Category: কৃষি

  • তালায় মেশিন দিয়ে ধান কাটা উৎসব উদ্বোধন

    তালায় মেশিন দিয়ে ধান কাটা উৎসব উদ্বোধন

    তালা প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরা তালা উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইরি-বোরো ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শিবপুর মাঠে উক্ত ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা খামার বাড়ির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা খামার বাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দীন, সাতক্ষীরা কৃষি প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়র হারুন অর রশিদ,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদ পারভীন পাঁপড়ী, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাশ, ইকোকেপন লিঃ এর যশোরের টেরিটরি ম্যানেজার মোঃ আশিকুর রহমান, ইসাভেচিং ইঞ্জিনিয়র মোঃ আলমগীর হোসেন, টেরিটরি অফিসার মোঃ ফারুখ আহমেদ ও কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    তালার শিবপুর মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের যন্ত্র প্রদর্শনীতে কৃষক কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে উপস্থিত অতিথি ও কৃষকদের দেখান। কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন উন্নয়ন সহায়তায় কৃষক মজিবুর রহমান। যার মূল্য ২৯ লাখ ৫ হাজার টাকা সরকার ভর্তুকি দিয়ে ১৪ লাখ টাকা ।
    উল্লেখ্য, এ বছর তালা উপজেলায় ইরি-বোরো জমি আবাদ হয়েছে ১৯০৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পার হেক্টর জমিতে ফলন হবে ৫.৫০ টন ধরা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় হারভেস্টর মেশিনে মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াই উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় হারভেস্টর মেশিনে মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াই উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রথম বারের মতো সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি কাজের উদ্বোধন করা হয়।
    বুধবার (২৪এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাইপাস রোড সংলগ্ন কাশেমপুর মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই কাজের উদ্বোধন করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো ঃ নুরুল ইসলাম, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রঘুনাথ গুহ প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন যেখানে কৃষি শ্রমিক দিয়ে বিঘা প্রতি খরচ ৮-৯হাজার টাকা সেখানে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতি ঘন্টায় এক একর জমির ধান কাটা,মাড়াই ও বস্তাাবন্দি করা সম্ভব ২হাজার টাকা হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ দুটোয় কম লাগবে।
    খামারবাড়ি সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো ঃ নুরুল ইসলাম জানান,করোনা ভাইরাস এর কারণে কৃষকরা সময়মত শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পেরে সমস্যায় পড়ছে। আমরা সরকারি উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে সরবরাহকৃত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা মাধ্যমে জমির ধান কাটার ব্যবস্থা করেছি।
    ইতিমধ্যে কালিগঞ্জ ,তালা ,সাতক্ষীরা সদরে ৩টি মেশিন চাষীদের কাছে হস্তান্তর করেছি বাকি উপজেলা গুলোতে তাড়াতাড়ি চাষীদের মাঝে পৌছে দেওয়া হবে। প্রতি ঘন্টায় ৩ বিঘা জমির ধান কর্তন করা যাবে ১২-১২ লিটার তৈল খরচ হবে এতে করে কৃষকরা লাভবান হবে।
    কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় ৭৫ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। তা থেকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মে.টন চাউল উৎপাদন হবে।

  • বেতন না দেওয়ায় ক্রিকেটার সাকিরের কাকড়া হ্যাচারি শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    বেতন না দেওয়ায় ক্রিকেটার সাকিরের কাকড়া হ্যাচারি শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    স্টাফ রিপোটার ঃ বেতনের দাবীতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড নামের কাকড়া হ্যাচারির শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গত চার মাস ধরে বেতন না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা বিক্ষোভে নেমেছেন বলে জানান শ্রমিকরা।
    একাধিকবার সময় নিয়েও বেতন না দেওয়ায় সোমবার সকালে আন্দোলনে শুরু করেন দুই শতাধিক শ্রমিক। তবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় র‌্যাবের একটি টহল টিম আন্দোলনরত শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়।
    সাকিব আল হাসাসের হ্যাচারির শ্রমিক মহিদুল ইসলাম জানান, গত চার মাস যাবত তাদের কোনো বেতন দেয়া হয় না। করোনা প্রাদুর্ভাবে কঠিন অবস্থায় তারা দিন কাটাচ্ছে বলে জানান। বাড়িতে তাদের খাবার নেই।
    নারী শ্রমিক মনোয়ারা জানান, অসহায় হয়েই সাকিবের কাকড়া ফার্মে কাজ করি। কিন্তু গত ৪ মাস বেতন বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার নেই। না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে তার ছেলে-মেয়েরা।
    শ্রমিক রহিমা বেগম জানান, অভাবের তাড়নায় তার হ্যাচারিতে কাজ করি। অথচ তাদের ঠিকমতো বেতন না দেয়ায় তারা খুবই কষ্টে আছে।
    স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ফার্ম কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।
    তবে, সাকিব আল হাসানের কাকড়া ফার্ম প্রজেক্টের তত্বাবধায়ক সগীর হোসেন পাভেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তার ফোনকল রিসিভ করেননি।

  • কৃষক কি এমন প্রণোদনা চেয়েছিল – নুরুল আলম মাসুদ

    করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক তান্ডবের ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। বাংলাদেশর মতো জনবহুল- ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশের জন্য কারোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় কতাটা গভীর হতে পারে তা এখনো অনুমেয় নয়। তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আশঙ্কা করছে, করোনাভাইরাসের অভিঘাতে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১.১ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। একই সাথে রেমিট্যান্সও তৈরি পোষাকসহ রপ্তানি আয় হ্রাস যে  পাবে তা প্রায় নিশ্চিত; সেই সাথে ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থানও হ্রাস পেতে পারে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকার যদিও ইতোমধ্যে ৭২,৭৫০ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা ঘোষণা করেছে তবে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে এই প্রণোদনা প্যাকেজটি কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে তা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    ফলে আমাদের ভরসা থাকলো কৃষি।বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, বাংলাদেশের এখনো শতকরা প্রায় ৮৭ ভাগ  গ্রামীণ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষি ও অকৃষিজ উভয় আয়ের ওপর নির্ভরশীল।   শহরে বসবাসকারীদের মধ্যেও ১১ শতাংশ মানুষ সরাসরি কৃষিকাজে যুক্ত।   বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপের (২০১৩) হিসাব মতে, দেশের মোট শ্রমমক্তির ৪৫.৭ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু, করোনার আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি কৃষিখাতও।পরিবহন লকডাউন এবং  আঞ্চলিক লকডাউনের  কারণে পণ্যবাজার সংকুচিত হয়েছে, কৃষক তারউত্‌পাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেন না আবার উপকরণ সরবরাহে অপ্রতুলতায় আগামিতে উৎপাদন কমে আসারও শঙ্কা রয়েছে।তাতে আসছে দিনগুলোতেদেশে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। গত ৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসকদের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে করোনা প্রভাব, এতে ব্যাপকভাবে খাদ্যাভাব দেখা দেবে বিশ্বব্যাপী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, সে রকম অবস্থা হতে পারে।‘ তাই কৃষিই হতে পারে একমাত্রআন্তঃসম্পর্কিত খাত। আসন্ন  মন্দায় জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা, কর্মসংস্থান, এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

