Category: অর্থনীতি

  • যোগ্যনেতৃত্বের অভাবে মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভাসমান অবস্থায় ভোমরা স্থল বন্দর

    যোগ্যনেতৃত্বের অভাবে মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভাসমান অবস্থায় ভোমরা স্থল বন্দর

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে হোঁচট খেয়েছিল ভোমরা শুল্ক স্টেশন। সরকারের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এ শুল্ক স্টেশনটি। সংশ্লিষ্টদের মতে কাস্টমস্ প্রশাসন, সীমান্তরক্ষী বিজিবি আর সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে থমকে গেছে আমদানী বানিজ্য।
    সীমান্ত প্রশাসনের অহেতুক হয়রাণী সময়ক্ষেপণ এবং বাড়তি নজরদারীতে ভোমরা বন্দরটি পড়েছে মুখ থুবড়ে। আমদানীকারক ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হয়ে ভোমরা বন্দর থেকে পিছুটান নিয়েছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা পিছুটান নেওয়ায় আমদানী বানিজ্য এখন বিপর্যয়ের মুখে।

    ভোমরা স্থল বন্দর
    ভোমরা স্থল বন্দরের রাজস্ব আহরণের গতি দেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮০৭ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ কওে দেয়। কিন্তু সে অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে পারেনি এ রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া লক্ষমাত্রা ৮০৭ কোটি টাকা হলেও শুল্ক স্টেশনটি আহরণ করেছে ৭৯৫ কোটি টাকা। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
    রাজস্ব ঘাটতির এ দুঃসময়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভোমরা স্থল বন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০৮৪.৩৯ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
    চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ১২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। ভোমরা কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোমরা স্থল বন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০৮৪ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিলেও রাজস্ব ঘাটতির আশংকা রয়েছে। কেননা প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেই তবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আদায় হয়েছে মাত্র ১২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা।
    এ বন্দরের অধিকাংশ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দিনের পর দিন আমদানী বানিজ্য কমে যেয়ে ভোমরা বন্দরটি প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। বহুমুখী চাপে আমদানী-রপ্তানী বানিজ্যে পড়ছে ভাটা। এক শ্রেণীর সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার করতে এখন মরিয়া। কাস্টমস্ প্রশাসনের সঙ্গে সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের নেই কোনো সমন্বয়। ক্ষমতার দাপট আর কুক্ষিত নেতৃত্বের প্রভাব খাটিয়ে চলছে আমদানী বানিজ্য। এছাড়া কাস্টমস্ প্রশাসনের সঙ্গে যে ব্যবসায়ীর সম্পর্ক আর যোগাযোগ ভালো সেই ব্যবসায়ী লুঠছে ফায়দা। মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরা পড়ছে বিপাকে।
    অভিযোগে জানা যায়, বিজিবি, কাস্টমস্ প্রশাসন এবং সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বিত মনোভাব এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতার সুফল না থাকায় নষ্ট হচ্ছে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিহিংসার দাবানলে পুড়ছে প্রগতিশীল বন্দরটির রাজস্ব খাত। এমন দূরাবস্থা দীর্ঘদিন চললে অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপণীত হবে এ বন্দরটি। এছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য ও বিভেদ থাকায় আমদানী বানিজ্য পরিচালনায় আসে ব্যাপক বাঁধা।
    সব মিলিয়ে সীমাহীন নৈরাজ্যের মধ্যে অবস্থান করছে ভোমরা বন্দরটি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভোমরা স্থল বন্দরটি দক্ষ ও যোগ্যনেতৃত্বের অভাবে মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভাসমান অবস্থায় বিরাজ করছে।
  • ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা

    ভোমরা প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ৬নং ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান ঈসরাইল গাজী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ মো. আল-ফেরদাউস (আলফা)।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মোনাজাত আলী গাজী, শাঁখরা কোমরপুর এ জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ আহম্মেদ ইকবাল, ইউপি সদস্য সাজ্জাত আলী, জালাল উদ্দীন মোল্যা, মোসলেম আলী, আব্দুস সাত্তার, মিজানুর রহমান, আব্দুল গণি, সাহেব আলী এবং সংরক্ষিত ইউপি সদস্য, হামিদা খাতুন, আম্বিয়া খাতুন-১ ও আম্বিয়া খাতুন-২ প্রমুখ।

    ভোমরা ইউনিয়নের জনগনের অগ্রাধিকারভিত্তিক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উন্নয়ন পরিকল্পনা হিসাবে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন খাতওয়ারি আয় ও ব্যয় হিসাবে এ প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

  • খুলনাতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি

     

     

     

     

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক আজ একটি পরিদর্শনমূলক বাজার অভিযান মহানগরীর লবণচোরা এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় পরিচালিত হয়। অভিযানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরী, তৈরীকৃত আইসক্রীমের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য উল্লেখ না থাকা এবং ক্ষতিকর ডাইং রং মিশিয়ে আইসক্রীম তৈরী করার অপরাধে কুদরতী লাচ্ছা সেমাই-কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ১৯,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। লাচ্ছা সেমাই এর পাশাপাশি তারা আইসক্রীমও তৈরী করে।

