নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারে সাধারন ছুটির মধ্যে দুই দফায় ১১০১ জন বিদেশ থেকে আমাশুনিতে ফিরেছেন। যাদের সবাইকে কোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
প্রকাশ ১ মার্চের পরে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ১ম দফায় ৮৯৩ জন বিদেশ থেকে আশাশুনিতে এসেছিলেন। তাদেরকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখতে প্রশাসন ব্যাপক প্রচেষ্টা চালান। এরই মধ্যে ১৮ মার্চ হতে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিনে আরও ২০৮ জন বিদেশ থেকে আশাশুনিতে ফিরেছেন। শেষে যারা ফিরেছেন তার মধ্যে শোভনালী ইউনিয়নে ২২ জন, বুধহাটা-১৭ জন, কুল্যা-৬ জন, দরগাহপুর-৭ জন, বড়দল-৪৫ জন, আশাশুনি সদর ৩৭ জন, শ্রীউলা-১০ জন, খাজরা-৩১ জন, আনুলিয়া-০৭ জন, প্রতাপনগর-১১ জন ও কাদাকাটি ইউনিয়নে ১৫ জন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সকলকে কোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছেন।
Category: করোনা ভাইরাস
-
৩০ মার্চ পর্যন্ত আশাশুনিতে বিদেশ থেকে এসছেন ১১০১ জন
-
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো ৪২ জনসহ মোট ২ হাজার ৯৩৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৭৬০ জনকে,
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে, এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৭৬০ জনকে।
এদিকে, সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুরে গাঁয়ে জ্বর, ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে কলেজ ছাত্র হাসান আলী মৃত্যু ঘটনায় নিহতের বাড়িসহ তার আশেপাশের ৫টি বাড়ির ১৮ জনকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
-
গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো ৪২ জনসহ মোট ২ হাজার ৯৩৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৭৬০ জনকে
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে, এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৭৬০ জনকে।
এদিকে, সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুরে গাঁয়ে জ্বর, ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে কলেজ ছাত্র হাসান আলী মৃত্যু ঘটনায় নিহতের বাড়িসহ তার আশেপাশের ৫টি বাড়ির ১৮ জনকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
-
করোনা-বধের টিকা নাগালে, দাবি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের
দ্য হেগ ও টোকিও, ১ এপ্রিল (এএফপি): কে প্রথম হারাবে করোনাকে? প্রতিযোগিতার দৌড়ে এখন শামিল বিশ্বের প্রায় সব দেশই। এর মধ্যে চীন ও আমেরিকা টিকা তৈরিতে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছে বলে খবর। গতকাল একটি মার্কিন সংস্থা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদের তৈরি টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। বুধবার প্রতিযোগিতার দৌড়ে ঢুকে পড়ল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপান। ইউরোপের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, তারাও কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা বাজারে নিয়ে আসতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে সামনের বছরের গোড়াতে কিংবা তারও কিছু আগে তাদের টিকা বাজারে চলে আসবে। এখন শুধু অপেক্ষা চূড়ান্ত অনুমোদনের। জাপান করোনা-বধে হাতিয়ার করতে চলেছে তাদের ফ্লু-রোধী ড্রাগকে। করোনার মহামারীতে ত্রস্ত এখন গোটা বিশ্ব। আট লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত করোনার করাল গ্রাস থেকে সভ্যতাকে রক্ষা করার দাওয়াই কোনও দেশের হাতেই নেই। চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও চলছে জবরদস্ত কাঁটাছেঁড়া। ‘এটা না হলে ওটা’র উপরেই আস্থা রাখতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তার মধ্যে করোনা-রোধী টিকা তৈরিতে বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্যকর দৌড় খানিকটা আশার আলো দেখাচ্ছে। এদিন, ইউরোপের ওই সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের চোখ রাঙানোর দিন ফুরিয়ে আসছে। বড়জোড় হলে আর একবছর। কিংবা তারও আগে করোনা প্রতিরোধী সম্পূর্ণ টিকা তৈরি করে ফেলবে তারা। ইতিমধ্যেই দু’টি টিকার প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে আমস্টারডামের ওই সংস্থা। টিকা তৈরিতে অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে হেঁটেছে তারা। সাফল্য নিশ্চিত জেনেই অনুমোদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। আর অনুমোদন পেলেই দেদার টিকা তৈরিতে ঝাঁপাবে তারা।
করোনা-যুদ্ধে চীনের অভিজ্ঞতাকে অস্ত্র করছে জাপান। জাপানের ওই সংস্থার এক মুখপাত্র এদিন জানিয়েছেন, ২০ থেকে ৭৪ বছর বয়সী করোনা রোগীদের মধ্যে মোট ১০০ জনকে বাছাই করা হবে। তাঁদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহার করা হবে। জুন মাসের শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই পরীক্ষা চালানো হবে। তার পর প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন রাখবে ওই সংস্থা। সুত্র : বর্তমান (ভারত) ২.৪.২০২০ -

