Category: কৃষি

  • আজ থেকে সাতক্ষীরায় প্রথম দফায় আম ভাঙা শুরু হলো

    আজ থেকে সাতক্ষীরায় প্রথম দফায় আম ভাঙা শুরু হলো

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সরকারিভাবে পাকা আম ভাঙা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার কুকরালি গ্রামের ব্যবসায়ি মোকছেদ আলীর বাগানে এর উদ্ধোধন করা হয়।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফতেমা তুজ জোহরা। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মঈনুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা প্লাবনী সরকার, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কণ্যাণ ব্যাণার্জী প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি বলেন, সাতক্ষীরার আম সুস্বাদু হওয়ায় দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে। যদি হিমসাগর আম আগে পাকে তাহলে আলোচনা সাপেক্ষে ভাঙার সরকারি তারিখ এগিয়ে আনা হবে।২০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে পাঠানোর জন্য আদেশ পাওয়া গেছে। এ খবরের পর আরো আম বিদেশে যাবে। আমরা চাই সারা বাংলাদেশে এ আম পৌঁছে দিতে ও কৃষকের যাতে ক্ষতি না হয়।
    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় চার হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আম বাগান রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯টি। আম চাষীর সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। সাতক্ষীরার আম পঞ্জিকা অনুযায়ি আজ শুক্রবার (৫মে) প্রথম দফায় গোবিন্দ ভোগ, গোপাল ভোগ, সরাই খাস, গোলাপ খাসসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু করা হয়েছে। হিমসাগরের জন্য ১০ মে, ল্যাংড়ার জন্য ১৮ মে , আ¤্রপালি ২৮ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রি করা যাবে।
    আমচাষী কুকরালির গোলাম মোস্তফা, মোকছেদ আলী, বাগান মালিক লিয়াকত হোসেনসহ কয়েকজন জানান, সাতক্ষীরার বেলে দোঁয়াশ মাটি ও জলবায়ু আম চাষের উপযোগী। এখানকার আম সুস্বাদু। ২০১৪ সাল থেকে ফ্রান্স ও ইটালীসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আবহওয়ার কারণে এবার কালিগঞ্জ, দেবহাটার আম আগে থেকে পাকা শুরু করে। কিন্তু কৃষি বিভাগ প্রথম দফায় আম ভাঙার দিন ১২ মে ঘোষণা করে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ি আম পাড়ার চারটি দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। তাপদাহ ও ঝড়বৃষ্টিতে আমের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে গোবিন্দ ভোগ ও গোপাল ভোগ মণ প্রতি ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এ দাম ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা না হলে চাষী ও ব্যবসায়িদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। এ পর্যন্ত রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ৭০ হাজার মণ অপরিপক্ক আম ভ্রাম্যমান আদালতে নষ্ট করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া হিমসাগর আম ভাঙার তারিখ ২৫ মে থেকে এগিয়ে না আনলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে এবারও হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম বিদেশে যাবে।
    সাতক্ষীরার আম রপ্তানিকারক সংস্থা উত্তরণ এর সলিডেরেট শাখার কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নবম বারের মত হিমসাগর ও ন্যাংড়া আম এবার ১৬ অথবা ১৭ মে এর পর বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে। বর্তমানে ৫০ মেট্রিক টণ আম পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, গোবিন্দভোগ আম পাড়ার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হলো। আমরা চাই সাতক্ষীরার আম দেশ ও দেশের বাইরে পৌঁছে যাক।

  • সাতক্ষীরায় বোরো ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় বোরো ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে
    কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে বোরো ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
    হয়েছে। আজ বুধবার(৩ মে) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা সদরের বকচরা এলাকায় বাইপাস
    সড়কের ধারে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।কর্মসূচীতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেনের সভাপতিত্বে
    প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালক মোঃ
    সাইফুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত
    উপপরিচালক ইকবাল আহমেদ। কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে
    অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে এর প্রচলন ঘটছে। মাঠ থেকে ধান
    কেটে একইসাথে তা মাড়াই করা যায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে। এছাড়া
    এটি ব্যবহারে কৃষকের কষ্ট কম হয়, বৃষ্টি বা ঝড়ে ধান নষ্ট হবার সম্ভাবনা
    কম থাকে।কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ প্লাবনী সরকার, কৃষিবিদ আরাফাত
    হোসেন, সহ অর্ধশত কৃষক।

  • মে দিবস উপলক্ষে মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আলোচনা

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মহান মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১মে সকাল ১১টায় সুলতানপুর মাছ বাজারস্থ ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের সভাপতি মোঃ শিহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ.স.ম.আ: রব।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুর রহমান, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল বাশার সরদার, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আঃ আলিম, মাহাবুব আলম রানা, মশিউর রহমান বাপ্পি, সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সহ-সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান(বাবলু), কোষাধক্ষ্য মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আঃ গফ্ফার, রবিউর ইসলাম প্রমুখ। এসময় আলোচনা সভা শেষে সাধারন শ্রমিকদের মাঝে রান্না করা খাদ্য বিতরন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবির।