    চলতি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কৃষকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে গত ১২ এপ্রিল  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দেন। এই প্রণোদনা কৃষকদের আদতে কাজে আসবে কিনা সেই বিতর্ক পরে, কিন্তু সরকার যে কৃষকেদর নিয়ে ভেবেছেন তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

    প্রথমত: এই প্রণোদনা কৃষকদের জন্যরাষ্ট্রীয় কোন অনুদান বা আর্থিক সহায়তা নয়। এটি কৃষিখাতে ৪% সুদে ঋণ (এটি প্রথমে ৫ শতাংশ ছিল, সমালোচনা হওয়ায় তা ৪ শতাংশ করা হয়েছে); কৃষকরা চাইলে এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে। মজার বিষয় হলো, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বড় উদ্যোক্তাদের জন্যঘোষিত চারটি প্যাকেজের সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে।অথচ। ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য ৫ শতাংশ সুদের হার কৃষকের জন্য রীতিমত গলার কাটার মতো বিঁধে যাবে। তাই কৃষকেদের জন্য সুদের হার সর্বনিন্ম ২ শতাংশ করা উচিত।

    প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা ঘোষণাকালে বলেন, আগামি বাজেটে সারের ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকাবরাদ্দরাখা হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরের বাজেটের দিকে তাকালে দেখা যায়, এটি গত পাঁচ বছর ধরেই রাখা হচ্ছে। কিন্তু,সংশোধিত বাজেটে দেখা যায় বরাদ্দের ৩০ শতাংশই টাকাই কম খরচ করা হয়েছে। তাই এবারও ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও আদতেই কত টাকা কৃষকের ভর্তুকির জন্য খরচ করা হবে সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

    আর কয়েকদিনের মধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হবে। কৃষি মন্ত্রনালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এই বছর ২ কোটি ৪ লাখ মেট্রিকটনরোরো চাল উত্‌পাদিত হবে। সরকার ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে ৬ লাখ টন ধান এবং ১১ লাখ টন চাল কেনার সিন্ধান্ত নিয়েছিলো। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স আরো দুই লাখ টন বেশি ক্রয়ের ঘোষনা দেন। তাতে সবমিলিয়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন চাল/ ধান ক্রয় করবে। এটি মোট উত্‌পাদিত বোরোর ১০ শতাংশেরও কম? তাহলে বাকি ৯০ শতাংশ ধান কোথায় যাবে, তারজন্য কৃষকরা কী ন্যায্যমূল্য পাবে?

    দেশে অঘোষিত লকডাউন চলার কারণে বোরো ধান কাটা,ঘরে তোলা, চাতালে আনা এবং সরকারি গুদাম অব্দি নিয়ে আসা নিয়ে নিদারুন শঙ্কা রয়েছে। সেই সাথে ধান কাটার জন্য এক এলাকার শ্রমিক যদি অন্য এলাকায় যেতে না পারে তাহলে ব্যাপকভাবে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে এবং কোন কোন এলাকায় দৈনিক মজুরি অনেক বেড়ে যেতে পারে। এই দিকে মিল মালিকরা বলতে শুরু করেছেন, ধানকাটা শুরু হলে এবং সরকার ধানক্রয় শুরু করলে ধানের দাম পড়ে যাবে; তাই খুব জরুরিভাবে সরকারকে ধানের আগাম মূল্য এবং ধান কাটা শ্রমিকদের জন্য দৈনিক ন্যূনতম মজরি ঘোষণা করা উচিত। তাতে ক্ষুদ্র কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে।

    এই মুহুর্তে কৃষকের হাতে কোন টাকা নেই। ফলে বোরো ধান কাটার জন্য শ্রমিকদের টাকা পরিবর্তে ধান দিয়ে পারিশ্রমিক শোধ করা হতে পারে। সরকারের ধানক্রয় নীতিমালায় উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে সেই শ্রমিকরা যেন তাদের ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারে তার নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।

    বর্তমানে সরকারি গুদামজাতকৃত মোট ১৭৫১ লাখ মেঃ টন খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে (১৫/০৩/২০২০ )।বৈশ্বিক বিভিন্ন পূর্বাভাসইবলছে, করোনা তান্ডব আরো দীর্ঘমেয়াদী হবে এবং লকডাউনের সময়ও বৃদ্ধি পাবে। সেই হিসেবে সরকার অতিদরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেটি আরো দীর্ঘসময় ধরে চালিয়ে গেলে সরকারি সব গুদামই খালি হয়ে যাবে। তাতে করে সরকারের ২৫ লাখ মেট্রিকটন মজুদ করার জন্য যে অবকাঠামো রয়েছে তার পুরোটাই ধানচাল ক্রয় করতে পারে। পাশাপাশি, ঘোষিত প্রণোদনা বেসরকারি গুদাম ভাড়া করেও এই ক্রয়সীমা আরো বাড়াতে পারে। এরফলে আগামিতে খাদ্য সঙ্কটের যেআশংকারয়েছে তা সরকারের পক্ষে মোকাবেলা করা সহজ হবে।

    সরকারের এই কৃষি প্রণোদনাটির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক “কৃষিখাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কীম” গঠন করে একটা সার্কুলার জারি করেছে। তাতে বলা হচ্ছে, শস্য ও ফসল খাত ব্যতীত কৃষির অন্যান্য চলতি মূলধন নির্ভরশীল খাতে এই ঋণ দেওয়া হবে। কোনো খাতে ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ দেওয়া যাবে না। মূলত, কৃষিঋণ নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকের উৎপাদিত ফসল বন্ধক রেখে কৃষিঋণ নিতে হয়। এটার সরকারি নাম হলো ‘শস্য বন্ধকি দলিল’। অর্থাৎ কৃষক তাঁর শস্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখবেন। ধান বা যেকোনো শস্য বিক্রি করে ঋণের টাকা আবার ফেরত দেবেন।১৮ মাসের মধ্যে ঋণ ফেরত দিতে হবে। এর প্রথম ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড থাকবে, মানে এ সময় কিস্তি দেওয়া লাগবে না। বাকি ১২ মাসে বারো কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।ঘোষিত প্রণোদনাটিমূলত: প্রাতিষ্ঠানিক কৃষকদের সহায়তা করতে। কিন্তু প্রচলতি ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই প্রণোদনা থেকে বর্গাচাষী করেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক কৃষি কাজ করেন এবং কৃষিসমন্ধীয় কাজ করেনএমন কৃষকরা কোন সহয়তা পাবেন না। সুতরাং, তাদের জন্য কোন ধরণের সুদ ছাড়াই খানাভিত্তিক আয় ধরে নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের খাদ্য চাহিদার ৯০ শতাংশ যোগানদাতার ৯৩ শতাংশ ক্ষুদ্র  ও ভূমিহীন কৃষক।সুতরাং, তাদের জন্য কোন ধরণের সুদ ছাড়াই খানাভিত্তিক আয় ধরে শর্তহীন নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে।