    এছাড়া প্যাকেটের গায়ে মূল্য ও উৎপাদনের তারিখ না থাকায় সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী-কে আইন অনুযায়ী ১,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। মোট আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ২০,৫০০/- (বিশ হাজার পাঁচশত) টাকা। জরিমানার অর্থ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলি স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন। উপস্থিত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য তাদের মাঝে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।

    অভিযানে সকলকে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব। এছাড়া সার্বিক সহায়তা ছিলেন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), খুলনা-এর প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তায় ছিলেন এপিবিএন, খুলনা-এর সদস্যবৃন্দ।

     

  • ২০১৭-১৮ অথবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৮৮১ কোটি টাকা ॥ আদায় ৭৬১ কোটি টাকা ভোমরা স্থল বন্দরে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি

    দেলোয়ার হোসেন, ভোমরা ঃ বহুমূখী প্রশাসনিক জটিলতার জালে জড়িয়ে পড়েছে ভোমরা স্থল বন্দর। নানামুখী চাপ, অহেতুক নজরদারী ও সময়ক্ষেপন ব্যবসায়ীদেরকে অতিষ্ট করে তুলেছে। পণ্য আমদানীতে নেই তিল পরিমান ছাড়। বিশেষ করে পঁচনশীল পণ্যের উপর কোন প্রকার ছাড় না দেওয়ায় আমদানীকারক ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হয়ে বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। দেশের বিত্তবান আমদানীকারকরা ন্যুনতম সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় তারা আমদানী বানিজ্য করতে অনিহা প্রকাশ করছে। এদিকে ব্যবসায়ীদের আমদানী বানিজ্য প্রসারের স্বার্থে এবং রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যে কাস্টমস্ প্রশাসন নিয়ম মাফিক কিঞ্চিত পরিমান ছাড় দিলেও অন্য প্রশাসন ছাড় দিতে নারাজ। ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানী বানিজ্য করতে অনীহা। সরকার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ভোমরা বন্দর থেকে ৮৮১ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করলেও চলতি অথবছরের মে মাস পর্যন্ত ৭৬১ কোটি ১৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৩২ টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে। এখনও ১২১ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জনে ঘাটতি রয়েছে। এ ব্যাপারে ভোমরা শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব কর্মকর্তা লস্কর বকতিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের আর মাত্র এক মাস (জুন) বাকি। তবে যেভাবে রাজস্ব আহরণের কার্যক্রম চলছে তাতে করে লক্ষ্যমাত্রা পুরুণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, আইনী জটিলতা সহ নানাবিধ সমস্যার কারনে এ বন্দরে আমদানী-রপ্তানী হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে দু’শ থেকে আড়াই’শ পণ্যবাহী ট্রাক প্রতিদিন ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করছে। যার অধিকাংশ আমদানী পণ্য ডিউটি মুক্ত। ফলে অধিক রাজস্ব আহরিত পণ্য আমদানী কমে যাওয়ায় সরকারে বেঁধে দেওয়া রাজস্ব লক্ষ্যেমাত্রা পুরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ভোমরা বন্দরে অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও এ বন্দরের বিপরিতে ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে অবকাঠামো উন্নয়নে ছোঁয়া লাগেনি। সেখানে সরকারী ভাবে গড়ে উঠেনি কোন গাড়ী পার্কিং টার্মিনাল এবং আমদানী-রপ্তানী পণ্য রক্ষণশীল ওয়্যারহাউজ। ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের দু’জন প্রভাবশালীর কর্মকর্তার দু’টি মালিকানাধীন পার্কিং ইয়ার্ড ছাড়া অন্যকোন অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। এদুটি পার্কিং ইয়ার্ডে ভারতীয় আমদানী পণ্যবাহী ট্রাক গুলো ঢুকিয়ে ইচ্ছাধীন ভাবে বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় পার্কিং ইয়ার্ডের মালিকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। ব্যক্তি মালিকাধীন পার্কিং ইয়ার্ডের মালিকরা যোগসাজস করে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো তাদের পার্কিং ইয়ার্ডে ঢুকিয়ে ডিটেন ফ্রি আদায় করছে। ফলে প্রতিদিন যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করার কথা সেখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক প্রবেশ করছে। একারনে আমদানী বানিজ্য মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একদিকে আমদানী কমে যাচ্ছে অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভোমরা বন্দরের একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমদানী বানিজ্য হুমকির মুখে পড়বে এবং রাজস্ব আহরণ ব্যাক ভাবে হ্রাস পবে।

  • তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা

    তালা প্রতিনিধি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তালা উপজেলার ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ২ কোটি ৪০লাখ ৩১ হাজার ৬৭০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।
    গত বুধবার সকালে ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে প্রকাশ্য এ বাজেট ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নুর ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলীর, মোশারফ হোসেন, সেকেন্দার আলী মোড়ল, দেলোয়ার হোসেন সোনা,হাসেম আলী ফকির,এসএম আলাউদ্দীন,অহেদ আলী সরদার, আনছার আলী শেখ, বাবুর আলী গাজী, রেশমা বেগম, জিনজিরা খাতুন, জাকিয়া সুলতানা ইতি প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক,সাংবাদিক,এনজিও প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • কয়রায় ২১ জলমহলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ টাকা

    কয়রা সংবাদদাতা ঃ  কয়রায় ২১ টি জলমহলে খাস আদায়ে বিগত বছরের চেয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা কমেছে ১১ লক্ষাধীক টাকা। অথচ উক্ত ২১ টি জলমহলে বিগত বছরে অথ্যাৎ বাংলা ১৪২৪ সনে আদায় হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা এবং এবার সেই একই জলমহলে ১৪২৫ সনে খাস আদায় হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮ শত টাকা। ফলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত টাকা।

    উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও খাস আদায়যোগ্য জলমহলের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে মাইকিং সহ নোটিশ বোর্ডে ২১ টি জলমহলের তালিকা টানানো হয় এবং সেখানে মৌজার নাম, জলমহলের আয়তন, সায়রত কেস নং, খাস আদায়ের সন এবং বিগত বছরের স¤া¢ব্যমূল্য উল্লেখ করা হয়্।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হয়ে প্রচার করেন এবং সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সর্বসাধারনের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক শুরু হয়। কিন্তু ডাক শুরু হওয়ার সাথে সাথে  কতিপয় যুবক সাংবাদিক আকতারুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং মঠবাড়ী গ্রামের আল আমিন সহ অনেক কে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ধমক দিয়ে না ডাকার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ, জেলে, মৎস্য ব্যাবসায়ীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং অনেককে ভয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদে জলমহল ডাকার সময় দু’দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তখন জলমহল ডাকার মত সাধারণ কোন মানুষ উপস্থিত ছিল না। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জলমহল ডাক থেকে সবাইকে বঞ্চিত করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি জলমহল পূনরায় সেল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন জানান, তিনি উক্ত জলমহল কিনতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ছাত্রলীগ তাকে পাগল বলে বের করে দিয়েছে। এ সম্পার্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোহসিন রেজা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ সহ কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এসব জলমহল ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন এবং এজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন কে দায়ী করে পূনরায় টেন্ডার ডাকার দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য হড্ডা গ্রামের হোগলার খাল ১৪২৪ সনে ৩৬৯৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এবং এবার মাত্র ৭১০০০ টাকা। চরামুখা গ্রামের শিংজোড়া খাল ১৪২৪ সনে ১৭৬১৫৭ টাকা এবার মাত্র ১১০০০ টাকা। অর্জুনের খাল ১৪২৪ সনে ১৫২২৫০ টাকা এবার মাত্র ১৭০০০ টাকা। আমাদী খাল ১৪২৪ সনে ১২৫০৭৫ টাকা এবার মাত্র ৩১০০০ টাকা। অনুরুপ প্রতিটি খালে সরকারি রাজস্ব কমায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ছাত্রলীগের বাধার মুখে কয়রায় ২১ জলমহলের সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ টাকা
    কয়রা সংবাদদাতা ঃ ব্যাপক অনিয়ম আর ছাত্রলীগের বাধার মুখে কয়রায় ২১ টি জলমহলে খাস আদায়ে বিগত বছরের চেয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা কমেছে ১১ লক্ষাধীক টাকা। অথচ উক্ত ২১ টি জলমহলে বিগত বছরে অথ্যাৎ বাংলা ১৪২৪ সনে আদায় হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা এবং এবার সেই একই জলমহলে ১৪২৫ সনে খাস আদায় হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮ শত টাকা। ফলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত টাকা। উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও খাস আদায়যোগ্য জলমহলের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে মাইকিং সহ নোটিশ বোর্ডে ২১ টি জলমহলের তালিকা টানানো হয় এবং সেখানে মৌজার নাম, জলমহলের আয়তন, সায়রত কেস নং, খাস আদায়ের সন এবং বিগত বছরের স¤া¢ব্যমূল্য উল্লেখ করা হয়্। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হয়ে প্রচার করেন এবং সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সর্বসাধারনের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক শুরু হয়। কিন্তু ডাক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় যুবক সাংবাদিক আকতারুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং মঠবাড়ী গ্রামের আল আমিন সহ অনেক কে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ধমক দিয়ে না ডাকার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ, জেলে, মৎস্য ব্যাবসায়ীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং অনেককে ভয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদে জলমহল ডাকার সময় দু’দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তখন জলমহল ডাকার মত সাধারণ কোন মানুষ উপস্থিত ছিল না। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জলমহল ডাক থেকে সবাইকে বঞ্চিত করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি জলমহল পূনরায় সেল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন জানান, তিনি উক্ত জলমহল কিনতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ছাত্রলীগ তাকে পাগল বলে বের করে দিয়েছে। এ সম্পার্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোহসিন রেজা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ সহ কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এসব জলমহল ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন এবং এজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন কে দায়ী করে পূনরায় টেন্ডার ডাকার দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য হড্ডা গ্রামের হোগলার খাল ১৪২৪ সনে ৩৬৯৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এবং এবার মাত্র ৭১০০০ টাকা। চরামুখা গ্রামের শিংজোড়া খাল ১৪২৪ সনে ১৭৬১৫৭ টাকা এবার মাত্র ১১০০০ টাকা। অর্জুনের খাল ১৪২৪ সনে ১৫২২৫০ টাকা এবার মাত্র ১৭০০০ টাকা। আমাদী খাল ১৪২৪ সনে ১২৫০৭৫ টাকা এবার মাত্র ৩১০০০ টাকা। অনুরুপ প্রতিটি খালে সরকারি রাজস্ব কমায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

