বিপ্লবে অসংখ্য ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছে। তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

    সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জে বিএনপির জনসমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আগামীতে ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা হিসেবে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে। শহীদদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে আমরা তা নির্দিষ্ট করব, আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড প্রত্যেকটি পরিবারকে করে দিব। এই ফ্যামিলি কার্ডটি হবে পরিবারের মায়ের অথবা গৃহিণীর নামে। এই কাজটি প্রথমে  গ্রাম থেকে তারপর আস্তে আস্তে শহর থানা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে করবো।  এই ফ্যামিলি কার্ডে একটি পরিবারের মাসিক প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কিছু অংশ এই কার্ডের মাধ্যমে  পাওয়া যাবে।

  • দুর্গাপূজায় ভারত যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ

    দুর্গাপূজায় ভারত যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ

    সন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

    আদেশে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রপ্তাণিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলীপূরণ সাপেক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।

    সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন -৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) আবেদন করতে বলা হয়েছে। এরপর আর আবেদন নেওয়া হবে না। তবে যারা আগে আবেদন করেছেন তাদের আর নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই।

    নতুন সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি করবে কী না- এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত এল। সাধারণত ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে থাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে না এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছিলো।