Category: কৃষি

  • করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ সময়সুচি নির্ধারন নিয়ে ভার্চয়াল মতবিনিময় সভা

    করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ সময়সুচি নির্ধারন নিয়ে ভার্চয়াল মতবিনিময় সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ সময়সুচি নির্ধারন নিয়ে ভার্চয়ালের মাধ্যমে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা (সার্বিক) মো. তানজিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ সময়সুচি বিষয়ে নির্ধারন বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা, শহর কাচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা। এবছর বর্ষা না হওয়ায় খরার কারণে গতবছরের নির্ধারিত সময় থেকে ১ সপ্তাহ আগে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আম ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ সময়সুচি নির্ধারন নিয়ে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে আলোচনা করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২১ সালে মুম্বাই, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ আগামজাত আম ১ মে থেকে আম ভাঙ্গা যাবে, হিমসাগর আম ২১ মে থেকে ভাঙ্গা যাবে এবং ল্যাংড়া আম ১লা জুন থেকে গাছ থেকে ভাঙ্গা যাবে। সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম গাছ থেকে পাড়া ও বাজারজাত করতে পারবেনা। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা করা হবে। এসময় সদর উপজেলা কৃষি অফিস প্রান্ত থেকে করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ সময়সুচি নির্ধারন নিয়ে ভার্চয়ালের মাধ্যমে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা উপসহকারি কৃষি অফিসার রঘুজিৎ গুহ, অমল ব্যনার্জী, শহর কাচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী কবিরুল হাসান বাদশা, সেক্রেটারী মো. আব্দুর রহিম বাবু, জয়েন্ট সেক্রেটারী রজব আলী খাঁ, সলিডারীডার সফল প্রকল্প প্রতিনিধি কামরুজ্জামান, আম চাষী এস.এম লিয়াকত হোসেন, মো. মনিরুল ইসলাম, মোকছেদ মোড়ল ও আবু ছাদেক প্রমুখ। এসময় সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কলারোয়ায় পোকা লাগানো তরমুজ বিক্রির হিড়িক

    কলারোয়ায় পোকা লাগানো তরমুজ বিক্রির হিড়িক


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বাজারে পোকা লাগানো তরমুজ বিক্রির হিড়িক পড়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে কলারোয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা ১৫/২০ টাকা কেজির তরমুজ ৪০/৫০ টাকা কেজিতে বিক্রয় করছে। একই সাথে গরুর খাদ্য হিসাবে পোকা লাগানো তরমুজ ৫/৭ টাকায় ক্রয় করে তা কলারোয়া বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রয় করছে। কলারোয়া উপজেলা পরিষদ এর পিছনে বাড়ী এক তরমুজ ক্রেতা বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে ইফতারী করার জন্য ৩০ টাকা কেজিতে ৩ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ক্রয় করেন। ওই তরমুজটি বাড়ীতে নিয়ে ছোট ছোট পিছ করে কেটে রাখার প্রায় আধা ঘন্টা পরে তিনি দেখতে পান সাদা সাদা ছোট ছোট পোকা রয়েছে তরমুজে। তিনি আর ওই তরমুজ খেতে পারেন নি। অনেকে এই তরমুজ বাড়ীতে নিয়ে কাটার সাথে সাথে খেয়ে ফেলছেন। রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছেমত দাম বাড়াচ্ছে। স্থানীয় জনগণ পোকা লাগা তরমুজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্য ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। খুলনার দাকোপ উপজেলার সাহেবের আবাদ এলাকার কৃষক সুশান্ত জোয়াদ্দার ও হাবিবুল্লাহ গাজী জানান, তারা দুইজনে মিলে ১৬ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে তাদের প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তারা ৫ বিঘার একটি ক্ষেত বিক্রি করেছেন সাড়ে ৫ লাখ টাকায়। বাকি ক্ষেতগুলোও ওই রকম দাম বলছেন ব্যাপারীরা। তবে সেচের পানির অভাব ও পোকার আক্রমন বেশি থাকায় এবছর ফলন অনেক কম হয়েছে। কিন্তু ভালো দাম পেয়ে তারা খুব খুশি বলে জানান। তাদের মত একই এলাকার ইন্দ্রজিত রায়, অরুপ কয়াল, পানখালীর ফাল্গুনি হালদার, সুদিপ্ত ঘোষসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক কৃষক তাদের খুশির কথা জানান। তারা আরো বলেন, পোকা লাগা ছোট ছোট তরমুজ আগে তারা গরুর খাদ্য হিসাবে ফেলে দিতো। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা সেই তরমুজ ৫/৭ টাকা কেজিতে ক্রয় করছে।

