Category: আইন-আদলাত
-

সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ঠিকাদাররা। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে ঠিকাদাররা কর্ম বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় এবং কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা।ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আলি হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মো. রুহুল আমিন, সৈয়দ হারিজ হোসেন, মো. শাহেদুজ্জামান, অসীম কুমার দাস, বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পের তিনটি আইডি এবং অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮টি টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার হিসাবে আমরা এসব আইডির মূল্য (রেট) জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুলনায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অফিসে যোগাযোগ করুন।’ সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়। প্রকল্পের মূল্য (রেট) না পেয়ে আমরা নিজেদের মতো করে দরপত্র জমা দেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী তার খয়ের খা দুই-তিনজন ঠিকাদারের রেট ১০% নি¤œদরে মিলিয়ে দিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঠিকাদাররা বলেন, ‘সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা রেট না পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রিয়ভাজন লোকজন কিভাবে তা পেলেন?’এ কাজে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এর সাথে জড়িত রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সরোয়ার হোসেন, অমল রায় ,ইমরানসহ অফিসের কয়েকজন।’ঠিকাদারদের অভিযোগ কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শতকরা ১০ টাকা হিসাবে অবৈধ টাকা নিয়ে কার্যাদেশ দিয়ে আসছেন।অভিযোগ করে ঠিকাদাররা আরও বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পে পাঁচটি টেন্ডার আইডিতে ১২ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। ওই পাঁচটি টেন্ডারের বিপরীতে ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে দুই তিনজন ঠিকাদারকে সাত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে চারটি আইডির কাজ তার নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে দিয়েছেন।’সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রিয়ভাজন ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আরেকটি টেন্ডারের পাইপ লাইন কাজ মোটা টাকার বিনিময়ে তিনি ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লাইসেন্সে কাজ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যাদেশ দিয়েছেন।ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডার ওপেন করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা সর্বসাধারণের অগোচরে রাখার চেষ্টা করেন। এর ফলে বঞ্চিত ঠিকাদারা কে কত রেট দিলেন কিংবা কে কাজ পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা তা জানতে পারেন না ।সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা অবিলম্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি মো. সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় ও কমপিউটার অপারেটর ইমরানকে দুর্নীতির দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সবই বিধি মোতাবেক হয়েছে।’দুর্নীতির অভিযাগে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ছোট-ছোট ঠিকাদাররা অনেক সময় কাজ পান না। এতেই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পিডবলিউডিএর সিডিউল মোতাবেক বাজার অনুযায়ী দরপত্র আহবানের নিয়ম রয়েছে। ফলে কোন ঠিকাদার কোন দর দেবেন না দেবেন তা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কাজের অনুমোদন দিতে পারি না। সুপারিশ করি, অনুমোদন দেন ঢাকার প্রকল্প পরিচালক।’ -
কালিয়ানি সীমান্তে থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এ গহনা জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উক্ত রূপার গহনাগুলো জব্দ করা হয়। কিন্তু এসময় কোন চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। জব্দকৃত রূপার গহনার মূল্য ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।এ ব্যাপারে বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে অবৈধ পথে একদল চোরাকারবারী রূপার একটি বড় চালান নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির নায়েক আবু হানিফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্তের মেইন পিলার ৭ সাব পিলার ৫৮ এর কাছাকাছি স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা রুপার গহনা গুলো সীমান্তের একটি খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো জব্দ করে।’ -
হোলি আর্টিজান মামলায় অভিযোগপত্র, দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে পরোয়ানা
ঢাকা ব্যুরো : আদালত থেকে বের হচ্ছেন হাসনাত করিম। ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: সাইফুল ইসলামআদালত থেকে বের হচ্ছেন হাসনাত করিম। ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: সাইফুল ইসলামহোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান এই আদেশ দেন। আদালত মামলার পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।পলাতক দুজন হলেন শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।
তাঁদের ধরা গেল কি গেল না, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১৬ আগস্ট জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দায় থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার খান প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আজ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন হাসনাত করিম।
গত ২৩ জুলাই পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। হোলি আর্টিজান হামলার এ ঘটনায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাঁদের মধ্যে পাঁচজন ওই দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আটজন পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন। জীবিত বাকি আটজনের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার আছেন।
তাঁরা হলেন রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা। আদালত সূত্র বলছে, আজ এই ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে, সরকারকে কোণঠাসা করতে, দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করতে ও বিদেশি ক্রেতারা যেন চলে যায়—এসব কারণে হোলি আর্টিজানে ওই হামলা চালানো হয়। এখানে সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে জঙ্গিদের এই হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্য ছিল। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে প্রযুক্তিগত সুবিধা পেতে তাঁরা হামলা চালিয়েছিলেন।
হোলি আর্টিজানকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় রেকি করেছিল। ছয় মাস আগে থেকে তাদের পরিকল্পনা ছিল। হোলি আর্টিজানে প্রচুর বিদেশি নাগরিক খাওয়াদাওয়া করতে আসতেন। এখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রায় ছিলই না। তাই এই রেস্টুরেন্টকে তারা বেছে নেয়। এখান থেকে পালিয়ে যাওয়া যায় সহজে। এ ছাড়া ওই দিন ছিল শুক্রবার, ২৭ রমজান, বেশি সওয়াব পেতে তারা ওই দিন হামলা চালায়।
হোলি আর্টিজানের হামলার ঘটনায় মোট সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ২১১ জনের। এর মধ্যে ১৪৯ জন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অফিসার, ফরেনসিক টেস্ট যাঁরা করেছেন, তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।
হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত হন পাঁচজন। তাঁরা হলেন রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
আর হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন আটজন। নারায়ণগঞ্জে নিহত হন গুলশান হামলার প্রধান পরিকল্পনকারী তামিম চৌধুরী, ঢাকার সাভারে সরোয়ার জাহান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাশারুজ্জামান ও মিজান ওরফে ছোট মিজান, মোহাম্মদপুরে নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান, রূপনগরে মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, লালবাগে তানভীর কাদেরী ও কল্যাণপুরে নিহত হন রায়হান ইবনে কবির।