  • সাতক্ষীরা জেলার ২০২৩ সালের আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার

    • ১২/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ স্থানীয় জাত
    • ২৫/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : হিমসাগর/ক্ষীরশাপাতি
    • ০১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : ল্যাংড়া
    • ১৫/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : আম্রপালি

    এ সময়ের পূর্বে যদি কোন আম চাষী বা ব্যবসায়ী আম পরিপক্ক হয়েছে বলে মনে করেন, তবে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার’কে অবহিত করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ও উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতিস্বাক্ষরিত আমের পরিমাণ উল্লেখপূর্বক সম্মতিপত্র গ্রহণ করে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে পারবেন।

    প্রচারে ঃ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা।

  • ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদান

    ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদান


    নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিফ-১/২০২৩- ২৪ মৌসুমে আউশ ধানের উৎপাদন এবং পাট ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ ও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দিচ্ছেন। আমাদের সাতক্ষীরার মাটি খুবই উর্বর। যা ফলানো হয় তাই ফলে। আমাদের দেশের কৃষি বিজ্ঞাণীরা নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে অল্প জমিতে বেশি ফলন জাত আবিষ্কার করছে।”
    অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মনির হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. নাজমুল হুদা।
    সদর উপজেলার ৫ হাজার ৮০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা প্রত্যেককে ৫ কেজি আউশ ধান বীজ, ১০কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয় এবং সদর উপজেলার ৩৯৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রত্যেককে ১ কেজি করে পাটের বীজ বিতরণ করা হয়। এসময় উপসহকারি কৃষি অফিসার অমল ব্যানার্জীসহ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার প্লাবনী সরকার।

  • সাতক্ষীরার আমের সুনাম ধরে রাখতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নানা উদ্যোগ
    নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরা সদর এলাকার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এখানে কৃষক নিরাপদ আম তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে আসছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। যে কারনে সাতক্ষীরার আম দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাতক্ষীরার আমের দীর্ঘদিনের সুনাম ধরে রাখতে এবং নিরাপদ আম সারা দেশে পৌছে দিতে নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: ইয়াছির আরাফাত। চাষীরা যাতে অধিক লাভবান হতে পারে সে লক্ষে নিরাপদ তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
    কৃষি বিভাগ জানান, এবছর সাতক্ষীরা থেকে ২০০ টন আম বিদেশে যাওয়ার লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ নিয়ে কৃষকের ডাটাবেজ তৈরি করেছেন পৌরসভা ব্লকের মো: ইয়াছির আরাফাত। ডাটাবেজ ধরে ব্লকের প্রত্যেক কৃষকের বাগানে বাগানে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। আম ভোক্তা পর্যায়ে যাওয়ার ৪৫ দিন পূর্বে কীট নাশক মুক্ত রাখতে হয়। সে লক্ষে কৃষক সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর বিধি নিষেধ বিষয়ে কৃষকদের অবগত করছেন। এছাড়া অতিরিক্ত সার যাতে ব্যবহার না করে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। ফ্রুটস ফ্লাই দমন করার জন্য ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার, ইয়োলো ট্রাপ ও আমের ব্যাগিং করে নিরাপদ বালাইনাশক মুক্ত আম উৎপাদনে পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া আমের গুটি মার্বেল দানার মত হলে সম্পূরক সেচ দিতে হয়। এই সেচ দেওয়ার পূর্বে সুষম মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হলে আম অনেক বড় হয় ও গুটিঝড়া কমে যায়।
    সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার আম চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আম বাগান নিয়মিত পরিদর্শন করে সার, কীটনাশকের ব্যবহার ও পরিচর্যা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। গড়েরকান্দা গ্রামের আম চাষী মো: সায়েদুল ইসলাম বলেন, গত বছরে আমরা বেশি আম বিদেশে না পাঠাতে পেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলাম। এবার যাতে চাষীরা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষে কাজ করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: ইয়াছির আরাফাত।

  • বারোমাসি আম চাষে সফল বাগআঁচড়ার নুর ইসলাম

    বারোমাসি আম চাষে সফল বাগআঁচড়ার নুর ইসলাম


    হুমায়ন কবির মিরাজ, শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: বারোমাসি আমচাষে সফল হয়েছেন শার্শার বাগআঁচড়া পিপড়াগাছি গ্রামের নার্সারী মালিক নুর ইসলাম। গাছে বারো মাস ধরে এই আম। এই জন্য এই জাতের নাম বারি-১১ আম। ১২ বিঘা বাগান হতে এবার অসময়ে কয়েক লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছেন। বাগানের গাছে এখন ভরপুর আম রয়েছে। আগামীতে আম বিক্রি করে অধিক লাভের আশা করছেন নুর ইসলাম।