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌরসভার কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এর উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌরসভার কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় পৌরসভা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরনের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।
সরকারি বরাদ্ধকৃত ৩৭ মেঃ টন চাল, সরকারি বরাদ্ধকৃক ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও সাতক্ষীরা পৌরসভার নিজস্ব বরাদ্ধ ৭ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌরসভার কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে ০৯টি ওয়ার্ডে ৮ হাজার পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি চাাল, আলু ৩ কেজি, ডাল ১ কেজি ও হাত ধোয়ার জন্য ১টি করে সাবান দেওয়া হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎ¯œা আরা, অনিমা রাণী মন্ডল, সৈয়দ মাহমুদ পাপা, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শাহিনুর রহমান শাহিন, মো. শফিকুল আলম বাবু, মো. শহিদুল ইসলাম, শেখ আব্দুস সেলিম, পৌরসভার সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বিশ^াস, স্টোর কিপার মীর নাসের আলী শাহীন প্রমুখ। পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর তাদের স্ব-স্ব ওয়ার্ডে ৫শ’ জন পরিবারকে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। এসময় পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ বরাদ্ধ বাড়ানোর দাবী ঁজানিয়েছেন। এসময় পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। -
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি যুবক করোনো ভাইরাসে আক্রান্ত নন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া যুবকের শরীরে করোনো ভাইরাসের কোন অস্তি¡ত্ব মেলেননি। তাকে আইসোলেশন থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইইডিসিআর থেকে পাওয়া রিপোর্টে করোনো ভাইরাসের অস্তি¡ত্ব না মেলায় তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পেশায় এনজিও কর্মী ওই যুবক আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। গত সোমবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। যার রিপোর্টে করোনো ভাইরাস নেগেটিভ এসেছে।প্রসঙ্গত ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষিনাথপুর গ্রামের এনজিও কর্মী আমিরুল গাজী বেসরকারি সংস্থা সুশীলনে কর্মরত আছেন। তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিস ছিল।
-
করোনাভাইরাস: ঘরভাড়া মওফুক ও বেকার কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তাসহ রেসনিং ব্যবস্থা চালুর দাবী – জেলা নাগরিক কমিটি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া ভয়ংকর মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’ কর্মসূচি সফল করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মহীন পরিবারের মাঝে সরকারী বেসরকারী ও বিত্তবানসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে ত্রাণ সহায়তা বিতরণে সমন্বয় সাধনের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ জেলার সকল পর্যায়ের ঘর মালিকদের প্রতি মার্চ মাস থেকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত বাড়িভাড়া মৌফুক করার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সাথে হোটেল রেস্টুরেন্ট দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের এবং রিক্সা ভ্যানসহ যন্ত্র চালিত যানবাহনের শ্রমিক ও ক্ষেতখামারে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের তালিকা তৈরী করে তাদেরকে নিয়মিত সহায়তা করার এবং রেসনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবী জানিয়েছেন।
নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন। এ কারণে করোনাভাইরাস ছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার দাবী জানিয়েছেন।
নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সংগ্রহের কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা যাতে ব্যাহত না হয় এবং পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিশেষ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত নাগরিক কমিটির এক সভায় পারষ্পারিক আলোচনার ভিত্তিতে এ আহবান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম। বক্তব্য রাখছেন জেলা বাসদের সংগঠক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, এড. খগেন্দ্র নাথ মন্ডল, নিত্যনন্দ সরকার, জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, আশরাফ সরদার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পাটির সদস্য সচিব আনোয়ার জাহিদ তপন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির সভাপতি আবুল হোসেন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলী নুর খান বাবলু, ওয়ার্কার্স পাটির মকবুল হোসেন, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মধাব চন্দ্র দত্ত, উত্তরণের এড. মুনির উদ্দিন, সুশীলনের শেখ মনিরুজ্জামান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। -