  • কলারোয়ায় কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

    কলারোয়ায় কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার ১৫০০জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ করা হচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং চলতি খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কলারোয়া পৌরসদসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ১৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (২৫এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি। এতে স্বাগত বক্তব্যে দেন-উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইমরান হোসেন। এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ-সার বিতরণ করা শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সেই লক্ষ্যে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। খাদ্য মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার করোনাকালীন যেন খাদ্য ঘাটতি না ঘটে তাই বিনামূল্যে কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন-কলারোয়া পৌরসভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ নাজনীন খুকু, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে, ভিপি মোরশেদ আলী, রবিউল হাসান, আফজাল হোসেন হাবিল, মনিরুল ইসলাম মনি, আসলামুল আলম আসলাম, এসএম মনিরুল ইসলাম, সামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, মাস্টার নুরুল ইসলাম, শেখ ইমরান হোসেন প্রমুখ। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ কর্মসূচির পুনর্বাসন আওতায় পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১৫০০জন কৃষকের মধ্যে চাহিদা মোতাবেক উফশী আউশ বীজ-৫কেজি, ডিএপি সার-২০কেজি ও এমওপি সার-১০কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন প্রতি কৃষক ১বিঘা জমির জন্য এই প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন।

  • বুধহাটায় নমুনা ফসল কর্তন

    বুধহাটায় নমুনা ফসল কর্তন

    মশাল ডেস্ক: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ব্লকে নমুনা ফসল কর্তন করা হয়েছে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে শুশীল চন্দ্র ঘোষের ক্ষেতে নমুনা ফসল কর্তন করা হয়।
    বুধহাটা ইউনিয়নের ৫ নং বুধহাটা ব্লকের ৫ নং ওয়ার্ডের শ্বেতপুর গ্রামের শুশীল চন্দ্র ঘোষ ঝখ ৮ ঐ হাইব্রীড ধান প্লটে ধান চাষ করেন। ক্ষেতের ফসল উৎপানের পরিমান নির্ধারনের জন্য নমুনা কর্তন করা হয়। কর্তনকালে ফসলের জীবনকাল ছিল ১৩৯ দিন। ২.৫৩ মিটার বৃত্তাকার ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার ক্ষেতের ধানের কাঁচা ওজন ২০.১০ কেজি ও ধানের কাঁচা আপেক্ষিক আদ্রতা ৩০%। খাওয়ার জন্য ১৪% আপেক্ষিক আদ্রতায় উক্ত ফসলের শুকনা ফলন হয়েছে ৮.১৮ মেঃটন/ হেক্টর। ফসল কর্তনকালে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম।

  • কলারোয়ার জমে উঠেছে পটলের হাট: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

    কলারোয়ার জমে উঠেছে পটলের হাট: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় করোনার মধ্যে পটলের হাট জমে উঠেছে। এখানে সরকারি আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আবার এদের মধ্যে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন না। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া পটলের হাটে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই হাটে পটলের কেজি প্রতি দর যাচ্ছে-২৮ টাকা। এই হাটে মিন্টু, সালাম, কামাল বিশ^াস, আবু হাসান, আকরাম, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আড়ৎদারী করেন। তাদের ৭টি কাটার ম্যধ্যমে কৃষকরা পটল বিক্রয় করে থাকেন। এখান থেকে চিটাগাং, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, বগুড়া ও সিলেটে ট্রাক ভর্তি পাটল যাচ্ছে। সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শুক্রবার দুই দিন হাট বসে এই সোনাবাড়ীয়ার আম বাগানে। প্রায় প্রতি হাটে ১ থেকে দেড় কোটি টাকার পটল বিক্রয় করে থাকেন এখানকার চাষীরা। ঠিক যখন করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তখনি সোনাবাড়ীয়া পটলের হাটে সরকারী নির্দেশনা অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানা হচ্ছে না। এমনকি ওই হাটে মাস্ক ব্যবহার অনেক অংশে কমে গেছে। একই চিত্র লক্ষ করা গেছে কলারোয়ার কাজিরহাট পটলের হাটে।

