Category: আইন-আদলাত

  • কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ায় সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী : লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের বিষয়ে জানাতে আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি ….. জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সালমা আক্তার

    কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ায় সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী : লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের বিষয়ে জানাতে আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি ….. জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সালমা আক্তার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সরকারি খরচে আইনী সহায়তা কার্যক্রমের (লিগ্যাল এইড) বিষয়ে জানাতে আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের বার্তা তৃনমুল পর্যায়ে পৌছে দিতে সরকার ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করেছে। মুজিব বর্ষে জেলায় অসহায় মানুষের আইনী অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। বুধবার (২২ জানুয়ারী) বিকাল ৩টায় কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ‘প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস (পিপিজে)-সাতক্ষীরা’ প্রকল্পের আওতায় জেলা আইন সহায়তা প্রদান কমিটি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উইমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টার আয়োজিত ‘সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সালমা আক্তার এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান, এখানে ধনী-গরীবের কোন ভেদাভেদ নেই। বর্তমানে জেলায় লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে অসহায়, গরীব মানুষদের আইনী অধিকার নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা জেলা দায়রা জজ মহোদয়সহ বিচারকরা অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে। তিনি বলেন, কোন সমস্যায় পড়লে নির্ভয়ে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আপনারা চলে আসেন। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। আপনাদেরকে কেউ যেন হয়রানী করতে না পারে সে জন্য আজ আমরা বিচারকরা আপনাদের পাশে এসে বিনা খরচে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে আইনী সহায়তা বা পরামর্শ গ্রহনের জন্য বলতে এসেছি।
    গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ এবং সরকারি লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের আইনী বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন।
    লাঙ্গলঝাড়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইডকমিটির সদস্য কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস সরকারের এই গুরুত্বপুর্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাবির্ক সহযোগিতা প্রদানসহ অসহায় মানুষদের এই আইনী সেবা গ্রহনের পরামর্শ দেন।
    এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইউএসএআইডি’র প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস (পিপিজে) এ্যাকটিভিটি’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী (দক্ষিণ) সরকারি আইনী সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে গরীব, অসচ্ছল ও নির্যাতিত মানুষের আইনী অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে এবিষয়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যদের গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করতে হবে। কমিটির সদস্যবৃন্দ নিজেদের অবস্থান থেকে ইউনিয়নের তুনমূল পর্যায়ে বসবাসরত জনসাধারনকে (গরীব, অসহায়) লিগ্যাল এইড কার্যক্রম এবং সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে প্রচার করতে হবে এবং তাদেরকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
    পিপিজে-সাতক্ষীরা প্রকল্পের প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: ইউনুস আলী ও প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাক আহমেদ এর পরিচালনায় ‘সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী’ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, লাঙ্গলঝাড়া ইউপি সচিব মো: আব্দুল হামিদ, প্রোগ্রাম অফিসার রাজিব কামাল, ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এবং ইউনিয়নের কয়েক শত অসহায়, গরীব নারী ও পুরুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • আদালতের রায় : আশাশুনির নাকতাড়া কালী মন্দিরের জমি দেবত্ব সম্পত্তি, চলছে সংস্কারের কাজ