    নুর ইসলাম জানান, তিনি ছিলেন একজন কুল ব্যবসায়ী। কুলচাষে অনেক খরচ। লাভ হয় কম। তখন সেই কুল চাষ বাদ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফল গবেষনা কেন্দ্রের মাধ্যমে বারি-১১ আম চাষে নেমে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে সে চারটি চারা রোপন করে। এতে সে প্রচুর পরিমানে ফলে দেখে তাক লেগে যান। পরবর্তিতে নুর ইসলাম তার নার্সারিতে নিয়ে চারা কলম করে এখন ৯ বিঘা জমিতে এ আমের চারা রোপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নুর ইসলাম। তিনি প্রতি কেজি আম ৪০০থেকে ৫০০ শত টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানান।

    তিনি জানান, কলম চারা দিয়ে নুর ইসলাম উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের মাঠে ৩ বিঘা কাটিমন ও ৯ বিঘা বারি-১১ আমবাগান গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৪০০ টির মতো গাছ রয়েছে তার বাগানে। বাগানের বয়স এখন ৪ বছর। তার নার্সারীতে বিক্রির জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত থাই বারোমাসি আমের চারা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের গাছের বোটায় থোকাই থোকাই আম ঝুলছে। কোনটাতে পাক ধরেছে, আবার কোনটা কাঁচা। কোন গাছে মুকুল ধরেছে, আবার কোনটাতে গুটি। বছরে তিন বার ফল দিচ্ছে এ গাছ। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ৩ বারে গড়ে ৪০কেজির মতো আম পাওয়া যাচ্ছে। অসময়ে উৎপাদিত হওয়ায় এ আমের দামও চড়া। থাই বরোমাসি আম পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। দেখতে আকারে অনেকটা আম-রুপালি আমের মত। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। আঁটি আকারে অত্যন্ত ছোট ও পাতলা। উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নুর ইসলাম।

    উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান,ফল উৎপাদনে শার্শা উপজেলা একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা।সেরকম একটি ফল হচ্ছে আম।এখানে প্রায় ৬শ ৯০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদিত হয়। গতানুগতিক ধারায় এই উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে থাকে।যার মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম রুপালি অন্যতম। কিন্তু একটি নতুন জাত বারি-১১ আম চাষ হচ্ছে। যে আমটি সারা বছর ব্যাপি উৎপাদিত হয়ে আসছে। বাগআঁচড়ারার নুর ইসলাম এটি তৈরী করেছেন। এটি দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য একটি জাত। এ আম খেতে অত্যন্ত সুমিষ্ট। ঘ্রাণও সুন্দর। আমের খোলার নিচের অংশ খুব শক্ত হওয়ায় ঘরে অনেক দিন রেখে খাওয়া যায়। এ আম চাষে কৃষক লাভবান হবেন বলে তিনি অশা করছেন।

  • খামারী ও ব্যাবসায়ীর মাঝে পিক-আপ ভ্যান বিতরণ

    খামারী ও ব্যাবসায়ীর মাঝে পিক-আপ ভ্যান বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম প্রোজেক্ট (এন এটিপি-২) এআইএফ-৩ উপ-প্রকল্পের আওতায় পিক-আপ ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুস সাকিব’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে পিক-আপ ভ্যানের চাবি হস্তান্তর করে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ, জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. বিপ্লবজিৎ কর্মকার, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মহসিন বিল্লাহ ও আব্দুল জব্বার প্রমুখ। এসময় আব্দুল্লাহ পল্টি ফিড এন্ড ফার্ম কমপ্লেক্স’র সত্ত্বাধিকারী খামারী ও ব্যাবসায়ী আব্দুল্লাহ ফারুকের হাতে পিক-আপ ভ্যানের চাবি হস্তন্তর করা হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ঢাকা পিআইইউ প্রাণিসম্পদ অঙ্গ এআইএফ- ৩ উপ প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার পিক-আপ ভ্যান ৫০% ভূর্তুকী দিয়ে সরকারিভাবে এ পিক-আপ ভ্যান হস্তান্তর করা হয় খামরীর হাতে।

  • যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের ছাত্র সজিব এখন সফল খামারি

    যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের ছাত্র সজিব এখন সফল খামারি

    মশাল ডেস্ক: কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা গ্রামের যুবক সফিউল আলম সজিব। মুরগী পালন আর মাছ চাষ করে মাসে আয় করেন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি আজ সফল খামারি। ২০১১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তিনমাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০০ ব্রয়লার মুরগী নিয়ে মুরগীর খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১০ হাজার লেয়ার মুরগী।

    খামারের পাশাপাশি রয়েছে ১২ টি পুকুর। পুকুরে শিং, পাবদা, গুলসা ও পাঙাস মাছ চাষ করেন। রয়েছে একটি মাঝের হ্যাচারি ও গরুর খামার। সজীবের খামারে ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার খামারে কাজ করে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের খরচও চালাতে পারছে।

    তালজাঙ্গা গ্রামে সজীবই প্রথম মুরগীর খামার ও মাছ চাষ শুরু করেন। এখন তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামারি হিসেবে কাজ করছেন।