গ্রেপ্তার আসামি রাজীব গান্ধী আদালতে দেওয়া জবানবন্দি বলেছেন, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সকালে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসায় আসেন সারোয়ার জাহান। সবাইকে নিয়ে সেদিন ওই বাসাতেই হামলা করার জন্য বৈঠক করেন। সেখানে ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেদিন সকাল ১০টায় জঙ্গি বাশারুজ্জামান বসুন্ধরার ওই বাসায় এসে হামলাকারীদের কাছে অস্ত্র দিয়ে যান। এর সঙ্গে চারটি হাতে তৈরি বোমাও দেন তিনি। জঙ্গি নেতা তামিম সেদিন হামলাকারীদের জানিয়ে দেন, আসরের নামাজের পর জঙ্গি রোহান, নিবরাস ও মোবাশ্বের বাসা থেকে যেন বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর শফিকুল ও খাইরুলকে বের হতে বলেন তামিম। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণকারীরা কিছু পথ রিকশায় এবং কিছু পথ হেঁটে সেদিন গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে আসেন। ইফতারের পরপরই জঙ্গিরা হামলা শুরু করেন। ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে ফেলেন জঙ্গিরা।
আক্রমণের জন্য এই পাঁচজনকে বাছাই করে পাঠান শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও রাজীব গান্ধী। হামলাকারীদের প্রশিক্ষক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম, রিগ্যান ও আবু রায়হান ওরফে তারেক। সফটওয়্যার প্রকৌশলী বাশারুজ্জামান জঙ্গিদের আনুষঙ্গিক কাজে সহায়তা করেন। আর হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গিসহ জঙ্গি নেতাদের জন্য বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে দেন ব্যাংক কর্মকর্তা তানভীর কাদেরী।
জঙ্গিদের ধর্মীয় প্রশিক্ষক ছিলেন নব্য জেএমবির শুরা সদস্য সারোয়ার জাহান। গুলশানে হামলার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখে আসেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ এবং বোমা তৈরি ও সরবরাহে যুক্ত ছিলেন হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর, সোহেল মাহফুজ, রাশেদ, বড় মিজান ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান। মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন হোলি আর্টিজানে হামলার প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
-
আলোকচিত্রী শহিদুলকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ
ঢাকা ব্যুরো : আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
সোমবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে আলোকচিত্রী শহিদুলকে তুলে আনে ডিবি। সম্প্রতি সড়কে নিরাপদ আন্দোলনের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন শহিদুল। -
খালেদা জিয়ার জামিন ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়লো
ঢাকা ব্যুরো : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। এদিন মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
এ জন্য খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করে ওই দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া এসব তথ্য জানান। এদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। -
এবার গ্রেপ্তার এসপি গোল্ডেন লাইনের মালিক
ঢাকা ব্যুরো : গত ৩রা আগস্ট রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে মিনিবাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী সাইফুল। ‘এসপি গোল্ডেন লাইন’ পরিবহনের একটি মিনিবাসের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন তার বাবা বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জনকে। বর্তমানে ২ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন বাস চালক। এবার গ্রেপ্তার করা হল এসপি গোল্ডেন লাইনের মালিক জুনায়েদ হোসেন লস্করক (৪৬)।
গতকাল রাতে সাতক্ষীরা থেকে আটকের পর আজ বিকেলে রমনা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান। -

সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬
মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জামায়াতকর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জেলাব্যাপি চালানো পুলিশের এই বিশেষ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ পিস ইয়াবা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। অভিযান শেষে তিনটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১২ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলা পুলিশের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে মোট ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
-
আন্দোলনে উস্কানির দায়ে ২৯ ব্যক্তি ও নিউজপোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট: নিরাপদ সড়ক দাবির চলমান আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ২৯ ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এ মামলা করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইয়াসিন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা এ মামলায় (মামলা নং-১) অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর মধ্যে জুম বাংলা নিউজ পোর্টাল, বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদ, অ্যাক্সিডেন্ট নিউজ, বাংলামেইল৭১, বাঁশেরকেল্লা, ফাইট ফর সারভাইভার্স রাইট, ফাঁকিবাজ লিংক, আন্দোলন নিউজ এবং সনাক্ত করা ব্যক্তিদের আইডিগুলোর মধ্যে Ray han, Ariful islam Jihad, Habibur Rahman, Sabin Rahman Nomun, Saidul Apu, সাইদুল ইসলাম তহিদ, Gazi Abu Yousah, Nasif Wahid Faizal ও নুরুল হক রয়েছেন। এছাড়া কয়েকটি টুইটার ও ইউটিউব লিংকও রয়েছে বলে জানান রমনা থানার এই কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালগুলো উস্কানিমূলক ছবি, ভিডিও ও লেখা পোস্ট করে ছাত্রদের আন্দোলন উসকে দিয়েছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও ব্লগ ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। তারা ৯ দফা দাবিতে প্রত্যেক দিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন। এতে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
-
শ্যামনগরের চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকার মামলা’র রীটের শুনানী দু’সপ্তাহের জন্য মুলতবী
ঢাকা ব্যুরো : মহামান্য হাইকোর্ট শ্যামনগরের চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকার মামলার রীটের শুনানী দু’সপ্তাহের জন্য মুলতবী করেছে ।সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি’র রিপোর্ট প্রাপ্তীর জন্য আদালত রীটটি দু’সপ্তাহের জন্য স্টান ওভার করেন। আজ এই মামলায় দায়েরকৃত রীটের উপর দ্বিতীয় দিনের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে গত ৩১ জুলাই মঙ্গলবার রীটের উপর প্রথম শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এই শিকারে অংশ নেয়া সাত পুলিশকে আসামী না করে এবং আইনের যথাযথ ধারা বাদ দিয়ে দুর্বল ভাষায় এজাহার দায়ের করায় ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী জামিনে মুক্তি পেয়েছে।এর আগে পলাতক অভিযুক্ত আসামীরাও আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।এখন মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের নীলনক্সা বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।এ প্রেক্ষাপটে ঢাকা থেকে প্রকাশিত নয়াবার্তা’র সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের যৌথ বেঞ্চে গত ২৫ জুলাই ৯৭৯১/২০১৮ নং রীটটি দায়ের করেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট শামসুল হক।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী।এক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল ২০১৬ সালের জুন মাসে সুন্দরবনে বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে জমা দেয়।‘সুন্দরবনের বাঘ হত্যা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই বাঘ হত্যায় মদদ দেওয়া ও চোরাচালানে জড়িত। ইন্টারপোলের এই প্রতিবেদনের আলোকে ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা” শীর্ষক খবর প্রকাশিত হবার পর মহামান্য হাইকোর্ট একটি স্যুয়োমোটো রুল নং-৭/২০১৬ প্রদান করেন।