Category: উপকুল

  • উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন দাবীতে জেলা নাগরিক কমিটির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

    উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন দাবীতে জেলা নাগরিক কমিটির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

    উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি মানববন্ধন ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা কালেকটরেট চত্বরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে উক্ত স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
    মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে। সরকারসহ স্থানীয় প্রশাসনের নানামূখি উদ্যোগের কারণে ঝড়ে ব্যাপক জীবনহানীর ঘটনা এড়ানো গেলেও সহায়-সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভাঙন এলাকার হাজার হাজার মানুষের সহায় সম্পদ এখনো পানির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তাদের দিন অতিবাহিত করছে।
    এমন দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যে গত ২ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এর নির্বাহী কমিটি একনেকের বৈঠকে সাতক্ষীরা শহর ও সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১, ২, ৬-৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এরআগে এই এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে সিজিআইএস নামক একটি প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে সমীক্ষা চালায় এবং জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পে সেই সমীক্ষা ও জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। বক্তারা এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ঠ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
    বক্তারা আরো বলেন, উক্ত প্রকল্পটি অনুমোদনের পর একনেকের সভা শেষে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার বেড়িবাঁধ ভেঙে সমুদ্রের লবণাক্ত জোয়ারের পানি কৃষি এলাকায় ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
    এ প্রসঙ্গে বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি এই প্রকল্পের এলাকায় নয়। বাঁধ ভেঙে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার আওতাধীন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, আটুলিয়া, শ্রীউলা, প্রতাপনগর, খাজরাসহ সংলগ্ন এলাকা। ফলে বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে স্পষ্ট করা না হলে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সহানুভূতি থেকে তারা বঞ্চিত হবে।
    বক্তারা আরো বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আয়লার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৩ জুলাই সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসেন। তিনি দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানান। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন। তিনি বাঁধ কেটে, পাইপ ঢুকিয়ে এলাকার লোনা পানি তোলা বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেক কম গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানলেও বেড়িবাঁধের ক্ষতি ভারতের চেয়ে বাংলাদেশেই বেশি হয়েছে।
    সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বক্তারা সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে ২১ দফার বাস্তবায়নসহ জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবী জানান।
    এসব দাবীর মধ্যে রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী, মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ করতে হবে। বাঁধের নদীর সাইটে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে এবং সেখানে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। লোকালয় সাইটেও বেড়িবাঁধকে ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং বেড়িবাঁধ ও ঘেরের বাঁেধর মধ্যবর্তি স্থানে বৃক্ষরোপন করতে হবে। যেসব স্থানে বারবার বাঁধ ভাঙছে সেইসব স্থান চিহ্নিত করে সেখানে ব্লকের মাধ্যমে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব জমি না থাকলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাঁধের নিচে ১০০ ফুট, উপরে ৩০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে সবধরণের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
    বক্তারা আরো বলেন, উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। অন্যান্য প্রাণিকূলের জন্য মিষ্টি পানির আধার গড়ে তুলতে হবে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রসহ মাটির কেল্লা তৈরী করতে হবে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরা শহরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় যাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি না হয় সেজন্য এক্ষুণি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর নির্মাণে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সরকারী সহায়তা প্রদান করতে হবে।
    বক্তারা চিংড়িসহ অন্যান্য ফসল ও আমসহ মৌসুমি ফলের ক্ষয়ক্ষতির শিকার চাষিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার দাবী জানান। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানান। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া জেলার লাখ লাখ মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে সরকারীভাবে যে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রেশন কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করার দাবী জানান। করোনা পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরার সরকারী হাসপাতালে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা কার্যক্রম আরো জোরদার করা এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার দাবী জানান।
    মানববন্ধন থেকে আগামী ১৫ জুন বেলা ১১টায় মানববন্ধনসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসকের নিকট বিভিন্ন দাবী-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের অনুপুস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বদিউজ্জামান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
    মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম। সংহতি প্রকাশ ও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, মধাব চন্দ্র দত্ত, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, আনোয়ার জাহিদ তপন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদর উপজেলা কমান্ডার মোঃ হাসানুর ইসলাম, সিপিবি নেতা কমরেড আবুল হোসেন, জাসদের পাপিয়া আহমেদ, বাংলাদেশ জাসদের প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, বাসদের নিত্যানন্দ সরকার, জেএসডির সুধাংশু শেখর সরকার, ওয়ার্কার্স পাটির মকবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এড. আল মাহামুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রবীর মুখার্জি, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসুর রহমান, সাংবাদিক রঘুনাথ খা, উত্তরণের এড. মনির উদ্দিন, লিডার্সের মোহন কুমার মন্ডল, পানি কমিটির মনিরুজ্জামান জোয়াদ্দার, চুপড়িয়া মহিলা সমিতির মরিয়ম মান্নান, উদীচীর সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার সভাপতি তপন কুমার শীল প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন, কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ ও যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ ও সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবীতে নৌ-বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

    জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সুপেয় পানির সংকট, লবনাক্ততা বৃদ্ধি
    প্রভৃতির কারনে উপকূলীয় এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। টেকসই বেড়ী বাঁধ ও
    সুপেয় পানি এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা
    বৃদ্ধিকে মাথায় রেখে পুরানো বাঁধ সংষ্কার নয় নতুন ডিজাইনের টেকসই বাঁধ নির্মান ও
    সুপেয় পানি নিশ্চয়তার দাবী করেছে সাতক্ষীরার নাগরিক সমাজ। গত ৭ জুন, ২০২০ সকাল ১০
    টায় জলবায়ু উপদ্রুত এলাকায় উপকূলীয় বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ ও সুপেয় পানির নিশ্চয়তার
    দাবীতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীতে
    এক নৌ-বন্ধন ও পরবর্তীতে নদীতে ভাসমান সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটি,
    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরাম ও গাবুরা
    ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফোরামের উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব মেনে এই
    নৌ-বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। নৌ-বন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাবুরা ক্লাইমেট
    রেজিলিয়েন্ট ফোরাম এর সভাপতি জনাব আমজাদ হোসেন, জলবায়ু পরিষদের সভাপতি জনাব
    আশেক-ই-ইলাহী প্রমুখ। এই কর্মসুচীতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা
    চেয়ারম্যান জনাব এস এম আতাউল হক দোলন, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব
    ভবতোষ কুমার মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব খালেদা আইয়ুব ডলি।
    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক জনাব আবুল কালাম আজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন এই
    বিংশ শতাব্দীতে আমরা যখন ঘরে ট্যাব খুলে সুপেয় পানি পান করি, সেই পানি সংগ্রহের জন্য
    উপকূলীয় এলাকায় একজন নারীকে ৩/৪ কি.মি. পথ হাঁটতে হয় প্রতিদিন। সুপেয় পানি
    প্রাপ্তির জন্য উপকূল বাসীদেরকে এনজিওদের ত্রানের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটি অমানবিক ও
    অমর্যাদাকর। তিনি আরও বলেন বাঁধ ব্যবস্থাপনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের/উপজেলা পরিষদের আওতায়
    একটি জরুরী তহবিল গঠন করতে হবে ও বাঁধ ব্যস্থাপনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে সম্পৃক্ত করতে
    হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার
    মন্ডল। আরো বক্তব্য রাখেন ৭১ টিভির বরুন ব্যানার্জী। সংবাদ সম্মেলন উপস্তাপন করেন সাতক্ষীরা
    নাগরিক কমিটির আলী নুর খান বাবলু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান। নৌ-বন্ধন ও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব
    করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এর সভাপতি মোঃ ফাইমুল হক কিসলু। এ নৌ-বন্ধন ও
    সংবাদ সম্মেলন সংহতি প্রকাশ করেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, ইসলামিক রিলিফ ও
    প্রগতি।

  • পীর সাহেব চরমোনাইয়ের পক্ষ থেকে আম্পান ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ টাকা প্রদান

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর আলহাজ্ব হজরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদরেজাউল করীম,পীর সাহেব চরমোনাই এর পক্ষ থেকে আম্পান ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষের মাঝে নগদঅর্থ প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর অধ ̈ক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালসাহেব, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারন সম্পাদক অধ অধ্যপক আব্দুল করীম শাহিন, ইসলামীযুব আন্দোলনকেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক খুলনা বিভাগ ডাঃ কাজী মো: ওয়েজকুরণী।প্রধান অতিথি তার বক্তবে ̈বলেন- সাতক্ষীরাতে মজবুত, টেকশই ও স্থায়ী বাঁধের বিকল্প নেই। সাতক্ষীরা জেলাকে বন্যা মুক্ত রাখতে সরকারকে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের আহবান জানান। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সাতক্ষীরা জেলা ছদর (সভাপতি) আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মুহাদ্দিস মোস্তফা শামছুজ্জামান, সেক্রেটারী মো: ছারোয়ার আলম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক তোছাদ্দেক হোসেন খোকা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মহিউদ্দীন আল ফারুক, ইসলামী যুব আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো: মুবাশশীরুল ইসলাম তকী,ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো: কবিরুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল হান্নান, মাওঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, হাফেজ মোখলেছুর রহমান, মো: মনিরুল ইসলাম সহ শ ̈ামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ। ইসলামী আন্দোনল বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে ঘূর্ণীঝড় আম্পানে দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জনগনের পাশে দাড়ানোর জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। সেই সাথে সরকারকে দুর্গত মানুষের জন্য জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থথা গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।

  • জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জুম মিটিং

    জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জুম মিটিং

    জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালয়ের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রণ বিতরণ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা-২ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি,  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, মেয়র সাতক্ষীরা পৌরসভা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান,  ডিডি এন এস আই, উপপরিচালক- স্থানীয় সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ডিআরআরও এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুমের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।

  • লকডাউন পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় লিডার্স-এর উদ্যোগে শ্যামনগরে ভ্রাম্যমান সবজি বাজার উদ্বোধন