    বেকার সমস্যা দূর করতে দেশের শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। চাকরির পেছনে না ছুটে সফল আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে বেকার যুবকদের প্রতি আহ্বান করেন তাড়াইল উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান।

    যুব উন্নয়ন অধিদপ্তদের দিক নির্দেশনায় সফল খামারি সজীব এখন স্বপ্ন দেখছেন নিজের খামারকে বড় পরিসরে রূপ দিয়ে ৫০ হাজার লেয়ার মুরগী নিয়ে ৫০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার। সরকারি সহযোগিতা পেলে তার এই স্বপ্ন পূরণ করা সহজ হবে বলে জানান শফিউল আলম সজীব।

  • তালায় আমন মৌসুমে ব্রী ধান ৭৫ জাতের আগাম রোপণে সাফল্য পেয়েছে কৃষক রফিকুল


    তালা প্রতিনিধি : তালায় আমন মৌসুমে ব্রী ধান ৭৫ জাতের আগাম রোপণে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম। হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে ছয় টন করে ফলন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তালার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেতু ইসলাম মোঃ রফিকুল ইসলামের জমিতে ব্রী ধান ৭৫ জাতের ধান কর্তন পরিদর্শন করেন।
    কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এবছর আমি প্রায় ৬ বিঘা জমিতে ব্রী ধান ৭৫ জাতের ধান রোপন করেছি। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। পোকামাকড়ের বালাই নেই আর সুগন্ধি জাতের এ ধান চাষের পরও সরিষা লাগানোর সুযোগ থাকে আমাদের।
    উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেতু ইসলাম বলেন, ব্রী ধান ৭৫ চাষে নতুন জাত হিসেবেও কৃষকেরা ভালো সাফল্য পাচ্ছেন। রফিকুল ইসলাম যেকোনো নতুন কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার সবার আগে করে থাকেন সব সময়। এবারও আগাম রোপণে ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে ছয় টন করে ফলন হয়েছে।
    তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, এবছর তালা উপজেলায় ৭৪০ হেক্টর জমিতে ব্রী ধান ৭৫ জাতের আবাদ হয়েছে। এধানের আয়ুষ্কাল কম হওয়ায়, ধান কেটে কৃষকেরা দ্রুত তেলজাতীয় ফসলের আবাদ করতে পারেন। নতুন এই জাতের ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষকেরা উৎসাহী হচ্ছেন।
    এসময় তিনি বলেন, ব্রী ধান ৭৫ চাষে নতুন জাত হিসেবেও কৃষকেরা ভালো সাফল্য পাচ্ছেন। রফিকুল ইসলাম যেকোনো নতুন কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার সবার আগে করে থাকেন সব সময়। এবারও আগাম রোপণে ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি, হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে ছয় টন করে ফলন হয়েছে ।

  • কেঁচো সার ব্যবহারে ফলন বাড়ে ২৫ ভাগ

    কেঁচো সার ব্যবহারে ফলন বাড়ে ২৫ ভাগ

    কৃষি ডেস্ক: সরকারি সহায়তা পেলে দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এই সার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বাড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এই সার উৎপাদনে সরকারি ভর্তুকি পাওয়া গেলে সার ও ফসলের উৎপাদন বাড়বে। কমবে দাম। কেমিক্যাল সারের আমদানি নির্ভরতা কমবে। চাপ কমবে ডলারে। কৃষি মন্ত্রণালয়, ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

    উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বিভিন্ন প্রকার জৈববস্তুকে কিছু বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর সাহায্যে কম সময়ে জমিতে প্রয়োগের উপযোগী উন্নতমানের জৈবসারে রূপান্তর করাকে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার বলে। দেশের বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্মি কম্পোস্ট বিষয়ে গবেষণা চলছে বলে জানা গেছে। উন্নত মানের ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করতে কেঁচোর দুটি প্রজাতি ইউড্রিলাস ইউজেনি ও আইসেনিয়া ফিটিডা-কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে ইউড্রিলাস ফিটিডার ব্যবহার বেশি। ইউড্রিলাস ইউজেনি কেঁচোর সহনশীলতা বেশি। বিভিন্ন জৈব কীটনাশক যেমন- নিম খোল, মহুয়া খোল, গ্লাইরিসিডিয়া, ইউপাটোরিয়ামের প্রতি অনেক বেশি সহনশীলতা দেখায়। বিভিন্ন ধরনের মাটির সঙ্গে কেঁচোর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয় বলে স্থানীয় মাটিতে কেঁচোর সাহায্যেই জৈবসার তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাইরে থেকে কেঁচো নিয়ে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। বড় গর্ত, ট্যাংক বা কংক্রিটের বৃত্তাকার পাত্র-রিং অথবা যে কোনও বড় পাত্রে কেঁচোর প্রজনন ঘটিয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়।

