Category: জাতীয়

  • কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত

    কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত

    ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা, তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়।

    ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর (২৯ আশ্বিন) বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জের রেডক্রস হাসপাতালে জন্ম গ্রহন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর। পিতা ডাঃ শেখ ওয়ালীউল্লাহ (১৯৩০-১৯৯৬), মাতা শিরিয়া বেগম (১৯৩৯ – ২০০৪)। পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত সাহেবের মেঠ গ্রামে। ১০ ভাই-বোনর মধ্যে ছিলেন রুদ্র সবার বড়।

    বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দিবসটি উপলক্ষে কবির পৈতৃক বাড়ি মোংলার মিঠেখালীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘রুদ্র স্মৃতি সংসদ’। সকাল ৯টায় মিঠাখালী বাজার থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে কবির মাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পরে সেখানে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের অনুজ সাংবাদিক সুমেল সারাফাত, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম শেখসহ রুদ্র স্মৃতি সংসদ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা।

    ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তার কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন- ‘দিন আসবেই- দিন সমতার’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্র প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তরজুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।

    মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    শৈশবের অধিকাংশ সময় তাঁর কেটেছে নানাবাড়ি মিঠেখালি গ্রামে (বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত)। এখানকার পাঠশালাতেই তাঁর পড়াশুনা শুরু। ১৯৬৪ : দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন সাহেবের মেঠ গ্রামে তাঁর নানার নামে প্রতিষ্ঠিত “ইসমাইল মেমোরিয়াল স্কুল”-এ।

    উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান। কিশোর শহিদুল্লাহ যোগ দেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণআন্দোলনের কর্মসূচিতে। হরতাল, মিছিল, মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।

    উল্লেখ্য, মৃত্যুর ৩২ বছর পরে এবছরের গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত অন্যান্যদের সঙ্গে ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নাম প্রকাশ করা হয়।

  • এইচএসসিতে পাসের হারে যশোর বোর্ডে তৃতীয় সাতক্ষীরা

    এইচএসসিতে পাসের হারে যশোর বোর্ডে তৃতীয় সাতক্ষীরা

    এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের পাসের হার বিবেচনায় বোর্ড সেরা হয়েছে যশোর জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাতক্ষীরাে, এ  জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৭০ দশমিক ১১ শতাংশ।

    আর তলানিতে রয়েছে মেহেরপুর জেলা।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) যশোর বোর্ডে ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

    ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, যশোর জেলায় পাস করেছেন ১৫ হাজার ১০ জন শিক্ষার্থী অর্থাৎ পাসের হার ৭২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পাশের হারে শীর্ষে যশোর জেলা। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় পাশের সংখ্যায় এগিয়ে খুলনা জেলা। সেখানে পাস করেছে ১৬ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী এবং পাসের হার ৭১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

    এছাড়া বাগেরহাট জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৫ দশমিক ০৪ শতাংশ, সাতক্ষীরা জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৭০ দশমিক ১১ শতাংশ, কুষ্টিয়া জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মেহেরপুর জেলায় পাস করেছে ২ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, নড়াইল জেলায় পাস করেছে ৩ হাজার ৪৯৩ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৬১ দশমিক ২৭ শতাংশ, ঝিনাইদহ জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৩৫১ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, মাগুরা জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৮ দশমিক ২৩।

    যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ২০২০-২১ সালে করোনাকালে প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়টাতে ইংরেজিতে একটু লার্নিং গ্যাপ রয়ে গিয়েছে। যার ফলে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। তবে এ বছর জিপিএ ৫ এ তারা এগিয়ে রয়েছে।

  • ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

    ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

    উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

    এদিকে ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

    অভিযানে ডিমের দাম তেমন একটা কমেনি, বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

    রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

  • শিগগিরই বড় হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদের আকার

    শিগগিরই বড় হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদের আকার

    ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার শিগগিরই আরো বাড়তে পারে।

    জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা উপদেষ্টা পরিষদে আসতে পারেন। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক এবং দুজন সাবেক সচিব অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।

    অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্প্রতি তৃতীয় দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে দ্রুত নির্বাচন কিংবা নির্বাচন কবে হবে, সেই রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো চাপ দিয়েছে।

    যদিও সরকারের তরফ থেকে আগেই বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের জন্য যে কমিশন গঠন করা হয়েছে তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারো আলোচনার পর নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হবে।

    তবে রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, সংস্কারসহ অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনে উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। ফলে শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদে তিন-চারজন নতুন উপদেষ্টা যুক্ত হবেন।

    আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী দল থেকে পদত্যাগের পর আলোচনা হচ্ছে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হতে পারেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের উচ্চ পদে নিয়োগের বিষয়ে তিনি অনেকের কাছে শুনেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানেন না।

    তিনি বলেন, আমাকে রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হলে পালন করতে সমস্যা নেই।

    দল থেকে পদত্যাগের বিষয়ে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি। এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আহ্বায়কের পদ ছেড়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন।

    অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারের সদস্যসংখ্যা ছিল ১৭। এরপর এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত ১৬ আগস্ট আরো চারজন উপদেষ্টা যুক্ত করা হয়।

    তবে আলোচনায় ছিল গত ১৬ আগস্ট পাঁচজন উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এর পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারে আরো নতুন উপদেষ্টা যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, স্বাভাবিকভাবে একটা সরকার যে কাজ করে, সেটা তো করছেই। এর সঙ্গে সংস্কারের জন্য আরো কিছু উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে কাজ তো অনেক। এই চাপটা যদি আরো কয়েকজন শেয়ার করেন, তাহলে তারা সহজে আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।

    ‘তাই আমার মনে হয়, সরকারে আরো কয়েকজন উপদেষ্টা যুক্ত হলে ভালোই হবে। তবে এটা প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদ ভালো বলতে পারবে।’

    আলোচনায় যেসব মন্ত্রণালয়

    সরকারের মন্ত্রণালয়-বিভাগ রয়েছে ৫৮টি। এসব মন্ত্রণালয়-বিভাগে সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ৪৫ জন। একাদশ সংসদের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ছিলেন ৪৭ জন। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ সরকারের আমলে উপদেষ্টার সংখ্যা ছিল ১৬।

    এরপর নানা কাজের সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে গঠন করা অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা আছেন ২১ জন।

    স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বর্তমান সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক কাজ। একই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়েও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এর মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগের অনেক রাজনৈতিক প্রকল্পসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ আছে।

    এদিকে তিনটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন অর্থ ও বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে সালেহউদ্দিন আহমেদ; আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সহজে কাজ করার জন্য এসব মন্ত্রণালয়ে নতুন মুখ যুক্ত হতে পারে। আবার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতেও পরিবর্তন আসতে পারে।

  • ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

    ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

    টানা ২২ দিনের জন্য নদী ও সাগরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হয়েছে আজ থেকে। এই সময়ের মধ্যে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে দিয়ে এ বছরের ইলিশের মৌসুম শেষ হচ্ছে।

    মৎস্য অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০’ এর ধারা ৩(২) মোতাবেক বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় ইলিশসহ সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হলো।

    এরই ধারাবাহিকতায় ইলিশের বাড়িখ্যাত চাঁদপুরের মতলবের ষাটনল থেকে লক্ষীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার অভয়াআশ্রমে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি টহল শুরু করেছেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।

    শনিবার বিকেলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে চাঁদপুরে র‍্যালি ও সচেতনতামূলক সভা হয়েছে। চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা মোলহেডে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

    জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নিজের বাড়িতে নিজে যদি নিরাপদ থাকি তাহলে ইলিশের বাড়িতে ইলিশ কেন নিরাপদে থাকবে না। আমাদের দেখাতে হবে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ইলিশ নিরাপদ। আইনের প্রয়োগ করতে আমরা চাচ্ছি না। আমরা চাই, নিজের সম্পদকে নিজেরা রক্ষা করবেন। ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় সম্পদ। নিজের সম্পদকে কেন ধ্বংস করবেন। ইলিশ যেহেতু রাষ্ট্রের সম্পদ, আপনার স্বার্থ থাকবে রাষ্ট্রের জন্যে। দেশের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার।’

    জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ভুল করলে মাফ পাওয়া যায়, কিন্তু অপরাধ করলে মাফ পাওয়া যাবে না। ২২ দিন নদীতে মাছ ধরলে তা অপরাধ হবে। চাঁদপুরের সবগুলো বরফ কল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদীতে যাত্রী পারাপার ছাড়া কোন স্পিডবোট চলবে না। চুরি করে যে মাছ বাজারে বিক্রি করবেন, সে বাজারগুলোতে আমরা মনিটরিং করবো।’

    মাছ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চাঁদপুরে ইলিশের দাম কমাতে হবে। সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসতে হবে। ইলিশ মাছ উৎপাদনে কারও কোন বিনিয়োগ করতে হয় না, তাহলে কেন ইলিশের দাম বাড়বে। আপনাদের লোভ কমাতে হবে।’

    জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে কেউ নদীতে নামলে এক কিংবা দুই বছরের জেল এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

  • ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৬০

    ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৬০

    শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৬০ জন।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১, খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০, রংপুর বিভাগে ১৭ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

    এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৬৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪২ হাজার ৪৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। এছাড়া গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

  • দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

    দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

    দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের ইলিশের স্বাদ দিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি আদেশ পেলেও শেষমেষ বেনাপোল দিয়ে গেল ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ। এবার সরকারের দেওয়া রপ্তানি আদেশের মাত্র ২২ ভাগ ইলিশ ভারতে গেল। সময় স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

    বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেন অন্তবর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২৩ সালে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৪২ টন। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রতিবারই এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা রপ্তানির অনুমতি পেলেও মাছ রপ্তানি করেন না। তারাই আবার পরের বছর অনুমতি পেয়ে যান। জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতিবছর এ ঘটনা ঘটলেও দেখার কেউ নেই।

    রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইলিশ চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ আর বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া অনুমতির মধ্যকার সময় স্বল্পতার কারণে পুরো ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি। পূজা শুরুর পর ভারতীয় অংশে আমদানি বন্ধ এবং রপ্তানির জন্য হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন থাকায় ইলিশ রপ্তানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বছরই কেবল নয়, বিগত পাঁচ বছরেও রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পুরো ইলিশ পাঠানো যায়নি।

    এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৮শ’ থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১২শ’ টাকা কেজিতে। এটি কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না। ইলিশ রপ্তানির খবরে বেনাপোলসহ আশপাশের এলাকার বাজারগুলোতে ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাগামহীন দাম বাড়ানোয় সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে রসনাবিলাস বাঙালির জাতীয় মাছ ইলিশ। চড়া দামের কারণেই মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের অধিকাংশের পাতে ওঠেনি ইলিশ।

    ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের রেজাউল জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বেনাপোল থেকে সড়ক পথে ভারতে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকে। তবে শনিবার খোলা থাকে। অন্যদিকে রোববার আবার মাছ আমদানি বন্ধ রাখে ভারত। সপ্তাহের এই দু’দিন বাদ দিলে ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১২ দিন ভারতে ইলিশ পাঠানোর সুযোগ পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকার সমান। কিন্তুু বাজারে এক হাজার ৮০০ টাকার নীচে মাছ কেনা যায়নি। তাছাড়া বড় বড় মোকামে মাছ সংকটও ছিল।

    বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হয়। ১২ দিনে এ বন্দর দিয়ে ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পেরেছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠান কোন ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

  • আবারও সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

    আবারও সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

    আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    রোববার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম অঞ্চল ব্যতীত বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুঙ্ক থাকতে পারে।

    সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

  • মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি : রাষ্ট্রপতি

    মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি : রাষ্ট্রপতি

    দেশকে এগিয়ে নিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি।।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গভবনে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই। সবাই এক এবং অভিন্ন সত্তা। ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

    তিনি বলেন, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে বিদ্যমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে।

    সাহাবুদ্দিন বলেন, সমগ্র বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ পরিস্থিতির কারণে মানবতা আজ বিপর্যস্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পুরো বিশ্ব অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া দেশের বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    পরোপকারের মহান ব্রত নিয়েই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের এ সংকটকালে সহায়-সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

    অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে সকল অতিথির সাথে কুশল বিনিময় করেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

  • মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন বিভিন্ন বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য: র‌্যাব

    মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন বিভিন্ন বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য: র‌্যাব

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুরের তিনরাস্তা মোড় সংলগ্ন ‘আবু কোম্পানির বিল্ডিং’ নামে পরিচিত একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যৌথবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।

    র‍্যাব জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, নগদ ৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।

    লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য।’ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

  • সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি

    সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি

    পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, অপরাধ করলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে শারদীয় দুর্গাপূজার পর সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। কাউকে রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

    শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ প্রধান।

    আইজিপি বলেন, যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা মুষ্টিমেয়। আমরা যদি একতাবদ্ধ থাকি এই সংখ্যা কোনো সংখ্যাই না। গতকালের ঘটনাই তার প্রমাণ। আমরা কিন্তু তাদের ধরেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    সুতরাং যারাই কোনো অপরাধ করতে চাইবে তাদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেটুকুভাবে আশ্বস্ত করতে চাই।

    পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা পূজার পর ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সবগুলো নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করব। মাঝে মাঝে আপনাদের যে শঙ্কা তৈরি হয় এবং আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসে আমরা সেগুলোকে আমলে নিতে চাই।

    আমরা যেন আইন-শৃঙ্খলা অবনতির ঘটনাগুলো প্রতিহত করতে পারি।

    চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ সকল অপরাধের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমি বলব কোনো সংবাদ যদি সেনসেটিভ মনে হয়, তবে সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। সেটা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানছেন অথবা অন্যভাবে জানছেন। সেটা আমাদের জানান। আপনার পরিচয় গোপন করে জানান।

    সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অথবা চাঁদাবাজি যেটাই হোক না কেন, চুপ করে দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কি না। আমরা আপনাদের পাশে আছি, সবার পাশে আছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই।

    এ সময় ঢাকা মহানগর কমিশনার মাইনুল হাসান এবং মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • মোদির দেওয়া মুকুট উদ্ধার করতে পারলেই পুরস্কার

    মোদির দেওয়া মুকুট উদ্ধার করতে পারলেই পুরস্কার

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় চোর ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানকারীকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

    শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।

    ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি: চোরকে ধ‌রি‌য়ে দিতে বা কোনো সন্ধান বা শনাক্তে সাতক্ষীরা জেলা পু‌লি‌শকে সহায়তার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পু‌লিশ সুপার সাতক্ষীরা মহোদয় মুকুটের সন্ধানকারীকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত ক‌রিবেন।

    এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণের মুকুটটি চুরি হয়। এ ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি সেখানে সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়ি যান। এ সময় মন্দির প্রাঙ্গণে রেখাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে।

    সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকার বলেন, দুপুরে একটি অন্নপ্রাশনের পূজা শেষ করে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি আমার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর আমি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য পাশের টিউবওয়েলে যাই। পরে সেখান থেকে ১ থেকে ২ মিনিট পরে এসে দেখি প্রতিমার মাথার মুকুটটি নেই। পরে আমি মন্দিরে থাকা সবাইকে বিষয়টি জানাই।

    শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় জড়িতকে ধরতে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে।

  • ঝিকরগাছার পল্লীতে নগদ টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও;থানায় অভিযোগ স্বামীর

    ঝিকরগাছার পল্লীতে নগদ টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও;থানায় অভিযোগ স্বামীর

    যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুরের স্বামীর বাড়ির নগদ ২১ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন ফরিদা খাতুন (৪২) নামের ৩ সন্তানের জননী।
    এদিকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুমরি গ্রামের মৃত হাতেম গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা।
    অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,পাশ্ববর্তী কলারোয়া কেরালকাতা ইউনিয়নের মিস্ত্রি মোড় গ্রামস্থ মৃত আব্দুল হামিদের বড় মেয়ে ফরিদা খাতুনের সাথে ঝিকরগাছা কুমরি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। গোলাম মোস্তফা স্ত্রী ফরিদা খাতুন বাড়িতে থাকা অবস্থায় ইচ্ছা মত চলাফেরা করতো।এতে বাধা প্রদান করতে গেলে গোলাম মোস্তফ ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন ঝগড়া ও দন্দে জড়াত।এমন্তাস্থায় গত ৬/১০/২৪ তারিখে ফরিদা খাতুন কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে নগত ২১ হাজার টাকা সহ তার ব্যবহৃত জামা কাপড় নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
    এমন্তবস্থায় গোলাম মোস্তফা তার স্ত্রীকে খুজে ফিরে পেতে ব্যার্থ হয়ে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
    ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ইব্রাহিম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্তের জন্য থাকার একজন  এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • দুইদিনের সফরে আজ সাতক্ষীরায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

    দুইদিনের সফরে আজ সাতক্ষীরায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

    দুই দিনের সফরে আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সাতক্ষীরায় আসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন উপদেষ্টা এই প্রথম সাতক্ষীরায় আসছেন।

    সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর এটি একটি সরকারি সফর। উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সচিব (যুগ্মসচিব), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাঁর সফরসঙ্গী হবেন।

    সফরসূচী অনুযায়ী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বেলা ২টার সময় সাতক্ষীরা জেলার উদ্দেশ্যে ঢাকা হেয়ায় রোডস্থ সরকারি বাসভবন ত্যাগ করেছেন। সন্ধ্যা ৬টায় তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাস্থ বিভিন্ন পুজামন্ডপ পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

    এরপর শনিবার (১২ অক্টোবর) সাতক্ষীরা জেলাস্থ বিভিন্ন উপজেলার পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করবেন। এদিন বিকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করবেন।

  • দীপ্ত টিভি কর্মকর্তার হত্যায় বিএনপি নেতার নাম

    দীপ্ত টিভি কর্মকর্তার হত্যায় বিএনপি নেতার নাম

    রাজধানীর রামপুরায় ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান তামিমকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে তামিমের পরিবার।

    আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. রুহুল কবির খান।

    গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মো. আব্দুল লতিফ (৪৬), মো. কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)।

    মো. রুহুল কবির খান বলেন, এ হত্যার ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মামুন এবং বিএনপি নেতা ও প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কর্ণধার শেখ রবিউল আলম রবির প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

    ডিসি মো. রুহুল কবির খান বলেন, জমির মালিককে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পাঁচটি ফ্ল্যাট দেয়ার চুক্তি থাকলেও, তারা দুটি হস্তান্তর করেছে। বাকি তিনটির মধ্যে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মামুনের শ্বশুরের কাছে বিক্রি করে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিসের কর্ণধার শেখ রবিউল আলম। ফ্ল্যাটটি তারা অবৈধভাবে জবরদখল করে রেখেছিল। যা নিয়ে গত তিন বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে অভিযুক্তরা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফ্ল্যাটে অতর্কিত হামলা করলে দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তানজিল ইসলাম জাহান তামিম গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির খান বলেন, আমরা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নিচ্ছি না, আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যেই হোক, তার দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেব।

    এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় শুরুতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবীর বলেন, ‘হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব অবহেলার কারণে ইতোমধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি।’

    জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডের ডি-ব্লকের বাড়ির আটতলার একটি ফ্ল্যাটে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই লোকজন তামিমকে উদ্ধার করে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • মানুষ দ্রুত অ্যাকশন দেখতে চায়

    মানুষ দ্রুত অ্যাকশন দেখতে চায়

    বাংলাদেশে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পার না হতেই নানা বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনা সামনে এসেছে। এগুলো শুধু আলোচনা কিংবা সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নানামুখী চাপ তৈরি করছে বলে অনেকে মনে করেন।

    পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার থেকে লাভ করেছে। অন্যদিকে কিছু ইস্যু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন করে সামনে এসেছে।

    লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক মুশতাক খান মনে করেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।

    ‘মানুষ কিছু অ্যাকশন দেখতে চায়, তাতে সবকিছুর সমাধান হবে না। এখানে যে কোনো সেক্টরে হাত দিলেই আপনি দেখবেন অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের কোনো শেষ নাই,’।