    ১২ মে ২০২০ সকাল ১০টায় লিডার্স পরিচালিত“ওয়েভিংলাইভ্স”প্রকল্পেরআওতায়“খ্রিষ্টান এইড” এর আর্থিক সহায়তায় সাতক্ষীরা জেলারশ্যামনগরউপজেলারবুড়িগোয়ালিনীও মুন্সিগঞ্জইউনিয়নে দুইটিভ্রাম্যমানসবজিবাজার আরম্ভ হয়েছে। ভ্রাম্যমানসবজিবাজার উদ্যোক্তাগণ হলেনআবাদচন্ডীপুরগ্রামেরবাঘবিধবাসীতামন্ডল ও হরিনগরগ্রামেরবাঘবিধবাসবিতামন্ডল। তারাভ্যানে করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সবজীনিয়েযাবেনপ্রত্যন্তএলাকায়গ্রাম থেকে গ্রামে। এই উদ্ভাবনীমূলকভ্রাম্যমানসবজিবাজার উদ্যোগেলিডার্স প্রতিজনসদস্যকে১০,০০০টাকা আর্থিক সহযোগিতাকরেছে। আর এই অর্থ বিনিয়োগেরমাধ্যমেইতারাভ্যান, সবজী ক্রয় করে এই লকডাউনপরিস্থিতিতেব্যবসাপরিচালনা করে নিজেরা অর্থ উপার্জনকরবেন, পাশাপাশিঘরেবন্দি মানুষেরবাড়িতে পৌঁছে দিবেনখাদ্য সামগ্রী।

    ভ্রাম্যমানসবজিবাজারউদ্বোধনকরেনবুড়িগোয়ালিনীইউনিয়নের চেয়ারম্যানভবতোষকুমারমন্ডল। উপস্থিত ছিলেনলিডার্স এর নির্বাহীপরিচালক মোহনকুমারমন্ডল, প্রোগ্রামম্যানেজার সুলতানুজ্জামান, বুড়িগোয়ালিনীইউপিসদস্য কৃষ্ণপদ মন্ডল ও মলিনারানীরপ্তান।

  • করোনা সংক্রমন থেকে শ্যামনগরের জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’

    করোনা সংক্রমন থেকে শ্যামনগরের জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’

    স্টাফ রিপোটার ঃ বিশে^র অন্যান্য দেশের মত গেল কয়েক মাসে বাংলাদেশেও বেড়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমন। করোনা (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনগনের মাঝে সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়াতে এগিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। জেলার শ্যামনগর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে করোনাকালে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সামাজিক প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় দাতা সংস্থা ‘ইউকে এইড’ এবং ‘স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ’-এর সহযোগিতায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় ফ্রেন্ডশিপের এই বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা।
    ফ্রেন্ডশিপের স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালক ডাঃ কাজী গোলাম রসুল জানান, করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরাসহ দেশের মোট ১১ জেলার ১৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে চলছে ফ্রেন্ডশিপের বিশেষ কর্মসূচী। এসব এলাকায় তুলনামূলক বেশি বিপদের মুখোমুখি এমন পরিবারের সুস্বাস্থ্যে বিতরণ করা হয়েছে সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, ডিটারজেন্ট, বালতি, মগ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরিতে মাইকিং এর পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করেছেন ফ্রেন্ডশিপ কর্মীরা। ছাপানো হয়েছে কয়েক হাজার সচেতনামূলক পোস্টার। উপকূলীয় জনগোষ্ঠির মাঝে কর্মসূচী পরিচালনার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথেও কাজ করছে ফ্রেন্ডশিপ। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত সেবাদানকারীদের মাঝে ফ্রেন্ডশিপ বিতরণ করেছে উন্নতমানের ‘ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক উপকরণ-পিপিই (পার্সনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) এবং মেডিকেল সামগ্রী।
    সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, উপকূলের জনগনের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সব সময় কাজ করছে ফ্রেন্ডশিপ। দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এখানকার জনগনের সুস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়েছে সংস্থাটি। এজন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী সফল করতে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় করছে ফ্রেন্ডশিপ।

  • উপকূলে ৪৯% নি¤œবিত্ত মানুষের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে ধারণা নেই

    উপকূলে ৪৯% নি¤œবিত্ত মানুষের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে ধারণা নেই

    কোস্ট ট্রাস্টের করোনা ভাইরাস সচেতনতা জরিপ, এপ্রিল ২০২০

    অনলাইন ডস্কে : ২৩ এপ্রিল ২০২০: উপকূলে দীর্ঘদিন কর্মরত বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট করোনা ভাইরাস বিষয়ে উপকূলের মানুষের মধ্যে পরিচালিত একটি জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একেবারেই ধারণা নেই ৪৯% নি¤œবিত্ত মানুষের। ৭৪% উত্তরদাতা আইইডিসিআর এবং এর সেবা সম্পর্কে জানেন না। কোস্ট সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে।