    গবেষণায় জানা গেছে, কৃষিতে কেঁচোসার বা ভার্মি কম্পোস্টের গুরুত্ব অনেক। বিজ্ঞানী চালর্স ডারউইন সর্বপ্রথম কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সবাইকে অবগত করিয়েছেন। কেঁচো ভূমির অন্ত্র এবং পৃথিবীর বুকে উর্বর মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে, যার ওপর ফসল উৎপাদন করা যায়। এ অতি সাধারণ, ক্ষুদ্র প্রাণীটি পচনশীল জৈবপদার্থ থেকে সোনা ফলাতে পারে, কেঁচোসার বা ভার্মি কম্পোস্টে রূপান্তরিত করে। আহার পর্বের পর যে পাচ্য পদার্থ মলরূপে নির্গমন হয় তাকে কাস্ট বলে। এ কাস্টের ভেতর জীবাণু সংখ্যা এবং তার কার্যকলাপ বাড়ার কারণে মাটির উর্বরতা বাড়ে। দেখা গেছে, পারিপার্শ্বিক মাটির তুলনায় কাস্টের মধ্যে জীবাণু সংখ্যা প্রায় হাজার গুণ বেশি। এ কাস্টের ওপরে বিভিন্ন প্রকার উৎসেচক উৎপাদনকারী ব্যাক্টেরিয়া জীবাণু বেশি থাকায় মাটির উর্বরতাও বাড়ে। কাস্টের কারণে মাটি থেকে গাছে ৬ শতাংশ নাইট্রোজেন এবং ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ ফসফরাস যোগ হতে দেখা গেছে। এছাড়াও অন্যান্য উদ্ভিদ খাদ্য উপাদান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম গাছ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারে। কেঁচোর উপস্থিতিতে জৈবপদার্থের কার্বন ও নাইট্রোজেন অনুপাত প্রায় ২০ বাই ১ এর কাছাকাছি হয়। এ অনুপাতে গাছ সহজেই কম্পোস্ট থেকে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে।

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ভার্মি কম্পোস্ট সারে গাছের অত্যাবশ্যকীয় ১৬টি খাদ্য উপাদানের ১০টিই বিদ্যমান। গবেষণায় দেখা গেছে, আদর্শ ভার্মি কম্পোস্টে জৈব পদার্থ ২৮ দশমিক ৩২ ভাগ, নাইট্রোজেন ১ দশমিক ৫৭ ভাগ, ফসফরাস ১ দশমিক ২৬ ভাগ, পটাসিয়াম ২ দশমিক ৬০ ভাগ, ক্যালসিয়াম ২ ভাগ, ম্যাগনেসিয়াম শূন্য দশমিক ৬৬ ভাগ, সালফার শূন্য দশমিক ৭৪ ভাগ, বোরন শূন্য দশমিক শূন্য ৬ ভাগ, আয়রন ৯৭৫ পিপিএম, ম্যাঙ্গানিজ ৭১২ পিপিএম, জিঙ্ক ৪০০ পিপিএম এবং কপার ২০ পিপিএম রয়েছে।

    উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মূলত রিং পদ্ধতিতে কেঁচোকম্পোস্ট সার উৎপাদন করা হয়। প্রতিটি রিংয়ের উচ্চতা ৩০ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) এবং ব্যাস ৭৬ দশমিক ২ সেন্টিমিটার (৩০ ইঞ্চি)। প্রতিটি রিংয়ে ৬০ থেকে ৭০ কেজি গোবরে আধা কেজি কেঁচো দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় একটি রিংয়ের ওপর আরেকটি রিং বসিয়ে দেওয়া হয়। এতে গোবর ও কেঁচো দ্বিগুণ হারে লাগে। প্রতি রিংয়ে রিং বাবদ ২০০ টাকা, গোবর বাবদ ১২০ টাকা এবং কেঁচো বাবদ ২৫০ টাকা খরচ হয়। স্থাপনের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় বিক্রয়ের উপযোগী কেঁচো সার তৈরি হয়। প্রতিটি রিং থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কোজি সার পাওয়া যায়।

    প্রতি কেজি কেঁচো সার ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ফলে এক মাসে একটি রিং থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং প্রায় আধা কেজি কেঁচো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এভাবে ১৭টি রিং থেকে মাসে সাড়ে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা এবং বছর ঘুরে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ২৫ শতক আলুর জমিতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি প্রতি শতকে ৩ কেজি হারে কেঁচো সার ব্যবহার করতে হয়। এক শতক জমিতে ১২০ কেজি ফলন হয়। যিনি কেঁচো সার ব্যবহার করেন, তার প্রতিবেশী কৃষকেরা ফলন পান ১০০ কেজির কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, কেঁচো সার ব্যবহার করা জমিতে রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব কম হয়।

    ব্যবহারের মাত্রা ও ফলনের প্রভাব

    ভার্মি কম্পোস্ট সব প্রকার ফসলে যে কোনও সময়ে ব্যবহার করা যায়। সবজি এবং কৃষি জমিতে ৩ থেকে ৪ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে ও ফল গাছে গাছ প্রতি ৫ থেকে ১০ কেজি হারে ব্যবহার করা হয়। ফুল বাগানের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরিমাণ ৫০০ থেকে সাড়ে ৭০০ কেজি এক হেক্টর জমিতে। মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কেঁচো সার ব্যবহারে মাঠ ফসলে ফলন শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেড়েছে। সবজিতে ফলন বৃদ্ধিসহ গুণগতমান ও স্বাদ বাড়ে। এমনকি ফল না ধরা অনেক পুরনো ফল গাছে নতুন করে ফল ধরাসহ ফলদ বৃক্ষে দুইগুণ পর্যন্ত ফলন বেড়েছে।

