Category: জাতীয়

  • নিষিদ্ধ লীগ নেতা-কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর

    নিষিদ্ধ লীগ নেতা-কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর

    রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই বৈঠক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠা মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা সেখানে এসব ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ওই মামলার তদন্ত করছে। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

    এই মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। ‘তারা প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’, ‘প্রজন্ম ৭১’, ‘শেখ হাসিনা’সহ বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সদস্য। একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ওই গোপন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি বাসা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা-পুলিশ। ওই দিন একই এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী শামীমা নাসরিনকে (শম্পা) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ১৩ জুলাই ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সোহেল রানা ও শম্পাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়।

    মেজর সাদিক নামের একজন আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে— এমন সংবাদের বিষয়ে আজ সেনা সদরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত। তাঁর বিষয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলতে পারব।’

    ওই ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এ রকম ঘটনা জানার পরে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই তিনি আছেন। তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন বলেছেন, মেজর সাদিকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংগঠিত করে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভাটারা থানা এলাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ৭ নম্বর রোডের কে বি কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলা ভাড়া নেওয়া হয়। মেজর সাদিক সেদিন সরকার উৎখাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

    ওই কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মুজাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবে সারা দিন কনভেনশন হলের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, সেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীসহ সমবেতদের নাশকতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আরও অন্তত চারটি প্রশিক্ষণ হয়েছিল। তবে সবগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

    মামলার তদন্ত সম্পৃক্ত ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা, উপস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রেপ্তার অন্যদেরও রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোপন এই ষড়যন্ত্রে যাঁরা জড়িত ছিলেন, সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

  • ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

    ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

    বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য সাইবার হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে আগাম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

    সোমবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এসএম তোফায়েল আহমদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, অদূর ভবিষ্যতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি ও বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (Critical Information Infrastructure – CII) সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি স্তরের সাইবার হুমকির বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের সার্ভার, ডেটাবেইস এবং অন্যান্য সিস্টেমে প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট করার সুপারিশ করেছে। একইসাথে অপ্রয়োজনীয় পোর্টাল বন্ধ রাখা, ‘Least Privileged Access’ নীতি অনুসরণ, ডেটা ব্যাকআপ ও রিকভারির জন্য ৩-২-১ কৌশল বাস্তবায়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA) চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

    তথ্যপ্রযুক্তি সিস্টেমে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে Security Information and Event Management (SIEM) ও Network Intrusion Detection Systems (NIDS) ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

    হুমকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে Endpoint Detection and Response (EDR) প্রযুক্তির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার এবং নিয়মিত থ্রেট সিগনেচার আপডেট রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইটি টিমগুলোকে সবসময় সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন যেকোনো ধরনের সাইবার হামলার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে।

    অস্বাভাবিক লগইন, অনুমোদনহীন ফাইল বা ডেটা পরিবর্তনের ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। একইসাথে ব্যাংকগুলোকে বাহ্যিক কানেকশন নিবিড়ভাবে মনিটর করতে এবং রিমোট অ্যাকসেস, ভিপিএন এবং প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্টসমূহ সীমিত ও নিয়মিত পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট জনবলসহ ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা নিরাপত্তা মনিটরিং সেন্টার (Security Operations Center – SOC) পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে হবে।

    সংস্থাগুলোর সচলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটি শক্তিশালী ব্যাকআপ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিয়মিত হালনাগাদ করা ব্যবসা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা (Business Continuity Plan – BCP) এবং দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা (Disaster Recovery Plan – DRP) প্রস্তুত রাখতে হবে।×

    বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক ও আর্থিক খাতকে সাইবার ঝুঁকি থেকে আগেভাগেই সুরক্ষা দেওয়া এবং জাতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

  • রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা কম

    রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা কম

    সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে বড় ঘাটতিতে পড়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারেনি রাজস্ব আহরণে নিয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের শেষ দুই মাস—মে ও জুনে এনবিআরজুড়ে আন্দোলনের কারণে অস্থিরতা দেখা দেয়। সাধারণত শেষ মাস জুনে রাজস্ব আহরণ বেড়ে থাকে। কিন্তু এবার আন্দোলনের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে। কাস্টমস ও ভ্যাট খাতে জুনের আহরণের চিত্র সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    গত অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের সংশোধিত মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু আয় হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে আহরণ হয়েছিল ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে মোট লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

    মাসভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুনেও রাজস্ব আহরণ কম হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুনে আহরণ হয়েছিল ৫৩ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুনে আহরণ হয়েছে মাত্র ৪৩ হাজার ৯১ কোটি টাকা। ওই মাসে এককভাবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা অর্জিত টাকার চেয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম।

    জুনে কাস্টমস খাতে আহরণের চিত্র থেকে আন্দোলনের প্রভাব স্পষ্ট। এ খাতে জুনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, কিন্তু আহরণ হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়েও কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুনে কাস্টমস খাতে আহরণ হয়েছিল ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরে কাস্টমস খাতের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, যার বিপরীতে আহরণ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১৯৮ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এ খাতে আয় ছিল ৯৯ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা।

    ভ্যাট খাতেও জুনে আহরণ কমেছে। ২৬ হাজার ৮৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায়ও কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে আহরণ হয়েছিল ২০ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরে ভ্যাট খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা, আর আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এ খাতে আহরণ হয়েছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা।

    এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গড়ে ছয় মাসের মতো সময় আমরা স্থিতিশীল পেয়েছি। অর্থবছরের শেষ দুই মাস এনবিআরে আন্দোলনের অস্থিরতা ছিল। সিগারেট খাতে ব্যাপক কর ফাঁকি হয়েছে। আমরা এ খাতে রাজস্ব হারিয়েছি। বাজারে অবৈধ সিগারেটে সয়লাব। সিআইসি ও আয়কর গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপক কর ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে। সেই কর আদায়ে সংশ্লিষ্ট সার্কেলগুলো কাজ করছে। আশা করছি, চলতি অর্থবছরে আমরা এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’

  • নির্বাচন ফেব্রুয়ারির একদিন পরেও যাবে না: প্রেস সচিব

    নির্বাচন ফেব্রুয়ারির একদিন পরেও যাবে না: প্রেস সচিব

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী চার/ পাঁচ দিন দেশের জাতীয় রাজনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যেই জুলাই সনদ হয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা দিয়েছেন, সেটা ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

    নির্বাচন এ সময়সীমার মধ্যেই হবে। এ সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এ সময়সীমার একদিন পরেও নির্বাচন পেছাবে না, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোরটার্স ফোরাম- বিএসআরএফ এ সংলাপের আয়োজন করে।

    বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দল্লাহ বাদলের পরিচালনায় সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুক হকসহ বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পর দেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। দেশ থেকে টাকা কীভাবে পাচার হয়ে জাতীয় অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে পেরেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক অবস্থায় এসেছে।

  • একদিনের ব্যবধানে খুমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু

    একদিনের ব্যবধানে খুমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু

    একদিনের ব্যবধানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. রকমান (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    এর একদিন আগে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতিকান্ত ডাকুয়া (৮৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

    খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মো. রকমান নামে এক যুবক খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ইউনিটের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি খুলনা মহানগরীর হরিণটানার রায়ের মহল এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ারের ছেলে। এ নিয়ে চলতি বছরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

  • আজীবন নিষিদ্ধ হলেন সালমান এফ রহমান, জরিমানা ১০০ কোটি টাকা

    আজীবন নিষিদ্ধ হলেন সালমান এফ রহমান, জরিমানা ১০০ কোটি টাকা

    বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে পুঁজিবাজারে বন্ড ইস্যুতে প্রতারণার অভিযোগে ১০০ কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। একই সঙ্গে তাকে পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