    ‘আপনি এমন কিছু করবেন না যা পরে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বড় বড় কয়েকটা কাজ করতে হবে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে একটা পরিবর্তন আসছে।’

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া।

    গত পাঁচই অক্টোবর বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

    শুধু সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সুদের হার বাড়িয়ে তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু এ বিষয়টি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    ‘যেসব বড় সিন্ডিকেটের মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে আছে এবং তারা সে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, আপনাকে সে টাকায় হাত দিতে হবে।’

    গার্মেন্টস খাত
    নানা দাবিকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের আন্দোলন এখনো বিক্ষিপ্তভাবে চলছে। এই আন্দোলনের ব্যাপকতা প্রথম দিকে আশুলিয়া এবং গাজীপুরে ছিল। আশুলিয়া এলাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও গাজীপুরে এখনো বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চলছে।

    প্রায়শই কোন না কোন ফ্যাক্টরিতে অস্থিরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আশংকা করছেন, এ পরিস্থিতি আবারো যে কোন সময় বড় আন্দোলনের দিকে রূপ নিতে পারে।

    সরকারের তরফ থেকে ক্রমাগত পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলা হলেও এটি পুরোপুরি স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করেন অনেকেই।

    বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক বর্তমান পরিস্থিতিকে পোশাক খাতের জন্য একটা ‘বড় ধাক্কা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    ‘বারো থেকে পনেরো দিন প্রচুর ফ্যাক্টরি বন্ধ থেকেছে। একেবারে বন্ধ। কেউ কেউ আবার ধরেন দুপুর পর্যন্ত চালাতে পেরেছে এরপর পারেননি। এগুলো তো পুরাটাই লস। এর চাইতে বড় লস যেটা হচ্ছে- সেটা হলো আমাদের যারা ক্রেতা তারা তো সরে যাচ্ছেন’।

    বাস্তবতাটা হলো অন্তত শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অর্ডার ডিসেম্বরের মধ্যে সরে যাবে।”

    তিনি বলেন, পোশাক খাতে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতে, পাকিস্তান এমন কী মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে।

    সড়কে বিশৃঙ্খলা
    গত দুই মাসে ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে প্রতিদিন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে যেতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে।

    যানজটে নাকাল মানুষ প্রতিদিনই ফেসবুকে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন। গত পাঁচই অগাস্টের পর অনেকের মনে প্রত্যাশা ছিল যে সড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা কাটিয়ে হয়তো শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

    কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটিও নিয়েও রয়েছে নানা বিশ্লেষণ।

    কেউ বলছেন, ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। কেউ বলছেন, পুলিশের শিথিলতার কারণে ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

    গত ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি সে বৈঠকে বলেছিলেন, ‘আমাদের যানজট নিরসন হবে। অবিলম্বে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’

    প্রশাসনে অস্থিরতা
    জনপ্রশাসনে অস্থিরতা এবং এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় আকারে ঘুষ লেনদেনের খবর প্রকাশিত হয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে।

    সেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং একজন যুগ্ম সচিবের মধ্যে কথিত হোয়াটস্অ্যাপ বার্তা চালাচালি নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে।

    জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কেন্দ্র থেকে মাঠ প্রশাসনে নীরব অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে গোটা প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

    রাজনৈতিক বিতর্ক
    রাজনৈতিক বিতর্ক যেন অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দৃশ্যমান হয়েছে।

    নিউ ইয়র্ক সফরকালে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিটিয়েটিভ-এর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে গণঅভ্যুত্থানের পেছনে মূল কারিগর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন, যেটিকে অনেক ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে অনেকে মতামত প্রকাশ করেন যে এই আন্দোলন জনগণের স্বতঃ:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে, যার সামনের সারিতে ছিল ছাত্ররা। রাজনৈতিক দলগুলোও দাবি করছে, এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা কম নয়।

