আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলায় দালিলিক প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডল, বুলারটি গ্রামের এম আবদুল্লাহ হিল বাকি, পলাতক দুই আসামি একই উপজেলার দক্ষিণ পলাশপোল গ্রামের খান রোকনুজ্জামান ও বৈকারীর জহিরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে আছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করে এর নেতৃত্ব দেন খালেক মণ্ডল। এরপর অন্য আসামিদের নিয়ে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর মহকুমা এলাকায় এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জন সাক্ষী রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে দৈনিক দক্ষিণের মশালে এসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় সাতক্ষীরাবাসী তথা সাতক্ষীরার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষগুলোকে এই ঘৃণ্য খুনী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলোÑ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের অন্য সকল অঞ্চলের মত সাতক্ষীরাতেও ছিল স্বাধীনতার পক্ষে প্রাণ উৎসর্গ করতে ঝাপিয়ে পড়া এক ঝাঁক তরুণ। আবার এখানকার মাটি ও পথের সাথে অপরিচিত পাকিস্তানি বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতেও গড়ে ওঠে দালালদের সমন্বয়ে রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি বাহিনী।
এই ছবির ইতিহাস জানতে আমরা কথা বলি সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের একজনের সাথে, যাদের দলের ২ জনকে বুধহাটায় হত্যা করে বাকি ৫ জনকে রাজাকাররা আটক করে সাতক্ষীরায় এনে এই ছবিটি তুলেছিল। এই ছবিতে থাকা (নিচে বসা বাম দিক থেকে প্রথম) ইমাম বারী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার সন্তান। ১৯৭১ সালে যশোরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায় যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন যুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডের প্রথম ব্যাচের যোদ্ধা। দীর্ঘ ৩ মাসের ট্রেনিং শেষে তাদেরকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য সাফল্য ‘অপারেশন জ্যাকপট’র জন্য পাঠানো হয়। মংলায় ৮টি জাহাজ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পর ইমাম বারী ও তার দল ফিরছিলেন সাতক্ষীরার দিকে। পথিমধ্যে ১৭ অগাস্ট ১৯৭১ ভোর রাতে বুধহাটা বেতনা নদীতে তাদের নৌকা ঘিরে ফেলে আলিপুরের কুখ্যাত রাজাকার বাকীর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। নদীর দুই পাড় দিয়ে ক্রমান্বয়ে রাজাকাররা গুলি করতে থাকলে এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের। ফলে তাদেরকে আটকাতে সমর্থ হয় রাজাকাররা। এরপর কী হয়েছিল শোনা যাক মুক্তিযোদ্ধা ইমাম বারীর মুখ থেকেই:
“প্রথমেই বাকী রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকায় উঠেই কোন কথা বলার আগেই তার নিকট থাকা থ্রি নট থ্রি রাইফেল তাক করে ৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে সুঠামদেহী মুক্তিযোদ্ধা যশোরের আফতাফকে সরাসরি বুকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ আফতাফ গগণবিদারি চিৎকার করতে করতে নদীতে পড়ে ভেসে গেল। শহিদ আফতাফের লাশ আর পাওয়া যায়নি। এরপর আমাদের ৬ জনকে বাকীর দল চোখ বেঁধে নদীর পাড়ে একটি একতলা বাড়িতে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চলতে থাকে। এরপর পলাশপোলের রোকনুজ্জামান খান এসে আমাদের দলের সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সিরাজ কাটিয়ার ছেলে, আমার সাথেই যশোর পলিটেকিনিকের ছাত্র ছিল, রোকন তাকে জিজ্ঞাসা করল বাড়ি কোথায়। সিরাজ মনে করল তাকে তো হত্যা করবেই সুতরাং ভুল ঠিকানা বললে তার পরিবারের সদস্যদের হয়ত আর খুঁজে পাবে না। অত্যাচারও করতে পারবে না। সিরাজ তার বাড়ি সুলতানপুর বলে জানালো। কিন্তু রোকন খান শহরের ছেলে হওয়ায় তার প্রকৃত ঠিকানা জানত। ভুল ঠিকানা বলায় সিরাজকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেড়িবাঁধের উপর দাঁড় করিয়ে রাইফেল তুলে বুকে গুলি করল রোকন খান। তৎক্ষণাৎ শহিদ হন আমার সাথী সিরাজ।
এরপর রোকন একটি লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মেরে বলল তুইও আছিস এই দলে, আগে জানলেতো তোকেই মেরে ফেলতাম। প্রসঙ্গত: রোকন আমার সহপাঠি ছিল। এরপর কীভাবে যেন সাতক্ষীরায় পাকিস্তানি মিলিটারির কাছে খবর যায় আমাদের আটক হওয়ার। ফলে আমাদেরকে একটি হলুদ গাড়িতে করে সাতক্ষীরা ডায়মন্ড হোটেলের টর্চার সেলে এনে আটকে রাখা হয়। পথিমধ্যে ধূলিহর থেকেও কয়েকজনকে তুলে আনা হয়। ডায়মন্ড (স্টার হোটেলও বলা হত) হোটেলে আমাদেরকে পিলারের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অনেককে ঘরে ঝুলানো হুকের সাথে ঝুলিয়েও নির্যাতন করা হত। এই হোটেলের অনেকগুলো রুমে অসংখ্য যুবতী মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছিল। যাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করত পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা। আমাদেরকে আনার ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট হোটেলের পিছনে নিজেদের পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা ছবিটি তোলে। রাজাকাররা এলিট স্টুডিওর হামিদ ভাইকে ডেকে এনে ছবিটি তোলায়। ছবিটি আজ এক প্রামাণ্য দলিল।”