    এছাড়া বিএসইর সাবেক চেয়ারম্যানকে শিবলী রুবাইয়াতও পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৯৬৫তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে। পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ২০২৩ সালের ৪ জুন ১৫০০ কোটি অভিহিত মূল্যে এবং ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যে অনুমোদন দেয় তৎকালীন বিএসইসি। শ্রীপুর টাউনশিপ নামে একটি কোম্পানি নিবন্ধিত হওয়ার পরপরই তারা বন্ড ইস্যুর আবেদন করে। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৫০ কোটি টাকা এবং মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে ২৪৮ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়নের জন্য উত্তোলন করা হয়। কমিশনের কাছে যা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি, জামিনদার ছিল। কিন্তু  ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। সালমান এফ রহমান ওই সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘বেক্সিমকো সিকিউরড কনভার্টিবল অর রিডিমেবল অ্যাসেট-ব্যাকড গ্রিন সুকুক’ নামে একটি ৩০০০ কোটি টাকা পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ড ২০২১ সালের ২৩ জুন অনুমোদন হয়। এ বন্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ২০২১ সালের ১৭ জুলাই অনুমোদিত পাঁচশ কোটি টাকার সুকুকের মধ্যে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    বিএসইসি আরও জানায়, অনিয়মের ঘটনায় বেক্সিমকোর পরিচালক নাসিমা রহমান, ড. শামসুন আহমেদ এবং এ এম আহসান উল্লাহকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন মনোনীত পরিচালক নাজমুস সাকিব, গোলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, কামরুন নাহার আহমেদ ও সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক শুদ্ধাংশু শেখর বিশ্বাসকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া রেটিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডকে (ইসিআরএল) ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সুকুকের গ্রিন ভ্যালিডেশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইসিআরএল এবং নিরীক্ষক এমজে আবেদিন অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে।

  • একনেক সভায় ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেক সভায় ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

    একনেকের চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

    অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন, চারটি সংশোধিত এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির দুইটি প্রকল্প রয়েছে।

    পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    আজকের সভায় অনুমোদিত ১২টি প্রকল্প হলো- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি) প্রকল্প। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রকল্প (১) ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি (১২টি নতুন ও আটটি ফায়ার স্টেশন পুনঃনির্মাণ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন স্থাপন’ এবং (২) ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্রিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা (প্রস্তাবিত ২য় সংশোধিন)। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রকল্প, (১) ‘গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্প’ এবং (২) ‘বহদ্দারহাট বাড়াইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন’ (৩য় সংশোধিন) প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি’র অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ (২য় পর্যায়)’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি)। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি ‘কন্দাল ফসল গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবি (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

    আজকের সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো- ১. গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), ২. ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৩. পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৪. ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, ৫. হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প, ৬. বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (৩য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত), ৭. বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত), ৮. গাজীপুর সাফারী পার্কের অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থাপনা সহায়ক প্রকল্প, ৯. যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত), ১০. জিএনএসএস করস এর নেটওয়ার্ক পরিধি সম্প্রসারণ এবং টাইডাল স্টেশন আধুনিকীকরণ (২য় সংশোধিত), ১১. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪৩ নং ওয়ার্ডের ৩০০ ফুট পূর্বাচল সড়ক সংলগ্ন তলনা এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, ১২. রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত), ১৩. আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ (২য় সংশোধিত), ১৪. চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডকইয়ার্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ, ১৫. ফেনী পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), ১৬. জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ (১ম সংশোধিত), ১৭. শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত), ১৮. দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং প্রকল্পের ২টি নাম পরিবর্তন ১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) এর পরিবর্তে নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) ২. মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর পরিবর্তে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় সেচ উন্নয়ন প্রকল্প।

  • জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি: আলী রীয়াজ

    জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি: আলী রীয়াজ

    বহুল কাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে।

    এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

    আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং বিবেচনার জন্য আগামীকালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে একটি করে খসড়া প্রেরণ করা হবে। সেটি নিয়ে আপনারা নিজেদের রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে আমাদেরকে মতামত জানালে সেগুলো এতে সন্নিবেশিত করা হবে।’

    এ সময় তিনি জানান যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোন মৌলিক আপত্তির বিষয় উত্থাপিত না হলে সেটি নিয়ে বৈঠকে আর আলোচনা করা হবে না।

    তিনি জানান, সকলের মতামত পাওয়ার পর সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে চূড়ান্ত জুলাই সনদের পটভূমি, প্রাথমিক বক্তব্য সমূহ, অঙ্গীকার এবং প্রক্রিয়ার বিষয় বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত করে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে তুলে ধরা হবে।