    আরেকটি বিতর্কে বিষয়ে হচ্ছে ‘রিসেট বাটন’। ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিটিয়েটিভ-এর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, তারা (তরুণরা) বলেছে ‘রিসেট বাটন’ চেপেছে এবং পুরাতন বিদায় নিয়েছে।

    একই কথা তিনি বলেছেন, ভয়েস অব আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে। এ বিষয়টি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়।

    এই রিসেট বাটন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এতদূর গড়িয়েছে যে অনেকেই তাদের ফেসবুক পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখছেন ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’। অর্থাৎ, ‘ইউনূসকে হটাও’। অনেকেই বলছেন, চাইলেই অতীত মুছে দেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে। ১০ই অক্টোবর তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতি দিয়েছেন।

    সে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি। এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ যখন কোনও ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।”

    ‘দ্রুত অ্যাকশন প্রয়োজন’
    অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেজন্য মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। মানুষ চায় দ্রুত কিছু পরিবর্তন আসুক। কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। এসব দাবি মেটানোর জন্য ক্ষমতা, প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং লোকবল নেই।

    ‘ওনারা একটা নরমাল সরকারে মতো ব্যবহার করছে, কিন্তু আসলে ওনারা বিপ্লবী সরকারের মতো। তারা ক্ষমতায় এসেছে মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে। এখন মানুষ অ্যাকশন দেখতে চায়।’

    তিনি বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচিত কিছু ‘ইপ্লিমেন্টশন কমিটি’ করা। এতে করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দ্রুত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

    ‘কোনো কোনো জায়গায় তারা ধীরে সুস্থে এবং চিন্তাভাবনা করে কাজ করার চেষ্টা করছেন। এটা একদিক থেকে ভালো। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় দ্রুত কিছু অ্যাকশনের প্রয়োজন ছিল’।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা।

  • পূজা উদযাপন কমিটির আমন্ত্রণে মণ্ডপে যান শিল্পীরা

    পূজা উদযাপন কমিটির আমন্ত্রণে মণ্ডপে যান শিল্পীরা

    চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার অনুরোধ এবং আমন্ত্রণে জেএমসেন হল মণ্ডপে ইসলামী ভাবধারার সংগীত পরিবেশন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

    গতকাল জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে ইসলামী ভাবধারার সংগীত পরিবেশন করে চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমি নামে একটি সংগঠনের ছয় শিল্পী। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

    পরবর্তীতে পুলিশ গান পরিবেশনকারী দুই শিল্পীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রইছ উদ্দিন।

    তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিদিনের মতো জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপে শিল্পীদের মাধ্যমে সন্ধ্যার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পূজা মণ্ডপে আসেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন।

    ইতোপূর্বে পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ঘটনার সময় ওই সংগঠনের সদস্য শহীদুল করিম, মো. নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ইকবাল, রনি, গোলাম মোস্তফা ও মো. মামুন পূজার অনুষ্ঠানে আসেন এবং একটি ইসলামিক গজল ও একটি বাউল গান পরিবেশ করেন।

    তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে একটি গানের ভাষায় শব্দ চয়ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা দুটি গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়াসহ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপ-কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, এই দলকে আমন্ত্রণ জানানো পূজা উদযাপন কমিটির নেতা সজল দত্তকেও খোঁজা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

  • কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর সরকার— জ্বালানি উপদেষ্টা

    কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর সরকার— জ্বালানি উপদেষ্টা

    কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর সরকার। আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ কম। যা মাত্র ২ শতাংশের কাছাকাছি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে টেকসই উদ্যোগের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে বড় পরিসরে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। 

    আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল দশটায় র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম. ফাওজুল কবির খান। 

    প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, উদ্যোক্তা হিসেবে এবং ব্যবসা হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা কীভাবে পণ্য উৎপাদন করি। সবচেয়ে কম খরচে উৎপাদন করাটাই কেবল বিবেচ্য বিষয় নয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তব ঝুঁকি যা আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার। আমাদের এটিকে কেবল কমপ্লায়েন্স ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় বরং সঠিক ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংলাপ, সহযোগিতা এবং কার্যকরী কৌশলসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত এবং ত্বরান্বিত করার জন্য সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৪৫০ জন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।