  • ভূগর্ভস্থ বারিড পাইপ সেচ নালা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস

    ভূগর্ভস্থ বারিড পাইপ সেচ নালা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভূ-গর্ভূস্থ বারিড পাইপ সেচ নালা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় দৌলতপুর পূজা ম-পের পাশে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন ৬নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি’র অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জসিম উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সদর কৃষিবিদ প্লাবনী সরকার, কাউন্সিলর অনীমা রানী মন্ডল, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রঘুজিৎ গুহ, অমল কুমার ব্যানার্জী ও বিশ^জিত দাশ।
    বারিড পাইপ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালার মাধ্যমে পানির অপচয় কমিয়ে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি, সেচ খরচ কমানো, সেচ এলাকা সম্প্রসারণ করা। প্রধান অতিথি উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বারিড পাইপের সুবিধা ভোগী কৃষকদের পাশাপাশি সকলকে সরকারী ভূর্তুকী মূল্যে যান্ত্রিকীকরনের সহায়তা গ্রহণ করা এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা। সর্বপরি চলতি বোরো মৌসুমে পাকা ধান কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কেটে মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তা ভরার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান। উক্ত মাঠ দিবসে স্থানীয় ৬০ জন কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানের শুরুতে করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলাই উপস্থিত সকলকে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রঘুজিৎ গুহ মাস্ক বিতরণ করেন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে সচেতনা থাকার আহ্বান জানান।
    এছাড়া বৈকারী ইউনিয়নের মৃগিডাঙ্গা মাঠে জিকেবিএসপি প্রকল্পের রসুনের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • শ্যামনগরে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষন সমাপ্ত


    শ্যমনগর ব্যুরো : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর পুষ্টি ইউনিটের উদ্যোগে বিভিন্ন শাকসবজি, ফলের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ের উপর ৪ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন ক্যাম্প গতকাল শেষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা কৃষি ভবনের সভাকক্ষে এ প্রশিক্ষন ক্যাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ্যামনগর উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম মহসীন-উল-মুলক-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন ৪ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। প্রশিক্ষক ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক ও পুষ্টি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম এনামুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব জিএম আকবর কবীর প্রমুখ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন শিক্ষক, কৃষি দপ্তরের ২ জন প্রতিনিধি, মৎস্য অফিস, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর ও প্রাণী সম্পদ দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের মোট ৩০ জন প্রতিনিধি প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

  • উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস

    উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোমরার হাড়দ্দহায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ময়মনসিংহ’ বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নুরুল ইসলাম। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম।
    সভাপতিত্ব করেন, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো: বাবুল আকতার। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিনা), সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, মশিউর রহমান, মশিউর রহমান, ফার্ম ম্যানেজার ফররুখ আহমেদ, প্রদর্শনী প্লাটের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন, আনারুল ইসলাম প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা বলেন, বিনা সরিষা-৯ লবন সহিষ্ণু এবং সামান্য জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। এছাড়া এটি একটি উচ্চফলনশীল ফসলও বটে। জলাবদ্ধতা এবং লবনাক্ততার কারণে যে সব জমিতে সরিষা চাষ করা সম্ভব হয় না। সে সব জমিতে বিনা সরিষা-৯ ভালো ফলন দেয়। এছাড়া এটি কৃষকের জন্য লাভজনক একটি জাত। এটি চাষাবাদে কৃষক লাভবান হবে।

  • কৃষিতে অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পুরস্কৃত

    কৃষিতে অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পুরস্কৃত

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ কৃষি ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ষষ্ঠবারের মতো ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও চ্যানেল আই।

    রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দুটি নতুন ক্যাটাগরিসহ মোট নয় ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

    রবিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন পথিকৃৎ কৃষি বিজ্ঞানী কাজী পেয়ারার জনক খ্যাত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা।

    এছাড়া পুরস্কার পান বছরের সেরা কৃষক (নারী) শাহিদা বেগম, বছরের সেরা কৃষক (পুরুষ) সাখাওয়াৎ হোসেন, পরিবর্তনের নায়ক এরশাদ মাহমুদ, জুরি স্পেশাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ও চট্টগ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা কোহিনুর কামাল, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (গবেষণা, উদ্ভাবণ ও প্রযুক্তি) জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (সহযোগিতা ও বাস্তবায়ন) আরবান, সেরা কৃষি সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হিরু ও দুর্যোগ প্রতিরোধে সেরা কমিউনিটি ‘লিডার্স’।

    শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে বাছাই শেষে জুরি বোর্ড উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেন। জুরি বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন চ্যানেল আই’র পরিচালক শাইখ সিরাজ।

    সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শহিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, ডব্লিউ এফপি’র প্রোগ্রাম হেড রেজাউল করীম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ও এসিআই অ্যাগ্রোলিংক এর প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারি।

    অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আরও বক্তব্য দেন চ্যানেল আই’র পরিচালক শাইখ সিরাজ।

  • দেবহাটার প্রান্ত জুড়ে হলুদ সরিষার আবাদে কৃষকের মুখে হাসি

    দেবহাটার প্রান্ত জুড়ে হলুদ সরিষার আবাদে কৃষকের মুখে হাসি

    নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার প্রান্ত জুড়ে হলুদ সরিষার আবাদে কৃষকের মুখে হাসির ঝলক দেখা দিয়েছে।
    দিগন্ত জুড়ে হলুদ সরিষার সুবাসে মুখরিত গ্রামাঞ্চল। সরিষার চাষে এই অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্যের বদল ঘটাচ্ছে। এই বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
    প্রান্তিক পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে খুশী। তবে এবছর সরিষা আবাদের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় সব ক্ষেতে সরিষার ফলন করা সম্ভব হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সময়ের হাত ধরে প্রকৃতিতে যখন নেমে এসেছে শীত তখন দেবহাটা উপজেলার চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধে হলুদ আর হলুদ। ধান চাষের পরপরই এই সরিষার আবাদ করতে হয়। সরিষা থেকে একদিকে যেমন তেল হয় তেমনি অনেকে এই সরিষার ক্ষেতের পাশে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করেন। এর মাধ্যমে অনেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন। এ ছাড়া কচি সরিষা গাছ শাক হিসেবে ব্যবহ্নত হয় এবং সরিষার ফুল লোভনীয় ভাজিও বটে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা এবছর সরিষার ফলন ভাল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তারা অনেকেই বলেন, অনেক কৃষক ধানের আবাদ করতে যেয়ে ঋনগ্রস্থ হয়ে যান। কিন্তু এই সরিষার আবাদ থেকে তারা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
    দেবহাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর জানান, চলতি বছরে দেবহাটা উপজেলাব্যাপী ১১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হচ্ছে। এবছর সরিষার ফলনও ভাল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। কৃষক মোবারক হোসেন, শেখ ওমর আলী ও আকবর আলী জানান, এবছর সরিষা চাষে তারা লাভবান হবেন বলে মনে করেন। সবদিক মিলিয়ে এবছর সরিষার ফলন ভাল এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

  • বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ বানিজ্যিক ভাবে চাষ লাভজনক

    বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ বানিজ্যিক ভাবে চাষ লাভজনক

    কুষ্টিয়ার মিরপুরে বাড়ীর পাশে পতিত জমিতে দেশীয় ফলের গাছ রোপনের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে দেশজ কুল গ্রাম প্রদর্শনীর উপরে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উদ্যোগে উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা খাঁড়ারা এলাকায় “বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজ কুল গ্রাম প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য লিংকন বিশ্বাস বলেন, “বর্তমান সরকারের নির্দেশনা মতে আমাদের দেশে মানুষের পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। বসতবাড়ীতে দেশীয় এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলের গাছ রোপন করতে হবে। প্রতিটি পরিবারে একটি করে পারিবারিক খামার স্থাপন করতে হবে। যাতে সেখান থেকে পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।”

    সভাপতির বক্তব্যে রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “বাড়ীর আঙ্গিনায় এবং আশেপাশের পতিত জমিতে আমরা দেশীয় ফল চাষের মাধ্যমে পরিবারের ফলের চাহিদা পুরণ করতে পারি। আমাদের এই অঞ্চলের মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। আমরা বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই এলাকার ২০০টি কৃষক পরিবারে বলসুন্দরী জাতের কুলের চারা রোপন করে দিয়েছি।”