    সময়ের স্বল্পতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সকলকে বলেন, আমাদের আলোচনা  যে কোনোভাবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। আলোচনা শেষ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে চাই।  এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ১০টি বিষয়ে আমরা একধরনের ঐকমত্যে পৌঁছেছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নোট অফ ডিসেন্ট আছে এবং সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু তা অসমাপ্ত রয়েছে। এবং তিনটি বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আলোচনা হয়নি।

    আজকের আলোচ্য সূচীতে পূর্বের আলোচিত দুটি অসমাপ্ত বিষয় ও পাশাপাশি একটি নতুন বিষয়কে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে আলোচনা করতে চাই, যেন প্রক্রিয়াটাকে নিয়ে সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হতে পারি।

    উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রস্তাব, পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হবে।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।

    এ আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত রয়েছেন।

    কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ দ্রুত প্রণয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সকল বিষয়ে ঐকমত্য গড়তে আগামী কিছুদিন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলমান থাকবে।

  • জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ

    জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ

    জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৬ জুলাই) ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি লিখেছেন, গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।

    তিনি আরও বলেন, সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

    এর আগে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় কারফিউয়ের কথা জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

  • জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    নিজস্ব প্রতিনিধি “৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে এই স্লোগানকে সামনে রেখে” প্রয়াত সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ জুলাই ) সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বারের বাসভবনে জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেন ‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফুজ্জামান (আশু)।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর জন্ম না হলে জাতীয় পার্টির জন্ম হতো না এমন নেতার জন্ম না হলে উপজেলার জন্ম হতো না। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনা কালীন দেশটাকে যেভাবে সাজিয়েছিল আজকে তা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই যেখানে সেখানে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সারাদেশে গুম, খুন, হত্যা, অন্যায় অত্যাচার বেড়েই চলেছে। পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো সোহাগ নামের এক যুবককে সারা দেশে এটা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না দ্রুত নির্বাচন দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মাত্র ৭ মাস জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলাম। এই অল্প সময়ের মধ্যেই আমি প্রমাণ করেছি, রাজনীতিতে সৌজন্যতা ও ন্যায়ের কোনো বিকল্প নেই। আমার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত-বিএনপির একটি নেতাকেও বিনা কারণে গ্রেপ্তার হতে দিইনি। কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোনো মামলা হয়নি, কাউকে হয়রানি করা হয়নি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন, সবার জন্য ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন সমানভাবে প্রযোজ্য। আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে, যেখানে মতভেদ থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেভাবে মব সন্ত্রাস বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাজনীতিকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে হলে আমাদের দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই—আসুন, সহিংসতা নয়, যুক্তি ও সহনশীলতার মাধ্যমে আমরা দেশ পরিচালনায় অবদান রাখি। ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে হাঁটি।
    আমরা চাই জাতীয় পার্টি কে সাতক্ষীরা  আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে । প্রতিটা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পার্টি কে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান বাবু, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আনোয়ার জাহিদ তপন,কেন্দ্রীয় সদস্য এড আলিফ হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, জেলা জাতীয় পার্টির ক্যষদক্ষ ও প্রথম শ্রেণীর কন্ট্রাক্টর মোঃ আশরাফ আলী, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সাদেক, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেল, জাতীয় শ্রমিক পার্টির  জেলা শাখার আহবায়ক মাগফুর রহমান, জেলা যুব সংহতির সভাপতি আশিকুজ্জামান বাপ্পি,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি কাজী আমিনুল হক ফিরোজ প্রমুখ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কমল বিশ্বাস, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ নাজমুল হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম সুজন, শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বদরুজ্জামান বদু,জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, সদর উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল, পৌর ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রুমি, কলেজ ছাত্র সমাজের সভাপতি সাকিব জামান দীপ্ত, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক বেলাল প্রমুখ। এসময় জেলা জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ,পৌর জাতীয় পার্টি,জেলা ছাত্রসমাজ, পৌর, সদর উপজেলা ছাত্র সমাজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পাটি, জেলা তরুণ পার্টি, জেলা শ্রমিক পার্টির নেতাকর্মীরা ও জেলা ছাত্র সমাজের ৯ টি ওয়ার্ড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কলেজ ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ ও  ১৪টি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহম্মেদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তরুণ পার্টির আহ্বায়ক আবু ইয়াছিন।