  • ঝুকি কম, লাভ বেশি হওয়ায় কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছে চাষিরা

    ঝুকি কম, লাভ বেশি হওয়ায় কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছে চাষিরা

    বিশেষ প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় চিংড়ির পরিবর্তে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস, রপ্তানি হ্রাস ও দাম কমে যাওয়ায় জেলায় চিংড়ি চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন।

    আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকায় মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সাতক্ষীরাতে ‘কাঁকড়া চাষ’ চাষিদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়াতে লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ শুরু করেছেন। এমনকি বেকার যুবকরা সরকারিভাবে কাঁকড়া চাষের উপর বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কাঁকড়া চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন।

    সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১১২টি সরকারি ও ৩৪০টি বেসরকারি কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। তৈরির কাজ চলছে আরো কয়েকটি খামার।


    জানা যায়, ২০১৬-১৭ মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় কাঁকড়া চাষ হয়েছে ৮৪ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬৩ দশমিক ৮৭ হেক্টর জমিতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫৩ দশমিক ৩৯ হেক্টর জমিতে কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২০১৩ সালে দুই হাজার তিনশ’ মেট্রিক টন, ২০১৪ সালে দুই হাজার চারশো’ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে দুই হাজার আটশ’ ১৪ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে তিন হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে তিন হাজার চারশো’ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। যার প্রায় সবটাই রপ্তানি যোগ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায়।

    জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলাতে মোট ৪৫২টি কাঁকড়ার ঘের রয়েছে। প্রতিবছর এসব ঘেরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪-১৫ সালে জেলায় কাঁকড়ার ঘের ছিল ৩৬৪টি, ২০১৫-১৬ সালে তা বেঁড়ে দাঁড়ায় ৩৮০টিতে এবং ২০১৬-১৭ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৪৫২টিতে। এভাবে অব্যাহত রয়েছে কাঁকড়া ঘেরের সংখ্যা বৃদ্ধি।
    বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। রপ্তানি তালিকায় অপ্রচলিত এই পণ্যই বদলে দিচ্ছে লাখো মানুষের ভাগ্য। যে হারে চাহিদা বাড়ছে তাতে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত গলদা চিংড়িকে অদূর ভবিষ্যতে হার মানাতে পারে।

    কাঁকড়া চাষিরা জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে যে পরিমাণ কাঁকড়া ধরা পড়ে তা প্রাকৃতিক ভাবে রেণু থেকে বড় হয়। এ অঞ্চলের লবণাক্ত পানি ১২ মাস কাঁকড়া চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য প্রচুর জমি ও অর্থের প্রয়োজন হলেও কাঁকড়া চাষের জন্য জমি ও অর্থ দুটোই কম লাগে। যে কারণে চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।


    চাষিরা জানান, বাজার থেকে কাঁকড়া কিনে ছোট ছোট খাঁচায় রেখে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ২০ থেকে ২২ দিনেই একবার খোলস পরিবর্তন করে প্রতিটি কাঁকড়া। এতে প্রতিটি কাঁকড়ার ওজন বেড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়। পরে এই কাঁকড়া রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এতে লাভ বেশি ও রোগবালাই কম হওয়ায় সাতক্ষীরায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ পদ্ধতি।

    সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কলবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন খাস জমিতে বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিসের আওতায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন গড়ে তুলেছে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার। দুই বিঘা জমির এই খামারে সাড়ে পাঁচ হাজার খাঁচায় কাঁকড়া মোটাতাজা করা হচ্ছে। যার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে স্থানীয় বাগদী সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা।

    চাষিরা জানান, খাঁচায় চাষকৃত কাঁকড়ার খোলস নরম থাকে। এ কারণে বাজার চাহিদাও বেশি। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত এসব কাঁকড়া প্যাকেটজাত করে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। দামও পাওয়া যায় ভালো, কেজি প্রতি ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন কাঁকড়া চাষে। যার ফলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে জেলায় ৪৫২টি কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। আর এ খাত থেকে ক্রমেই বাড়ছে রপ্তানি আয়।