    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাকতাড়া সার্বজনীন শ্রীশ্রী কালীমন্দিরের সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। শুক্রবার সকালে মন্দিরের সীমানা নির্ধারণ শেষে প্রাচীর সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়।
    নাকতাড়া সার্বজনীন শ্রীশ্রী কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধর্মদাস মিস্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক তপন মণ্ডল জানান, ১৬৯৬ সালে জমিদার যতীন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী সাবেক ১, ১৫৮,২৬৭ ও ৩৬৯ খতিয়ানের প্রত্যেকটি খতিয়ান থেকে ছয় শতক করে ৩০২৪ দাগে ২৪ শতক জমি দান করে তাতে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেখান থেকে শ্রীউলা ইউনিয়নের নাকতাড়া , বুড়োখারাটি, লাঙ্গলদাড়িয়া, গাজীপুর, কাঁকড়াবুনিয়া, মহিষকুড়, কলিমাখালি, ঢালীরচক, বিলবকচর, বিলথানাঘাটা, বিল বুড়োখারাটি, বিলমহিষ্কুড়সহ কমপক্ষে ২০ গ্রামের হিন্দুরা এ মন্দিরে প্রতি বাংলা সনের চৈত্রমাসের শেষ মঙ্গলবার কালীপুজা উপলক্ষ্যে আনন্দে মেতে ওঠে। পুজা মূলত পরিণত হয় সর্বধর্মেরমিলন মেলায়। এ ছাড়াও সেখানে হরিপুজা, শীতলা পুজা, নামযজ্ঞ, বিশ্বকর্মা পুজা, মণষা পুজা ও শ্রীশ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার শত্র“ সম্পত্তি আইনপাস করায় ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসায় নাকতাড়াসহ এলাকার বর্ধিষ্ণু হিন্দুরা এক শ্রেণীর মৌলবাদি সংখ্যাগুরুদের অত্যাচারের দেশ ছেড়ে চলে বাধ্য হন। ফলে তাদের ফেলে যাওয়া ঘরবাড়ি, কৃষি জমি, বাস্তুভিটা, মন্দির, শ্মশান জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বেদখল হতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে হিন্দুদের জমি খাস করে বা পেরিফেরি করে তার উপর গড়ে ওঠে হাট, বাজার, খেলার মাঠ ও রাস্তা। জমি উদ্ধারে দীর্ঘমেয়াদী মামলার খরচ বহন করতে না পেরে অনেকেই হাল ছেড়ে দেন। এক বিঘা জমি উদ্ধারে খরচ হয়ে যায় আরো এক বিঘা জমির দাম।
    নাকতাড়া শ্রী শ্রী কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন মণ্ডল আরো বলেন, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই মন্দিরের নামে রেকডীয় জমি ২০১০ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি ০২/২০১০ নং কেসের মাধ্যমে ২৪ শতক জমি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে বলে ২০১১ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে তারা জানতে পারেন। ওই সালেই তৎকালিন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল ওই বছরের ২১ মার্চ বাদি হয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তার নামে আশাশুনি সহকারি জজ আদালতে মামলা(দেঃ ৩৩/১১) করেন। স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রি ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক ওই মন্দির সংস্কারের জন্য জিএসআইডিবি প্রকল্পের আওতাধীন কাজে সাত লাখ টাকা বরাদ্দ করেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ওই কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় আট বছর পর চলতি বছরের ১৭ জুন আশাশুনি সহকারি জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা চৌধুরী কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই মন্দিরের জমি পেরিফেরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। একই সাথে ওই জমি দেবত্ব সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করে মন্দিরের পক্ষে রায় ও ডিক্রি দেন।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১১ সালে মন্দিরের জমি জবর দখল করে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন খালেক সরদার। ২০১৫ সালের ২২ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরদিন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের সহায়তায় বিরোধপূর্ণ জমির পূর্ব পাশে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালকদের জন্য ঘর নির্মাণ হয়। বাধা দেওয়ায় মোটর সাইকেলে চালক আশাশুনির ফেরদৌস, নাকতাড়া এলাকার মতলেব, আলমগীর হোসেন ও জুলফিকারসহ কয়েকজন মন্দির ভাঙচুর করার হুমকি দেন। পরবর্তীতে ওই ঘরের পাশে খোলা জায়গায় প্রসাবখানা বানিয়ে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা অব্যহত থাকে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেও চেয়ারম্যানের কারসাজিতে কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। এমনকি ২০১৭ সালে চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল মন্দিরের জমির উপর দিয়েই রেডিয়েন্স এণ্ড ফ্রেণ্ডশিপ ক্লাবে যাওয়ার জন্য ইট সোলিং রাস্তা বানিয়ে দেন। একপর্যায়ে আদালতের রায় অনুযায়ি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কয়েকটি হিন্দু সংগঠণের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্দির সংস্কারের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারন ও প্রাচীর সংস্কারারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মণ্ডল, জেলা মন্দির সমিতির সাংগঠণিক সম্পাদক প্রাণনাথ দাস, মাইনরিটি হিউম্যান রাইটস মিডিয়া ডিফেণ্ডার ফোরামের সভাপতি রঘুনাথ খাঁ, যুব কমিটি ও হিন্দু মহাজোটের নেতা ডাঃ অসীম মণ্ডল ও মিলন বিশ্বাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের আশাশুনি শাখার সম্পাদক দীপঙ্কর মণ্ডলসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।

  • সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে শ্যামনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

    শ্যামনগর উপজেলায় কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম এর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করার জন্য মামলা হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ওসি এলএসডি (অফিসার ইনচার্জ লোকাল ষ্টোরেজ ডিপো) আমিনুর রহমান শ্যামনগর থানায় চেয়ারম্যানসহ ১১জনের বিরুদ্ধে ২১ নং মামলা করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
    মামলা সূত্র মতে, কৈখালী ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠায় নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সোহরাব হোসেনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করেন। ঘটনাস্থলে তদন্তের এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম এর সাথে আমিনুর রহমানের বিরোধ বাধে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম রাগন্নিত হয়ে আমিনুর রহমানের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
    কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হয়রানির করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মামলা করা হয়েছে।

  • ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ

    ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ চলচ্চত্রের প্রদর্শনী বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম  ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। 

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই চলচ্চিত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হজরত আয়শা (রা.) সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রের কিছু অংশ অশ্লীল ও অনৈতিক। এসব বিষয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সস্তা প্রচারণার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উসকানির পথ বেছে নিয়েছেন।

    তথ্যসচিব ও আইনসচিব, চলচ্চিত্রটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু এবং চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ চলচ্চত্রের প্রদর্শনী বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম  ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। 

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই চলচ্চিত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হজরত আয়শা (রা.) সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রের কিছু অংশ অশ্লীল ও অনৈতিক। এসব বিষয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সস্তা প্রচারণার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উসকানির পথ বেছে নিয়েছেন।

    তথ্যসচিব ও আইনসচিব, চলচ্চিত্রটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু এবং চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে চলচ্চিত্রটির সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন বাতিল, প্রদর্শনী বন্ধ, এ সংশ্লিষ্ট বই বাজার থেকে প্রত্যাহার এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মুসলিম সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

    ররনোটিশে চলচ্চিত্রটির সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন বাতিল, প্রদর্শনী বন্ধ, এ সংশ্লিষ্ট বই বাজার থেকে প্রত্যাহার এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মুসলিম সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

  • আজ বহুল আলোচিত গুলশানের হলি  আর্টিজান হামলা মামলার রায়

    আজ বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়

    আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ তথ্য প্রসিকিউশনের উপকমিশনার জাফর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
    তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বর ঘুরে দেখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও মীর রেজাউল আলম। তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত নানা দিকনির্দেশনা দেন। এসময় উপকমিশনার জাফর হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
    গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
    ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
    অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
    অভিযোগপত্রের ৮ আসামি হলো−হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তারা সবাই কারাগারে।
    ঘটনাস্থলে নিহত ৫ আসামি হলো রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
    আর বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলো তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
    ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

  • আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গনশুনানী

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় প্রথমবারের মত সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনা বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে এইডে আইনি সেবাদন” এই শ্লোগানে রেখে গত মঙ্গলবার বিকালে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে জেলা আইন সহায়তা কমিটি ও উইমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টার এর যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন চত্বরে অনুষ্টানটি হয়। আয়োজিত গনশুনানীতে সভাপত্বি করেন ইউপি চেয়ারম্যান সম শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা লিগ্যাল এইড এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী বিচারক সালমা আক্তার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, অসহায়-সম্বলহীন এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগণকে সম্পূর্ণ সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে ধনী-গরীব ব্যবধান দূর হবে এবং সকলের অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে যাদের টাকা নেই তারাও তাদের কাঙ্খিত বিচার পাবে। তিনি আরও বলেন, আপনারা আপনাদের এই সংশ্লিষ্ট যে কোন বিচারের দাবিতে আমার কাছে আসবেন আমি আপনাদের সমস্য সমাধানের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান, লিগ্যাল এইড এর প্রকল্প সমন্বকারী মোঃ ইউনুস আলী, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয় পরিষদের সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