    কক্সবাজার ও ভোলা জেলায় দৈবচয়নের মাধ্যমে বাছাইকৃত নি¤œআয়ের খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে এই জরিপ পরিচালনা করে কোস্ট ট্রাস্টের পরিবীক্ষণ ও গবেষণা বিভাগ।
    করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে উপকূলের নি¤œ আয়ের মানুষের প্রস্তুতি কেমন, কতটা সঠিক তথ্য তারা জানেন এবং সর্বোপরি কতটুকু তারা মানছেন বা মানতে পারছেন তা জানাই ছিল এই গবেষণার উদ্দেশ্য। কোস্ট ট্রাস্টের পরিবীক্ষণ ও গবেষণা বিভাগ থেকে এ কথা বলা হয়।
    উত্তরদাতাদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭% এবং পুরুষ ৫৩%। উত্তরদাতা নারীদের ৮০% গৃহিনী এবং বাকিরা শিক্ষার্থী বা পড়াশোনার বাইরে থাকা কিশোরী ও বৃদ্ধা। এ ছাড়াও ১০% কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন ১৮% ,ক্ষুদ্র বাবসায়ী ১৯% এবং ১৩% জেলে। জরিপের জন্য উপকূলের দুইটি জেলা হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রভাবিত কক্সবাজার এবং দ্বীপ জেলা ভোলা বাছাই করা হয়। এর বাইরে বিচ্ছিন্ন চর হিসেবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এবং ভোলার চর মোতাহার বাছাই করা হয়।


    করোনা ভাইরাস যেহেতু স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ কারণে সরকারি বেসরকারি সকল প্রচারণায় নিয়মিত হাত ধোয়া এবং তার নিয়মকানুন সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তারপরও এই জরিপে দেখা গেছে, ৪৯% উত্তরদাতা হাত ধোয়ার মৌলিক বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানেন না। ৪৩% উত্তরদাতা বলেছেন, তারা হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলতে পারছেন না।
    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায় এমন প্রশ্নের উত্তরে দেখা যায় ২৬% মানুষের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। ৫৩% উত্তরদাতা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক তথ্য ও লক্ষণ সম্পর্কে অবগত নন। হাঁচি বা কাশি দেবার শিষ্টাচার সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে দেখা যায়, ৬৪% উত্তরদাতা টিস্যু বা রুমাল অথবা কনুইয়ের ভাঁজের কথা উল্লেখ করেন। বাকি ৩৬% উত্তরদাতা এ সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানেন না।


    প্রায় শতভাগ গৃহিনী উত্তরদাতা জানান, তারা করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা বিষয়ক তথ্য সরাসরি পাননি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে যারা বাইরে যান, তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য জেনেছেন।
    জরিপে দেখা যায়, উপকূলের নি¤œ আয়ের মানুষের পক্ষে ঘরে থাকা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। ৩৭% উত্তরদাতা বলেছেন, তারা বাজার করার জন্য এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পর পর বাইরে যান। বাকি ৬৩% একদিন বা দুই দিন পর পর বাজারে যান। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্পর্কে ধারণা নেই ২৪% উত্তরদাতার।
    ৬৬% উত্তরদাতা বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তাদের এলাকার মসজিদে নিয়মিত মুসল্লীর সংখ্যা কমেছে। ২৮% উত্তরদাতা বলেছেন, মসজিদে সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে। ৫৬% উত্তরদাতা হোম কোয়ারেন্টিন সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানেন না বা ভুল জানেন। মাস্ক কেন ব্যবহার করতে হয় এ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই ১৩%।
    জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে কোস্ট ট্রাস্টের পরিবীক্ষণ ও গবেষণা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বাজারে সহজলভ্য মাস্কের দাম ৩০-৪০ টাকা, যা চরাঞ্চলের নি¤œ আয়ের মানুষের ক্রয়সাধ্যের অতীত। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতিদিনই উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে হচ্ছে। বরং ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা বন্ধ থাকায় তারা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছেন না।
    জরিপের ভিত্তিতে কোস্ট ট্রাস্ট থেকে ১১টি সুপারিশ করা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ হচ্ছে, উপকূলীয় জেলাগুলোতে করোনা পরীক্ষার সেবা বাড়াতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সকল বেসরকারি সংস্থাকে প্রচারণার কাজে যুক্ত করতে হবে। জনমনে সরকারি তথ্য সম্পর্কে আস্থা বাড়াতে হবে। যথাযথ


    স্বাস্থবিধি মেনে ক্ষুদ্র ও কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাবার জন্য তাদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের পাশাপাশি তাদের পণ্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি সারা দেশের ভোক্তাদের জন্য জরুরি। প্রচারণার কাজে ধর্মীয় নেতা ও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহন বাড়াতে হবে।
    এই জরিপ সম্পর্কে সংস্থার নির্বাহি পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলের দরিদ্র মানুষ কিভাবে সম্পূর্ণ অজানা এই বিপর্যয় মোকাবেলা করছে তা জানার জন্যই কোস্ট এই গবেষণা করেছে। তিনি বলেন, উপকূলের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই সংস্থা ১৯৯৮ সাল থেকে কাজ করে আসছে।

  • বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন  কর্তৃক সুন্দরবন এলাকায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক সুন্দরবন এলাকায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ


    করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সুন্দরবন ও তৎসংলগড়ব এলাকায় অসহায় ও দুস্থ জেলেসহ নি¤ড়ব আয়ের মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের
    সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন বিসিজি স্টেশান কৈখালী কর্তৃক ভেটখালী,
    টেংরাখালী ও কালিঞ্চি সংলগড়ব এলাকায় দরিদ্র স্থানীয় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। উক্ত বিসিজি স্টেশান এর মাধ্যমে উল্লেখিত
    এলাকায় স্থানীয় অসহায় ও দুস্থ নি¤ড়ব আয়ের পরিবারের মাঝে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ
    করা হয়। দেশে সার্বিক করোনা পরিস্থিতিতে সুন্দরবন ও তৎসংলগড়ব এলাকায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে কোস্ট গার্ডের এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
    কার্যμম অব্যাহত থাকবে।