মামলাটির শুনানী চলছে।পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের ঐ ৩২ তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারীর মধ্যে একজন হলেন, আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল। গত ৭ জুলাই ভোরে শ্যমনগরের স্থানীয় এক সাংবাদিকের নিকট খবর আসে যে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন, এসআই হাবিব, দুই এএসআই মামুন ও ফজলুল করিম এবং কনস্টেবল আলমগীর কনস্টেবল সাইফুল্লাহ ও কনস্টেবল উত্তম কুমারের নিরাপত্তা প্রহরায়্ ইন্টারপোলের তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারী আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল ৯জন শিকারি ও শিকার সহযোগিদের নিয়ে দুটি ট্রলার এবং ৬টি বন্দুক সহ রাতে বিশ্ব ঐতিহ্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সংরক্ষিত পশ্চিম সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে।ঐ সাংবাদিক সারাদিন সংবাদ তথ্যের সত্যতা নির্নয় সহ ঘটনাটির পেছনে লেগে থাকেন।তিনি জাতীয় স্বার্থে এই শিকারি চক্রকে ধরিয়ে দেবার জন্য স্থানীয় র্যব কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।র্যাব অভিযানের প্রস্তুতি নিলেও কমান্ডিং অফিসার স্টেশনে না থাকায় ৭ জুলাই রাতের অপারেশন থেমে যায়।এর মধ্যে খবর আসে শিকারি চক্র ২২টি হরিণ শিকার করেছে।২টি তারা রান্না করে খেয়েছে। বাকি ২০টি হরিণের পেট ফেড়ে নাড়িভুড়ি বের করে আস্ত হরিণ বরফ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করেছে।৮ জুলাই ঐ সাংবাদিক যোগাযোগ করেন স্থানীয় কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের সাথে।তার কাছে থাকা সকল তথ্য তিনি কোস্টগার্ডকে জানান।কোস্টগার্ড রাতে অভিযানে সম্মত হয়।পূর্ব অভিঙ্গতার কারনে ঐ সাংবাদিক কোস্টগার্ডের উপর পুরোপুরি ভরসা না রেখে বনবিভাগের বুড়িগোয়ালীনি্ ও কদমতলা স্টেশন এবং চুনকুড়ি টহল ফাড়ির কর্মকর্তাদের পুরো তথ্য জানান।শেষে জানান খুলনার বিভাগীয় বনকর্মকর্তাকে।মজার ব্যাপার হলো কোস্টগার্ড এবং বনবিভাগের তিন স্টেশনের কর্মকর্তারা জানতেন না যে এই তথ্য অণ্য কেউ জানে।চারটি গ্রুপই নিজেদের শতভাগ সাফল্যের আশায় অতি গোপনীয়তার সাথে ৮ জুলাই দিবাগত রাতে অভিযান শুরু করেন।অভিযানে চার গ্রুপ মুখোমখি হবার পর জানতে পারেন তারা একই অভিযানে এসেছেন।এর পর তারা নিজেদের মধ্যে অভিযান কর্মপন্থা নির্ধারণ করে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন।মধ্য রাতে কাঙ্খিত শিকারিদের দুটি ট্রলার অভিযানকারীদের নজরে আসে।বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা বনের চুনকুড়ি নদী ও দোবেকির মধ্যবর্তী স্থানে শিকারি পুলিশ দলের মুখোমুখি হয়। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।সুন্দর বনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক ঘটনা সম্পর্কে বলেন, আমরা তাদের কাছাকাছি পৌছে স্প্রীড বোর্ড তাদের ট্রলারে লাগিয়ে ঠেলে চরে তুলি। এসময় আটক ট্রলারে সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ জানায় তারা হরিণ শিকারীর ট্রলার আটক করেছে। সে সময় পুলিশ বনকর্মকর্তা কর্মচারি এবং কোষ্ট গার্ডকে শিকারীর ট্রলারের পাশে যেতে দেননি।এসআ্ই লিটন হুমকি দেন যে, ”তাদের নৌকায় কেউ উঠলে তার বুক ঝাজরা করে দেবে”। অভিযানে অংশ নেয়া কৈখালী কোষ্ট গার্ডের পেডি অফিসার এক্ই ধরনের তথ্য জানিয়ে বলেন , পুলিশের পক্ষ থেকে ঐ ট্রলারে থাকা বর্তমান গ্রেফতারকৃত দু’জন বাদে বাকিরা পুলিশের সোর্স এবং এই অভিযানটি কোষ্ট গার্ড , পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান দেখাতে বলা হয়। কোষ্ট গার্ডের এখতিয়ারাধীন এলাকায় পুলিশি অভিযানে কোষ্ট গার্ডকে আগে থেকে কোন তথ্য দেওয়া হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন , না আমোদেরকে আগে থেকে এ ধরনের কোন তথ্য দেওয়া হয়নি এমনকি ঐ সময় ট্রলার , অস্ত্র , হরিণ ও শিকারীসহ আমাদের ছবি নিতেও বাধা প্রদান করা হয়।তিনি বলেন,যেখানে পুলিশের পোশাক পরে বনে চাদাবাজী ও ডাকাতি হচ্ছে।সেখানে তাদের পালানোর প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে আমরা যদি ”ফাযার ওপেন” করতাম তবে দুই বাহিনী’র মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতো। এবিষয়ে গত ৯ জুলা্ই নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে পৃথক দু’টি খবর প্রকাশিত হয়। প্রথমটি’র শিরেোনাম ছিলো “শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে কোটি টাকার ছড়াছড়ি!”। আর দ্বিতীয়টি’র শিরেোনাম ছিলো “আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র কর্তৃক শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে কোটি টাকার ছড়াছড়ি!”। গত ১০ জুলাই”হরিণসহ অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় শ্যামনগর থানায় পৃথক দু’টি মামলা”এবং গত ১৮ জুলা্ই “প্রসঙ্গ ২২ হরিণ শিকার-ঘটনা একটি,প্রশ্ন একাধিক……” শিরনামে নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে আরো দু’টি খবর প্রকাশিত হয়।২০ জুলাই শ্যামনগরে ২২ হরিণ শিকার ঘটনায় আসামী বাদী হওয়ায় ঘটনা ভিন্ন পথে মোড় নিয়েছে শিরনামে নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে আরো একটি খবর প্রকাশিত হয়।এসব খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে কদমতলা ষ্টেশনের চুনকুড়ি নদীর সুবদি গুবদি এলাকা থেকে দুইটি ট্রলারসহ ১৭ জনকে আটক করে। এসময় তাদের নিকট থেকে শিকারকৃত ২০ টি হরিণ ও ছয়টি আগ্নেয়ান্ত্র উদ্ধার করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন, চক্রের প্রধান জাপা নেতা আব্দুস সাত্তার, তার সহযোগি আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ,আকজান, ইউসুফ, ও বাচ্চু।এছাড়াও ছিলেন, শ্যামনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মর্যাদার দুইজন এবং সহকারি উপ-পরিদর্শক মর্যাদার দুইজনসহ সাত পুলিশ সদস্য।এর পর শুরু হয় পুলিশের নাটক।পুলিশ দাবি করে শ্যামনগর থানার সাধারন ডায়েরী নং-২৮২,তারিখ ৬ জুলাই মুলে তারা সংরক্ষিত বনে অভিযানে গিয়েছিলো।অভিযানে তারা হরিণ শিকারি গ্রেফতার করেছে ।উল্লেখ্য শ্যামনগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা্ এই ধরনের সাধারন ডায়েরী করে সুন্দরবনে শিকারিদের সহায়তা করেন।ধরা পড়লে এই ডায়েরী তাদের আইনের রক্ষা কবচ হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ঐ রাতে বোট, হরিণ বন্দুক ও পুলিশ সদস্যসহ সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় কোষ্ট গার্ডে’র দোবেকি’র ভাসমান স্টেশনে। সেখানে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডকে বোঝানো হয়, পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক এবং হরিণ ও বন্দুক জব্দ করেছে। পুলিশ সদস্যরা এ সময় হরিণ শিকারের অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করে জানান, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছেন মাত্র। দোবেকি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক আলি জানান, গভীর রাতে সবাইকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তারা সবাই চলে গেছেন শ্যামনগর থানার উদ্দেশ্যে।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বসিরুল ইসলামের কাছে সোমবার টেলিফোন করা হলে তিনি জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি দুটি শিকার করা হরিণ ও তিনটি বন্দুক জব্দ করেছে পুলিশ।’ তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ বলছে তারা অভিযান চালাতে গিয়েছিল। তাদের কথা তো আর অবিশ্বাস করা যায় না।’ শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি জানান, ‘সুন্দরবনের ঘটনাস্থল থেকে আমার থানার এসআই লিটন জানিয়েছেন রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনায় একটি বোট দ্রুত গতিতে যেতে দেখে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। পরে ওই বোটে তল্লাশি চালিয়ে ৩টি শিকারকৃত হরিণ ও তিনটি একনলা বন্দুক পাওয়া যায়। এ সময় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।’ ওসি আরও বলেন, এ বিষয়ে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তারাও একই স্থানে অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন। তবে ওসির কাছে জানতে চাওয়া হয় এসআই লিটন যে বোট নিয়ে কথিত অভিযান চালান সেটিতে ১৬ খণ্ড বরফ কেন ছিল এবং তারা তিনদিন আগে হরিণ শিকারি দলের সঙ্গে কেন বনে গেছেন এর কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ওসি। তবে তিনি হরিণ শিকারে তার পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এখানে উল্লেখ্য,গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনার পর সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপার নিজেই শ্যামনগর থানায় ছুটে যান এবং সারাদিন শ্যামনগর থানায় অবস্থান করেন।৯ জুলাই সন্ধায় সাতক্ষীরা থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায় যে এঘটনায় শ্যামনগর থানার সংশ্লিষ্ট ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।খবরের সত্যতা যাচায়ের জন্য ঐদিন রাতে নয়াবার্তা’র পক্ষ থেকে প্রথমে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত মর্মকর্তা এবং পরে সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপারের সথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,সংশ্লিষ্ট ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়নি।অথচ পরবর্তীতে এসআ্ই লিটন মিয়াকে প্রত্যার করে খুলনা ডি্ইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়। আর ওসি সৈয়দ মান্নান আলিকে বদলি করা হয় দেবহাটা থানায়।আর গত ২২ জুলাই সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত ৮৫ নং স্মারকের এক পত্রে এই অভিযানে অংশ নেয়া বন কর্মকর্তাদের ২৬ জুলাই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তলব করা হয়।বন বিভাগের বুড়িগোয়ালীনি’র স্টেশন কর্মকর্তা কবিরের নের্তৃত্বে কদম তোলার স্টেশন কর্মকর্তা নাসির, চুনকুড়ি টহল ফাড়ির ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,দোবেকী টহল ফাড়ির ওসি মোবারক এবং মিড়গাঙ টহল ফাড়ির্ওসি মিজানুর রহমান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন।তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তারের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়ে ঘটনা’র বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল শ্যামনগর থানার পুলিশ কর্তৃক সুন্দরবনে শিকার করা হরিণের সাড়ে সাত মণ মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। সে সময়ও শ্যামনগর থানার ওসি ছিলেন সৈয়দ মান্নান আলী। ওই সময় সাংবাদিকদের তথ্য দেবার অভিযোগ তুলে এসআই আরিফ সহ আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে সময়ের হরিণ শিকারেও প্রত্যক্ষ সহায়তা দেন এসআই লিটন। কিন্তু তিনি বরখাস্ত থেকে কৌশলে রক্ষা পান।
এখানে উল্লেখ্য,“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ক -এ রাষ্ট্র কর্তৃক জীববৈচিত্র,বন ও বন্যপ্রণী,সংরক্ষন্ ও নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।”এরই আলোকে ২০১২ সনের ৩০ নং আইন প্রনীত হয়।আইনটির শিরনাম হলো “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২। কোন ব্যক্তি’র অভয়ারণ্য সম্পর্কে বাধা নিষেধ প্রসঙ্গে এই আইনের ১৪ এর (ঙ) তে বলা হয়েছে,”প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না।এই আইনের ৩৫ ধারায় ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।বলা হয়েছে,”কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ এ উল্লেখিত কোন নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন্ ও উক্তরুপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা্ উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং এ্কই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৪ (চার) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
অথচ পুলিশ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭ (১) ও (২) এবং তৎসহ ১৮৭৮ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) জামিন যোগ্য ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।এক পর্যায়ে রাতভর নানা দেন দরবারের পর ৯ জুলাই সকালে তিনটি হরিণ, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ট্রলারসহ তিন জনকে আসামী করে অস্ত্র ও বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়। হরিণ শিকারের মামলায় আসামীরা হলো,পাতাখালি গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ, কদমতলা গ্রামের ঈমান আলী ও বন্দকাটি গ্রামের কুরবান আলী মোড়লের ছেলে বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী জাপা নেতা আলহাজ¦ আব্দুস সাত্তার মোড়ল।
এদিকে ১০ জুলাই আটককৃত আগ্নেয়াস্ত্র তিনটি লাইসেন্সধারী বন্দুক হওয়ায় তিন বন্দুকধারী মালিকের নামেও মামলা হয়েছে। আসামীরা হলো, পাতাখালি গ্রামের আয়জদ্দী গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ,হরিনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দীন ও কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রমের আব্দুর রশিদের ছেলে হাফিজুল। দুটি মামলার ৬ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে পালাতক দেখানো হয়েছে। আর আসামী মুনজু ও মহিবুল্লাহকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এবিষয়ে কোষ্ট গার্ড এবং বন বিভাগের পক্ষ থেকে সঠিক আইনের ধারায় মামলা দায়ের না হওয়ায় জন মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।“বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২। এই আইনের ১৪ এর (ঙ) তে বলা হয়েছে,” কোন ব্যক্তি অভয়ারণ্যে প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না।এই আইনের ৩৫ ধারায় ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।বলা হয়েছে,”কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ এ উল্লেখিত কোন নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন্ ও উক্তরুপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা্ উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং এ্কই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৪ (চার) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। ইন্টারপোলের ৩২ তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারীর মধ্যে একজন হলেন, আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল।এর আগে তার বিরুদ্ধে হরিণ শিকারের মামলা হলেও পুলিশ চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
অথচ পুলিশ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭ (১) ও (২) এবং তৎসহ ১৮৭৮ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) জামিন যোগ্য ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা-৩৭। (১) কোন ব্যক্তি তফসলি ১ এ উল্লখিতি কোন চতিা বাঘ, লাম চতিা, উল্লুক, সাম্বার হরণি, কুমরি, ঘড়য়িাল, তমিি বা ডলফনি হত্যা করলিে তনিি অপরাধ করয়িাছনে বলয়িা গণ্য হইবনে এবং উক্তরূপ অপরাধরে জন্য তনিি র্সবোচ্চ ৩ (তনি) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা র্সবোচ্চ ৩ (তনি) লক্ষ টাকা র্পযন্ত র্অথদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে এবং একই অপরাধরে পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে র্সবোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা র্সবোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা র্অথদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, চিতা বাঘ বা কুমির কর্তৃক কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হইলে এবং উহার ফলে তাহার জীবনাশঙ্কার সৃষ্টি হইলে জীবন রর্ক্ষাথে উক্ত আক্রমণকারী চিতা বাঘ বা কুমিরকে হত্যার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে নাঃ
তবে আরো শর্ত থাকে যে, এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মামলা দায়েরের প্রশ্ন দখো দিলে সংশ্লষ্টি স্টেশন র্কমর্কতা ওয়ার্ডন এর সহিত পরামর্শক্রমে মামলা দায়ের করতিে পারিবেন।
(২) কোন ব্যক্তি তফসিল ১ এ উল্লেখিত কোন চিতা বাঘ, লাম চিতা, উল্লুক, সাম্বার হরিণ, কুমির, ঘড়িয়াল, তিমি বা ডলফিন এর ট্রফি বা অসর্ম্পূণ ট্রফি মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করিলে দখলে রাখিলে বা ক্রয় বিক্রয় করলিে বা পরিবহন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৪ (চার) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে।