    জমির স্বাস্থ্য ও উর্বরতা বজায় রাখার জন্য জৈব সার ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন এ ব্যাপারে। তাই ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও তার ব্যবহার এক মূল্যবান ভূমিকা পালন করতে চলেছে আগামী দিনগুলোতে- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার জাগো কোচো সার উৎপাদক খামারের স্বত্বাধিকারী বদরুল হায়দার বেপারী জানিয়েছেন, সরকারের কাছে আমরা এই খাতে ভর্তুকি দাবি করছি। আমরা ৫ টাকা ভর্তুকি পেলে সারের দামও ৫ টাকা কমবে। তবে আমরা এই মুহূর্তেও সরকারি কিছু সহায়তা পাচ্ছি। সরকারের দেওয়া বর্তমান সহায়তার মাত্রা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এটি হলে দেশে কেমিক্যাল সারের ওপর নির্ভরতা কমবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আমদানি করা সারের ওপর থেকে নির্ভরতা কমবে। অপরদিকে আমাদের কৃষি হবে নিরাপদ। ভালো পুষ্টি পাবো।

    কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত ভার্মি কস্পোস্টের ওপর সিনেমা শো আয়োজন করছে।

  • সাতক্ষীরায় চাহিদার তুলনায় ৯৫ হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত মাছ উৎপাদন

    নিজস্ব প্রতিনিধি :

    সাতক্ষীরা জেলায় মাছের মোট উৎপাদন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৭০ মেট্রিক টন। জেলায় মোট ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ জন জনসংখ্যার বিপরীতে মাছের চাহিদা রয়েছে ৪৭ হাজর ৮২৭ মেট্রিক টন। মৎস্য অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৯৫ হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত মাছ উৎপাদন করছে মৎস্য চাষী ও খামারিরা। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ উৎপাদনে সহযোগীতা এবং চিংড়ীতে অপদ্রব্য ব্যবহার প্রতিরোধে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে ১৮৬৩ কেজি চিংড়ী বিনষ্টসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেছে সাতক্ষীরা মৎস্য অধিদপ্তর। মানবদেহে আমিষের চাহিদা পুরুনে জাতীয়ভাবে মৎস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে সাতক্ষীরা।

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বেলা ১২ টায় জেলা মৎস্য অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটি সাতক্ষীরার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক হাদিউজ্জামান, এল্লারচর চিংড়ী প্রদর্শনী খামারের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইছাক আলী,সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুজ্জামান প্রমুখ। এসময় সেখানে বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    “নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”এই স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর স্বস্থ্য বিধি মেনে আজ শনিবার থেকে আগামী ২৯ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাতক্ষীরা পৌর দীর্ঘিসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশায়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ।

  • অনলাইনে প্লাটফর্মে কৃষিপন্য বিক্রিতে কৃষকদের প্রশিক্ষন দিচ্ছে কৃষি ও বিপণন অধিদপ্তর

    অনলাইনে প্লাটফর্মে কৃষিপন্য বিক্রিতে কৃষকদের প্রশিক্ষন দিচ্ছে কৃষি ও বিপণন অধিদপ্তর

    নিজস্ব প্রতিনিধি :

    অনলাইন প্লাটফর্মে কৃষি পন্য বিপণনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি ও বিপণন অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কার্যালয়ে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ সভা শুরু হয়।

    কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কৃষি ও বিপণন অধিদপ্তর খুলনার উপ পরিচালক জি.এম মহিউদ্দীন, আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলনার সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ) নূর হাসান, আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নরসিংদীর সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কিশোর কুমার সাহা, সাতক্ষীরা কৃষি ও বিপণন কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্।

    প্রশিক্ষণের প্রথমদিনে ৩০ জন কৃষককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও কৃষকদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা কৃষি ও বিপণন অধিদপ্তর।

    সাতক্ষীরা কৃষি ও বিপণন কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ জানান, অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচারণা করে অনেকেই ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। কৃষকদের কাছ থেকে পন্য নিয়ে তারা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তবে কৃষকরা এতে কোন উপকৃত বা লাভবান হচ্ছে না। নিজের পন্য অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচারণার মাধ্যমে যদি কৃষকরা ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রি করতে পারেন তবে তারা লাভবান হবেন। আমরা কৃষকদের অনলাইন প্লাটফর্মে কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উৎসাহিত করছি ও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগ্রহী কৃষকের পন্য বেচাবিক্রির জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা করে সহায়তা করবো।