  • পরিবেশ সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক ফেলোশীপ পেলেন উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু

    পরিবেশ সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক ফেলোশীপ পেলেন উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু


    পরিবেশ সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক ফেলোশীপ পেলেন উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। ওয়াশিংটন ভিত্তিক পরিবেশ সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠণ আর্থ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক-ইজেএন‘বে অব বেঙ্গল প্রোগ্রাম’-এর আওতায় তাকে এই ফেলোশীপ দিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক মিডিয়া অর্গানাইজেশন ইন্টারনিউজের তত্বাবধানে এ ফেলোশীপের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

    বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন সংক্রাš Íনির্দিষ্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য এ ফেলোশীপ দেওয়া হয়। ফেলোশীপের আওতায় উপকূলীয়অঞ্চলের নির্দিষ্ট এলাকার জনগোষ্ঠীর ওপর ক্রমাগত দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবংঅভিযোজন বিষয়ে ইনডেপথ প্রতিবেদন তৈরি করবেন। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি’র সঙ্গে কাজ করছেন রফিকুল ইসলাম মন্টু।

    বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে সাংবাদিকতায় একটি ভিন্ন ধারা তৈরি করেছেন রফিকুল ইসলাম মন্টু।তার কাজের ক্ষেত্র সমগ্র উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা ১৬ জেলা। জেলাগুলো হচ্ছে: কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।

    এই সব জেলার প্রান্তিক জনপদ ঘুরে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে উপকূল এলাকার মানুষের কণ্ঠ তুলেএনে খবর তৈরি করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে উপকূল এলাকার মানুষের কণ্ঠ তুলেএনে খবর তৈরি করছেন তিনি। লিখছেন উপকূলের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ, নাগরিক সেবা, জনজীবনসহ বিভিন œবিষয় নিয়ে। তার কাজের মধ্য দিয়ে সর্ব মহলে পরিচিতি পেয়েছে‘উপকূল সাংবাদিকতা’। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকেরা উপকূল ভিত্তিক সাংবাদিকতায় উৎসাহী হয়ে উঠছেন।

    দীর্ঘ সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় রফিকুল ইসলাম মন্টু। বাংলাদেশের শীষর্ স্থানীয় দৈনিক প্রথমআলো, কালের কণ্ঠ, সমকাল, মানবজমিন, বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর, দৈনিক সংবাদ, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি। তার সাংবাদিকতায় হাতে ঘড়ি ১৯৮৪ সালে সাপ্তাহিক নবঅভিযান থেকে। এর আগে তিনি দেওয়াল পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ লেখার চর্চা করেছেন।

    কাজের স্বীকৃতি হিসাবে রফিকুল ইসলাম মন্টু ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বেস্ট রিপোর্টিং আওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ইউনিসেফ-মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। পিআইবি-এটুআই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দু’বার। এছাড়াও পিআইবি-ইউনিসেফ ফিচার পুরস্কার, সরেজমিন প্রতিবেদনের জন্য চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, জন সংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য এফপিএবি পুরস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য বিসিডিজেসি-কানাডিয়ান অ্যাওয়ার্ড, দুর্যোগ বিষয়ক প্রতিবেদন লেখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো’র অ্যাওয়ার্ডসহ প্রায় ২০টি পুরস্কার অর্জন করেন।