রীটে ১/ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২ এর ১৪(ঙ) ধারা লংঘন করে পুলিশ সহ শিকারীদল সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করায় আইন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনের সঠিক ধারায় মামলা দায়ের করার ডাইরেকশন চাওয়া হয়েছে।
রীটে ২/ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২ মোতাবেক বন্ কর্তৃপক্ষ মামলা করবে পুলিশ নয়। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করায় মামলা স্থগিত করন আদেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।
রীটে ৩/ বিচার বিভাগীয় তদন্তের ডাইরেকশন চাওয়া হয়েছে।
-
এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস
মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে চাকার তলায় পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস। ।নিহত ঐ শিশুর নাম বুশরা আক্তার। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের মাধবকাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও চালক বা বাসের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।নিহত শিশু বুশরা আক্তার সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।স্থানীয়রা জানান, চাচা সঙ্গে সাইকেলে মাধবকাটি বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল বুশরা আক্তার । এ সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় সাইকেলের পেছনে বসে থাকা বুশরা ছিটকে পড়ে। এরপর বাসটি বুশরাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাচ্চাটি।কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে চাপা দিয়ে বাসটি কলারোয়া থানা এলাকার একটি পাম্পে রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশ যখন উত্তাল তখন সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে শিশু বুশরার মৃত্যু আরো একবার প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে কবে পাবো আমরা নিরাপদ সড়ক? কবে আমাদের সন্তানরা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে চলতে পারবে সড়কে? -
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৫২
মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী এবং ৫ মাদক মামলার আসামিসহ ৫২ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।অভিযান থেকে ৭০০ গ্রাম গাঁজা, একটি তেলবাহী ট্রাক, একটি মোটর সাইকেল ও ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানা থেকে ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৭ জন, আশাশুনি থানা থেকে কাদাকাটি ইউপি জামায়াতের সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার আটটি থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে ২ জামায়াত নেতাকর্মীসহ মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। -
আজ শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকার মামলায় দায়েরকৃত রীটের আদেশ প্রদান করবেন মহামান্য হাইকোর্ট
ঢাকা ব্যুরো : মহামান্য হাইকোর্ট আজ শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকার মামলায় দায়েরকৃত রীটের আদেশ প্রদান করবেন! এই শিকারে অংশ নেয়া সাত পুলিশকে আসামী না করে এবং আইনের যথাযথ ধারা বাদ দিয়ে দুর্বল ভাষায় এজাহার দায়ের করায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত নয়াবার্তা’র সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের যৌথ বেঞ্চে ৯৭৯১/২০১৮ রীটটি দায়ের করেন।গত ৩১ জুলাই মঙ্গলবার রীটের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।অজ মামলাটি আদেশের জন্য কার্য তালিকায় রয়েছে। ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী জামিনে মুক্তি পেয়েছে।এর আগে পলাতক অভিযুক্ত আসামীরাও আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।এখন মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের নীলনক্সা বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।এক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল ২০১৬ সালের জুন মাসে সুন্দরবনে বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে জমা দেয়।‘সুন্দরবনের বাঘ হত্যা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই বাঘ হত্যায় মদদ দেওয়া ও চোরাচালানে জড়িত। ইন্টারপোলের এই প্রতিবেদনের আলোকে ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা” শীর্ষক খবর প্রকাশিত হবার পর মহামান্য হাইকোর্ট একটি স্যুয়োমোটো রুল নং-৭/২০১৬ প্রদান করেন।মামলাটির শুনানী চলছে।পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের ঐ ৩২ তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারীর মধ্যে একজন হলেন, আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল। গত ৭ জুলাই ভোরে শ্যমনগরের স্থানীয় এক সাংবাদিকের নিকট খবর আসে যে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন, এসআই হাবিব, দুই এএসআই মামুন ও ফজলুল করিম এবং কনস্টেবল আলমগীর কনস্টেবল সাইফুল্লাহ ও কনস্টেবল উত্তম কুমারের নিরাপত্তা প্রহরায়্ ইন্টারপোলের তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারী আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল ৯জন শিকারি ও শিকার সহযোগিদের নিয়ে দুটি ট্রলার এবং ৬টি বন্দুক সহ রাতে বিশ্ব ঐতিহ্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সংরক্ষিত পশ্চিম সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে।ঐ সাংবাদিক সারাদিন সংবাদ তথ্যের সত্যতা নির্নয় সহ ঘটনাটির পেছনে লেগে থাকেন।তিনি জাতীয় স্বার্থে এই শিকারি চক্রকে ধরিয়ে দেবার জন্য স্থানীয় র্যব কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।র্যাব অভিযানের প্রস্তুতি নিলেও কমান্ডিং অফিসার স্টেশনে না থাকায় ৭ জুলাই রাতের অপারেশন থেমে যায়।এর মধ্যে খবর আসে শিকারি চক্র ২২টি হরিণ শিকার করেছে।২টি তারা রান্না করে খেয়েছে। বাকি ২০টি হরিণের পেট ফেড়ে নাড়িভুড়ি বের করে আস্ত হরিণ বরফ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করেছে।৮ জুলাই ঐ সাংবাদিক যোগাযোগ করেন স্থানীয় কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের সাথে।তার কাছে থাকা সকল তথ্য তিনি কোস্টগার্ডকে জানান।কোস্টগার্ড রাতে অভিযানে সম্মত হয়।পূর্ব অভিঙ্গতার কারনে ঐ সাংবাদিক কোস্টগার্ডের উপর পুরোপুরি ভরসা না রেখে বনবিভাগের বুড়িগোয়ালীনি্ ও কদমতলা স্টেশন এবং চুনকুড়ি টহল ফাড়ির কর্মকর্তাদের পুরো তথ্য জানান।শেষে জানান খুলনার বিভাগীয় বনকর্মকর্তাকে।মজার ব্যাপার হলো কোস্টগার্ড এবং বনবিভাগের তিন স্টেশনের কর্মকর্তারা জানতেন না যে এই তথ্য অণ্য কেউ জানে।চারটি গ্রুপই নিজেদের শতভাগ সাফল্যের আশায় অতি গোপনীয়তার সাথে ৮ জুলাই দিবাগত রাতে অভিযান শুরু করেন।অভিযানে চার গ্রুপ মুখোমখি হবার পর জানতে পারেন তারা একই অভিযানে এসেছেন।এর পর তারা নিজেদের মধ্যে অভিযান কর্মপন্থা নির্ধারণ করে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন।মধ্য রাতে কাঙ্খিত শিকারিদের দুটি ট্রলার অভিযানকারীদের নজরে আসে।বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা বনের চুনকুড়ি নদী ও দোবেকির মধ্যবর্তী স্থানে শিকারি পুলিশ দলের মুখোমুখি হয়। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।সুন্দর বনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক ঘটনা সম্পর্কে বলেন, আমরা তাদের কাছাকাছি পৌছে স্প্রীড বোর্ড তাদের ট্রলারে লাগিয়ে ঠেলে চরে তুলি। এসময় আটক ট্রলারে সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ জানায় তারা হরিণ শিকারীর ট্রলার আটক করেছে। সে সময় পুলিশ বনকর্মকর্তা কর্মচারি এবং কোষ্ট গার্ডকে শিকারীর ট্রলারের পাশে যেতে দেননি।