    গত মার্চে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬০ শতাংশ কম। এপ্রিলের এক সপ্তাহ চলে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। দেশের ফসলের সবচেয়ে বড় এই মৌসুমে মাঠে আলু, সবজি ও শর্ষে রয়েছে, যেগুলোতে সেচ দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্র ক্ষুদ্র কৃষকদের যারা নিজেরাই শ্যালো মেশিনে ইরিগেশন করে, তাঁদেরও ডিজেল ক্রয়ের জন্য জরুরিভাবে নগদ সহায়তা দিতে হবে।

    কৃষি মন্ত্রনালয়ের হিসাব মতে, এপ্রিল ও মে মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন কৃষিপণ্য বাজারে আসে এবং কৃষকদের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় মৌসুম।এই দু’মাসে কৃষকের উত্‌পাদিত সকল পণ্যের লাভজনক মূল্য, সহজ বিপণন কৌশল এবং পরবর্তী ফলনের জন্য উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

    লকডাউনের কারণে সঙ্কটে পড়েছে দুগ্ধ খামারিরাও। ইতোমধ্যে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় হাড়ি হাড়ি দুধ পুকুরে ঢেলে দিচ্ছেন—প্রতিবাদ করছেন। গরুর দুধের দাম লিটারপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, এমনকি ১২ টাকায়ও নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ১৫০ লাখ লিটার দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। আগামী এক মাস এভাবে চলতে থাকলে প্রায় ১  ৭১০ কোটি টাকার ক্ষতির মধ্যে পড়বেন খামারিরা। একইভাবে সঙ্কটে পড়েছেন পোল্টি খামারীরা। ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম যেমন এক দমই পড়ে গেছে। এক্ষেত্রে আপাতত: ত্রাণ হিসেবে চালের সঙ্গে আলু, গম, ডিম ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি: করোনাকালীন সময়ে দুগ্ধ ও ব্রয়লার খামার পরিচালনার জন্য এককালীন নগদ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদান করা যেতে পারে।

    আমাদের সবজি বীজের অর্ধেকটাই আসে চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান থেকে।এসব দেশও যেহেতু করোনায় আক্রান্ত, কাজেই আগেভাগেই বীজ আমদানির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে সরকার আগামি বাজেটে বীজের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫০ কোটি শুধুমাত্র আমদানির জন্য বরাদ্দ না করেস্থানীয়পর্যায়ে বীজ গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য কৃষকেদর কর্মরত সংগঠনগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে।

    অবশেষে, প্রতিটি সঙ্কটই আমাদের সামনে একটি সুযোগ উপস্থাপন করে। করোনা ভাইরাস শিল্পভিত্তিক বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রায়ধ্বসিয়ে দিলেও  আমাদের দেখিয়েছে এই অন্তর্বর্তী পরিস্থিতি এবং অদূর ভবিষ্যতেও কৃষিই আমাদেরকে টিকিয়ে রাখার একমাত্র বিকল্প হতে পারে। একই সাথেনাগরিক, সরকার এই অবস্থার মধ্যদিয়ে খাদ্য অধিকার গুরুত্ব, খাদ্য উত্পাদনকারী কৃষকদের অবদান এবং কৃষিখাতে সরকার আরো বেশি স্বাবলম্বী হওয়ার মূল্য উপলব্ধি করবে।

    [1]সাধারণ সম্পাদক, খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), বাংলাদেশ/ ০১৯১৯২৩১৭২২ / masud@pranbd.org

  • করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সাতক্ষীরার দুধ পল্লীতে প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে, মহা সংকটে দুগ্ধ খামারিরা

    করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সাতক্ষীরার দুধ পল্লীতে প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে, মহা সংকটে দুগ্ধ খামারিরা

    আসাদুজ্জামান : করোনা পরিস্থিতিতে খামার নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তায় সাতক্ষীরার তালার দুগ্ধ খামারীরা। প্রতিদিন সেখানে নষ্ট হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার লিটার দুধ। আয় না থাকায় গো খাদ্য কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে খামারীরা।
    তালা উপজেলার জিয়ালা নলতা গ্রাম দুধপল্লী হিসেবে বহু আগে থেকেই পরিচিত। এই গ্রামে চার শতাধিক দুগ্ধ খামার রয়েছে। তাদের দেখাদেখি আঠারই গ্রামসহ আশপাশে আরো অর্ধ শতাধিক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠেছে। এই এলাকায় এক হাজার খামারে প্রায় দশ হাজার গাভি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয় শুধু ওই তিনটি গ্রামেই।
    লিল্কভিটা প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার এবং আকিজ ৬০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করতো তাদের কাছ থেকে। বাকী দুধ সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন এলাকার মিষ্টির দোকান, কারখানাতে সরবরাহ করতো তারা। দুধের দামও তারা ভালোই পেত। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের কারনে মিষ্টির দোকান ও অন্যান্য কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুগ্ধ খামারিরা পড়েছেন চরম সংকটে। এতে করে ১০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে সেখানকার দুধ।
    তালা দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সবাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ নষ্টের হাত থেকে বাঁচতে না পারলে তাদের অনেকেরই পথে বসতে হবে।
    বিশ্বব্যাপী এই মহামারিতে দেশের সরকার প্রধান সকল সেক্টরেই আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই ঘোষনা অনুযায়ি দুগ্ধ খামারিদের সরকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা দুগ্ধ খামারিদের।
    তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবল হোসেন জানান, খামারিদের সমস্যা সমাধানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে ।
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শিশু খাদ্যের জন্য এ জেলায় যে বরাদ্দ দিয়েছেন, এই বরাদ্দের মাধ্যমে এই দুধ ক্রয়ের একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিল্কভিটার মাধ্যমে এই দুধ নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, মিল্কভিটার চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে শিশু খাদ্যের জন্য যে দুধ প্রয়োজন তা যেন সাতক্ষীরা জেলা থেকে নেয়া হয়।

  • সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

    সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

    সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিনা উপকেন্দ্র ট্রেনিং কমপ্লেক্স এ বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ)’র অর্থায়ণে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের সহযোগিতায় বিনা ময়মনসিং মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রসারণ অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা।
    বিশেষ অতিথি অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় গবেষণা অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, বিসিসিটিএফ বিনা ময়মনসিং প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় ১০০ জন কৃষক, জেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ বিশ^াস, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম সরদার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আল-আরাফাত তপু।