    দেবহাটার বদরতলা এলাকার কাঁকড়া চাষি মানিক চন্দ্র জানান, তিনি একশ’ খাঁচা নিয়ে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ঘেরে ১৫শ’ খাঁচায় কাঁকড়া চাষ হচ্ছে। ২২ শতক জমিতে তিনি কাঁকড়া চাষ করছেন। তিনি জানান, চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়া চাষে খরচ কম লাভ বেশি। তাই তিনি চিংড়ির পরিবর্তে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ করেন। এ বছর তিনি কাঁকড়া বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভও করেছেন। এল্লারচর মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কাঁকড়া চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এই কাঁকড়া চাষ করছেন বলে জানান।
    সরকার কাঁকড়া চাষিদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও মূলধন দিচ্ছে বলে জানালেন মনিকা রানী। যিনি বর্তমানে একজন উদ্যোক্তা। দেবহাটার নোড়ারচক এলাকার কানাই লাল ম-লের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী। তার নেতৃত্বে ৫৫ জন নারী পুকুরে খাঁচা পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করেন। সরকার তাদেরকে ১৫০টি খাঁচা দিয়েছে।

    সরকারিভাবে এ উদ্যোক্তা কাঁকড়া চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীদের মাঝে কাঁকড়া চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এতে তার দল কাঁকড়া চাষে সুফল দেখছে। তিনি খুব আনন্দিত। এবার নতুনভাবে কাঁকড়া চাষে সফলতা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
    এল্লারচর মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, কাঁকড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সরকারি খরচে প্রতিদিন কাঁকড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সরদার জানান, লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় কাঁকড়া চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের মোট রপ্তানির একটি বড় অংশ সাতক্ষীরা থেকে যায়। এছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়ে যাচ্ছে।

  • কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন

     

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধিঃ গতকাল কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ১০টয় কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম মহসীন উল-মুলক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাবু দেবী রঞ্জন মন্ডল, কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল হোসেন, অবঃপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি টি এম সোহরাব হোসেন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকবর হোসেন, কাশিমাড়ী ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীগের সভাপতি মো. হাবিবুল¬াহ পাড়, সুশীলন নবযাত্রা প্রকল্পের উপজেলা কো-অডিনেটর এস এম জাকির হোসেন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, কাশিমাড়ী ইউপি সচিব মো. আব্দুস সবুর ও কাশিমাড়ী গ্রাম আদালত সহকারি মো. মহসীন আলম।

  • নওয়াপাড়া ( দেবহাটা) ইউনিয়ন পরিষদের প্রকাশ্য বাজেট ঘোষনা
  • দেবহাটা সদর ইউপির প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, ইউপি সচিব কামরুল ইসলাম বাবু, ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান আজগার আলী, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবলু, ইউপি সদস্য এবাদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মাছুম, ইউপি সদস্য আরমান হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, ইউপি সদস্য গোলাম মোক্তার, ইউপি সদস্যাদের মধ্যে সাবিনা ইয়ামিন, বেগম রোকেয়া ও শাহানাজ পারভিন প্রমুখ। বাজেট অধিবেশনে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন তহবিল থেকে ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৪ হাজার ২ শত ২৫ টাকার বাজেট পেশ করা হয়।

  • বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শ্যামনগর উপজেলার ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পরিষদ মাঠ চত্তরে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ২,২৪,৫০,৩৩০ টাকার প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাজেট অধিবেশনে সভাপত্বিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহাসীন-উল-মুলক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান অসীম কুমার জোয়াদ্দার প্রমুখ।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিডার্স এর সহ-সভাপতি মাষ্টার নজরুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালিনী নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ অনিমেশ কুমার হালদার, জলবায়ু পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ ক্রেল প্রকল্পের সমন্বয়কারী শহীদুল ইসলাম, সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি আযুব আলী প্রমুখ। বাজেট ঘোষণা করেন সচিব কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল।

  • মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা

    বিশেষ প্রতিনিধি: গত ২৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার ৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। উক্ত বাজেট অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন পরিকল্পনা ও ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাস্তবায়িত প্রকল্পের নাম বরাদ্দের পরিমাণ উল্লেখ করে বাজেট বই বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবুল কাশেম মোড়ল বাজেটের উপর বক্তব্যের পরে ইউপি সচিব অরবিন্দু কুমার সরকার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট পাঠ করে শুনান। তিনি =৩,৫১,৮৫,৮০০/-টাকার বাজেট ঘেষণা করেন। এছাড়া ২০১৭-২০১৮ সালের =৩,৪৫,৬৮,৮০০/-টাকার সংশোধিত বাজেট ও পেশ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শ্যা¥নগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, ইউপি সদস্য/সদস্যা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দসহ সর্বস্তরের বিপুল সংক্ষক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

  • ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন

    ধুলিহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স.ম জালাল উদ্দীন ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিক আহম্মেদ, ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, সাবেক উইপ সদস্য বিশ^নাথ রায়, ভৈরব সরকার, সাংবাদিক মো. শাহাদাত হোসেন বাবু, ডা. দীনদিপ্তী বিশ^াস, ধুলিহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মল্লিক, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদ আলী, ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, বিপ্লব, তপনশীল, নয়া ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল মখতুন, শফিকুল ইসলামসহ সকল ইউপি সদস্য, সদস্যাবৃন্দ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইউপি সচিব শরিফুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউপি সদস্য মো. শামীম রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৫৮ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

  • বেড়েই চলেছে ডলারের দাম, আমদানি চাপ নাকি কারসাজি?