  • বেঁচে যাওয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

    বেঁচে যাওয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

    চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা যাত্রীদের (ব্যালটি) উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এ বছর ৪ হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে এসব টাকা বিতরণ করা হবে। রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন ও আগামী হজ মৌসুমের পরিকল্পনা নিয়ে ধর্ম মন্ত্রনালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ কথা জানান।

    তিনি জানান,’ উদ্বৃত্ত টাকা থেকে প্যাকেজভেদে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যতদ্রুত সম্ভব এই টাকা হাজিদের ব্যাংক একাউন্টে ফেরত পাঠানো হবে। টাকা পাঠাতে মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ফোন করা কিংবা তার কাছ থেকে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের নম্বর কিংবা বিকাশ/নগদ/রকেট- এর কোন পিন নম্বর চাওয়া হয়না। এমনটি যদি কেউ করে তাহলে আপনারা নিশ্চিত জেনে রাখুন সে প্রতারক। এধরনের প্রতারক থেকে সাবধান থাকুন।’

    তিনি বলেন, আমরা এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য করেছিলাম তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পেয়েছি। কোন কোন ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চূড়ান্ত করেছি। সরকারি মাধ্যমে প্রত্যেক হাজিকে আমরা প্যাকেজের উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত প্রদান করব।

    উপদেষ্টা জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর হাজিদেরকে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ৪ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা ফেরত পাবেন। ৫ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি। ৬ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতেও শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।

    সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হাজিদেরকে ১, ২ ও ৩ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ১ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা ফেরত পাবেন। ২ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা ফেরত পাবেন এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা ফেরত পাবেন। ৩ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।

    উপদেষ্টা জানান, গত ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। ৮৭ হাজার ১৪৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। ৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোট ৪৫ জন হাজযাত্রী মারা গেছেন।এ বছর হজযাত্রীদের হারানোর পরিমানও হ্রাস পেয়েছে। এ বছর ৮৯২জন হাজি হারানো গিয়েছিল এরমধ্যে ৮৯১জনকে খুজে পাওয়া গেছে। ৮২বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনো খুজে পাওয়া যায়নি।

  • ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

    ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীর পুরান ঢাকায় মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান রবিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

    জানা যায়, আসামি তারেক রহমান রবিন রাজধানীর চকবাজার থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রবিনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন রবিন।

    অপরদিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় টিটন গাজী নামে আরেক আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব উল্লাহ পিয়াস ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিডফোর্ডের সামনে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। গত ৯ জুলাই এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এবং তারেক রহমান রবিনকে (২২) কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচদিন এবং তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

    নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।

    এদিকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ঝড় উঠেছে।

  • এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

    এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

    এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ জুলাই ফল প্রকাশ হতে পারে বলে শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

    যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দিন নির্ধারিত হয়নি, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে— ওই তারিখে ফল প্রকাশের জোর প্রস্তুতি চলছে।

    সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ফল তৈরির কাজ শেষ। আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে সেই দিনেই ফল প্রকাশ করা হবে।’

    তবে তিনি সরাসরি ১০ জুলাই তারিখ উল্লেখ না করলেও, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে— শিক্ষা বোর্ডগুলো মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে, তাতে ১০ জুলাই এর নামও রয়েছে। ফলে অনুমোদন মিললে সেটিই চূড়ান্ত দিন হিসেবে ঘোষিত হতে পারে।

    এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে দিন নির্ধারণ করা হবে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত তারিখ অনুমোদন করার পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

    সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, মাদরাসা বোর্ডের দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) এই তিন ধারার ফলই একযোগে প্রকাশ হবে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ ২৮ হাজার।

    এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদ্রাসায় ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।

    বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবে। এছাড়া নির্ধারিত ফরম্যাটে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।

    চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ১৫ মে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।

  • উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো

    উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো

    বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে একমত হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানে যেসব উপজেলা জেলা সদরের নিকটবর্তী সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে দলগুলো।

    সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলগুলো নীতিগতভাবে একমত প্রকাশ করে।

    ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াত ব্যবস্থা; জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোন কোন উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হবে।

    বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, না কি সেক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে উপজেলা সদরে স্থাপিত কোনো আদালতের জন্য একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা প্রয়োজন হলে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

    উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন করতে হবে। দেওয়ানি মামলা গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বাস্তবানুগ করাও প্রয়োজন। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করতে হবে।

    আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, জেলা সদরের অতি কাছে যেসব উপজেলা সদর রয়েছে সেখানে অধস্তন আদালত প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে জেলা সদরে উপজেলা অধস্তন আদালতের প্রয়োজন নেই। কোন উপজেলায় অধস্তন আদালত প্রয়োজন তার সংখ্যা নিরূপণের জন্য সমীক্ষার অনুরোধ করেন তিনি।

    আলোচনায় অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের নেতা উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপন করা হলে দুর্নীতি বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন। বিষয়টিতে দ্বিমত জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ।

    তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত হলে দুর্নীতি বাড়বে এটা ভুল ধারণা। বিচার প্রার্থীকে হয়রানি রোধ করতে বিচারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতির বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

    এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপনে তাগিদ দেন। প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের ভিত্তিতে দ্রুতই অধস্তন আদালত স্থাপনের প্রস্তাব করেন তিনি।

    কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে আগামী কত বছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয় ঐকমত্য কমিশনকে।

    পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে বেশ কিছু পরামর্শ এসেছে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। সেগুলো নিয়ে বিরতির পরে আলোচনা শুরু হবে।

    এতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই সংক্রান্ত কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতকে এমনভাবে বেঁধে দেয় যে তার পক্ষে কিছুই করার থাকে না। তাই সংবিধানের ১৪১ ক, খ, গ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি হবে না। জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের দ্বারা নিশ্চিত করা নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের তাদের অধিকার প্রয়োগের জন্য আদালতে যাওয়া বন্ধ করা যাবে না।

  • গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২

    গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২

    গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০৩ জনই ঢাকার বাইরের।

    এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৬৩ জন, যার মধ্যে সাত হাজার ৫৫৮ জন পুরুষ ও পাঁচ হাজার ২০৫ জন নারী।

  • আনিসুল-রুহুল-চুন্নু‌কে জাপা থে‌কে অব্যাহ‌তি, শামীম মহাসচিব

    আনিসুল-রুহুল-চুন্নু‌কে জাপা থে‌কে অব্যাহ‌তি, শামীম মহাসচিব

    জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) জাপার দফতর সম্পাদকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুন জেলা/মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক, সদস্য সচিবদের মতবিনিময় সভায় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে এবং শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। গত ২৮ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সভায়ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এই ৩ নেতাকে দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো- চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে প্রাথমিক সদস্যসহ দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ আদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

    একই সাথে মুজিবুল হক চুন্নুকে সরিয়ে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী’কে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সোমবার (৭ জুলাই) পাঠানো আরও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির যুগ্মসচিব পদমর্যাদায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

    এর আগে গত কয়েকদিন ধরে প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা চলছে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন।

    এই বিষয়টির সুরাহা হওয়ার আগেই মজিবুল হক চুন্নু পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দিলো দলটি। নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী এর আগে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।

  • দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে, খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে:খাদ্য উপদেষ্টা

    দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে, খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে:খাদ্য উপদেষ্টা

    খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।আজ যশোর সার্কিট হাউজে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

    উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

    বাজারে চালের মূল্য কমছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বোরো উৎপাদন ভালো হয়েছে, খাদ্য মজুতও সন্তোষজনক। শিগগিরই চালের বাজার সহনীয় হয়ে আসবে। চালের দাম বাড়াতে বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    উপদেষ্টা আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলার উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

    বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

    ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে ওএসডি সহকারী সচিব, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    বুধবার (২ জুলাই) বিভাগীয় মামলায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ গুরুদণ্ড দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর তিনি নিজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিতভাবে জবাব দেন। তার জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

    এতে আরও বলা হয়, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, পারিপার্শ্বিকতা এবং বিভাগীয় মামলার নথি পর্যালোচনা তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিধিমালা অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    গত ৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

    শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ছাড়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশকিছু স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন তাপসী তাবাসসুম।