  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সময়ে নির্মিত খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করলেন খাদ্য সচিব

    টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সময়ে নির্মিত খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করলেন খাদ্য সচিব

    টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি ঃ
    খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সময়ে নির্মিত জরাজীর্ন উপজেলা খাদ্য গুদামের ১নং ভবন পরিদর্শণ করেছেন। তিনি বুধবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা খাদ্য গুদামে যান। সেখানে জরাজীর্ন হেলেপড়া ১নং ভবনটি তিনি ঘুরেঘুরে দেখেন। জরাজীর্ন খাদ্যগুদামটি ভেঙ্গে তিনি সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের নির্দেশ দেন।
    এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত ধান চাল সহ খাদ্যের সঠিক মান নিরূপন করেন। এ সময় তিনি টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
    এর আগে দুপুরে টুঙ্গিপাড়া পৌছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।
    এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) পরিমল চন্দ্র সরকার, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রেজাউর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শেফাউর রহমান সহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও গোপালগঞ্জ খাদ্য বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • স্কুল শিক্ষকের ব্যায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে সাফল্য

    স্কুল শিক্ষকের ব্যায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে সাফল্য

    রাহাত রাজা সাতক্ষীরা :
    মাছ চাষের নতুন একটি প্রযুক্তি বায়োফ্লক । অল্প জয়গায় অধিক মাছ চাষে এই প্রযুক্তি বর্তমানে বেশ সাড়া ফেলেছে।
    দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। অনেক মাছ চাষি এই প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করে সফলতাও পাচ্ছেন। তেমনি এক সফল মাছ চাষি চট্টগ্রামের টাইগারপাস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মোজাম্মেল হক ।
    তিনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ট্যাংকিতে মাছ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। বছরের শুরুতে ঘরের ভিতর ৩০০ লিটারের ছোট ট্যাংকে কই ও তেলাপিয়া মাছ দিয়ে মাছ চাষ শুরুকরেন এ থেকে শাফল্য পেয়ে বাণিজিক্যভাবে উৎপাদন শুরু করেছেন তিনি।
    অনলাইন এবং ভারত থেকে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রয়োজনীয় সব প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি বানিজ্যিকভাবে দেশি মাছের চাষ শুরু করেন। তার সফলতা দেখে অনেক বেকার যুবক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
    মোজাম্মেল হক জানান আমি যখন শুরু করেছি আমার সামনে কোন মডেল ছিলো না যেটা দেখে আমি শুরু করবো বাংলাদেশে বায়োফ্লক এর মালামাল পাওয়া যায়না । যে কারনে ইউটিউব দেখে দেখে নিজেই তৈরি করেছেন বায়োফ্লোক প্রোজেক্ট। বিজ্ঞানভিত্তিক এই মাছচাষে সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত তাই সময় ও কম দেয়া লাগে।
    অক্টবরের শেষের দিকে বড় পরিশরে ১০ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬ টি ট্যাংক প্রস্তুত করে তেলাপিয়া, কই, শিং, পাবদা মাছের চাষ শুরু করেন তিনি।
    বায়োফ্লোকে শিং, কৈ, তেলাপিয়া, মাগুর, পাবদা ও ট্যাংরা মাছের পোনা ছাড়া যায়। পোনা ছেড়ে বাজারজাত করা পর্যন্ত সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ মাস। প্রথম চালানে ৬০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেন মোজাম্মেল হক । যাতে লাভ হবে অর্ধেক।
    আগামীতে ট্যাংক বাড়িয়ে কৈ, তেলাপিয়া, পাবদা, মাগুর, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ চাষ করবেন তিনি।
    তিনি আরও বলেন এ পদ্ধতিতে মাছের খাবার কম লাগে। অসুখ না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না। তবে শুরুর দিকে সবাইকে কই মাছ চাষের পরামর্শ দেন কারন কই মাছে লাভ কম হলেও মাছ চাষ টি সহজে শিখেনেয়া যায়।

    বায়োফ্লোক প্রযুক্তি মাছ চাষের একটি টেকসই এবং পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ পদ্ধতি৷ যা পানির গুনমান এবং ক্ষতিকারক রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু নিয়ন্ত্রণ করে৷ জলীয় খামার ব্যবস্থার জন্য মাইক্রোবায়াল প্রোটিন খাদ্য হিসেবে সরবরাহ করে। বায়োফ্লোক প্রযুক্তি মূলত বর্জ্য পুষ্টির পুর্নব্যবহারযোগ্য নীতি৷ বিশেষ করে, নাইট্রোজেন, মাইক্রোবায়াল জৈব বস্তুপুঞ্জের মধ্যে খাবারের খরচ কমাতে এবং মাছের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘বায়োফ্লক’ প্রযুক্তি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে। এক কথায় বলতে গেলে বায়োফ্লক হল উপকারি ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব ও শৈবালের সমম্বয়ে তৈরি হওয়া পাতলা আবরণ, যা পানিকে ফিল্টার করে অ্যামোনিয়া নামক মাছের বিষ দূরীভূত করে।
    ইন্দোনেশিয়ার এই প্রযুক্তির মাছ চাষে জেলা ও উপজেলার মৎস কর্মকর্তার অনভিগ্যতাই এখন বড় সমস্যা ব্যায়োফ্লক মাছ চাষীদের। কারন ছোট খাটো কোন সমস্যা হলে সমাধান দিতে পারছেনা মৎসকর্মকর্তারা।

  • তিন বছরে মহারাষ্ট্রে ১২ হাজার কৃষকের আত্মহত্যা


    ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল। গত তিন বছরে খরাসহ বিভিন্ন সমস্যার জেরে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রায় ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার এমন তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক সুভাষ দেশমুখ। সংবাদ সূত্র : ইনডিয়া টাইমস

    বিরোধী বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে এদিন মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী সুভাষ দেশমুখ লিখিত উত্তরে জানান, গত তিন বছরে মহারাষ্ট্রে মোট ১২ হাজার ২১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে ছয় হাজার ৮৮৮টি ঘটনার তদন্ত করছে সরকারের বিশেষ কমিটি। একই সঙ্গে আরও ছয় হাজার ৮৪৫ জন কৃষকের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে এক লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

    সুভাষ জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছেন ৬১০ জন কৃষক। যার মধ্যে ১৯২ জন আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষক-মৃতু্য ঠেকাতে এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও শুধু ঔরঙ্গাবাদে গত চার বছরে মোট চার হাজার ১২৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় কৃষি শুমারি উপলক্ষে র‌্যালি