    বেড়েই চলেছে ডলারের দাম, আমদানি চাপ নাকি কারসাজি?

    ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। একইভাবে বাড়ছে রফতানি আয়ও। অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রফতানি আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভও রয়েছে ৩১ বিলিয়নের ওপরে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ডলার সংকট হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবু টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন ডলার ছেড়েও বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্বাভাবিক করতে পারছে না। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে? তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণেও ডলারের দাম বাড়ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরের কম সময়ে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কমেছে প্রায় ৪ টাকা। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ডলারের দাম ছিল ৮০ দশমিক ৬৬ টাকা; গত সোমবার (১২ মার্চ) সে ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। কোনও কোনও ব্যাংক বিদেশ গমনেচ্ছুদের কাছে নগদ ডলার বিক্রি করছে ৮৫ টাকারও বেশি দরে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা হলো, এখন কোনোভাবে ডলারের দাম ৮৩ টাকার বেশি রাখা যাবে না। এরপরও গত কয়েক মাস ধরে ডলারের মূল্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ভুল তথ্য দিয়েছে দুই ডজনেরও বেশি ব্যাংক।

    জানা গেছে, গত বছরের জুন থেকে দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। বাজারে ডলার ছেড়েও সক্রিয় সিন্ডিকেটের কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতিনিয়ত কমছে। এমন পরিস্থিতিতেও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তেও দেখা গেছে, কিছু কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলারের এক রকম দর দিচ্ছে, আর বাজারে গ্রাহকদের কাছে তার চেয়ে বেশি দরে বিক্রি করছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে ব্যাংকগুলো ডলারের যে মূল্য ঘোষণা দিচ্ছে, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তার চেয়ে দুই টাকা পর্যন্ত বেশি রাখছে। এতে করে একদিকে বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে ডলার সংকটে অস্থির হয়ে উঠেছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেলেও আমদানি খাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

    এদিকে বৈদেশিক বাজারে কারসাজির অভিযোগে দুই দফায় ২৬টি ব্যাংককে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণ ডলার বাজারে ছাড়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    এরপরও থামানো যাচ্ছে না ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। এর আগে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে কারসাজির অভিযোগে এবং বাজার অস্থিতিশীল করার দায়ে অভিযুক্ত ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে প্রথমে ১৭টি ব্যাংককে শোকজ করা হয়। পরে আরও ৯টি ব্যাংককে শোকজ করা হয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক দেবাশিস চক্রবর্ত্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক যথা সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে অথবা ডলার বিক্রির মধ্য দিয়ে বাজারকে সহনশীল করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’ তিনি বলেন, ‘টাকার মূল্যমান ধরে রাখার কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে প্রয়োজনীয় ডলার বেচা-কেনার মধ্য দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখে।’ বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় বাজারের ওপর নজর রেখেছে বলেও জানান তিনি।

    এর আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৯ নভেম্বর জরুরি বৈঠক করেন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা। বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম ৮৩ টাকার নিচে রাখতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো বাফেদা’র সিদ্ধান্তও মানছে না। এ কারণে সম্প্রতি আবারও বৈঠক করেছেন তারা। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডলারের দর বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই এর শেষে আন্তব্যাংক ডলারের দর ছিল ৮০ দশমিক ৬৬ টাকা। এ বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে এই দর বেড়ে হয়েছে ৮২.৯০ টাকা। বর্তমান বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৫ দশমিক ২৫ টাকায়। ডলারের বিপরীতে গত আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) টাকার মান কমেছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কিনা, এমন আশঙ্কা থেকে ডলার কিনে অনেকে বিদেশে অর্থ সরিয়ে ফেলছেন- এমন ধারণা রয়েছে অনেকের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশে অর্থ সরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকলেও আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত ডলারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ বেশকিছু বড় প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে অনেক খরচ বাড়ছে। গত বছর বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি অনেক গুণ বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় রফতানি আয় না বাড়ায় ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ক্রমাগত বাড়ছে।’

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে খাদ্য (চাল ও গম) আমদানি বেড়েছে ২১২ শতাংশ। শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশের মতো। জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ অর্থবছরের ছয় মাসেই ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বছর শেষে এই অঙ্ক ৬০ বিলিয়ন ডলার পার হতে পারে। আমদানি বাড়ার কিছু ক্ষেত্রে, যেমন বড় উন্নয়ন প্রকল্পের যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য উপকরণ বাবদ আমদানি বেড়েছে।