তিনি যোগ করেন, “আমাদেরকে আটকে রাখাকালীন একদিন খালেক ম-ল ও টিক্কা(জহুরুল) এসে কয়েকজন আটককৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্য রাজাকাররা আমাদের জানায় তাদেরকে বিনেরপোতায় হত্যা করা হবে। এরপর একদিন আমাদেরকে যশোরে পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানায় পাঠানো হয়। যশোরের শংকরপুর যেখানে বর্তমানে বাসস্ট্যান্ড সেখানে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে একদিন ভোর বেলা যখন সৈনিকেরা প্যারেড করছিল তখন আমরা পালিয়ে আসি এবং পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিই। সে আরেক ইতিহাস।”
আজ মহান বিজয় দিবসের ৪৮তম এই বার্ষিকীতে দ্রুত বিচারিক কাজ শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলে।
Category: আইন-আদলাত
-

যুদ্ধাপরাধী বাকী-রোকন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে
-

‘ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে’
সেলিম হায়দার ॥
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন,‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন,সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কোনোভাবেই ভোটারকে প্রভাবিত করা যাবে না। জেলায় চমৎকার নির্বাচনের মডেল সৃষ্টি করা হবে। যেনো মানুষ কয়েক যুগ এই মডেল নির্বাচনের কথা মনে রাখেন।
মঙ্গলবার বিকেলে তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি সকলকে কঠোরভাবে প্রতি পালন করতে হবে। কোনো ভাবেই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা যাবেনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হবে বলেওপ্রতিশ্রুতি দেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো.সাজ্জাদুর রহমান, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ব্যাটলিয়নের হাসানুজ্জামান, র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ইনচার্জ মেজর মাহবুবুর রহমান খাঁন, সহকারি পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) হুমায়ূন কবির, আনসার ভিডিপির জেলা অ্যাডজুডেন্ট কে এম মনিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অপু সরোয়ার।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন-তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, পাটকেলঘাটা থানা রেজাউল ইসলাম রেজা, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো.আব্দুর রহমান,তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দীন,তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন প্রমূখ।
এসময় অনুষ্টানে প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের উপস্থিত ছিলেন। -
কালিগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদ্বন্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কালিগঞ্জে স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী জালাল সানাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপরে সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদ্বন্ড প্রাপ্ত আসামী জালাল সানা কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সানার ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী জালাল সানা তার স্ত্রীকে পারিবারিক কলহের জের ধরে চলতি বছরের ১৩ মার্চ গভীর রাতে দা দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একই উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের আনোয়ার আলী মোড়ল পরদিন বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় আসামী জালাল সানার নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং-৮, জি,আর-৪১/১৮)। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সোহরাব হোসেন আসামী জালাল সানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার নথি ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে বিচারক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার আসামী জালাল সানার উপস্থিতিতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আক্তারুজ্জামান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালণা করেন পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাশ। তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -

সাতক্ষীরায় সীমান্ত পিলারের নাম পরিবর্তনে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সীমান্তে অবস্থিত সীমানা পিলারের নাম পরিবর্তনের জন্য বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া সীমান্তের মেইন পিলার ১৩ এর সাব পিলার ৬ও ৭ এর মধ্যবর্তী গোয়ালাপাড়া এলাকায় এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি’র আহবানে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার। অপরদিকে পাঁচ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ৭৬ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমাড্যান্ট বিজয় ডেমরী। বৈঠকে বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ফজলে হোসেন ও অপারেশন অফিসার মেজর মোঃ সাজিদ ইমরান এবং