    তিনি আরো বলেন, “কৃষিকে এগিয়ে নিতে হলে, আমাদের কৃষকদের জীবনমানের উন্নতির জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে যান্ত্রিক পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ বানিজ্যিক ভাবেও করা যায়। এটি বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এটি খুবই লাভজনক এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই অঞ্চলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। এটি একটি সম্ভাবনাময় ফসল।”

    অনুষ্ঠানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বিশ্বাস, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শুকেশ রঞ্জন পাল, বিশ্বনাথ পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উক্ত এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক ও কৃষানী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় নাগরিক সংলাপ

    ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় নাগরিক সংলাপ


    ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় নাগরিক সংলাপ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে উক্ত নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

    উন্নয়ন সংগঠন প্রগতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), বাংলাদেশ আয়োজিত এ নাগরিক সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ক্যাব সাতক্ষীরার উপদেষ্টা সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ।

    ‘প্রগতি’র (পিপলস রিসার্স অন গ্রাসরুট ওনারশীপ এন্ড ট্রাডিশনাল ইনিসিয়েটিভ) প্রধান নির্বাহী ও জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় নাগরিক সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, মানববাধিকার কর্মী পবিত্র মোহন দাশ, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, এডাব সাতক্ষীরার সভাপতি মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ প্রমুখ।

    নাগরিক সংলাপে বক্তারা বলেন, খাদ্যের অধিকার শুধুই রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক অধিকার নয় বরং মানবাধিকারের অংশ। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ২৫ এর (১) অনুচ্ছেদে খাদ্য অধিকারের বিষয় ¯পষ্ট করে বলা আছে। তবে এই অধিকার শুধুমাত্র ক্ষেত্র বিশেষে জরুরি অবস্থায় খাদ্যের সরবরাহ যোগান নয়, বরং আইনী কাঠামো ও ফলপ্রসূ কৌশলের মাধ্যমে সকলের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা প্রদান ও সবসময় খাদ্য ও পুষ্টির সরবরাহের অধিকার নিশ্চিত করাকে বোঝায়। যেহেতু খাদ্যের অধিকার একটি মানবাধিকার, তাই নাগরিকের খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেটি করতে হলে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই।

    বক্তারা আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক-২০২০ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০৭ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫; যেখানে বাংলাদেশ ক্ষুধা সূচকে ‘গুরূতর মাত্রা’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ পুষ্টিহীনতার শিকার এবং প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন।

    নাগরিক সংলাপের অতিথিরা আরও বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল দুর্গম এলাকার দলিত, আদিবাসী, বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও শহরের নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে পুষ্টিহীনতা বেশি। করোনাকালে এই অবস্থা আরও গুরূতর আকার ধারণ করেছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে দেশের শহরাঞ্চলে মানুষের ৪৭ শতাংশ ও গ্রামের মানুষের ৩২ শতাংশ খাবারের পরিমাণ কমেছে। সরকারি তথ্য মোতাবেকই দেশের প্রায় পৌনে ৪ কোটি মানুষ (দরিদ্র ২১.৮ শতাংশ) পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করতে পারতেন না। যা সরাসরি মানবাধিকারের স্খলন।

    নাগরিক সংলাপের আগে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের সকল মানুষের জীবিকা, খাদ্য এবং পুষ্টির নিরাপত্তা অধিকার-মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে পোস্টার প্রদর্শনী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    শহীদ মিনার থেকে পরবর্তিতে বনার্ঢ্য র‌্যালী ্েবর হয়ে সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় সংলাপ।

  • কলারোয়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ


    খোরদো প্রতিনিধি: কলারোয়ায় কৃষি অফিসের আয়োজনে বিএ আর আই উদ্ভাাবত গ্রীস্মকালীন টমেটোর আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশলের উপর কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল ১৫ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলা অডিটোরিয়ামে
    উপজেল্রা ১২টি ইউনিয়নের ১২০ জন কৃষকের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশলা অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি টমেটোর বীজ সংরক্ষনের ২০ জন কৃষকে ২০ টি বীজ সংরক্ষন পাত্র বিতরন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার কৃষি উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম,প্রশিক্ষক উপপরিচালক অতিরিক্ত জসিম উদ্দীন অতিরিক্ত উপপরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম ও কৃষি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও প্রশিক্ষনার্থীরা প্রমুখ।