এসআ্ই লিটন হুমকি দেন যে, ”তাদের নৌকায় কেউ উঠলে তার বুক ঝাজরা করে দেবে”। অভিযানে অংশ নেয়া কৈখালী কোষ্ট গার্ডের পেডি অফিসার এক্ই ধরনের তথ্য জানিয়ে বলেন , পুলিশের পক্ষ থেকে ঐ ট্রলারে থাকা বর্তমান গ্রেফতারকৃত দু’জন বাদে বাকিরা পুলিশের সোর্স এবং এই অভিযানটি কোষ্ট গার্ড , পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান দেখাতে বলা হয়। কোষ্ট গার্ডের এখতিয়ারাধীন এলাকায় পুলিশি অভিযানে কোষ্ট গার্ডকে আগে থেকে কোন তথ্য দেওয়া হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন , না আমোদেরকে আগে থেকে এ ধরনের কোন তথ্য দেওয়া হয়নি এমনকি ঐ সময় ট্রলার , অস্ত্র , হরিণ ও শিকারীসহ আমাদের ছবি নিতেও বাধা প্রদান করা হয়।তিনি বলেন,যেখানে পুলিশের পোশাক পরে বনে চাদাবাজী ও ডাকাতি হচ্ছে।সেখানে তাদের পালানোর প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে আমরা যদি ”ফাযার ওপেন” করতাম তবে দুই বাহিনী’র মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতো। এবিষয়ে গত ৯ জুলা্ই নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে পৃথক দু’টি খবর প্রকাশিত হয়। প্রথমটি’র শিরেোনাম ছিলো “শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে কোটি টাকার ছড়াছড়ি!”। আর দ্বিতীয়টি’র শিরেোনাম ছিলো “আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র কর্তৃক শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে কোটি টাকার ছড়াছড়ি!”। গত ১০ জুলাই”হরিণসহ অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় শ্যামনগর থানায় পৃথক দু’টি মামলা”এবং গত ১৮ জুলা্ই “প্রসঙ্গ ২২ হরিণ শিকার-ঘটনা একটি,প্রশ্ন একাধিক……” শিরনামে নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে আরো দু’টি খবর প্রকাশিত হয়।২০ জুলাই শ্যামনগরে ২২ হরিণ শিকার ঘটনায় আসামী বাদী হওয়ায় ঘটনা ভিন্ন পথে মোড় নিয়েছে শিরনামে নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে আরো একটি খবর প্রকাশিত হয়।এসব খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে কদমতলা ষ্টেশনের চুনকুড়ি নদীর সুবদি গুবদি এলাকা থেকে দুইটি ট্রলারসহ ১৭ জনকে আটক করে। এসময় তাদের নিকট থেকে শিকারকৃত ২০ টি হরিণ ও ছয়টি আগ্নেয়ান্ত্র উদ্ধার করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন, চক্রের প্রধান জাপা নেতা আব্দুস সাত্তার, তার সহযোগি আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ,আকজান, ইউসুফ, ও বাচ্চু।এছাড়াও ছিলেন, শ্যামনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মর্যাদার দুইজন এবং সহকারি উপ-পরিদর্শক মর্যাদার দুইজনসহ সাত পুলিশ সদস্য।এর পর শুরু হয় পুলিশের নাটক।পুলিশ দাবি করে শ্যামনগর থানার সাধারন ডায়েরী নং-২৮২,তারিখ ৬ জুলাই মুলে তারা সংরক্ষিত বনে অভিযানে গিয়েছিলো।অভিযানে তারা হরিণ শিকারি গ্রেফতার করেছে ।উল্লেখ্য শ্যামনগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা্ এই ধরনের সাধারন ডায়েরী করে সুন্দরবনে শিকারিদের সহায়তা করেন।ধরা পড়লে এই ডায়েরী তাদের আইনের রক্ষা কবচ হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ঐ রাতে বোট, হরিণ বন্দুক ও পুলিশ সদস্যসহ সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় কোষ্ট গার্ডে’র দোবেকি’র ভাসমান স্টেশনে। সেখানে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডকে বোঝানো হয়, পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক এবং হরিণ ও বন্দুক জব্দ করেছে। পুলিশ সদস্যরা এ সময় হরিণ শিকারের অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করে জানান, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছেন মাত্র। দোবেকি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক আলি জানান, গভীর রাতে সবাইকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তারা সবাই চলে গেছেন শ্যামনগর থানার উদ্দেশ্যে।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বসিরুল ইসলামের কাছে সোমবার টেলিফোন করা হলে তিনি জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি দুটি শিকার করা হরিণ ও তিনটি বন্দুক জব্দ করেছে পুলিশ।’ তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ বলছে তারা অভিযান চালাতে গিয়েছিল। তাদের কথা তো আর অবিশ্বাস করা যায় না।’ শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি জানান, ‘সুন্দরবনের ঘটনাস্থল থেকে আমার থানার এসআই লিটন জানিয়েছেন রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনায় একটি বোট দ্রুত গতিতে যেতে দেখে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। পরে ওই বোটে তল্লাশি চালিয়ে ৩টি শিকারকৃত হরিণ ও তিনটি একনলা বন্দুক পাওয়া যায়। এ সময় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।’ ওসি আরও বলেন, এ বিষয়ে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তারাও একই স্থানে অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন। তবে ওসির কাছে জানতে চাওয়া হয় এসআই লিটন যে বোট নিয়ে কথিত অভিযান চালান সেটিতে ১৬ খণ্ড বরফ কেন ছিল এবং তারা তিনদিন আগে হরিণ শিকারি দলের সঙ্গে কেন বনে গেছেন এর কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ওসি। তবে তিনি হরিণ শিকারে তার পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এখানে উল্লেখ্য,গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনার পর সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপার নিজেই শ্যামনগর থানায় ছুটে যান এবং সারাদিন শ্যামনগর থানায় অবস্থান করেন।৯ জুলাই সন্ধায় সাতক্ষীরা থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায় যে এঘটনায় শ্যামনগর থানার সংশ্লিষ্ট ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।খবরের সত্যতা যাচায়ের জন্য ঐদিন রাতে নয়াবার্তা’র পক্ষ থেকে প্রথমে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত মর্মকর্তা এবং পরে সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপারের সথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,সংশ্লিষ্ট ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়নি।অথচ পরবর্তীতে এসআ্ই লিটন মিয়াকে প্রত্যার করে খুলনা ডি্ইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়। আর ওসি সৈয়দ মান্নান আলিকে বদলি করা হয় দেবহাটা থানায়।আর গত ২২ জুলাই সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত ৮৫ নং স্মারকের এক পত্রে এই অভিযানে অংশ নেয়া বন কর্মকর্তাদের ২৬ জুলাই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তলব করা হয়।বন বিভাগের বুড়িগোয়ালীনি’র স্টেশন কর্মকর্তা কবিরের নের্তৃত্বে কদম তোলার স্টেশন কর্মকর্তা নাসির, চুনকুড়ি টহল ফাড়ির ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,দোবেকী টহল ফাড়ির ওসি মোবারক এবং মিড়গাঙ টহল ফাড়ির্ওসি মিজানুর রহমান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন।তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তারের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়ে ঘটনা’র বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল শ্যামনগর থানার পুলিশ কর্তৃক সুন্দরবনে শিকার করা হরিণের সাড়ে সাত মণ মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। সে সময়ও শ্যামনগর থানার ওসি ছিলেন সৈয়দ মান্নান আলী। ওই সময় সাংবাদিকদের তথ্য দেবার অভিযোগ তুলে এসআই আরিফ সহ আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে সময়ের হরিণ শিকারেও প্রত্যক্ষ সহায়তা দেন এসআই লিটন। কিন্তু তিনি বরখাস্ত থেকে কৌশলে রক্ষা পান।
এখানে উল্লেখ্য,“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ক -এ রাষ্ট্র কর্তৃক জীববৈচিত্র,বন ও বন্যপ্রণী,সংরক্ষন্ ও নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।”এরই আলোকে ২০১২ সনের ৩০ নং আইন প্রনীত হয়।আইনটির শিরনাম হলো “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২। কোন ব্যক্তি’র অভয়ারণ্য সম্পর্কে বাধা নিষেধ প্রসঙ্গে এই আইনের ১৪ এর (ঙ) তে বলা হয়েছে,”প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না।এই আইনের ৩৫ ধারায় ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।বলা হয়েছে,”কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ এ উল্লেখিত কোন নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন্ ও উক্তরুপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা্ উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং এ্কই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৪ (চার) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