বৈশ্বিক মহামারী ও সীমান্ত বন্ধ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি বয়স্ক যুগলের প্রেমের সামনে
মশিউর অর্ণব: ডেনমার্কের গেলেহাস শহরের অধিবাসী ৮৫ বছর বয়সী ইনগা রাসমুসেন এবং জার্মানির সাডারলাগাম শহরে থাকেন ৮৯ বছর বয়সী কার্স্টেন টুচসেন। বিবিসি, ডয়েচে ভেলে।
বুধবার পর্যন্ত জার্মানিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজারের বেশি। অপরদিকে, ডেনমার্কে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। ওয়ার্ল্ডোমিটার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর, দুই সপ্তাহ আগে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল জার্মানি ও ডেনমার্ক।
চলমান লকডাউনের মধ্যেও বয়স্ক প্রেমিক যুগল ইনগা ও টুচসেন প্রতিদিনই জার্মানি ও ডেনমার্কের সীমান্তবর্তী শহর আভেনটফটে এসে দেখা করছেন।
দেখা করতে আসার সময় তারা একে অপরের জন্য নিজেদের ঘরে তৈরি লেমনেড ও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার নিয়ে আসেন।
সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর নির্দেশনা মেনে পরস্পরের মধ্যে দুই মিটারের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই তারা আড্ডা দিচ্ছেন ও পানাহার করছেন।
লকডাউনের মধ্যেও সীমান্তের দুই দিকের দুই দেশ থেকে প্রতিদিনই এভাবে দেখা করতে আসায়, বর্তমানে স্থানীয় তারকায় পরিণত হয়েছেন বয়স্ক এই যুগল।
সুত্র : আমাদের সময়.কম
-

করোনা ভাইরাস: উপকূলীয় এলাকায় কর্মহীন, দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে কোস্ট গার্ড
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কর্র্মহীনও দুঃস্থ মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সাহায্যর্থে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। কর্র্মহীন ও দুঃস্থদের সাহায্যের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তার অধীনস্থ জোনসমূহে ইতিমধ্যে সর্বমোট ১২৮০ পরিবার কে খাদ্যসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ জোন কর্তৃক বরিশাল, ভোলা, লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা মজুচৌধুরীরহাট, বুড়ির খাল, উত্তর বাউছিয়া, দক্ষিণ বাউছিয়া, টেকের বাজার, হাজীর হাট, গবিন্দ্রপুর, মোজাম্মেল আবাসন, চর কচ্ছপিয়া, শীতাকন্ডা, কালনারটেক, পশ্চিম জোন কর্তৃক খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার রুপসা, নলিয়ান, হারবাড়িয়া, মংলা এবং কৈখালী এবং ঢাকা জোন কর্তৃক চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার রাজরাজেশ^র, ভেদরগঞ্জ এলাকায় এই সকল খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক কর্মহীন ও দুঃস্থদের সাহায্যের এই ধারা নিয়মিত অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। -

ওয়ার্কার্স পার্টির স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা তালা উপজেলা খলিলনগর ইউনিয়নের হরিষচন্দ্রকাটিতে ১শ এবং তালা খানপুর আটারই ২শ পরিবারকে সাবান, ব্লিচিং, মাস্ক, বেবী ফুডস বিতরণ করা হয়। এপর্যন্ত তিন সহ¯্রাধিক পরিবারকে স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মহিবুল্লাহ মোড়ল, তালা উপজেলা সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, খলিলনগর ইউনিয়নের সভাপতি কমরেড মনোজিৎ ঘোষ প্রমূখ।
তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এর প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে সচেতনতায় পারে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না এসে যতদূর সম্ভব নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরকে গরিব অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিত যে সকল বিষয় বারবার জানানো হচ্ছে সে বিষয়গুলো মেনে চলার আহবান জানানো হয়। -

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনী, দুঃস্থ পরিবারের মাঝে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনী। শহরের মানুষ যাতে অযথা ঘরের বাহিরে ঘোরাফেরা না করেন এ জন্য জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিজেই শহরের বিভিন্ন সড়কে মাংকিং করছেন। এ সময় তিনি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হবেননা। এছাড়া খেটে খাওয়া দুঃস্থ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন, আপনাদের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। তাহলে আপনারা কেন ঘরের বাইরে এসে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন। পরে জেলা প্রশাসক তার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্ধশতাধিক দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
এদিকে, শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকান পাট অধিকাংশই বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাটে লোক-সমাগম খুবই। এছাড়া চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। -
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো ৯৯ জনসহ মোট ২ হাজার ৬৪২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩১০ জনকে,
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৯৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে, এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩১০ জনকে। এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলার লক্ষিনাথপুর গ্রামের আবুল গাজীর ছেলে এনজিও কর্মী আমিরুল গাজী জ¦র ও শ^াসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশানে ভর্তি হয়েছে। তবে তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল বলে জানিয়েছেন মেডিকেল তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম।
এদিকে, ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গিয়ে আটকে থাকা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী গতকাল সোমবারও ৮৯ জন দেশে প্রবেশ করেছে। তবে, ভারতে লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি বিশ্বজিত সরকার। অপরদিকে, ভোমরাস্থল বন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।
-
এবার বাংলাদেশে করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। যার মধ্যে একজনের বয়স ৮০ বছর। ৮০ বছরের একজন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সোমবার (৩০ মার্চ) করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআরের অনলাইন লাইভ ব্রিফিং-এ তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন করে দেশে ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। ৮০ বছরের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত মোট ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পরামর্শ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। ঘরের বাইরে যাবেন না। বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুবেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন, বিদেশ থেকে আসতে না করুন, আপনারাও যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
-
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত নতুন আরো ১৫২ জনসহ মোট ২ হাজার ৫৪২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৪৫ জনকে
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ১৫২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে,এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ২৪৫ জনকে।
এদিকে, ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা নিজ দেশে ফিরতে পারলেও ভারতে লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি বিশ্বজিত সরকার। তবে, ভোমরাস্থল বন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা। -