    তিনি বলেন, বর্তমানে আমের মৌসুম চলছে। অনলাইন প্লাটফর্মে অনেকেই আমের ব্যবসা করছেন। তবে আম চাষীরা অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়। চলতি মৌসুমে কৃষকরা অনলাইনেও আমের ব্যবসা করতে পারবেন।

  • সাতক্ষীরায় আমন ধানের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও বীজ সংরক্ষণের কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পজীবনকাল বিশিষ্ট আমন ধানের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও বীজ সংরক্ষণের কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্র আয়োজিত এই কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. বাবুল আকতার। সাতক্ষীরা জেলার তালা, কলারোয়া, দেবহাটা শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার সত্তরজন কৃষক এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
    কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্র’র ইনচার্জ ড. বাবুল আকতার। আলোচনা করেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, মশিউর রহমান প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মঞ্জুরুল ইসলাম।
    সাতক্ষীরা দূর্যোগ কবলিত এলাকা এবং স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট আমন ধান চাষ করতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সে বিষয়ে কৃষকরা আমন ধানের আধুনিক কলাকৌশল স্বমন্ধে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট এবং এর বৈশিষ্ট স্বম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।ফলে কৃষক ভালভাবে উন্নত জাত চাষ করে ভাল ফলন পাবে। এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।

  • সাতক্ষীরায় বৈরী আবহাওয়ায় এবার আম উৎপাদন কম, বাহিরের ক্রেতার অভাবে লোকসানে চাষী ও ব্যবসায়ীরা

    সাতক্ষীরায় বৈরী আবহাওয়ায় এবার আম উৎপাদন কম, বাহিরের ক্রেতার অভাবে লোকসানে চাষী ও ব্যবসায়ীরা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারে বিষমুক্ত গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ সুস্বাধু বিভিন্ন প্রজাতির দেশি আম। অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরায় আগে ভাগেই আম পাকে। তবে বৈরী আবহাওয়ায়, এবার আম উৎপাদন কম। গতবারের তুলনায় বাহিরের আম ক্রেতা বেশি না পাওয়ায় বিপাকে চাষী ও ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের জন্য অপরিপক্ক আম ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট করছে। যেকারণে বাজারে পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। রবিবার (২২ মে) সরেজমিনে সুলতানপুর বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কোয়ালিটি অনুযায়ী হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে, গোবিন্দভোগ আম কোয়ালিটি অনুযায়ী প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে, কোয়ালিটি অনুযায়ী গোপালভোগ আম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
    শহর কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মো. আব্দুর রহিম বাবু জানান, গত বছরের তুলনায় সাতক্ষীরায় আমের উৎপাদন কম। সুলতানপুর বড় বাজারে আমরা সার্বক্ষণিক তদারকী করায় এ বাজারে বিষমুক্ত বিভিন্ন আমের দাহিদা বেশি। বিভিন্ন জেলা থেকে আম ব্যবসায়ীরা আসছে আম নিতে। এছাড়াও সাতক্ষীরার বিষমুক্ত গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ সুস্বাধু বিভিন্ন প্রজাতির দেশি আম যাচ্ছে ইউরোপ, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে।
    সাতক্ষীরার জেলা সদরের সবচেয়ে বড় আমের মোকাম সুলতানপুর বাজারের আড়তদার আব্দুল হাকিম গাজী জানান, বাহিরের আম ব্যবসায়ী কম আসায় দাম তুলনামুলক হওয়ায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
    পাইকার ও আড়তদাররা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির কথা ভেবে অনেকে আগে ভাগে আম ভেঙ্গে নিয়েছে এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আম ক্যামিক্যাল দিয়ে আম পাকিয়ে দেশের বাজারে তোলায় অনেক এলাকার আম ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যে কারণে আমের দাম নিম্নমুখী। অন্য দিকে ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা একই সময় প্রতিযোগিতা করে বাজারে আম ওঠানোর কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না।

  • মাছখোলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি ও ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ

    মাছখোলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি ও ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় নিম্ন আয়ের পরিবারের নারীদের অংশগ্রহণে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি ও ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
    এতে প্রশিক্ষণ দেন বারসিক সাতক্ষীরা রিসোর্স সেন্টারের কৃষি সহায়ক আব্দুল বারিক।
    আরও বক্তব্য রাখেন বারসিক’র সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম ও বেতনা নারী সংগঠনের সভাপতি আশুরা বেগম।
    এতে প্রশিক্ষক আব্দুল বারিক হাতে কলমে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির কলা কৌশল প্রদর্শন করেন।
    এছাড়া বারসিক’র সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ভার্মি কম্পোস্ট সার অন্যতম সহায়ক উপকরণ। নিজেরা ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি ও ব্যবহার করে যেমন ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার থেকে দূরে থাকা যায়, তেমনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব।
    কর্মশালায় মাছখোলা গ্রামের ৪০ জন নারী অংশ নেন।

  • সাতক্ষীরায় দুগ্ধ কারখানা ও এলাকার সমবায়ীদের সাথে মত বিনিময়  ও গাভী ঋণের চেক  বিতরণ 