    সাতক্ষীরায় কৃষি শুমারি উপলক্ষে র‌্যালি


    নিজস্ব প্রতিনিধি: “কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি” স্লোগানে সাতক্ষীরায় কৃষি শুমারি-২০১৯ উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে । র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জোনাল অফিসার মো. ইমরুল হোসেন, মো. আব্দুস সামাদ, শামসুল আলম, মোশারফ হোসেন, রিফা সানজিদা মুনিয়া, কাজী সিদরাতুল মুনতাহা, আমিনুর ইসলামসহ মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণনাকর্মীবৃন্দ। উল্লেখ্য, মাঠ পর্যায়ে কৃষি শুমারি কার্যক্রম আগামী ২০জুন পর্যন্ত চলবে।

  • জমে উঠেছে সাতক্ষীরার আমের বাজার

    জমে উঠেছে আমের বাজার: হতাশ চাষীরা

    সাতক্ষীরার আম বাজারে উঠা শুরু করেছে। বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই জমে উঠেছে জেলার আমের বাজার। ফলে আমের পক্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পরও দেশের পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখন জেলার ব্যস্ত সময় পার করছে। ধুম পড়ে গেছে আম কেনা বেচায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আম চাষীদের কর্মব্যস্ততার যেন শেষ নেই। প্রথম দিনে জেলা থেকে প্রায় ১৫ ট্রাক গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে বড় মানের গোবিন্দ ভোগ। এছাড়া জেলার পাইকারী বাজারে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছোট আম। আম চাষীরা বলছেন, আম পাকতে থাকায় তারা আম পাড়ছে। আগাম মুকুল আসা ও পর্যাপ্ত গরমের কারণে এবছর আগাম আম পাকতে শুরু করেছে বলে চাষীরা জানান।
    জেলায় আমের জন্য পৃথক বাজার না থাকায় আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী দালালদের খপ্পরে পড়ে আমচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাইকারী ব্যাবসায়ী ও বাগান মালিকদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসসহ কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠিকে চাঁদা দেয়ার কারণে আমের বাজার মূল্যে তারতম্য হয়।
    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণœ করে আম পাকাতে কেউ ফরমালিনের আশ্রয় নিলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কেউ যেন ফরমালিন দিয়ে আম পাকাতে না পারে তার জন্য প্রশাসেনর মোবাইল কোটের ব্যবস্থা রয়েছে।
    জেলা কৃষি খামারবাড়ি সূত্র জানায়, চলতি মাসের, ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া এবং ৮ জুন থেকে আ¤্রপালি আম বাজারে উঠতে পারে। একইভাবে ২২ মের পর থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    আম চাষীদের অভিযোগ এবছর আমের আগাম মুকুল আসায় দ্রুত আম পাকতে শুরু করেছে। পাঁকা আম গাছে ধরে রাখা যায় না। তাই ৮ এপ্রিল থেকে জেলার বাজারের পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। ঢাকার শতাধীক ও সাতক্ষীরার সহ¯্রাধীক পাইকারী আম ব্যবসায়ী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আম প্রকিয়াজাত করণে। চলতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার আম ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে আম ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। তবে বাজার মনিটার ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বীগ্ন ব্যবসায়ীরা।
    আমচাষীরা বলছে,এ বছর গরমের তীব্রতায় আগেভাগেই আম পেকেছে। শুক্রুবার সাতক্ষীরার বড় বাজারে গিয়ে সেই সত্যতা মিলল। বাজার জুড়ে আম। সারি সারি ভটভটি ও ভ্যান আম নিয়ে ছুটছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরার বাজারের গোপালভোগ ও গোবিন্দ ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে।
    কুয়াশা ও ঝড় বৃষ্টির পর এবছর জেলায় আমের উৎপাদন কম হয়েছে। এরপরও চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    বড় ধরণের কোন পাইকারী বাজার না থাকায় সুলতানপুর বড় বাজারের দীর্ঘ জান-জটের কবলে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা বড়বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মন্টু মিয়ার জমি ইজারা নিয়ে আম প্রক্রিয়া জাতের কাজ করছে। অর্ধশাধিক ব্যবসায়ী জমি ইজার নিয়ে আড়ত ঘর তৈরি করেছে। এখানে প্রতিদিন দুইশতাধী শ্রমিক আমের ক্যারট করে ট্রাক সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
    আবার জেলার অনেক আম ব্যবসায়ী বাজারের আড়তদারদের কাছে জিম্মি বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আড়তদারদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ব্যবসা করার কারণে বাগানের সমস্ত আম উঠার পর আড়তদারদের কাছে সেই আম বিক্রি করতে বাধ্য হতে হয়। ফলে সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয় জেলার গোটা আম ব্যবসায়ীদের।
    একটি আম উৎপান থেকে চুড়ান্ত ভোগ পর্যনমশ কয়েকবার হাত বদল হয়। এতে আমের দামকয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। শুধু আড়তে আম উঠানোর করণে আড়তদারদের শতকরা আট টাকা হারে খরচ দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, সাতক্ষীরাতে যে আমের মণ ২ হাজার টাকা ঢাকাতে তা বেড়ে দাড়ায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আবার জেলার গ্রাম পর্যায়ে আমের মণ ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় জেলার পাইকারী বাজারে তা ২ হাজার থেকে ২২ শত টাকা। ফলে প্রকৃত চাষীরা আমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
    আম ব্যবসায়ি জালেম খাঁ বলেন, তিনি তিন লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে তিনি কয়েকটি আমবাগান কিনেছেন। কিন্তু সম্প্রতি সাতক্ষীরার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে তার বাগানের বেশির ভাগ আম নষ্ট হয়েছে। এখন তিনি পথে বসার উপক্রম।
    সদরের লাবসা এলাকার মথুরাপুর গ্রামের পুরস্কারপ্রাপ্ত আমী চাষী জাহাঙ্গীর আলী ইউরোপের বাজার ধরার জন্য তার ৫শ’ আম গাছ প্রস্তুত। আমের ফলনও ভাল। সরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতার দাবি তার।
    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, জেলার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ জেলার মাটি আম চাষের উপযোগী। বিগত বছরগুলোর মতো এবছরর এখানকার আম ইউরোপে রফতানি হবে। যে কারণে টার্গেটকৃত বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে বিদেশে আম পাঠানোর জন্য। তিনি আরো জানান চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া এবং ৮ জুন থেকে আ¤্রপালি আম পাড়ার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার আম সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। সুনাম ক্ষুণœ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে – ড. মো. আবদুর রৌফ

    কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে – ড. মো. আবদুর রৌফ


    নিজস্ব সংবাদ দাতা ঃ ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিনা উদ্ভাবিত লবণক্ততা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের জাত বিনা ধান-১০ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৪ ঠা মে) বিকালে সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর এলাকায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্রের বাস্তবায়নে, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ড (সিসিটিএফ)’র অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আরাফাত তপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের (পিপিসি) অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করতে। কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো বেশি দক্ষ করে তুলতে হবে। লবণক্ততা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের জাত বিনা ধান-১০ অধিক ফলন দেয়। সেজন্য দিনদিন এধানের চাষ বাড়ছে।’
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ বিনা সিএসও ও বিভিাগীয় প্রধান ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরা পিএসও ও প্রধান ড. মো. ইব্রহিম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, বিএডিসি সাতক্ষীরার উপরিচালক মো. নাজিমুদ্দিন, সিসিটিএফ’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কোষ, বিনা ময়মনসিং এসএসও ইনচার্জ ড, মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুম সরদার ও ফার্ম ম্যানেজার মো. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঝ্চালনা করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কোষ, বিনা ময়মনসিং এসএসও ইনচার্জ ড, মো. কামরুজ্জামান।

  • ‘ফাতেমা’র শীষে হাজার ধান


    ফারুক হোসেন রাজ:

    সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমন মৌসুমে ‘ফাতেমা ধান’ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি শীষে (বালীতে) ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২৫টি পর্যন্ত ধান হয়েছে। ধানের অন্য জাতের তুলনায় উচ্চফলনশীল এ জাতে দ্বিগুনের বেশি ফলন হওয়ায় এর চাহিদা দিন-দিন বাড়ছে।

    কলারোয়াউপজেলাকৃষিঅফিসসূত্রেজানাগেছে, আমন মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে কলারোয়া উপজেলার ২০বিঘা জমিতে চাষ করা হয় উচ্চফলনশীল ‘ফাতেমাধান’।চাষেরশুরুতেপ্রতিকূলআবহাওয়াওপ্রাকৃতিকদুর্যোগকৃষকদেরদুশ্চিন্তারকারণহলেওপরবর্তিতেআবহাওয়াঅনুকূলথাকায়উৎপাদনলক্ষ্যমাত্রাছাড়িয়েছেধানেরএজাতটির।আগামীএকসপ্তাহেরমধ্যেপুরোদমেধানকাটাশুরুহবে।কৃষকদেরমাঝেএখনপ্রাকৃতিকদুর্যোগওশ্রমিকসংকটেরভয়।তারপরওতারাআশাকরছেনসবকিছুঠিকথাকলেএকথেকেদেড়সপ্তাহেরমধ্যেইকষ্টেরফসলতুলতেঘরেপারবেন।

    ‘ফাতেমা ধান’ ব্যাপক  সাড়াফেলেছেতারপ্রধানকারণএরএকটিশীষেধানপাওয়াগেছেএকহাজারএকশতপঁচিশটিরবেশি।দেশেবর্তমানযেসবজাতেরধানচাষহয়তারচেয়েএইধানেরফলনদ্বিগুণ।বাগেরহাটেরফকিরহাটউপজেলাবেতাগায়দেশেপ্রথম২০১৫-১৬মৌসুমেচুকুলিগ্রামেরকৃষাণীফাতেমাবেগমতারধানক্ষেতেএকগুছিতেতিনটিছড়াধানেরশীষপান।

    একটিধানেরশিষেপ্রায়একহাজারদানারধানেনতুনস্বপ্নদেখাতেশুরুকরেনফাতেমা।ওইকৃষাণীরছেলেলেবুয়াতধানেরচারারোপণকরে.কেজিবীজধানসংগ্রহকরেন।যাএকশতকজমিতেবীজবপনকরে২০১৭১৮মৌসুমেপ্রায়৫০শতকজমিতেধানচারারোপণকরাহয়।সেখানথেকেইসারাদেশেধানেরযাত্রাশুরুহয়।ফাতেমাবেগমেরজমিতেএইধানেরপ্রথমচাষহওয়ায়ধানফাতেমাধাননামেপরিচিতিপেয়েছে।

    ওইধানদেখতেকিনতেএখনকলারোয়ায়বিভিন্নএলাকাথেকেকৃষকরাভিড়জমাচ্ছেন।এমনকিঅনেকেধানকেনারজন্যঅগ্রিমঅর্থওদিয়েযাচ্ছেন।বীজহিসাবেধান৩শটাকাকেজিদরেবিক্রিরআশাকরছেনচাষীরা

    কলারোয়ারহেলাতলাইউনিয়নেরঝাঁপাঘাটগ্রামেরআব্দুলখালেকশেখেরছেলেএইধানচাষীসোহাগহোসেনবলেন, কৃষিঅফিসেরমাধ্যমেবীজসংগ্রহকরেনিজেদেরজমিতেপ্রথমবারেরমতচাষকরি।আমারজমিতেঅনেকভালোফলনহয়েছে

    সোহাগহোসেনেরজমিতেসরজমিনেগিয়েদেখাগেছে, বেশকিছুমানুষেরভীড়।কেউকেউযেজমিতেওইধানফলেছে, তাঘুরেদেখছে

    চাষীসোহাগহোসেনজানান, অন্যধানেরমতোইসাধারণপরিচর্চাকরেন।জমিতেদুইদফায়ইউরিয়াএবংপটাশসারব্যবহারকরাহয়েছে।তবেএতেমাজরাপোকাআক্রান্তহয়অন্যধানেরতুলনায়বেশিযেজন্যদানাদাররোপনেরপরেইপরিমাণমতকীটনাশকছিটানোহয়েছে।অন্যজাতেরধানগাছেরচেয়েএইধানগাছঅনেকলম্বা।ধানেরশীষওঅনেকবড়।প্রতিটিশীষেএকহাজারথেকেএকহাজারএকশতপঁচিশটিদানাহয়।প্রাকৃতিকদূর্যোগনাহলেআমারআটকাঠাজমিতেপ্রায়৮শকেজিধানপাবেবলেআশাকরছেনচাষীসোহাগ

    তিনিআরওজানান, আমারআটকাঠাজমিতেবীজসংগ্রহথেকেশেষপর্যন্তখরচহয়েছেহাজার৮শটাকা।এতেকুড়িমনধানহবেবলেআশাকরছি

    যশোরেরবাঁগআচড়াথেকেধানেরবীজকিনতেআসাটিটুলইব্রাহীমজানান, মানুষেরমুখেমুখেশুনেতাঁরাঅধিকফলনেরআশায়বীজধানক্রয়করতেএসেছেন।চাষিরাসপ্তাহেরমধ্যেইধানকাটাশেষকরবেনবলেজানিয়েছেন।

    উপজেলারহেলাতলাব্লকেরউপসহকারীকৃষিকর্মকর্তামো. আবুলহাসানবলেন, ওইধানরোপণকরারপরতাঁরাতত্ত্বাবধানকরেন।চাষিতাঁদেরপরামর্শঅনুযায়ীধানচাষকরেছেন।বীজপাতাতৈরিকরারপর১৫০থেকে১৫৫দিনেরমধ্যেধানকাটাযায়।ধানলবণসহনীয়।ফাতেমাধানরোপনেরসময়তিনটিকরেচারারোপনকরতেহয়।প্রতিটিচারারদৈর্ঘ্য১১৫থেকে১৩০সেন্টিমিটারকরতেহবে।ফলনপ্রতিহেক্টরে১১টনেরবেশি।মনেহচ্ছে, এইধানচাষকরেচষীরাখুবইলাভবানহবে।