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করছে শত শত বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী, বাড়ছে করোনা আতঙ্ক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সমগ্র দেশ জুড়ে যখন চলছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। ঠিক তখনই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করছে শত শত বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী। এতে সাধারন মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও আতঙ্ক বাড়ছে।
ভোমরা ইমিগ্রেশনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রবিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১২৭ জন বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে প্রবেশ করেছে। গত শনিবার প্রবেশ করেছে আরো ১০৪ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী। আর গত ১ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত শুধু ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ১ হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী সাতক্ষীরায় প্রবেশ করেছে। এদের প্রায় সবারই বাড়ি সাতক্ষীরাতে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গোটা বাংলাদেশে যখন চলছে অঘোষিত লকডাউন। ঘর থেকে কোন মানুষ বের হতে পারছেনা। ঠিক সে মুহুর্তেও বন্ধ নেই ভারত থেকে বাংলাদেশেীদের প্রবেশ।
সাতক্ষীরার ভোমরা ইমগ্রেশন ওসি বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, রবিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১২৭ জন বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে প্রবেশ করেছেন। তবে, ভারতে লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা। তিনি জানান, সে দেশের ইমিগ্রেশন এ ব্যাপারে খুবই কঠোর। অথচ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ নেই। তিনি আরো জানান, প্রতিদিনই জেলার প্রতিটি থানায় আগতদের তালিকা পাঠানো হচ্ছে। তারা যাতে ১৪ দিন হোম করেয়েন্টাইনে থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনাও প্রদান করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, ভারত থেকে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তাদের সরকারীভাবে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। এটা করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরার মানুষ হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। -

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল'র নির্দেশে গতরাতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল’র নির্দেশে গতরাতে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে শহরের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে জনাসমাগম না হয় এবং মানুষ যেন নির্দিষ দূরত্বে থেকে কেনাকাটা করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে অভিযান চালান।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।
নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ঔষধের দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সদা গতিশীল রয়েছে। আপনারা ঘরে থাকুন, পরিবারকে সময় দিন, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা খাতুন এবং উম্মে মুসলিমার নেতৃত্বে একটি টিম খুলনা রোড হতে পাটকেলঘাটা বাজার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান গুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চায়ের দোকানে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং মুদি দোকানে একত্রে জমায়েত বন্ধ করতে বলা হয়।প্রয়োজন ব্যতীত বাহিরে বের না হতেও অনুরোধ করা হয় মাইকের মাধ্যমে।
-

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বাজারে ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয়
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বুধহাটা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি বাজার ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয় এবং এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ভাইরাস প্রতিরোধে স্প্রের ধারা অব্যাহত আছে। ভিজিটিং কার্ডধারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও চোকিদারদের মাধ্যমে তাদের চাল পৌছে দেওয়া হচ্ছ। প্রতিটি দোকানের সামনে সাদা গোল বিত্ত চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে যাতে নিরাপদ দূরত্বে থেকে দ্রব্য ক্রয় করতে পারে।
-

শ্যামনগরে দুঃস্থ অসহায় ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে খাদ্য সামগ্রী পেীঁছেদিলেন জলবায়ু পরিষদ সদস্যবৃন্দ
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ায় দিন আনা দিন খাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সদস্যবৃন্দ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন।
শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সম্পাদক আশেক ই এলাহী, সদস্য রনজিৎ বর্মন, ডাঃ নজরুল ইসলাম,চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, অনিরুদ্ধ কর্মকার সম্পদ, সুপর্ণা কর্মকার, বেল্লাল, রফিকুল ইসলাম, মুনসুর রহমান সহ অন্যান্য ব্যক্তি ও ঢাকার জলবায়ু পরিষদ সদস্য সোয়েব চেীধুরী সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠা ক্ষুদ্র অনুদান একত্রিত করে চাল,ডাল,পেঁয়াজ,আলু,তেল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কাপড় কাঁচা পাউডার ও সাবান,ডেটল সাবান ও ঔষধ সামগ্রী এ পর্যন্ত ২২টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।