  • মশিউর রহমান রাঙার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মামলা

    শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে করায় সাতক্ষীরায় জাতীয় পাটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সাতক্ষীরা সদর আমলী আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করলেও তাৎক্ষণিক কোন আদেশ দেননি।
    গত রোববার, বিকেলে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেনকে নিয়ে কটূক্তি করেন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ও সমালোচনা করেন তিনি। রাঙা বলেন, নুর হোসেন একটা ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর ছেলে। তাকে নিয়ে গণতন্ত্রের দুই দল নাচানাচি করছে।
    রাঙার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সারাদেশে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার তার এই বক্তব্যেও জন্য ক্ষমা চেয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠান মশিউর রহমান রাঙা। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও তিনি ক্ষমা প্রর্থনা ও দুঃক্ষ প্রকাশ করেন।

  • ‘ক্লিন  সাতক্ষীরা- গ্রিন সাতক্ষীরা’ কর্মসুচির সহযোগিতায় জেলা কারাগারে বন্দীদের মধ্যে ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

    ‘ক্লিন সাতক্ষীরা- গ্রিন সাতক্ষীরা’ কর্মসুচির সহযোগিতায় জেলা কারাগারে বন্দীদের মধ্যে ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

    Tweet

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের ‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা’ কর্মসুচির সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ‍সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে বন্দী কয়েদি হাজতিদের মধ্যে ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
    গত শনিবার জেলা কারাগার অভ্যন্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক পতœী লাভলী কামাল, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, কোন মানুষই অপরাধী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। কখনো ভুল করে, সঙ্গ দোষে বা কষ্ট পেয়ে মানুষ অপরাধ এর সাথে যুক্ত হয়। তাই এই ছোটখাটো অপরাধকে ভুলে ভবিষ্যতে যেন সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করা যায় তার চেষ্টা করতে হবে।’ তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কারাবন্দীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও কারামুক্তির পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করা। এ লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার হবে বাংলাদেশের অন্যতম কারা সংশোধনাগার।
    এসময় জেলা প্রশাসক পত্নী ও লেডিস ক্লাবের সভাপতি মিসেস লাভলী কামাল কারাবন্দীদের ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধে যুক্ত না হতে এবং পরিবারের কথা মাথায় রেখে অপরাধ কর্ম ও মাদক সেবন হতে বিরত থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ করেন।

    আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কারাবন্দিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুস্ঠানে অংশ গ্রহন করেন।

  • সাতক্ষীরা জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা : প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে – জেলা প্রশাসক

    সাতক্ষীরা জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা : প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে – জেলা প্রশাসক


    সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ৩০মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রেসক্লাবের মত জায়গায় এ ধরণের হামলা মেনে নেওয়া যায় না। প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকা- চলতে পারে না। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে সাতক্ষীরাবাসি ভীত সন্ত্রস্ত হতে পারে না। ব্যক্তি রেষারেষি শুভকর নয়। জেলা প্রশাসক বলেন, ব্যক্তির আক্রোশ ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়। কাউকে বহিস্কার করা হলে তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আবেদন করতে পারতেন। তাই হামলা কোন অবস্থায় কাম্য নয়।
    জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচনের তারিখ ছিল ৪মে। ওই দিনই সংসদ সদস্য একটি কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার কার আছে এমন প্রশ্ন রেখে জেলা প্রশাসক বলেন,কমিটি ঘোষণার বিষয়টি জেনে করা উচিৎ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতির নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। বক্তব্যের শেষে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় রাজনীতিকদের আলোচনার মধ্য দিয়ে দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানান এবং একই সাথে পুলিশ প্রশাসনকে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
    সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরার চার এমপি, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের নেতাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    সভায় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধে নয়। সেদিন সদর থানায় পুলিশ সম্পর্কে সাংবাদিকরা যা বলেছেন তা বিব্রতকর। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিৎ।
    সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আরা প্রমুখ। সভায় বিজিবির প্রতিনিধি, র‌্যাব প্রতিনিধি, গোয়েন্দা প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি’র মতবিনিময় সভায় জেলা ও দায়রা জজ : বিচারকের উদ্দেশ্য হলো ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি’র মতবিনিময় সভায় জেলা ও দায়রা জজ : বিচারকের উদ্দেশ্য হলো ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা


    স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের সাথে জেলা আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ২নং ভবনের নিচ তলার সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিচারকের উদ্দেশ্য হলো ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। আদালত হলো সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির শেষ ভরসাস্থল। এজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন হয়রাণী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহবান জানান তিনি।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পাভেল রায়হান। এসময় জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানকে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এসএম হায়দার, এড. আব্দুল মুজিদ, এড. স.ম সালাউদ্দীন, এড. আবুল হোসেন (২), এড. গোলাম মোস্তফা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এড. ওসমান গণি, এড. আসাদুজ্জামান দিলু, এড. ইউনুস আলী, এ.কে.এম শহীদুল্লাহ প্রমুখ। এসময় জেলা জজকোর্টের বিচারক ও আইনজীবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • জেলা যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর আদালত কর্তৃক থানাঘাটায় পীরত্ব সম্পত্তি কিনা পৈত্রিক সম্পত্তি সে বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন :পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের পীরত্ব সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রত্মতত্ব বিভাগ ও বিজ্ঞ আদালতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা

    জেলা যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর আদালত কর্তৃক থানাঘাটায় পীরত্ব সম্পত্তি কিনা পৈত্রিক সম্পত্তি সে বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন :পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের পীরত্ব সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রত্মতত্ব বিভাগ ও বিজ্ঞ আদালতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদরের ১৩ লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামে অবস্থিত পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের পীরত্ব সম্পত্তি পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করায় আদালত কর্তৃক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি আদালতে গড়ানোর পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে থানাঘাটাস্থ মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফে জেলা যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর বিচারক মোখলেছুর রহমানের আদালত কর্তৃক নিয়োগকৃত তদন্ত টিমের কমিশনার এ্যাড. আনিছুল কাদির ময়নাসহ কমিটি এ তদন্ত সম্পন্ন করে। আদালতের দেওয়ানী ৪৪/২০১৮ মামলা সূত্রে জানা যায় যে, ঐ সম্পত্তি ১৯২৭ সালের ডি.এস এবং ১৫৭৪ খতিয়নে ৬ একর ৮৩ শতক এবং সন্তোষ রায় কর্তৃক দানকৃত ২৯ শতক জমির মালিক পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেব। পীর কেবলার মৃত্যু পরবর্তী সময়ে মসজিদ, মাজার, থানাঘাটা বটতলায় পীর শাহাবুদ্দিন আরব, পীর কুতুব উদ্দিন আরব মাজার ও পুকুরসহ পীরত্ব সম্পত্তি রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ একটি সংরক্ষণ কমিটি গঠন করে। এভাবে চলতে থাকাকালীন গোপনে ঐ এলাকার আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি ঐ পীরত্ব সম্পত্তি তার নামে এস.এ রেকর্ড করে নেয়। কিন্তু সেই ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় নিজের সম্পত্তি বলে দাবী ও ভোগ দখল করিনি। আবুল হোসেনের মুত্যুর পর তার ওয়ারেশগণ কাজী আবু তোরাব, কাজী তোহা, কাজী তারেক ও কাজী তাহের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করলে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্র্তৃক ঘোষিত দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন কমিটি ও ধর্ম প্রাণ মুসলমান ও পীর সাহেবের ভক্তদের অনুরোধে ঐ সম্পত্তি রক্ষা করতে পীরত্ব সম্পত্তি দাবী করে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতে বিবাদী পক্ষ আদালতে বলেছে যে, থানাঘাটায় কোন পীরের মাজার নেই, পুকুর নেই এবং পীরের নামে কোন সম্পত্তি নেই। তদন্তকালে পীর আলী শাহ ওরফে মিয়া সাহেব, থানাঘাটা বটতলায় পীর শাহাবুদ্দিন আরব, পীর কুতুব উদ্দিন আরব’র প্রাচীন মাজারের প্রমাণ মেলে। তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন কোর্ট কর্তৃক নিয়োগকৃত কমিশনার এ্যাড. আনিছুল কাদির ময়না, বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. তারক কুমার মিত্র, দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আকবর আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ নুর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন, আশরাফ আলী, শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম, শেখ আব্দুল কাদের, সুরত আলীসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান, পীর ভক্ত ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, এ সম্পত্তিটি পীরত্ব সম্পত্তি। কোন ব্যক্তি মালিকানার সম্পত্তি নয়। একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল এটিকে পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে পীর সাহেবের নির্মিত মসজিদ ও মাজার ধ্বংশ করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এব্যাপারে মাজার, মসজিদ সংরক্ষণ কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও পীর ভক্তেরা পীরত্ব সম্পত্তিটি রক্ষার্থে রেকর্ড সংশোধন পূর্বক পীরত্ব সম্পত্তিটি রক্ষার জন্য প্রত্মতত্ব বিভাগ ও বিজ্ঞ আদালতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত শত শত মানুষ পীরের মাজার আছে এবং পীরত্ব সম্পত্তি বলে তদন্তকারী টিমকে জানায়।

  • সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বভার হস্তান্তর

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বভার হস্তান্তর


    স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আবুল হোসেন (২)। বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক এড. মো: তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আ.ক.ম রেজওয়ান উল্লাহ সবুজ, নির্বাচন কমিশনার এড. আব্দুল জলিল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি মহিতুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক পদে এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক (লাইব্রেরী) কোষাধ্যক্ষ ইউনুস আলী, সহ-সম্পাদক (ক্রীড়া) আকবর আলী, সহ-সম্পাদিকা (মহিলা) লাকী ইয়াছমিন, সদস্য শিহাব মাসউদ সাচ্চু, সাহেদুজ্জামান সাহেদ এবং রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এড. মো. জিয়াউর রহমান।

  • সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে মাদকসহ বিপুল মালামাল জব্দ

    সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে মাদকসহ বিপুল মালামাল জব্দ


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কয়েকটি সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ্য মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সাতক্ষীরার ভোমরা, মাদরা, কুশখালী, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা ও ঝাউডাঙ্গা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ভারতীয় ফেন্সিডিল, মদ, চা পাতা, বাই সাইকেল, গরুর মাংস ও ব্যাগসহ বিভিন্ন মালামাল। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন ভোমরা, মাদরা, কুশখালী, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা ও ঝাউডাঙ্গা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • রায়ের আগেই জমি জবরদখলের অভিযোগ: তালায় প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে একই জমির দ্বিতীয় দফায় বন্দোবস্ত গ্রহন ॥ উচ্চাদালতে আপীল


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরা তালায় কলাপোতা এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে প্রায় ১ বিঘা জমির বন্দোবস্ত নিয়ে অন্যের দখলীয় পুকুর থেকে মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভূক্তভোগী মহিউদ্দীন বিশ্বাস তালা থানায় উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন।

    ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগে প্রকাশ,তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের আ: মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মো: মহিউদ্দীন বিশ্বাস গং ১৯৪৭ সালের পূর্ব থেকে পৈত্রিক সূত্রে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ঐ সম্পত্তির দীর্ঘ দিন খাজনা বকেয়া থাকায় খাস খতিয়ানে চলে গেলে সরকার তা অন্যত্র ব্যাংক অব কমার্স খুলনার নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাংকের নিকট থেকে জনৈক বাদল চন্দ্র সাধ ও পরে ফের তারা বাদল চন্দ্রের নিকট থেকে কোবলা মূলে খরিদ করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ-দখল করে আসছিল।

    ইতোমধ্যে উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার জনৈক আ: সাত্তার গং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের ভূল বুঝিয়ে ও তথ্য গোপন করে ঐসম্পত্তির প্রায় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি ফের সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়। বিষয়টির খবর পেয়ে জমির মালিক মোছাম্মাৎ সখিনা খাতুন গং প্রথমে সাতক্ষীরা এডিশনাল জেলা ৩য় আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সরকারের পক্ষে রায় হলে পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

    সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার বিবাদমান সম্পত্তির পুকুরে স্যালো মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে তারা তাদেরকে পুকুরের পানি না সেচতে অনুরোধ করলেও তারা কারো কোন কথায় কর্ণপাত না করে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এমতাবস্থায় তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় তালা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

    এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দফায় দফায় শালিসী বসলেও তারা কারো কথা মানতে নারাজ। ভূক্তভোগী পরিবারসহ শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর দাবি,এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা আ: সাত্তার শেখ গংদের প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    এব্যাপারে তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাঈদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে তারা উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজ পত্রাদিসহ পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিে উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী কর্তৃক সুন্দরবনে জবাইকৃত হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া উদ্ধার

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী কর্তৃক সুন্দরবনে জবাইকৃত হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া উদ্ধার


    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখ গভীর রাতে কোস্ট গার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের বিসিজি স্টেশান হারবারিয়া এর একটি টহল দল বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত হারবারিয়া খাল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বন্য প্রানী নিধন চক্রের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীগন দ্রুত বনের মধ্যে পালিয়ে গেলে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বনের গভীরে বিচ্ছিন্ন স্থান হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ০৭ (সাত) কেজি হরিণের মাংস ও ০২(দুই) টি হরিণের মাথা এবং ০২ (দুই) টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, অবৈধভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে হরিণ শিকারীরা হরিণ শিকার করে হরিণের মাংস ও চামড়া ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিক্রয় করে থাকে যা সুন্দরবনের বনজ প্রানী রক্ষায় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান নিয়ন্ত্রন ও জননিরাপত্তার পাশাপাশি বন্য পশু-পাখি রক্ষায় কোস্ট গার্ড বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া নন্দবালা ফরেস্ট অফিসে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত

    পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত

    “পুলিশ সেবা সপ্তাহ”-২০১৯ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে উক্ত প্রেসব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রেসব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপÍ পুলিশ সুপার ) মোঃ ইলতুৎমিশ, বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান প্রমুখ।

    পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান প্রেসব্রিফিং এ জানান, ২৭ জানুয়ারী হতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারী-২০১৯ পর্যন্ত দেশব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ২৭ জানুয়ারী রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের খুলনা রোড মোড় থেকে পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্য এবং জেলার সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে একটি র‌্যালী বের হবে। এছাড়া
    পুলিশ সেবা সপ্তাহর অংশ হিসেবে মাদক নিমূল, জঙ্গিবাদ রোধ, যানজটরোধ, ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সকল পুলিশিং সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে

  • আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সভা

    আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : দেবহাটায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলার পারুলিয়া ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোঃ ইয়াছিন আলী, র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরার ক্যাম্প কমান্ডিং অফিসার মেজর মাহবুব ও সাতক্ষীরা জেলা আনসার ভিডিপির জেলা এ্যাডজুট্যান্ট কে.এম মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলায় একটি মডেল ভোট করার ঘোষনা দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মানুষ যেন নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিগত ১৩ সালের আর পুনরাবৃত্তি ঘটবেনা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক সকল প্রকারের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ যাতে আগামীতে আরো এগিয়ে যায় সেজন্য সকলকে কাজ করার আহবান জানান। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আইনশৃঙ্খলা সভায় দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ইয়ামিন আলী সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সাধারন জনগন উপস্থিত ছিলেন।

  • নাশকতার মামলায়  ধানের শীষের প্রার্থী গ্রেফতার

    নাশকতার মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী গ্রেফতার


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নাশকতার একটি মামলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সাতক্ষীরা চার আসনের (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ) ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাওলানা আব্দুল বারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বেলা তিন টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল বারী, পদ্মপুকুর ইউননিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুর রউফ ও জামায়াত নেতা শেখ আব্দুল বারীসহ ৬ জন।
    শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে নাশকতার একটি মামলায় জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুল বারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।