    উপজেলাকৃষিকর্মকর্তামহাসিনআলীবলেন, ‘ফাতেমাধানঅধিকউচ্চফলনশীলজাতেরধান।উপজেলার১৬টিকৃষকপরীক্ষামূলকভাবেপ্রথমবারেরমত২০বিঘাজমিতেচাষশুরুকরেসাফল্যজনকফলনপেয়েছেন।ভালোফলনহলেপ্রতিবিঘাতেপঞ্চাশমনধানআশাকরাযায়।স্বাভাবিকঅন্যান্যধানেরচেয়েধানেরএকটুপরিচর্যাবেশিকরতেহয়।কারণধানেমাজরাপোকারআক্রমণঅন্যধানেরতুলনায়বেশি।তবেসময়মতকীটনাশকপ্রয়োগকরলেভালোফলনপাওয়াসম্ভব

    কৃষিঅফিসসূত্রেজানাযায়, উপজেলা১৬টিচাষিপ্রতান্তঅঞ্চলের২০বিঘাজমিতেওইধানচাষকরেছেন

  • সাতক্ষীরার তালায় লবন সহিষ্ণু, উচ্চ ফলনশীল বিনা ধান-১০ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরার তালায় লবন সহিষ্ণু, উচ্চ ফলনশীল বিনা ধান-১০ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত


    ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ, জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিনা ধান-১০ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    পরমাণু কৃষি গবেষণার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল জাত/প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযোজনের ধারায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি), পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শুএবার সকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হরিনখোলা গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
    মাঠ দিবসে বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আল আরাফাত তপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকতা মো: নরুল ইসলাম, তিনি বলেন বিনা-১০ ধান একটি লবন সহিষ্ণু, উচ্চ ফলনশীল, আলোক অসংবেদনশীল ও উন্নত গুনাগুন সম্পন্ন বোরো ধানের জাত সাতক্ষীরা জেলা একটি উপকূলীয় এলাকা অতিরিক্ত লোনার কারনে এক সময় এ সকল এলাকায় ধান হতো না। জমি ফেলানো থাকতো প্রায় সারা বছর কিন্ত এখন এখানে বিনা-১০ ধান চাষ করে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারছে। বিনা-১০ ধান চাষ করে ফলন ও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আগামীতে সাতক্ষীরা জেলার বিভন্ন এলাকায় এ ধান চাষ করে লাভবান হবে কৃষকরা।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে অলি আহমেদ ফকির মাসুম সরদার সহ প্রমুখ এসময় অনুষ্ঠানে ১০০জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় পটল চাষে ভাগ্য বদল

    সাতক্ষীরায় পটল চাষে ভাগ্য বদল


    আব্দুল জলিল ঃ সাতক্ষীরার মাঠে মাঠে পটল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। আর পটল চাষ করে কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে। এক বিঘা জমিতে পটল চাষ করতে খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। এবছর পটলের দাম অন্য বারের চেয়ে অনেক বেশি। তবে কৃষকদের অভিযোগ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সহযোহিতা করছে না । তাদের সহযোগিতা পেলে গাছের রোগ বালাই কমতো আরো ফলন বেশি হতো। তবে সাতক্ষীরার পটল যাচ্ছে খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ।
    জানাযায়, সাতক্ষীরায় বারো মাস পটল চাষ হয়। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সাতক্ষীরা সদর, তালা, কলারোয়,দেবহাটা, কাালিগঞ্জ উপজেলা পটল চাষে সমৃদ্ধ । সবচেয়ে বেশি পটল চাষ হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়। সাতক্ষীরার পটল যাচ্ছে খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে । কৃষকরা বলছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে। আর এই পটল খুজরা ুবাজারে মানুষ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে ক্রয় করছে। কৃষকদের দাবি ব্যবসায়ীরা ক্ষেত ওয়ালার চেয়ে বেশি মুনফা ভোগ করছে। ব্যবসায়ীরা বলছে তারা যে রকম টাকায় কিনে সে রকম টাকায় বিক্রি করে । বর্ষার কারণে এবার ক্ষেতে একটু বেশি রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য কৃষক বিভিন্ন প্রকার ঔষাধ ব্যবহার করছে । উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা তাদের কোন সহযোগিতা করছে না । কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে ফসলের রোগ বালাই কমতো আর ফলন বেশি হত । কৃষক একদিন পরপর ক্ষেত থেকে পটল উত্তোলন করে । সবমিলে এবার পটল চাষ করে কৃষক বেশ লাভবান হযেছে। কৃষক ব্যবসায়ী, দিন মুজুর সবার মুখে হাসি ফুটেছে ।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুই গাছা গ্রামের মিজানুর, তবিবর, মোশারাফ, ইসমাইলসহ একাধিক কৃষক জানান, এক বিঘা জমিতে পটল চাষ আবাদ করতে ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ হয় । আর ফলন ভাল হলে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব । পটল চাষে পরিশ্রম করতে হয় বেশি । প্রতিদিন সকালে উঠে ফুলেন পরাগায়ন করাতে হয়। স্থানীয় ভাবে পরাগায়ন ঘটানোকে ফুল ছোয়ানো বলা হয়। একদিন পর পর ক্ষেত থেকে পটল উত্তোলন করা যায়। কেউ পটলের ক্ষেতে দিন মুজুরির কাজ করছে, কেউ পটল কিনে হাট বাজারে বিক্রি করছে, আবার কেউ কেউ পটল কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি জন্য নিয়ে যাচ্ছে । সব মিলে পটল চাষে ভাগ্য বদল হচ্ছে অনেকের ।
    পটল চাষী জিয়াউর, তরিকুল, আহাদ, জামায়াত জানান, এবার বর্ষার কারণে গাছে একটু রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরণের ঔষাধ ব্যবহার করছে । অনেকের গাছ মারা যাচ্ছে । তবে উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তারা তাদের কোন সহযোগিতা করছে না। কৃষকরা আরো বলেন কৃষি অফিস চাষীদের সহযোগিতা করলে গাছের রোগ বালাই দূর হতো। তাদের পটলের ফলন বেশি হলে লাভ আরো বেশি হত। এই তথ্য সংগ্রহ করার সময় সদর উপজেলারা বাশদহা ইউনিয়নের এক উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে কৃষকদের এসব কথা না লেখার জন্য অনুরোধ করেন।
    ঢাকার কারওয়ান বাজারের পটলের আড়তদার মোস্তফা জানান, তিনি সাতক্ষীরায় এসেছেন পটল কিনতে।এখানকার অনেক ব্যবসায়ী তার আড়তে পটল বিক্রি করেন। তার দাবি ক্ষেতওয়ালা ও আড়তদারদের চেয়ে খুজরা বিক্রেতারা বেশি লাভ করে।এবার পটলের দাম ভাল। সাতক্ষীরার পটল খুব সুসাধু।
    সাতক্ষীরা কষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, পটল আবাদ করে চাষী লাভবান হয়েছে । পটল চাষে সাতক্ষীরা জেলা সমৃদ্ধ। জেলা ৬০৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে । পটলের সাথে অনেক সাথী ফসলেরর চাষ হয়।

