নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে নিজের পুত্র বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর জেলার খয়েরতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত শ^শুর এরশাদ গাজী (৫০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জে.এম গালিব হোসেন এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২ মে সকালে এরশাদ গাজীর পুত্র বধূ নিজ ঘরে অবস্থান করছিল। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে এরশাদ গাজী তার পুত্র বধূর ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গৃহবধূর চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ধর্ষক এরশাদ গাজী এ সময় দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর বোন বাদী হয়ে ধর্ষক এরশাদ গাজীর বিরুদ্ধে ওই দিনই কলারোয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না।
তবে এ ব্যাপারে এারশাদ গাজী কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
তিনি আরো জানান, আসামী এরশাদ গাজীকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প এর সদস্যরা গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ধর্ষক এরশাদ গাজী যশোর সদর এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প এবং যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথভাবে যশোর জেলার সদর থানাধীন নতুন খয়েরতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী জানায় সে যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে নিজের পুত্রবধূকে ধর্ষন করেছে। তাকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান।
Category: আইন শৃংখলা বাহিনী
-

কলারোয়ায় নিজ পুত্র বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার
-

সাতক্ষীরার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কুখ্যাত মাদক কারবারি র্যাবের হাতে গ্রেফতার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আসামী মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে খোড়া মিজান(৪০) সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি। আসামী দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গত ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে আসামী “খোড়া মিজান” বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ খুলনা খালিশপুর হতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত মোঃ মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন সাজাসহ ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। মামলার রায় হওয়ার পর সে আবারও অবস্থান পরিবর্তন করে নড়াইল জেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় আত্মগোপন করে। গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ মে ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা কালিয়া থানাধীন চাচুড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত মাদক কারবারি ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৪০), থানা- সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক ও চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
-

শান্তিরক্ষা মিশন থেকে আয় কমেছে পুলিশের
ানলাইন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট কমে যাওয়ায় পুলিশের বার্ষিক আয় কমেছে। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে শান্তি মিশনে পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমেছে সেটা জানা যায়নি। এদিকে আয়ের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এই বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মিতব্যয়ী হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনের কন্টিনজেন্ট কমে গেছে। যে কারণে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও কম হচ্ছে। তবে নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিলিং অর্জনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম শান্তিরক্ষা মিশন। গত প্রায় ৩৪ বছরে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে পুলিশ চার হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যেকোনও বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও দেশের সুনাম অর্জনের বিষয়টিই থাকে মুখ্য। সে লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্যের যোগদানের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এর পরের বছর ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় বাংলাদেশ পুলিশ।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তি মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার। মিশনে কাজ করার সুযোগকে অনেকেই সৎভাবে অতিরিক্ত উপার্জনের একটি মাধ্যম মনে করেন। পাশাপাশি সরকারও এ থেকে পায় মোটা অঙ্কের রাজস্ব।
মিশনে গিয়েছেন এমন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিশনে গেলে তারা দেশে যে বেতন ভাতা পেতেন সেটাও পেয়ে থাকেন। সঙ্গে মিশনে কাজ করার জন্য জাতিসংঘ থেকে আলাদা ভাতা পেয়ে থাকেন। সেই ভাতার ২০ শতাংশ মিশনে থাকা অবস্থায় তাদের দেওয়া হয়। দেশে ফিরে আসার পর বাকি অর্থ পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়। জাতিসংঘ থেকে পাওয়া এই অর্থের ১০ ভাগ পেয়ে থাকে সরকার।
পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সবাইকে মিতব্যয়ী হয়ে চলার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চলমান আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে মিতব্যয়িতার সঙ্গে দক্ষতা ও ফলপ্রসূ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অর্থ বিভাগের দেওয়া ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সবাইকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। স্ব-স্ব ক্ষেত্রের রাজস্ব আয় বাড়াতে ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা নিতেও অনুরোধ জানান তিনি। বাহিনীগুলোকে আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে অর্থ বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলারও অনুরোধ জানানো হয়।
কন্টিনজেন্ট কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগের এআইজি মো. মনজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তার বিস্তারিত জানা নেই। তবে পুলিশ সদর দফতরের অপর একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমেনি। বিশ্বমন্দার কারণে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট বিভিন্ন দেশের কমেছে। বিশ্বের যেসব দেশ শান্তি মিশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পাঠাতো, তাদের সবারই কন্টিনজেন্ট কমেছে।
পুলিশ সদর দফতরের ইউএন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ছয়টি মিশন নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে এসব মিশনে ৫০২ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩ মিশনে পুলিশের ২১ হাজার ২৮৩ জন সদস্য কাজ করেছেন। মিশনে নিয়োজিত জনবল ও সরঞ্জামের ভাতা বাবদ পুলিশ চার হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা মিশন এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়া, দাঙ্গা দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিক সহায়তা দিয়ে আসছে।/এফএস/এমওএফ/
-