  • কৃষি যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

    কৃষি যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

    মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরায় কৃষিযন্ত্র চালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের উপর যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের ২দিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরার বিনেরপোতাস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রি এই কর্মশালার আয়োজন করেছে। জুম প্লাটফরমের মাধ্যমে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবির।
    কর্মশালায় সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার ৪০ জন যন্ত্রচালক ও মেকানিক অংশ গ্রহণ করেছে।
    ২দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহকারীদেরকে কম্বাইন হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ছাড়াও দানাদার ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র, ব্রি পাওয়ার উইডার, রিপার-এর মতো যন্ত্র পরিচালনার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
    সাতক্ষীরার ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো: মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ড. মো: আশরাফুল আলম , সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ মো: নূরুল ইসলাম, ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান প্রমুখ।

    মঙ্গলবার বিকালে ২দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হবে।

  • কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বর্তমান সরকার

    কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বর্তমান সরকার

    ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া*

    কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। তার চেয়েও বড় কথা কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস। এখনও এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে কৃষিক্ষেত্রে যে অধিকতর মনোযোগ দিতে হবে শুরুতেই ২০০৯ সনে নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকার সেটি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। গত অর্ধযুগ ধরে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব প্রতিফলন।


    শুরুতেই খাদ্যশস্য উৎপাদনে গত অর্ধযুগের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা তুলে আনা যুক্তিসঙ্গত হবে। ২০০৮-২০০৯ সনে আমাদের চাল, গম ও ভুট্টার মোট উৎপাদন ছিল ৩৩৩.০৩ লাখ টন। এরপর থেকে প্রতি বছর খাদ্যশস্যের উৎপাদন বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধবনীতি ও কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে ক্রমে বেড়েছে। গত ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সনে যথাক্রমে ৩৪৫.৯৬, ৩৬০.৬৫, ৩৬৮.৩৩৯ ও ৩৭২.৬৬ লাখ টনে উন্নীত হয়। আলু উৎপাদনের কথা যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যায় যে, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ সনে এর উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭.৪৬ লাখ টন থেকে ৮৬.০৩ লাখ টনে। এ সময়কালে পেঁয়াজ, গম ও সবজির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে।


    মূলত চারটি প্রধান কারণে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গত অর্ধযুগ ধরে। এক, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ফসল আবাদের জন্য কৃষক এখন বেশি পরিমাণ গুণগতমান সম্পন্ন ফসলের বীজ পাচ্ছেন। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বিএডিসি থেকে বিভিন্ন ফসলের বীজ সরবরাহ করা হয় ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৯ টন যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান সরকারের আমলে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৩ টনে। এ বৃদ্ধি চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত হলেও তা আড়াই গুণের বেশি। দুই, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এ সময়কালে অনেক বেশি সংখ্যক জাত উদ্ভিদ প্রজননবিদরা উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন আর অনেক বীজ এরই মধ্যে কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন ফসলের মোট ১৪৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। তিন, সারের মূল্য হ্রাস ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় কৃষক স্বল্প মূল্যে সুষম সার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন। ২০০৯ সনে মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে সরকার নন-ইউরিয়া সারের মূল্য তিনবার হ্রাস করেছে। ২০০৯ সনে যেখানে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি এর কেজি প্রতি মূল্য ছিল যথাক্রমে ৮৭, ৭০ ও ৯০ টাকা, ২০১০ সনের অক্টোবরে এসে তা যথাক্রমে হ্রাস করা হয়েছে ২২, ১৫ ও ২৭ টাকায়। অন্যদিকে, ২০১৩ সনের আগস্ট মাসে এসে ইউরিয়া সারের মূল্য কৃষক পর্যায়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে একটি টেকসই সার বিতরণ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে যার মাধ্যমে কৃষকের কাছে সব ধরনের সার সময়মতো পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। চার, বেসরকারি বীজ আমদানিকে উৎসাহিত করায় দেশে ভুট্টা, সবজি, গোলআলু এবং পাট বীজ সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বীজ ব্যবস্থাকে বিশেষ সুযোগ প্রদান করায় প্রাইভেট সেক্টর দেশে প্রচুর সবজি বীজ আমদানির মধ্য দিয়ে কৃষকের কাছে সবজি বীজের জোগান বৃদ্ধি করতে পেরেছে। ফলে দেশে মুক্ত পরাগী বীজের পাশাপাশি হাইব্রিড সবজি বীজের সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সবজি উৎপাদন বেড়েছে।
    মহাজোট সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হলো কৃষি গবেষণাকে অগ্রাধিকার প্রদান। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ঘঅচঞ-এর আওতায় পরিচালিত ঝঢ়ড়হংড়ৎবফ চঁনষরপ এড়ড়ফং জবংবধৎপয (ঝচএজ) এর মাধ্যমে প্রতিটি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাব উন্নয়নসহ নানামুখী গবেষণা পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে আণবিক জীববিদ্যা সম্পর্কিত আধুনিক গবেষণাগার গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে পাটের নানা রকম প্রতিকূলতাসহিষ্ণু পাট জাত উদ্ভাবনের গবেষণা চলছে।