অথচ পুলিশ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭ (১) ও (২) এবং তৎসহ ১৮৭৮ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) জামিন যোগ্য ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।এক পর্যায়ে রাতভর নানা দেন দরবারের পর ৯ জুলাই সকালে তিনটি হরিণ, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ট্রলারসহ তিন জনকে আসামী করে অস্ত্র ও বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়। হরিণ শিকারের মামলায় আসামীরা হলো,পাতাখালি গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ, কদমতলা গ্রামের ঈমান আলী ও বন্দকাটি গ্রামের কুরবান আলী মোড়লের ছেলে বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী জাপা নেতা আলহাজ¦ আব্দুস সাত্তার মোড়ল।
এদিকে ১০ জুলাই আটককৃত আগ্নেয়াস্ত্র তিনটি লাইসেন্সধারী বন্দুক হওয়ায় তিন বন্দুকধারী মালিকের নামেও মামলা হয়েছে। আসামীরা হলো, পাতাখালি গ্রামের আয়জদ্দী গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ,হরিনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দীন ও কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রমের আব্দুর রশিদের ছেলে হাফিজুল। দুটি মামলার ৬ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে পালাতক দেখানো হয়েছে। আর আসামী মুনজু ও মহিবুল্লাহকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এবিষয়ে কোষ্ট গার্ড এবং বন বিভাগের পক্ষ থেকে সঠিক আইনের ধারায় মামলা দায়ের না হওয়ায় জন মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।“বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২। এই আইনের ১৪ এর (ঙ) তে বলা হয়েছে,” কোন ব্যক্তি অভয়ারণ্যে প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না।এই আইনের ৩৫ ধারায় ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।বলা হয়েছে,”কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ এ উল্লেখিত কোন নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন্ ও উক্তরুপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা্ উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং এ্কই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৪ (চার) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। ইন্টারপোলের ৩২ তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারীর মধ্যে একজন হলেন, আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল।এর আগে তার বিরুদ্ধে হরিণ শিকারের মামলা হলেও পুলিশ চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
অথচ পুলিশ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭ (১) ও (২) এবং তৎসহ ১৮৭৮ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) জামিন যোগ্য ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা-৩৭। (১) কোন ব্যক্তি তফসলি ১ এ উল্লখিতি কোন চতিা বাঘ, লাম চতিা, উল্লুক, সাম্বার হরণি, কুমরি, ঘড়য়িাল, তমিি বা ডলফনি হত্যা করলিে তনিি অপরাধ করয়িাছনে বলয়িা গণ্য হইবনে এবং উক্তরূপ অপরাধরে জন্য তনিি র্সবোচ্চ ৩ (তনি) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা র্সবোচ্চ ৩ (তনি) লক্ষ টাকা র্পযন্ত র্অথদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে এবং একই অপরাধরে পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে র্সবোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা র্সবোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা র্অথদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, চিতা বাঘ বা কুমির কর্তৃক কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হইলে এবং উহার ফলে তাহার জীবনাশঙ্কার সৃষ্টি হইলে জীবন রর্ক্ষাথে উক্ত আক্রমণকারী চিতা বাঘ বা কুমিরকে হত্যার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে নাঃ
তবে আরো শর্ত থাকে যে, এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মামলা দায়েরের প্রশ্ন দখো দিলে সংশ্লষ্টি স্টেশন র্কমর্কতা ওয়ার্ডন এর সহিত পরামর্শক্রমে মামলা দায়ের করতিে পারিবেন।
(২) কোন ব্যক্তি তফসিল ১ এ উল্লেখিত কোন চিতা বাঘ, লাম চিতা, উল্লুক, সাম্বার হরিণ, কুমির, ঘড়িয়াল, তিমি বা ডলফিন এর ট্রফি বা অসর্ম্পূণ ট্রফি মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করিলে দখলে রাখিলে বা ক্রয় বিক্রয় করলিে বা পরিবহন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৪ (চার) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে।
রীটে ১/ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২ এর ১৪(ঙ) ধারা লংঘন করে পুলিশ সহ শিকারীদল সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করায় আইন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনের সঠিক ধারায় মামলা দায়ের করার ডাইরেকশন চাওয়া হয়েছে।
রীটে ২/ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২ মোতাবেক বন্ কর্তৃপক্ষ মামলা করবে পুলিশ নয়। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করায় মামলা স্থগিত করন আদেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।
রীটে ৩/ বিচার বিভাগীয় তদন্তের ডাইরেকশন চাওয়া হয়েছে।
-
জাবালে নূরের সেই চালক সাত দিনের রিমান্ডে
ঢাকা ব্যুরো : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার জাবালে নূর গাড়ির চালক মাসুম বিল্লাহকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এ আদেশ দেন।ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম জাবালে নূর পরিবহনের চালক মাসুম বিল্লাহকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

বিআরটিএর উপপরিচালক (আইন) মো. তারিক হাসান বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূরের নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ আজই বাতিল করেছে বিআরটিএ। বাসচাপার ঘটনায় জড়িত ওই দুই চালকের লাইসেন্সও দ্রুতই বাতিল করা হবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, ‘জাবালে নূরের যে দুটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। গাড়ি দুটির যে চালকরা আছেন, তারা যেন ভবিষ্যতে কোথাও গাড়ি চালাতে না পারেন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ -
জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৫
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে চার মাদক মামলার আসামী ও এক জামাত কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন,দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
-
সাতক্ষীরায় তেলবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায় মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু
মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্যাঙ্ক ও তার চাললকে আটক করা হয়েছে।নিহতের নাম মোশাররফ হোসেন (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নবাকী গ্রামের শেখ আবু ইউসুফের ছেলে ও তিব্বত কোম্পানীর জ্যেষ্ঠ রিপ্রেজেনটেটিভ।প্রত্যক্ষদর্শী এ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী জানান, মোশাররফ হোসেন পেশাগত কাজে বুধবার পৌনে ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে পৌঁছালে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকার তার মোটর সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি রাস্তার উপর পড় গেলে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্যাংক ও তার চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত মোশাররফ হোসেন তিববত কোম্পানীতে চাকুরি করেন বলে জানতে পেরেছি। -
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ। দাফনে দুই স্ত্রীর টানা হেঁচড়া ৩৬ ঘন্টা ঘরে পচলো আইনজীবীর লাশ |
নিজস্ব প্রতিনিধি : মরেও যেনো শান্তি পেলেন না সাতক্ষীরার বিশিষ্ট আইনজীবী মো. ইয়ার আলি (৮০)। ষষ্ঠবারের মতো মস্তিস্কে রক্তক্ষরনে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল আটটার দিকে মারা যান তিনি। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরার বাড়ি কলরোয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে।