সাতক্ষীরায় মাদক মামলার আসামী গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক কারবারি মোঃ নান্টু বেপারী (২৮), থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন যাবত বরিশাল জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গত ২০১৫ সালে আসামী নান্টু বেপারীকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ র্যাব-৮, বরিশাল গ্রেফতার করে এবং আসামীর নামে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা রুজু হয়। মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী নান্টু বেপারীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এরপর থেকে আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নাম পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। প্রথমে প্রিন্স নামে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। সম্প্রতি সে আবারও নাম পরিবর্তন করে ইব্রাহিম নামে সাতক্ষীরায় ফল ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তীতে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। -

সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ৪ হাজার কেজি আম জব্দপূর্বক ধ্বংস
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো চার হাজার কেজি আম জব্দের পর তা গাড়ির চাকায় পিষে নষ্ট করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসেনের উপস্থিতিতে এসব আম নষ্ট করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টায় পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা এলাকা থেকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিকালে পিকআপ ভর্তি এসব আম জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। আমগুলো ধ্বংসের সময় পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে আম পেড়ে তা রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টা করছিল কয়েকজন ব্যবসায়ি। তবে ওইসব ব্যবসায়িদের পাওয়া যায়নি। -

ভারতে পাচারকালে চারটি সোনার বারসহ এক জন আটক
নিজস্ব প্রতিনিদি : সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙা সীমান্ত এলাকা থেকে চারটি সোনার বার, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ এক পাচারকারিকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত নাম ইমাম হোসেন (৪০)। সে কলারোয়া উপজেলার হঠাৎগঞ্জ গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে।
বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, ভারতে সোনা পাচার করা হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় কাকডাঙা বিওপির বিজিবি সদস্যরা বালিয়াডাঙা বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় সাইকেলযোগে আসা ওই চোরাকারবারীকে চ্যালেঞ্জ করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি তার কাছে থাকা সাইকেলের টায়ারের ভেতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪৬৬ গ্রাম ৪৫০ মিলিগ্রাম ও বাজারমূল্য ৩৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনা ও নগদ টাকা সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে রাতেই কলারোয়া থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। আটক আসামীকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। -

সুন্দরবনে বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পন করা জলদস্যূদের মাঝে র্যাবের ঈদ সামগ্রী বিতরন
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার সুন্দরবনে বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পন করা ১৫ জন জলদস্যুর মাঝে ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৬। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পে এই আয়োজন করা হয়। এসময় র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানী কমান্ডার মেজর গালিব সহ র্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসব জলদস্যূরা বিভিন্ন সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিলো। বর্তমানে তারা কৃষিকাজ সহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা পাওয়া প্রাক্তন জলদস্যূরা হলেন- সাতক্ষীরার মোঃ সোলায়মান গাজী, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম গাজী, মোঃ আলম সানা, মুকুল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, নাজমুল মল্লিক, সাদ্দাম তরফদার, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ সবুজ হোসেন, মোঃ আব্দুল করিম ওরফে ম্যাজিক, মোঃ সেলিম মোড়ল, মোঃ এবাদুল ইসলাম, তইবুর মোড়ল, শেখ আবু জাফর ও যশোরের অভয়নগরের আমিরুল ইসলাম।
র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর গালিব বলেন, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষ্যে র্যাবের উদ্যোগে প্রাক্তন জলদস্যূ ছাড়াও দুঃস্থ ও গরীব সহ বিভিন্ন মানুষের মাঝে এ ধরনের উপহার বিতরন করে থাকে। ১৫ জন বিভিন্ন সময়ে আত্মসমর্পন করা জলদস্যূদের মাঝে আজ এই ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এটি পেয়ে তারা অনেক খুশী হয়েছে। আমরা চাই তারা বর্তমানে যেভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে সেটাই চালিয়ে যাক। তারা যাতে অসৎ পথে পুনরায় পা না বাড়ায় সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। -

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ডিডিএলজি মাশরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মোহাম্মদ শাকিউল আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশীষ কুমার মন্ডল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ.কে.এম শফিউল আযম, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন। -

সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুন্দর একটি সাতক্ষীরা গড়ার স্বপ্ন দেখেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। গত ইং ২৩ ০৬ – ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অদ্যাবধি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বাংলাদেশ সরকারের জেলা পর্যায়ের সকল নির্বাহী কাজ সুনাম ও সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সকল নীতিমালা, আইন ও আদেশের আলোকে এবং রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ইত্যাদির সুষ্ঠু অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, ট্রেজারি, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, পাবলিক পরীক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, জেলার কৃষির উন্নয়ন, জেলার ক্রীড়ার উন্নয়ন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন ইত্যাদি কাজগুলো সততা ও নিষ্ঠার সাথে করে ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন প্রিয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি ‘বি’ ক্যাটাগরী সাতক্ষীরা জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরীর জেলা তৈরীতে জেলার জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরা জেলাকে তাঁর নিজের জেলা মনে করে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার ক্রীড়াঙ্গণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণকে উন্নত করতে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি সাতক্ষীরার কণ্ঠ রিয়েলিটি শো ও হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ২০২১ সালের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে কাজ করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল হাজিরার আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অল্প সময়ে তার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে সাতক্ষীরাবাসী। স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরার চিত্র ৩০%-৪০% থেকে ৯৫% -এ উন্নীত হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং ও প্রাইভেটে ক্লাস বন্ধ হয়েছে এবং তা নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরায় ডিজিটাল রেকর্ড রুম হয়েছে এবং ঘরে বসে অনলাইনে জমির পর্চার আবেদন করা যাচ্ছে। সাতক্ষীরার প্রতিটা ভূমি অফিস দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত। মডেল হিসেবে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের মত করে সকল ভূমি অফিসের রেকর্ডরুম গোছানোর কাজ চলছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদা তৎপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। খাদ্যে ভেজাল, সরকারি অফিসে দালালমুক্ত, যানজট নিরসন, নাগরিক ভোগান্তি, বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় সাতক্ষীরা জেলা কে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। পর্যাক্রমে ৭ উপজেলা কে মাদকমুক্ত করা হবে। সর্বোপরি যে কোন সমস্যায় সাধারণ মানুষ সরাসরি অথবা হ্যালো ডিসি এ্যাপস এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের সাথে শুনানীর মাধ্যমে কথা বলে দ্রুত সমাধান পাচ্ছেন জেলার নাগরিকবৃন্দ।
-
২৬ বছর পালিয়ে থাকার পর সাতক্ষীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘ ২৬ বছর বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাতক্ষীরার আব্দুল আজিজ সরদার(৫৩)। বুধবার সকাল ৯টায় প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পলাতক ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামী সাতক্ষীরার সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সদর থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন।
উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, তার নেতৃত্বে উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান ও সিপাহী লেলিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পলাতক আসামী আব্দুল আজিজকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কিশোরগঞ্জে পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গতঃ ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকালে সুলতানপুরে নিজ বাড়িতে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রেহানা পারভিনকে ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন রেহানার চাচা গোবরদাড়ি গ্রামের শওকত আলী সরদার বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুস সহ মোট ৫ জনকে আসামী করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামী আব্দুল আজিজ। ১৯৯৮ সালে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম তার মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমান শেষে আসামী আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। প্রায় ২৬ বছর সে পলাতক থাকার পর আজ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। রায় ঘোষণার বেশ কয়েকবছর আগে আরেক আসামী আব্দুল আজিজের ভাই রুহুল কুদ্দুস মারা যায়। -