    বর্তমানে (৮ মার্চের হিসাব) বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে তিন হাজার ১৯৩ কোটি ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। ডলারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ অর্থবছরে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ২০০ কোটিরও বেশি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা অবৈধ্য গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বিএনপি নেতা

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই প্রতিনিধি দলের সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে আসছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকার বিএনপি নেতা কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল।
    কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকা মহানগরের সূত্রাপুুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ২০১৩-১৪ সালে সুত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ থাকায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ায় নাশকতার আসামি হয়েও বুলবুল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোনীত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুলবুল স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সারা বাংলাদেশব্যাপি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড সহায়ক পাঠ্য বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

    ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তার আর্শীবাদ পুষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ীরা তার কথামত জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই অন্তর্ভুক্ত করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেরুয়াারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মো. জাকির সাতক্ষীরায় অসাধু পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাতক্ষীরার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান আহবায়ক যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আপন ভাইপো ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু ও যুগ্ম আহবায়ক(১) বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাইয়ুম সরকারকে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।

    কিন্তু এখনও জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই বই বাজারজাত করে ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত করতে সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় আগমন করছেন বিএনপি নেতা বুলবুল।
    অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা বুলবুল সাতক্ষীরার উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সব গাইড জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার তদবির নিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ১৩ ধারা মোতাবেক সদস্য পদের অযোগ্যতা। জ) কোন প্রকাশনী ও পুস্তক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বই পাঠ্য করাইলে তার সদস্য পদ থাকবে না। ট) গ্রন্থসত্ত্ব আইন: রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই প্রকাশ ও বিক্রয় করিলে। কিন্তু সারা দেশব্যাপি প্রকাশকরা টাকার বিনিময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় বই পাঠ্য করায়। ফলে সংঘবিধি ১৩ জ ও ১৩ ট অনুযায়ী কোন প্রকাশনীর সদস্যপদ থাকার কথা না।


    এঘটনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে বিএনপি করতাম। এখন করি না।’ ১৩’র জ ও ট সম্পর্কে বললে তিনি এড়িয়ে যান। এঘটনায় সাতক্ষীরার পুস্তক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল।

  • জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি

    জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে গতকাল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। তিনি এসেই বলেন, ‘আমি রুটিন মাফিক পরিদর্শনে এসেছি।’ এসময় ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে পালাতক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধের দূর্ণীতির অভিযোগ সম্বলিত কাগজপত্র তার নিকট জমা দিতে গেলে তিনি ‘নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিলমিশ করে নিতে বলেন’।

    উক্ত তদন্ত কর্মকর্তার দূর্ণীতিবাজ বিএনপির সন্ত্রাসী নেতার পক্ষ গ্রহণ করায় প্রথম থেকেই উপস্থিত জনতা ও ইউপি সদস্যরা মনে মনে ক্ষব্ধ হতে থাকে। এমতাবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তার উক্ত কথায় সবাই বিক্ষেভে ফেটে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান অভিযোগ গ্রহণ করেণ।

    গত সোমবার বিকেলে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার, সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। উপস্থিত ইউপি সচিবসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।

    তদন্তকালে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যা তার নিজ হেফাজতে আছে।
    বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা কিভাবে ২০১৩ সালের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত বর্তমানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের পক্ষে ভূমিকা গ্রহণ করায় স্থানীয় জনগণ ও সুধীমহলের মধ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মত তদন্তকর্মকর্তার ভূমিকা বতর্মন সরকারের রাজনৈতিক চেতনার প্রতিপক্ষ!

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।

    তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমে আলিম চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায় এবং সকল কাগজপত্র গহণপূর্বক জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে উপস্থিত সদস্য ও জনগণকে আশ্বস্ত করে এলাক ত্যাগ করেন। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের অভিমত চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির সহযোগী ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক লাবসা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলে তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

  • পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ

    পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় মিড-ডে-মিল কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরল দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার পরিবেশন করেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।

    বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জি,এম,এম, আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালাম, প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, আমজাদ আলী গাজী। বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক মুজিবর রহমান, ফাতেমা খাতুন, ছায়রা বেগম, আব্দুস সালাম, সমীরণ, খাবার প্রদানকারী অজিয়ার রহমান, পায়েল জামান, শিক্ষার্থী আসমা ও পলি খাতুন।

  • আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজ আপনার জন্ম হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ ইউরেনাস ও শনি। ১৭ তারিখে জন্ম হবার কারণে আপনার উপর শনির প্রভাব প্রবল। আপনার শুভ সংখ্যা: ৮,১৭,২৬। শুভ বর্ণ: নীলা ও গোলাপী। শুভ বার ও গ্রহ : রবি ও শনি। শুভ রতœ: গার্নেট ও নীলা।