    দেশে ফসল কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার আরও যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-


    বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আরও গতিশীল হয়েছে। ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে ২৫% কম মূল্যে ৩৫টি জেলায় ৩৮ হাজার ৩২৪টি বিভিন্ন প্রকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। তাছাড়া বিএআরআই এবং বিআরআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি মোট মূল্যের ৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের নিকট সরবরাহ করে যাচ্ছে।
    কৃষকের উৎপাদন খরচ হ্রাস করার জন্য সরকার বিদ্যুতের রিবেট প্রদান করেছে এবং বীজ, সারসহ ইক্ষু চাষিদের সহায়তা ভর্তুকি বছর বছর বৃদ্ধি করেছে। ২০০৮-০৯ সনে এ রকম ভর্তুকি যেখানে ছিল ৫১৭৮.২৬৯১ কোটি টাকা ২০১২-১৩ সনে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯৯৯.৯৯৩৮ কোটি টাকায়।
    সরকার বন্যা, আইলা, সিডর, মহাসেনসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফসল উৎপাদনে প্রণোদনা প্রদান করেছে ও কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।


    ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে ভূ-অভ্যন্তরস্থ পানি উত্তোলন হ্রাস করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র সেচ কার্যক্রম জোরদার করেছে। দেশের জলাবদ্ধ এলাকা, হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র সেচ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারকে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। সেচ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সেচের আওতা বাড়ানো হয়েছে। ড্যাম, পাহাড়ে ঝিরি বাঁধ, রাবার ড্যাম ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে।


    কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন বর্তমান সরকারের আরেকটি সাফল্য। পাইকারি বাজার সৃষ্টি, গ্রোয়ার্স মার্কেট, কুল চেম্বার স্থাপন, রিফার ভ্যান পণ্য বিপণন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়েছে।


    সরকার অঞ্চলভিত্তিক ১৭টি সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকা উপযোগী ফসলের জাত উন্নয়ন, সম্ভাবনাময় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, সেচ অবকাঠামো নির্মাণ করে সেচের আওতা বৃদ্ধি করা, কৃষিজাত পণ্যের বাজার সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।


    কৃষি জমি ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে বলে বৃহত্তর বরিশাল, খুলনা ও সিলেট জেলার পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
    দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার কৃষির সার্বিক উন্নয়ন সাধনের জন্য ২০১৩ সনে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ মহাপরিকল্পনার আওতায় দক্ষিণাঞ্চলের ১৪টি জেলায় সামগ্রিকভাবে ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসহ ১০টি প্রধান ক্ষেত্রে কর্মকা- শুরু হয়েছে।


    দেশে বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের ১০টি কৃষি অঞ্চলে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক ফসল উৎপাদন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
    দেশে মাটির উর্বরতা অনুযায়ী অনলাইন সুষম সার সুপারিশ করার জন্য ২০০টি উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তাছাড়া দেশে এওঝ ভিত্তিক মডেলিংয়ের মাধ্যমে ১৭টি শস্য উপযোগিতা বিষয়ক ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি অঞ্চলভিত্তিক শস্য উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করবে।


    মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে পৃথিবীর পাঁচটি সর্বাধিক মৎস চাষকারী দেশের একটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-১৪ সনে আমাদের দেশে প্রায় ৩.৪৬ মিলিয়ন টন মাছ উৎপাদন করা হয়েছে যার প্রায় ২ মিলিয়ন টনই মৎস্য আবাদ থেকে পাওয়া গেছে। মৎস্য গবেষণার মাধ্যমে দেশে মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন এবং এসব জাতের মাছের পোনা ব্যবহার করার কারণে মৎস্য উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্ধযুগ ধরে মৎস্য উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এদের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণের কারণেও মৎস্য উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে। মৎস্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে যেসব কৌশল উদ্ভাবন ও এদের প্রসার ঘটানো হয়েছে সেগুলো হলো-
    সুপার জাতের মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা উৎপাদন এবং এর আবাদ করা,
    থাই পাঙ্গাশের কৃত্রিম প্রজনন এবং পোনা উৎপাদন,
    পুকুরে পাঙ্গাশ উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবন,
    পুকুরে রুই মাছের প্রজাতির মিশ্র আবাদ করা,
    মৌসুমি পুকুরে রাজপুঁটি উৎপাদন,
    উন্নত রুই জাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন এবং নার্সারি ব্যবস্থাপনা।


    প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বর্তমান মহাজোট সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে ২০০৭-০৮ সনের তুলনায় ২০১২-১৩ সনে দেশের দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন যথাক্রমে শতকরা ৪৬, ৫৫ এবং ৪.২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২-১৩ সনে কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে শতকরা ৭.৪ ভাগ বৃদ্ধি ঘটেছে। এ সময়ে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে মুরগির মৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশে এ সময়ে ২৪টি লাইভস্টক কোয়ারেনটাইন স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। প্রাণীর ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং হাইব্রিড গবাদিপশু পালন কর্মকা-কে ত্বরান্বিত করা হয়েছে। গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগি পালনে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বেকার যুবক, দুঃস্থ মহিলা, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০১১-১২ সনে দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের আটটি জেলায় ইনটিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টিভিটি প্রজেক্ট ত্বরান্বিত করা হয়েছে। দেশি মুরগির ব্রিড সংরক্ষণ করা এবং এদের বাড়তি খাদ্য সরবরাহ করে উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।


    বর্তমান সরকারের কৃষিক্ষেত্রে গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে আজ কৃষির প্রত্যেকটি খাতে ধনাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রত্যেকটি খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হওয়ায় এখন এ দেশের কৃষক কেবল খাদ্য নিরাপত্তা নয় বরং পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে দেশ ক্রমে এগোচ্ছে। খাদ্যশস্য, গোলআলু, ভুট্টা এবং সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে দেশ আজ এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জমি হ্রাসের প্রেক্ষাপটে জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকার নানামুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার সত্যিকার অর্থেই খাদ্য ঘাটতির দেশকে এক খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

    লেখক:

    ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া*
    * প্রফেসর, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলানগর, ঢাকা-১২০৭, মোবাইল : ০১৫৫২৪৬৭৯৪৫

  • পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধানচাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধকরনে কৃষক প্রশিক্ষন ও লবন সহনশীল ব্রি ধানের বীজ বিতরন

    পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধানচাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধকরনে কৃষক প্রশিক্ষন ও লবন সহনশীল ব্রি ধানের বীজ বিতরন

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধানচাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধকরনে কৃষক প্রশিক্ষন ও লবন সহনশীল ব্রি ধানের বীজ বিতরন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ও ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় বিনেরপোতা,সাতক্ষীরার সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির হলরুমে উক্ত কৃষক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়।
    ক্লাইমেট চেঞ্জ, এগ্রিকালচার ও ফুড সিকিউরিটি প্রকল্পের অর্থায়নে উক্ত প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ ব্রি’র চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।
    ব্রি সাতক্ষীরা ফার্মের ম্যানেজার অসীম কুমার বিশ^াসের সঞ্চালনায় ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড.এসএম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধানভিত্তিক খামার বিন্যাস বিভাগ ব্রি’র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মোঃ ইব্রাহিম।
    প্রশিক্ষনে এ সময় ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরা ফার্মের আশে পাশের গ্রামের ২৫ জন কৃষক-কৃষানী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষন শেষে তাদের মাঝে বিনামূল্যে লবন সহনশীল ব্রি ধান-৬৭ এর বীজ বিতরন করা হয়।