তালায় অবৈধ সেমাই কারখানায় র্যাবের অভিযান
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: র্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানির উদ্যোগে তালা উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় র্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিবের নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল তালা সদরের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় ও ফ্যাক্টরির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনি। অভিযানে বিএসটিআই’র পরিদর্শক রেজানুর রহমান সরকার, ও র্যাব-৬ সাতক্ষীরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি। আজ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। জরিমানা দেয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকার শর্তেও সেমাইয়ের প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই লগো ও ভূয়া নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনি জানান, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিএসটিআইয়ের নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন না করা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। -
সাতক্ষীরায় মাদকের ঠাঁই নাই, আত্নসমর্পনের আহব্বান জানালেন এসপি
Inbox
সাতক্ষীরায় মাদক কারবারীদের ঠাঁই নাই। জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা মাদক সেবন করে বেচাবিক্রি করে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদক পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সাতক্ষীরায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
এ সময় তিনি মাদক কারবারীদের আত্নসমর্পনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এসব মানুষদের ভালো হয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে সহায়তা করবে পুলিশ। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদকে নির্মুল করে দেয়া হবে। সাতক্ষীরাকে আর ২০১৩-১৪ সালের পূর্বের অবস্থায় কোনভাবেই ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় সাতক্ষীরা সদরের ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়ুখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল খালেক, আজিজ হাসান, সিরাজুল ইসলাম, সরদার রহিল উদ্দীন। সমাবেশে ঘোনা ইউনিয়নের সহস্রাধিক বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। -
প্রস্তুতি নেই রাষ্ট্রপক্ষের, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার শুনানি পেছাল
ন্যাশনাল ডেস্ক: চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণার আট বছর পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি তিন মাসের জন্য মূলতবি করেছেন হাইকোর্ট। ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি শুনানির জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
শুনানির শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘মাই লর্ড এ মামলায় প্রস্তুতি নিতে আরও সময় প্রয়োজন তিন মাস সময় চাই। তখন কোর্ট বলেন এর আগেও সময় নিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল দেশের বাইরে ছিলেন প্রস্তুতি নিতে পারিনি। পরে আদালত এ সময় ধার্য করেন।
এর আগে গত ২০ জুলাই শুনানির জন্য ১৮ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক ভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়। সিআইডি পুলিশ দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে। বিচারও একসঙ্গে শুরু হয়।২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ও অন্যান্য নথি অনুমোদনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে আসে।
দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা চোরচালান মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধে ফাঁসিতে দণ্ডিত ও কার্যকর) ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ১৪ জনের ফাঁসির রায় দেন চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান।
১৪ জনের মধ্যে এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুর রহীম এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াও রয়েছেন।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদী তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের সর্ববৃহৎ চালান ধরা পড়ার পর দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনের তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে আনা হয় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘উলফা’র জন্য। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওই চালান ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অস্ত্র উদ্ধারের পর ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে একটি এবং ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে অন্য মামলাটি করা হয়। ওই দুই মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৫২ জন, তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে খালাস দেয় চট্টগ্রামের আদালত।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চোরাচালান মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি ও ২৫ ডি ধারায় ১৪ আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের আদালত। একইসঙ্গে হাই কোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। আর অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারায় ওই ১৪ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলার ১৯ এফ ধারায় তাদের দেওয়া হয় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড। একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় বিচারিক আদালতের ৫১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্যে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠেছিল।
-

১০ বছর পর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ন্যাশনাল ডেস্ক: বহুল আলোচিত পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ১০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোশাররফ হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
র্যাব জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ২১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলায় ২১ আসামির মধ্যে আট জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মোশাররফ পলাতক ছিলেন। ২০১৭ সালে হাইকোর্টও মোশাররফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন।
-

যশোরের বেনাপোল পুটখালীতে অস্ত্র, গুলি,ম্যাগজিন সহ ১জন আটক
স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের বেনাপোল পুটখালী গ্রামের জহিরুল বিশ্বাস কে ১ পিস্তল১টি ম্যাগাজিন ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেছে বিজিবি।সোমবার সকালে তাকে আটক করা হয়।সে পুটখালী গ্রামের জাহান আলীর ছেলে।তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেড়িয়ে পড়বে আসল মালিকের নাম। এলাকাবাসীর দাবি তাকে রিমান্ডে আনা হোক।
বিজিবি জানান সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধিনায়ক বিএ-৬৫০৭ লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ পুটখালী বিওপি’র ০১টি চৌকষ টহল দল পুটখালী গ্রামস্থ কামারবাড়ী মোড় পাকা রাস্তার উপর গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয় এবং কিছুক্ষন পর ০১ জন ব্যক্তিকে টহল দলের দিকে আসতে দেখে।
টহল দলের নিকটবর্তী আসলে তাকে সন্দেহজনক ভাবে থামতে বললে উক্ত ব্যক্তি দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল কর্তৃক তাকে ধরার জন্য পিছনে ধাওয়া করতঃ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার কোমরের লুঙ্গির পিছন হতে ০১টি ৯ এমএম পিস্তল (ইউএসএ), ০১টি ম্যাগাজিন, ০৪ রাউন্ড গুলিসহ পুটখালী এলাকার দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জহুরুল বিশ্বাস (৩০), পিতা- মৃত জাহান আলী বিশ্বাস, গ্রাম- পুটখালী পশ্চিমপাড়া, ডাকঘর- বালুন্ডা, থানা- বেনাপোল পোর্ট, জেলা- যশোরকে তল্লাশী করে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। আটককৃত অস্ত্র- গোলাবারুদের সিজার মূল্য- ১,০১,৮০০/- টাকা।তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
-
অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যান সংস্থার
আশাশুনি উপজেলা শাখা কমিটি ঘোষনাসংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যান সংস্থা আশাশুনি উপজেলা শাখা কমিটির এক আলোচনা সভা গতকাল (রবিবার) সকাল ১০ টায় বুধহাটাস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আঃ হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হক ডাবলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাষ দেবনাথ, মুক্তিযোদ্ধা আঃ গফফার, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ করিম, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ সফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মোঃ রিয়াসাদ আলী, মিসেস শাহারিয়া ফারহানা, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ খাইরুল বাসার, প্রমুখ। সভায় সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত অনায়ারী লেফটেন্যান্ট (অবঃ) মোঃ শফিকুর রহমান কে সভাপতি, সার্জেন্ট (অবঃ) মোঃ আব্দুল আলিম কে সাধারণ সম্পাদক, সার্জান্টে (অবঃ) মোঃ তৈয়েবুর রহমান কে সাংগঠনিক এবং সার্জেন্ট (অবঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে অর্থ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আশাশুনি উপজেলা শাখা কমিটি ঘোষনা করা হয়। সভায় প্রায় ৬০ জন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সমুগ্য সভা পরিচালনা করেন উপজেলা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিম।
-