তবে বাড়িতে আনার পর ৩৬ ঘন্টা পার হলেও তার দাফনের কাজ সম্পন্ন হতে পারেনি । পারিবারিক জটিলতায় আটকে আছে তার দাফনের কাজ। এরই মধ্যে তার মরদেহে পচন ধরেছে। মঙ্গলবার বিকালে এই রিপোর্ট লেখার সময়ও তার মরদেহ ছিল প্রয়াত আইনজীবীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে। দাফনে বাধা দিয়েছেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার ছেলেমেয়েরা।
জানা গেছে, অ্যাডভোকেট ইয়ার আলির দুই স্ত্রীর প্রথমা জোহরা খাতুনের চার মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছেন। অপরদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিদা খানমের রয়েছে একমাত্র ছেলে প্রিন্স। জানা গেছে ইয়ার আলি তার জীবদ্দশায় তার নামীয় ৩০ বিঘারও বেশি সম্পত্তি , কোটি টাকার উপরের ব্যাংক ব্যালান্স এমনকি বসত বাড়ির পুরোটাই তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও ছেলে প্রিন্সের নামে লিখে দিয়েছেন। জমি বাড়ি ও গচ্ছিত টাকা এক কড়িও পাননি তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী ও তার সন্তানরা। অ্যাডভোকেট ইয়ার আলির মৃত্যুর পর তারা পৈতৃক সম্পত্তি ও টাকাকড়ির দাবি করেছেন। এসব না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইয়ার আলিকে দাফন করতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
এরই মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য তার বাড়িতে গেছেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেনসহ আইনজীবীদের একটি দল। একই সাথে সেখানে বারবার গেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ এবং স্থানীয় কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনসহ অনেকেই। তারা বিষয়টি সমঝোতামূলকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ফলে মঙ্গলবার বিকাল নাগাদও তাকে দাফন করা হয়নি। এরই মধ্যে মরদেহে পচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। চেয়ারম্যান জানান তার পেট ফুলে গেছে। নাক ও কান বেয়ে রক্ত আসছে। দুর্গন্ধ ছুটছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলির প্রথমপক্ষের স্ত্রী জোহরা খাতুনের ছেলে অ্যাড. হাসনাত কবির জানান ‘আমার বাবা আমার মা ও তার চার মেয়ে এবং আমাকে সহ প্রথমপক্ষের সবাইকে জমি টাকা ও বাড়ির স্বত্ত্ব থেকে বঞ্চিত করে গেছেন। তিনি আমাদের কাউকে এক কানাকড়িও দেননি। তিনি তার সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দ্বিতীয় পক্ষের মা ও তার ছেলে প্রিন্সকে দিয়ে গেছেন। এতেই আমরা ক্ষুব্ধ। সহায় সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ আমাদের নামে না দেওয়া পর্যন্ত তার লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না’।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বারবার চেষ্টা করেও দাফনে নিজের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন বলেন প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী দুই পক্ষই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। তিনি বলেন প্রথম পক্ষ বলছে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাদেরকে কিছু সম্পদ দিতে হবে। অপরদিকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও তার সন্তানদের দাবি প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলিকে গত ৩২ বছর ধরে সেবা দিচ্ছেন তারা। এজন্য তিনি সন্তুষ্ট হয়ে সব কিছু তাদের নামে দিয়ে গেছেন। এর থেকে এক শতক জমিও আমরা দেব না। চেয়ারম্যান জানান গ্রামের ৯৯ শতাংশ মানুষ চায় প্রথমপক্ষকে কিছু সম্পদ দিতে। কিন্তু তাদের চাওয়াও নিস্ফল হয়ে গেছে। তবে দ্বিতীয় পক্ষের দাবি প্রয়াত ইয়ার আলি তার পৈতৃক জমির পুরোটাই প্রথম পক্ষকে দিয়ে গেছেন। তবে নিজের উপার্জিত অর্থ ও সম্পদের কোনা অংশ তাদের দেননি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন ‘ শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ সাড়ে সাত বিঘা জমি নিজেদের নামে রেখে বাকিটা ভাগবাটোয়ারা করে দিতে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে স্ট্যাম্পে লেখালেখি চলছে। এটি হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’।
এ প্রসঙ্গে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলির দাফন সম্পন্ন করার নির্দেশ চেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতি সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেছে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ নির্দেশ পেলে প্রয়োজনে পুলিশ তাকে ইসলামী শরিয়ত মতে দাফন করার ব্যবস্থা করবে। ওসি আরও বলেন তিনি এমন একটি নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন বলেন ‘আমি সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত আদালতের শরণাপন্ন হয়ে দাফনের নির্দেশ পেয়েছি। এই নির্দেশের কপি কলারোয়া থানায় পৌছালেই পুলিশ তার দাফনের ব্যবস্থা নেবে’ বলে তিনি জানান । সন্ধ্যা নাগাদ বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে পারে বলেও জানান তিনি। -
হাইকোর্ট বাস চাপায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে
ঢাকা ব্যুরো : বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তাদের পরিবারকে কেন দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নিহত শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একসপ্তাহের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে এই টাকা দিতে বলা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশে বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করতে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা ইয়াসমিন।
পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘বিদ্যমান যে ট্রাফিক আইন আছে, তা যথাযথভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেক পরিবারকে ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ দুই কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।’ তিনি আরও বলেন, ‘আদালত দুই পরিবারের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য জাবালে নূর পরিবহনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহত হয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা খরচ বহন করার জন্য ওই পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তি দেওয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়েও একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বিআরটিএ-কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বিআরটিএ-কে ওই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া কুর্মিটোলার এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের দায় নির্ধারণে তদন্ত প্রতিবেদন ২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে পুলিশ ও বিআরটিএ-কে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে ওই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে অ্যাফিডেবিট করে রিট দায়ের করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদেরকে দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ রাখতে নির্দেশ দেন। যার ফলে রুহুল কুদ্দুস কাজল নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার দুপুরে (৩০ জুলাই) রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে (র্যাডিসন হোটেলের উল্টো দিকে) বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। বিমানবন্দর সড়কের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিম।
আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের নিকটস্থ কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। -
জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৭, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামি ও দুই জামায়াত নেতাসহ ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে।শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একটি শুটার গান, এক রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৯ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।