  • তালায় বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম: বৈরী আবহাওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষক

     
    সেলিম হায়দার ॥
    এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় । উপজেলার বিলগুলোতে যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। সব এলাকায় সবুজ ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমির ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক দিন গুণছে। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেতের ধানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের সকল পরিচর্যা শেষে ধান তোলার সময় শিলা বৃষ্টি কৃষকের হাসি ম্লান করে তুলেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের মাঠের ধান হেলে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি জমে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর অধিক জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর চাষাবদের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপকহারে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। অনেক নিচু এলাকার জমিতেও চাষাবাদ হয়েছে।
    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বিলে বোরো চাষে সবুজ ফসলের সমারোহ। উপজেলার শতকরা ৮০জন কৃষকই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৯হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া তালা, জালালপুর, মাগুরা, খলিলনগর, খেশরাসহ উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে।
    তালা উপজেলার নলতা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া ও প্রকৃতির কারণে এবছর আমাদের ব্লকে গতবারের চেয়ে বর্তমানে ধান ভাল বুঝা যাচ্ছে। এ বছর আমার ব্লকে ব্রি-ধান ২৮ বেশ ফলেছে। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় বেশ দূচিন্তায় আছি, ধান ঘরে না উঠা পর্যন্ত চিন্তার শেষ নেই। অপরদিকে গোপালপুর গ্রামের কৃষক গণেশ রায় জানান, গত বছরের তুলনায় ধান ভাল না তবে রোগ বালাই কম আছে। হাজরাকাটি গ্রামেে আফজাল সরদার জানান, এবছর আমাদের এলাকায় ধানের ফলন খুব ভাল দেখা যাচ্ছে, যদি এভাবে শেষ নামে আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে বাম্পার ফলন হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
    তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ে কিছু কিছু এলাকায় ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার সকল এলাকায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করায় রোগ বালাই কিছুটা কম আছে। আগাম পরামর্শ দেওয়ায় ব্লাস্ট রোগ তেমন চোখে পড়েনি।
    তবে মাগুরা ও জালালপুর এলাকায় কিছু জমিতে রোগ দেখা দিয়েছে তবে তা চোখে পড়ার মত না। এবছর উপজেলায় ব্রি-ধান ২৮ বেশি পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে তাছাড়া ৬৭, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষ্ণু ধান চাষাবাদ হয়েছে।

  • বিনা সরিষা-৪ চাষে অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

    বিনা সরিষা-৪ চাষে অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

     
    বিনা সরিষা-৪ স্বল্প সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে হাড়দ্দার কৃষক সাইফুল ইসলামের মুখে। ২৫শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন এই উন্নতজাতের ফলনশীল সরিষা। আমন ধান চাষে সময় বেশি লেগে যাওয়া হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার পরামর্শে তিনি চাষ করেন বিনা সরিষা-৪। দেশীয় সরিষা সেখানে বিঘা প্রতি ৫মনের বেশি ফলন দেয়না সেখানে বিনা-৪ ফলন পাবেন ৮মন। আবার তেলের দিকে থেকে রয়েছে আমুল পরিবর্তন। দেশীয় সরিসা ৩শগ্রামের পরিবর্তে ৪শ৫০গ্রাম। তাই বিনাসরিষা-৪ চাষ করা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অন্যান্য চাষিরা। এউপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার হাড়দ্দায় উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দায় সরিষা কর্তৃন উপলেক্ষ্য এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনা সরিষা-৪ বাংলাদেল পরমাণু গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এ আয়োজন করেন। পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উদ্ভাবন কর্মসূচীর অর্থায়ণে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আরাফাত তপু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুম সরদার সঞ্চালানায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, উপসহকারি কৃষি অফিসার আরুফা সুলতানা প্রমুখ, কৃষক সাইফুল ইসলাম, নুরুল আমিন প্রমুখ।এসময় ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা গ্রামের দেড় শতাধিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
    এ সময় বক্তব্যরা বলেন দিন দিন দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সাথে জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। সেজন্য স্বল্প জমিতে উচ্চফলনশীল জাত ফলাতে হবে। স্বল্প সময়ে অধিক ফলনে বিনা সরিষা-৪এর বিকল্প নেই। দেশের সকল মানুষকে সুস্থ্য থাকতে সরিষা তেলের বিকল্প নাই। এজন্য ভোজ্য তেল হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন দিন মানুষ রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে সরিসার তেলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। বিনা সরিষা-৪ জীবন কাল কম সময় ৮০/৮৫দিন। দেশী সরিষায় ৩০ গ্রাম তেল উৎপাদন হয় সেখানে বিনা -৪ এ ৪শ গ্রাম থেকে ৪শ৫০গ্রাম তেল উৎপাদন হয়। এছাড়া অন্যান্য সরিষার তুলনায় বিঘাপ্রতি ২মন বেশি ফলন দেয় তাই এটি বেশি লাভবান।

  • কৃষ্ণনগরে পল্লীতে রাতের আঁধারে কৃষকের লাউ গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা

    কৃষ্ণনগরে পল্লীতে রাতের আঁধারে কৃষকের লাউ গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা


    কৃষ্ণনগর(কালিগঞ্জ)প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে হোসেনপুর গ্রামে এক লাউচাষীর লাউ গাছ রাতের আঁধারে কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর গ্রামের বেলায়েত মোল্যার পুত্র আরশাদ আলী পার্শ্ববর্তী নজরুলর ইসলামের ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ১৬০০ লাউয়ের চারা রোপণ করেন। কয়েকদিন যেতে না যেতেই লাউ গাছ গুলো ফুলে ফলে ভরে যায়। কিন্তু হায়রে কপাল! কে বা কাহারা রাতের আঁধারে লাউযুক্ত গাছগুলো উপড়ে বিনষ্ট করে দেয়। ভোর না হতেই আরশাদ আলী ক্ষেতে যেয়ে এ ক্ষতিকারক দৃশ্য দেখতে পায়। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিষয়টি জানালে এদৃশ্য দেখার জন্য ক্ষেতে আসেন এবং এ ঘটনার জন্য তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। ঘটনার তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক সহ এলাকাবাসী।