দায়িত্ব পেয়েই পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা আইজিপির
ন্যাশনাল ডেস্ক: ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম পেশাদারির সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথমে থানায় আসে। থানার দরজা কখনো বন্ধ হয় না। আমরা থানাকে মানুষের সেবাপ্রাপ্তির প্রথম ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আইজিপি আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভার্চুয়ালি পুলিশের সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সাথে প্রথম মতবিনিময়সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এ নির্দেশ দেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপিগণ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
করোনাকালে চরম বিপর্যয়ের সময় মানবিক পুলিশিংয়ের উদাহরণ দিয়ে আইজিপি বলেন, ‘তখন পুলিশ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদেরকে সেবা দিয়েছে তা জনগণ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আগামীতেও পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেবার এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ’
তিনি বলেন, “জাতির পিতার ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে আমাদেরকে অতীতের ন্যায় অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ”
জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, “জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ এখন ‘রোল মডেল’। জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের কার্যক্রম আগামীতে আরো জোরদার করতে হবে। ”
আইজিপি বলেন, ‘কিছু পুলিশ সদস্যের বিচ্যুত আচরণের জন্য পুলিশের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা কোনভাবেই করা যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ অথবা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। ’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘পুলিশের নিয়োগ-পদোন্নতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে। এখন যেকোনো সময়ের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত। এটা ধরে রাখতে হবে। সকলে মিলে একযোগে একসাথে কাজ করে বাহিনীর মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে। ’
পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ দেন আইজিপি।
তিনি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তথ্য-প্রযুক্তি এবং নিত্য-নতুন আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মামলা তদন্তে প্রযুক্তির নির্ভরতা বাড়ানো হবে।
পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কল্যাণের পাশাপাশি শৃঙ্খলাও শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে অনেক এগিয়েছে। ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব। ’
আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, সকল মুক্তিযোদ্ধা, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে জীবন উৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
-

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
ন্যাশনাল ডেস্ক: বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দেশের সড়ক, মহাসড়ক ও বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও চলাচল নির্বিঘ্নে করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সড়কে সিসি ক্যামেরা ও গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জেনারেটরের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ পুলিশের প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকালে পুলিশ সদর দফতরের একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর সকল থানাকে বিভিন্ন অলিগলিতে টহল টিম বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সড়কে ছিনতাই প্রতিরোধে মোটরসাইকেলে টহল, সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক মনজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সবাই সতর্ক রয়েছেন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন পুলিশের সকল ইউনিট তা করবে।
এদিকে সড়কে টহল বৃদ্ধি করছে র্যাব। দেশের সবগুলো ব্যাটালিয়ন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, আমাদের সদস্যরা নাগরিকদের নিরাপত্তায় সবসময় তাদের পাশে আছে।
একদিকে পূজার নিরাপত্তা অন্যদিকে চলাচলের ক্ষেত্রে নগরবাসীর নিরাপত্তা, সব মিলিয়ে বাড়তি চাপ পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর। নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি।
মঙ্গলবার দুর্গাপূজা উদযাপনের নবমীর আনুষ্ঠানিকতা চলছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বিকাল থেকে অনেক পূজামণ্ডপে নেই ঢাক ঢোলের আওয়াজ। ভক্ত দর্শনার্থীরা পূজামণ্ডপের ভক্তির জন্য এলেও দ্রুত অবস্থান ত্যাগ করছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, দুপুর ২টার পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক মণ্ডপে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমার সব জায়গায় বলেছি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলোর ব্যবস্থা করতে। যদিও এটি একটি জাতীয় সমস্যা। আমরা চাই তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সমস্যা কাটিয়ে পুরোদমে সব জায়গায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হোক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য বলা হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিষয়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কোনও পূজামণ্ডপ যেন বিদ্যুৎবিহীন না থাকে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডিএমপি গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, নগরবাসীর চলাচলের বিষয়েও সড়কে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।