    তার পুরস্কার প্রাপ্ত সবগুলো খবর উপকূলীয় ইস্যু নিয়ে লেখা।

  • করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শ্যামনগর উপকূলের মানুষ

    করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শ্যামনগর উপকূলের মানুষ


    সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে গণজমায়েত অব্যাহত
    মাহফুজুর রহমান: শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারের দোকানীরা ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানসহ অন্যান্য অধিকাংশ দোকান খোলা রাখছে। খুব ভোরে বাজারের কয়েকটি চায়ের দোকানের সার্টার অর্ধেক খুলে চা বিক্রয় করছে। অনেক দোকানের ভিতরে খরিদ্দার ঢুকিয়ে সার্টার বন্ধ করে বাহিরে একজন পাহারা দিচ্ছে। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে না অন টাইম কাপ সকালে চা খাওয়ার জন্য ভিড় করছে বহু মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের মাধ্যমে চায়ের কাপের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা। অনেক দোকানের ভিতরে খরিদ্দার ঢুকিয়ে সার্টার বন্ধ করে বাহিরে একজন পাহারা দিয়ে থাকে। সকালে চা খাওয়ার জন্য ভিড় করছে বহু মানুষ। এসব দোকান দুপুরের সময় বাদে প্রায় সারাদিন বন্ধ দেখিয়ে ভিতরে তাদের কার্যক্রম চলে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাত্র ৩টা থেকে ভোট ৬টার মধ্যে মৌ-খামারিরা ট্রাক ভর্তি মৌমাছির বাক্স নিয়ে আসছে সুন্দরবনের ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর, সিংহড়তলী, চুনকুড়ি, মীরগাং, দক্ষিণ কদমতলা, টেংরাখালীসহ সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে তারা অস্থায়ী মৌখামার স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে। মৌখামারিরা ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌ-মাছির বাক্স নিয়ে অস্থায়ী খামার বসিয়ে মৌসুমি ফুলের মধু সংগ্রহ করে উপকূলে চলে এসেছে সুন্দরবনের ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। এরা এলাকায় এসে বাহিরে ঘোরা ফেরা করছে মানছে না করোনা প্রতিরোধের কোন নিয়ম নীতি। এছাড়া সেলুনের দোকনগুলো কাষ্টমারদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সার্টার বন্ধ করে ভিতরে বসে সেলুনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এভাবেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মৌ-খামারিরা চুল কাটানো বা সেভ করতে আসছে। শুক্রবার খুব সকালে হরিনগর বাজারে লক্ষ্য করা যায়, মানুষের ভিড় মানছে না কোন নিয়ম নীতি। এখানের কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ প্রশাসনকে পাহারা দিয়ে বাজার বসিয়ে বেচা-কেনা করছে। সাধারণত প্রশাসনের কর্মকর্তারা সকাল ১১টার পরে উক্ত উপকূল এলাকায় এসে পৌঁছায় তার আগে বাজারে দোকান খুলে কেনা-বেচা করে দোকানিরা এবং ব্যাপক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভোরে ও বিকাল ৪টার পরে বাজারে অকারনে মানুষ চলা ফেরা করে এবং চায়ের দোকানে সার্টার বন্ধ করে আড্ডা দেয় এক দল বাহির হলে আরেক দল ঢোকে। প্রশাসন আসছে শুনলে দ্রুত পালিয়ে যায়। বাজারে কম্পিটারের দোকানের সার্টার সামান্য খুলে কাষ্টমার ভিতরে ঢুকায়ে নিয়ে সকালে ও বিকালে মোবাইল ফোনের মেমরী লোড করছে দোকানীরা এবং বাহিরে একজন দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে কখন প্রশাসন আসে। সংকেত দিলে ভিতরে চুপ করে বসে থাকে। তাপষ কুমার মন্ডলের মিষ্টির দোকানের ২য় তলায় মিষ্টি তৈরি করে খুব সকালে ও বিকালে সার্টার অল্প খুলে ভিতরে মানুষ ঢুকায়ে নিয়ে মিষ্টি বিক্রয় করছে এবং একই প্রিচে বা পাত্রে মিষ্টি পরিবেশন করছে এতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। বাজারের দোকানগুলো কাষ্টমার ঢুকায়ে নিয়ে এমন ভাবে সার্টার বন্ধ করে পাাহারা দিয়ে পন্য বিক্রয় করছে বাহির থেকে দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে একজন ব্যক্তির থেকে বহু মানুষে ছড়িয়ে যাবে করোনা। এলাকার সচেতন মহল এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করছে এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

  • করোনা ভাইরাস: উপকূলীয় এলাকায় কর্মহীন, দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে কোস্ট গার্ড

    করোনা ভাইরাস: উপকূলীয় এলাকায় কর্মহীন, দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে কোস্ট গার্ড


    করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কর্র্মহীনও দুঃস্থ মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সাহায্যর্থে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। কর্র্মহীন ও দুঃস্থদের সাহায্যের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তার অধীনস্থ জোনসমূহে ইতিমধ্যে সর্বমোট ১২৮০ পরিবার কে খাদ্যসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ জোন কর্তৃক বরিশাল, ভোলা, লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা মজুচৌধুরীরহাট, বুড়ির খাল, উত্তর বাউছিয়া, দক্ষিণ বাউছিয়া, টেকের বাজার, হাজীর হাট, গবিন্দ্রপুর, মোজাম্মেল আবাসন, চর কচ্ছপিয়া, শীতাকন্ডা, কালনারটেক, পশ্চিম জোন কর্তৃক খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার রুপসা, নলিয়ান, হারবাড়িয়া, মংলা এবং কৈখালী এবং ঢাকা জোন কর্তৃক চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার রাজরাজেশ^র, ভেদরগঞ্জ এলাকায় এই সকল খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক কর্মহীন ও দুঃস্থদের সাহায্যের এই ধারা নিয়মিত অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

  • ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে জেলাবাসীর প্রাণের কোন ক্ষতি না হলেও মালের  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে জেলাবাসীর প্রাণের কোন ক্ষতি না হলেও মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