    চন্দ্রাবস্থান:আজ চন্দ্র তুলা রাশিতে অবস্থান করবে। ৬ষ্ঠী তিথি সকাল : ০৯:৫৬ পর্যন্ত, পরে ৭মী তিথি চলবে।

    মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল):আজ বন্ধের দিনে মেষ রাশির জাতক জাতিকারা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন। জীবন সাথীকে নিয়ে বই-মেলায় ঘুরতে যেতে পারেন। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো আয় হতে পারে। আজ অংশীদারী ব্যবসায় অংশীদারের সাথে কোনো নতুন সাইট ভিজিটে যেতে পারেন। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ প্রবল।

    বৃষ রাশি ( ২১ এপ্রিল-২০ মে):আজ বৃষ রাশির জাতিকারা সাংসারিক কাজে খুব ব্যস্ত থাকতে পারেন। গৃহে কোনো অতিথির আগমনের সম্ভাবনা। কাজের লোকেদের ওপর অকারনে চেচামেচি না করাই ভালো। আপনার মূল্যবান দ্রব্যাদি সাবধানে রাখুন। বাহিরে বেড় হওয়ার সময় মূল্যবাণ দ্রব্যাদি সতর্কতার সাথে বহন করুন। হটাৎ ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

    মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন): মিথুনের বন্ধুরা আজ সন্তানের সাথে ভালো সময় কাটাতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকাদের বই মেলায় বেড়াতে যাওয়ার যোগ প্রবল। পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো পার্কে বেড়ানোর সুযোগ চলে আসবে। শিল্পীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। চিত্রকর ও নাট্যাভিনেতারা বন্ধের দিনেও ব্যস্ত সময় পার করবেন।

    কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই): পারিবারিক কাজে ব্যস্ততার দিন। গৃহ সংস্কার বা কোনো ফার্ণিচার মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনের আগমন হতে পারে। পারিবারিক পরিবেশ অনুকূল থাকবে। মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে। যানবাহ লাভের যোগ প্রবল। কোনো আত্মীয়র সহায়তায় কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজের সমাধান হতে পারে।

    সিংহ রাশি (২১জুলাই-২১ আগষ্ট): আজ সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেশীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ভালো সংবাদ আশা করা যায়। ছোট ভাই বোনের সাথে কোনো মেলায় বেড়াতে যেতে পারেন। সাংবাদিক ও প্রকাশকদের কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে।

    কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। আজ খাদ্য ব্যবসায়ী ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ভালো আয় করতে পারবেন। খুচরা বিক্রেতাদের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে। বাড়ীতে শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর আগমন হতে পারে। আজ কোনো ব্যক্তিগত ধারের টাকা ফেরত পেতে পারেন।

    তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২১ অক্টোবর): আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। কোনো আলোচনা সভায় আপনার সিদ্ধান্তকে সকলে মেনে নিতে পারেন। শারীরিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। মনের জোর ফিরে পাবেন। কোনো বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ব্যবসায়ীরা কোনো সুদূর পরিকল্পনা করতে চলেছেন। কাজ কর্মে জীবন সাথীর সাহায্য পাবেন।

    বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর-২০ নভেম্বর): আজ কোথাও ভ্রমনে যেতে পারেন। বৈদেশীক কাজে ব্যবসায়ীদের বিদেশ যাওয়ার যোগ প্রবল। ব্যয় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় কোনো চুক্তি করতে পারেন। বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। কোনো আত্মীয়র দেশে আগমনের যোগ দেখা যায়।

    ধনু রাশি (২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): আজ বড় বোনের বিয়ের যোগ প্রবল। বন্ধুর সাথে কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে। ব্যবসায় কিছু লাভের আশা করা যায়। বিদ্যার্থীরা কিছু অর্থ সাহায্য পেতে পারেন। ঠিকাদারদের আজ কোনো মিটিং এ অংশ নেবার সম্ভাবনা প্রবল।

    মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সামাজিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে। কোনো স্কুল কলেজ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সরকারী চাকরীজীবীদের ভ্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো নেতার সাথে আজ দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিদেশ সংক্রান্ত কাজে কোনো পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মীক কাজে কোথাও যেতে পারেন। কোনো মাজার বা দরগাহতে জিয়ারতের সম্ভাবনা বেশী। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ে ব্যস্ত থাকতে চলেছেন। জীবীকার জন্য হটাৎ করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। বৈদেশীক কাজের সাথে সম্পৃক্তদের দিনটি ব্যস্ততায় কাটবে।

    মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): রাস্তাঘাটে কোনো প্রকার হয়রাণির শিকার হবার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো পরিচিতজনকে দেখতে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বিনিয়োগের সুযোগ পেয়ে যাবেন। মামলা মোকর্দ্দমা ও আইনগত জটিলতা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশে কর্মরত বন্ধুদের ছুটির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী

    সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)

    মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২