ভারতীয় বিএসএেফর ৭৬ ব্যাটালিয়নের সহকারি কমাড্যান্ট মনজ কুমার উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১ টা ২০ মিনিট থেকে ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত এই পতাকা বৈঠকে সীমান্তের যে সব পিলারের গায়ে পাক/পাকিস্তান লেখা আছে সে গুলোর নাম পরিবর্তন করে বিডি/ বাংলাদেশ লেখার প্রস্তাব করা হয়। একই সাথে সীমান্তে মাদক দ্রব্য, মানব পাচার, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, সীমান্তে বেশ কিছু পিলারের গায়ে এখনও পাক/পাকিস্তান লেখা আছে। এই গুলোর নাম পরিবর্তন করে বিডি/ বাংলাদেশ লেখার জন্য এই পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে ও বৈঠকে আলোচনা করা হয়। অত্যান্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পতাকা বৈঠক সমাপ্ত হয়েছে। -
সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ জমায়াতকর্মী এবং ৩ মাদক মামলার আসামিসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
নিয়মিত চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযান থেকে বেশকিছু মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এ অভিযান থেকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৫১ পিস ইয়াবাসহ ১৫ জন, কলারোয়া থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৯ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, নাশকতা, সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত রয়েছে। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।
-
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এসময় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ৭ জন, শ্যামনগর থানার ৯ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -

বকচরা মাদ্রাসার ৯ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের বকচরা মাদ্রাসার নয়জন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি মাদ্রাসায় তারা গোপন মিটিং করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে তাদের আটক করা হয়।সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম জানান, জামায়াত সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকুরি করেন। তারা বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাদের আটক করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জামায়াতের দুই নেতার নাম জানা গেছে। এরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর পশ্চিম জামায়াতের সেক্রেটারি মওলানা শাহাদাত হোসেন ও আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মওলানা আবদুস সামাদ। আটককৃত অন্য শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার, হাফিজুর রহমান, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল হক, মোজাফফর হোসেন, আজম ফারুক ও আবদুল হামিদ। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।মাদ্রাসার সুপার মো. রমজান আলি জানান, তিনি গত ১ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউ জামায়াত করেন কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন। তিনি জানান আটকের সময় সবাই ক্লাসরুমে ক্লাস নিচ্ছিলেন। তবে এ ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন।পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম আরও জানান, যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
জেলার ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরাতে পৌছে তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব নাম্বার তদন্ত শুরু করছেন।
যাদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত হচ্ছে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তিন সদস্যের ওই তদন্ত টিমে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক গাজী মনিরুদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দীন এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এম ডি বাশিরুল আলম।
এই তদন্ত টিম প্রথম দিনে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায় তদন্ত করেন। ৩৯ জনের তালিকার মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায়। বাকীদের অন্যান্য ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার তারা ন্যাশনাল এবং সিটি ব্যাংকে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।
তাদের একাউন্টে কি ধরনের লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা কোথা থেকে একাউন্টে জমা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। খুঁজা হচ্ছে তাদের লেনদেনের প্রকৃত উৎস। তালিকাভূক্তদের বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডির টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৩৯ জনের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তাদের অনেকেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অতি অল্প দিনেই বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এদের অনেকেই বর্তমানে বৈধ ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকার হুন্ডি, চোরাচালানী, স্বর্ণ পাচার, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অবৈধ এসব টাকার উৎস খুঁজতে এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানাগেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকেরই রয়েছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্সের দোকান। যারা জুয়েলারী ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানী ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া রয়েছে ভোমরার একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী, কয়েক জন গরু ব্যবসায়ী, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য। এদের মধ্যে কেউ-কেউ রয়েছেন হুন্ডি, অস্ত্র, মাদক,স্বর্ণসহ বিভিন্ন চোরাচালানীর সাথে জড়িত।
যেসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা শহরের খান মার্কেটের অংকন জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গৌর দত্ত, অমিত জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী জয়দেব দত্ত, তালার কুমিরার আদিত্য মজুমদার, ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আশুতোষ দে, আলিপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, জনপ্রিয় জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সুমন কর্মকার ও বাবু কর্মকার, শ্যামনগরের নকীপুরের বিশ্বজিৎ মন্ডল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, শ্রী জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দীন বন্ধু মিত্র, ঝাউডাঙ্গার এম ভি জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মুকুন্দ ভারতী, ঝাউডাঙ্গার সাগর জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রবিন্দ্র নাথ দে, আশাশুনির নিউ দে জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দেব কুমার দে, কলারোয়ার সন্ধ্যা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হরেন্দ্র নাথ রায়, আধুনিক জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র দে, তালার দীপা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গনেশ চন্দ্র শীল, তালার নিউ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বাসুদেব দত্ত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম, পদ্মশাখরা এলাকার মো. লিয়াকত হোসেন, একই উপজেলার ঘোনার মো. হাবিবুর রহমান, কলারোয়ার বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজী, কলারোয়ার চন্দ্রনপুরের গরু ব্যবসায়ী নাসির, একই উপজেলার কাকডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী ইয়ার আলী মেম্বর, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শহরের রয়েল স্যানেটারীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম, ভোমরার এ.এস ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম, বাঁকালের ফিরোজ ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন, বাঁকালের কে হাসান ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী খালিদ কামাল, ভোমরার মামা-ভাগ্নে ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী আজহারুল ইসলাম, মেসার্স কাজী ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, মেসার্স সুলতান ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসরাইল গাজী, মেসার্স সাব্বির ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাহানুর ইসলাম শাহিন, মেসার্স নাজিম ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী গোলাম ফারুক বাবু (দেবহাটার পারুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ), মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আবু মুসা এবং মেসার্স রোহিত ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাম প্রসাদ প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, গত সপ্তাহে ৩৯ জনের এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়। এসব ব্যসায়ীদের ব্যাংক লেনদেন (ব্যাংক একাউন্ট ওপেন থেকে আজ পর্যন্ত ) অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে সূত্র জানায়।
এসব ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোন সময় বাংলাদেশের ব্যাংকের তদন্ত টিম সরেজমিন এসে তালিকাভূক্তদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম সাতক্ষীরা পৌছে গেছে। তদন্ত টিম সোমবার সকাল থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে তদন্তকারী ওই টিমের সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গত সপ্তাহে ৩৯ জন ব্যবসায়ীর এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানোর পর ব্যাংক গুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।
সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) ছবিউল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ইসলামী ব্যাংকে গিয়েছিলেন। তারা তাদের তালিকা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার যারা গ্রাহক রয়েছেন তাদের হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে হুন্ডির টাকা পাচারকারীদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর নাম দেয়া হয়েছিল। -
হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ২০ ঘন্টা পর মুক্তি!
নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৭ বছর আগে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়েও হাত ফসকে বেরিয়ে গেলো। পুলিশ বলেছে ‘তাকে ভুল করে ধরা হয়েছিল । তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি’ । এই দোহাই দিয়ে সদর থানা থেকে জামালউদ্দিন নামের ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয় আজ মঙ্গলবার ।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান ২০০১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে তার সহোদর ভাই মাহবুবার রহমানকে সন্ত্রাসীরা তলুইগাছার খড় বিলের ঘেরের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পানিতে চুবিয়ে রাখে। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন ( সেশন কেস ৭৪/২০০৪ ও জিআর কেস ৫৪৯/২০০১)। এ মামলার আসামি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পাচু গাজির ছেলে মো. জামালসহ ১১ জন ।
তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন , পাঁচজন জেল খেটে জামিনে রয়েছেন এবং চারজন পলাতক । জামালউদ্দিন পলাতকদের একজন। জামাল ঘটনার পর থেকে কখনও ভারতে , কখনও অন্য কোনো এলাকায় পালিয়ে থাকতো। সম্প্রতি সে তার দ্বিতীয় বাড়ি সদর উপজেলার তলুইগাছায় এলে পুলিশ খবর পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন প্রায় ২০ ঘন্টা থানা হাজতে আটক থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ এ ব্যাপারে অনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেন করেছেন বাঁশদহা ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ ও কুখ্যাত চোরাচালানি বিপুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানার এসআই জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘ জামালউদ্দিনকে আমরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ধরেছিলাম। পরে থানায় সার্চিং দিয়ে তার নামে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।
তবে মামলার বাদি অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান তিনি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পুলিশের কাছে দিয়েছেন। এমনকি একজনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর কপিও রয়েছে পুলিশের কাছে। তারপরও তাকে ছেড়ে দেওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি আদালতের বিচারকের দৃষ্টিতে আনবেন বলে জানান।গ্রামবাসী জানান জামালউদ্দিন কয়েকটি খুন , ডাকাতি, ছিনতাই চোরাচালান মামলার নাসামি। তার সন্ত্রাসী দাপটে আমরা টিকতে পারছি না। সে ছাড়া পেয়ে এখন আরও কি ঘটায় সেটাই দেখার বিষয়।
-
কালিগঞ্জে অস্ত্রসহ ডাকাত আটক
মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় অস্ত্র ও গুলিসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতের নাম আব্দুল মাজেদ তরফদার (৫২)। সে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় মাজেদ তরফদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বসত ঘরের বারান্দার চালের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটি পাইপগান, একটি ইয়ারগান ও তিন রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটক মাজেদ তরফদার উদ্ধাকৃত অস্ত্র গুলো ডাকাতি কাজে ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। -

গ্রাম্য ডাক্তারের বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাল বেতনে চাকুরি দেয়ার নামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে ধর্ষক গ্রাম্য ডাঃ মনিরুজ্জামান মনিকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা ওই নারী।এ মামলার আসামী ও ধর্ষণ কাজে সহযোগিতাকারী আব্দুল হান্নানকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।গ্রেফতারকৃত আব্দুল হান্নান কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের জামাত আলী পাড়ের ছেলে। এ মামলার পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের নওশের আলীর ঘর জামাই ও এই মামলার প্রধান আসামী গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি এবং একই উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের হাসান পাড়ের ছেলে ফিরোজ হোসেন।এদিকে, অসহায় নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকে তদবীর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই নারীর বাবা ও মা কেউ নাই। তিন বছর আগে তার বিয়ে হলেও স্বামীর আগের একটি স্ত্রী ও সন্তান থাকায় তিনি সেখানে যাননি। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সম্প্রতি কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি তাকে ভাল বেতনে চাকুরির প্রস্তাাব দিয়ে গত রোববার তাকে নলতা হাসপাতালের নিকটবর্তী ঘোড়াপোতা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তোলেন। এরপর রাতে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে ডাঃ মনিরুজ্জামান মনি জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে আব্দুল হান্নান ও ফিরোজ হোসেন। পরে তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ধর্ষিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং আব্দুল হান্নানকে আটক করে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় পালিয়ে যায় ধর্ষক মনিরুজ্জামান মনি ও ফিরোজ হোসেন।এদিকে, পলাতক গ্রাম্য ডাক্তার মনির বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তারী করার অভিযোগে এর আগে প্রশাসন জরিমানাও করেছন বলে জানিয়েছেন একাধিক এলাকাবাসী।কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে এ মামলার আসামী আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। -
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জায়ামায়ত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ আটক-৫৪