    সম্প্রতি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিয়ে জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সাথে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে জেলাবাসীর প্রাণের কোন ক্ষতি না হলেও মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে বাসগৃহের ছাউনি, ভেঙে পড়েছে কাঁচা ঘর বাড়ি, উপড়ে পড়ছে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। ভেসে গেছে মৎস্য ঘের। এখানে শেষ নয়, ধান শাক-সবজি রবি শস্য, পানের বরজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ব্যাপক প্রচার প্রচারণার কারণে মানুষ সতর্ক ছিল। এই জন্য প্রাণের কোন ক্ষতি হয়নি। জেলার সার্বিক উন্নয়নের বিষয় নিয়ে তিনি সম্পাদকদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় বলেন, অতি শীঘ্রই জেলার সকল ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানানো হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। কেউ অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি সম্পাদকদের বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করেন।
    এদিকে সভায় সম্পাদকদের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বাস্তবতার চেয়ে কম দেখানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সম্পাদকরা বলেন, মৎস্য বিভাগ জেলায় ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা বলেছে। কৃষি বিভাগ বলেছে ৩৩ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু বাস্তবে অর্থের হিসাবে ক্ষতির পরিমান উক্ত হিসাবের চেয়ে ১০০ গুন বেশি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সম্পাদকরা অনুরোধ জানান। এসময় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, এটা প্রাথমিক হিসাব। ইতোমধ্যে ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব আমাদের হাতে এসেছে। প্রাথমিকভাবে হিসাব করে আমরা ৪৭ হাজারের কথা বলেছিলাম। কিন্তু বাড়ি বাড়ি যেয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে ৫৪ হাজারের বেশি।
    সভায় আগামীকাল ১৬ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত বই মেলা সুন্দর ও সার্থক করতে প্রচার কার্যক্রম আরো বেগবান এবং সকলকে বই ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে মেলা সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা সংবাদপত্র পরিষদের আহবায়ক দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম, দৈনিক পত্রদুত উপদেষ্টা সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা সম্পাদক মো. মহসিন হোসেন বাবলু, দৈনিক কালের চিত্র সহ-সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খোকন, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান, সাপ্তাহিক মুক্তস্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম, দৈনিক কাফেলার রফিকুল ইসলাম রফিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন।

  • ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পক্ষ  থেকে ত্রাণ বিতরণ

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ

    সাতক্ষীরা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন উপকূলীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের কয়েক শ’ পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
    রোববার (১১ নভেম্বর) বিকালে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউপি পরিষদ চত্ত¡রে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ৯ ইস্ট বেঙ্গল ৫৫ যশোর পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন এফএস জিসান।
    বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আমার ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কাচা ঘর সব নষ্ট হয়ে গেছে, কাচা ঘরের টিন ও এ্যালবেস্টার উড়ে গেছে। চিৎড়ি ঘের ও ধানের জমি পানিতে একাকার হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কয়েক শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন সেনাবাহিনী সদস্যরা।

  • ঝড়ে লন্ডভন্ড উপকুল

    ঘূর্নিঝড় ‘বুলবুলে’র আঘাতে সাতক্ষীরায় উপক‚লে এলাকার লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
    রোববার ভোর ৫ থেকে আঘাত হানার এখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে সাথে এখনও চলছে ঝড়। সাতক্ষীরার উপক‚লবর্তী শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর ও কাশিমাড়িসহ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা ও শ্রীউলা এলাকার অধিকাংশ কাচা ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে টিন-এলবেস্টার, পানিতে একাকার হয়ে গেছে মৎস্য ঘের, ধানের ক্ষেত। রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা।
    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার অলী জানান, ‘ভারতে পশ্চিমবঙ্গের উপক‚ল হয়ে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল রোববার ভোর ৫টা থেকে ৮১ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরা উপক‚লে আঘাত হানে। এটার পশ্চাৎভাগ এখনও সাতক্ষীরা উপক‚লে বিরাজ করছে। কেন্দ্রভাগ এখন দেশের মংলা সুন্দরবন উপক‚লে প্রবেশ করেছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
    তিনি আরো জানান, ‘এখনও পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১০ নং বিপদ সংকেত চলছে। ঝড়ের পশ্চাৎভাগ এখনও দুই ঘন্টা থাকতে পারে।’
    গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৪হাজার ঘর ভেঙ্গে গেছে। মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। এই অধিকাংশ গাছ উপড়ে গেছে। মানুষ এখন সাইক্লোন শেল্টারে এবং নিরাপদে আছে।’
    বুড়িগোয়ালীনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আমার ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বাতাসের তীব্রতা এতো ছিলে যে এখানকার অধিকাংশ গাছ উপড়ে গেছে। কাচা ঘর সব নষ্ট হয়ে গেছে, কাচা ঘরের টিন ও এ্যালবেস্টার উড়ে গেছে। চিৎড়ি ঘের ও ধানের জমি পানিতে একাকার হয়ে গেছে। নদীতে পানি বাড়ছে আমার এলাকার কিছু বেঁড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ আছে সেগুলো সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করছি। এখন জোয়ার চলছে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাঁধ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তার গাছ সরাতে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।’
    শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল রোববার ভোরে সাতক্ষীরা উপক‚লের আঘাত হানে। এতে উপক‚লীয় এলাকার অধিকাংশ কাচা ঘর নষ্ট হয়েছে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ মাছের ঘের ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। যাতায়ত ব্যবস্থা ভালো হওয়া মাত্র আমরা উদ্ধার কাজে নামবো।

  • ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে সাতক্ষীরায় ৪৭ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে সাতক্ষীরায় ৪৭ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে সাতক্ষীরার ৪৭ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ হাজার ঘরবাড়ি।
    এছাড়াও ৫ হাজার ১৭টি মৎস্য ঘের এবং ১৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন সম্পূর্ণ ও ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই হাজার হেক্টর জমির সবজি, পান, সরিষা ও কুলসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
    জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর ও কাশিমাড়িসহ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা ও শ্রীউলা এলাকাসহ অন্যান্য উপজেলার অধিকাংশ কাচা ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব এলাকার মৎস্য ঘের ও ফসলের ক্ষেত। উপড়ে পড়েছে হাজার হাজার গাছগাছালি। এতে রাস্তায় গাছ পড়ে অনেক এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তার ছিড়ে ও খুটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এলাকাগুলো।
    এদিকে, শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী ইউনিয়নের তারাণীপুরে দেওয়াল চাপা পড়ে ভ্যান চালক পলাশ ও তার স্ত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া শনিবার রাত ৯টার দিকে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের আবুল কালাম (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ‘ভারতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল হয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল রোববার ভোর ৫টা থেকে ৮১ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে।
    শনিবার রাত থেকে আজ (রোববার) সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
    গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, তার ইউনিয়নের চার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অধিকাংশ গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে, মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে নিরাপদে আছে।
    শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ কাচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ মাছের ঘের ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে।
    জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সাতক্ষীরা জেলার ৪৭ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার কাছ শুরু হয়েছে।

  • ঘুর্ণিঝড় বুলবুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের কাছে উপকুল অতিক্রম করেছে

    ঘুর্ণিঝড় বুলবুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের কাছে উপকুল অতিক্রম করেছে

    বিদেশ খবর: শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় বুলবুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের কাছে উপকুল অতিক্রম করেছে বলে ভারতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    কর্মকর্তারা বলছেন রাত সাড়ে আটটার পর থেকে ঘুর্ণিঝড়টি ‘ল্যান্ডফল’ করে অর্থাৎ সাগর থেকে মাটির ওপরে উঠে আসে। এসময় বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবে এর সঠিক পরিমাণ পরে জানা যাবে।

    ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছচাপা পড়ে অন্তত দু’জনের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে।

    পশ্চিমবঙ্গের উপকুলীয় এলাকাগুলো থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয় বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানান, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রভাগ বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরার উপকুল অতিক্রম করছে ।

    কর্মকর্তারা জানান শনিবার মধ্যরাত নাগাদ ঘুর্ণিঝড়টির তীব্রতা কিছুটা কমে যাবে বলে তারা মনে করছেন।

  • সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায়  ব্যাপক প্রস্তুতি: খুলে দেওয়া হয়েছে ২৭০ আশ্রয় কেন্দ্র, ছুটি বাতিল

    সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি: খুলে দেওয়া হয়েছে ২৭০ আশ্রয় কেন্দ্র, ছুটি বাতিল

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ২৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১২শ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। দুর্যোগকালীন জরুরী সাড়াদানের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

    শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    একই সাথে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জেলায় ১১০ মেট্রিক টন চাউল ও ৪২ হাজার টাকা মজুদ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রেরণ করেছে।

    তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও তিনজন এসিডির মাধ্যমে ৭টি উপজেলার দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
    জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সর্ব নিbgmস্তরে রাখা সম্ভব।

    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাইদ, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাক এম কামরুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়সহ প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ক্ষতি গ্রস্তদের দ্রুত পূর্নবাসন ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মান করা হবে : ——সাতক্ষীরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম

    ক্ষতি গ্রস্তদের দ্রুত পূর্নবাসন ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মান করা হবে : ——সাতক্ষীরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ আমরা ত্রান চাইনা, বেঁড়িবাধ চাই, দূর্গত অঞ্চল পরিদর্শন কালে সাধারন মানুষের কাছ থেকে এমনই দাবী শুনেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ.কে.এম এনামুল হক শামীম।
    দূর্গম এলাকা সাতক্ষীরার শ্যানগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাঁধগুলো প্রশস্ত ও উচু এবং টেকসই করা হবে। মন্ত্রী আগামী তিন দিনের মধ্যে উপকুলের ১২ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ সংষ্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেভাবে ঘূর্ণিঝড় ফনীর গতিবেগ ছিল সেভাবে আমাদের দেশে আঘাত আনার আগেই তা দূর্বল হয়ে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ সময় বলেন, সাতক্ষীরা ও খুলনার ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির বিবরন চোখে পড়েনি। তবে, কালবৈশাখী ঝড়েও আমাদের দেশে কম বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়। মন্ত্রী এ সময়, ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নির্মানে টিন ও নগদটাকা প্রদানসহ সাতক্ষীরা জেলায় আরো ১০০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মান ও বেঁিড়বাধ সংস্কারের আশ্বাস দেন।
    বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে দুই মন্ত্রী খুলনা ও সাতক্ষীরার উপকুলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে এ সব কথা বলেন ।
    এরপর তারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করেন। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন, সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ালীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ,সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ। মন্ত্রীদ্বয় এ সময় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরন করেন।
    এ সময় তারা ঘূর্নিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ ও বেঁড়িবাধসহ উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন সমস্যার খোঁজ খবর নেন