    শেখ কামরুল ইসলাম :
    সাতক্ষীরায় দুগ্ধ কারখানা ও এলাকার সমবায়ীদের সাথে মত বিনিময় সভা ও গাভী ঋণের চেক  বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) বিকালে বিনেরপোতার বিসিক শিল্প নগরীতে এ সভা অনুষ্টিত হয়।
    সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু।তিনি বলেন,সরকারি চাকরিজীবিরা যদি ৭০% সৎ হয় তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ ও দুধের মতো সাদা হয়ে যাবে।এ সময় তিনি খামারিদের উদ্যেশ্যে আরও বলেন  রোজার পর থেকে প্রতি কেজি দুধে ২ টাকা করে বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।গরুর খামারের বিদ্যুৎ বিল যাতে কৃষির আওতায় আনা যায় সে ব্যাপারেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। 
    অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিনেরপোতা প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর বউফ বাবু,বেত্রাবতি সমবায় সমিতির সভাপতি সোজাউদ্দৌলা টিপু ও গোপালগঞ্জ জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি শেখ  মাসুদুর রহমান প্রমূখ।
    অনুষ্ঠানে সভাপতি করেন খুলনা বিভাগের দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের সভাপতি তপন কুমার ঘোষ।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের সভাপতি তরুণ কুমার সাহা।
    আনুষ্ঠান শেষে ৫ জনের মধ্যে গাভী ঋণের ১ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

  • কলারোয়ায় বার্লি চাষে কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি

    কলারোয়ায় বার্লি চাষে কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি


    কলারোয়া পৌর প্রতিনিধি : দেশে পরিচিত ও পুরনো একটি উচ্চমূল্যের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফসল বার্লি বা যব। সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কলারোয়াতে বার্লির আবাদ একেবারেই নতুন। এ অঞ্চলে শস্যটি চাষে সফলতা কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে বার্লির আবাদে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার কুশোডাঙ্গা এলাকার বার্লি চাষী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রথম বার্লি চাষ করে যেন এক নতুন অভিজ্ঞতা পেয়েছি। তবে, বার্লি চাষে সম্ভাবনার আশার আলো জাগালেও বাজারজাতকরণ ও মাড়াইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলায় প্রথম ২১শতক জমিতে বার্লি চাষ করে ৪ মন ফসল পেয়েছি। গমের মত একই পদ্ধতি ব্যবহার করে বার্লি চাষ করতে হয়। তবে পরিপক্কতার সময়ে ইঁদুরের প্রকোপ বেড়ে যায়। এজন্য ইঁদুরের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভালো ফলন পাওয়া যাবে। গমের তুলনায় বার্লি অনেক দামি ফসল। আগামী বছর আরও বেশি জায়গাতে পরিকল্পিতভাবেই বার্লি চাষ করব। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি স্থানীয়ভাবে বার্লি বাজারজাতকরণ ও প্রযুক্তিগত মেশিন আমদানির ব্যবস্থা করলে দেশের অর্থনীতিতে বেশ ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিগত কারখানা ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকলে বার্লি চাষীরা মুখ থুবড়ে পড়বে। কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ রাজু আহমেদ বার্লির পুষ্টিগুণ এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেন, বার্লির চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হয় না। যার ফলে আমাদের বিপুল পরিমাণ বার্লি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। শস্যটির চাষ বাড়ানো সম্ভব হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি বার্লিনির্ভর অনেক শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। শস্যটি অনেক উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। এটির আটা দিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন রুটি, শিশুখাদ্য, স্যুপ) তৈরি করা হয়। এমনকি রোগীর পথ্য হিসেবেও বার্লি খাওয়া হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বার্লি যথেষ্ট লবণাক্ততা সহনশীল একটি ফসল। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে (বাংলা মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ) বার্লি বপনের উপযুক্ত সময়। বার্লি চাষে বাড়তি সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ ও বীজতলা তৈরির ঝামেলা নেই। এটি একটি লাভজনক ফসল। অগ্রহায়ণ মাসে রোপা আমন ধান কাটার পর ওই জমিতে বার্লির আবাদ করা যায়। চলতি বছর প্রথমবার উপজেলার যুগিখালী ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে বার্লির ২টি প্রদর্শনী প্লটে আশানুরূপ ফলন পেয়েছি। আমরা সেখানে হেক্টর প্রতি প্রায় তিন টন পর্যন্ত ফলন পেয়েছি। সাধারণত রবি মৌসুমে আমাদের অঞ্চলে গম চাষের প্রধান শত্রু হচ্ছে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ। এসব বিষয় বিবেচনায় বার্লি চাষ ভালো। পাশাপাশি বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধকরণে বার্লি চাষে কৃষকদের সম্পৃক্ত করা গেলে তা এ অঞ্চলের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কৃষকরা যাতে বার্লি বাজারজাতকরণ ও মাড়াই করতে পারে তার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামীতে আরও বেশি আবাদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।