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ ৫৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে আজ (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।জেলা পুলিশের বিশেষ এ অভিযান থেকে ৭০৫ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ বোতল ফেনসিডিল এবং ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে পাঁচটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানায় অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে উপজেলা যুবদলের সভপতিসহ ৬ জন, তালা থানা থেকে ৮ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকার মাদক ও নাশকতার সাথে জড়িত এমন ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিতি অনুসরণ করছে।’ -

ভিজিএফের ১৩ বস্তা চালসহ সাতক্ষীরার রেজাউল মেম্বর আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ১৩ বস্তা ভিজিএফ কার্ডের চালসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাল্ল্যে গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃত ইউপি সদস্যের নাম রেজাউল ইসলাম (৫২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার পিতার নাম মৃত ইমান আলী।
প্রত্যক্ষদর্শী শাল্যে পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলাম, আলাল হোসেন, আরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন , রুস্তুম আলী, ইমমাইল হোসেন ও ফয়সাল আহম্মেদ সহ কয়েকজন জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্রদের মাঝে পরিবার পিছু ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২০ কেজি করে চাল বিতরনের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ি ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে চাল বিতরনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওনের বাবা ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুনের স্বামী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলাম ভিজিএফ কার্ডের চাল যথাযথভাবে বিতরন না করে আত্মসাৎ করেন। এর একাংশ তিনি স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। কিছু চাল বিক্রির জন্য নিজের কাছের লোকদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।
তারা আরো জানান, স্থানীয় সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছের লোক বলে পরিচিত রেজাউল ইসলামের বাড়িতে ভিজিএফ কার্ডের চাল মজুত রয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রেজাউল কয়েক বস্তা চাল পাশের কয়েকটি বাড়িতে সরিয়ে ফেলে নিজে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার মধ্যে আত্মগোপন করেন।
পুলিশ প্রথমে রেজাউলের স্ত্রী তাহমিনা ও ছেলে ফজলে রাব্বি শাওনের উপস্থিতিতে তাদের বাড়ির রান্না ঘরের ট্রাঙ্ক থেকে তিন বস্তা চাল, ইউপি সদস্য ও যমোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজের সাংবাদিক পরিচয়দানকারি রেজাউলের চাচা মাওলানা গোলাম কাদেরের বাড়ি থেকে এক বস্তা, মতিয়ার রহমানের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, খোদাবক্সের বাড়ি থেকে এক বস্তা, অঞ্জনা রানী সরকারের বাড়ি থেকে তিন বস্তা, সুনীল দাসের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, কানা বিশ্বনাথ দাসের বাড়ি থেকে এক বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবে সুনীল দাস আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে দু’ বস্তা ও কানা বিশ্বনাথ দাস ৯০০ টাকার বিনিময়ে এক বস্তা চাল ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানানোয় তিনি ওই টাকা সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানকে বুধবার সকালে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। চাল উদ্ধার হলেও পালিয়ে থাকা রেজাউল ইসলামকে ধরতে উপপরিদর্শক প্রদীপ সানার নেতৃত্বে পুলিশ বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালায়। রাত ৮টার দিকে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার ভিতর থেকে তাকে টিনে হিচড়ে বের করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী তাহমিন কে একাধিক জনপ্রতিনিধির কাছে জোরে জোরে মোবাইল করতে দেখা যায়। কিন্তু চুরির দায় ঘাড়ে পড়া কোন আওয়ামী লীগ নেতা নেত্রীর পক্ষে কোন জনপ্রতিনিধিকেই সাড়া দিতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে যে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সময় দেন তিনিই তার আহবানে সাড়া না দেওয়ায় হতাশ হন তাহমিনা। পুলিশ যখন স্বামী রেজাউলকে গাড়িতে তুলছিল তখন তাহমিনাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। লজ্জায় মুখ ঢাকছিলেন রেজাউল। কয়েক’শ মানুষের মাঝে এমন দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
তবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাসানো হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামসহ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৮৭ কেজি ১২০ গ্রাম চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ইউপি সদস্যকে। চালসহ ওই ইউপি সদস্যকে থানায় আনা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বা ইউপি সচীব আমিনুর রহমান বা চৌকিদার আফছার আলী বাদি হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন। তাকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। -

জামিন পেলেন অভিনেত্রী নওশাবা
ঢাকা ব্যুরো : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুজব ছড়ানোর দায়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জরুরি আদালতের বিচারক ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জামিন মঞ্জুর করেন।সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার জামিন নামঞ্জুর করে নওশাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দেন।
নওশাবার আইনজীবী এএইচ ইমরুল কাওসার বলেন, ‘তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার জামিন হওয়ায় তাকে অন্য কোন বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ অগাস্ট ঢাকার জিগাতলায় সংঘর্ষের সময় ফেইসবুকে লাইভে এসে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং একজনের চোখ উপরে ফেলার ‘খবর’ দেন নওশাবা। যা পরে গুজব বলে প্রমাণিত হয়। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে ওই দিনই নওশাবাকে আটক করে র্যাব। সেই মামলায় দুই দফায় মোট ৬ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও দেওয়া হয়।
-
জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি
ঢাকা ব্যুরো : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত। এই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ২ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও আব্দুর রেজাক খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ১২ জুলাই এ আপিল শুনানি শুরু হয়।
ঢাকার মানহানির মামলায় জামিন আবেদন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।
বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান (আসলাম) বলেন, আবেদনটি পেয়েছি। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় সাত দিনের মধ্যে জামিন অবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশষে ক্ষমতা আইনে নাশকতার মামলায় আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতকে জামিন অবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দায়ের করা আপিল আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত।
এতে পূর্বের দেয়া জামিন আর বহাল থাকল না। তাকে নতুন করে জামিন আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৬ জুন বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুমিল্লায় করা এক মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন আপিল বিভাগ। খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ আদেশের অনুলিপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই আদালতে রুল শুনানি হয়।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশকিছু যান ভাঙচুরের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
-
রিমান্ড শেষে অভিনেত্রী নওশাবা অসুস্থ
ঢাকা ব্যুরো : নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা দুই দিনের রিমান্ড শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় নওশাবাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছে।
ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাছের আহমেদ বলেন, নওশাবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে। ভর্তির বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় নওশাবাকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার আদালতে হাজির করার কথা ছিল।
কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বিকাশ কুমার পাল তাকে নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছালে নওশাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আদালত সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শওকত আকবর বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়ায় নওশাবাকে আদালতে হাজির না করে সরাসরি হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর আগে গত রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজাহারুল হকের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বিকালে ধানমণ্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা অ্যাটাক ছবির অভিনেত্রী কাজী নওশাবা।
সে সময় নওশাবা বলেছিলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই। একটু আগে জিগাতলায় আমাদেরই ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসঙ্গে হোন প্লিজ। ওদের প্রোটেকশন দেন, বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে, প্লিজ। আপনারা রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রোটেকশন দেন।’ ‘সরকার প্রোটেকশন দিতে না পারলে আপনারা মা-বাবা, ভাইবোন হয়ে বাচ্চাগুলোকে প্রোটেকশন দেন, এটা আমার রিকোয়েস্ট। এদেশের মানুষ-নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটি স্কুলে একটি ছাত্রের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ওদের অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ ওদের বাঁচান প্লিজ। তারা জিগাতলায় আছে।’
আটকের পর অভিনেত্রী নওশাবা
তবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর খবরটি গুজব বলে জানান। কিন্তু এরই মধ্যে অভিনেত্রী নওশাবার লাইভ ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে নওশাবাকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা।
-
মানহানির মামলায় খালেদার ৬ মাসের জামিন
ঢাকা ব্যুরো : নড়াইলে মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দুটি মামলায় জামিন পেলে বিএনপি চেয়ারপারসন কারামুক্তি পাবেন।
গত ৫ আগস্ট নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান খালেদা জিয়া। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিরুপ মন্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা করা হয়। -
পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড
ঢাকা ব্যুরো : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পটুয়াখালীর ইটাবাড়িয়া গ্রামে অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, ১৭ জনকে হত্যা ও ১৫ নারীকে ধর্ষণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিন আদালত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সোমবার এ রায় ঘোষণা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসহাক সিকদার ছাড়া অন্য চারজন হলেন- আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা। এর আগে সকাল থেকে ১৫৯ পৃষ্ঠার এই রায় পড়া শুরু হয়। রায় পড়ার সময় ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তি তর্ক শেষে গত ৩০ মে যে কোনো দিন রায় দেওয়া হবে মর্মে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। অবশেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
প্রসিকিউশনের তদন্ত দল পটুয়াখালীতে কাজ শুরু করার পর ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই বছর ১ অক্টোবর তাদের গ্রেফতার করা হয়। ২০১৭ সালের ৮ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।